Log in

View Full Version : বাজেয়াপ্ত রিজার্ভ ফেরাতে আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছে রাশিয়া



SaifulRahman
2022-04-21, 04:05 PM
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইউক্রেনের ওপর হামলা শুরু করে রাশিয়া। এ হামলার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে পশ্চিমা অনেক দেশে থাকা রাশিয়ার রিজার্ভ বাজেয়াপ্ত করা হয়। যুদ্ধের পেরিয়েছে প্রায় দুই মাস। এ দীর্ঘ সময় রিজার্ভ আটকে থাকা ও নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাশিয়াকে। ফলে এবার রিজার্ভ ফেরাতে আইনি লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে ৬০ হাজার কোটি ডলার ফেরাতে চায় দেশটি।
ব্যাংক অব রাশিয়ার গভর্নর এলভিরা নাবিউলিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো তাদের এখতিয়ারে থাকা রাশিয়ার রিজার্ভ বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে। এখন আমাদের পরিকল্পনা হলো এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া। এসব দেশের ব্যাংকে থাকা রাশিয়ার স্বর্ণ ও বৈদেশিক রিজার্ভ বাজেয়াপ্ত করা অত্যন্ত নজিরবিহীন ঘটনা। তাই এখন আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একটি বড় দেশের রিজার্ভ এভাবে বাজেয়াপ্ত করে রাখা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাশিয়া প্রথমবারের মতো এত বড় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে। মূলত রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা দুর্বল করে দিয়ে যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত করতেই এসব নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
17584
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার ৬০ হাজার কোটি ডলারের রিজার্ভ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডলার, স্বর্ণ ও অন্যান্য দেশের মুদ্রা, যার বেশির ভাগই নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজেয়াপ্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে কখন বা কোথায় এ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি নাবিউলিনা। এ ধরনের ঘটনার একটি উদাহরণের কথা উল্লেখ করা যায়। আর সেটি হলো, গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট ভেনিজুয়েলার করা একটি আপিলের শুনানি শেষে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে রক্ষিত ২০০ কোটি ডলারের স্বর্ণ ব্যবহারে দেশটিকে অনুমতি দেন। এ মামলা থেকে আশার আলো দেখছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলোর দেয়া নিষেধাজ্ঞার প্রথম ধাক্কায় রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের মান ৪০ শতাংশ পড়ে যায়। যদিও গত সপ্তাহে সে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে দেশটি। কিন্তু অর্ধেকেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহার করতে না পারায় রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু কড়াকড়ি আরোপ করেছে। মুদ্রাকে শক্তিশালী করতে বাড়ানো হয়েছে সুদের হারও।