View Full Version : ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস শিখুন
SaifulRahman
2023-02-05, 12:49 PM
ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস অনেকেই শিখতে চান কিন্তু বাংলা ভাষায় এরকম কনটেন্ট গুগল সার্চে খুব একটা দেখলাম না। গুগল সার্চে প্রথম তিন চারটা কনটেন্ট বাংলায় থাকলেও এর পরেই ইংরেজি ভাষার কনটেন্ট। যারা ফরেক্সে নতুন তাদের জন্য আসলে ইংরেজি ভাষা থেকে শেখাটা একটু কঠিনই বটে। তাই সেই চিন্তা থেকেই আমার আজকের ব্লগের সূচনা। আশা করি আমাদের আজকের ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস লেখাটি আপনাদের কাজে লাগবে।
19116
ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস
জাপানিজ ক্যান্ডেল স্টিক
বুলিশ ক্যান্ডেল (Bullish Candle)
বেয়ারিশ ক্যান্ডেল (Bearish Candle)
টাইমফ্রেম (Time Frame)
ট্রেন্ড (Trend)
সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স (Support and Resistance)
চ্যানেল (Channel)
ইনডিকেটর (Indicator)
মুভিং এভারেজ (Moving Average)
রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (Relative Strength Index)
ফিবোনাক্কি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement)
পিভট পয়েন্ট (Pivot Point)
বলিংগার ব্যান্ড (Bollinger Band)
এমএসিডি (Moving Average Convergence Divergence)
ব্রেক আউট এবং ফেক আউট (Break Out & Fake out)
ট্রেড কারেন্সি
ফরেক্স ট্রেড স্ট্রাটেজি (Forex Trade Strategy)
Rakib Hashan
2023-02-05, 12:51 PM
ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস কি
ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস আসলে কি? এটা হল এমন একটি পদ্ধতি বা মেথড যার মাধ্যমে আপনি অতীত এবং বর্তমান মার্কেট প্রাইস বিচার বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ মার্কেট প্রাইস নিয়ে একটি পূর্বাভাষ দিতে পারেন। এটাকে আমি বলেছি পূর্বাভাষ মানে আবহাওয়ার যেমন পূর্বাভাষ দেয়া হয় ঠিক তেমন। আবহাওয়ার পূর্বাভাষে যেমন বলা হয় বৃষ্টি বা ঝড় হতে পারে ব্যাপারটি ঠিক তেমনি।
বর্তমান সময়ের আবহাওয়ার বিভিন্ন নিয়ামক যেমন- বায়ুর চাপ, বাতাসের বেগ, তাপমাত্রা ইত্যাদি বিচার বিশ্লেষণ করে, অতীতে তার ফলাফল কি ছিল সবকিছু বিবেচনায় এনে ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাষ তৈরি করা হয়। এই পূর্বাভাষ যে শতভাগ মিলে যাবে তার গ্যারান্টি কেও দিতে পারেনা। তবে পূর্বাভাষ মিলে যাবার সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
ফরেক্স ট্রেডিং এর ক্ষেত্রেও টেকনিক্যাল এনালাইসিস ঠিক তেমনি। টেকনিক্যাল এনালাইসিস সবসময় শতভাগ মিলে যাবে ব্যাপারটি তেমন নয়। এক্ষেত্রেও ফলাফল মেলার সম্ভাবনা প্রবল।
কারণ ভবিষ্যৎ কি হবে তা কেও বলতে পারেনা। তবে আপনার এনালাইসিস সঠিক হলে বেশিরভাগ সময় ফলাফল মিলে যেতে পারে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
19117
Rassel Vuiya
2023-02-06, 01:27 PM
আপনি যখন ফরেক্স ট্রেডিং এ আসবেন, আপনাকে বিভিন্ন কারেন্সি বাই-সেল করতে হবে। তখন প্রথমেই আপনার যেটা মনে হবে- আপনি যখন কোন কারেন্সি পেয়ার বাই দিচ্ছেন তা কেন বাই দিবেন? কিংবা কোন কারেন্সি পেয়ার সেল দিচ্ছেন তা কেন সেল দিচ্ছেন?
শুধু চোখের দেখায় আপনার মনে হচ্ছে এটা বাড়বে তাই বাই দিবেন কিংবা আপনার মনে হচ্ছে এটা কমবে তাই সেল দিচ্ছেন? তাই কি কখনও হয়। তাহলে তো এটা ট্রেডিং হল না, এটা হয়ে গেল জুয়া কিংবা চোখ বন্ধ করে লাফ দেয়ার মত।
এভাবে ট্রেড করলে আপনি কখনই লাভ করতে পারবেন না, হয়ত একবার করবেন বাকি সময় লস করে যাবেন। তাহলে আপনার এমন একটি প্রসেস জানা থাকাটা জরুরী যার মাধ্যমে আপনি মার্কেটকে প্রেডিক্ট করতে পারবেন। যা আপনাকে ভবিষ্যতের মার্কেট প্রাইস নিয়ে একটি ধারনা দিবে।
ভবিষ্যতের মার্কেট প্রাইস নিয়ে একটি ধারনা পাবার জন্য বেশ কয়েক রকমের প্রসেস বা পদ্ধতি বা মেথড আছে যার সবগুলোই বেশ জনপ্রিয়। যেমন-
টেকনিক্যাল এনালাইসিস
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস
সেন্টিমেন্টাল এনালাইসিস
এদের মধ্যে টেকনিক্যাল এনালাইসিসটি সবচেয়ে জনপ্রিয় কেননা এটি শেখার জন্য আপনাকে অর্থনীতিবিদ হবার প্রয়োজন নাই। সারা পৃথিবীর যত ট্রেডার আছে তাদের প্রায় শতভাগ ট্রেডার অর্থনীতিবিদ নয়। সুতরাং আপনি যেকোন ব্যাকগ্রাউন্ডের হলেই টেকনিক্যাল এনালাইসিস শিখতে পারবেন এবং প্রফিট করতে পারবেন। তবে আপনার মধ্যে এনালাইটিকাল এবিলিটি থাকতেই হবে।
আশাকরি আপনি বুঝতে পেরেছেন কেন আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস শিখবেন। আজকের এই লেখায় আমি শুধু টেকনিক্যাল এনালাইসিস নিয়েই আলোকপাত করতে চাই। অন্য দুইটি অন্য কোথাও আলোচনা করব।
19126
Montu Zaman
2023-02-07, 10:39 AM
ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস মূলত প্রাইস মুভমেন্টের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। অতীতের প্রাইস মুভমেন্ট বিশ্লেষণ করে বর্তমান প্রাইস বিবেচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রাইস নিয়ে একটি ধারনা করাই হল ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস।
তাহলে, প্রথমেই আপনাদের শিখতে হবে প্রাইস কিভাবে ফরেক্স টার্মিনালে দেখানো হয়। প্রাইস দেখানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ক্যান্ডেল স্টিক প্যাটার্ন এর মাধ্যমে প্রাইস দেখানো। একে অনেকে জাপানিজ ক্যান্ডেল স্টিকও বলে থাকে। আপনার শিখার প্রথম ধাপ হল তাই ক্যান্ডেল স্টিক।
বুলিশ ক্যান্ডেল (Bullish Candle)
যে ক্যান্ডেলে মার্কেটের প্রাইস বাড়ে সেই ক্যান্ডেলকে আমরা বলি বুলিশ ক্যান্ডেল (Bullish Candle)। উপরের সবুজ রঙের ক্যান্ডেলটি দেখুন। ধরে নিন, এটা একটা সারাদিনের মার্কেটের ক্যান্ডেল স্টিক, মানে এটি একটি ডেইলি ক্যান্ডেল। এখানে ভাল করে খেয়াল করুন যখন মার্কেট শুরু হয় তখন ওপেন(Open) লেখা জায়গাতে শুরু হয়েছিল এবং ক্লোজ (Close) লেখা জায়গাতে মার্কেট বন্ধ হয়েছে। সারাদিন মার্কেট বিভিন্ন প্রাইসে মুভ করেছে, সর্বচ্চো হাই(High) এবং সর্বনিম্ন (Low) প্রাইসে মার্কেট ছিল। তাই ক্যান্ডেলের চেহারা এমন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মার্কেট প্রাইস থেকে বডির উপরের অংশকে আপার শেডো এবং সবচেয়ে কম মার্কেট প্রাইস থেকে বডি পর্যন্ত প্রাইসকে লোয়ার শেডো বলা হচ্ছে।
বেয়ারিশ ক্যান্ডেল (Bearish Candle)
যে ক্যান্ডেলে মার্কেটের প্রাইস কমে সেই ক্যান্ডেলকে আমরা বলি বেয়ারিশ ক্যান্ডেল (Bearish Candle)। উপরের লাল ক্যান্ডেলটি দেখুন। ধরে নিন, এটা একটা সারাদিনের মার্কেটের ক্যান্ডেল স্টিক, মানে এটি একটি ডেইলি ক্যান্ডেল। এখানে ভাল করে খেয়াল করুন যখন মার্কেট শুরু হয় তখন ওপেন(Open) লেখা জায়গাতে শুরু হয়েছিল এবং ক্লোজ (Close) লেখা জায়গাতে মার্কেট বন্ধ হয়েছে। সারাদিন মার্কেট বিভিন্ন প্রাইসে মুভ করেছে, সর্বচ্চো হাই(High) এবং সর্বনিম্ন (Low) প্রাইসে মার্কেট ছিল। তাই ক্যান্ডেলের চেহারা এমন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মার্কেট প্রাইস থেকে বডির উপরের অংশকে আপার শেডো এবং সবচেয়ে কম মার্কেট প্রাইস থেকে বডি পর্যন্ত প্রাইসকে লোয়ার শেডো বলা হচ্ছে।
আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনি ক্যান্ডেল স্টিক নিয়ে বেশ ভাল আইডিয়া পেয়ে গেছেন। এখন ক্যান্ডেল স্টিক যে শুধু এই দুই রকমই হতে পারে তা কিন্তু নয়। প্রাইসের মুভমেন্টের কারণে ক্যান্ডেল স্টিক বিভিন্ন রকমভাবে ফর্ম করতে পারে। প্রথম ছবি থেকে কিন্তু এটি বেশ পরিস্কার। আপনার বুঝার সুবিধার জন্য এবারে প্রথম ছবির 19138 কিছু ক্যান্ডেল মিলিয়ে দেখুন তো। ঐ ছবিটা কিন্তু রিয়েল মার্কেট থেকেই নেয়া হয়েছে। দেখুন কত সাইজের কত রকম ক্যান্ডেল স্টিক হতে পারে। এসব প্যাটার্ন দেখেও কিন্তু এনালাইসিস করা যায়, কি ধরনের ক্যান্ডেল স্টিকের পর কি রকমের ক্যান্ডেল হতে পারে তার ভিত্তিতে। সেটা নিয়েও পরে আলোচনা করা যাবে।
Rakib Hashan
2023-02-08, 12:26 PM
টাইমফ্রেম (Time Frame)
টাইমফ্রেম বলতে আসলে ক্যান্ডেল স্টিকের মোট সময়কালকে বুঝায়। আপনি কত ঘন্টা বা কত মিনিটের সময় নিয়ে একটি ক্যান্ডেল স্টিক তৈরি করতে চাচ্ছেন তাই বুঝায়। সাধারণত ফরেক্স টার্মিনালে ১ মিনিট, ৫ মিনিট, ১৫ মিনিট, ৩০ মিনিট, ১ ঘন্টা, ৪ ঘন্টা, ১ দিন, ১ সপ্তাহ এবং ১ মাসের ক্যান্ডেল স্টিক দেখা যায়। ফরেক্স টার্মিনালে আপনি আপনার পছন্দমত টাইমফ্রেম নির্বাচন করে নিতে পারবেন টেকনিক্যাল এনালাইসিস করার সময়।
বেশিরভাগ ট্রেডারেরা সাধারণত ৪ ঘন্টার টাইম ফ্রেম নিয়ে টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে থাকেন। লং টার্ম ফোরকাস্টের জন্য আপনি চাইলে ডেইলি বা উইক্লি বা মান্থলি টাইমফ্রেম নির্বাচন করে নিতে পারবেন। তবে এন্ট্রির সময় নির্বাচনের জন্য ছোট টাইমফ্রেম যেমন ৫ বা ১৫ মিনিটের টাইমফ্রেম দেখে নিতে পারেন।
19150
ট্রেন্ড (Trend)
ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস এ ট্রেন্ড একটি বহুল প্রচলিত শব্দ। এমনিতেও আমরা ট্রেন্ড শব্দটির সাথে পরিচিত। ফরেক্স মার্কেটের প্রাইস যখন বাড়তে কিংবা কমতে থাকে তখন একটা ট্রেন্ড তৈরি হয়। সাধারণত আমরা বুলিশ মার্কেটের ক্ষেত্রে বলি আপট্রেন্ড এবং বেয়ারিশ মার্কেটের ক্ষেত্রে বলি ডাউন্ট্রেন্ড।
ট্রেড করার জন্য আমাদের প্রথম ট্রেন্ড বের করে নিতে হবে। আগে ফাইন্ড আউট করতে হবে মার্কেট কোন ট্রেন্ড এ আছে, আপট্রেন্ড নাকি ডাউন ট্রেন্ডে। এটা আপনার টেকনিক্যাল এনালাইসিসের প্রথম ধাপ।
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, Trend is your Friend un till it bend. আপনি যদি মার্কেটের ট্রেন্ড ধরে ফেলতে পারেন তাহলে আপনার ৫০% কাজ হয়ে গেল।
ট্রেন্ড আবার সর্ট টার্ম কিংবা লং টার্ম হতে পারে। *৪ ঘন্টা বা তার পরের সময় নিয়ে টাইমফ্রেম নিয়ে ট্রেন্ড পেলে তাকে সর্ট টার্ম ট্রেন্ড এবং ৪ ঘন্টার উপরের টাইমফ্রেম নিয়ে ট্রেন্ড পেলে তাকে লং টার্ম ট্রেন্ড বলতে পারেন।
সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স (Support and Resistance)
ক্যান্ডেল স্টিক বুঝার পরেই আপনাকে যেটি শিখতে হবে তা হল সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স (Support and Resistance)। এটিও একটি মজার ব্যাপার। মার্কেটের মুভমেন্ট আসলে একটি প্রাইস থেকে আরেকটি প্রাইসের দিকে যাত্রা। এর মাঝে মাঝে সে আসলে কিছু যাত্রা বিরতি নেয়। আসুন শিখে নেয়া যাক।
19151
সাপোর্ট (Support)
যখন মার্কেট নিচের দিকে যেতে থাকে মানে প্রাইস কমতে থাকে তখন কিছু কিছু জায়গায় গিয়ে প্রাইসের নিম্নগতি বাধা পায় এবং পরবর্তীতে আবার কিছুক্ষন পরে প্রাইস কমার চেষ্টা করে, এই জায়গা বা এই প্রাইসকেই আমরা বলি সাপোর্ট।
রেসিসটেন্স (Support and Resistance)
যখন মার্কেট উপরের দিকে যেতে থাকে মানে প্রাইস বাড়তে থাকে তখন কিছু কিছু জায়গায় গিয়ে প্রাইসের উদ্ধগতি বাধা পায় এবং পরবর্তীতে আবার কিছুক্ষন পরে প্রাইস বাড়ার চেষ্টা করে, এই জায়গা বা এই প্রাইসকেই আমরা বলি রেসিসটেন্স।
19152
চ্যানেল (Channel)
মার্কেট যখন ওপেন থাকে এবং কোন এক ট্রেন্ডে থাকে তখন মার্কেটের প্রাইস এটি চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে। ঠিক নিচের ছবির মতই। চ্যানেলের উপরের অংশকে বলে চ্যানেলের টপ এবং নিচের অংশকে বলে চ্যানেলের বোটম। সাধারণত প্রাইস বা ক্যান্ডেল স্টিক চ্যানেলের বোটমে টাচ করে আবার উপরে উঠতে থাকে কিংবা বলা যায় চ্যানেলের টপে টাচ করে আবার নিচে পড়তে থাকে।
আপট্রেন্ড চ্যানলে ঠিক এর বিপরীত।
তারমানে আবার এই নয় মার্কেট সবসময় এরকম একটি চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকবে। অনেক সময় চ্যানেল ব্রেক করবে, আবার চ্যানলে ঢুকবে। কখনও ফলস ব্রেক আউট হবে, অনেক সময় রিয়েল ব্রেক আউট হবে। আপনি যদি চ্যানেল ফরমেশন হবার ঠিক সময় মত বাই না সেল দিতে পারেন, আপনার প্রফিট আর কেও ঠেকাতে পারবেনা।
আবার অনেক সময় হরাইজোন্টাল চ্যানেলও হতে পারে। সেসময় প্রাইস একই রেঞ্জের মধ্যে ওঠানামা করে। একে রেঞ্জি মার্কেট বলে। তখন কিছু সময় মার্কেট বাড়ে আবার কিছু সময় মার্কেট কমে। এসময় আসলে মার্কেট কনফিউজড থাকে। তাই মার্কেটে এমন চিত্র দেখা যায়।
যেকোন চ্যানেলের টপ কিংবা বটম *রেসিসটেন্স এবং সাপোর্ট *হিসেবেও বেশ ভাল কাজ করে। তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেন্ড খুঁজে বের করার পরের ধাপ হল আপনাকে চ্যানেল ড্র করে নিতে হবে।
Rakib Hashan
2023-02-09, 01:32 PM
ইনডিকেটর (Indicator)
টেকনিক্যাল এনালাইসিস শিখতে হলে আপনাকে ইনডিকেটর নিয়ে জানতেই হবে। কারন, ইনডিকেটর আপনাকে কোন কারেন্সি বাই বা সেল করার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। মার্কেটে বা ফরেক্স টারমিনালে অনেক ফ্রি ইনডিকেটর এভেইলেবল আছে। আপনি চাইলে ইনডিকেটরগুলো আপনার টার্মিনালে ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
প্রধান প্রধান কয়েকটি ইনডিকেটর যেগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তার মধ্যে রয়েছে Moving Average, Relative Strength Index বা RSI, Bollinger Band, Stochastic, Fibonacci Retracement ইত্যাদি। আমি কিছু জনপ্রিয় ইনডিকেটরের বর্ণনা আজকে দিব, এদের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব। চলুন দেখা যাক।
মুভিং এভারেজ (Moving Average)
এভারেজ শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। তবে মুভিং এভারেজ কি তা আমরা জানিনা। এটুকু বুঝি এভারেজ মানে হল গড়। মুভিং এভারেজকে (Moving Average) সংক্ষেপে MA বলা হয়। ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস করার জন্য এটি একটি খুবই প্রয়োজনীয় ইন্ডিকেটর।
যে কোন টাইমফ্রেমের শেষ ৫,১০,৫০,১০০ বা ২০০ ক্যান্ডেলের প্রাইসের গড়কে তার ৫,১০,৫০,১০০ বা ২০০ মুভিং এভারেজ বলা হয়। ৫টি ক্যান্ডেল নিলে 5MA, দশটি ক্যান্ডেল নিলে তাকে 10MA, ৫০টি ক্যান্ডেল নিলে 50MA এভাবে বলা হয়।
এই মুভিং এভারেজগুলোও সাপোর্ট কিংবা রেজিস্টেন্স হিসেবেও বেশ ভাল কাজ করে। ট্রেডিং টার্মিনালে আপনি এগুলো ড্র করে নিয়ে সাপোর্ট কিংবা রেজিস্টেন্স দাগ দিয়ে রাখতে পারেন। এটা আপনার ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিসের তৃতীয় ধাপ বলা যায়।
মুভিং এভারেজ কয়েক রকমের হতে পারে। একটা হল মুভিং এভারেজ (MA), আরেকটি হল সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) এবং আরেকটি হল এক্সপোনেন্সিয়াল মুভিং এভারেজ (EMA)। এগুলোর মধ্যে এক্সপোনেন্সিয়াল মুভিং এভারেজ (EMA) হল সবচেয়ে জনপ্রিয়।
এই ইনডিকেটরটি বেশ ভাল কাজে দেয়। আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (Relative Strength Index)
Relative Strength Index বা RSI একটি চমৎকার ইনডিকেটর। এটি আসলে মার্কেটের মোমেন্টাম ইনডিকেটর যা মার্কেটের রিসেন্ট প্রাইসের মান নির্দেশ করে। সাধারণত, শেষ ১৪টি ক্যান্ডেল স্টিকের তথ্য নিয়ে এই ইনডিকেটর তার ফলাফল দেখায়। তাই একে অনেক সময় RSI 14 ও বলা হয়ে থাকে।
RSI 14 এর দুইটি অবস্থা হয়ে থাকে। একটি হল ওভারসোল্ড (Over Sold) আরেকটি হল ওভারবট (Overbought)।
RSI 14 এর মান যদি ৩০ বা এর নিচে আসে তাহলে একে ওভারসোল্ড (Over Sold) বলা হয়। তখন আপনি বাই দিতে পারেন। আবার RSI 14 এর মান যদি ৭০ কিংবা তার বেশি থাকে তাহলে একে ওভারবট (Overbought) বলা হয়। আপনি সেল দিতে প্রস্তুত হতে পারেন।
এই ইনডিকেটরটি বেশ ভাল কাজে দেয়। আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
http://forex-bangla.com/customavatars/2100394660.jpg
Rakib Hashan
2023-02-13, 11:52 AM
ফিবোনাক্কি রিট্রেসমেন্ট (Fibonacci Retracement)
এটিও একটি চমৎকার ইনডিকেটর। মার্কেট কখনই এক টানা বাড়তেই থাকেনা, আবার একটানা কমতেও থাকেনা। একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর সে রিট্রেস করে মানে কিছুটা বিপরীত দিকে যায়। এই রিট্রেসমেন্ট ক্যালকুলেট করার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা হয়। আমরা অনেকেই স্কুল বা কলেজ জীবনে ফিবোনাক্কি সিরিজ সম্পর্কে জেনেছি। যদি না জেনে থাকেন তাহলে নিচের কনটেন্ট থেকে জেনে নিন।
ফিবোনাক্কি সংখ্যা কাকে বলে এবং প্রকৃতিতে ফিবোনাক্কি সিরিজ
এই টুল ব্যবহার করে আমরা রিট্রেসমেন্ট ক্যালকুলেট করে নিতে পারি। সাধারণত দেখা যায় মার্কেট যখন রিট্রেস করে তখন প্রথমে ২৩.৬%, তারপর ৩৮.২%, তারপর ৫০%, তারপর ৬১.৮% রিট্রেস করে থাকে। টাইমফ্রেম সিলেক্ট করে এই টুল টেনে নিয়ে আপনি সাপোর্ট-রেজিসটেন্স দাগ দিয়ে রাখতে পারবেন টার্মিনালে।
বুঝতেই পারছেন, সাপোর্ট-রেসিসটেন্স এবং রিট্রেসমেন্ট বের করার জন্য এই টুলটি আপনাকে চরমভাবে সহায়তা করবে।
পিভট পয়েন্ট (Pivot Point)
অনেকে পিভট পয়েন্টকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করলেও আমি মনে করি পিভট পয়েন্ট হল এমন একটি পয়েন্ট যাকে ঘিরে মার্কেট প্রাইস আবর্তিত হয়। পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেট করা হয় আগের টাইমফ্রেমের ক্যান্ডেল স্টিক থেকে ডাটা নিয়ে। আগের ক্যান্ডেল স্টিকের High, Low, Open এবং Close প্রাইস নিয়ে পরের ক্যান্ডেলের পিভট পয়েন্ট এবং সাপোর্ট-রেসিসটেন্স এর মান বের করা হয়।
মানে হল, আজকের দিনের ক্যান্ডেল স্টিকের মান নিয়ে আপনি কালকের দিনে সাপোর্ট, রেসিসটেন্সগুলো বের করে নিতে পারবেন। একই ভাবে গত সপ্তাহের High, Low, Open এবং Close প্রাইস নিয়ে পরের সপ্তাহের ক্যান্ডেলের পিভট পয়েন্ট এবং সাপোর্ট-রেসিসটেন্স এর মান বের করা হয়। একই কায়দায় একমাসের ডাটা নিয়ে পরের মাসের ট্রেডের ফোরকাস্ট করতে পারবেন।
এটি সাপোর্ট রেসিসটেন্স বের করার একটি জনপ্রিয় মেথড। এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আজকের বা আগের দিনের ক্যান্ডেলের High, Low, Open এবং Close প্রাইস নিয়ে আপনি পরের দিন মার্কেট আপে যাক আর ডাউনে যাক আপনি এন্ট্রি পয়েন্টগুলো আগে থেকেই ডিফাইন করে রাখতে পারবেন।
একটা জিনিস সবসময় মনে রাখবেন মার্কেট প্রাইস সবসময়ই পিভট পয়েন্ট অভিমুখে থাকে, যেন মনে হয় সব সময়ই সেন্টার অব গ্রাভিটির দিকেই যাত্রা করতে চায়।
পিভট পয়েন্ট বের করার বেশ কিছু জনপ্রিয় মেথড রয়েছে। এর মধ্য সাধারণ নিয়ম হল
Pivot Point (PP)= (Previous High+ Previous Low+ Previous CLose)/3
ডে ট্রেডারদের জন্য পিভট পয়েন্ট খুবই জরুরী। প্রতিদিন ট্রেড ওপেন করে দিন শেষে যারা লাভ লস বুঝে নেয় তাদেরকে ডে ট্রেডার বলা হয়।
পিভট পয়েন্ট সহ সাথে আরও ৬টি প্রাইস পাওয়া যায়, যেগুলোকে S1, S2, S3, PP, R1, R2, R3। তিনটি হল সাপোর্ট এবং তিনটি হল রেসিসটেন্স। কোথায় কোথায় প্রাইস কি কি আচরন করতে পারে তাই আপনি আগে থেকেই ডিফাইন করে নিতে পারবেন যা আপনাকে ট্রেড নিতে সাহায্য করবে।
বলিংগার ব্যান্ড (Bollinger Band)
এটিও একটি চমৎকার ইনডিকেটর টুল। এখান থেকেও আপনি আপনার ট্রেডের টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে নিতে পারবেন। এটির ব্যবহারও খুবই সোজা। নিচের ছবিটি দেখে নিন তারপর আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।
এমএসিডি (Moving Average Convergence Divergence)
এমএসিডি (Moving Average Convergence Divergence) একটি খুবই জনপ্রিয় মেথড যা দিয়ে আপনি মার্কেটের ট্রেন্ড আইডেন্টিফাই করতে পারবেন। এটির রেজাল্ট এক কথায় অব্যর্থ। ৫০ বছর আগে এই ইনডিকেটরটি আবিস্কার করেন জেরাল্ড অ্যাপেল। আজকের দিন পর্যন্ত এটি ট্রেন্ডের দিক পরিবর্তনের শক্তিশালী নির্দেশক ইনডিকেটর বলে ধারণা করা হয়।
দুইটি মুভিং এভারেজ দিয়ে এই ইনডিকেটর গঠিত হয়। একটি ইনডিকেটর আরেকটি ইনডিকেটরকে ক্রস করলেই ট্রেন্ডের দিক পরিবর্তন হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।
ব্রেক আউট এবং ফেক আউট (Break Out & Fake out)
মার্কেট যখন একটি ট্রেন্ড এর মধ্যে থাকে কিংবা ধরেন একটি চ্যানেলের মধ্যে থাকে তখন খুব স্মুথভাবে মার্কেট চলতে থাকে। এর মাঝেই কখনও কখনও ফান্ডামেন্টাল নিউজ এসে মার্কেটকে সাময়িকভাবে কিছুটা ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে পারে। আবার কখনও কখনও ফান্ডামেন্টাল নিউজের প্রভাবে মার্কেট প্রাইস দিক পরিবর্তন করে বিপরীত দিকে পরিচালিত হয় অথবা যেদিকে যাচ্ছিল সেই দিকেই আরও দ্রুত এগিয়ে যায়।
যখন একটি চ্যানেলের টপ বা বটম ভেদ করে ক্যান্ডেল স্টিক বের হয়ে নতুন চ্যানেল তৈরি করে ফেলে সেটাই ব্রেক আউট। অনেক সময় বাই স্টপ ব্যবহার করে আপনি এর সুফল ভোগ করতে পারেন।
আবার অনেক সময় ফান্ডামেন্টাল নিউজের প্রভাব বা অন্য কোন কারনে চ্যানেলের টপ বা বটম ভেদ করে বের হয়ে আবার আগের ট্রেন্ডে ফিরে আসে, এধরনের ঘটনাকে বলে ফেক আউট। আমরা অনেক সময় ফেক আউটের কবলে পরে বিশাল লসের মুখে পরে যেতে পারি। তাই আমাদের উচিত সবসময় স্টপ লস ব্যবহার করা। এতে ফেক আউটের হাত থেকে বেঁচে থাকা যায়।
19183
Montu Zaman
2023-02-15, 04:44 PM
19219
ট্রেড কারেন্সি: কোন পেয়ারে ট্রেড করবেন, মার্কেটে তো অনেক কারেন্সি রয়েছে। এগুলোকে মোটামুটিভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়।
মেজর কারেন্সি পেয়ার
মাইনর কারেন্সি পেয়ার
এক্সোটিক কারেন্সি পেয়ার
মেজর কারেন্সি পেয়ারঃ EUR/USD, USD/JPY, GBP/USD, AUD/USD, USD/CAD *and USD/CHF।
মাইনর কারেন্সি *এবং এক্সোটিক কারেন্সি পেয়ারঃ যে সব পেয়ারের সাথে USD নেই।
আপনি ট্রেড করলে অবশ্যই শুধুমাত্র মেজর কারেন্সি পেয়ার নিয়েই ট্রেড করবেন। এদের স্প্রেড কম এবং সারাবিশ্বের প্রায় সব ট্রেডারেরাই এই পেয়ারে ট্রেড করে থাকে।
মাইনর এবং এক্সোটিক পেয়ারগুলো অনেক বেশি স্প্রেড এবং এরা খুব বেশি ভোলাটাইল হয়ে থাকে। এগুলো কারেন্সি ট্রেড না করাই ভাল।
ফরেক্স ট্রেড স্ট্রাটেজি (Forex Trade Strategy)
উপরের বিষয়গুলো যদি আপনি মোটামুটি বুঝতে পারেন তাহলে আপনি ট্রেড করতে পারবেন এমনকি প্রফিটও করে নিতে পারবেন ইনশা আল্লাহ। যদি কোন কিছু আপনি বুঝতে না পারেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করলে আমি তার জবাব দিব।
এই জ্ঞানটুকু দিয়ে আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজি ঠিক করে নিতে পারবেন। সবারই একটি ট্রেড স্ট্রাটেজি থাকে, যে যার মত স্ট্রাটেজি তৈরি করে নেয়। আজকে আমি আপনাদের একটি ট্রেড সেট আপ করে দিব। আপনি এই সেটআপে ট্রেড করে দেখতে পারেন।
ট্রেড নেবার আগে নিচের ধাপগুলো একের পর এক অনুসরণ করুন।
প্রথমে কারেন্সি নির্বাচন করুন, কোন পেয়ারে আপনি ট্রেড করবেন।
নির্বাচিত পেয়ারের ট্রেড বুঝার চেষ্টা করুন ডেইলি চার্টে।
ট্রেন্ড বুঝার জন্য আপনি MACD ব্যবহার করুন।
এখন আপনি যদি মনে করেন আপনার পেয়ারটি আপট্রেন্ডে আছে কিংবা ডাউনন্ট্রেন্ডে আছে তাহলে এর আসেপাশের মানে উপরে এবং নিচের সাপোর্ট কিংবা রেসিসটেন্সগুলো বের করে লাইন টেনে নিন।
যদি দেখেন আপট্রেন্ডে আছে মার্কেট তাহলে যখন প্রাইস সাপোর্টে আসবে তখন আপনি বাই দিবেন।
যদি দেখেন ডাউনট্রেন্ডে আছে তাহলে যখন প্রাইস রেসিসটেন্সে আসবে তখন আপনি সেল দিবেন।
বাই দিলে পরবর্তী রেসিসটেন্সে ট্রেড ক্লোজ করবেন।
সেল দিলে পরবর্তী সাপোর্টে ট্রেড ক্লোজ করবেন।
এটা ট্রেড করার একটা খুবই কমন স্ট্রাটেজি। এছাড়াও আরও হাজারও ট্রেডিং স্ট্রাটেজি রয়েছে। আপনাকে আপনার জন্য স্যুট করে এমন একটি স্ট্রাটেজি তৈরি করে নিতে হবে।
ট্রেডারের প্রকারভেদ
বেশ কয়েক প্রকারের ট্রেডারের রয়েছে। একেক জন একেক স্টাইলে ট্রেড করে থাকে। আসুন ধরনগুলো জেনে নেই।
স্ক্যাল্পিং ট্রেডিং (Scapling Trading) – যারা খুব অল্প সময়ের জন্য ট্রেড ওপেন রাখে।
ডে ট্রেডিং (Day Trading)- যারা প্রতিদিন ট্রেড ওপেন করে এবং দিন শেষে ক্লোজ করে দেয়।
সুইং ট্রেডিং (Swing Trading)- যারা ট্রেড ওপেন করার পর কয়েকদিন থেকে সপ্তাহ ট্রেড ওপেন রাখে।
পজিশন ট্রেডিং (Position Trading)- যারা ট্রেড ওপেন করে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস ট্রেড ওপেন রাখে।
আশা করি আমাদের আজকের ব্লগ আপনাদের ট্রেডিং এ সাহায্য করবে, এর পরেও যদি আপনাদের কোন সাহায্য লাগে আমাকে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করতে ভুলবেন না । আমি আপনাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।
Mas26
2023-04-25, 12:11 PM
ইনডিকেটর (Indicator)
টেকনিক্যাল এনালাইসিস শিখতে হলে আপনাকে ইনডিকেটর নিয়ে জানতেই হবে। কারন, ইনডিকেটর আপনাকে কোন কারেন্সি বাই বা সেল করার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। মার্কেটে বা ফরেক্স টারমিনালে অনেক ফ্রি ইনডিকেটর এভেইলেবল আছে। আপনি চাইলে ইনডিকেটরগুলো আপনার টার্মিনালে ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
প্রধান প্রধান কয়েকটি ইনডিকেটর যেগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তার মধ্যে রয়েছে Moving Average, Relative Strength Index বা RSI, Bollinger Band, Stochastic, Fibonacci Retracement ইত্যাদি। আমি কিছু জনপ্রিয় ইনডিকেটরের বর্ণনা আজকে দিব, এদের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব। চলুন দেখা যাক।
মুভিং এভারেজ (Moving Average)
এভারেজ শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। তবে মুভিং এভারেজ কি তা আমরা জানিনা। এটুকু বুঝি এভারেজ মানে হল গড়। মুভিং এভারেজকে (Moving Average) সংক্ষেপে MA বলা হয়। ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিস করার জন্য এটি একটি খুবই প্রয়োজনীয় ইন্ডিকেটর।
যে কোন টাইমফ্রেমের শেষ ৫,১০,৫০,১০০ বা ২০০ ক্যান্ডেলের প্রাইসের গড়কে তার ৫,১০,৫০,১০০ বা ২০০ মুভিং এভারেজ বলা হয়। ৫টি ক্যান্ডেল নিলে 5MA, দশটি ক্যান্ডেল নিলে তাকে 10MA, ৫০টি ক্যান্ডেল নিলে 50MA এভাবে বলা হয়।
এই মুভিং এভারেজগুলোও সাপোর্ট কিংবা রেজিস্টেন্স হিসেবেও বেশ ভাল কাজ করে। ট্রেডিং টার্মিনালে আপনি এগুলো ড্র করে নিয়ে সাপোর্ট কিংবা রেজিস্টেন্স দাগ দিয়ে রাখতে পারেন। এটা আপনার ফরেক্স টেকনিক্যাল এনালাইসিসের তৃতীয় ধাপ বলা যায়।
মুভিং এভারেজ কয়েক রকমের হতে পারে। একটা হল মুভিং এভারেজ (MA), আরেকটি হল সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) এবং আরেকটি হল এক্সপোনেন্সিয়াল মুভিং এভারেজ (EMA)। এগুলোর মধ্যে এক্সপোনেন্সিয়াল মুভিং এভারেজ (EMA) হল সবচেয়ে জনপ্রিয়।
এই ইনডিকেটরটি বেশ ভাল কাজে দেয়। আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স (Relative Strength Index)
Relative Strength Index বা RSI একটি চমৎকার ইনডিকেটর। এটি আসলে মার্কেটের মোমেন্টাম ইনডিকেটর যা মার্কেটের রিসেন্ট প্রাইসের মান নির্দেশ করে। সাধারণত, শেষ ১৪টি ক্যান্ডেল স্টিকের তথ্য নিয়ে এই ইনডিকেটর তার ফলাফল দেখায়। তাই একে অনেক সময় RSI 14 ও বলা হয়ে থাকে।
RSI 14 এর দুইটি অবস্থা হয়ে থাকে। একটি হল ওভারসোল্ড (Over Sold) আরেকটি হল ওভারবট (Overbought)।
RSI 14 এর মান যদি ৩০ বা এর নিচে আসে তাহলে একে ওভারসোল্ড (Over Sold) বলা হয়। তখন আপনি বাই দিতে পারেন। আবার RSI 14 এর মান যদি ৭০ কিংবা তার বেশি থাকে তাহলে একে ওভারবট (Overbought) বলা হয়। আপনি সেল দিতে প্রস্তুত হতে পারেন।
এই ইনডিকেটরটি বেশ ভাল কাজে দেয়। আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
Powered by vBulletin® Version 4.1.9 Copyright © 2025 vBulletin Solutions, Inc. All rights reserved.