EmonFX
2022-04-07, 11:56 AM
ফরেক্স মার্কেট এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭১ সালে, আর তা সম্ভব হয়েছিল টেকনোলজি, কমিউনিকেশন, এবং রাজনৈতিক অগ্রসারতার সমন্বয়ের মাধ্যমে। বৈদেশিক মুদ্রার আদান প্রদান এর ধারণা পাওয়া যায় মধ্যযুগ থেকেই যখন কোন দ্রব্য সামগ্রীর ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য কাগুজে নোট প্রচলন করা হয়। মুলত ১৮৭৬ সালে স্বর্ণ ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা ( gold exchange standard) চালু করা হয়েছিল এবং এই ব্যবস্থায় মুদ্রার মূল্যমান স্বর্ণের মানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হত। ফলে মোট স্বর্ণের মূল্যর সমপরিমাণ কাগুজে মুদ্রা কোন দেশের জন্য রাখা হত। এই পদ্ধতি যদিও ভাল ছিল, কিন্তু স্বর্ণ এর আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে এই পদ্ধতির ত্রুটি ধরা পড়ে এবং একে বিদায় নিতে হয়।
এই স্বর্ণ ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা বাতিল করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর সময় যখন ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাদের বিশাল সব প্রকল্পগুলোকে বাস্তবায়িত করার মতো টাকা ছিলোনা। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, সকল মুদ্রার মান নির্দিষ্ট হবে এবং আমেরিকান ডলার হবে মুদ্রার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত ভিত্তি যা স্বর্ণ এর বিপরীতে একমাত্র পরিমাপকৃত মুদ্রা। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ব্রেটন উডস ব্যবস্থা ( Bretton Woods System) যা ১৯৪৪ সালে কার্যকর হয়। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয় যে তারা আর স্বর্ণের বিপরীতে ডলার এর বিনিময় এ আগ্রহী নয় যা বৈদেশিক সংরক্ষণ হিসেবে রাখা আছে। এর ফলে ব্রেটন উডস ব্যবস্থাও বাতিল হয়ে যায়।১৯৭১ সালে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ভিয়েতনাম যুদ্ধের অর্থ যোগানোর জন্য ডলারকে স্বর্ণের স্ট্যান্ডার্ড থেকে তুলে নেন। এই পক্রিয়াটি সরকারি পলিছি তে পরিবর্তন আনে এবং এরই ফল হচ্ছে ডেবিট-ক্রেডিট প্রথা। ১৯৭৩ সালের দিকে অধিকাংশ উন্নত দেশের মুদ্রাই ‘free-floating’ হয়ে যায়। এর মাধ্যমেই আধুনিক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের প্রবর্তন হয় যা ১৯৯০ সালের দিকে বর্তমান যান্ত্রিক ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার রূপ নেয়।
ব্যাংকঃ ফরেক্স এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল যে ফরেক্স এ মুদ্রার লেনদেন মূলত ব্যাংক গুলোতেই হয়। যেমন, আরমাডা মারকেটস এর পার্টনার হচ্ছে সিটি ব্যাংক (Citi Bank) এল এম এ এক্স(LMAX)। বড় বড় ব্যাংক গুলো প্রতিদিন কয়েক শত কোটি ডলারের লেনদেন সম্পন্ন করে থাকে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানঃ আমাদের দেশে ফরেক্স এর অনুমোদন নেই, তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোর উপস্থিতি কম। দেশের বাইরে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশে তাদের পণ্য ও সেবা আদান-প্রদান করার জন্য অর্থ লেনদেন করে। ফরেক্স এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বড় অঙ্কের লেনদেন হয়ে থাকে এইসব প্রতিষ্ঠান এর বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়ী দেনা-পাওনা মিটানোর মাধ্যমে।
খুচরা ব্যবসায়ীঃ যদিও ফরেক্স এর অধিকাংশ লেনদেন করে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খুচরা ব্যবসায়ী দের অংশগ্রহন অনেক অংশেই বেড়ে চলেছে। আমাদের দেশের কথাই ধরুন না। শেয়ার বাজারে লস করে অনেকেই এখন ফরেক্স এর দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং অনেকেই ট্রেড করা শুরু করেছেন।
সোজা কোথায় – মুদ্রা। আমরা যখন একটি কারেন্সি কিনি তখন আমরা একটি দেশের কিছু শেয়ার কিনছি, একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার মত। কারেন্সির দাম হল ওই দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি। যখন আমরা জাপানিজ ইয়েন কিনি (buy), আমরা মুলত জাপানি অর্থনীতিতে একটি শেয়ার কিনি। আমরা মনে করি জাপানি অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আরও উন্নতি হবে। যখন আমরা ওই শেয়ারগুলো বিক্রি (Close) করে দেব, আশা করি আমরা লাভ করব।
সাধারণত, একটি কারেন্সির সাথে অন্য কারেন্সির আদান প্রদান হার সেই দেশটির অর্থব্যবস্থার তুলনায় অন্য দেশের অর্থব্যবস্থার প্রতিফলন।
আমরা জানি প্রত্যেক দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে ঐ দেশের মুদ্রার মান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় । কখনো ইউরো’র বিপরীতে ইউ.এস.ডি শক্তিশালী হচ্ছে আবার কখনো ইউ.এস.ডি’র বিপরীতে ইউরো শক্তিশালী হচ্ছে, এইরকম সব দেশের মুদ্রা একটি আরেকটির বিপরীতে শক্তিশালী এবং দুর্বল হয়।
অর্থাৎ পেয়ারের একটি মুদ্রার দাম বাড়লে অপরটির দাম কমে। তাই দাম বাড়লেও আপনি প্রফিট করতে পারবেন আবার দাম কমলেও আপনি প্রফিট করতে পারবেন, আর ফরেক্সের এই সুবিধাটিই হল অনান্য সব ব্যাবসা থেকে আলাদা। যা ফরেক্সকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলছে। অনান্য বাজারে আপনার ক্রয়কৃত পণ্যর দাম যদি কমে যায় তাহলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হয় দাম বাড়ার জন্য, বিষয়টি ঠিক আছে যেখানে দাম কমলে আপনার আর লাভ করার সুযোগ থাকে না, অথবা আপনাকে অপেক্ষা করতে হয় কখন দাম কমবে যখন আপনি কম দামে ক্রয় করে তা বেশি দামে বিক্রি করবেন, ট্র্যেডিশনাল মার্কেটে ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করে কখন দাম সর্বনিম্ন পড়বে যাতেকরে তারা কম দামে কিনে বেশি দামে সেল করতে পারে কিংবা দাম সর্বচ্চ বাড়ার পর অপেক্ষা করে দাম কমার।
কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে দাম সর্বচ্চ বা সর্বনিম্ন এই কনসেপ্ট কোন ভিত্তি নেই। কারন মুদ্রার অবস্থা অনুসারে তা সর্বনিম্ন কি পরিমান কমবে বা সর্বচ্চ কি পরিমান বাড়বে এর কোন পরিধি নেই। এই বাজারের মজার বিষয়টি হল দাম কমলে ও আপনি প্রফিট করতে পারবেন এবং দাম বাড়লেও পারবেন।
এই স্বর্ণ ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা বাতিল করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর সময় যখন ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাদের বিশাল সব প্রকল্পগুলোকে বাস্তবায়িত করার মতো টাকা ছিলোনা। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, সকল মুদ্রার মান নির্দিষ্ট হবে এবং আমেরিকান ডলার হবে মুদ্রার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত ভিত্তি যা স্বর্ণ এর বিপরীতে একমাত্র পরিমাপকৃত মুদ্রা। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ব্রেটন উডস ব্যবস্থা ( Bretton Woods System) যা ১৯৪৪ সালে কার্যকর হয়। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয় যে তারা আর স্বর্ণের বিপরীতে ডলার এর বিনিময় এ আগ্রহী নয় যা বৈদেশিক সংরক্ষণ হিসেবে রাখা আছে। এর ফলে ব্রেটন উডস ব্যবস্থাও বাতিল হয়ে যায়।১৯৭১ সালে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ভিয়েতনাম যুদ্ধের অর্থ যোগানোর জন্য ডলারকে স্বর্ণের স্ট্যান্ডার্ড থেকে তুলে নেন। এই পক্রিয়াটি সরকারি পলিছি তে পরিবর্তন আনে এবং এরই ফল হচ্ছে ডেবিট-ক্রেডিট প্রথা। ১৯৭৩ সালের দিকে অধিকাংশ উন্নত দেশের মুদ্রাই ‘free-floating’ হয়ে যায়। এর মাধ্যমেই আধুনিক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের প্রবর্তন হয় যা ১৯৯০ সালের দিকে বর্তমান যান্ত্রিক ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার রূপ নেয়।
ব্যাংকঃ ফরেক্স এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল যে ফরেক্স এ মুদ্রার লেনদেন মূলত ব্যাংক গুলোতেই হয়। যেমন, আরমাডা মারকেটস এর পার্টনার হচ্ছে সিটি ব্যাংক (Citi Bank) এল এম এ এক্স(LMAX)। বড় বড় ব্যাংক গুলো প্রতিদিন কয়েক শত কোটি ডলারের লেনদেন সম্পন্ন করে থাকে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানঃ আমাদের দেশে ফরেক্স এর অনুমোদন নেই, তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোর উপস্থিতি কম। দেশের বাইরে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশে তাদের পণ্য ও সেবা আদান-প্রদান করার জন্য অর্থ লেনদেন করে। ফরেক্স এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বড় অঙ্কের লেনদেন হয়ে থাকে এইসব প্রতিষ্ঠান এর বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়ী দেনা-পাওনা মিটানোর মাধ্যমে।
খুচরা ব্যবসায়ীঃ যদিও ফরেক্স এর অধিকাংশ লেনদেন করে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খুচরা ব্যবসায়ী দের অংশগ্রহন অনেক অংশেই বেড়ে চলেছে। আমাদের দেশের কথাই ধরুন না। শেয়ার বাজারে লস করে অনেকেই এখন ফরেক্স এর দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং অনেকেই ট্রেড করা শুরু করেছেন।
সোজা কোথায় – মুদ্রা। আমরা যখন একটি কারেন্সি কিনি তখন আমরা একটি দেশের কিছু শেয়ার কিনছি, একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার মত। কারেন্সির দাম হল ওই দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি। যখন আমরা জাপানিজ ইয়েন কিনি (buy), আমরা মুলত জাপানি অর্থনীতিতে একটি শেয়ার কিনি। আমরা মনে করি জাপানি অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আরও উন্নতি হবে। যখন আমরা ওই শেয়ারগুলো বিক্রি (Close) করে দেব, আশা করি আমরা লাভ করব।
সাধারণত, একটি কারেন্সির সাথে অন্য কারেন্সির আদান প্রদান হার সেই দেশটির অর্থব্যবস্থার তুলনায় অন্য দেশের অর্থব্যবস্থার প্রতিফলন।
আমরা জানি প্রত্যেক দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে ঐ দেশের মুদ্রার মান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় । কখনো ইউরো’র বিপরীতে ইউ.এস.ডি শক্তিশালী হচ্ছে আবার কখনো ইউ.এস.ডি’র বিপরীতে ইউরো শক্তিশালী হচ্ছে, এইরকম সব দেশের মুদ্রা একটি আরেকটির বিপরীতে শক্তিশালী এবং দুর্বল হয়।
অর্থাৎ পেয়ারের একটি মুদ্রার দাম বাড়লে অপরটির দাম কমে। তাই দাম বাড়লেও আপনি প্রফিট করতে পারবেন আবার দাম কমলেও আপনি প্রফিট করতে পারবেন, আর ফরেক্সের এই সুবিধাটিই হল অনান্য সব ব্যাবসা থেকে আলাদা। যা ফরেক্সকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলছে। অনান্য বাজারে আপনার ক্রয়কৃত পণ্যর দাম যদি কমে যায় তাহলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হয় দাম বাড়ার জন্য, বিষয়টি ঠিক আছে যেখানে দাম কমলে আপনার আর লাভ করার সুযোগ থাকে না, অথবা আপনাকে অপেক্ষা করতে হয় কখন দাম কমবে যখন আপনি কম দামে ক্রয় করে তা বেশি দামে বিক্রি করবেন, ট্র্যেডিশনাল মার্কেটে ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করে কখন দাম সর্বনিম্ন পড়বে যাতেকরে তারা কম দামে কিনে বেশি দামে সেল করতে পারে কিংবা দাম সর্বচ্চ বাড়ার পর অপেক্ষা করে দাম কমার।
কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে দাম সর্বচ্চ বা সর্বনিম্ন এই কনসেপ্ট কোন ভিত্তি নেই। কারন মুদ্রার অবস্থা অনুসারে তা সর্বনিম্ন কি পরিমান কমবে বা সর্বচ্চ কি পরিমান বাড়বে এর কোন পরিধি নেই। এই বাজারের মজার বিষয়টি হল দাম কমলে ও আপনি প্রফিট করতে পারবেন এবং দাম বাড়লেও পারবেন।