SUROZ Islam
2023-04-18, 02:14 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1851667549.png
কোভিডজনিত বিধিনিষেধ থেকে বেরিয়ে আসার পর বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে চীনের। তবে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি খুব ভালো নয়, সে কারণে ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের তথ্যানুসারে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছিল, প্রবৃদ্ধি হবে ৪ শতাংশ। এর আগের প্রান্তিকে, অর্থাৎ ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ। আর অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে কোভিডজনিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় চীন সরকার। একই সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রযুক্তি ও আবাসন কোম্পানিগুলোর ওপর যেভাবে ছড়ি ঘোরাচ্ছিল চীনের কর্তৃপক্ষ, সেই নীতি থেকেও সরে আসে তারা। রয়টার্স বলছে, এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা চীনের ওপর নজর রাখছে। সিটি ইনডেক্সের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রথম প্রান্তিকে চীনের ভালোই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বছর শেষে তারা ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশপাশেই থাকবে।’ ম্যাট সিম্পসন আরও বলেন, প্রথম প্রান্তিকে চীনের এ প্রবৃদ্ধির হার এশিয়ায় কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে, যদিও তা খুব জোরালো নয়। কিছু দীর্ঘমেয়াদি উদ্বেগের জায়গা আছে। সে জন্য ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির গতি কমে আসতে পারে। রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধির ধারা অসম। কেননা, ভোগ, সেবা খাত ও অবকাঠামো খাতের ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও ব্যাংকে সঞ্চয় বাড়ছে, সেই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য কমছে। সে জন্য নিকট ভবিষ্যতে চীনের বাজারে চাহিদা কতটা থাকবে, তা নিয়ে একধরনের সন্দেহ থেকেই যায়। ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ শতাংশ। রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা বলেছেন, চলতি বছর চীনের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে উঠতে পারে। কিন্তু চীন সরকার গত বছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ শতাংশ। এদিকে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্চে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঞ্চিতির হার কমিয়েছে, যা এ বছরে এই প্রথম। সেই সঙ্গে সরকারও বেশ কিছু রাজস্ব প্রণোদনা দিয়েছে। মার্চ মাসের তথ্যে দেখা যায়, সে মাসে চীনের খুচরা বিক্রির প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ—১০ দশমিক ৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বেড়েছে, তবে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম। করোনার কারণে ২০২০ সাল থেকে চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। ২০২২ সালে তা ৩ শতাংশে নেমে আসে। মূলত ‘শূন্য কোভিড নীতি’র কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে যায়। সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়, কারখানায় উৎপাদন কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে প্রবৃদ্ধিতে। সেই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে দেশটি। গত ডিসেম্বরে শূন্য কোভিড নীতি থেকে বের হয়ে আসে চীন। অর্থনৈতিক উন্নতির বিষয়টি উঠে এসেছে ঋণমান যাচাইকারী বৈশ্বিক সংস্থা মুডিসের পূর্বাভাসেও। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে চীনের জন্য ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে মুডিস। গত বছর যা ছিল ৪ শতাংশ। এদিকে চীনের প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও বৈশ্বিক অর্থনীতি আরও দুর্বল হবে বলে বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে। এর মূল কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিভিন্ন দেশে ক্রমবর্ধমান নীতি সুদহার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সম্প্রতি জানিয়েছে, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে আর্থিক খাতের অস্থিরতা আরও তীব্র হলে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি কমে আড়াই শতাংশে দাঁড়াতে পারে। আগামী বছর সেটি কিছুটা বেড়ে ৩ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কোভিডজনিত বিধিনিষেধ থেকে বেরিয়ে আসার পর বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে চীনের। তবে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি খুব ভালো নয়, সে কারণে ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের তথ্যানুসারে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছিল, প্রবৃদ্ধি হবে ৪ শতাংশ। এর আগের প্রান্তিকে, অর্থাৎ ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ। আর অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে কোভিডজনিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় চীন সরকার। একই সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রযুক্তি ও আবাসন কোম্পানিগুলোর ওপর যেভাবে ছড়ি ঘোরাচ্ছিল চীনের কর্তৃপক্ষ, সেই নীতি থেকেও সরে আসে তারা। রয়টার্স বলছে, এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা চীনের ওপর নজর রাখছে। সিটি ইনডেক্সের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রথম প্রান্তিকে চীনের ভালোই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বছর শেষে তারা ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশপাশেই থাকবে।’ ম্যাট সিম্পসন আরও বলেন, প্রথম প্রান্তিকে চীনের এ প্রবৃদ্ধির হার এশিয়ায় কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে, যদিও তা খুব জোরালো নয়। কিছু দীর্ঘমেয়াদি উদ্বেগের জায়গা আছে। সে জন্য ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির গতি কমে আসতে পারে। রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধির ধারা অসম। কেননা, ভোগ, সেবা খাত ও অবকাঠামো খাতের ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও ব্যাংকে সঞ্চয় বাড়ছে, সেই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য কমছে। সে জন্য নিকট ভবিষ্যতে চীনের বাজারে চাহিদা কতটা থাকবে, তা নিয়ে একধরনের সন্দেহ থেকেই যায়। ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ শতাংশ। রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা বলেছেন, চলতি বছর চীনের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে উঠতে পারে। কিন্তু চীন সরকার গত বছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ শতাংশ। এদিকে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্চে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঞ্চিতির হার কমিয়েছে, যা এ বছরে এই প্রথম। সেই সঙ্গে সরকারও বেশ কিছু রাজস্ব প্রণোদনা দিয়েছে। মার্চ মাসের তথ্যে দেখা যায়, সে মাসে চীনের খুচরা বিক্রির প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ—১০ দশমিক ৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বেড়েছে, তবে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম। করোনার কারণে ২০২০ সাল থেকে চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। ২০২২ সালে তা ৩ শতাংশে নেমে আসে। মূলত ‘শূন্য কোভিড নীতি’র কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে যায়। সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়, কারখানায় উৎপাদন কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে প্রবৃদ্ধিতে। সেই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে দেশটি। গত ডিসেম্বরে শূন্য কোভিড নীতি থেকে বের হয়ে আসে চীন। অর্থনৈতিক উন্নতির বিষয়টি উঠে এসেছে ঋণমান যাচাইকারী বৈশ্বিক সংস্থা মুডিসের পূর্বাভাসেও। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে চীনের জন্য ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে মুডিস। গত বছর যা ছিল ৪ শতাংশ। এদিকে চীনের প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও বৈশ্বিক অর্থনীতি আরও দুর্বল হবে বলে বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে। এর মূল কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিভিন্ন দেশে ক্রমবর্ধমান নীতি সুদহার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সম্প্রতি জানিয়েছে, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে আর্থিক খাতের অস্থিরতা আরও তীব্র হলে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি কমে আড়াই শতাংশে দাঁড়াতে পারে। আগামী বছর সেটি কিছুটা বেড়ে ৩ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।