Rassel Vuiya
2022-03-16, 01:23 PM
ইউক্রেনে রুশ হামলার জের ধরে দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। এর ধারাবাহিকতায় পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে জাপানও। যদিও রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ায় পাল্টা ক্ষতি হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোরও এটি জাপানের অর্থনীতিতে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্য, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে এর প্রভাব সীমিত হবে। জাপানের প্রধান উৎপাদক সংস্থাগুলো রাশিয়ায় কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এতে জাপানি সংস্থাগুলোর ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব খুব বেশি হবে না। যদিও সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতাকে এড়ানোর সুযোগ নেই। এ বিষয়ে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের ওভারসিজ রিসার্চ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক মানাবু শিমোয়াশিরো বলেন, রাশিয়ায় ব্যবসা করা জাপানি বহুজাতিক সংস্থাগুলোর সংখ্যা কম। যেহেতু রাশিয়া তাদের জন্য কোনো বড় বাজার না, তাই এর ফলে জাপানের অর্থনীতিতে বড় কোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা কম।
17041
তেইকোকু ডাটা ব্যাংক লিমিটেডের তথ্য বলছে, গত মাসে মোট ৩৪৭টি জাপানি সংস্থা রাশিয়ায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ ছিল গাড়ি নির্মাতা ও অন্যান্য উৎপাদক সংস্থা। প্রধান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টয়োটা সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার কারণে এ মাসে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের কারখানায় উৎপাদন স্থগিত ঘোষণা করে। কারখানার জাপানি কর্মীদের দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। এছাড়া নিসান মোটর করপোরেশন ও মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের কারখানা আছে রাশিয়ায়। দুই জাপানি সংস্থাই কর্মীদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। ইয়েল স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, এ নিয়ে প্রায় ৩৩০টি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় কার্যক্রম স্থগিত করল।
এদিকে রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করার তালিকায় নাম লিখিয়েছে জাপানও। পাশাপাশি দেশটি দ্রুত আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদান নেটওয়ার্ক সুইফট থেকে সাতটি রুশ ব্যাংককে অপসারণ করেছে। তবে নিষেধাজ্ঞার অভিঘাতকে দ্বিমুখী তলোয়ারের সঙ্গে তুলনা করেছেন দাইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ কোইচি ফুজিশিরো। নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীও এর পরিণাম ভোগ করবে বলে জানান তিনি। রাশিয়া বিশ্বের প্রধান জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী দেশ। রুশ জ্বালানি তেল আমদানির ওপর বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। ফলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে টোকিও কমোডিটি এক্সচেঞ্জেও। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল রিসার্চ সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানায়, আগামী বছরের মধ্যে বৈশ্বিক দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১ শতাংশ বা ১ লাখ কোটি ডলার কমতে পারে। এছাড়া এ বছর মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে ৩ শতাংশ পর্যন্ত। এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক চুকানোর প্রভাব পড়বে অন্যান্য দেশের অর্থনীতির ওপরও। জাপান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক শিনিচি নিশিয়োকা বলেন, রুশ অর্থনীতি ১০ শতাংশ সংকোচন হলে জাপানে এর ফলে অর্থনৈতিক সংকোচন হবে মাত্র দশমিক ১৫ শতাংশ।
17041
তেইকোকু ডাটা ব্যাংক লিমিটেডের তথ্য বলছে, গত মাসে মোট ৩৪৭টি জাপানি সংস্থা রাশিয়ায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ ছিল গাড়ি নির্মাতা ও অন্যান্য উৎপাদক সংস্থা। প্রধান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টয়োটা সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার কারণে এ মাসে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের কারখানায় উৎপাদন স্থগিত ঘোষণা করে। কারখানার জাপানি কর্মীদের দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। এছাড়া নিসান মোটর করপোরেশন ও মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের কারখানা আছে রাশিয়ায়। দুই জাপানি সংস্থাই কর্মীদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। ইয়েল স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, এ নিয়ে প্রায় ৩৩০টি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় কার্যক্রম স্থগিত করল।
এদিকে রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করার তালিকায় নাম লিখিয়েছে জাপানও। পাশাপাশি দেশটি দ্রুত আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদান নেটওয়ার্ক সুইফট থেকে সাতটি রুশ ব্যাংককে অপসারণ করেছে। তবে নিষেধাজ্ঞার অভিঘাতকে দ্বিমুখী তলোয়ারের সঙ্গে তুলনা করেছেন দাইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ কোইচি ফুজিশিরো। নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীও এর পরিণাম ভোগ করবে বলে জানান তিনি। রাশিয়া বিশ্বের প্রধান জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী দেশ। রুশ জ্বালানি তেল আমদানির ওপর বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। ফলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে টোকিও কমোডিটি এক্সচেঞ্জেও। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল রিসার্চ সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানায়, আগামী বছরের মধ্যে বৈশ্বিক দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১ শতাংশ বা ১ লাখ কোটি ডলার কমতে পারে। এছাড়া এ বছর মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে ৩ শতাংশ পর্যন্ত। এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক চুকানোর প্রভাব পড়বে অন্যান্য দেশের অর্থনীতির ওপরও। জাপান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক শিনিচি নিশিয়োকা বলেন, রুশ অর্থনীতি ১০ শতাংশ সংকোচন হলে জাপানে এর ফলে অর্থনৈতিক সংকোচন হবে মাত্র দশমিক ১৫ শতাংশ।