PDA

View Full Version : মহামারী সময়ের চেয়েও বেশি ঋণ নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার



Tofazzal Mia
2024-06-25, 04:54 PM
চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাজ্যের সরকারি ঋণের পরিমাণ কভিড-১৯ মহামারীর সময়ের চেয়েও বেড়েছে। তবে ঋণের পরিমাণ দেশটির রাজস্ব পর্যবেক্ষণ সংস্থা অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটির পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে যায়নি। গত মাসে ঋণ নেয়ার পরিমাণ ১ হাজার ৫০০ কোটি পাউন্ডে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮০ কোটি পাউন্ড বেশি। http://forex-bangla.com/customavatars/423287418.jpg
সরকারের ঋণ নেয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো করসহ অন্যান্য খাতে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় বেড়েছে। ফলে বড় অংকের ঘাটতি মেটাতে বিকল্প পথে অর্থ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ১৯৯৩ সাল থেকে সরকারি ঋণের পরিসংখ্যান মাসিক ভিত্তিতে প্রকাশ করছে যুক্তরাজ্য সরকার। এর মধ্যে এটি মে মাসে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে তৃতীয় সর্বোচ্চ অর্থ, যা অবশ্য মহামারী পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আলাদাভাবে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এবার অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটির বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের চেয়ে সরকারি ঋণের পরিমাণ ৬০ কোটি পাউন্ড কম ছিল। এদিকে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেন, ‘*যুক্তরাজ্যের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে যে দলই জয়ী হোক না কেন, কর আদায়, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি ঋণের ক্ষেত্রেও তারা একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।’ কেপিএমজি ইউকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ মাইকেল স্টেলমাখ বলেন, ‘সরকারি ঋণ স্থিতিশীল থাকলেও যুক্তরাজ্যের পরবর্তী অর্থমন্ত্রীর জন্য রাজস্বের অনিশ্চিত প্যান্ডোরা বক্স অপেক্ষা করছে। কারণ সুদহার বেশি থাকবে ও ঋণ কমানো কঠিন হবে এমন পরিস্থিতিতেই সরকারকে আরো বেশি ব্যয় করতে হবে।’ এইচএসবিসির প্রধান ইউরোপীয় অর্থনীতিবিদ সাইমন ওয়েলস বলেন, ‘চলতি বছরের মে মাসে সরকারি ঋণ গ্রহণের পরিমাণ অনেক বেশি। এটি ১৯৬০-এর দশকের পর সর্বোচ্চ। যুক্তরাজ্যে এ মুহূর্তে ঋণের পরিমাণ দেশের পুরো এক বছরের আয়ের সমান, যা জিডিপির ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ।’
সাইমন ওয়েলস আরো বলেন, ‘ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। এর মূল কারণ ছিল মহামারী ও তার পরবর্তী বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট। উচ্চ ঋণ নেয়ার এ প্রবণতা ভবিষ্যতের সমস্যা সমাধানের পথকে আরো জটিল করে তুলবে। মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদহার বাড়িয়েছে। তবে এটি সরকারের পক্ষে তার ঋণ পরিশোধ করা আরো ব্যয়বহুল করেছে।’