Smd
2022-04-05, 03:44 AM
17333
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক আরো নিচে নেমে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই আরব দেশ বাইডেন প্রশাসনকে উপেক্ষা করা অব্যাহত রেখেছে। রবিবার ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আরব রাষ্ট্র দু’টির সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্ক নজির বিহীনভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর বাড়তি তেল সরবরাহ করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে রিয়াদ ও আবুধাবির প্রতি আহ্বান জানানো হলেও তাতে সাড়া দেয়নি তারা। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে আমেরিকা নতুন করে পরমাণু চুক্তি সই করতে যাওয়ায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ গভীরভাবে সতর্ক অবস্থানে চলে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে। সৌদি আরবের একজন কূটনীতিকের বরাত দিয়ে পশ্চিমা একজন কূটনীতিক বলেছেন, ইরানের সঙ্গে চুক্তি সই হলে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের একসাথে পথ চলার অবসান ঘটবে সম্ভবত আমেরিকার সাথেও। সৌদি আরব এবং আরব আমিরাতের বিশ্লেষকরাও একই ধরনের মনোভাব পোষণ করছেন। মোহাম্মদ আল ইয়াহিয়া জেরুজালেম পোস্টে প্রকাশিত এক কলামে বলেছেন সৌদি-মার্কিন সম্পর্ক একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি ওই কলামে আরো বলেছেন যে সৌদি আরবের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে মারাত্মক রকমের ফাটল ধরেছে এবং খুব বাস্তবিকভাবে বলতে গেলে বলতে হবে যে দুই পক্ষের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে। মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন বারাক ওবামা যখন ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আলোচনা শুরু করেন তখন আমরা সৌদি আরবের লোকজন বুঝে ফেলেছি যে তিনি ৭০ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি ঘটাতে চাইছেন। তিনি আমেরিকায এবং চীনের কূটনীতির তুলনা করে বলেন যেখানে আমেরিকার পক্ষ থেকে নানা ধরনের দাবি থাকে এবং সাংঘর্ষিক ঘোরপ্যাঁচ থাকে সেখানে চীনের নীতি হচ্ছে সরল এবং সোজা-সাপটা। চীন রিয়াদকে সহজ চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলেছে- আমাদের কাছে তোমাদের তেল বিক্রি করো এবং আমাদের ক্যাটালগে যেসমস্ত অস্ত্র আছে তার মধ্য থেকে তোমাদের কোনগুলো প্রয়োজন তা তোমরা বেছে নাও, আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতিমান বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আব্দুল খালেক আবদুল্লাহ বলেন গত ৫০ বছরের মধ্যে আমেরিকার সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক বর্তমানে সবচেয়ে মারাত্মক সংকটের মধ্যে রয়েছে।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক আরো নিচে নেমে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই আরব দেশ বাইডেন প্রশাসনকে উপেক্ষা করা অব্যাহত রেখেছে। রবিবার ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আরব রাষ্ট্র দু’টির সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্ক নজির বিহীনভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর বাড়তি তেল সরবরাহ করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে রিয়াদ ও আবুধাবির প্রতি আহ্বান জানানো হলেও তাতে সাড়া দেয়নি তারা। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে আমেরিকা নতুন করে পরমাণু চুক্তি সই করতে যাওয়ায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ গভীরভাবে সতর্ক অবস্থানে চলে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে। সৌদি আরবের একজন কূটনীতিকের বরাত দিয়ে পশ্চিমা একজন কূটনীতিক বলেছেন, ইরানের সঙ্গে চুক্তি সই হলে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের একসাথে পথ চলার অবসান ঘটবে সম্ভবত আমেরিকার সাথেও। সৌদি আরব এবং আরব আমিরাতের বিশ্লেষকরাও একই ধরনের মনোভাব পোষণ করছেন। মোহাম্মদ আল ইয়াহিয়া জেরুজালেম পোস্টে প্রকাশিত এক কলামে বলেছেন সৌদি-মার্কিন সম্পর্ক একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি ওই কলামে আরো বলেছেন যে সৌদি আরবের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে মারাত্মক রকমের ফাটল ধরেছে এবং খুব বাস্তবিকভাবে বলতে গেলে বলতে হবে যে দুই পক্ষের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে। মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন বারাক ওবামা যখন ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আলোচনা শুরু করেন তখন আমরা সৌদি আরবের লোকজন বুঝে ফেলেছি যে তিনি ৭০ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি ঘটাতে চাইছেন। তিনি আমেরিকায এবং চীনের কূটনীতির তুলনা করে বলেন যেখানে আমেরিকার পক্ষ থেকে নানা ধরনের দাবি থাকে এবং সাংঘর্ষিক ঘোরপ্যাঁচ থাকে সেখানে চীনের নীতি হচ্ছে সরল এবং সোজা-সাপটা। চীন রিয়াদকে সহজ চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলেছে- আমাদের কাছে তোমাদের তেল বিক্রি করো এবং আমাদের ক্যাটালগে যেসমস্ত অস্ত্র আছে তার মধ্য থেকে তোমাদের কোনগুলো প্রয়োজন তা তোমরা বেছে নাও, আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতিমান বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আব্দুল খালেক আবদুল্লাহ বলেন গত ৫০ বছরের মধ্যে আমেরিকার সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক বর্তমানে সবচেয়ে মারাত্মক সংকটের মধ্যে রয়েছে।