Tofazzal Mia
2024-05-09, 04:09 PM
যুদ্ধ মহামারীসহ নানা কারণে গত কয়েক বছর সংকটের মধ্যে ছিল বিশ্ব অর্থনীতি। প্রবৃদ্ধির গতিও ছিল শ্লথ। তবে এবার বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে সুখবর পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, চলতি বছর বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণের বেশি হবে। মূল্যস্ফীতি হ্রাস ও মার্কিন অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান চাঙ্গাভাব এ প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রাখছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্য, ক্রমবর্ধমান সুদহার ও মন্থর চাহিদার কারণে ২০২৩ সালে মন্দার মুখে পড়েছিল বিশ্ব অর্থনীতি। তবে চলতি বছর ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ওইসিডির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৪ সালে পণ্য ও পরিষেবার বৈশ্বিক বাণিজ্য ২ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়বে। এছাড়া ২০২৫ সালে এটি বেড়ে দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে। গত বছর এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ।
সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ক্লেয়ার লোম্বারডেলি বলেন, ‘*বৃহত্তর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য বৃদ্ধির কারণে একটি ‘*‘*চক্রীয় পুনরুদ্ধার’’ (সাইক্লিক্যাল রিকভারি) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে চীন ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
বৈশ্বিক এ বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করেছে। এছাড়া সামগ্রিকভাবে ইউরোজোনের প্রবৃদ্ধিও দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের পর থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থান।
http://forex-bangla.com/customavatars/969433902.jpg
ক্লেয়ার লোম্বারডেলি বলেন, ‘*চলতি বছরের পাশাপাশি আগামী বছরও আমাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাণিজ্যের দিক থেকে বেশ ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।’
সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে আইএমএফের পূর্বাভাসের বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশ।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ নীল শিয়ারিং বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক বাণিজ্যে বেশকিছু ইতিবাচক প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। ২০২৩ সালের উৎপাদন মন্দা বাণিজ্য কার্যক্রমে কিছুটা আঘাত করেছিল। ফলে মন্থর ছিল বিশ্ব বাণিজ্য। তবে এখন আবার গতি ফিরতে শুরু করেছে।’
বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ব্লকটির দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো পর্যটন খাতের পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে।’
উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান স্পেনের কথা। দেশটি এপ্রিলের পরিবর্তে মার্চের ইস্টার হলিডের দিনগুলো থেকে বেশি লাভবান হয়েছে, যা প্রথম প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছিল।
দেশটির পরিসংখ্যান অফিস বলছে, এ প্রবৃদ্ধির পেছনে বিদেশী চাহিদার ভূমিকা ছিল দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট। পাশাপাশি স্থানীয় চাহিদা অবদান রেখেছে দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট। এদিকে জার্মানি ও ইতালি উভয়ই জানিয়েছে, উচ্চ নিট রফতানিও প্রথম প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।
জার্মান ব্যাংক বেরেনবার্গের অর্থনীতিবিদ স্যালোমন ফিডলার বলেন, ‘আমরা আশা করছিলাম, ইউরোজোনের বৈদেশিক বাণিজ্য চলতি বছর বাড়বে। যদিও এখন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, এটি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বিশেষ করে রফতানিতে আমরা আগে যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে দ্রুতগতিতে ঘটেছে।’
নেদারল্যান্ডস ব্যুরো ফর ইকোনমিক পলিসি অ্যানালাইসিস (সিপিবি) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড মনিটরের তথ্যানুসারে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির পণ্য বাণিজ্য এক বছরের মধ্যে প্রথমবার প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রসারণ বার্ষিক পণ্য বাণিজ্য বৃদ্ধিকে বছরের দ্বিতীয় মাসে ১ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করতে সাহায্য করেছে, যা আগের মাসের দশমিক ৯ শতাংশ সংকোচন এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সংকোচনের ভালো অবস্থা।
নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্য, ক্রমবর্ধমান সুদহার ও মন্থর চাহিদার কারণে ২০২৩ সালে মন্দার মুখে পড়েছিল বিশ্ব অর্থনীতি। তবে চলতি বছর ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ওইসিডির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৪ সালে পণ্য ও পরিষেবার বৈশ্বিক বাণিজ্য ২ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়বে। এছাড়া ২০২৫ সালে এটি বেড়ে দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে। গত বছর এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ।
সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ক্লেয়ার লোম্বারডেলি বলেন, ‘*বৃহত্তর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য বৃদ্ধির কারণে একটি ‘*‘*চক্রীয় পুনরুদ্ধার’’ (সাইক্লিক্যাল রিকভারি) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে চীন ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
বৈশ্বিক এ বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করেছে। এছাড়া সামগ্রিকভাবে ইউরোজোনের প্রবৃদ্ধিও দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের পর থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থান।
http://forex-bangla.com/customavatars/969433902.jpg
ক্লেয়ার লোম্বারডেলি বলেন, ‘*চলতি বছরের পাশাপাশি আগামী বছরও আমাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাণিজ্যের দিক থেকে বেশ ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।’
সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে আইএমএফের পূর্বাভাসের বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশ।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ নীল শিয়ারিং বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক বাণিজ্যে বেশকিছু ইতিবাচক প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। ২০২৩ সালের উৎপাদন মন্দা বাণিজ্য কার্যক্রমে কিছুটা আঘাত করেছিল। ফলে মন্থর ছিল বিশ্ব বাণিজ্য। তবে এখন আবার গতি ফিরতে শুরু করেছে।’
বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ব্লকটির দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো পর্যটন খাতের পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে।’
উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান স্পেনের কথা। দেশটি এপ্রিলের পরিবর্তে মার্চের ইস্টার হলিডের দিনগুলো থেকে বেশি লাভবান হয়েছে, যা প্রথম প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছিল।
দেশটির পরিসংখ্যান অফিস বলছে, এ প্রবৃদ্ধির পেছনে বিদেশী চাহিদার ভূমিকা ছিল দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট। পাশাপাশি স্থানীয় চাহিদা অবদান রেখেছে দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট। এদিকে জার্মানি ও ইতালি উভয়ই জানিয়েছে, উচ্চ নিট রফতানিও প্রথম প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।
জার্মান ব্যাংক বেরেনবার্গের অর্থনীতিবিদ স্যালোমন ফিডলার বলেন, ‘আমরা আশা করছিলাম, ইউরোজোনের বৈদেশিক বাণিজ্য চলতি বছর বাড়বে। যদিও এখন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, এটি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বিশেষ করে রফতানিতে আমরা আগে যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে দ্রুতগতিতে ঘটেছে।’
নেদারল্যান্ডস ব্যুরো ফর ইকোনমিক পলিসি অ্যানালাইসিস (সিপিবি) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড মনিটরের তথ্যানুসারে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির পণ্য বাণিজ্য এক বছরের মধ্যে প্রথমবার প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রসারণ বার্ষিক পণ্য বাণিজ্য বৃদ্ধিকে বছরের দ্বিতীয় মাসে ১ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করতে সাহায্য করেছে, যা আগের মাসের দশমিক ৯ শতাংশ সংকোচন এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সংকোচনের ভালো অবস্থা।