Log in

View Full Version : যুক্তরাষ্ট্রে মার্চে বেকারত্ব কমেছে ৩.৬%।



Smd
2022-04-12, 09:45 AM
17443
চলতি বছর প্রথম দুই মাসের মতো মার্চেও রেকর্ড কর্মসংস্থান হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত মাসে দেশটিতে বেকারত্ব কমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এজন্য মাসটিকে কভিডপূর্ব সময়ের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। তুলনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান বিভাগের চাকরির প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রত্যাশার তুলনায় বেতনভুক কর্মচারীর সংখ্যা কমলেও গত ১৫ মাস ধরে দেশটিতে কর্মসংস্থান বেড়েছে। ৬ লাখ ৭৮ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে গত মাসে। ব্ল–মবার্গের অর্থনীতিবিদদের জরিপে দেখা যায়, বেকারত্বের হার পূর্বাভাসের তুলনায় কমেছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় যা ১ শতাংশ কম। তখন বেকারত্ব কমে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ও মন্দার আবছায়ার মধ্যেও মার্চে শ্রমবাজার শক্ত অবস্থানে রয়েছে। বেতন ও কর্মসংস্থান ঊর্ধ্বমুখী থাকার পরও দেশটিতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যা গত ৪০ বছরের সর্বোচ্চ। ননফার্ম বেতনভুক কর্মচারীর সংখ্যা বেড়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার। যদিও ডাও জোনসের অর্থনীতিবিদদের জরিপে বলা হয়েছিল, ৪ লাখ ৯০ হাজার বেতনভুক কর্মচারী বাড়বে এবং বেকারত্ব কমবে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এ সময় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বার, রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলোয় কর্মসংস্থান বেশি বেড়েছে (১ লাখ ১২ হাজার পদ)। মহামারির কারণে হারানো কর্মসংস্থানগুলোর প্রায় সবই পুনরুদ্ধার হয়েছে। পেশাগত ও ব্যবসায় ১ লাখ ২ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। একই সময় খুচরা খাতে ৪৯ হাজার, উৎপাদন খাতে ৩৮ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। অন্য খাতগুলোর মধ্যে সামাজিক সেবা (২৫ হাজার), নির্মাণ (১৯ হাজার) ও আর্থিক কার্যক্রমে ১৬ হাজার পদ বেড়েছে। শ্রমবাজারে বিদ্যমান সংকটের ফলে কর্মীদের আকর্ষণ করতে বেতন বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো। শ্রম বিভাগের তথ্য অনুসারে, এক বছর আগের তুলনায় গত মাসে কর্মীদের গড় সাপ্তাহিক বেতন ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। ঘণ্টাপ্রতি বেতন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। এক বছরে ঘণ্টাপ্রতি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। মজুরি বৃদ্ধির হার দেশজুড়ে চলা মূল্যস্ফীতি কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়া সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমিয়ে করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬ ঘণ্টা। স্টেট স্ট্রিট গ্লোবাল অ্যাডভাইজারসের প্রধান অর্থনীতিবিদ সিমোনা মোকুতা বলেন, সবমিলিয়ে এই প্রতিবেদন নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই, বিস্ময়েরও কিছু নেই। আমার মতে শ্রমবাজারের জন্য চমৎকার সময় এটি। মার্চে দলগতভাবে কৃষ্ণাঙ্গ বেকারদের সংখ্যা কমেছে শূন্য দশমিক ৪, এশিয়ান ২ দশমিক ৮ ও হিসপানিকস ৪ দশমিক ২ শতাংশ। আতিথেয়তা খাতে বিশাল পরিবর্তন দেখা গেছে। কভিড মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ খাত। বার, রেস্তোরাঁ ও হোটেলে কর্মী নিয়োগ দেয়া শুরু হলেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন জানায়, সরকারি ভর্তুকি ছাড়া পরিচালিত অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়। গত বছর এ খাতের ৯০ হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহামারির আগের তুলনায় এ সময় সাত দশমিক ৫ শতাংশ বিক্রি কমে যায়। যেসব প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে সেগুলো মূল্যস্ফীতির কারণে দুরবস্থায় রয়েছে। এ খাতে এখনও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১৫ লাখ কর্মী সংকট রয়েছে। এনসিআর হসপিটালিটির প্রেসিডেন্ট ডিরক ইজো জানান, টিকে থাকার জন্য আতিথেয়তা খাত নানা কৌশল বেছে নিয়েছে। ঘরে-বাইরে কঠিন সময় পার করছেন আমাদের সহকর্মীরা। কর্মী সংকট শুধু যুক্তরাষ্ট্রের একার সমস্যা নয়। দেশটির অনেক কর্মী কাজের বাইরে রয়ে গেছেন। ব্যাংকরেটের জ্যেষ্ঠ শিল্প বিশ্লেষক টেড রজম্যান এক বিবৃতিতে জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ কর্মীসংখ্যা বাড়াতে ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আদেশ জারি করেছে।