Mas26
2022-12-25, 03:59 PM
আলাদা ঐতিহ্যের অনুসারী এবং তাদের মতাদর্শও সাংঘর্ষিক। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ আর চীন হলো একনায়কতন্ত্র। দক্ষিণ এশিয়ারই হিসাব করা উচিত, এদের কোনটিকে তারা সফল হিসেবে দেখতে চায়।অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, চীন ভারতকে পরাস্ত করেছে। কিন্তু চীনে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করা হয় স্বৈরতান্ত্রিকভা ে। এটা কি স্থায়ী সমাধানের পথ? সময়ই বলে দেবে। তাহলেও একটি জিনিস পরিষ্কার যে ভারতকে অবশ্যই তার প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে; এখন তা ৪ দশমিক ৬ অথচ চার বছর আগে তা ছিল ৯ শতাংশ।চীন ও পাকিস্তান একই অক্ষে আছে। এই অভিযোগও রয়েছে যে চীন পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে দিয়ে ভারতকে ঘিরে রাখতে চায়। এমনকি যদি একটা যুদ্ধও বাধে, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হবে। ভারতের উচিত নয় সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বেশি মগ্ন হয়ে থাকা; চীন চায় নয়াদিল্লি সেটাই করুক। সেটাই এর দুর্বলতা। তিব্বতিরা চীনের ঘাড়ে বোঝা হিসেবে আছে। অন্যভাবে দেখলে, তিব্বত শব্দটাই চীনাদের জন্য জুজুর ভয় নিয়ে আসে। তিব্বতের ওপর তাদের কর্তৃত্ব আছে, কারণ তারা একে দখল করে রেখেছে। কিন্তু দখলদারি আর স্বাধীনতার মধ্যে পার্থক্য আছে। যা হোক, তিব্বতিদের মানবাধিকারের বিষয়টি ভারত তুলতে পারে। খুবই অদ্ভুত কথা যে ডজন ডজন তিব্বতি স্বাধীনতার জন্য গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলেও বিশ্ব তা দেখেও দেখে না।ভারত যে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায়, তাকে স্বাগত। কিন্তু অর্থনৈতিক সহযোগিতা জনগণের সঙ্গে জনগণের সহযোগিতার সমার্থক নয়। এবং কার্যত এর অস্তিত্বও নেই। দালাই লামার জীবদ্দশায় যদি তিব্বতের সমস্যার সমাধান করতে হয়, তাহলে তিনি চীনের অংশ হিসেবেই স্বায়ত্তশাসন মেনে নিতে রাজি। কিন্তু তিব্বতের তরুণেরা দালাই লামার সমাধানে রাজি না হলেও তারা বিরোধিতা করছে না। কারণ, দালাই লামা তাঁর সারা জীবন ধরেই তিব্বতের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন।চীনের সাবেক নেতা চৌ এন লাই নেহরুকে বলেছিলেন, উভয় পক্ষের কেউই কাউকে আক্রমণ করবে না। কিন্তু বেইজিং কখনোই তার কথা রাখেনি। কোনো নিশ্চয়তা নেই যে ভবিষ্যতেও তারা কথা রাখবে।