SaifulRahman
2023-07-03, 04:13 PM
জাপানের রাজধানী টোকিওতে তিন মাসের মধ্যে দুই দফায় মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এক জরিপ বলছে, ব্যাংক অব জাপান (বিওজে) আগামী মাসে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস আরো বাড়াতে পারে। সম্প্রতি জাপানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানীতে ভোগ্যপণ্য ব্যতীত টাটকা সবজির দাম আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে, যা গত মাসের সংশোধিত মূল্য তালিকার তুলনায় কিছুটা দ্রুতগতিতে বেড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়া। চলতি মাস থেকে পরিষেবা বিল বাড়ানোর সরকারি অনুমোদন দেয়ার পর বাজারে এ প্রভাব পড়েছে। তবে অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ধীরগতিতে এগিয়েছে। http://forex-bangla.com/customavatars/414706495.jpg
পৃথক তথ্যে দেখা গেছে, জানুয়ারিতে প্রথম পতনের পর পুনরুদ্ধারের গতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল। তবে গত মাসে কারখানার উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় কমেছে। শ্রমবাজার তুলনামূলকভাবে কঠিন অবস্থায় রয়েছে। বেকারত্বের হার ২ দশমিক ৬ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও প্রতিটি আবেদনকারীর বিপরীতে চাকরি প্রাপ্তির সংখ্যা কিছুটা কমে ১ দশমিক ৩১ হয়েছে।
কিছুটা দ্রুতগতিতে দাম বাড়ার ফলে আগামী মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভায় ব্যাংক অব জাপান তার মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস পরিবর্তন করতে পারে। দাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র নির্বাহী অর্থনীতিবিদ ইয়োশিকি শিনকে বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ বিওজের প্রত্যাশিত হারের চেয়ে বেশি হয়েছে। তাই কোনো সন্দেহ নেই, বিওজে আগামী মাসে এ বছরের জন্য মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস আরো বাড়াবে। এখন কী পরিমাণ এবং কত দ্রুত তারা বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলানোর চেষ্টা করবে সেটাই দেখার বিষয়।’
বিওজের হিসাবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি দেখানো হলেও বেসরকারি অর্থনীতিবিদদের হিসাবে এ হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। তাই ব্যাপকভাবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী মাসের বৈঠকে এ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ব্যবধান সংশোধন করবে।
টোকিওতে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা এটা দেখায় যে ব্যবসার সব খরচ শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপরই চেপে বসে। এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে জাপানের খরচ বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে নাকি চাহিদা বাড়ার কারণে দাম বেড়েছে।
চলতি সপ্তাহে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধানদের সঙ্গে এক প্যানেল বক্তৃতায় অংশ নেন ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর কাজুও উয়েদা। তিনি বলেন, ‘*কোনো নীতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে চলতি বছরের শেষে মন্দার পর মূল্যস্ফীতি যে আরো বাড়বে তা যুক্তিসংগতভাবে নিশ্চিত হওয়া দরকার।’
জাপানের ওপর বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব আরেকটি কারণ, যা ব্যাংকটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কারখানার হিসাব বলছে, আগের মাসের তুলনায় উৎপাদন ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। যদিও উৎপাদনের মাত্রা এখনো গত বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি রয়েছে।
অটো খাতে উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে, যা এক বছর আগে সরবরাহ বন্ধ রাখার পর থেকে সবচেয়ে বড় পতন। লিথিয়াম স্টোরেজ ব্যাটারি এবং চিপ-মেজারিং ডিভাইসসহ অন্যান্য আইটেমের উৎপাদন কমে গেলেও চিপ উৎপাদন সরঞ্জামের পরিমাণ বেড়েছে।
অন্যদিকে ক্রেডিট রিসার্চ ফার্ম টেইকোকু ডাটাব্যাংকের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের প্রথম ১০ মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে ২৯ হাজার ১০৬টি পণ্যের দাম বেড়েছে, যা ২০২২ সালের চেয়ে বেশি। গত বছর মোট ২৫ হাজার ৭৬৮টি পণ্যের দাম বেড়েছিল।
১৯৫টি প্রধান খাদ্য কোম্পানির বরাত দিয়ে জাপান টাইমস বলছে, জুলাইয়ে অন্তত ৩ হাজার ৫৬৬টি খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। দাম বাড়া পণ্য তালিকার প্রায় অর্ধেক আইটেমই রুটিপণ্য। সরকার আমদানি করা গমের দাম বাড়ানোর ফলে রুটির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পৃথক তথ্যে দেখা গেছে, জানুয়ারিতে প্রথম পতনের পর পুনরুদ্ধারের গতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল। তবে গত মাসে কারখানার উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় কমেছে। শ্রমবাজার তুলনামূলকভাবে কঠিন অবস্থায় রয়েছে। বেকারত্বের হার ২ দশমিক ৬ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও প্রতিটি আবেদনকারীর বিপরীতে চাকরি প্রাপ্তির সংখ্যা কিছুটা কমে ১ দশমিক ৩১ হয়েছে।
কিছুটা দ্রুতগতিতে দাম বাড়ার ফলে আগামী মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভায় ব্যাংক অব জাপান তার মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস পরিবর্তন করতে পারে। দাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র নির্বাহী অর্থনীতিবিদ ইয়োশিকি শিনকে বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ বিওজের প্রত্যাশিত হারের চেয়ে বেশি হয়েছে। তাই কোনো সন্দেহ নেই, বিওজে আগামী মাসে এ বছরের জন্য মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস আরো বাড়াবে। এখন কী পরিমাণ এবং কত দ্রুত তারা বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলানোর চেষ্টা করবে সেটাই দেখার বিষয়।’
বিওজের হিসাবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি দেখানো হলেও বেসরকারি অর্থনীতিবিদদের হিসাবে এ হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। তাই ব্যাপকভাবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী মাসের বৈঠকে এ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ব্যবধান সংশোধন করবে।
টোকিওতে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা এটা দেখায় যে ব্যবসার সব খরচ শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপরই চেপে বসে। এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে জাপানের খরচ বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে নাকি চাহিদা বাড়ার কারণে দাম বেড়েছে।
চলতি সপ্তাহে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধানদের সঙ্গে এক প্যানেল বক্তৃতায় অংশ নেন ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর কাজুও উয়েদা। তিনি বলেন, ‘*কোনো নীতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে চলতি বছরের শেষে মন্দার পর মূল্যস্ফীতি যে আরো বাড়বে তা যুক্তিসংগতভাবে নিশ্চিত হওয়া দরকার।’
জাপানের ওপর বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব আরেকটি কারণ, যা ব্যাংকটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কারখানার হিসাব বলছে, আগের মাসের তুলনায় উৎপাদন ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। যদিও উৎপাদনের মাত্রা এখনো গত বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি রয়েছে।
অটো খাতে উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে, যা এক বছর আগে সরবরাহ বন্ধ রাখার পর থেকে সবচেয়ে বড় পতন। লিথিয়াম স্টোরেজ ব্যাটারি এবং চিপ-মেজারিং ডিভাইসসহ অন্যান্য আইটেমের উৎপাদন কমে গেলেও চিপ উৎপাদন সরঞ্জামের পরিমাণ বেড়েছে।
অন্যদিকে ক্রেডিট রিসার্চ ফার্ম টেইকোকু ডাটাব্যাংকের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের প্রথম ১০ মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে ২৯ হাজার ১০৬টি পণ্যের দাম বেড়েছে, যা ২০২২ সালের চেয়ে বেশি। গত বছর মোট ২৫ হাজার ৭৬৮টি পণ্যের দাম বেড়েছিল।
১৯৫টি প্রধান খাদ্য কোম্পানির বরাত দিয়ে জাপান টাইমস বলছে, জুলাইয়ে অন্তত ৩ হাজার ৫৬৬টি খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। দাম বাড়া পণ্য তালিকার প্রায় অর্ধেক আইটেমই রুটিপণ্য। সরকার আমদানি করা গমের দাম বাড়ানোর ফলে রুটির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।