Rakib Hashan
2022-04-17, 05:42 PM
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রি বেড়েছে। তবে খাদ্যদ্রব্য, গ্যাস ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সেগুলো কিনতে হিমশিম খেতে হয় ক্রেতাদের। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, মার্চে দেশটির খুচরা বিক্রি আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারিতে বৃদ্ধির হার ছিল দশমিক ৮ শতাংশ। মহামারীর প্রকোপ শিথিল হওয়ায় কর্মী নিয়োগ শুরু করে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই সঙ্গে কর্মীদের বেতনও বাড়ে। ফলে পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভোক্তারা। এতে করেই দেশটির খুচরা বিক্রি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। মার্চে ব্যবসায়িক স্টোরের বিক্রি বাড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। পোশাকের দোকানের বিক্রি ২ দশমিক ৬ শতাংশ ও রেস্তোরাঁর বিক্রি বাড়ে ১ শতাংশ। অন্যদিকে অনলাইন বিক্রি কমেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া গাড়ি সংকটের কারণে অটোমোবাইল বিক্রি ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। দেশের প্রধান খুচরা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী মাসে প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এফডব্লিউডিবন্ডস এলএলসির প্রধান অর্থনীতিবিদ ক্রিস্টোফার এস রুপকি জানান, এ মাসে মার্কিন ভোক্তারা নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে ব্যয় করছেন। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্যাসের দাম বেড়েছে। গ্যাস কিনতেই সব থেকে বেশি ব্যয় করেছেন মার্কিনরা। তবে অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির হারের সমস্যাও শিগগিরই সমাধান হচ্ছে না। এ বিষয়ে গ্লোবালডাটা রিটেইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিল সন্ডারস বলেন, মূল্যস্ফীতির বিষয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ক্রেতারা। এছাড়া ডেলিভারি চার্জ বেশি হওয়ার কারণে অনলাইন ব্যবসায় পতন হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি। মার্চের খুচরা বিক্রির প্রতিবেদনটিতে সামগ্রিক ভোক্তা ব্যয়ের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা। এর ফলে ভোক্তাদের কেনাকাটার ধরনে কী পরিবর্তন হতে পারে সে বিষয়ও খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে যুদ্ধের কারণে গম, ভোজ্যতেল ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধের ফলে সারের দাম আরো বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ জানিয়েছে, মার্চে ভোক্তা মূল্যসূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। সর্বশেষ ১৯৮১ সালের পর এই প্রথম ভোক্তা মূল্যসূচক এত বেশি বেড়েছে। সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতার কারণেই মূল্য বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এক মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০০৫ সালের পর সর্বোচ্চ মাসিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার।
17519
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা। এর ফলে ভোক্তাদের কেনাকাটার ধরনে কী পরিবর্তন হতে পারে সে বিষয়ও খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে যুদ্ধের কারণে গম, ভোজ্যতেল ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধের ফলে সারের দাম আরো বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ জানিয়েছে, মার্চে ভোক্তা মূল্যসূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। সর্বশেষ ১৯৮১ সালের পর এই প্রথম ভোক্তা মূল্যসূচক এত বেশি বেড়েছে। সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতার কারণেই মূল্য বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এক মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০০৫ সালের পর সর্বোচ্চ মাসিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার।
17519