PDA

View Full Version : আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম



SumonIslam
2024-08-08, 05:13 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/2143065478.jpg
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে জ্বালানি তেল উত্তোলন, এমন আশঙ্কা পণ্যটির দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। তবে জ্বালানি তেলের নিম্নমুখী চাহিদা নিয়ে এখনো উদ্বেগে আছেন ব্যবসায়ীরা। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম গতকাল আগের দিনের তুলনায় ১ ডলার ১ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য পৌঁছেছে ৭৭ ডলার ৫৮ সেন্টে। অন্যদিকে গতকাল মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১ ডলার শূন্য ৫ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য পৌঁছেছে ৭৪ ডলার ২৫ সেন্টে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই নিম্নমুখী ধারায় চলছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার। সোমবার ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে ব্রেন্টের দাম জানুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্নে নেমে যায়। অন্যদিকে ডব্লিউটিআইয়ের মূল্য কমে ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্নে পৌঁছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের প্রভাব পড়ছে বৈশ্বিক স্টক মার্কেটে। এদিকে গত সপ্তাহে হামাস ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের হত্যা করার পর অনেকেই আশঙ্কা করছেন, গাজার সংঘাত একটি বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। এ বিষয়ে এএনজেডের বিশ্লেষক ড্যানিয়েল হাইনেস বলেন, ‘*মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বেড়ে গেলে এ অঞ্চল থেকে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।’চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ ৯২ ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু চাহিদা কমায় পরে তা কমে ৮১ ডলারের নিচে নেমে আসে।
এদিকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তোলন কমাচ্ছে ওপেক প্লাস। এমনকি সম্প্রতি ওপেক প্লাসের জয়েন্ট মিনিস্টারিয়াল মনিটরিং কমিটির (জেএমএমসি) এক বৈঠকে উত্তোলন কমিয়ে আনার নীতি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সংগঠনটি। তবে অক্টোবর থেকে উত্তোলন কমানোর নীতি ধীরে ধীরে শিথিল করার পরিকল্পনাও জানিয়েছে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠনটি। এছাড়া বাজারের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ পরিকল্পনা স্থগিত কিংবা উত্তোলন আবারো কমিয়ে দেয়ার মতো সিদ্ধান্তও আসতে পারে।
ওপেক প্লাস বর্তমানে দৈনিক ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল হারে জ্বালানি তেল উত্তোলন কমিয়ে আনছে, যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগে বৈশ্বিক চাহিদা নিয়ে তৈরি আশঙ্কা এবং ওপেক প্লাসবহির্ভূত দেশগুলোর সরবরাহ বাড়ায় ২০২২ সালে বাজারে অবস্থান শক্তিশালী করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয় সংগঠনটির সদস্য দেশগুলো। এরই অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল উত্তোলন কমিয়ে আনছে তারা।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়, সদস্য দেশগুলো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ২২ লাখ ব্যারেল হারে উত্তোলন কমাতে পারবে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। অক্টোবর থেকে উত্তোলন কমানোর নীতি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসতে পারে ওপেক প্লাস। তবে বাজারের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত স্থগিত করে উত্তোলন আবারো কমিয়ে আনা হতে পারে।