PDA

View Full Version : দেউলিয়াত্বের পথে পাকিস্তান



SaifulRahman
2022-07-24, 12:11 PM
মুদ্রাবাজারে ক্রমেই দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে উঠছে পাকিস্তানি রুপি। গত দুই সপ্তাহে মুদ্রাটির অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ২২৮ রুপি ছাড়িয়েছে প্রতি ডলারের বিনিময় হার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের হাতে রিজার্ভের পরিমাণ নেমে এসেছে প্রায় ৯৩৯ কোটি ডলারে, যা দিয়ে দুই মাসেরও আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব না। যদিও এক বছরের মধ্যে ২ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে দেশটিকে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বেইলআউট হিসেবে কিছু অর্থ পাওয়া গেলেও তা খুবই অপ্রতুল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্লেষকরা বলছেন, এ মুহূর্তে শ্রীলংকার পরিণতির সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা দেশগুলোর একটি হলো পাকিস্তান। যেকোনো সময় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে দেউলিয়াত্বের পরিণতি বরণ করে নিতে হতে পারে দেশটিকে।
চলমান সংকট মোকাবেলার জন্য আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে ৬০০ কোটি ডলার পাচ্ছে পাকিস্তান। এ অর্থ একবারে হাতে পাবে না দেশটি। ১৪ জুলাই হওয়া চুক্তির ভিত্তিতে কয়েকটি কিস্তিতে দেশটিকে এ ঋণের অর্থ দেবে আইএমএফ। এর মধ্যে প্রথম কিস্তিতে দেয়া হচ্ছে ১১৭ কোটি ডলার। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ অর্থ হাতে পাবে পাকিস্তান। তবে এ অর্থ দেশটির চলমান সংকট মোকাবেলায় কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে, সে বিষয়ে সন্দিহান খোদ পাকিস্তানি নীতিনির্ধারকরাও। তাদের ভাষ্যমতে, শুধু ঋণ পরিশোধ নয়; খাদ্য ও জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় জরুরি পণ্য আমদানি চালু রাখার পাশাপাশি দেশটির সরকারের চলতি হিসাব ঘাটতি পূরণের জন্যও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন। বর্তমান রিজার্ভ ও আইএমএফের ঋণের পুরো অর্থ যোগ করেও এ প্রয়োজন মেটানো সম্ভব না।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল সম্প্রতি দেশটির এক বাজেট সেমিনারে জানান, আগামী এক বছরে পাকিস্তানের মোট প্রয়োজন পড়বে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের দরকার হবে শুধু ঋণ পরিশোধের জন্য। চলতি হিসাবের ঘাটতি অর্থায়নে প্রয়োজন পড়বে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। বাকি ৮০০ কোটির দরকার হবে রিজার্ভ তহবিল বজায় রাখার জন্য।
http://forex-bangla.com/customavatars/865318410.jpg

Mas26
2022-07-24, 02:26 PM
বিগত বহু বছর ধরেই দারিদ্রে ভুগছে পাকিস্তান। এরই মাঝে করোনা মহামারী আরও বিধ্বস্ত করেছে সেদেশের অর্ধনীতিকে। এবার পাকিস্তানের সামনে আরও একটি বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব এখন পাকিস্তান সরকারের ওপরও পড়তে শুরু করেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এবং এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে মাত্র পাঁচ দিনের ডিজেল মজুদ রয়েছে সেদেশে।পাকিস্তান র রিজার্ভ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে পাকিস্তানের বর্তমানে যে রিজাভ আছে সেটা দিয়ে সম্ভবত আর এক মাস থেকে দেড় মাসের মতো বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে সক্ষম হবে।তারপরে সেই রিচার্জ শেষ হয়ে গেলে ঋণ ছাড়া আর কোনো পথ তাদের জন্য খোলা নেই।কিন্তু বিশ্বব্যাংক তাদেরকে ঋণ দিতে রাজি হচ্ছে না যার কারণে ঋণের জন্য পাকিস্তান পার্লামেন্ট কে বিভিন্ন দেশের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে কিন্তু কোনো দেশই তাদেরকে ঋণ দিতে প্রস্তুত নয়।