PDA

View Full Version : রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এখন পুরো পৃথিবী মুদ্রাস্ফীতির দারপ্রান্তে।



Smd
2022-03-09, 09:40 PM
হোয়াইট হাউস রাশিয়ান জালানি তেল আমদানি বন্ধ করছে কারণ দেশটি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে যা আমেরিকান গ্যাসের দাম আরও বেশি ঠেলে দিতে পারে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি বিডেন কর্তৃক ঘোষিত রাশিয়ান তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা মার্কিন অর্থনীতির জন্য অর্থবহ পরিণতি হতে পারে। যখন মুদ্রাস্ফীতি ইতিমধ্যে দ্রুত হয়ে রয়েছে। তখন গ্যাস পাম্পে দামকেও বৃদ্ধি করতে পারে। যদিও সেই প্রভাব কতটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে তা অনিশ্চিত রয়ে গেছে। হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে মিঃ বিডেন বলেন আমরা রাশিয়ার তেল-গ্যাস এবং জ্বালানির সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করছি। তিনি বলেছিলেন যে এই পরিকল্পনাটি রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান অর্থনৈতিক লক্ষ্য হিট করবে। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে এই পদক্ষেপ সম্ভবত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেবে তিনি সেই বাস্তবতার জন্য রাশিয়ান আগ্রাসনকে দায়ী করেছেন। রাশিয়ার তেল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা আমদানিতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য।
16967
এটি রাশিয়ার জ্বালানি খাতে নতুন মার্কিন বিনিয়োগকেও নিষিদ্ধ করবে। এবং এটি আমেরিকানদের অর্থায়ন বা বিদেশী সংস্থাগুলিকে সক্রিয় করা থেকে বাধা দেবে যারা রাশিয়ায় শক্তি উত্পাদন করতে বিনিয়োগ করছে। ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় রাশিয়া থেকে তার সরবরাহের অনেক বেশি আমদানি করে তবে শক্তির বাজারগুলি বিশ্বব্যাপী এবং নিষেধাজ্ঞার হুমকি সাম্প্রতিক দিনগুলিতে পণ্যের দামকে উচ্চতর করেছে। ইনফ্লেশন ইনসাইটসের প্রতিষ্ঠাতা ওমাইর শরীফ বলেন বিষয়গুলো খুবই অস্থির হয়ে উঠেছে উল্লেখ করেছেন যে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তেলের দামের কতটা বৃদ্ধি এই নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার পেছনে রয়েছে তা বলা কঠিন। কিন্তু ইউক্রেনের সংঘাত স্পষ্টতই পণ্যের গ্যাসের দামকে আরও বেশি করে ঠেলে দিচ্ছে এতটাই যে এই মাসে জাতীয় গড় গ্যাসের দাম প্রায় $4.50-তে বাড়তে পারে। তিনি বলেছিলেন অনুমান করে আমরা আর বলবো না। যদিও তেল ও গ্যাস নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতিকে উচ্চতর ঠেলে দেওয়ার জন্য প্রায় নিশ্চিত। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন যে অর্থনৈতিক পরিণতির স্কেল কীভাবে এটি গঠন করা হয়েছিল তার উপর বড় অংশে নির্ভর করবে। উদাহরণস্বরূপ এটি সম্ভবত বিশ্বব্যাপী এবং বাজারে একটি বড় পার্থক্য আনবে যদি ইউরোপীয়রা রাশিয়ান তেল এবং গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করে এবং এটি ঘটবে কিনা বা কতটা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনেক দেশে নিষেধাজ্ঞা "বিশ্বব্যাপী শক্তি সরবরাহকে মারাত্মকভাবে হ্রাস করবে এবং ব্যাহত করবে এবং ইতিমধ্যে উচ্চ পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। ক্যারোলিন বেইন, ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের একজন অর্থনীতিবিদ ঘোষণার আগে একটি গবেষণা নোটে লিখেছেন অনুমান করে যে দাম বৈশ্বিক তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড সেই ক্ষেত্রে ব্যারেল প্রতি প্রায় $160-এ স্থির হতে পারে।

Rakib Hashan
2022-03-20, 12:12 PM
এখন বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে এবং সম্ভবত, আগামী কয়েক মাসের জন্য বাড়তে থাকবে। উপরন্তু, এটি অনুমান করা যেতে পারে যে রাশিয়া এবং ইউক্রেনে বিনিয়োগকারী দেশগুলো মূলধন প্রত্যাহার করতে চাওয়ায় ক্রিপ্টোকারেন্সি চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।রাশিয়ার এবং ইউক্রেনে সামরিক সংঘাত চলমান রয়েছে এবং রাশিয়ার উপর সারা বিশ্বের 6,000টিরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি "বেয়ারিশ" প্রবণতা এবং এখন "বুলিশ" প্রবণতা শুরু হওয়ার কোন ভিত্তি নেই। এমনকি যদি বিনিয়োগকারীরা ফেডের সুদের হার বৃদ্ধিকে উপেক্ষা করে, তবে চলতি বছরে আরও ছয়বার সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা উপেক্ষা করতে পারবে না। এমনকি বিনিয়োগকারীরা ফেডের ব্যালেন্স শীট হ্রাস উপেক্ষা করতে সক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা কম, যা পরবর্তী সভায় ঘোষণা করা হতে পারে, যার অর্থ অর্থনীতি থেকে অতিরিক্ত তারল্য প্রত্যাহার করা হবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1916471686.jpg

Mas26
2022-03-20, 02:36 PM
হ্যাঁ আমিও আপনার সাথে একমত দেশে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে এবং এই মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতির তুলনামুল অনেক বেশি এবং বিভিন্ন দেশ যারা উন্নত দেশগুলো ছিল তারাও বর্তমান পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির দিকে ঝুকে যাচ্ছে। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন এর যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন দেশ রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এবং এই রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণে শুধু রাশিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না সাথে বিভিন্ন দেশ ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এবং আর্থিক লেনদেন ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং রাশিয়াকে ছয় হাজারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবং পশ্চিমা বিশ্ব সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে কারণ পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ তেল-গ্যাস এবং কয়লা এবং গমসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করত রাশিয়া। রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে তাদের লেনদেন সংঘটিত না হওয়ার কারণে রাশিয়াও যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যান্য দেশও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এখনো পর্যন্ত আছে এবং আরো কিছুদিন গেলে এর চাপ আরো বেশি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এবং বিশ্ববাজারে এই চাপটা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। তবে আমেরিকান যেহেতু একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ এবং তাদের তেলের মজুদ আছে তারা অনেক ভাবে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিন্তু ভুক্তভোগী হওয়ার সম্ভাবনা অনন্য দেশের তাই অন্য দেশগুলো প্রথম অবস্থা থেকে এখন পর্যন্ত একটি চিন্তার মধ্যে আছেন যে রাশিয়ার সাথে তারা ব্যবসায়িক লেনদেন চালিয়ে যাবেন কিনা। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব কিছু নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার সাথে দিয়ে ফেলেছেন কারণে তারা ন্যটোর সদেস্য ভুক্ত দেশ হওয়ায়।কিন্তু এভাবে যদি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকে তাহলে বিশ্ব একটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যাবেন।এবং উন্নত দেশগুলো ঋণখেলাপি মুদ্রাস্ফীতির আওতায় চলে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Smd
2022-03-21, 10:51 PM
যুদ্ধের দামামায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। ফলে তেল, চিনি, গমসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের এখন বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির চূড়ান্ত প্রভাব কিন্তু পড়ছে ভোক্তাদের ওপর। করোনার ধাক্কা সামলে দেশে দেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও ব্যবসা-বাণিজ্য আগের জায়গা ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের অনেক কিছুই পাল্টে দিয়েছে। যেমন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ বহু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। পণ্য পরিবহনে জাহাজভাড়া করোনার সময়েও বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধের দামামায় তা আর কমেনি, বরং আরও বেড়েছে। ফলে তেল, চিনি, গমসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য আমদানিতে এখন বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির চূড়ান্ত প্রভাব পড়ছে ভোক্তাদের ওপর। তাঁদের এখন বেশি দামে বিভিন্ন পণ্য কিনতে হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে চালের দামও বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন। জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও মানুষের আয় তেমন বাড়েনি। বরং অনেকের আয় কমেছে। নতুন কর্মসংস্থানেও ভাটার মধ্যে রয়েছে। বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের খুব বেশি কিছু করার থাকে না। শুল্ক-কর কমিয়ে মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা ঠেকানো সম্ভব হয়, এই যা। তবে দাম অস্বাভাবিক বাড়লে পরিস্থিতি সরকারকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। যা–ই হোক, জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে এখন মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। আয় বৃদ্ধির হারও মূল্যস্ফীতির চেয়ে সামান্য বেশি। এর মানে, জিনিসপত্রের উচ্চমূল্য বা মূল্যস্ফীতি খেয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষের বাড়তি আয়। আর যাঁদের আয় বাড়েনি তাঁরা ভোগ কমিয়ে জীবনধারণের চেষ্টা করছেন। সার্বিকভাবে, মূল্যস্ফীতিও এখন যুদ্ধের মতো সবার শত্রু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২২–২৩ অর্থবছরের বাজেট আসছে। নতুন বাজেটে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে—নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গরিব মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। মূল্যস্ফীতির সংকট কাটানোই আগামী বাজেট বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করি। কোভিডের কারণে এমনিতেই অনেকে কাজ হারিয়েছেন, গরিব হয়েছেন। তাঁরা এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। ঠিক এমন সময় যুদ্ধের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নতুন সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে দেশের বাজারে তেমন কিছু করার থাকে না। তবে বাজার তদারকি করে অন্যায্য বাড়তি দাম ঠেকানোর উদ্যোগ নিতে হয়। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।