Smd
2022-03-29, 09:03 PM
ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ আলিগার্কদের (ধনী শাসক) ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ধনীরা। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দেশগুলোয় থাকা আলিগার্কদের ধনসম্পদ যখন বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে ঠিক একই সময় তাদের স্বাগতম জানাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটির অন্যতম শহর দুবাইয়ের আবাসন খাতে তাদের বিনিয়োগ বাড়ছে।
17234
চলতি মাসের মাঝামাঝি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাশিয়ার ধনীদের আনাগোনা বেড়ে যায় বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। বিমানবন্দরে তাদের ভিআইপি মর্যাদা দেয়া হচ্ছে। পরে লিমুজিনে করে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এই ধনীরা পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত এবং ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাস নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন তারা। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় তারা দুবাইয়ে বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দুবাইয়ে তাদের অর্থের প্রবাহ অন্য সময়ের তুলনায় বেড়েছে। আগ্রাসনের প্রতিশোধ নিতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও তা মানছে না আমিরাত। বরং রাশিয়ার ব্যাংকার, আবাসন এজেন্ট, গাড়ি নির্মাতা, মেরিনার প্রভৃতি পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছে নিজেদের আরও মেলে ধরছে দেশটি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বন্দ্বেও চীনের পাশে ছিল দেশটি। রাশিয়ার আলিগার্করা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে দুবাইয়ে অর্থ পাচার করছেন বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থা যুক্তরাজ্যের দ্য অবজারভারকে জানায়। তবে অনেকে সরাসরিও দুবাইয়ে অর্থ পাঠাচ্ছেন। এমনকি সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন এমন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা দুবাইকে স্বর্গ মনে করে অর্থ পাঠাচ্ছেন।দুবাই মেরিনার আবাসন প্রতিষ্ঠান ইস্পেস রিয়েল এস্টেটের লিজিং কনসালট্যান্ট অ্যালান পিন্টো বলেন রাশিয়ার ধনকুবেরদের আকৃষ্ট করেছে এ শহরের আবাসন খাত। তারা ইতোমধ্যে অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে বিনিয়োগ করছেন। অনেকে থাকার জন্য এক বছরের অগ্রিম ভাড়া দিয়েছেন। রাশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ খাতেই সবচেয়ে বেশি অর্থ লগ্নি করছেন বলে জানান অ্যালান। অনেকে ক্রিক্টো কারেন্সিতে তাদের অর্থ পাঠাচ্ছেন। এতে তাদের হয়ে একশ্রেণির মধ্যস্থতাকারী কাজ করছেন, যারা ক্রিপ্টোকে দিরহামে রূপান্তর করে জমির মালিকদের দিচ্ছেন। গুঞ্জন উঠেছে রাশিয়ার বিলিওনিয়ার ও যুক্তরাজ্যের চেলসি ফুটবল ক্লাবের সাবেক মালিক রোমান আব্রামোভিচ দুবাইয়ে আলিশান বাড়ি কিনেছেন। তার একটি ব্যক্তিগত জেটপ্লেন নিয়মিত দুবাইয়ে যাওয়া আসা করছে। গালফ উপকূলে তার একটি ইয়াটও দেখা গেছে। বিভিন্ন দেশে থাকা তার সব সম্পদ নজরদারিত্বে রয়েছে। এর মধ্যে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ফ্রান্সের সেন্ট বার্টসে তার ও অন্য আলিগার্কদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে পারে। এ অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে।রাশিয়ার আলিগার্ক ঠিক এমন কার্যক্রম শুরু করেছেন দুবাইয়ে। তারা জানেন কীভাবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করতে হয় এবং তারা ভালো প্রতিবেশী। কথাগুলো বলেন এক আবাসন ব্যবসায়ী যিনি গত ৩ সপ্তাহে রাশিয়ার আলিগার্কদের কাছে দুইটি বিলাসবহুল বাড়ি বিক্রয় করেছেন। এ প্রসঙ্গে অ্যালান বলেন, রাশিয়ানরা সরাসরি বিনিয়োগ করছেন না। তাদের হয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। মস্কো ও দুবাইয়ের মধ্যে সরাসরি প্রাইভেট জেট কিংবা বাণিজ্যিক ফ্লাইট অব্যাহত থাকলেও আর্থিক লেনদেন চললেও অর্থের চালান নিরূপণ করতে পারছে না ফ্যাই ন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। এ কারণে আমিরাতকে ধূসর তালিকায় আনতে পারছে না সংস্থাটি। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ধনীদের আকর্ষণ করছে দুবাই। মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে এখানে অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট নেয়ার সুযোগ রয়েছে। আবাসন খাতে ১৫ লাখ ডলার ব্যয় করে স্থায়ী রেসিডেন্স সুবিধা পাওয়া যায়। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার এর ৮০ কর্মীর প্রায় অর্ধেকে দুবাইয়ে চলে গেছেন। জেপি মরগানের ১৬০ রাশিয়ান কর্মীর বেশিরভাগও একই পথে রয়েছেন। রথসচাইল্ডও একই ধরনের তথ্য দিয়েছে। বোঝা যায় দুবাই ভিসার সহজ প্রাপ্তি তাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে।
17234
চলতি মাসের মাঝামাঝি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাশিয়ার ধনীদের আনাগোনা বেড়ে যায় বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। বিমানবন্দরে তাদের ভিআইপি মর্যাদা দেয়া হচ্ছে। পরে লিমুজিনে করে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এই ধনীরা পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত এবং ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাস নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন তারা। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় তারা দুবাইয়ে বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দুবাইয়ে তাদের অর্থের প্রবাহ অন্য সময়ের তুলনায় বেড়েছে। আগ্রাসনের প্রতিশোধ নিতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও তা মানছে না আমিরাত। বরং রাশিয়ার ব্যাংকার, আবাসন এজেন্ট, গাড়ি নির্মাতা, মেরিনার প্রভৃতি পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছে নিজেদের আরও মেলে ধরছে দেশটি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বন্দ্বেও চীনের পাশে ছিল দেশটি। রাশিয়ার আলিগার্করা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে দুবাইয়ে অর্থ পাচার করছেন বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থা যুক্তরাজ্যের দ্য অবজারভারকে জানায়। তবে অনেকে সরাসরিও দুবাইয়ে অর্থ পাঠাচ্ছেন। এমনকি সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন এমন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা দুবাইকে স্বর্গ মনে করে অর্থ পাঠাচ্ছেন।দুবাই মেরিনার আবাসন প্রতিষ্ঠান ইস্পেস রিয়েল এস্টেটের লিজিং কনসালট্যান্ট অ্যালান পিন্টো বলেন রাশিয়ার ধনকুবেরদের আকৃষ্ট করেছে এ শহরের আবাসন খাত। তারা ইতোমধ্যে অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে বিনিয়োগ করছেন। অনেকে থাকার জন্য এক বছরের অগ্রিম ভাড়া দিয়েছেন। রাশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এ খাতেই সবচেয়ে বেশি অর্থ লগ্নি করছেন বলে জানান অ্যালান। অনেকে ক্রিক্টো কারেন্সিতে তাদের অর্থ পাঠাচ্ছেন। এতে তাদের হয়ে একশ্রেণির মধ্যস্থতাকারী কাজ করছেন, যারা ক্রিপ্টোকে দিরহামে রূপান্তর করে জমির মালিকদের দিচ্ছেন। গুঞ্জন উঠেছে রাশিয়ার বিলিওনিয়ার ও যুক্তরাজ্যের চেলসি ফুটবল ক্লাবের সাবেক মালিক রোমান আব্রামোভিচ দুবাইয়ে আলিশান বাড়ি কিনেছেন। তার একটি ব্যক্তিগত জেটপ্লেন নিয়মিত দুবাইয়ে যাওয়া আসা করছে। গালফ উপকূলে তার একটি ইয়াটও দেখা গেছে। বিভিন্ন দেশে থাকা তার সব সম্পদ নজরদারিত্বে রয়েছে। এর মধ্যে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ফ্রান্সের সেন্ট বার্টসে তার ও অন্য আলিগার্কদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে পারে। এ অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে।রাশিয়ার আলিগার্ক ঠিক এমন কার্যক্রম শুরু করেছেন দুবাইয়ে। তারা জানেন কীভাবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করতে হয় এবং তারা ভালো প্রতিবেশী। কথাগুলো বলেন এক আবাসন ব্যবসায়ী যিনি গত ৩ সপ্তাহে রাশিয়ার আলিগার্কদের কাছে দুইটি বিলাসবহুল বাড়ি বিক্রয় করেছেন। এ প্রসঙ্গে অ্যালান বলেন, রাশিয়ানরা সরাসরি বিনিয়োগ করছেন না। তাদের হয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। মস্কো ও দুবাইয়ের মধ্যে সরাসরি প্রাইভেট জেট কিংবা বাণিজ্যিক ফ্লাইট অব্যাহত থাকলেও আর্থিক লেনদেন চললেও অর্থের চালান নিরূপণ করতে পারছে না ফ্যাই ন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। এ কারণে আমিরাতকে ধূসর তালিকায় আনতে পারছে না সংস্থাটি। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ধনীদের আকর্ষণ করছে দুবাই। মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে এখানে অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট নেয়ার সুযোগ রয়েছে। আবাসন খাতে ১৫ লাখ ডলার ব্যয় করে স্থায়ী রেসিডেন্স সুবিধা পাওয়া যায়। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার এর ৮০ কর্মীর প্রায় অর্ধেকে দুবাইয়ে চলে গেছেন। জেপি মরগানের ১৬০ রাশিয়ান কর্মীর বেশিরভাগও একই পথে রয়েছেন। রথসচাইল্ডও একই ধরনের তথ্য দিয়েছে। বোঝা যায় দুবাই ভিসার সহজ প্রাপ্তি তাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে।