Smd
2022-03-23, 07:24 AM
ক্ষমতা হারানোর দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সাড়ে তিন বছর যেতে না যেতেই ভাগ্য যাচাইয়ের মুখোমুখি পড়েছেন তিনি। বিরোধীদের চাপ ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে আগামী শুক্রবার তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উঠছে পার্লামেন্টে। ভোটে হারলে পতন হবে তার সরকারের। গতকাল পর্যন্ত বিরোধীদের যে পকিল্পনার কথা জানা গেছে, তাতে গদি হারানোর মুখে রয়েছেন ইমরান। আস্থা ভোট এড়িয়ে ইমরান ক্ষমতায় থাকতে চাইলে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের আশঙ্কাও করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। ২০১৮ সালে ইমরান ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবারের অনাস্থা প্রস্তাবটিকে তাঁর জন্য সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এক বছর আগেও মার্চ মাসে পার্লামেন্টে আস্থা-অনাস্থার চ্যালেঞ্জে পড়েছিলেন তিনি। তখন ইমরান খানকে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার প্রশ্নে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী দেখা গেলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার তাঁর নিজ দল পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতাদের একাংশকে বিরোধী শিবিরে ভিড়তে দেখা যাচ্ছে।
17122
এ মাসেই বিরোধী দলের জোটের পক্ষ থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। বিরোধী দলগুলোর দাবি, পার্লামেন্টে ইমরান খান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের এক ডজনের বেশি সদস্য এখন তাঁর পাশে নেই। এমনকি তাঁর সরকারের জোট শরিকেরাও বিরোধী দলের প্রতি ঝুঁকেছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৮ মার্চ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানায় তারা। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, লিখিত আবেদন জমা পড়ার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। তার মানে হলো, ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা। তবে এদিনই আবার জাতীয় পরিষদে শুরু হচ্ছে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। পাকিস্তানের বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ইমরান খানকে সরিয়ে দিতে নানা প্রচার চালানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের অর্থনীতি অব্যবস্থাপনা, পররাষ্ট্রনীতি ও সরকার পরিচালনা নিয়ে অভিযোগ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুরো মেয়াদ সম্পন্ন করতে পারেননি। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ইমরান খানের জোটের শরিকদের ২০টি আসন রয়েছে। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, ৩৪২ সদস্যবিশিষ্ট নিম্নকক্ষে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাব পাসের জন্য প্রয়োজন ১৭২ ভোট। পার্লামেন্টে ইমরান খানের রয়েছে ১৫৫ আসন।
17122
এ মাসেই বিরোধী দলের জোটের পক্ষ থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। বিরোধী দলগুলোর দাবি, পার্লামেন্টে ইমরান খান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের এক ডজনের বেশি সদস্য এখন তাঁর পাশে নেই। এমনকি তাঁর সরকারের জোট শরিকেরাও বিরোধী দলের প্রতি ঝুঁকেছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৮ মার্চ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানায় তারা। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, লিখিত আবেদন জমা পড়ার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। তার মানে হলো, ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা। তবে এদিনই আবার জাতীয় পরিষদে শুরু হচ্ছে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। পাকিস্তানের বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ইমরান খানকে সরিয়ে দিতে নানা প্রচার চালানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের অর্থনীতি অব্যবস্থাপনা, পররাষ্ট্রনীতি ও সরকার পরিচালনা নিয়ে অভিযোগ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুরো মেয়াদ সম্পন্ন করতে পারেননি। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ইমরান খানের জোটের শরিকদের ২০টি আসন রয়েছে। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, ৩৪২ সদস্যবিশিষ্ট নিম্নকক্ষে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাব পাসের জন্য প্রয়োজন ১৭২ ভোট। পার্লামেন্টে ইমরান খানের রয়েছে ১৫৫ আসন।