Log in

View Full Version : Crude Oil ফান্ডামেন্টাল ও টেকনিক্যাল এনালাইসিস। 2024



Rassel Vuiya
2024-03-03, 06:42 PM
খনি থেকে তেলের দৈনিক উত্তোলন হ্রাসের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস, তার সুফল পেতে শুরু করেছে জোটভুক্ত দেশগুলো। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উভয় বেঞ্চমার্ক – ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়েছে ২ শতাংশ বা তারও বেশি।
20446
শুক্রবার প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড বিক্রি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৫৫ ডলারে এবং প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৭৯ দশমিক ৯৭ ডলারে। শতকরা হিসেবে আগের দিন বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রতি ব্যারেলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ২ দশমকি ১০ শতাংশ।

Montu Zaman
2024-12-08, 04:16 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/641669446.jpg
বিশ্ববাজারে আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহে উদ্বৃত্তের পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। চাহিদা নিম্নমুখী থাকায় সরবরাহ বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। এ কারণে শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১ শতাংশের বেশি কমেছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট। গত শুক্রবার এর দাম ব্যারেলপ্রতি ৭১ ডলার ১২ সেন্টে স্থির হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৯৭ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ কম। অন্যদিকে মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম কমেছে ব্যারেলে ১ ডলার ১০ সেন্ট বা ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের মূল্য নেমেছে ৬৭ ডলার ২০ সেন্ট।
সপ্তাহ শেষে ব্রেন্টের দাম ২ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ।

এদিকে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের জন্য বাড়তি রিগ স্থাপন করা হয়েছে। এতে উত্তোলন বাড়লে দাম আরো কমে যেতে পারে।

ব্যাংক অব আমেরিকার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উদ্বৃত্ত বাড়তে পারে। এ কারণে ২০২৫ সালে ব্রেন্টের দাম হতে পারে ব্যারেলপ্রতি গড়ে ৬৫ ডলার। আগামী বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়তে পারে দৈনিক গড়ে ১০ লাখ ব্যারেল।

পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক ও রাশিয়াসহ অন্যান্য সহযোগী দেশ নিয়ে গঠিত ওপেক প্লাস। সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী অর্ধেকেরও বেশি জ্বালানি তেল উত্তোলন করে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে উত্তোলন কমানোর পরিকল্পনা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি। তবে বৈশ্বিক চাহিদার মন্দা ও অন্যান্য দেশে উত্তোলন বৃদ্ধি পাওয়ায় তা আবার পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।

ওপেক প্লাস সদস্যভুক্ত দেশগুলো দৈনিক গড়ে ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছে, যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার ওপেক প্লাস ঘোষণা দিয়েছে, দুই ধাপে সদস্য আট দেশের উত্তোলন কমানোর পরিকল্পনার মেয়াদ আগামী বছরের শেষের পরিবর্তে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

SumonIslam
2024-12-22, 06:25 PM
ইউরোপের দেশগুলোয় নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছিল। তবে আগামী বছরের শুরুতে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে পণ্যটির রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে কমতে পারে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিশ্লেষকরা জানান, আটলান্টিক সাগর পথে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানির মাধ্যমে মুনাফা করার সুযোগ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ। এছাড়া পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে। এ কারণে সামনের দিনগুলোয় রফতানি কমতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1895871952.png
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) মধ্যে দামের পার্থক্য প্রতি ব্যারেলে প্রায় ৩ ডলার ৪০ সেন্টে নেমে এসেছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের শেষদিনে এ পার্থক্যের পরিমাণ ছিল ৩ ডলার ৪৪ সেন্ট।

জাপানভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান মিজুহো। এ প্রতিষ্ঠানের এনার্জি ফিউচার ডিরেক্টর বব ইয়াগার বলেন, ‘*আমার মতে, ব্যারেলপ্রতি ৪ ডলার পার্থক্যই বেশি ও কম রফতানির মধ্যে বিভাজন রেখা।’

উল্লেখ্য, ডব্লিউটিআই ও ব্রেন্টের মধ্যে দামের কম পার্থক্য রফতানিতে লাভের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপের দেশগুলোয় জ্বালানি তেল রফতানি কম লাভজনক হয়ে উঠেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদও কমেছে। ওকলাহোমার কুশিংয়ে প্রধান স্টোরেজ হাবে পণ্যটির মজুদ ২ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছে। মজুদ কমে গেলে সাধারণত অভ্যন্তরীণ দাম বেড়ে যায়। ফলে রফতানি তুলনায় স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নভেম্বরের শেষে ডব্লিউটিআই ও ব্রেন্টের মধ্যে দামের পাথর্ক্য ছিল ব্যারেলে ৪ ডলার ৫০ সেন্ট। ফলে সে সময় আটলান্টিক পথে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি বেড়েছিল।