PDA

View Full Version : ১১ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে ফোর্ডের



Rassel Vuiya
2024-06-06, 06:53 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/481651407.jpg
যুক্তরাষ্ট্রে ফোর্ড মোটরের নতুন গাড়ি বিক্রি গত বছরের মে মাসের তুলনায় গত মাসে ১১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে গত মাসে বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের ক্ষেত্রে বড় উল্লম্ফন দেখেছে কোম্পানিটি।
ডেট্রয়েটে অটোমেকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফোর্ডের হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। ফোর্ডের প্রচলিত অন্যান্য গাড়ির তুলনায় হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির হার বাড়লেও জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর গাড়ির বিক্রির তুলনায় এখনো তা খুবই কম। গত মাসে ১ লাখ ৯০ হাজার জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর গাড়ি বিক্রি করেছে ফোর্ড। যেখানে হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে মাত্র ২৬ হাজার ৬০০টি, যা বিক্রীত মোট গাড়ির ১৪ শতাংশ।
সম্পতি ফোর্ড তাদের বৈদ্যুতিক গিাড়ি বিক্রি বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে, বিক্রি বেড়েছেও। এর পরও কোম্পানিটির ইলেকট্রিক গাড়ি ইউনিট ব্যাপক লোকসানের মধ্যে রয়েছে। জানুয়ারি-মার্চে ১০ হাজার গাড়ি হোলেসেলে বিক্রি করেছে ফোর্ড। যাতে তাদের লোকসান হয়েছে ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
চলতি বছর মে মাসে ফোর্ডের এফ-১৫০ হালকা পিকআপের বিক্রি ২০২৩ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া তাদের এমএসিএইচ-ইভি বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রিও ৪৬ শতাংশ বেড়েছে।
ইউরোপজুড়ে ২০৩০ সালের মধ্যে কেবল বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড। তবে এ অঞ্চলে ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রি আশানুরূপ না হওয়ায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে।
ইলেকট্রিক গাড়ি ও লাভজনক লাইট কমার্শিয়াল গাড়ির ব্যবসায় মনোযোগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের জ্বালানি ইঞ্জিনের গাড়ির লাইনআপ কমিয়ে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর কোম্পানিটি কলোনে তাদের ছোট আকারের ফিয়েস্তা কারের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ২০২৫ সালে জার্মানির সারলুইয়ের কারখানায় ফোকাস গাড়ির উৎপাদনও বন্ধ করে দেয়ার কথা।
কোম্পানিটি ২০২১ সালে জানিয়েছিল, ২০৩০-এর শেষ নাগাদ ইউরোপে শুধু বিদ্যুচ্চালিত প্যাসেঞ্জার কার বিক্রি করবে। ফোর্ডের এ পরিকল্পনা ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিকল্পনার চেয়েও বেশি উচ্চাভিলাষী। ইইউ কার্বন নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৩৫ সালের পরে কেবল কার্বন নিঃসরণমুক্ত গাড়ি বিক্রির অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
প্রসঙ্গত, পেট্রল-ডিজেলচালিত গাড়িগুলো পরিবেশে প্রায় ১৬ শতাংশ কার্বন নিঃসরণে দায়ী। কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিশ্বের প্রায় সব দেশই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন বাড়ানোর পথে এগোচ্ছে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদনের কথা চিন্তাভাবনা করছে বিশ্বের শীর্ষ গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো। এ সংখ্যা বর্তমানে বিশ্বের মোট যানবাহন উৎপাদনের ৫০ শতাংশেরও বেশি।