SumonIslam
2024-12-22, 06:23 PM
বৈশ্বিক বন্ড মার্কেটে চলতি বছর রেকর্ড ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা লুফে নিতে ও আগামী বছরের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে বিপুল পরিমাণ এ অর্থ বন্ডে লগ্নি করেছেন তারা।
http://forex-bangla.com/customavatars/388446160.jpg
বিশ্লেষকরা বলছেন, মুদ্রাস্ফীতি কমায় বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদহার কমাচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে উচ্চ মুনাফায় বন্ডে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হয়েছেন। এ অবস্থায় ২০২৪-কে বলা হচ্ছে ‘বন্ডের বছর’। এর আগে ২০২২ সালে ২৫ হাজার কোটি ডলার বন্ড ফান্ড থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
অধিক মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনাকে বন্ডে বিনিয়োগ বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বহুজাতিক পরিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরকের ই-শেয়ারস ফিক্সড ইনকাম স্ট্র্যাটেজির প্রধান ভাসিলিকি পচাতুরিদি। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি (বন্ডের মতো) ফিক্সড ইনকাম ইনভেস্টমেন্টে মুনাফা (ইল্ড) আবারো ফিরে আসছে। আমরা প্রায় ২০ বছরে এমন মুনাফার হার দেখিনি।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদহার কমালে বন্ডের ইল্ড (মুনাফা) সাধারণত কমে যায় এবং এর দাম বাড়ে।
ব্যাংক অব আমেরিকার (আইসিই) গ্লোবাল বন্ড ইনডেক্সের মুনাফা চলতি বছর প্রায় ২ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে গত বছরের শেষ নাগাদ এটি ৪ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর বন্ড মার্কেটে ৬১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে, যা ২০২১ সালের একই সময় ছিল ৫০ হাজার কোটি ডলার। এ অবস্থায় ২০২৪ সাল একটি ‘রেকর্ড-ব্রেকিং’ বছরে পরিণত হয়েছে।
একই সময় পুঁজিবাজারেও ৬৭ হাজার কোটি ডলার নগদ প্রবাহ হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পুঁজিবাজার সূচকগুলো নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ক্যাশ ইকুইভ্যালেন্ট মানি মার্কেট ফান্ড কম ঝুঁকিতে উচ্চ মুনাফা প্রদান করে। চলতি বছর এ বাজারেও ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ এসেছে।
চলতি বছর সরকারি ঋণের তুলনায় অধিক মুনাফা প্রদানকারী করপোরেট বন্ডগুলো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ানোয় করপোরেট কোম্পানিগুলোও অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে উঠেছে।
আইসিইর গ্লোবাল করপোরেট বন্ড ইনডেক্সের ইল্ড সরকারি ঋণের তুলনায় সবচেয়ে কমে গেছে। এ ধরনের বন্ডের মুনাফা ২০০৭ সালের আর্থিক সংকটের আগের স্তরে নেমে এসেছে।
এইচএসবিসির প্রাইভেট ব্যাংকের গ্লোবাল চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার উইলেম সেলস বলেন, ‘কয়েক বছর আগে থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদহার বাড়াতে শুরু করেছিল। কিন্তু এর আগেই অনেক করপোরেট কোম্পানি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেয়া সম্পন্ন করে ফেলে। ফলে তাদের ওপর সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব মানুষের ধারণার চেয়ে অনেক কম ছিল। এসব কোম্পানি নগদ অর্থ বিনিয়োগ করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করেছে।
চলতি বছর বিনিয়োগকারীরা প্যাসিভ এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগের বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন। মর্নিংস্টার ডিরেক্টের তথ্যানুসারে, বছরের শেষ নাগাদ ইটিএফে ৩৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের ফাইন্যান্স অধ্যাপক মার্টিন ওহমকে বলেন, ‘ইটিএফ বিনিয়োগকারীদের বন্ডসহ এমন অনেক সম্পদে বিনিয়োগের সুবিধা দেয়, যা আগে ট্রেড করা কঠিন ছিল। যেমন করপোরেট বন্ড সাধারণত খুব সহজে কেনাবেচা করা যায় না, কিন্তু ইটিএফের কারণে এ ধরনের পরিসম্পদ অনায়াসে শেয়ারের মতো কেনাবেচা করা যায়।’
বিশ্বের বৃহত্তম দুই বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক ও ভ্যানগার্ড এর সুবিধা পুরোদমে আদায় করেছে। মর্নিংস্টার ডিরেক্ট বলছে, ব্ল্যাকরকের আইশেয়ারস চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে। অন্যদিকে ভ্যানগার্ডের বন্ড ফান্ড ১২ হাজার কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে, যার বেশির ভাগই ইটিএফসহ অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে।
অ্যাকটিভ ইটিএফ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান পিমকো চলতি বছর প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। এটি ২০২২ সালে ৮ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হারিয়েছিল।
তবে ২০২৫ সালে বন্ডে নগদ প্রবাহ কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, নবনির্বাচিত মাকিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর হ্রাস ও নিয়ন্ত্রক নীতি শিথিলের ঘোষণার কারণে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে।
ইপিএফআর ও টিডি সিকিউরিটিজের তথ্যানুসারে, নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের চার সপ্তাহ পর মার্কিন পুঁজিবাজারে ১১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের নতুন বিনিয়োগ এসেছে। একই সময় বৈশ্বিক বন্ডে বিনিয়োগ এসেছে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
http://forex-bangla.com/customavatars/388446160.jpg
বিশ্লেষকরা বলছেন, মুদ্রাস্ফীতি কমায় বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদহার কমাচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে উচ্চ মুনাফায় বন্ডে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হয়েছেন। এ অবস্থায় ২০২৪-কে বলা হচ্ছে ‘বন্ডের বছর’। এর আগে ২০২২ সালে ২৫ হাজার কোটি ডলার বন্ড ফান্ড থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
অধিক মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনাকে বন্ডে বিনিয়োগ বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বহুজাতিক পরিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরকের ই-শেয়ারস ফিক্সড ইনকাম স্ট্র্যাটেজির প্রধান ভাসিলিকি পচাতুরিদি। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি (বন্ডের মতো) ফিক্সড ইনকাম ইনভেস্টমেন্টে মুনাফা (ইল্ড) আবারো ফিরে আসছে। আমরা প্রায় ২০ বছরে এমন মুনাফার হার দেখিনি।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদি ঋণের সুদহার কমালে বন্ডের ইল্ড (মুনাফা) সাধারণত কমে যায় এবং এর দাম বাড়ে।
ব্যাংক অব আমেরিকার (আইসিই) গ্লোবাল বন্ড ইনডেক্সের মুনাফা চলতি বছর প্রায় ২ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে গত বছরের শেষ নাগাদ এটি ৪ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর বন্ড মার্কেটে ৬১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে, যা ২০২১ সালের একই সময় ছিল ৫০ হাজার কোটি ডলার। এ অবস্থায় ২০২৪ সাল একটি ‘রেকর্ড-ব্রেকিং’ বছরে পরিণত হয়েছে।
একই সময় পুঁজিবাজারেও ৬৭ হাজার কোটি ডলার নগদ প্রবাহ হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পুঁজিবাজার সূচকগুলো নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ক্যাশ ইকুইভ্যালেন্ট মানি মার্কেট ফান্ড কম ঝুঁকিতে উচ্চ মুনাফা প্রদান করে। চলতি বছর এ বাজারেও ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ এসেছে।
চলতি বছর সরকারি ঋণের তুলনায় অধিক মুনাফা প্রদানকারী করপোরেট বন্ডগুলো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ানোয় করপোরেট কোম্পানিগুলোও অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে উঠেছে।
আইসিইর গ্লোবাল করপোরেট বন্ড ইনডেক্সের ইল্ড সরকারি ঋণের তুলনায় সবচেয়ে কমে গেছে। এ ধরনের বন্ডের মুনাফা ২০০৭ সালের আর্থিক সংকটের আগের স্তরে নেমে এসেছে।
এইচএসবিসির প্রাইভেট ব্যাংকের গ্লোবাল চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার উইলেম সেলস বলেন, ‘কয়েক বছর আগে থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদহার বাড়াতে শুরু করেছিল। কিন্তু এর আগেই অনেক করপোরেট কোম্পানি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেয়া সম্পন্ন করে ফেলে। ফলে তাদের ওপর সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব মানুষের ধারণার চেয়ে অনেক কম ছিল। এসব কোম্পানি নগদ অর্থ বিনিয়োগ করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করেছে।
চলতি বছর বিনিয়োগকারীরা প্যাসিভ এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগের বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন। মর্নিংস্টার ডিরেক্টের তথ্যানুসারে, বছরের শেষ নাগাদ ইটিএফে ৩৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের ফাইন্যান্স অধ্যাপক মার্টিন ওহমকে বলেন, ‘ইটিএফ বিনিয়োগকারীদের বন্ডসহ এমন অনেক সম্পদে বিনিয়োগের সুবিধা দেয়, যা আগে ট্রেড করা কঠিন ছিল। যেমন করপোরেট বন্ড সাধারণত খুব সহজে কেনাবেচা করা যায় না, কিন্তু ইটিএফের কারণে এ ধরনের পরিসম্পদ অনায়াসে শেয়ারের মতো কেনাবেচা করা যায়।’
বিশ্বের বৃহত্তম দুই বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক ও ভ্যানগার্ড এর সুবিধা পুরোদমে আদায় করেছে। মর্নিংস্টার ডিরেক্ট বলছে, ব্ল্যাকরকের আইশেয়ারস চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে। অন্যদিকে ভ্যানগার্ডের বন্ড ফান্ড ১২ হাজার কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে, যার বেশির ভাগই ইটিএফসহ অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে।
অ্যাকটিভ ইটিএফ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান পিমকো চলতি বছর প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। এটি ২০২২ সালে ৮ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হারিয়েছিল।
তবে ২০২৫ সালে বন্ডে নগদ প্রবাহ কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, নবনির্বাচিত মাকিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর হ্রাস ও নিয়ন্ত্রক নীতি শিথিলের ঘোষণার কারণে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে।
ইপিএফআর ও টিডি সিকিউরিটিজের তথ্যানুসারে, নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের চার সপ্তাহ পর মার্কিন পুঁজিবাজারে ১১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের নতুন বিনিয়োগ এসেছে। একই সময় বৈশ্বিক বন্ডে বিনিয়োগ এসেছে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।