PDA

View Full Version : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ থাকলেও শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের ঝুঁকি কম



BDFOREX TRADER
2022-08-28, 12:50 PM
অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা বাংলাদেশেরও হতে পারে বলে যে আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে তার বিপরীতে আশার বাণী শোনাল বিশ্বের শীর্ষ ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিস। বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক এই সংস্থা বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের ঝুঁকি কম। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে ধকলে থাকা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আরও শ্লথ করেছে ছয় মাস ধরে ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট। এমন বাস্তবতায় আর্থিক সংকটের মধ্যে থাকা দক্ষিণ এশীয় দেশ শ্রীলঙ্কা এরইমধ্যে দেউলিয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের আরেক দেশ পাকিস্তানেও সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বাংলাদেশেও এমন ঝুঁকির কথা বলছেন।
তবে বাংলাদেশের তেমন ঝুঁকি কম বলেই মনে করছেন মুডিসের সিঙ্গাপুর শাখার রাষ্ট্রীয় (বিনিয়োগ) বিশ্লেষক ক্যামিলে শ্যঁতা। তিনি বলছেন, ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্প্রতি উচ্চ স্তর থেকে নেমে এলেও বাহ্যিক দুর্বলতার সূচকে বাংলাদেশ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত।’
আমদানি ব্যয় বেড়ে চলার মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস এবং সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল—আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বুধবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ঋণ চাইলেও দেশে অর্থনৈতিক সংকটের মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’ ব্যয় সাশ্রয়ে এরইমধ্যে সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করার পাশাপাশি কৃচ্ছ্রতা সাধনে মন্ত্রিসভার সদস্য, আমলাতন্ত্রসহ দেশের সকলের প্রতি অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুডিসের বিশেষজ্ঞ ক্যামিলে শ্যঁতার অনুমান, ‘রেমিট্যান্সের পরিমাণ ও রপ্তানি চাহিদা কম থাকার পাশাপাশি খাদ্য ও জ্বালানির চড়া দামের কারণে বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ঘাটতির আরও অবনতি হতে পারে। কারণ বাংলাদেশে একদিকে এসব চাপ তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক বন্যাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে দেশটি।’
http://forex-bangla.com/customavatars/114224605.jpg

Montu Zaman
2022-08-29, 01:11 PM
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও ভুগছে। এমনকি বিদ্যুৎ সংকট ও আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তি ফিন্যানশিয়াল টাইমসে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক নিবন্ধে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশকে নানা ধরনের দুরবস্থার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমানে জর্জ সরস পরিচালিত ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস-এর প্রধান মার্ক ম্যালোক ব্রাউন বলেন, ‘এই সংকট বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও মডেলের দেশগুলোকে বিপদে ফেলছে। গার্মেন্টশিল্পের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যান্য জায়গার অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ধসে পড়ছে। ’
দুই দশকের মধ্যে গত মে মাসে শ্রীলঙ্কা প্রথম এশিয়া-প্যাসিফিক দেশ হিসেবে ঋণখেলাপি হয়। পাকিস্তানের অবস্থাও আরো খারপ হচ্ছে। যদিও দেশটি আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে, যা তাকে ঋণখেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা করবে। ছোট্ট দেশ নেপাল এবং মালদ্বীপও বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ধাক্কা থেকে সুস্থ আছে, যার বড় কারণ এর সফল রপ্তানি খাত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার রিজার্ভ বাড়ানো ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় সহায়তার জন্য আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করেছেন।
http://forex-bangla.com/customavatars/2022457745.jpg