Rakib Hashan
2023-04-04, 04:17 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/961986881.png
মার্চে এশিয়ার কারখানাগুলোর সামগ্রিক কার্যক্রম কমেছে। বিদেশী চাহিদা কমে যাওয়ায় এসব কারখানায় উৎপাদনে এ প্রভাব পড়েছে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৈশ্বিক কারখানা কার্যক্রমও কমতে যাচ্ছে। এতে এশিয়ার পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে, সেই সঙ্গে নীতিনির্ধারকদের সতর্কভাবে এগোতে হতে পারে। রফতানিনির্ভর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্চে উৎপাদন কার্যক্রম সংকুচিত হয়েছে, তবে চীনে বেশ প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এমন চিত্রই বলে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গতি হ্রাসের এ মুহূর্তে এশিয়া কত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের উদীয়মান এশিয়াবিষয়ক অর্থনীতিবিদ শিভান ট্যান্ডন বলেন, ‘*আসন্ন প্রান্তিকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা ধীর থাকবে, আমাদের ধারণা এশিয়ায় উৎপাদনও কিছুটা চাপের মুখে থাকবে। মার্চে চীনের সাইসিন/এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) ছিল ৫০ পয়েন্ট। সংখ্যাটা এর আগে করা বাজারের ৫১ দশমিক ৭ পয়েন্ট প্রাক্কলন থেকে বেশ কম। এছাড়া ফেব্রুয়ারির ৫১ দশমিক ৬ পিএমআই থেকেও কম।’
দক্ষিণ কোরিয়ার পিএমআই মার্চে কমে ৪৭ দশমিক ৬তে দাঁড়ায়, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৪৮ দশমিক ৫। গত ছয় মাসের মধ্যে এবারই দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত গতিতে সংকোচন দেখা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় রফতানি আদেশ কমে যাওয়ার কারণেই এ চিত্র দেখা গেছে। সোমবার জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, জাপানের বড় বড় উৎপাদকদের মনোভাব কিছুটা নেতিবাচক হয়ে জানুয়ারি থেকে মার্চে গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ছিল। কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে সৃষ্ট সংকটের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বৈদেশিক ক্রয়াদেশ কম আসা। তাতেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে পুরো এশিয়ার একটি উজ্জ্বল বিন্দু হিসেবে উল্লেখ করা যায় ভারতের নাম। গত তিন মাসের মধ্যে গত মার্চেই ভারতে উৎপাদন খাত সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত হয়েছে। এ সময়ে যেমন অনেক বেশি উৎপাদন হয়েছে তেমন নতুন নতুন ক্রয়াদেশও এসেছে। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও তাদের অর্থনীতি সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ায়ও মার্চে কারখানা কার্যক্রম সংকুচিত হতে দেখা গেছে, যেখানে ফিলিপাইনের কারখানাগুলো ফেব্রুয়ারির তুলনায় কিছুটা ধীরগতিতে বিস্তৃত হয়েছে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত হওয়াই এর কারণ। চিপের চাহিদা কমে যাওয়া এবং অর্থনীতির ধীরগতিও এশিয়ার অনেক দেশের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ব্যাংক ধসে পড়া এবং ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের হস্তান্তর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে আরো বেশি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে।
মার্চে এশিয়ার কারখানাগুলোর সামগ্রিক কার্যক্রম কমেছে। বিদেশী চাহিদা কমে যাওয়ায় এসব কারখানায় উৎপাদনে এ প্রভাব পড়েছে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৈশ্বিক কারখানা কার্যক্রমও কমতে যাচ্ছে। এতে এশিয়ার পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে, সেই সঙ্গে নীতিনির্ধারকদের সতর্কভাবে এগোতে হতে পারে। রফতানিনির্ভর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্চে উৎপাদন কার্যক্রম সংকুচিত হয়েছে, তবে চীনে বেশ প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এমন চিত্রই বলে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গতি হ্রাসের এ মুহূর্তে এশিয়া কত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের উদীয়মান এশিয়াবিষয়ক অর্থনীতিবিদ শিভান ট্যান্ডন বলেন, ‘*আসন্ন প্রান্তিকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা ধীর থাকবে, আমাদের ধারণা এশিয়ায় উৎপাদনও কিছুটা চাপের মুখে থাকবে। মার্চে চীনের সাইসিন/এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) ছিল ৫০ পয়েন্ট। সংখ্যাটা এর আগে করা বাজারের ৫১ দশমিক ৭ পয়েন্ট প্রাক্কলন থেকে বেশ কম। এছাড়া ফেব্রুয়ারির ৫১ দশমিক ৬ পিএমআই থেকেও কম।’
দক্ষিণ কোরিয়ার পিএমআই মার্চে কমে ৪৭ দশমিক ৬তে দাঁড়ায়, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৪৮ দশমিক ৫। গত ছয় মাসের মধ্যে এবারই দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত গতিতে সংকোচন দেখা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় রফতানি আদেশ কমে যাওয়ার কারণেই এ চিত্র দেখা গেছে। সোমবার জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, জাপানের বড় বড় উৎপাদকদের মনোভাব কিছুটা নেতিবাচক হয়ে জানুয়ারি থেকে মার্চে গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ছিল। কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে সৃষ্ট সংকটের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বৈদেশিক ক্রয়াদেশ কম আসা। তাতেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে পুরো এশিয়ার একটি উজ্জ্বল বিন্দু হিসেবে উল্লেখ করা যায় ভারতের নাম। গত তিন মাসের মধ্যে গত মার্চেই ভারতে উৎপাদন খাত সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত হয়েছে। এ সময়ে যেমন অনেক বেশি উৎপাদন হয়েছে তেমন নতুন নতুন ক্রয়াদেশও এসেছে। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও তাদের অর্থনীতি সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ায়ও মার্চে কারখানা কার্যক্রম সংকুচিত হতে দেখা গেছে, যেখানে ফিলিপাইনের কারখানাগুলো ফেব্রুয়ারির তুলনায় কিছুটা ধীরগতিতে বিস্তৃত হয়েছে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত হওয়াই এর কারণ। চিপের চাহিদা কমে যাওয়া এবং অর্থনীতির ধীরগতিও এশিয়ার অনেক দেশের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ব্যাংক ধসে পড়া এবং ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের হস্তান্তর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে আরো বেশি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে।