Rassel Vuiya
2022-11-02, 01:32 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/549122602.jpg
ইউরো অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করা দেশগুলোয় অক্টোবরে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) অবশেষে দুই অংকের ঘরে পৌঁছেছে। ১৯ দেশের অঞ্চলটিতে সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকভাবে মূল্যস্ফীতি দুই অংকের ঘরে পৌঁছার কথা বলা হলেও পরে সেটি ৯ দশমিক ৯ শতাংশে নামানো হয়। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে বিপর্যস্ত অবস্থায় ঠেলে দেয়া গত মাসের মূল্যস্ফীতি আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর থেকেই জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতার কারণে এ অঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা যে মন্দার আশঙ্কা করছেন, তার আগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও মন্থর হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, অক্টোবরে সিপিআই গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এটি সেপ্টেম্বরের ৯ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেশি এবং ১৯৯৭ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তায় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছিল। এরই মধ্যে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে লাগাম টেনেছে। এতে ইউরোপকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যয়বহুল চালানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার থেকে জাহাজে আসা এ গ্যাস অঞ্চলটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ঘর গরম রাখার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তরলীকৃত এ গ্যাস শীতের জন্য ইউরোপের সঞ্চয়স্থান পূরণ করতে সফল হলেও কিছু শিল্পপণ্য যেমন ইস্পাত ও সারকে ব্যয়বহুল কিংবা অলাভজনক করে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি ও ইউটিলিটিতে অতিরিক্ত জ্বালানি বিল এবং খাদ্যের মতো মৌলিক জিনিসগুলোয় আরো ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের ব্যয় করার ক্ষমতা কমে গিয়েছে। স্বল্পমেয়াদি কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমলেও আগামী মাসগুলোয় উচ্চ স্তরে থেকে যাবে। অর্থাৎ ব্যয়বহুল জ্বালানি ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতিকে ক্রমাগত টেনে ধরতে পারে।
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের পূর্বাভাস নিয়ে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। যদিও তিন মাস আগের সমীক্ষায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, খাদ্য, অ্যালকোহল ও তামাকের দামও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান প্রবণতার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। গত মাসে এ পণ্যগুলোর দাম ১৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। যখন জ্বালানির দাম এক বছর আগের তুলনায় ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
তবে অঞ্চলটিতে দেশভেদে মূল্যস্ফীতি পরিসংখ্যান ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। যেমন ফ্রান্সে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ১ শতাংশ হলে নেদারল্যান্ডসে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এটি তিনটি বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়ায় ২২ দশমিক ৪ শতাংশ, লাটভিয়ায় ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং লিথুনিয়ায় ২২ শতাংশে পৌঁছেছে।
কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে এ অঞ্চলের অর্থনীতি জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ হার দ্বিতীয় প্রান্তিকের দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। এমন ধীর জিডিপি প্রবৃদ্ধির কারণ হিসেবে উচ্চমূল্যকে দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা। অনেক বিশ্লেষকই চলতি বছরের শেষ মাস ও আগামী বছরের প্রথম দিকে অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন।
ইউনিয়ন ইনভেস্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ জোয়ার্গ জিউনার বলেন, তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল। কারণ উচ্চ মূল্যস্ফীতি জনগণের আয় কমিয়ে দিয়েছে এবং মহামারীতে করা সঞ্চয় শূন্য করে দিচ্ছে।
ইউরো অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করা দেশগুলোয় অক্টোবরে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) অবশেষে দুই অংকের ঘরে পৌঁছেছে। ১৯ দেশের অঞ্চলটিতে সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকভাবে মূল্যস্ফীতি দুই অংকের ঘরে পৌঁছার কথা বলা হলেও পরে সেটি ৯ দশমিক ৯ শতাংশে নামানো হয়। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে বিপর্যস্ত অবস্থায় ঠেলে দেয়া গত মাসের মূল্যস্ফীতি আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর থেকেই জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতার কারণে এ অঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা যে মন্দার আশঙ্কা করছেন, তার আগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও মন্থর হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, অক্টোবরে সিপিআই গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এটি সেপ্টেম্বরের ৯ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেশি এবং ১৯৯৭ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তায় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছিল। এরই মধ্যে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে লাগাম টেনেছে। এতে ইউরোপকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যয়বহুল চালানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার থেকে জাহাজে আসা এ গ্যাস অঞ্চলটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ঘর গরম রাখার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তরলীকৃত এ গ্যাস শীতের জন্য ইউরোপের সঞ্চয়স্থান পূরণ করতে সফল হলেও কিছু শিল্পপণ্য যেমন ইস্পাত ও সারকে ব্যয়বহুল কিংবা অলাভজনক করে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি ও ইউটিলিটিতে অতিরিক্ত জ্বালানি বিল এবং খাদ্যের মতো মৌলিক জিনিসগুলোয় আরো ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের ব্যয় করার ক্ষমতা কমে গিয়েছে। স্বল্পমেয়াদি কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমলেও আগামী মাসগুলোয় উচ্চ স্তরে থেকে যাবে। অর্থাৎ ব্যয়বহুল জ্বালানি ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতিকে ক্রমাগত টেনে ধরতে পারে।
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের পূর্বাভাস নিয়ে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। যদিও তিন মাস আগের সমীক্ষায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, খাদ্য, অ্যালকোহল ও তামাকের দামও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান প্রবণতার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। গত মাসে এ পণ্যগুলোর দাম ১৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। যখন জ্বালানির দাম এক বছর আগের তুলনায় ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
তবে অঞ্চলটিতে দেশভেদে মূল্যস্ফীতি পরিসংখ্যান ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। যেমন ফ্রান্সে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ১ শতাংশ হলে নেদারল্যান্ডসে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এটি তিনটি বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়ায় ২২ দশমিক ৪ শতাংশ, লাটভিয়ায় ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং লিথুনিয়ায় ২২ শতাংশে পৌঁছেছে।
কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে এ অঞ্চলের অর্থনীতি জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ হার দ্বিতীয় প্রান্তিকের দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। এমন ধীর জিডিপি প্রবৃদ্ধির কারণ হিসেবে উচ্চমূল্যকে দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা। অনেক বিশ্লেষকই চলতি বছরের শেষ মাস ও আগামী বছরের প্রথম দিকে অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন।
ইউনিয়ন ইনভেস্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ জোয়ার্গ জিউনার বলেন, তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল। কারণ উচ্চ মূল্যস্ফীতি জনগণের আয় কমিয়ে দিয়েছে এবং মহামারীতে করা সঞ্চয় শূন্য করে দিচ্ছে।