SUROZ Islam
2023-09-27, 02:54 PM
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উদ্বেগের এ সময়ে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যকার টানাপড়েন স্পষ্ট। পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় দূরত্ব বাড়ছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার বেইজিংয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নিয়েছে চীন। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনের খবরে এটিকে অকপট ও বাস্তবসম্মত আলোচনা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইইউর বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসও এ আলোচনা নিয়ে আশাবাদের কথা শুনিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘ইইউ কোম্পানিগুলো চীনের সাফল্যের গল্পের অংশ হতে চায়। ফলে ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের সময় ব্যয় করার তাৎপর্য রয়েছে।’ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্প, সরবরাহ চেইন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হি লাইফাং বলেছেন, আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে তার দেশ প্রস্তুত। এ আলোচনা উভয় পক্ষের কৌশলগত অংশীদারত্বকে এগিয়ে নেবে বলেও মত দেন তিনি। হি লাইফাং চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি মনে করেন, দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এতে বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতাগুলো সফলভাবে মোকাবেলা করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
ইইউ দীর্ঘদিন ধরে চীনে সবার সমান সুযোগ না থাকা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের রাজনীতিকীকরণের অভিযোগ করে আসছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এখনো ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহ চেইনের কেন্দ্রে রয়েছে। তবে চীনা অর্থনীতির উত্থান-পতন এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায় ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। চীনা কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ২০ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। পরে ইইউ থেকে আমদানির ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায় বেইজিং। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হি লাইফাং বলেন, ‘চীন আশা করে ইইউ বাণিজ্য প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যবহারে সংযম প্রদর্শন করবে।’ এর আগে ইউরোপিয়ান কমিশন ঘোষণা করেছিল, তারা সস্তা চীনা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) আমদানি প্রতিহত করতে শুল্ক আরোপ করবে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করবে। ইভি খাতসহ অন্যান্য খাতেও প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত। তবে প্রতিযোগিতাটি ন্যায্য হতে হবে। চীন তখন এ তদন্তকে সুরক্ষাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। http://forex-bangla.com/customavatars/2068850329.jpg
চলতি বছর নতুন কিছু আইন প্রণয়ন করেছে চীন। যার মধ্যে একটি বৈদেশিক সম্পর্কসংক্রান্ত এতে জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কাজের বিষয়ে সতর্কবাণী রয়েছে। এছাড়া রয়েছে গুপ্তচরবৃত্তি বিরোধী আইন, যা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ ধরনের আইন বিদেশী কোম্পানিগুলোর জন্য ঝুঁকি বাড়ায়। ডোমব্রোভস্কিস বলেন, ‘ডাটা সম্পর্কিত আইন চীনে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। চীনা ডাটা আইনের সঙ্গে ইউরোপীয় ব্যবসাকে খাপ খাইয়ে নিতে আমাদের একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
ডোমব্রোভস্কিস বলেন, ‘*এ সফরে আমি সরাসরি চীনা নেতৃত্বের কাছে মৌলিক কিছু বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছি, যা আমাদের সম্পর্কের জন্য অত্যাবশ্যক। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন একটি বিশাল হুমকি। এটি শুধু জীবন নয়, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহকেও বিপন্ন করে তুলেছে।’ সূত্র: নিক্কেই এশিয়া, সিজিটিএন।
ইইউ দীর্ঘদিন ধরে চীনে সবার সমান সুযোগ না থাকা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের রাজনীতিকীকরণের অভিযোগ করে আসছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এখনো ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহ চেইনের কেন্দ্রে রয়েছে। তবে চীনা অর্থনীতির উত্থান-পতন এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায় ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। চীনা কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ২০ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। পরে ইইউ থেকে আমদানির ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায় বেইজিং। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হি লাইফাং বলেন, ‘চীন আশা করে ইইউ বাণিজ্য প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যবহারে সংযম প্রদর্শন করবে।’ এর আগে ইউরোপিয়ান কমিশন ঘোষণা করেছিল, তারা সস্তা চীনা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) আমদানি প্রতিহত করতে শুল্ক আরোপ করবে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করবে। ইভি খাতসহ অন্যান্য খাতেও প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত। তবে প্রতিযোগিতাটি ন্যায্য হতে হবে। চীন তখন এ তদন্তকে সুরক্ষাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। http://forex-bangla.com/customavatars/2068850329.jpg
চলতি বছর নতুন কিছু আইন প্রণয়ন করেছে চীন। যার মধ্যে একটি বৈদেশিক সম্পর্কসংক্রান্ত এতে জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর কাজের বিষয়ে সতর্কবাণী রয়েছে। এছাড়া রয়েছে গুপ্তচরবৃত্তি বিরোধী আইন, যা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ ধরনের আইন বিদেশী কোম্পানিগুলোর জন্য ঝুঁকি বাড়ায়। ডোমব্রোভস্কিস বলেন, ‘ডাটা সম্পর্কিত আইন চীনে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। চীনা ডাটা আইনের সঙ্গে ইউরোপীয় ব্যবসাকে খাপ খাইয়ে নিতে আমাদের একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
ডোমব্রোভস্কিস বলেন, ‘*এ সফরে আমি সরাসরি চীনা নেতৃত্বের কাছে মৌলিক কিছু বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছি, যা আমাদের সম্পর্কের জন্য অত্যাবশ্যক। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন একটি বিশাল হুমকি। এটি শুধু জীবন নয়, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহকেও বিপন্ন করে তুলেছে।’ সূত্র: নিক্কেই এশিয়া, সিজিটিএন।