Montu Zaman
2023-12-10, 03:45 PM
দুর্বল ইয়েনের বিনিময় হারে পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কারণ ব্যাংক অব জাপান (বিওজে) শিথিল মুদ্রানীতি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির অর্থনীতিতে কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে ইয়েন শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। খবর নিক্কেই এশিয়া। ইয়েন চলতি সপ্তাহে মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ১৪১-এ উঠেছিল। দিন শেষ হওয়ার আগে এটি ছিল ১৪৪-এর কাছাকাছি। ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর কাজুও উয়েদা পার্লামেন্টকে জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহ ও আগামী বছরের মধ্যে পরিচালনা নীতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1836607484.jpg
গতকাল ইয়েনের বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার কিছুটা দুর্বল হয়ে প্রায় ১৪৫-এ দাঁড়িয়েছে। মূলত এটি মার্কিন কর্মসংস্থানের ভালো তথ্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হয়েছিল। কিন্তু শিগগিরই এটি ১৪৪-এ আবারো ফিরে এসেছে।
অনেক বিশ্লেষকের মতে, বিওজে ১৮-১৯ ডিসেম্বরের বৈঠকে মুদ্রানীতি স্বাভাবিক করার কোনো উদ্যোগ নেবে না। এদিকে ইয়েন প্রায় এক বছর ধরে প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে আটকে রয়েছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে ইয়েন প্রায় ১৫২ হয়েছিল, যা ১৯৯০ সালের পর আর দেখা যায়নি।
ইয়েনের দুর্বলতার প্রধান কারণ ছিল বিওজের নেয়া শিথিল মুদ্রানীতি। বিওজে একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা এখনো স্বল্পমেয়াদি সুদহার নেতিবাচক রেখেছে। এর অর্থ এটি ব্যাংকগুলোকে সুদ দেয়ার পরিবর্তে অতিরিক্ত রিজার্ভ রাখার জন্য চার্জ করে। এটি প্রবৃদ্ধিকে বাড়ানোর জন্য করা, যাতে আরো ঋণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ফেড ও ইসিবি এখন আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে সুদহার হ্রাস শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিওজেও আরো কঠোর নীতি অবলম্বন করার কথা বিবেচনা করছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে চলতি বছর জাপানে বড় আকারে মজুরি বেড়েছে। তবে আগামীতে মজুরি বাড়বে কিনা তা এখন অনিশ্চিত। ১৯৯০-এর দশকের পরে কয়েক দশক ধরে দেশটিতে খুব কম মূল্যস্ফীতি বা মজুরি বৃদ্ধি হয়েছিল। এটি ব্যাংক অব জাপানকে নেতিবাচক হার থেকে বেরিয়ে আসা থেকে বিরত রেখেছিল। যার ফলে ইয়েনের মান আরো দুর্বল হয়েছে ও মূল্যস্ফীতি আরো বেড়েছে।
তবে বিওজের কর্মকর্তারা আশাবাদী যে জাপানের অর্থনীতি এখন উচ্চ সুদহার নিতে পারবে। ডেপুটি গভর্নর রিওজো হিমিনো জানান, ইতিবাচক মূল্য ও মজুরির চক্রটি ধীরে ধীরে কমছে।
তবুও জাপানের অর্থনৈতিক দুর্বলতা রয়ে গেছে। ১৯৭৩ সালে বাজারনির্ভর মুদ্রা বিনিময় হার গ্রহণের পর থেকে ইয়েন দুর্বলতম অবস্থানে রয়েছে। জাপান রফতানি শিল্প হারানোর পরে ইয়েনের চাহিদা পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে। কারণ এখনো আমদানিকারকরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল।
বড় কনপোরেশনগুলো দুর্বল ইয়েন থেকে লাভবান হয়েছে। তবে মজুরি বৃদ্ধি বা বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা লাভ ভাগাভাগি করেনি।
জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, ডিজিটালাইজেশন ও ডিকার্বনাইজেশনের মতো প্রযুক্তিতে বিনিয়োগকে জাপানের অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1836607484.jpg
গতকাল ইয়েনের বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার কিছুটা দুর্বল হয়ে প্রায় ১৪৫-এ দাঁড়িয়েছে। মূলত এটি মার্কিন কর্মসংস্থানের ভালো তথ্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হয়েছিল। কিন্তু শিগগিরই এটি ১৪৪-এ আবারো ফিরে এসেছে।
অনেক বিশ্লেষকের মতে, বিওজে ১৮-১৯ ডিসেম্বরের বৈঠকে মুদ্রানীতি স্বাভাবিক করার কোনো উদ্যোগ নেবে না। এদিকে ইয়েন প্রায় এক বছর ধরে প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে আটকে রয়েছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে ইয়েন প্রায় ১৫২ হয়েছিল, যা ১৯৯০ সালের পর আর দেখা যায়নি।
ইয়েনের দুর্বলতার প্রধান কারণ ছিল বিওজের নেয়া শিথিল মুদ্রানীতি। বিওজে একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা এখনো স্বল্পমেয়াদি সুদহার নেতিবাচক রেখেছে। এর অর্থ এটি ব্যাংকগুলোকে সুদ দেয়ার পরিবর্তে অতিরিক্ত রিজার্ভ রাখার জন্য চার্জ করে। এটি প্রবৃদ্ধিকে বাড়ানোর জন্য করা, যাতে আরো ঋণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ফেড ও ইসিবি এখন আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে সুদহার হ্রাস শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিওজেও আরো কঠোর নীতি অবলম্বন করার কথা বিবেচনা করছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে চলতি বছর জাপানে বড় আকারে মজুরি বেড়েছে। তবে আগামীতে মজুরি বাড়বে কিনা তা এখন অনিশ্চিত। ১৯৯০-এর দশকের পরে কয়েক দশক ধরে দেশটিতে খুব কম মূল্যস্ফীতি বা মজুরি বৃদ্ধি হয়েছিল। এটি ব্যাংক অব জাপানকে নেতিবাচক হার থেকে বেরিয়ে আসা থেকে বিরত রেখেছিল। যার ফলে ইয়েনের মান আরো দুর্বল হয়েছে ও মূল্যস্ফীতি আরো বেড়েছে।
তবে বিওজের কর্মকর্তারা আশাবাদী যে জাপানের অর্থনীতি এখন উচ্চ সুদহার নিতে পারবে। ডেপুটি গভর্নর রিওজো হিমিনো জানান, ইতিবাচক মূল্য ও মজুরির চক্রটি ধীরে ধীরে কমছে।
তবুও জাপানের অর্থনৈতিক দুর্বলতা রয়ে গেছে। ১৯৭৩ সালে বাজারনির্ভর মুদ্রা বিনিময় হার গ্রহণের পর থেকে ইয়েন দুর্বলতম অবস্থানে রয়েছে। জাপান রফতানি শিল্প হারানোর পরে ইয়েনের চাহিদা পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে। কারণ এখনো আমদানিকারকরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল।
বড় কনপোরেশনগুলো দুর্বল ইয়েন থেকে লাভবান হয়েছে। তবে মজুরি বৃদ্ধি বা বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা লাভ ভাগাভাগি করেনি।
জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, ডিজিটালাইজেশন ও ডিকার্বনাইজেশনের মতো প্রযুক্তিতে বিনিয়োগকে জাপানের অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে।