SUROZ Islam
2024-01-25, 02:02 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1916053657.jpg
বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ২০২৩ সালে আর্থিক ও মুদ্রানীতি কঠোর করার পথে হেঁটেছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতের তাগিদে এ বছর একের পর এক কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক ও মুদ্রানীতি শিথিল করার পথে ফিরে যেতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি এখনো লক্ষ্যমাত্রার নিচে নামেনি। প্রতিটি দেশের নিজস্ব কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। অনেকে এখনো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অপেক্ষা নীতিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তবে বছরের শেষ নাগাদ মুদ্রানীতি শিথিলের পথে হাঁটতে হতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে। বিভিন্ন দেশে একযোগে কমানো হতে পারে সুদহার। মহামারীর অভিঘাত ও পরবর্তী সময়ের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বিশ্বজুড়ে নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতির ঘটনা ঘটে। আর মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখনো অনেক দেশে সুদহার বাড়ানো হচ্ছে। ব্যাংক অব জাপান সুদহার কমানোর বদলে বাড়ানোর কথা ভাবছে। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরেই সুদহার ঋণাত্মক পর্যায়ে ছিল। কিন্তু মূল্যস্ফীতি ও মজুরি বৃদ্ধির হার প্রত্যাশার তুলনায় নেতিবাচক থাকায় সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতি বিবেচনায় সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম (ফেড)। ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহারবিষয়ক পরবর্তী নীতিমালা গ্রহণ করবে। অর্থনীতিতে বড় কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলেই যেহেতু মূল্যস্ফীতি নাগালে আসতে শুরু করেছে, সেহেতু সুদহার আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্তেই অটল থাকতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
তবে নীতিগত পরিবর্তন না এলেও ফেডের পরবর্তী বৈঠকে ইঙ্গিত দেয়া হবে কবে নাগাদ সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে। অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, আগামী মার্চেই প্রথমবারের মতো সুদহার কমানোর ঘোষণা আসবে। চলতি বছরে অন্তত পাঁচবার সুদহার কমানোর ঘোষণা আসতে পারে। সেদিক থেকে ২০ মার্চ হওয়া মিটিংয়ের আগে আরো নানা মানদণ্ড আছে বিবেচনায় রাখার মতো।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) সুদহার কমাবে কিনা এ নিয়ে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী মহলে গুঞ্জন উঠেছিল। গত সপ্তাহে ইসিবি সুদহার কমানোর সম্ভাবনাকে অনেকটাই নাকচ করে দিয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সুদহার কমানো হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা লাগার্দে মনে করেন, তিনি এ মুহূর্তে সুদহার কমিয়ে আনার পক্ষে নন। তবে যদি মূল্যস্ফীতিতে বড় কোনো আঘাত না আসে, তাহলে গ্রীষ্মের মধ্যেই সুদহার কমিয়ে আনা হতে পারে।
ইসিবি সুদহার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত দেয়ার আগে মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি মজুরি বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মতো বিষয়াবলিতে নজরে রাখতে চায়। মূল্যস্ফীতির হারকে ২ শতাংশের নিচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে, যা এখনো অর্জিত হয়নি। ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেন বলেন, ‘*সার্বিক দিক বিবেচনায় মনে হয় ইসিবি আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে চাচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক শ্লথতা তাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে।’
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের এ-বিষয়ক মীমাংসা হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। দেশটির সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। জ্বালানির মূল্যও ছিল ইতিবাচক। তবে মনিটারি পলিসি কমিটি (এমপিসি) জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রায় নেমে আসতে পারে ২০২৫ সালের শেষ দিকে। সুদহার আর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত যে আসবে না, সে বিষয়ে পূর্বাভাস দিয়েছেন জোনাথন হাসকেল। মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আগামী বছরে তিনবার কমানো হতে পারে সুদহার। ফলে আগামী ফেব্রুয়ারির অধিবেশন এমপিসির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।
বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ২০২৩ সালে আর্থিক ও মুদ্রানীতি কঠোর করার পথে হেঁটেছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতের তাগিদে এ বছর একের পর এক কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক ও মুদ্রানীতি শিথিল করার পথে ফিরে যেতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি এখনো লক্ষ্যমাত্রার নিচে নামেনি। প্রতিটি দেশের নিজস্ব কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। অনেকে এখনো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অপেক্ষা নীতিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তবে বছরের শেষ নাগাদ মুদ্রানীতি শিথিলের পথে হাঁটতে হতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে। বিভিন্ন দেশে একযোগে কমানো হতে পারে সুদহার। মহামারীর অভিঘাত ও পরবর্তী সময়ের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বিশ্বজুড়ে নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতির ঘটনা ঘটে। আর মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখনো অনেক দেশে সুদহার বাড়ানো হচ্ছে। ব্যাংক অব জাপান সুদহার কমানোর বদলে বাড়ানোর কথা ভাবছে। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরেই সুদহার ঋণাত্মক পর্যায়ে ছিল। কিন্তু মূল্যস্ফীতি ও মজুরি বৃদ্ধির হার প্রত্যাশার তুলনায় নেতিবাচক থাকায় সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে বৈশ্বিক অর্থনীতি বিবেচনায় সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম (ফেড)। ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহারবিষয়ক পরবর্তী নীতিমালা গ্রহণ করবে। অর্থনীতিতে বড় কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলেই যেহেতু মূল্যস্ফীতি নাগালে আসতে শুরু করেছে, সেহেতু সুদহার আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্তেই অটল থাকতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
তবে নীতিগত পরিবর্তন না এলেও ফেডের পরবর্তী বৈঠকে ইঙ্গিত দেয়া হবে কবে নাগাদ সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে। অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, আগামী মার্চেই প্রথমবারের মতো সুদহার কমানোর ঘোষণা আসবে। চলতি বছরে অন্তত পাঁচবার সুদহার কমানোর ঘোষণা আসতে পারে। সেদিক থেকে ২০ মার্চ হওয়া মিটিংয়ের আগে আরো নানা মানদণ্ড আছে বিবেচনায় রাখার মতো।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) সুদহার কমাবে কিনা এ নিয়ে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী মহলে গুঞ্জন উঠেছিল। গত সপ্তাহে ইসিবি সুদহার কমানোর সম্ভাবনাকে অনেকটাই নাকচ করে দিয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সুদহার কমানো হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা লাগার্দে মনে করেন, তিনি এ মুহূর্তে সুদহার কমিয়ে আনার পক্ষে নন। তবে যদি মূল্যস্ফীতিতে বড় কোনো আঘাত না আসে, তাহলে গ্রীষ্মের মধ্যেই সুদহার কমিয়ে আনা হতে পারে।
ইসিবি সুদহার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত দেয়ার আগে মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি মজুরি বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মতো বিষয়াবলিতে নজরে রাখতে চায়। মূল্যস্ফীতির হারকে ২ শতাংশের নিচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে, যা এখনো অর্জিত হয়নি। ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেন বলেন, ‘*সার্বিক দিক বিবেচনায় মনে হয় ইসিবি আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে চাচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক শ্লথতা তাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে।’
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের এ-বিষয়ক মীমাংসা হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। দেশটির সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। জ্বালানির মূল্যও ছিল ইতিবাচক। তবে মনিটারি পলিসি কমিটি (এমপিসি) জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রায় নেমে আসতে পারে ২০২৫ সালের শেষ দিকে। সুদহার আর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত যে আসবে না, সে বিষয়ে পূর্বাভাস দিয়েছেন জোনাথন হাসকেল। মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আগামী বছরে তিনবার কমানো হতে পারে সুদহার। ফলে আগামী ফেব্রুয়ারির অধিবেশন এমপিসির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।