Log in

View Full Version : চীনে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজ অনুমোদন



LIMAFX
2024-11-10, 03:58 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/234601594.jpg
স্থবির অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় সরকারে পুনঃঅর্থায়নে ১০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের অনুমোদন করেছে চীন সরকার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হওয়ার দুদিন পর গত শুক্রবার উদ্দীপনামূলক এ ব্যবস্থার ঘোষণা দেয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ অর্থনীতি। চীনের অর্থমন্ত্রী ল্যান ফোয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্যাকেজের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, তথাকথিত ‘লুকানো ঋণ’ কমিয়ে আনতে আঞ্চলিক সরকারগুলোকে তিন বছরের মধ্যে ৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা ৮৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ঋণের অনুমতি দেয়া হবে। স্থানীয় প্রকল্পের অর্থায়নে কাজ করে লোকাল গভর্নমেন্ট ফাইন্যান্সিং প্লাটফর্ম (এলজিএফপি)। এ প্লাটফর্মগুলো প্রায়ই ব্যাংক বা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। কারণ স্থানীয় সরকার সরাসরি বড় অংকের ঋণ নিতে পারে না। এখানে অর্থের পরিমাণ *সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় লুকানো ঋণ বলে অভিহিত করা হয়।
চীনের অর্থমন্ত্রী আরো জানান, ঋণের বোঝা কমাতে স্থানীয় সরকারগুলো আগামী পাঁচ বছর স্পেশাল বন্ডের মাধ্যমে আরো ৪ ট্রিলিয়ন বা ৫৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার সহায়তা নিতে পারবে।
চীনের শীর্ষ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) স্থায়ী কমিটির পাঁচদিনের বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেয়া হয়। অর্থায়ন প্যাকেজ সম্পর্কে ল্যান ফোয়ান বলেন, ‘বছরের শুরু থেকে বিভিন্ন কারণে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকারের রাজস্ব আয় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে।’
ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক উইলিয়ামসের মতে, চীনে স্থানীয় সরকারের ঋণে পুনঃঅর্থায়ন সুদের খরচ কমাবে। এতে কর্তৃপক্ষ অন্য প্রকল্পে ব্যয়ের সুযোগ পাবে। কিন্তু প্যাকেজে অনুমোদিত অর্থের পরিমাণ খুবই কম। এ প্যাকেজের আকার বর্তমান জিডিপির মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ।
মার্ক উইলিয়ামস আরো বলেন, ‘স্পষ্টতই, বিদ্যমান অবস্থার মধ্যে এটি কোনো প্রশংসনীয় পার্থক্য আনতে যাচ্ছে না। যারা উল্লেখযোগ্য আর্থিক উদ্দীপনা আশা করছেন, এ ঘোষণা তাদের জন্য আরেকটি হতাশা।’
ল্যান ফোয়ানের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ চীনে লুকানো ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা ১ দশমিক ৯৯ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২৮ সালের মধ্যে ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা ৩২ হাজার কোটি ডলার কমানোর লক্ষ্য রয়েছে দেশটির।
টানা কয়েক বছর কঠোর মহামারী বিধিনিষেধ ও রিয়েল এস্টেট সংকট চীনের স্থানীয় সরকারের কোষাগার প্রায় খালি করে দিয়েছে। ফলে দেশজুড়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঋণের বোঝা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আর অর্থের অভাব মানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকারের কাছে খুব কম সম্পদ রয়েছে। সমস্যাটি কিছু জায়গায় এতটাই চরম আকার ধারণ করেছে যে শহরগুলো এখন মৌলিক পরিষেবা দিতে অক্ষম এবং খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।