Tofazzal Mia
2023-02-12, 04:28 PM
বেক্সিট ইস্যু, করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বেহাল দশায় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। এরই মধ্যে ২০২২ সালের শেষ তিন মাসে দেশটির অর্থনীতিতে কোনো প্রবৃদ্ধি হয়নি। ফলে কোনোমতে মন্দা পাশ কাটিয়ে গেলেও এখনো খাদের কিনারায় রয়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। খবর বিবিসি।
দেশটির অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের (ওএনএস) দেয়া তথ্যমতে, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল শূন্য। এর আগে তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি ছিল ঋণাত্মক শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছিল দেশটির জিডিপি। যে তুলনায় উন্নতি হয়েছে চতুর্থ প্রান্তিকে। সাধারণত, পরপর দুই প্রান্তিকে অর্থনীতি সংকুচিত হলে বা জিডিপি মাইনাসের ঘরে থাকলে তাকেই মন্দা বলা হয়।
যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টের মতে, ‘এখনো ঝুঁকির বাইরে নয় যুক্তরাজ্য।’ অন্যদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আশঙ্কা করছে, চলতি বছর মন্দায় পড়তে পারে যুক্তরাজ্য। গত সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানায়, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক থেকেই একটি মন্দায় পড়বে যুক্তরাজ্য, যা সর্বশেষ প্রান্তিক পর্যন্ত থাকবে। তবে এর ব্যাপ্তি ও নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা কম থাকবে।
গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) জিডিপি শূন্য হলেও শুধু ডিসেম্বরে তা ছিল মাইনাস শূন্য দশমিক ৫। যা স্বস্তি দিচ্ছে না দেশটির সরকার ও রাজস্ব বিভাগকে। চ্যান্সেলর জেরমি হান্ট বলেন, মূল্যস্ফীতি এখনো বড় সমস্যা, দেশজুড়ে লাখ লাখ পরিবারের জন্য ভোগান্তির কারণ এটি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে এখনো মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি, যার ফলে নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি। তবে এটি খুব ধীরগতিতে কমছে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চের কাছাকাছি। এর আগে গত অক্টোবরে ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখেছে যুক্তরাজ্যবাসী। ওই সময় মূল্যস্ফীতি গিয়ে ঠেকেছিল ১১ দশমিক এক শতাংশে। ফলে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হয়েছিল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
তবে ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্য অর্থনৈতিক মন্দায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক থিংকট্যাংক বলছে এবারো মন্দা এড়িয়ে যেতে পারবে যুক্তরাজ্য। জি৭ জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যুক্তরাজ্যই চলতি বছরে প্রবৃদ্ধির মুখ দেখবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে পূর্বাভাস সংস্থাটির। একই পূর্বাভাস দিয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
http://forex-bangla.com/customavatars/1318647916.jpg
তবে আইএমএফ বলছে, ২০২৪ সালে ঘুরে দাঁড়াতে পারে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। ওই বছর শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
অন্যদিকে দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ (এনআইইএসআর) বলছে, সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এ বছর সম্ভবত মন্দা এড়িয়ে যেতে পারবে। এনআইইএসআর বলছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এ বছর মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। আর ২০২৪ সালে বাড়বে ১ শতাংশ।
সংস্থাটির মতে, চলতি বছরে যুক্তরাজ্যে প্রতি চার পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার অর্থাৎ প্রায় সাত মিলিয়ন পরিবার খাদ্য ও জ্বালানি বিল বাবদ খরচ মেটাতে পারবে না। আগের বছরে পাঁচ পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার এ খরচ মেটাতে অক্ষম ছিল।
দেশটির অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের (ওএনএস) দেয়া তথ্যমতে, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল শূন্য। এর আগে তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি ছিল ঋণাত্মক শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছিল দেশটির জিডিপি। যে তুলনায় উন্নতি হয়েছে চতুর্থ প্রান্তিকে। সাধারণত, পরপর দুই প্রান্তিকে অর্থনীতি সংকুচিত হলে বা জিডিপি মাইনাসের ঘরে থাকলে তাকেই মন্দা বলা হয়।
যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টের মতে, ‘এখনো ঝুঁকির বাইরে নয় যুক্তরাজ্য।’ অন্যদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আশঙ্কা করছে, চলতি বছর মন্দায় পড়তে পারে যুক্তরাজ্য। গত সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানায়, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক থেকেই একটি মন্দায় পড়বে যুক্তরাজ্য, যা সর্বশেষ প্রান্তিক পর্যন্ত থাকবে। তবে এর ব্যাপ্তি ও নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা কম থাকবে।
গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) জিডিপি শূন্য হলেও শুধু ডিসেম্বরে তা ছিল মাইনাস শূন্য দশমিক ৫। যা স্বস্তি দিচ্ছে না দেশটির সরকার ও রাজস্ব বিভাগকে। চ্যান্সেলর জেরমি হান্ট বলেন, মূল্যস্ফীতি এখনো বড় সমস্যা, দেশজুড়ে লাখ লাখ পরিবারের জন্য ভোগান্তির কারণ এটি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে এখনো মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি, যার ফলে নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি। তবে এটি খুব ধীরগতিতে কমছে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চের কাছাকাছি। এর আগে গত অক্টোবরে ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখেছে যুক্তরাজ্যবাসী। ওই সময় মূল্যস্ফীতি গিয়ে ঠেকেছিল ১১ দশমিক এক শতাংশে। ফলে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হয়েছিল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
তবে ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্য অর্থনৈতিক মন্দায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক থিংকট্যাংক বলছে এবারো মন্দা এড়িয়ে যেতে পারবে যুক্তরাজ্য। জি৭ জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যুক্তরাজ্যই চলতি বছরে প্রবৃদ্ধির মুখ দেখবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে পূর্বাভাস সংস্থাটির। একই পূর্বাভাস দিয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড।
http://forex-bangla.com/customavatars/1318647916.jpg
তবে আইএমএফ বলছে, ২০২৪ সালে ঘুরে দাঁড়াতে পারে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। ওই বছর শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
অন্যদিকে দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ (এনআইইএসআর) বলছে, সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এ বছর সম্ভবত মন্দা এড়িয়ে যেতে পারবে। এনআইইএসআর বলছে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এ বছর মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। আর ২০২৪ সালে বাড়বে ১ শতাংশ।
সংস্থাটির মতে, চলতি বছরে যুক্তরাজ্যে প্রতি চার পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার অর্থাৎ প্রায় সাত মিলিয়ন পরিবার খাদ্য ও জ্বালানি বিল বাবদ খরচ মেটাতে পারবে না। আগের বছরে পাঁচ পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার এ খরচ মেটাতে অক্ষম ছিল।