Mas26
2022-08-25, 10:26 AM
তৈরি পোষাক শিল্প
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সব চাইতে বেশি অবদান রাখে তৈরী পোষাক শিল্প, এই শিল্প দেশিয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মোট প্রবৃদ্ধির ৬-৮% আসে পোষাক খাত থেকে। বাংলাদেশের এই শিল্পকে বর্তমানে উন্নতবিশ্ব সহ উন্নয়নশিল দেশগুলো অনুকরণ করছে। পোষাক শিল্প: স্বাধীনতার পরে যে শিল্প আমাদের অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছে তার মাঝে অন্যতম এবং একমাত্র মাধ্যম কিন্তু এই পোষাক শিল্পই।বিশ্বের বুকে নিজেদের কঠোর শ্রম দিতে পারার প্রমাণ মিলে এই শিল্পের মা্ধ্যমে।
পোষাক শিল্পের ইতিহাস
আদিকাল থেকে মানুষ কোন না কোন বস্ত্র ব্যবহার করে আসলেও আসলে সেলাই মেশিনের সাহায্যে তৈরি বস্ত্র ব্যবহার শুরু হয় সর্বপ্রথম ১৭৫৫ সালে। সেখান থেকে বাংলাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয় অনেক পরেই বলা যাই। বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। বাংলাদেশে প্রথম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থাপিত হয় ১৯৬০ সালে ঢাকার উর্দুরোডে যার নাম রিয়াজ গার্মেন্টস। প্রাথমিকভাবে রিয়াজ গার্মেন্টস এর উৎপাদিত পোশাক স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করা হতো। ইংরেজি ১৯৬৭ সালে রিয়াজ গার্মেন্টস এর উৎপাদিত ১০,০০০ পিস শার্ট বাংলাদেশ হতে সর্বপ্রথম বিদেশে (ইংল্যান্ডে) রপ্তানি করা হয়।
মূলত ১৯৭০ সালের পরই বাংলাদেশে তৈরি পোষাক শিল্পের বিকাশ ঘটে বলে বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। স্বাধীনতা কালীন সময় বাংলাদেশ দরিদ্র দেশগুলোর মাঝে ছিল উপরের সারির। তখন উৎপাদনের একমাত্র জায়গা ছিল পাট। ৭০ থেকে ৮০ দশকে এসে পোষাক শিল্প তৈরি হয়। তৈরি করেন নূরুল কাদের খান নামের এক ব্যাক্তি। তার মিশন ছিল পোষাক শিল্প। তিনি ১৭জন কর্মীকে দক্ষিন কোরিয়ায় ট্রেনিং করার জন্য পাঠান। তারা ফিরে আসার পর তিনি দেশ গামেন্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠান দাড় করান।
গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ও গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রকৃতপক্ষে ১৯৮১-৮২ সালে ০.১ বিলিয়ন টাকার রেডিমেইড গার্মেন্টস রপ্তানি করে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পদচারনা আরম্ভ হয়। উক্ত সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্পের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না। অথচ মাত্র ১০ বৎসরের ব্যবধানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমান ১৯৯২-৯৩ সালে ১৪৪৫ মিলিয়ন ইউ.এস ডলারে উন্নীত হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। দিনকে দিন পোশাক রপ্তানির পরিমান বেড়েই চলেছে। যেখানে ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বমোট পোশাক রপ্তানির পরিমান ছিল ১৯,০৮৯.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সেখানে তা ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১,৫১৫.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর পরিমান ৯,৬৫৩.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি আয় বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সংখ্যাও দিনকে দিন বাড়ছে । বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৫০০০ এর উপর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। যেগুলো থেকে প্রচুর পরিমানে পোশাক উৎপন্ন করা হচ্ছে। ৯০ দশকের পর নারীদের অর্ন্তভুক্তি এই শিল্পকে আরো গতিশীল করে তোলে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সব চাইতে বেশি অবদান রাখে তৈরী পোষাক শিল্প, এই শিল্প দেশিয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মোট প্রবৃদ্ধির ৬-৮% আসে পোষাক খাত থেকে। বাংলাদেশের এই শিল্পকে বর্তমানে উন্নতবিশ্ব সহ উন্নয়নশিল দেশগুলো অনুকরণ করছে। পোষাক শিল্প: স্বাধীনতার পরে যে শিল্প আমাদের অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছে তার মাঝে অন্যতম এবং একমাত্র মাধ্যম কিন্তু এই পোষাক শিল্পই।বিশ্বের বুকে নিজেদের কঠোর শ্রম দিতে পারার প্রমাণ মিলে এই শিল্পের মা্ধ্যমে।
পোষাক শিল্পের ইতিহাস
আদিকাল থেকে মানুষ কোন না কোন বস্ত্র ব্যবহার করে আসলেও আসলে সেলাই মেশিনের সাহায্যে তৈরি বস্ত্র ব্যবহার শুরু হয় সর্বপ্রথম ১৭৫৫ সালে। সেখান থেকে বাংলাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয় অনেক পরেই বলা যাই। বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। বাংলাদেশে প্রথম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থাপিত হয় ১৯৬০ সালে ঢাকার উর্দুরোডে যার নাম রিয়াজ গার্মেন্টস। প্রাথমিকভাবে রিয়াজ গার্মেন্টস এর উৎপাদিত পোশাক স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করা হতো। ইংরেজি ১৯৬৭ সালে রিয়াজ গার্মেন্টস এর উৎপাদিত ১০,০০০ পিস শার্ট বাংলাদেশ হতে সর্বপ্রথম বিদেশে (ইংল্যান্ডে) রপ্তানি করা হয়।
মূলত ১৯৭০ সালের পরই বাংলাদেশে তৈরি পোষাক শিল্পের বিকাশ ঘটে বলে বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। স্বাধীনতা কালীন সময় বাংলাদেশ দরিদ্র দেশগুলোর মাঝে ছিল উপরের সারির। তখন উৎপাদনের একমাত্র জায়গা ছিল পাট। ৭০ থেকে ৮০ দশকে এসে পোষাক শিল্প তৈরি হয়। তৈরি করেন নূরুল কাদের খান নামের এক ব্যাক্তি। তার মিশন ছিল পোষাক শিল্প। তিনি ১৭জন কর্মীকে দক্ষিন কোরিয়ায় ট্রেনিং করার জন্য পাঠান। তারা ফিরে আসার পর তিনি দেশ গামেন্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠান দাড় করান।
গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ও গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রকৃতপক্ষে ১৯৮১-৮২ সালে ০.১ বিলিয়ন টাকার রেডিমেইড গার্মেন্টস রপ্তানি করে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পদচারনা আরম্ভ হয়। উক্ত সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্পের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না। অথচ মাত্র ১০ বৎসরের ব্যবধানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমান ১৯৯২-৯৩ সালে ১৪৪৫ মিলিয়ন ইউ.এস ডলারে উন্নীত হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। দিনকে দিন পোশাক রপ্তানির পরিমান বেড়েই চলেছে। যেখানে ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বমোট পোশাক রপ্তানির পরিমান ছিল ১৯,০৮৯.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সেখানে তা ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১,৫১৫.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর পরিমান ৯,৬৫৩.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি আয় বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সংখ্যাও দিনকে দিন বাড়ছে । বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৫০০০ এর উপর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। যেগুলো থেকে প্রচুর পরিমানে পোশাক উৎপন্ন করা হচ্ছে। ৯০ দশকের পর নারীদের অর্ন্তভুক্তি এই শিল্পকে আরো গতিশীল করে তোলে।