Smd
2022-04-13, 06:28 AM
17465
ইউক্রেনকে ঘিরে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। যেকোনো সময় পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক এ দুই পরাশক্তি যুদ্ধে জড়াতে পারে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও হুঁশিয়ারিতে কাটছে একেকটি দিন। উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তবে কি ২০২২ সালে আরেকটি বড় যুদ্ধ দেখবে বিশ্ববাসী? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। উত্তর খুঁজতে কিছুটা পেছনে তাকাতে পারি। ওয়াশিংটনে তখন চলছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সামাল দিতে গলদঘর্ম ট্রাম্প। তারপরও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তাঁর মুগ্ধতা বিশ্ববাসীর নজর এড়ায়নি। একই সময় তিনি ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করেন। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ভূমিকা ও অর্থায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ জোটের কার্যক্রমকে কার্যত দুর্বল করে তোলেন। এ সুযোগ লুফে নেন পুতিন। ইউক্রেন ন্যাটোর ‘সহযোগী’ দেশ। এর অর্থ হলো, ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। এতেই নাখোশ পুতিন। ইউক্রেন যাতে ন্যাটোয় যোগ দিতে না পারে, সে ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে নিশ্চয়তা চান তিনি। পশ্চিমা বিশ্ব সে আশ্বাস দিতে নারাজ। মস্কোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর মিত্ররা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। যৌথ মহড়া চালাচ্ছে। ন্যাটো ইউক্রেনে সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করতে পারে। ভবিষ্যতে ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ না দিলেও এ জোট ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার সুযোগ পাবে যা রাশিয়ার জন্য হুমকি। ঘরের পাশে শত্রুসেনার উপস্থিতি কে দেখতে চায়। আগামী কয়েকটা সপ্তাহ ইউক্রেনের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা কোন দিকে মোড় নেয়, এ সময় সেটা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথায় সমঝোতার আভাস দেখা গেছে। কিয়েভে বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উদ্দেশে বলেন আমরা এ আতঙ্ক চাই না। কারও মুখের কথায় ভরসা রাখতেও চাই না। আমরা চাই সংকট সমাধানে প্রত্যেক রাজনীতিক কার্যকর উদ্যোগ নিতে স্বচ্ছ থাকবেন।’ এখন দেখার বিষয় জেলেনস্কির এ আশা বাস্তব হয় কি না।
ইউক্রেনকে ঘিরে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। যেকোনো সময় পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক এ দুই পরাশক্তি যুদ্ধে জড়াতে পারে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও হুঁশিয়ারিতে কাটছে একেকটি দিন। উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তবে কি ২০২২ সালে আরেকটি বড় যুদ্ধ দেখবে বিশ্ববাসী? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। উত্তর খুঁজতে কিছুটা পেছনে তাকাতে পারি। ওয়াশিংটনে তখন চলছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সামাল দিতে গলদঘর্ম ট্রাম্প। তারপরও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তাঁর মুগ্ধতা বিশ্ববাসীর নজর এড়ায়নি। একই সময় তিনি ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করেন। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ভূমিকা ও অর্থায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ জোটের কার্যক্রমকে কার্যত দুর্বল করে তোলেন। এ সুযোগ লুফে নেন পুতিন। ইউক্রেন ন্যাটোর ‘সহযোগী’ দেশ। এর অর্থ হলো, ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। এতেই নাখোশ পুতিন। ইউক্রেন যাতে ন্যাটোয় যোগ দিতে না পারে, সে ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে নিশ্চয়তা চান তিনি। পশ্চিমা বিশ্ব সে আশ্বাস দিতে নারাজ। মস্কোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর মিত্ররা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। যৌথ মহড়া চালাচ্ছে। ন্যাটো ইউক্রেনে সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করতে পারে। ভবিষ্যতে ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ না দিলেও এ জোট ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার সুযোগ পাবে যা রাশিয়ার জন্য হুমকি। ঘরের পাশে শত্রুসেনার উপস্থিতি কে দেখতে চায়। আগামী কয়েকটা সপ্তাহ ইউক্রেনের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা কোন দিকে মোড় নেয়, এ সময় সেটা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথায় সমঝোতার আভাস দেখা গেছে। কিয়েভে বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উদ্দেশে বলেন আমরা এ আতঙ্ক চাই না। কারও মুখের কথায় ভরসা রাখতেও চাই না। আমরা চাই সংকট সমাধানে প্রত্যেক রাজনীতিক কার্যকর উদ্যোগ নিতে স্বচ্ছ থাকবেন।’ এখন দেখার বিষয় জেলেনস্কির এ আশা বাস্তব হয় কি না।