Montu Zaman
2023-07-06, 02:17 PM
চীনের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে বিদ্যমান দুর্বলতা প্রকাশিত হওয়ার পর এশিয়ার পুঁজিবাজার আবারো নিম্নমুখী। অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের প্রণোদনা ব্যবস্থা। ওয়াল স্ট্রিটে মার্কিন স্বাধীনতা দিবসের ছুটির জন্য কার্যক্রমের অনুপস্থিতি বিনিয়োগকারীদের কার্যকলাপকে আরো কমিয়ে দিয়েছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে এএফপির সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে। সবার দৃষ্টি এখন ফেডারেল রিজার্ভের জুনের পলিসি মিটিংয়ের দিকে, যেখানে এক দশকের ধারাবাহিক সুদহার বৃদ্ধির পর স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। উচ্চ প্রত্যাশিত নতুন কর্মসংস্থান তৈরির ডাটা বিশ্লেষণ করা হবে, যা কিনা বিশ্বের সেরা অর্থনীতিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে পরিগণিত। http://forex-bangla.com/customavatars/1383082304.png
চলতি বছরে ফেডারেল রিজার্ভসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের চিন্তিত রেখেছে। পাশাপাশি বেইজিংয়ের প্রবৃদ্ধি ফিরে পাওয়ার ব্যর্থতা ও বাজার অস্থিরতাও এতে ভূমিকা রেখেছে। সাম্প্রতিক সূচকগুলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ও বৈশ্বিক জিডিপির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে চীনের অবস্থানকে পুনরুদ্ধারের জন্য করণীয় সব কাজ দেখানো হয়েছে। কারণ কর্তৃপক্ষের সীমিত পদক্ষেপ ও সুদহার সামান্য কমানো সত্ত্বেও কভিড-১৯-পরবর্তী নীতির প্রাথমিক পর্যায়ে মন্থরতা দেখেছে চীনের অর্থনীতি।
সর্বশেষ কাইশিন জরিপ পরিষেবা খাতে জুনে উল্লেখযোগ্য মন্দাকে তুলে ধরেছে। এদিকে অফিশিয়াল ডাটা ও ভোক্তাদের কার্যক্রম কমে যাওয়ার ফলে বাজারের উদ্বেগ প্রবণতা আরো বেড়েছে। তবে বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস করেছেন বেইজিংয়ের সহায়তা প্রদানের সক্ষমতা দেশের উচ্চ ঋণের মাত্রার কারণে সীমাবদ্ধ হবে। ফলে পূর্ববর্তী প্রণোদনার কার্যকারিতা কমে যাবে। ফলে এশিয়ার বাজার প্রথম দিকে পতনের সম্মুখীন হয়, যেখানে হংকং পতনের শীর্ষে ছিল। তার সঙ্গে সাংহাই, টোকিও, সিডনি, সিওল, সিঙ্গাপুর, তাইপে, ওয়েলিংটন ও ম্যানিলার বাজারও ছিল নিম্নমুখী।
অর্থনৈতিক মন্দার চিন্তা ছাড়াও চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর এবার রফতানিতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে চীন। চীন মাইক্রো চিপ উৎপাদনে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ধাতুর ওপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তির বাণিজ্য দ্বন্দ্বকে আরো তীব্র করবে। বেইজিং ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হাই-টেক মাইক্রোচিপ কেন্দ্রিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বের সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি।
চীনের রফতানিকারকদের গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম পণ্য রফতানিতে অনুমতি নিতে হবে। যদিও চীন জোর দিয়ে বলেছে, পদক্ষেপটি জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে নেয়া হয়েছে, তবে রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং দেশগুলোকে সরবরাহ চেইন বিচ্ছিন্নকরণ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। তবে কিছু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন এ ধাতুগুলোর বৈশ্বিক উৎপাদক হিসেবে চীনের আধিপত্য ও রফতানি বিধিনিষেধ বিশ্বকে উচ্চপ্রযুক্তির বিচ্ছিন্নতার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। প্রযুক্তিগত এ দ্বন্দ্ব আমেরিকা ও চীনের দ্বন্দ্বকে অক্ষশক্তি ও মিত্রশক্তির পরিস্থিতি তৈরি করেছে, বড় পরিসরে যার প্রভাব পড়বে প্রযুক্তির দুনিয়ায়।
চলতি বছরে ফেডারেল রিজার্ভসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের চিন্তিত রেখেছে। পাশাপাশি বেইজিংয়ের প্রবৃদ্ধি ফিরে পাওয়ার ব্যর্থতা ও বাজার অস্থিরতাও এতে ভূমিকা রেখেছে। সাম্প্রতিক সূচকগুলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ও বৈশ্বিক জিডিপির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে চীনের অবস্থানকে পুনরুদ্ধারের জন্য করণীয় সব কাজ দেখানো হয়েছে। কারণ কর্তৃপক্ষের সীমিত পদক্ষেপ ও সুদহার সামান্য কমানো সত্ত্বেও কভিড-১৯-পরবর্তী নীতির প্রাথমিক পর্যায়ে মন্থরতা দেখেছে চীনের অর্থনীতি।
সর্বশেষ কাইশিন জরিপ পরিষেবা খাতে জুনে উল্লেখযোগ্য মন্দাকে তুলে ধরেছে। এদিকে অফিশিয়াল ডাটা ও ভোক্তাদের কার্যক্রম কমে যাওয়ার ফলে বাজারের উদ্বেগ প্রবণতা আরো বেড়েছে। তবে বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস করেছেন বেইজিংয়ের সহায়তা প্রদানের সক্ষমতা দেশের উচ্চ ঋণের মাত্রার কারণে সীমাবদ্ধ হবে। ফলে পূর্ববর্তী প্রণোদনার কার্যকারিতা কমে যাবে। ফলে এশিয়ার বাজার প্রথম দিকে পতনের সম্মুখীন হয়, যেখানে হংকং পতনের শীর্ষে ছিল। তার সঙ্গে সাংহাই, টোকিও, সিডনি, সিওল, সিঙ্গাপুর, তাইপে, ওয়েলিংটন ও ম্যানিলার বাজারও ছিল নিম্নমুখী।
অর্থনৈতিক মন্দার চিন্তা ছাড়াও চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর এবার রফতানিতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে চীন। চীন মাইক্রো চিপ উৎপাদনে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ধাতুর ওপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তির বাণিজ্য দ্বন্দ্বকে আরো তীব্র করবে। বেইজিং ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হাই-টেক মাইক্রোচিপ কেন্দ্রিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বের সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি।
চীনের রফতানিকারকদের গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম পণ্য রফতানিতে অনুমতি নিতে হবে। যদিও চীন জোর দিয়ে বলেছে, পদক্ষেপটি জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে নেয়া হয়েছে, তবে রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং দেশগুলোকে সরবরাহ চেইন বিচ্ছিন্নকরণ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। তবে কিছু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন এ ধাতুগুলোর বৈশ্বিক উৎপাদক হিসেবে চীনের আধিপত্য ও রফতানি বিধিনিষেধ বিশ্বকে উচ্চপ্রযুক্তির বিচ্ছিন্নতার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। প্রযুক্তিগত এ দ্বন্দ্ব আমেরিকা ও চীনের দ্বন্দ্বকে অক্ষশক্তি ও মিত্রশক্তির পরিস্থিতি তৈরি করেছে, বড় পরিসরে যার প্রভাব পড়বে প্রযুক্তির দুনিয়ায়।