Smd
2022-03-28, 06:29 PM
17207
ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রবিবার ফোনে কথা হয় দুই নেতার। এ সময় ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিনের প্রতি আহ্বান জানান এরদোয়ান। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও নিজের উদ্বেগের কথা জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তার দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে এরদোয়ান রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির গুরুত্ব এবং এই অঞ্চলে মানবিক অবস্থার উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এর আগে গত ১৭ মার্চ এরদোয়ানকে ফোন করেন পুতিন। এ সময় তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে তার দেশের সম্ভাব্য একটি শান্তিচুক্তির জন্য রাশিয়ার সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো তুলে ধরেন। অন্যদিকে ফোনালাপে পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানান এরদোয়ান। এ ধরনের আলোচনার জন্য দুই নেতাকে আতিথ্য দিতে তুরস্কের আগ্রহের কথাও জানান তিনি। এরদোয়ান বলেন, বিদ্যমান সংকটে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ দেখাতে পারে। তবে কিছু বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতার জন্য দুই নেতার বৈঠকের প্রয়োজন হতে পারে। দুই নেতার ফোনালাপ শেষ হওয়ার পর এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টা ও মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে কথা বলেন বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জন সিম্পসন। উভয় নেতার ফোনালাপ যে অল্প সংখ্যক কর্মকর্তারা শুনেছেন তাদের একজন ইব্রাহিম কালিন। তার মতে রাশিয়ার প্রথম চারটি দাবি পূরণ করা ইউক্রেনের পক্ষে খুব কঠিন নয়। এরমধ্যে প্রধান দাবি হলো ইউক্রেনকে এটা মানতে হবে যে তাদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত এবং ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করা উচিত নয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতোমধ্যে এই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। বাকি দাবিগুলোতে বলা হয়েছে ইউক্রেনকে একটি নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যাতে দেশটি রাশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায়। ইউক্রেনে রাশিয়ান ভাষার জন্য সুরক্ষা থাকতে হবে। আর ডি-নাজিফিকেশন বলে একটা ব্যাপার আছে।জেলেনস্কির জন্য রুশ সংজ্ঞার আলোকে ‘ডি-নাজিফিকেশন’ একটি আপত্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যিনি নিজে ইহুদি এবং যার কিছু আত্মীয় হলোকাস্টে মারা গেছে। তবে আঙ্কারার বিশ্বাস জেলেনস্কির জন্য এটি গ্রহণ করা যথেষ্ট সহজ হবে। তারা বলছে, সম্ভবত সব ধরনের নব্য-নাৎসিবাদের নিন্দা করা এবং তাদের দমনের প্রতিশ্রুতি দেওয়াই ইউক্রেনের জন্য যথেষ্ট হবে।
ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রবিবার ফোনে কথা হয় দুই নেতার। এ সময় ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিনের প্রতি আহ্বান জানান এরদোয়ান। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও নিজের উদ্বেগের কথা জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তার দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে এরদোয়ান রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির গুরুত্ব এবং এই অঞ্চলে মানবিক অবস্থার উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এর আগে গত ১৭ মার্চ এরদোয়ানকে ফোন করেন পুতিন। এ সময় তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে তার দেশের সম্ভাব্য একটি শান্তিচুক্তির জন্য রাশিয়ার সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো তুলে ধরেন। অন্যদিকে ফোনালাপে পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানান এরদোয়ান। এ ধরনের আলোচনার জন্য দুই নেতাকে আতিথ্য দিতে তুরস্কের আগ্রহের কথাও জানান তিনি। এরদোয়ান বলেন, বিদ্যমান সংকটে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ দেখাতে পারে। তবে কিছু বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতার জন্য দুই নেতার বৈঠকের প্রয়োজন হতে পারে। দুই নেতার ফোনালাপ শেষ হওয়ার পর এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টা ও মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে কথা বলেন বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জন সিম্পসন। উভয় নেতার ফোনালাপ যে অল্প সংখ্যক কর্মকর্তারা শুনেছেন তাদের একজন ইব্রাহিম কালিন। তার মতে রাশিয়ার প্রথম চারটি দাবি পূরণ করা ইউক্রেনের পক্ষে খুব কঠিন নয়। এরমধ্যে প্রধান দাবি হলো ইউক্রেনকে এটা মানতে হবে যে তাদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত এবং ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করা উচিত নয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতোমধ্যে এই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। বাকি দাবিগুলোতে বলা হয়েছে ইউক্রেনকে একটি নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যাতে দেশটি রাশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায়। ইউক্রেনে রাশিয়ান ভাষার জন্য সুরক্ষা থাকতে হবে। আর ডি-নাজিফিকেশন বলে একটা ব্যাপার আছে।জেলেনস্কির জন্য রুশ সংজ্ঞার আলোকে ‘ডি-নাজিফিকেশন’ একটি আপত্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যিনি নিজে ইহুদি এবং যার কিছু আত্মীয় হলোকাস্টে মারা গেছে। তবে আঙ্কারার বিশ্বাস জেলেনস্কির জন্য এটি গ্রহণ করা যথেষ্ট সহজ হবে। তারা বলছে, সম্ভবত সব ধরনের নব্য-নাৎসিবাদের নিন্দা করা এবং তাদের দমনের প্রতিশ্রুতি দেওয়াই ইউক্রেনের জন্য যথেষ্ট হবে।