EmonFX
2022-05-29, 06:00 PM
প্রাইস একশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেট আপ হলো ইনসাইডবার।এটা মার্কেটে সবচেয়ে বশি ক্রিয়েট হয়ে থাকে।যা একজন ট্রেডারকে সংশয় ও দ্বিধায় ফেলে দেয়।তবে সেটআপ বুঝে ট্রেড করলে আপনি সফল হতে পারেন।
♦ইনসাইড বার কি?
--- ইনসাইড বার এমন একটি প্যাটার্ন যা সাধারণত ২টি ক্যান্ডল নিয়ে গঠিত। প্রথম ক্যান্ডলটিকে মাদার ক্যান্ডল বলা হয় এবং পরেরটিকে ইনসাইড বার বলা হয়ে থাকে।গঠন অনুসারে মাদার ক্যান্ডলটি বড় হবে ইনসাইড বারের থেকে, ইনসাইড বার ক্যান্ডলটিকে সম্পূর্ণরুপে মাদার ক্যান্ডল ঢেকে রাখবে। যদি প্রাইস ইনসাইড বারের পরের ক্যান্ডলটি মাদার ক্যান্ডলের হাই প্রাইসকে ব্রেক করে উপরে উঠে তবে বাই সিগন্যাল আর লো প্রাইসকে ব্রেক করে নিচে নামলে সেল সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।
★আবার অনেকে ইনসাইড বারকে হারামি প্যাটার্ণ বলে থাকে।জাপানি ভাষায় "Harami" শব্দের অর্থ গর্ভবতী।সহজ করে বললে, কোনো মা যখন গর্ভবতী হয় নরমালী তার পেট উঁচু দেখায় অর্থাৎ তার শিশুটা বডির ভিতরেই থাকে।এখানে মা মানে মাদার ক্যান্ডল এবং শিশু মানে বেবি ক্যান্ডল। মনে মনে কল্পনা করে নিবেন।বেবি
ক্যান্ডলের শেডো মাদার ক্যান্ডলের ভিতর থাকা বাধ্যতামূলক নয়,তবে থাকলে ভালো।
♦চেনার উপায়:
----প্রথম ক্যান্ডলকে মাদার ও পরবর্তী ক্যান্ডল গুলোকে বেবি ক্যান্ডল বলা হয় যা মাদার ক্যান্ডলের রেন্জের ভিতরেই অবস্হান করে।মাদার ও বেবি ক্যান্ডলের সম্বন্বয়ে ইনসাইড বার ক্রিয়েট হয়।
---মাদার ক্যান্ডলটি অবশ্যই বেবি ক্যান্ডলের চাইতে
বড় হবে।
বিভিন্ন ধরনের ইনসাইড বার রয়েছে।নিচে সংক্ষেপে বলা হলো:---
♦Multi-Inside bar:
---একটি মাদার ক্যান্ডলের সাথে,,
২ টি বেবি ক্যান্ডল=Double inside bar.
৩ টি বেবি ক্যান্ডল= 3 inside bar.
৪ টি বেবি ক্যান্ডল= 4 inside bar.
এভাবে পরের গুলো আপনি হিসেব করে নিবেন।নিচে চিত্রের সাহয্যে।
♦Coiling inside bar:
--- বুলিশ>বেয়ারিশ>বুলিশ এবং বেয়ারিশ>বুলিশ>বেয়ারিশ ক্যান্ডল নিয়ে উক্ত প্যাটার্ণ গঠিত হবে।যা প্রাইস কন্টিনিউয়াশনের খুব গুরুত্বপূর্ণ।চিত রের সাহায্যে।
♦Inside pin bar combo:
--রিভার্সালের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্যাটার্ণ।মাদার ক্যান্ডলের পাশে ছোট্ট একটি পিনবারের মত বেবি ক্যান্ডল নিয়ে, এটি গঠিত হবে।নিচে চিত্রের সাহায্যে।
♦Pin inside bar combo:
--- বডির চাইতে ২/৩ গুণ বড় পিনবার ক্রিয়েট হবার পর তার ভিতরে একটা ছোট বেবি ক্যান্ডল ক্রিয়েট হবে।নিচে চিত্রের সাহায্যে।
♦Fakey inside bar:
--- ইনসাইড বারকে যখন কোন পিনবার রিজেক্ট করে, থাকে Fakey with pin bar-- বলা হয়।আবার কোনো প্রাইস যখন মাদার ও ইনসাইড বারকে ব্রেক করে তাকে Fakey without pin bar--বলা হয়।নিচের চিত্রটি ফলো করুন।
♦ইনসাইড বারের কাজ:
--- টপ ও বটম লেভেল অর্থাৎ কী-লেভেল জোন হতে সম্ভাব্য রিভার্সাল প্রদান করে থাকে।চিত্রের সাহয্যে।
--- সুইং পয়েন্ট হতে ট্রেন্ডের কন্টিনিউয়াশন প্রদানে ভূমিকা রাখে।
--- এন্ট্রি জোন তৈরি করে করতে সাহায্য করে।
♦ইনসাইড বারের এন্ট্রি :
--- ব্রেক আউট ট্রেডিং এর জন্যে H-1,H-4 খুবই কার্যকরী।লংটার্ম র জন্যে D-1 বেস্ট।
--- প্রাইস মাদার বার ব্রেক করলেই এন্ট্রি নেয়া উত্তম।
--- আবার কেউ কোনে লেভেলে ইনসাইড বার ক্রিয়েট হলেই এন্ট্রি নেয়।এটি ঝুঁকিপূর্ণ এন্ট্রি।
--- আবার অনেকে ইনসাইড বার মিডল পয়েন্ট রিটেস্ট করলে এন্ট্রি নেয়।
--- SL দিবেন মাদার বারের নিচে বা উপরে।আবার কেউ তার 50% লেভেল হিসেব করে দেয়।আবার কেউ দেয় কী-লেভেলের উপরে বা নিচে। আর TP দিবেন আপনার স্ট্রাটেজির সাথে ম্যাচ রেখে মানি ম্যানেজমেন্ট ফলো করে।
♦সাবধানতা♦
---- ইনসাইড বারের দ্বারা মার্কেট অনেক সময় টাইট রেন্জিং মোডে থাকে।প্রাইস তখন একটা জোনের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকে যা আপনাকে খুব সহজে দ্বিধায় ফেলে দিবে।ঐ সময় ট্রেড না করাই উত্তম যতক্ষণনা প্রাইস ব্রেকআউট করে রিটেস্ট করে।
---- আবার অনেকেই ইনসাইড বার তৈরি হলেই এন্ট্রি নেয়,এটা ঠিক না।মাদার বারের হাই বা লো প্রাইস ব্রেক হওয়া আগ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।
----- নিউজয়ের প্রভাবে অস্বাভাবিক বড় মাদার ক্যান্ডল ক্রিয়েট হলে কোন মতেই ট্রেড করা যাবেনা।মার্কেটের শান্ত পরিবেশের জন্যে অপেক্ষা করা উচিত।
--- আর ইনসাইড বারের সাথে যদি ট্রেডলাইন,সুইং লেভেল ও সিগনাল না মিলে তাহলে এন্ট্রি নিবেন না।
উল্লেখ্য যে,বিখ্যাত ট্রেডার #জর্জ সরোস,১৯৯২ সালে ফেকি ইনসাইড বারের উপর একটা সেল এন্ট্রি নিয়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কে দেউলিয়া করে দেন।১ বিলিয়ন ডলার প্রফিট করেন।[source: Nial Fuller]।আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইনসাইড বার প্যাটার্ণের গুরুত্ব কতটুকু।
♦বেস্ট পরামর্শ:
--- প্রত্যেকটা ইনসাইড বার আলাদাভাবে ডেমুতে প্র্যাকটিস করবেন।
--- ফ্রেশ চার্টে এনালাইসিস করবেন।
--- নিজের স্ট্রাটেজি ও সাইকোলজির সাথে ম্যাচ রেখে চর্চা করবেন।
--- আর এগ্রেসিভ ট্রেড না করে কনজারভেটিব ট্রেড করুন।
🙏পরিশেষে বলতে চাই🙏
ভালোভাবে ফরেক্স শিখুন,জানুন,চর্চা করুন।যে কোনো একটা বিষয়ে বস হয়ে যান।পজিটিভ ও গঠনমূলক চিন্তা করুন।নিজের আত্মসমালোচনা করুন।কে আপনাকে কি দিল সেটা চিন্তা না করে,আপনি কি করলেন সেটা নিয়ে চিন্তা করুন।
♦ইনসাইড বার কি?
--- ইনসাইড বার এমন একটি প্যাটার্ন যা সাধারণত ২টি ক্যান্ডল নিয়ে গঠিত। প্রথম ক্যান্ডলটিকে মাদার ক্যান্ডল বলা হয় এবং পরেরটিকে ইনসাইড বার বলা হয়ে থাকে।গঠন অনুসারে মাদার ক্যান্ডলটি বড় হবে ইনসাইড বারের থেকে, ইনসাইড বার ক্যান্ডলটিকে সম্পূর্ণরুপে মাদার ক্যান্ডল ঢেকে রাখবে। যদি প্রাইস ইনসাইড বারের পরের ক্যান্ডলটি মাদার ক্যান্ডলের হাই প্রাইসকে ব্রেক করে উপরে উঠে তবে বাই সিগন্যাল আর লো প্রাইসকে ব্রেক করে নিচে নামলে সেল সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।
★আবার অনেকে ইনসাইড বারকে হারামি প্যাটার্ণ বলে থাকে।জাপানি ভাষায় "Harami" শব্দের অর্থ গর্ভবতী।সহজ করে বললে, কোনো মা যখন গর্ভবতী হয় নরমালী তার পেট উঁচু দেখায় অর্থাৎ তার শিশুটা বডির ভিতরেই থাকে।এখানে মা মানে মাদার ক্যান্ডল এবং শিশু মানে বেবি ক্যান্ডল। মনে মনে কল্পনা করে নিবেন।বেবি
ক্যান্ডলের শেডো মাদার ক্যান্ডলের ভিতর থাকা বাধ্যতামূলক নয়,তবে থাকলে ভালো।
♦চেনার উপায়:
----প্রথম ক্যান্ডলকে মাদার ও পরবর্তী ক্যান্ডল গুলোকে বেবি ক্যান্ডল বলা হয় যা মাদার ক্যান্ডলের রেন্জের ভিতরেই অবস্হান করে।মাদার ও বেবি ক্যান্ডলের সম্বন্বয়ে ইনসাইড বার ক্রিয়েট হয়।
---মাদার ক্যান্ডলটি অবশ্যই বেবি ক্যান্ডলের চাইতে
বড় হবে।
বিভিন্ন ধরনের ইনসাইড বার রয়েছে।নিচে সংক্ষেপে বলা হলো:---
♦Multi-Inside bar:
---একটি মাদার ক্যান্ডলের সাথে,,
২ টি বেবি ক্যান্ডল=Double inside bar.
৩ টি বেবি ক্যান্ডল= 3 inside bar.
৪ টি বেবি ক্যান্ডল= 4 inside bar.
এভাবে পরের গুলো আপনি হিসেব করে নিবেন।নিচে চিত্রের সাহয্যে।
♦Coiling inside bar:
--- বুলিশ>বেয়ারিশ>বুলিশ এবং বেয়ারিশ>বুলিশ>বেয়ারিশ ক্যান্ডল নিয়ে উক্ত প্যাটার্ণ গঠিত হবে।যা প্রাইস কন্টিনিউয়াশনের খুব গুরুত্বপূর্ণ।চিত রের সাহায্যে।
♦Inside pin bar combo:
--রিভার্সালের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্যাটার্ণ।মাদার ক্যান্ডলের পাশে ছোট্ট একটি পিনবারের মত বেবি ক্যান্ডল নিয়ে, এটি গঠিত হবে।নিচে চিত্রের সাহায্যে।
♦Pin inside bar combo:
--- বডির চাইতে ২/৩ গুণ বড় পিনবার ক্রিয়েট হবার পর তার ভিতরে একটা ছোট বেবি ক্যান্ডল ক্রিয়েট হবে।নিচে চিত্রের সাহায্যে।
♦Fakey inside bar:
--- ইনসাইড বারকে যখন কোন পিনবার রিজেক্ট করে, থাকে Fakey with pin bar-- বলা হয়।আবার কোনো প্রাইস যখন মাদার ও ইনসাইড বারকে ব্রেক করে তাকে Fakey without pin bar--বলা হয়।নিচের চিত্রটি ফলো করুন।
♦ইনসাইড বারের কাজ:
--- টপ ও বটম লেভেল অর্থাৎ কী-লেভেল জোন হতে সম্ভাব্য রিভার্সাল প্রদান করে থাকে।চিত্রের সাহয্যে।
--- সুইং পয়েন্ট হতে ট্রেন্ডের কন্টিনিউয়াশন প্রদানে ভূমিকা রাখে।
--- এন্ট্রি জোন তৈরি করে করতে সাহায্য করে।
♦ইনসাইড বারের এন্ট্রি :
--- ব্রেক আউট ট্রেডিং এর জন্যে H-1,H-4 খুবই কার্যকরী।লংটার্ম র জন্যে D-1 বেস্ট।
--- প্রাইস মাদার বার ব্রেক করলেই এন্ট্রি নেয়া উত্তম।
--- আবার কেউ কোনে লেভেলে ইনসাইড বার ক্রিয়েট হলেই এন্ট্রি নেয়।এটি ঝুঁকিপূর্ণ এন্ট্রি।
--- আবার অনেকে ইনসাইড বার মিডল পয়েন্ট রিটেস্ট করলে এন্ট্রি নেয়।
--- SL দিবেন মাদার বারের নিচে বা উপরে।আবার কেউ তার 50% লেভেল হিসেব করে দেয়।আবার কেউ দেয় কী-লেভেলের উপরে বা নিচে। আর TP দিবেন আপনার স্ট্রাটেজির সাথে ম্যাচ রেখে মানি ম্যানেজমেন্ট ফলো করে।
♦সাবধানতা♦
---- ইনসাইড বারের দ্বারা মার্কেট অনেক সময় টাইট রেন্জিং মোডে থাকে।প্রাইস তখন একটা জোনের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকে যা আপনাকে খুব সহজে দ্বিধায় ফেলে দিবে।ঐ সময় ট্রেড না করাই উত্তম যতক্ষণনা প্রাইস ব্রেকআউট করে রিটেস্ট করে।
---- আবার অনেকেই ইনসাইড বার তৈরি হলেই এন্ট্রি নেয়,এটা ঠিক না।মাদার বারের হাই বা লো প্রাইস ব্রেক হওয়া আগ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।
----- নিউজয়ের প্রভাবে অস্বাভাবিক বড় মাদার ক্যান্ডল ক্রিয়েট হলে কোন মতেই ট্রেড করা যাবেনা।মার্কেটের শান্ত পরিবেশের জন্যে অপেক্ষা করা উচিত।
--- আর ইনসাইড বারের সাথে যদি ট্রেডলাইন,সুইং লেভেল ও সিগনাল না মিলে তাহলে এন্ট্রি নিবেন না।
উল্লেখ্য যে,বিখ্যাত ট্রেডার #জর্জ সরোস,১৯৯২ সালে ফেকি ইনসাইড বারের উপর একটা সেল এন্ট্রি নিয়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কে দেউলিয়া করে দেন।১ বিলিয়ন ডলার প্রফিট করেন।[source: Nial Fuller]।আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইনসাইড বার প্যাটার্ণের গুরুত্ব কতটুকু।
♦বেস্ট পরামর্শ:
--- প্রত্যেকটা ইনসাইড বার আলাদাভাবে ডেমুতে প্র্যাকটিস করবেন।
--- ফ্রেশ চার্টে এনালাইসিস করবেন।
--- নিজের স্ট্রাটেজি ও সাইকোলজির সাথে ম্যাচ রেখে চর্চা করবেন।
--- আর এগ্রেসিভ ট্রেড না করে কনজারভেটিব ট্রেড করুন।
🙏পরিশেষে বলতে চাই🙏
ভালোভাবে ফরেক্স শিখুন,জানুন,চর্চা করুন।যে কোনো একটা বিষয়ে বস হয়ে যান।পজিটিভ ও গঠনমূলক চিন্তা করুন।নিজের আত্মসমালোচনা করুন।কে আপনাকে কি দিল সেটা চিন্তা না করে,আপনি কি করলেন সেটা নিয়ে চিন্তা করুন।