Montu Zaman
2023-03-12, 03:45 PM
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর পর ধীরে ধীরে বিশ্বের সব দেশেরই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে হাঁটছে। বেশ লম্বা সময় বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে ব্যবসায়িক যোগাযোগ, বাড়ছে ব্যবসার কাজে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের চাহিদা। গ্লোবাল বিজনেস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ব্যবসায়িক ভ্রমণ খাতে দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে।
গত বছর মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা (এমইএ) অঞ্চলের ব্যবসায়িক ভ্রমণের পরিমাণ ২০১৯ সালের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। গত বছর ব্যবসায়িক ভ্রমণের পুনরুদ্ধারের হার ৮৬ শতাংশ, যা যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপের চেয়ে বেশি। ব্যবসায়িক ভ্রমণ খাতে এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ সুযোগগুলো আরো প্রকাশ্যে আসবে চলতি বছর অনুষ্ঠেয় অ্যারাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেট। আগামী মে মাসে দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
অ্যারাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেটের এক্সিবিশন ডিরেক্টর ড্যানিয়েল কার্টিস বলেন, ‘*মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত পর্যটন ও ভ্রমণ খাতের জন্য ব্যবসায়িক ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহামারীপূর্ব সময়ের তুলনায় যেভাবে এ খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। এ খাতের পুনরুদ্ধারে কীভাবে প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে গ্লোবাল বিজনেস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (জিবিটিএ) একটি গভীর বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন দেবে।
সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২২ সালে ব্যবসায়িক ভ্রমণে বৈশ্বিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে, যা মহামারীপূর্ব সময়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে এ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন। গত বছর সার্বিক যে ব্যয় হয়েছে তার আনুমানিক ২ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলে।
জিবিটিএর ইএমইএ এবং এপিএসি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথেরিন লোগান বলেন, ‘*ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য এমইএ অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূটি বাস্তবায়ন করার সুফল পেতে শুরু করেছে অঞ্চলটি। একইভাবে এ সুবিধা পাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল। সেই সঙ্গে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় তাও এ অঞ্চলের অর্থনীতির উন্নয়নে বা প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
জিবিটিএর এ ভাইস প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘*মহামারীপূর্ব সময়ের ব্যবসায়িক ভ্রমণের পর্যায়ে পৌঁছতে এ অঞ্চলকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে বাড়বে অর্থনৈতিক লেনদেনও।’
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে নানা বিধিনিষেধে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন দেশের সীমান্ত। অফিস থেকে দূরে বা ঘরে বসে শুরু হয় দাপ্তরিক কার্যক্রম। জরুরি মিটিংগুলোও অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্মে। সে সময়ই ব্যবসায়িক ভ্রমণে মন্দার শুরু। তবে বর্তমানে সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এবং কভিড প্রতিরোধী টিকার ব্যাপক প্রসারের মধ্যে ভ্রমণসংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রায় উঠে গেছে। ব্যবসার বা কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দুই বছর বন্ধ থাকার পর ব্যবসায়িক ভ্রমণ খাতটি আবারো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিশেষ করে চীন লকডাউন ও বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর এ খাত আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
http://forex-bangla.com/customavatars/703881932.png
গত বছর মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা (এমইএ) অঞ্চলের ব্যবসায়িক ভ্রমণের পরিমাণ ২০১৯ সালের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। গত বছর ব্যবসায়িক ভ্রমণের পুনরুদ্ধারের হার ৮৬ শতাংশ, যা যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপের চেয়ে বেশি। ব্যবসায়িক ভ্রমণ খাতে এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ সুযোগগুলো আরো প্রকাশ্যে আসবে চলতি বছর অনুষ্ঠেয় অ্যারাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেট। আগামী মে মাসে দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
অ্যারাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেটের এক্সিবিশন ডিরেক্টর ড্যানিয়েল কার্টিস বলেন, ‘*মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত পর্যটন ও ভ্রমণ খাতের জন্য ব্যবসায়িক ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহামারীপূর্ব সময়ের তুলনায় যেভাবে এ খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। এ খাতের পুনরুদ্ধারে কীভাবে প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে গ্লোবাল বিজনেস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (জিবিটিএ) একটি গভীর বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন দেবে।
সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২২ সালে ব্যবসায়িক ভ্রমণে বৈশ্বিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে, যা মহামারীপূর্ব সময়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে এ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন। গত বছর সার্বিক যে ব্যয় হয়েছে তার আনুমানিক ২ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলে।
জিবিটিএর ইএমইএ এবং এপিএসি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথেরিন লোগান বলেন, ‘*ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য এমইএ অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূটি বাস্তবায়ন করার সুফল পেতে শুরু করেছে অঞ্চলটি। একইভাবে এ সুবিধা পাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল। সেই সঙ্গে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় তাও এ অঞ্চলের অর্থনীতির উন্নয়নে বা প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
জিবিটিএর এ ভাইস প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘*মহামারীপূর্ব সময়ের ব্যবসায়িক ভ্রমণের পর্যায়ে পৌঁছতে এ অঞ্চলকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে বাড়বে অর্থনৈতিক লেনদেনও।’
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে নানা বিধিনিষেধে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন দেশের সীমান্ত। অফিস থেকে দূরে বা ঘরে বসে শুরু হয় দাপ্তরিক কার্যক্রম। জরুরি মিটিংগুলোও অনুষ্ঠিত হতো বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্মে। সে সময়ই ব্যবসায়িক ভ্রমণে মন্দার শুরু। তবে বর্তমানে সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এবং কভিড প্রতিরোধী টিকার ব্যাপক প্রসারের মধ্যে ভ্রমণসংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রায় উঠে গেছে। ব্যবসার বা কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দুই বছর বন্ধ থাকার পর ব্যবসায়িক ভ্রমণ খাতটি আবারো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিশেষ করে চীন লকডাউন ও বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর এ খাত আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
http://forex-bangla.com/customavatars/703881932.png