PDA

View Full Version : বিশ্ব অর্থনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়



kohit
2022-07-24, 12:53 PM
দেশে দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পণ্যের মূল্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। ঋণের উচ্চ খরচে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ব্যয় কমানোর চেষ্টা চলছে। চলতি মাসে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির সূচকগুলো নিম্নমুখী হয়েছে। জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে অর্থনীতিকে। এ অবস্থায় সামগ্রিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতি একটি গুরুতর মন্দার দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি মাসে সংকুচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে এ সংকোচন প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথম। ইউরো অঞ্চলের কার্যক্রম এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো পিছিয়েছে। এ সময়ে যুক্তরাজ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রসার হলেও তা ১৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্সে (পিএমআই) এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিশ্ব অর্থনীতিতে আরেকটি নেতিবাচক লক্ষণ হলো, জাপান সরকার দেশীয় জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস শিগগিরই কমিয়ে আনতে যাচ্ছে। পাশাপাশি চীনের অর্থনীতি এখনো ধীর রয়ে গিয়েছে। কভিডজনিত লকডাউন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাঘাত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।

রেটিং এজেন্সি এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের ইউএস কম্পোজিট পিএমআই আউটলুক ইনডেক্স জুনের ৫২ দশমিক ৩ পয়েন্টের তুলনায় চলতি মাসে ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমেছে। এ হার অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়েও কম। এ নিয়ে মাসভিত্তিক হিসাবে টানা চতুর্থ মাসের মতো এ সূচক নিম্নমুখী রয়েছে। মূলত পরিষেবা খাতের দুর্বলতার কারণে উৎপাদন খাতে কিছুটা প্রবৃদ্ধি হলেও সামগ্রিক চিত্র সংকুচিত হয়েছে।

বণিক বার্তা

Mas26
2022-07-24, 02:39 PM
করোনো মহামারির প্রকোপ ঠেকাতে ২০১৯ সালের শেষ হতে ২০২১ সালের শুরুর কয়েক মাস পর্যন্ত দেশে দেশে লকডাউন ও নানা বিধিনিষেধের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান স্থবির হয়ে পরেছিলো বিশ্ব অর্থনীতি। মহামারির ওই ভয়াবহ সময়ে বিধিনিষেধের কারণে এক দেশের সাথে অন্য দেশের সীমানা ও বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় আমদানি নির্ভর দেশগুলোতে দেখা দেয় খাদ্য ঘাটতি। এছাড়াও পরিবহন সংকটের কারণে রপ্তানি কারক দেশগুলোতে বেড়ে যায় পণ্য পরিবহন খরচ। অন্যদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে হ্রাস পায় পণ্যের উৎপাদন। এসব মিলিয়ে লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে পণ্যের মূল্য। করোনার মহামারির ধকল কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনছিলো ঠিক সেই সময়টাতেই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। একদিকে রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম তেল ও গ্যাস রপ্তানিকারক রাষ্ট্র। অন্যদিকে ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম খাদ্য শস্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক রাষ্ট্র। চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে উভয় দেশের রপ্তানি কার্যক্রমই প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে বিশ্ব জ্বালানি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। যার কারণে বিশ্বে অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি এখন লাগামহীন। জ্বালানি ও খাদ্য মূল্য বৃদ্ধির সাথে অন্যান্য সকল পণ্যের পরিবহন ও উৎপাদন খরচ জড়িত বিধায় অন্যান্য পণ্যের মূল্যও লাফিয়ে বাড়ছে।এর ফলে বিশ্বব্যাপী একটি অরাজগতা সৃষ্টি হয়েছে যার কারণে পণ্য দ্রব্যের মূল্য সহ খাদ্য বস্তুর দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে শান্তিতে নেই কোন দেশের সাধারণ জনগণ এর প্রভাবে মানুষ অনেক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের যদি কোন সমাধান না আসে তাহলে আরো বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে সারা বিশ্ব।