SUROZ Islam
2022-09-15, 10:26 AM
আগস্টে জাপানের পাইকারি মূল্যস্ফীতি বছরওয়ারি হিসাবে ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। ক্রমাগত কাঁচামালের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে করপোরেট মার্জিনে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সম্প্রতি ব্যাংক অব জাপানের (বিওজে) প্রকাশিত এক উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিওজের উপাত্তে বলা হয়, দেশটির পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্যমূল্য ব্যয় পরিমাপ করা হয় করপোরেট পণ্য মূল্যসূচকে (সিজেপিআই)। আগস্টে পাইকারি মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হবে বলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা পঞ্চম মাসের মতো সিজেপিআই সূচক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত মাসে সূচকটি ১১৫ দশমিক ১ পয়েন্টে পৌঁছেছে। এটি বিশ্বব্যাপী পণ্যের কাঁচামালের দামে প্রভাব পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, সম্প্রতি বৈশ্বিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও পণ্যের দাম কমে আসায় জাপানের জ্বালানি ও ধাতুতে ব্যয়ের চাপ কিছুটা কমেছে। তবে খুচরা পণ্যের মূল্য প্রসারিত হয়েছে। আর এ কারণে ইউটিলিটি বিল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের খুচরা বিক্রেতাদের ওপর চাপ বেড়েছে। এদিকে আগস্টের পাইকারি মূল্য শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে জুলাইয়ে এ হার ছিল দশমিক ৭ শতাংশ। ইয়েনভিত্তিক আমদানি সূচক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের আগস্টে বেড়ে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যেখানে পুনরায় সংশোধনের পর গত জুলাইয়ে এ হার ছিল ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ।
এরই মধ্যে ইয়েনের বিনিময় হার রেকর্ড নিম্নে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে দেশটির কাঁচামালের আমদানি ব্যয় এবং করপোরেট মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে জাপানের ক্রমবর্ধমান ফার্মগুলোকে পণ্যের মূল্য বাড়াতে বাধ্য করেছে। এদিকে দেশটির প্রধান ভোক্তা মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এ হার সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। এ কারণে জাপানের পারিবারিক জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিওজের উপাত্তে আরো বলা হয়, অনেক উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর দেশের তুলনায় জাপানের মূল্যস্ফীতি এখনো নমনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে বিওজে দেশটির সুদের হার নিম্ন পর্যায়ে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমনকি তাদের কার্যক্রম বৈশ্বিক কঠোর মুদ্রানীতির আওতার বাইরে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। গত এপ্রিল-জুনে জাপানের অর্থনীতি বার্ষিক হিসাবে ২ দশমিক ২ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে বেড়েছে। কভিডে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা, ক্রমবর্ধমান কাঁচামালের ব্যয় এবং উৎপাদনে প্রভাব পড়েছিল। সেই শ্লথগতি কাটিয়ে দেশটির অর্থনীতি ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/699966849.jpg
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, সম্প্রতি বৈশ্বিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও পণ্যের দাম কমে আসায় জাপানের জ্বালানি ও ধাতুতে ব্যয়ের চাপ কিছুটা কমেছে। তবে খুচরা পণ্যের মূল্য প্রসারিত হয়েছে। আর এ কারণে ইউটিলিটি বিল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের খুচরা বিক্রেতাদের ওপর চাপ বেড়েছে। এদিকে আগস্টের পাইকারি মূল্য শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে জুলাইয়ে এ হার ছিল দশমিক ৭ শতাংশ। ইয়েনভিত্তিক আমদানি সূচক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের আগস্টে বেড়ে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যেখানে পুনরায় সংশোধনের পর গত জুলাইয়ে এ হার ছিল ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ।
এরই মধ্যে ইয়েনের বিনিময় হার রেকর্ড নিম্নে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে দেশটির কাঁচামালের আমদানি ব্যয় এবং করপোরেট মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে জাপানের ক্রমবর্ধমান ফার্মগুলোকে পণ্যের মূল্য বাড়াতে বাধ্য করেছে। এদিকে দেশটির প্রধান ভোক্তা মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এ হার সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। এ কারণে জাপানের পারিবারিক জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিওজের উপাত্তে আরো বলা হয়, অনেক উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর দেশের তুলনায় জাপানের মূল্যস্ফীতি এখনো নমনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে বিওজে দেশটির সুদের হার নিম্ন পর্যায়ে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমনকি তাদের কার্যক্রম বৈশ্বিক কঠোর মুদ্রানীতির আওতার বাইরে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। গত এপ্রিল-জুনে জাপানের অর্থনীতি বার্ষিক হিসাবে ২ দশমিক ২ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে বেড়েছে। কভিডে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা, ক্রমবর্ধমান কাঁচামালের ব্যয় এবং উৎপাদনে প্রভাব পড়েছিল। সেই শ্লথগতি কাটিয়ে দেশটির অর্থনীতি ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/699966849.jpg