PDA

View Full Version : ক্রিপ্টোকারেন্সি ে ব্যাপক দরপতন



Rakib Hashan
2024-04-17, 06:01 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1774778680.jpeg
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি দর ব্যাপকভাবে কমছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলার দিন অর্থাৎ শনিবার (১৩ এপ্রিল) থেকে গত ৫ দিনে বিটকয়েনের দাম কমেছে ৫ হাজার ডলার। ইসরায়েলে হামলা ও বিটকয়েন হালভিংয়ের প্রভাবে দাম কমছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সিএনবিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার রাতে তেহরান ইসরায়েলের দিকে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সেদিন প্রতিটি বিটকয়েনের দাম ছিলো ৬৮ হাজার ডলার। আজ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে যেটির দর কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৮০০ ডলারে। ক্রিপ্টোর প্রধান মুদ্রা বিটকয়েন ছাড়াও দর কমেছে ইথেরিয়াম ও বিএনবির।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার দিন প্রতিটি ইথেরিয়ামের দাম ছিলো ৩ হাজার ৩০০ ডলার। হামলার পরের দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল এই কয়েনটির দাম কমে ২ হাজার ৮০০ ডলারে নেমে যায়। এরপর ইথেরিয়ামের দর কিছুটা বেড়ে আজ লেনদেন চলছে ৩ হাজার ডলারে। অপরদিকে গত শনিবার বিএনবি’র দাম ছিলো ৬০০ ডলার। হামলার পরের দিনই এর দাম কমে ৫০০ ডলারে ঠেকে। তবে এরপরে দাম কিছুটা বেড়ে ৫৩৯ ডলারে লেনদেন চলছে।
এদিকে আগামী ২ দিন পরেই বিটকয়েন হালভিং অনুষ্ঠিত হবে। এই হালভিং ইভেন্ট প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। হালভিং প্রক্রিয়ার আগে এবং পরের একমাস ক্রিপ্টোকারেন্স র দরপতন হয়।
তথ্য মতে, ২০১২ সালে সর্বপ্রথম বিটকয়েন হালভিং হয়েছিলো। তখন বিটকয়েন মাইনিংয়ের প্রতিটি ব্লকের জন্য পুরস্কার ৫০ বিটকয়েন থেকে কমিয়ে ২৫ বিটকয়েন করা হয়। এরপর দ্বিতীয় হালভিং হয় ২০১৬ সালে। এসময় প্রতিটি ব্লকের জন্য পুরস্কার আরও কমিয়ে সাড়ে ১২ বিটকয়েন করা হয়। ২০২০ সালের মে মাসে যা আরও কমে মাত্র ৬ দশমিক ২৫ বিটকয়েনে নেমে আসে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চলতি এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হালভিংয়ে পুরস্কার আরও কমে প্রতি ব্লকে ৩ দশমিক ১২ বিটকয়েনে নেমে আসবে।
সর্বপ্রথম বিটকয়েন হালভিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ২০১২ সালে। হালভিংয়ের পরের মাসে বিটকয়েনের ৯ শতাংশ দর বৃদ্ধি পায়। তবে পরের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে বিটকয়েনের দার বেড়েছিলো ৮ হাজার ৮৩৯ শতাংশ।
দ্বিতীয়বার হালভিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ২০১৬ সালে। এর পরের মাসে বিটকয়েনের দাম কমেছিলো ১০ শতাংশ। তবে ২০১৭ সালে ২৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিটি বিটকয়েন ২০ হাজার ডলারে উঠেছিলো। এছাড়া ২০২০ সালের বিটকয়েন হালভিংয়ের পরের মাসে ৬ শতাংশ এবং পরের বছর ৫৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

Gforp
2024-10-31, 11:53 PM
সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে ব্যাপক দরপতন ঘটেছে, যা মূলত কয়েকটি কারণে হয়েছে। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে চান। দ্বিতীয়ত, বড় কিছু ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে অনিয়ম এবং আর্থিক দুর্নীতির খবর বাজারের বিশ্বাসকে দুর্বল করেছে। তৃতীয়ত, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ক্রিপ্টো নিয়ে কঠোর নিয়মাবলীর প্রয়োগও বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এসব কারণে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে, যা দাম কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। ফলে বিটকয়েন এবং অন্যান্য জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা পুরো বাজারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।

Gforp
2024-10-31, 11:54 PM
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দরপতন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেকটাই প্রভাবিত। অর্থনীতিতে সংকট, বিশেষ করে আমেরিকান ডলারের শক্তিশালীকরণ এবং উচ্চ সুদের হার বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি কমানোর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর ফলে, বিটকয়েন এবং অন্যান্য প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলোর দাম অনেকটা নীচে নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, কিছু বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে ঘটে যাওয়া আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের খবরও বাজারে ভীতির সঞ্চার করেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কঠোর মনোভাব এবং নতুন নিয়মের প্রয়োগও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।

এছাড়া, ক্রিপ্টোকারেন্সি উত্থানকে ঘিরে অনেক বিনিয়োগকারী সেন্টিমেন্ট পরিবর্তন করেছেন। এভাবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রিপ্টো বাজারের উন্নতি এবং স্থিতিশীলতা আবার ফিরে আসতে বেশ সময় লাগতে পারে।

Gforp
2024-10-31, 11:56 PM
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে চলমান দরপতন একটি জটিল পরিস্থিতির ফলস্বরূপ। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধির ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে, বিটকয়েন, ইথেরিয়াম এবং অন্যান্য প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সি দাম হ্রাস পাচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, কিছু ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ কমিশনের (sec) ক্র্যাকডাউন বাজারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে, বিশাল কোম্পানি যেমন ftx-এর পতন বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

এর সাথে, প্রচলিত অর্থনৈতিক সংকট এবং জিওপলিটিক্যাল অস্থিরতা যেমন ইউক্রেন যুদ্ধও বিনিয়োগকারীদের মনে ভীতি তৈরি করেছে। এই কারণে, অনেকেই তাদের বিনিয়োগ কমিয়ে দিচ্ছে বা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করছে। সব মিলিয়ে, ক্রিপ্টো বাজারের ভবিষ্যৎ অন্ধকার এবং স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

Gforp
2024-10-31, 11:57 PM
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে দরপতনটি গত কয়েক মাসে একটি প্রবাহিত ট্রেন্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। উচ্চ সুদের হার নিরাপত্তার জন্য ঐতিহ্যবাহী সম্পদের দিকে বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ কমে গেছে।

এছাড়া, বিভিন্ন বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের দেউলিয়ার খবর এবং সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধের কারণে বাজারে একটি অস্থির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যেমন, sec-এর কঠোর মনোভাব এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্রিপ্টো প্রকল্পের বিরুদ্ধে তদন্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছে।

বিশ্বজুড়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও, বর্তমান পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সময় এবং সংকল্পের প্রয়োজন। বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং বাজারের স্থিতিশীলতা পুনর্বহাল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Gforp
2024-10-31, 11:58 PM
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের বর্তমান দরপতন একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে এসেছে, যা বিভিন্ন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত কারণ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। সর্বপ্রথম, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় সুদের হার বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। উচ্চ সুদের হার নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝোঁকানোর কারণে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ কমেছে।

দ্বিতীয়ত, বেশ কয়েকটি প্রধান ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে ধোঁকাবাজির অভিযোগ এবং তার ফলস্বরূপ ব্যবসার অস্থিরতা বাজারকে আরো সংকটময় করে তুলেছে। ftx-এর পতন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো প্রকল্পের দুর্নীতির খবর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে, যার ফলে তারা তাদের বিনিয়োগ দ্রুত ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

তৃতীয়ত, সরকারি নিয়ন্ত্রণের চাপ বাড়ানো এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাবও বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। এছাড়া, প্রযুক্তিগত খরচ এবং নিরাপত্তা সমস্যা, যেমন হ্যাকিং-এর ঘটনা, ক্রিপ্টো বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই কারণে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা এবং আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য একটি সুদৃঢ় ভিত্তি এবং বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সকল অংশগ্রহণকারীদের সহযোগিতা অপরিহার্য। ক্রিপ্টোকারেন্সি ভবিষ্যৎ তাই অনেকটাই নির্ভর করছে বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি এবং নিয়ন্ত্রক নীতির ওপর।