PDA

View Full Version : ভোক্তা ব্যয়ে প্রসারিত দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি



Rakib Hashan
2022-07-27, 03:16 PM
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অপ্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি। মূলত নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণসংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় ভোক্তা ব্যয় ও রফতানিসহ অন্যান্য সূচকে উন্নতির কারণেই অর্থনীতিতে এ ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ব্যাংক অব কোরিয়া গতকাল এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার আগের প্রান্তিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। আগের প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৬ শতাংশের চেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। এমনকি রয়টার্সের জরিপে যে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, তাও বর্তমান প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়ে গিয়েছে। হানা ফাইন্যান্সিয়াল ইনভেস্টমেন্টের অর্থনীতিবিদ চুন কিউ ইয়েওন বলেন, দীর্ঘ সময় সংক্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের মধ্যে ছিল দেশের অর্থনীতি। এর ফলে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি দীর্ঘমেয়াদি হয়েছে, সেই সঙ্গে ছিল রফতানিতে মন্দা। কিন্তু প্রবৃদ্ধির এ নতুন পরিসংখ্যান সার্বিকভাবে ভালো। কারণ এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতিকেই সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক অব কোরিয়া রেপো সুদহার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ করেছে। গত বছরের আগস্টে এ হার রেকর্ড পরিমাণ করে দাঁড়িয়েছিল শূন্য দশমিক ৫। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ হার বেড়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশে পৌঁছবে।
পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ভোক্তা ব্যয় ৩ শতাংশ বেড়েছে, যা এক বছরে সর্বোচ্চ। গত এপ্রিলে দেশটির সরকার কভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রায় সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে দেয়। যার ফলাফল হিসেবে বাড়তে থাকে ভোক্তা ব্যয়। গত বছরের আগস্ট থেকে ব্যাংক অব কোরিয়া কয়েক দফায় সুদের হার বাড়িয়েছে। এর পরও গত এপ্রিলের পর ভোক্তা ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1715061977.jpg
কেবল ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির কারণেই নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি সরকারি ব্যয়ের কারণেও গতি ফিরে পেয়েছে। দেশটির পার্লামেন্ট ৬২ ট্রিলিয়ন ওন সম্পূরক বাজেট হিসেবে পাস করে। এ ঘোষণাও দেশের অর্থনীতির পালে হাওয়া দিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অর্থনীতির ওপর যে চাপ পড়েছে তার কারণে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে বিশ্বজুড়ে মুদ্রানীতি কঠোর করা হচ্ছে। আগের প্রান্তিকের চেয়ে এপ্রিল থেকে জুনে রফতানি কমেছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ। গত দুই বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে সব সংকোচন। টানা চতুর্থ প্রান্তিকের মতো কমেছে মূলধন বিনিয়োগ। এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি গত বছরের তুলনায় এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখেছে, যা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি, তবে আগের প্রান্তিকের তুলনায় কম।