DhakaFX
2022-03-21, 03:17 PM
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বিশ্ব অর্থনীতিতে লেগেছে এর ঢেউ। মূলত সংশ্লিষ্ট দেশ দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার রেশ পড়েছে আশপাশ ও বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ওপর। কিন্তু ইউক্রেন থেকে চার হাজার মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দেশ শ্রীলংকার অর্থনীতিও এখন এ যুদ্ধের কারণে হুমকির মুখে। দেশটির অর্থনীতিতে আনুমানিক ৮ হাজার ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, ওষুধ ও তেলের জন্য শ্রীলংকা পুরোপুরি আমদানিনির্ভর দেশ। যুদ্ধের কারণে তেল আমদানির খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটন খাতের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে শ্রীলংকার। এরই মধ্যে শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে, যা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দ্বীপ রাষ্ট্রটির পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি তেলের সংকটের কারণ বেশ কিছুদিন ধরে শ্রীলংকায় নিয়ম করে প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গ্যাস স্টেশনগুলোয়ও দীর্ঘ অপেক্ষার পর মেলে জ্বালানি। শুধু তাই নয়, চলতি মাসে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে জ্বালানির দাম। শ্রীলংকা সরকার এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বাড়ানো হয়েছে সুদের হার, স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এবং জরুরি নয় এমন পণ্যের আদমানি কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু চলতি বছরই ফরেক্স রিজার্ভের ২০০ কোটি ডলার ও ঋণের ৭০০ কোটি ডলার পরিশোধ করার সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে শ্রীলংকার। চলতি সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে সহায়তা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে শেষ হওয়া জাতিগত দ্বন্দ্বের রেশ থেকেই এখনো উত্তরণ ঘটেনি শ্রীলংকার। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে মহামারীর ক্ষতি। মহামারীর আগে পর্যটন খাতে লাখো ডলার ব্যয় করেছে শ্রীলংকা। কিন্তু মহামারীর শুরুর কারণে বেশির ভাগ পর্যটনসংক্রান্ত পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা যায়নি। তারপর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
কেবল শ্রীলংকাই নয়, এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভঙ্গুর অর্থনীতির উন্নয়নশীল অনেক দেশের উপরেই এ যুদ্ধ ব্যাপক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল বা শস্যের জন্য নির্ভর করতে হতো, এমন দেশগুলো সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
17092
কিন্তু চলতি বছরই ফরেক্স রিজার্ভের ২০০ কোটি ডলার ও ঋণের ৭০০ কোটি ডলার পরিশোধ করার সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে শ্রীলংকার। চলতি সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে সহায়তা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে শেষ হওয়া জাতিগত দ্বন্দ্বের রেশ থেকেই এখনো উত্তরণ ঘটেনি শ্রীলংকার। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে মহামারীর ক্ষতি। মহামারীর আগে পর্যটন খাতে লাখো ডলার ব্যয় করেছে শ্রীলংকা। কিন্তু মহামারীর শুরুর কারণে বেশির ভাগ পর্যটনসংক্রান্ত পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা যায়নি। তারপর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
কেবল শ্রীলংকাই নয়, এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভঙ্গুর অর্থনীতির উন্নয়নশীল অনেক দেশের উপরেই এ যুদ্ধ ব্যাপক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল বা শস্যের জন্য নির্ভর করতে হতো, এমন দেশগুলো সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
17092