DhakaFX
2023-03-28, 03:44 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1097945796.png
বিশ্বে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা চলছে। ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। আর্থিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। সুদহার বেড়ে যাওয়ার কারণে ঋণের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুলগেরিয়ান অর্থনীতিবিদ জর্জিয়েভা। এমন পরিস্থিতি শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোকেও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। জর্জিয়েভা জানান, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি মাত্র ৩ শতাংশ সম্প্রসারণ হতে পারে। বাড়তি সুদের হার এর অন্যতম কারণ। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কভিড মহামারীর ভয়। সব মিলিয়ে অর্থনীতির যেন শ্বাসরোধ হওয়ার জোগাড়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। ১০ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়াভি ্তিক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। দুদিনের মধ্যেই তাকে অনুসরণ করে নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক। সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংকও তাদের পাট গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। এবার তাদের কাতারে শামিল হলেন আইএমএফ প্রধান। সম্প্রতি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। সেখানে তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সুদের হার কম ছিল। হঠাৎ করে তা অনেক বেড়ে গেছে। ফলে চাপ বেড়েছে। অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। শীর্ষ অর্থনীতির কয়েকটি দেশে ব্যাংক খাতের সাম্প্রতিক অবস্থা তারই প্রমাণ বহন করছে।’ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) জানিয়েছে, ব্যাংক খাতে বর্তমান অস্থিরতা ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ইসিবির এমন মন্তব্যের ভিত্তিতে কথাগুলো বলেছেন জর্জিয়েভা।
ফলে প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইসিবি। পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতিও কমবে বলে জানিয়েছে এ ব্যাংক। বিজনেস পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস ডে গুইনদোস বলেন, ‘ব্যাংক খাতের চলমান পরিস্থিতি ইউরো অঞ্চলের মুদ্রানীতিকে অধিকতর কঠোর করবে বলে আমাদের অনুমান। সম্ভবত এর ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক কমে যাবে ও মুদ্রাস্ফীতিও কমবে।’
যুক্তরাজ্য, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। এতে নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলো অর্থ ব্যবস্থায় অধিকতর প্রভাব অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো শ্যাডো ব্যাংক নামে পরিচিত। এমনটাই জানিয়েছেন গুইনদোস। এটিকে ক্ষতিকর মনে করছেন ইসিবির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থার জন্য এটি সমস্যাজনক হতে পারে। এবং আমাদের সতর্ক হতে হবে।’ নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো ইসিবির মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীন নয়। তাই তাদের তদারকি করতে পারে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক খাতেও চলছে অস্থিরতা। সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্রেডিট সুইস ব্যাংককে ইউবিএস ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে।
বিশ্বে ব্যাংক খাতে অস্থিরতা চলছে। ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। আর্থিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। সুদহার বেড়ে যাওয়ার কারণে ঋণের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুলগেরিয়ান অর্থনীতিবিদ জর্জিয়েভা। এমন পরিস্থিতি শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোকেও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। জর্জিয়েভা জানান, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি মাত্র ৩ শতাংশ সম্প্রসারণ হতে পারে। বাড়তি সুদের হার এর অন্যতম কারণ। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কভিড মহামারীর ভয়। সব মিলিয়ে অর্থনীতির যেন শ্বাসরোধ হওয়ার জোগাড়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। ১০ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়াভি ্তিক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। দুদিনের মধ্যেই তাকে অনুসরণ করে নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক। সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংকও তাদের পাট গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। এবার তাদের কাতারে শামিল হলেন আইএমএফ প্রধান। সম্প্রতি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। সেখানে তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সুদের হার কম ছিল। হঠাৎ করে তা অনেক বেড়ে গেছে। ফলে চাপ বেড়েছে। অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। শীর্ষ অর্থনীতির কয়েকটি দেশে ব্যাংক খাতের সাম্প্রতিক অবস্থা তারই প্রমাণ বহন করছে।’ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) জানিয়েছে, ব্যাংক খাতে বর্তমান অস্থিরতা ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ইসিবির এমন মন্তব্যের ভিত্তিতে কথাগুলো বলেছেন জর্জিয়েভা।
ফলে প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইসিবি। পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতিও কমবে বলে জানিয়েছে এ ব্যাংক। বিজনেস পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস ডে গুইনদোস বলেন, ‘ব্যাংক খাতের চলমান পরিস্থিতি ইউরো অঞ্চলের মুদ্রানীতিকে অধিকতর কঠোর করবে বলে আমাদের অনুমান। সম্ভবত এর ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক কমে যাবে ও মুদ্রাস্ফীতিও কমবে।’
যুক্তরাজ্য, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। এতে নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলো অর্থ ব্যবস্থায় অধিকতর প্রভাব অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো শ্যাডো ব্যাংক নামে পরিচিত। এমনটাই জানিয়েছেন গুইনদোস। এটিকে ক্ষতিকর মনে করছেন ইসিবির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থার জন্য এটি সমস্যাজনক হতে পারে। এবং আমাদের সতর্ক হতে হবে।’ নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো ইসিবির মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীন নয়। তাই তাদের তদারকি করতে পারে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক খাতেও চলছে অস্থিরতা। সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্রেডিট সুইস ব্যাংককে ইউবিএস ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে।