Smd
2022-04-28, 12:00 AM
17658
দীর্ঘ ২ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আর এটি থেকে ঠিক কবে মুক্তি পাবে সেটিও সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না। এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মহাসচিব সম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ভূমন করেছেন যাতে করে সমঝোতায় আশা যায়। এর আগে বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনে যদি আক্রান্ত হলে পাশে থাকবে। ইউরোপের শক্তি জার্মানি, ফ্রান্সসহ পুরো ইউরোপ নরম সুরে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিল। পরবর্তীতে ইউক্রেন আক্রান্ত হয়েছে। আগ্রাসী পুতিনের আগ্রাসনে ইউক্রেন তছনছ হয়ে গেছে। স্থলভাগের আগ্রাসন এক সঙ্গে ৩ দিক থেকে এবং আকাশে অত্যাধুনিক রুশ যুদ্ধবিমান মোতায়ন করা হয়েছে আর সেই সঙ্গে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা। যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপ একের পর এক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তারা যত জোর দিয়ে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে তারচেয়ে জোর দিয়ে চলছে পুতিনের আক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমেরিকা ন্যাটো নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানো হবে না। ইউরোপের পরাশক্তি জার্মানি ফ্রান্স নিরবতা ভেঙে পাশে থাকার অংশ হিসেবে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ইউক্রেনে। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক শক্তির কোনো তুলনাই চলে না। যদিও সোভিয়েত ইউনিয়নের অধিভুক্ত ইউক্রেন এক সময় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও ইউরোপের চাপে তারা এখন পারমাণবিক অস্ত্রহীন দেশ। গ্যাসের মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে কিছু পারমাণবিক অস্ত্র রাশিয়াকে দিতে বাধ্য হয়েছিল কিছু ধ্বংস করেছিল। আজ রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেন অসহায়। রাশিয়া দাবি করেছে ইতোমধ্যে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে। অসম শক্তি হয়ে রাশিয়ান আগ্রাসন প্রতিরোধের ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ান ট্যাংক পৌঁছে গেছে রাজধানী কিয়েভের কাছে। রাশিয়ান আগ্রাসন প্রতিরোধ করে টিকে থাকার সামর্থ্য ইউক্রেনের নেই। জো বাইডেন প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলোনস্কিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার। জেলোনস্কি দেশবাসীকে ফেলে এভাবে পালাতে চাননি, যুদ্ধ সামগ্রী চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ যা দিতে শুরু করেছে। রাশিয়া দুর্বল হলে লাভ হবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইউরোপের। রাশিয়াকে চাপে রাখা তাদের জন্য সহজ হবে। আর এই সময়কালে ইউক্রেনের ভাগ্যে কী ঘটবে তাই এখন দেখার বিষয়। দুটি অঞ্চল রাশিয়ার সমর্থনে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। ক্রিমিয়া রাশিয়ার দখলে। বোমা-গুলিতে শুধু ইউক্রেনের অবকাঠামো নয় অর্থনীতিও ধ্বংস হয়ে যাবে। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী পোল্যান্ডসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে শরনার্থীর জীবন কাটাবে। নিহত-আহতের সংখ্য হাজার না লাখে হিসাব হবে তা বলা মুশকিল। বিশ্বের অন্যতম খাদ্য ও ইস্পাত নির্মাণ কারি দেশ ইউক্রেন আর রাশিয়ার আছে বিপুল পরিমানে তেল ও গ্যাসের যোগানদাতা। এই দুই দেশের মধ্যেকার সমস্যা যে পুরো বিশ্বের অর্থনিতিতে পড়বে তা বলাই যায়। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত ট্রেডিং অপ্রত্যাশিত ফলাফলের সম্মুখীন হয়ে পড়ছি। ধন্যবাদ।
দীর্ঘ ২ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আর এটি থেকে ঠিক কবে মুক্তি পাবে সেটিও সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না। এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মহাসচিব সম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ভূমন করেছেন যাতে করে সমঝোতায় আশা যায়। এর আগে বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনে যদি আক্রান্ত হলে পাশে থাকবে। ইউরোপের শক্তি জার্মানি, ফ্রান্সসহ পুরো ইউরোপ নরম সুরে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিল। পরবর্তীতে ইউক্রেন আক্রান্ত হয়েছে। আগ্রাসী পুতিনের আগ্রাসনে ইউক্রেন তছনছ হয়ে গেছে। স্থলভাগের আগ্রাসন এক সঙ্গে ৩ দিক থেকে এবং আকাশে অত্যাধুনিক রুশ যুদ্ধবিমান মোতায়ন করা হয়েছে আর সেই সঙ্গে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা। যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপ একের পর এক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তারা যত জোর দিয়ে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে তারচেয়ে জোর দিয়ে চলছে পুতিনের আক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমেরিকা ন্যাটো নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানো হবে না। ইউরোপের পরাশক্তি জার্মানি ফ্রান্স নিরবতা ভেঙে পাশে থাকার অংশ হিসেবে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ইউক্রেনে। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক শক্তির কোনো তুলনাই চলে না। যদিও সোভিয়েত ইউনিয়নের অধিভুক্ত ইউক্রেন এক সময় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও ইউরোপের চাপে তারা এখন পারমাণবিক অস্ত্রহীন দেশ। গ্যাসের মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে কিছু পারমাণবিক অস্ত্র রাশিয়াকে দিতে বাধ্য হয়েছিল কিছু ধ্বংস করেছিল। আজ রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেন অসহায়। রাশিয়া দাবি করেছে ইতোমধ্যে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে। অসম শক্তি হয়ে রাশিয়ান আগ্রাসন প্রতিরোধের ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ান ট্যাংক পৌঁছে গেছে রাজধানী কিয়েভের কাছে। রাশিয়ান আগ্রাসন প্রতিরোধ করে টিকে থাকার সামর্থ্য ইউক্রেনের নেই। জো বাইডেন প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলোনস্কিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার। জেলোনস্কি দেশবাসীকে ফেলে এভাবে পালাতে চাননি, যুদ্ধ সামগ্রী চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ যা দিতে শুরু করেছে। রাশিয়া দুর্বল হলে লাভ হবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইউরোপের। রাশিয়াকে চাপে রাখা তাদের জন্য সহজ হবে। আর এই সময়কালে ইউক্রেনের ভাগ্যে কী ঘটবে তাই এখন দেখার বিষয়। দুটি অঞ্চল রাশিয়ার সমর্থনে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। ক্রিমিয়া রাশিয়ার দখলে। বোমা-গুলিতে শুধু ইউক্রেনের অবকাঠামো নয় অর্থনীতিও ধ্বংস হয়ে যাবে। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী পোল্যান্ডসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে শরনার্থীর জীবন কাটাবে। নিহত-আহতের সংখ্য হাজার না লাখে হিসাব হবে তা বলা মুশকিল। বিশ্বের অন্যতম খাদ্য ও ইস্পাত নির্মাণ কারি দেশ ইউক্রেন আর রাশিয়ার আছে বিপুল পরিমানে তেল ও গ্যাসের যোগানদাতা। এই দুই দেশের মধ্যেকার সমস্যা যে পুরো বিশ্বের অর্থনিতিতে পড়বে তা বলাই যায়। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত ট্রেডিং অপ্রত্যাশিত ফলাফলের সম্মুখীন হয়ে পড়ছি। ধন্যবাদ।