Log in

View Full Version : ট্রেডারদের জন্য ডেইলী ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস- ২০২৫



LIMAFX
2025-01-02, 03:39 PM
২ জানুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
http://forex-bangla.com/customavatars/158156354.jpg
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার, একটি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং চলমান ছিল। গত দুই সপ্তাহ ধরে, মূল্য 1.0359 এবং 1.0451 এর মধ্যে ওঠানামা করছে, যা 100 পিপসের চেয়েও কম প্রস্থের একটি চ্যানেল গঠন করেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী, মার্কেটে বর্তমানে নতুন বছরের ছুটির প্রভাবে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই হরাইজন্টাল চ্যানেলের সীমাগুলো অত্যন্ত সঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে, যা নতুন ট্রেডারদের শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার সুযোগ প্রদান করছে। গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংবাদগুলোর নেই, এবং এই সপ্তাহে প্রথম অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কেটে ধীরে ধীরে "ছুটির পর" থেকে ট্রেডিং কার্যক্রম করা হচ্ছে, তবে এর অর্থ এই নয় যে প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হবে বা ফ্ল্যাট মুভমেন্ট আজই শেষ হবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1182195571.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার শুধুমাত্র একটি ট্রেড সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে, এই সিগন্যালটি নববর্ষের ছুটির কারণে মার্কেট বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে ঘটেছিল। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এই সিগন্যালটি আজ তৈরি হয়েছিল যখন মূল্য 1.0334–1.0359 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল। যেহেতু এই এরিয়া হরাইজন্টাল চ্যানেলের নিম্ন সীমা উপস্থাপন করছে, তাই 1.0433–1.0451 দিকে উপরের দিকে একটি বাউন্সের সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ার ফ্ল্যাট এবং স্থবিরভাবে ট্রেডিং চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি যে, মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হতে পারে; তবে বর্তমানে মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডার নতুন ট্রেড ওপেন করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, যার ফলে মূল্যের গতিশীলতায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো যে, মূল্য অবশেষে 1.0334–1.0359 এর রেঞ্জ ভেদ করবে। বৃহস্পতিবার, এই পেয়ারের মূল্য পুনরায় 1.0334–1.0359 এরিয়া থেকে বাউন্স করতে পারে, যা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল। তবে, মূল্য এই রেঞ্জ ভেদ করলে সেটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেবে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896 লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসের ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম সংক্রান্ত (চূড়ান্ত অনুমান) প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আমরা এই সকল প্রতিবেদনকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করছি এবং এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট সৃষ্টি হবে বলে আশা করি না। (https://ifxpr.com/3W0x5P2)

Read more: https://ifxpr.com/3W0x5P2

LIMAFX
2025-01-03, 04:20 PM
৩ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/895417257.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে তুলনামূলকভাবে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, কারণ ছুটির মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। তবে একটি প্রতিবেদন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেটি হচ্ছে মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স। আশা করা হচ্ছে যে ডিসেম্বরে এই সূচকে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না এবং এটির ফলাফল 48.3 থেকে 48.5 এর মধ্যে থাকবে। তবুও, ট্রেডাররা এই পরিস্থিতি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। নিরপেক্ষ পূর্বাভাসের কারণে প্রকৃত ফলাফল অনুমানের তুলনায় ভিন্ন হতে পারে। এর ফলে, মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। এছাড়াও, জার্মানিতে বেকারত্ব এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যদিও এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম।
http://forex-bangla.com/customavatars/184870335.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। তবে, বৃহস্পতিবারের ট্রেডিং কার্যকলাপ এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন কোনো বক্তব্য বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের থেকে মুদ্রানীতি সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রয়োজন বোধ করছে না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক শেষ হয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এবং এই ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরেছে। আমরা মনে করি যে এই বৈঠকগুলোর ফলাফল ট্রেডারদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা প্রেরণ করেছে: মার্কিন ডলার আরও শক্তিশালী হতে পারে।

উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, যুক্তিসঙ্গতভাবে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের প্রত্যাশা করা যেতে পারে, অন্তত মার্কিন ট্রেডিং সেশন শুরু হওয়া পর্যন্ত। এরপর, পরিস্থিতি অনেকাংশে নির্ভর করবে মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স প্রতিবেদনের উপর, যা মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি বা দরপতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/40hxqzo)

Read more: https://ifxpr.com/40hxqzo

LIMAFX
2025-01-06, 04:37 PM
ননফার্ম পেরোল, ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক, মার্কিন তুষার ঝড় এবং HMPV সংক্রমণের বৃদ্ধি
http://forex-bangla.com/customavatars/1747992535.jpg
এই সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে EUR/USD পেয়ারের জন্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে জার্মানি ও ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক, ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI, ফেডের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী এবং মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এছাড়াও, মার্কেটকে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে এমন কিছু মৌলিক বিষয় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন তুষার ঝড় এবং চীনে HMPV সংক্রমণের বৃদ্ধি। অন্য কথায়, আসন্ন সপ্তাহে বেশ গুরুত্বসম্পন্ন ইভেন্ট রয়েছে, সেইসাথে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রইয়েছে। EUR/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে প্যারিটি লেভেল থেকে মাত্র 300 পিপস দূরে রয়েছে। যদি "রাতের আকাশের তারাগুলো সঠিকভাবে অবস্থান করে," অর্থাৎ মার্কেটে ঝুঁকি না গ্রহণ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে এই পেয়ারের বিক্রেতারা নভেম্বর 2022 এর পর প্রথমবারের মতো মূল্যকে 1.0000 এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে।

অন্য কথায়, আসন্ন সপ্তাহে বেশ গুরুত্বসম্পন্ন ইভেন্ট রয়েছে, সেইসাথে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রইয়েছে। EUR/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে প্যারিটি লেভেল থেকে মাত্র 300 পিপস দূরে রয়েছে। যদি "রাতের আকাশের তারাগুলো সঠিকভাবে অবস্থান করে," অর্থাৎ মার্কেটে ঝুঁকি না গ্রহণ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে এই পেয়ারের বিক্রেতারা নভেম্বর 2022 এর পর প্রথমবারের মতো মূল্যকে 1.0000 এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে। ইউরোর ভাগ্য ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফল উপর নির্ভর করছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড তার সর্বশেষ জনসাধারণের সামনে দেয়া বক্তব্যে বলেছেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 2025 সালে সুদের হার কমিয়ে যাবে। তবে, মুদ্রানীতির নমনীয়করণের গতি আগত প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করবে। রয়টার্স এবং ব্লুমবার্গ দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ এই বছর ইসিবি থেকে 25-বেসিস পয়েন্ট করে চারবার সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছেন। তবে এখানে একটি শর্ত রয়েছে: ইউরোজোনের সামগ্রিক কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) গত দুই মাস ধরে বাড়ছে, যা লাগার্ডের এই বক্তব্যের বিপরীত যে ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে। যদি ডিসেম্বরেও এই অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তাহলে স্থায়ী ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ইউরোজোনের CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন ৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী মূল মুদ্রাস্ফীতি 2.4%-এ পৌঁছাবে— যা জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, ভোক্তা মূল্য সূচক, যা গত তিন মাস ধরে 2.7%-এ স্থির রয়েছে, অপরিবর্তিত থাকার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির এবং মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল থাকলে, EUR/USD ক্রেতারা একটি কারেকটিভ রিবাউন্ড ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে, যা শর্ট পজিশন ওপেন করার জন্য একটি সম্ভাব্য সুযোগ প্রদান করতে পারে। ইউরোজোন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন আগে জার্মানিতে CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সাধারণত, জার্মানি এবং ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচকের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে, তাই জার্মানির প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর ফলে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারিত হতে পারে।

মার্কিন ডলারের পরিস্থিতি: ননফার্ম পেরোল, তুষার ঝড়, এবং চীন থেকে আসা খবরে কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ এই সপ্তাহে মার্কিন ডলারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হবে শুক্রবারের ননফার্ম পেরোলস (NFP)। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে বেকারত্বের হার 4.2%-এ অপরিবর্তিত থাকতে পারে, যখন ননফার্ম খাতে কর্মসংস্থান 155,000 বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গড় ঘণ্টাভিত্তিক আয়ের হার বৃদ্ধি পেয়ে 4.0%-এ পৌঁছাতে পারে, যা আগের মাসের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকবে। তবে, যদি কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সংখ্যা 200,000 ছাড়িয়ে যায়, মজুরি বৃদ্ধির হার 4% বা তার বেশি থাকে, এবং বেকারত্বের হার 4.1% বা তার কমে নেমে আসে, তাহলে ডলার উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেতে পারে। শুক্রবার ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশের আগে অন্যান্য মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রাথমিক ইঙ্গিত প্রদান করবে। মঙ্গলবার (7 জানুয়ারি) JOLTS রিপোর্টে চাকরির শূন্যপদের সংখ্যা প্রকাশিত হবে, এবং বুধবার (8 জানুয়ারি) ADP থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এছাড়াও, ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI, যা ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে, এই পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সূচকটি 53.2 পয়েন্টে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে, যা গত সপ্তাহের ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত ISM রিপোর্টের ইতিবাচক গতিধারাকে অব্যাহত রাখতে পারে। যদিও ম্যানুফ্যাকচারিং সূচকটি 50-এর নিচে ছিল, এটি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলাফল দেখিয়েছিল। ট্রেডারদের বুধবার, 8 জানুয়ারি প্রকাশিতব্য ফেডের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণীর দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। এই বৈঠকের আপডেটেড ডট প্লটে দেখা গেছে যে FOMC-এর বেশিরভাগ সদস্য 2025 সালে মাত্র দুইবার 25-বেসিস পয়েন্ট করে সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করছেন, যেখানে সেপ্টেম্বরে 100-বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করা হয়েছিল। ফেডে মিনিটে সম্ভবত হকিশ বা কঠোর অবস্থান প্রতিফলিত হবে, যা ডলারকে সমর্থন করবে।

আবহাওয়া + HMPV অন্যান্য মৌলিক কারণগুলোও ডলার পেয়ারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আগামী সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬টি অঙ্গরাজ্যে মারাত্নক তুষারঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে, যা প্রায় ৬০ মিলিয়ন মানুষের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। NOAA-এর আবহাওয়া পূর্বাভাস অধিদপ্তর সতর্ক করেছে যে কানসাস, মিসৌরি, ইলিনয় এবং ইন্ডিয়ানার মতো অঞ্চলে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র তুষারপাত হতে পারে। ঝড়টি ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণ হতে পারে। উল্লেখযোগ্য যে গত অক্টোবরে ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনে হারিকেন মিলটন এবং হেলেন শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস আবহাওয়ার কারণে কাজ করতে না পারা শ্রমিকদের "বহিরাগত কারণের কারণে অস্থায়ীভাবে বেকার" হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে। এছাড়াও, চীনে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV) সংক্রমণের বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগজনক খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা ন্যাশনাল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে HMPV কোনো নতুন ধরনের COVID-19 নয় বা কোনো নতুন ভাইরাসও নয়; এটি প্রথম ২০০১ সালে একদল ডাচ গবেষকের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল। এই মৌসুমে চীনে HMPV সংক্রমণের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির খবর গণমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, বিশেষত যখন হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলো আক্রান্ত রোগীতে ভরে যাচ্ছে। এছাড়াও, তাইওয়ানের মানি ইউডিএন প্রকাশনার একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে HMPV-এর সাথে সংশ্লিষ্ট মৃত্যুর হার প্রায় ৪০%। বর্তমানে, শুধুমাত্র সহায়ক থেরাপি প্রদান করা সম্ভব, কারণ এই ভাইরাসের জন্য কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ উপলব্ধ নেই। আমার মতে, চীনে মেটাপনিউমোভাইরাস র প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। বর্তমানে, এই প্রাদুর্ভাব নতুন মহামারিতে রূপ নেবে বলে এমন কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। তবে, "নতুন বিপর্যয়" নিয়ে সংবাদের শিরোনাম সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, ডলার নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

উপসংহার সপ্তাহের শেষের দিকে, যদি ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি কমে যায় এবং মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের মূল্য প্যারিটির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। ঝুঁকি গ্রহণ না করার প্রবণতা বৃদ্ধিও এই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে পারে। সামগ্রিকভাবে, মৌলিক প্রেক্ষাপট আরও দরপতনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে। তাই কারেকশনের অংশ হিসেবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত, যার লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0270 (D1-এ বলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইন) এবং 1.0220 (W1-এ বলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইন) লেভেল। (https://ifxpr.com/423oSOe)

Read more: https://ifxpr.com/423oSOe

LIMAFX
2025-01-07, 04:29 PM
৭ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1450340483.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোর প্রায় সবগুলোই তাৎপর্যপূর্ণ। মূল্য মনোযোগ থাকবে ইউরোজোনের ডিসেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দিকে। গতকালের জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের মতো, এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি প্রদর্শন করতে পারে। যদি তাই ঘটে, তাহলে ইউরো আরও সমর্থন পেতে পারে, কারণ মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি ইঙ্গিত দেয় যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) মুদ্রানীতির নমনীয়করণের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক পদক্ষেপ নিতে পারে। যদিও ইউরোজোনের বেকারত্ব হার গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি অন্যান্য প্রতিবেদনের তুলনায় গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI এবং JOLTs জব ওপেনিং সংক্রান্ত প্রতিবেদন। উল্লেখযোগ্য যে JOLTs-এর প্রতিবেদন দুই মাস বিলম্বে প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি বর্তমান প্রবণতাগুলোর প্রতিফলন নয় বরং দুই মাস আগের পরিস্থিতি নির্দেশ করে। এর ফলে, ISM সূচক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের জন্য কোন উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। বর্তমানে, মার্কেটের ট্রেডারদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মুদ্রানীতির বিষয়ে কোন বক্তৃতা বা মন্তব্যের প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের কাছে ইতোমধ্যেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলো অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যৎ নীতিগত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে। তবে, ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পেলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রতিনিধিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মন্তব্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ট্রেডাররা উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করতে পারেন। ইউরো এবং পাউন্ডের দর বৃদ্ধিকে সমর্থন করার মতো যথেষ্ট সম্ভাব্য প্রভাবক থাকবে। যদিও আমরা স্বল্পমেয়াদে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না, তবে আজ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3Pq3zi4)

Read more: https://ifxpr.com/3Pq3zi4

LIMAFX
2025-01-08, 07:01 PM
৮ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1466954904.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যদিও সেগুলোর কোনোটিই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র জবলেস ক্লেইমস এবং ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ADP-এর প্রতিবেদন মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও, মার্কেটের ট্রেডাররা শ্রমবাজারের পরিস্থিতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সাধারণত ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করেন। ফলে, ADP থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের প্রভাবে সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটি খুব বেশি হবে না। আজ যুক্তরাজ্য বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের প্রধান ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালারের ভাষণ এবং FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণীর প্রকাশনা। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে ফেডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই সময়ে নতুন কোনো মন্তব্যের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রতিবেদনের প্রয়োজন। FOMC-এর মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রধানত আনুষ্ঠানিক নথি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বৈঠকের সময় আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির মতামত সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডিসেম্বরে FOMC-এর বেশিরভাগ কর্মকর্তা ২০২৫ সালের জন্য তাদের সুদের হার খুব বেশি না কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই, যদি মিনিট বা কার্যবিবরণীর প্রভাবে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তবে এটি মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করার সম্ভাবনাই বেশি।
http://forex-bangla.com/customavatars/586929248.jpg
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ড স্টার্লিং উভয়ের আরও দরপতন দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও উভয় মুদ্রার মূল্যই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের প্রচেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ISM ও JOLTs প্রতিবেদন দ্বারা ছাপিয়ে গেছে। ফলস্বরূপ, আজ নতুন করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন দেখা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/406GV3k)

Read more: https://ifxpr.com/406GV3k

LIMAFX
2025-01-09, 06:27 PM
৯ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1111383920.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এগুলোর মধ্যে কোনটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে সকালে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার পর ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গতকাল ইউরোর দরপতন সম্ভবত জার্মানির খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যখন সোমবার এই পেয়ারের মূল্যের তীব্র বৃদ্ধি সম্ভবত জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। ফলে, আজকের দুটি প্রতিবেদন ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টকে ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী যেকোনো দিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, আমরা মনে করি যে ইউরো এবং পাউন্ডের সাম্প্রতিক দরপতন—এবং সোমবারের দর বৃদ্ধি—বেশিরভাগই টেকনিক্যাল কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ দ্বারা নয়। আজ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে সম্পূর্ণরূপে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার, ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি—থমাস বারকিন, প্যাট্রিক হার্কার, এবং মিশেল বোম্যান—বক্তব্য দেবেন বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, এই সময়ে তারা কোন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, এবং ফেডের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রতিবেদনের প্রয়োজন। শুক্রবার ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর, যদি এই প্রতিবেদনগুলো উল্লেখযোগ্য বা অপ্রত্যাশিত ফলাফল প্রদান করে, তবে আমরা ফেডের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নতুন মন্তব্যের আশা করতে পারি।

উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ের আগের দিন, ট্রেডারদের ইউরো এবং পাউন্ডের আরও দরপতন প্রত্যাশা করা উচিত। সাম্প্রতিক সময়ে, উভয় মুদ্রার মূল্যই বৃদ্ধি পাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এই প্রচেষ্টা ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ISM এবং JOLTS প্রতিবেদন দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে, আজকের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না থাকায়, দিনের বেলা হালকা ফ্ল্যাট প্রবণতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। (https://ifxpr.com/4a7OoDV)

Read more: https://ifxpr.com/4a7OoDV

LIMAFX
2025-01-10, 06:19 PM
১০ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/443747350.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে, এবং এগুলোর প্রায় সবগুলোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইউরোজোনের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে আজ কোন প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই। অন্যদিকে, মার্কিন প্রতিবেদন ট্রেডারদের প্রচুর তথ্য প্রদান করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ননফার্ম পেরোল, বেকারত্বের হার, কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক এবং মজুরি বৃদ্ধির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি, কারণ এগুলো সরাসরি ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতিকে প্রভাবিত করে, যা মার্কিন ডলারের মূল্যের প্রায় 70% মুভমেন্টের জন্য দায়ী। যদিও মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ, তবে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচকটির ফলাফল যদি পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তবে এটি মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে কোন উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, এবং কোন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বা অন্যান্য ইভেন্টেরও পরিকল্পনা নেই। তবে, আজ এগুলো খুব বেশি প্রয়োজনীয় নয়, কারণ বিশ্লেষণ করার জন্য ট্রেডারদের ঘাতে বেশ কয়েকটি মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থাকবে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, আজ এই কারেন্সি পেয়ারগুলোর মূল্যের মুভমেন্ট মূলত—বা সম্পূর্ণরূপে—মার কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর উপর নির্ভর করবে, যা দুপুরের দিকে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে, মধ্যমেয়াদে উভয় পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে এবং আজকেও এটি বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। (https://ifxpr.com/426JS6w)

Read more: https://ifxpr.com/426JS6w

LIMAFX
2025-01-13, 03:59 PM
মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি, এবং আরও মুদ্রাস্ফীতি
http://forex-bangla.com/customavatars/407596533.jpg
এই সপ্তাহটি EUR/USD ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এই প্রতিবেদনগুলো শুধুমাত্র ফেডারেল রিজার্ভের জানুয়ারির বৈঠকের ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলবে না—যা অনেকাংশে প্রত্যাশিত—বরং মার্চের বৈঠকেও প্রভাব ফেলবে। গত শুক্রবার প্রকাশিত নন-ফার্ম পে-রোলের প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্চ মাসে ফেড "অপেক্ষা-এবং-পর্যবেক্ষণের" অবস্থান গ্রহণ করতে পারে। তবে, মার্কেটে এখনও কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। CME FedWatch টুল অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সুদের হার হ্রাসে বিরতির সম্ভাবনা 95%, তবে মার্চে এটি মাত্র 58%। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনগুলো যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী আসে বা "ঊর্ধ্বমুখী" থাকে, তবে বর্তমান অবস্থান বজায় রাখার দিকেই ফেডের সিদ্ধান্ত ঝুঁকতে পারে।

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি: উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রোডিউসার প্রাইস ইনডেক্স (PPI) বা উৎপাদক মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে যা সম্প্রতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী এই সূচকের ফলাফল ডলারের ক্রেতাদের পক্ষে কাজ করবে। ডিসেম্বরের প্রধান PPI বার্ষিক ভিত্তিতে 3.1%-এ পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা 2023 সালের মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ স্তর। মাসিক ভিত্তিতে, এই সূচক 0.5% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা অক্টোবর এবং নভেম্বরের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতা নির্দেশ করে। মূল PPI, যা গত দুই মাস ধরে বার্ষিক ভিত্তিতে 3.4%-এ স্থিতিশীল রয়েছে, ডিসেম্বরেও একই স্তরে থাকতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

বুধবার, ১৫ জানুয়ারি: ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) বুধবার এ সপ্তাহের প্রধান সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন, মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রধান মুদ্রাস্ফীতি মাসিক ভিত্তিতে 0.4% বৃদ্ধি পেতে পারে, যা 2024-এর মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, এবং বার্ষিক ভিত্তিতে 2.9%-এ পৌঁছাতে পারে, যা 2024-এর জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক টানা দুই মাস (অক্টোবর এবং নভেম্বর) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে এবং ডিসেম্বরেও এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। মূল ভোক্তা মূল্য সূচক, যা গত তিন মাস ধরে 3.3%-এ স্থিতিশীল রয়েছে, তা বৃদ্ধি পেয়ে 3.4%-এ পৌঁছাতে পারে বা একই অবস্থানে থাকতে পারে বলে বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন। মুদ্রাস্ফীতির প্রাথমিক পূর্বাভাস ফেডারেল রিজার্ভের জন্য হতাশাজনক। যদি CPI এবং PPI পূর্বাভাস অনুযায়ী আসে—বা "ঊর্ধ্বমুখী" থাকে—তাহলে ডলার উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাবে। এই পরিস্থিতিতে, 2025 সালে প্রথমবারের মতো সুদের হার কমানোর প্রত্যাশিত তারিখ অন্তত মে পর্যন্ত পেছাতে পারে। তবে, আসন্ন সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে শুধুমাত্র এই দুটি প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত নয়। এই প্রতিবেদনগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলো EUR/USD সহ সব ডলার পেয়ারগুলোর ট্রেডিংকে প্রভাবিত করবে। আমরা ট্রেডারদের জন্য অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কারেন্সি পেয়ারগুলোর বিষয়েও আলোচনা করব। (https://ifxpr.com/4j67AWN)

Read more: https://ifxpr.com/4j67AWN

LIMAFX
2025-01-14, 06:20 PM
১৪ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1462453162.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে সীমিত সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে, তবে এটি ট্রেডারদের জন্য খুব বেশি গুরুত্ব বহন করবে না বলে মনে হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো, বুধবার ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা স্বল্পমেয়াদে ডলারের মূল্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি হলো মার্কিন ডলারের প্রধান চালিকা শক্তি, এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ফেডের নীতিগত সিদ্ধান্তগুলোর উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজকের তালিকাভুক্ত উল্লেখযোগ্য ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সারাহ ব্রিডেন, এবং ফেডের প্রতিনিধি রজার শমিড ও জন উইলিয়ামসের বক্তৃতা রয়েছে। তবে, এই বক্তৃতাগুলোর কোনোটিই বর্তমানে ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে না। সোমবার, ইসিবির বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তবে সেগুলো থেকে কোনো নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি। কিছু সদস্য চলমান আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন, অন্যদিকে কিছু সদস্য সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তা সত্ত্বেও, উল্লেখযোগ্য কোনো কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। ফেডের প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে, বুধবারের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর উল্লেখযোগ্য মন্তব্য়ের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যেখানে ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানা যাবে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট শান্ত এবং পরিমিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, সোমবারের ট্রেডিং কার্যক্রমে দেখা গিয়েছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছাড়াই ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। যেহেতু আজ বড় কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া উচিত। (https://ifxpr.com/4jha4Sg)

Read more: https://ifxpr.com/4jha4Sg

LIMAFX
2025-01-15, 06:33 PM
১৫ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1019373190.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর প্রায় সবগুলোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্যে ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখনও মুদ্রানীতি উল্লেখযোগ্যভাবে নমনীয় করেনি, এই প্রতিবেদনের ফলাফল তাদের অবস্থানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে, মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রেও মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি দেশটির কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ডিসেম্বর মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি 2025 সালে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয় করার সম্ভাবনাকে হ্রাস করবে, যা মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। এছাড়াও, জার্মানিতে বার্ষিক জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা হচ্ছে যে দেশটির জিডিপি 0.2% হ্রাস পাবে, এবং এই ধরনের ফলাফল ইউরোকে সমর্থন প্রদান করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে, শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সাধারণত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল প্রদর্শন করতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজকের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রতিনিধি ফিলিপ লেন এবং লুইস দে গুইন্ডোসের বক্তব্য বেশ উল্লেখযোগ্য। যদিও তাদের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, এতে ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থানের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তা অস্টান গুলসবি, নিল কাশকারি, এবং থমাস বার্কিন বক্তব্য দেবেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি মুদ্রানীতি সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে, যার ফলে মার্কিন ডলার ট্রেডিংয়ের জন্য নতুন কৌশল উদ্ভাবনের কারণ হতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। এই মুভমেন্টগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং জার্মানির জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করবে। বর্তমানে, মনে হচ্ছে যে ইউরো এবং পাউন্ড উভয়েরই দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, উল্লিখিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কিন ডলারের মূল্যও হ্রাস ঘটাতে পারে। পুরো দিনজুড়ে, উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের দিক বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হতে পারে। (https://ifxpr.com/4fXPd3p)

Read more: https://ifxpr.com/4fXPd3p

LIMAFX
2025-01-16, 06:34 PM
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে
http://forex-bangla.com/customavatars/706531818.jpg
মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে প্রকাশিত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল অনেক প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদিও প্রধান কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) ফলাফল প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল এবং সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে, মূল মুদ্রাস্ফীতি "নিম্নমুখী" ছিল, যা এই গুরুত্বপূর্ণ সূচকে পতনের ইঙ্গিত দেয়। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায়, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.03 লেভেলের আশেপাশে স্থির ছিল এবং এমনকি 1.0350 রেজিস্ট্যান্স লেভেলও টেস্ট করেছিল, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ড ইন্ডিকেটরের মিডিয়ান লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কিন্তু সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন কি সত্যিই ডলারের জন্য ক্ষতিকর? এবং বর্তমান মৌলিক পরিস্থিতিতে লং পজিশন কি সত্যিই নির্ভরযোগ্য? এগুলো বিবেচনা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ল্যাটিন ভাষায় একটি উক্তি আছে, "In dubio pro reo," যার অর্থ "সন্দেহ থাকলে, আসামির পক্ষে থাকুন।" পুনর্বিবেচনা করলে এটি বোঝায় যে ট্রেডাররা বর্তমানে তাদের সংশয়পূর্ণ বিষয়গুলো এমনভাবে ব্যাখ্যা করছেন যা ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা জাগায়। উদাহরণস্বরূপ, মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন টানা তৃতীয় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে, যা বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 3.3%-এ পৌঁছেছে, যদিও এটি 3.5%-এর পূর্বাভাস থেকে সামান্য নিচে ছিল। এটি 2023 সালের মার্চ মাস থেকে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির হার নির্দেশ করে। তবে মূল্য উৎপাদক মূল্য সূচক পূর্বাভাস অনুযায়ী 3.5% এ স্থিতিশীল ছিল। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও, এই প্রতিবেদনের সামগ্রিক নেতিবাচক ফলাফলের প্রভাবে মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে ডলারের জন্য নেতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। একই রকম পরিস্থিতি বুধবার দেখা গিয়েছিল যখন প্রধান মুদ্রাস্ফীতি মাসিক ভিত্তিতে 0.4% বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা 2024 সালের মার্চ থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি এবং ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মাস বৃদ্ধি প্রদর্শন করে। বার্ষিক ভিত্তিতে, দেশটির প্রধান মুদ্রাস্ফীতি 2.9% এ পৌঁছেছে, যা 2023 সালের জুলাইয়ের পর সবচেয়ে শক্তিশালী বৃদ্ধি। সূচকটি এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বছরের শুরুর ছয় মাসের ক্রমাগত পতনের পর ইতিবাচক প্রবণতা নির্দেশ করে। মূল মুদ্রাস্ফীতি, যা খাদ্য এবং জ্বালানি মূল্যের প্রভাব বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়, "নিম্নমুখী" হয়েছে—এটি প্রধান মুদ্রাস্ফীতি থেকে আলাদা, যা পূর্বাভাস অনুযায়ী ফলাফল প্রদর্শন করছে। মাসিক ভিত্তিতে, মূল মুদ্রাস্ফীতি সূচক 0.2%-এ নেমে এসেছে, যা টানা চার মাস 0.3% ছিল। বার্ষিক ভিত্তিতে, এই সূচকটিও 3.2%-এ নেমে এসেছে। যদিও এটি মনে হতে পারে যে উভয় উপাদানই পতন দেখাচ্ছে, এটি উল্লেখযোগ্য যে মূল মুদ্রাস্ফীতি এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পতন দেখিয়েছিল এবং গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে 3.2%-এ পৌঁছেছিল। আগস্টে সূচকটি একই স্তরে স্থির ছিল। তবে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মূল মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বেড়ে 3.3%-এ পৌঁছেছিল এবং ডিসেম্বর মাসে এটি আবার 3.2%-এ ফিরে আসে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে প্রকৃতপক্ষে এই সূচক নিম্নমুখী হচ্ছে না; বরং মূল মুদ্রাস্ফীতি অপেক্ষাকৃত উচ্চ স্তরে স্থবির রয়েছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের জন্য উদ্বেগজনক। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির দাম বেড়েছে, যা 0.5% বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে পূর্বে এটি 3.2% কমেছিল। প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রায় পাঁচ শতাংশ (4.9%) বেড়েছে, যা নভেম্বরে 1.8% বৃদ্ধি পেয়েছিল। এছাড়াও, খাদ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে 2.5% বৃদ্ধি পেয়েছে (নভেম্বরে 2.4%-এর তুলনায়)। পরিবহন পরিষেবার খরচ 7.3% বেড়েছে, যেখানে আগের প্রতিবেদনে 7.1% বৃদ্ধি পেয়েছিল। অন্যদিকে, নতুন এবং ব্যবহৃত গাড়ির দাম সামান্য কমেছে, যা যথাক্রমে 0.4% এবং 3.3%-এ নেমে এসেছে। প্রতিবেদনে এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও কিছু বিশ্লেষক বলছেন যে প্রত্যাশার তুলনায় এটি তেমন তীব্র নয়। একই সময়ে, মূল মুদ্রাস্ফীতি স্থবির হয়ে রয়েছে, এবং এই মুহূর্তে কোনো নিম্নমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত নেই। CPI এবং PPI প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রেডাররা অত্যধিক আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রেডাররা মনে করছেন যে মুদ্রাস্ফীতির সামান্য চাপ ফেডারেল রিজার্ভকে এই বছর আরও আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার সুযোগ দেবে। তবে, ডিসেম্বর মাসের হালনাগাদকৃত ডট প্লটের পূর্বাভাস অনুযায়ী, 2025 সালে ফেড 25 বেসিস পয়েন্ট করে দুইবার সুদের হার হ্রাস করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, আমার মতে এই সিদ্ধান্তগুলো সময়পযোগী নয় এবং ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এখনও শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে, এবং মুদ্রাস্ফীতির সূচকগুলো হয় বাড়ছে বা স্থিতিশীলতা দেখাচ্ছে, টেকসইভাবে হ্রাস পাচ্ছে না। ট্রেডারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফেডের পদক্ষেপগুলো প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। CME FedWatch অনুযায়ী জানুয়ারি বৈঠকে কোনো সুদের হারে পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনা 97%, এবং মার্চের জন্য এটি 72%। বর্তমানে মে মাসে 25 পয়েন্টের সুদের হার হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা 50/50, যা আগে 60% ছিল। তবে, মে মাসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে এখনও পাঁচ মাস বাকি রয়েছে, তাই এত আগাম সম্ভাবনার উপর আলোচনা করার সময় এখনও আসেনি। সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়নি, তবে এটির উল্লেখযোগ্য দরপতনও ঘটেনি, কারণ এই প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি প্রদর্শন করে। EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের বর্তমান মূল্য বৃদ্ধিকে শর্ট পজিশনে এন্ট্রির সুযোগ হিসাবে দেখা উচিত, বিশেষ করে যদি ক্রেতারা মূল্যকে দিয়ে 1.0350-এর মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করাতে ব্যর্থ হয়, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের মিডিয়ান লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0300 এর লেভেল, যা দৈনিক চার্টে টেনকান-সেন লাইনের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0230 এর লেভেল, যা একই টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের লোয়ার লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। (https://ifxpr.com/3PAayFr)

more: https://ifxpr.com/3PAayFr

LIMAFX
2025-01-17, 04:48 PM
১৭ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/358487629.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর কোনোটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই তুলনামূলকভাবে উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি প্রদর্শন করছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখন মার্কেটে মুভমেন্টের মূল প্রভাবক নয়। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর কোনটাই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। আজ যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিসেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান এবং যুক্তরাষ্ট্র শিল্প উৎপাদন, নির্মাণ অনুমোদন এবং নতুন আবাসন বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর কোনোটির ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বিচ্যুত হয়, তবে আমরা মার্কেটে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখতে পারি। তবে, আজকের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বাজার পরিস্থিতির বড় কোনো পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে হয় না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো জোয়াকিম নাগেলের (বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট) ভাষণ। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোজোনে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট ছিল না বা কোন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট: তারা কোনো বিরতি বা ব্যাঘাত ছাড়াই আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের অব্যাহত রাখবে। সুতরাং, নাগেলের কাছ থেকে এমন কোনো তথ্য পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে না যা আজ মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে আমরা মার্কেটে মাঝারি মাত্রার মুভমেন্টের আশা করতে পারি, কারণ আজ কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। সবচেয়ে লক্ষণীয় প্রতিবেদন হবে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত তথ্য এবং যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন। এই সপ্তাহের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের আলোকে, সম্ভাবনা রয়েছে যে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে। তবে, আজকের ট্রেডিং সিদ্ধান্তগুলো মূলত প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করবে। (https://ifxpr.com/42kaj8S)

Read more: https://ifxpr.com/42kaj8S

LIMAFX
2025-01-20, 02:03 PM
২০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
http://forex-bangla.com/customavatars/1876035650.jpg
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ার একটি স্থানীয় হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং চালিয়ে গেছে। তবে, গত সপ্তাহের মার্কেট মুভমেন্টকে ফ্ল্যাট বলা যাবে না। মূল্য 1.2107 এর লেভেল টেস্ট করেছে, সেখান থেকে রিবাউন্ড করে ন্যূনতম কারেকশন করেছে এবং তারপর ধীরে ধীরে মূল্য নিম্নমুখী হয়ে দরপতন অব্যাহত রেখেছে। একটি প্রকৃত ফ্ল্যাট মার্কেট প্রতিষ্ঠার জন্য তৃতীয় রেফারেন্স পয়েন্ট প্রয়োজন। যদি পরপর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় মূল্য 1.2107 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে ব্যর্থ হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্য দীর্ঘ সময়ের জন্য এই হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকতে পারে। গত সপ্তাহে, পুনরায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন শুরু হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ ছিল। দুটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে), জিডিপি প্রতিবেদন, খুচরা বিক্রয়, এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল সবই যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির দুর্বলতা বা ফেডারেল রিজার্ভের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা নির্দেশ করেছে। ফলে, পাউন্ডের মূল্য কেবলমাত্র সামান্য কারেকশন করতে পেরেছে এবং এখন আরও দরপতনের জন্য প্রস্তুত। আমরা এই মুহূর্তে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ দেখছি না।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের মতো এই পেয়ারেরও দুটি বাই সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। মূল্য 1.2164-1.2170 রেঞ্জ থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে এবং প্রতিবারই মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলস্বরূপ, নতুন ট্রেডাররা দুটি লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ পেয়েছে, প্রতিটি ট্রেড থেকে সামান্য লাভ হতে পারে। শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারকে সমর্থন যুগিয়েছে, তবে এটি আশ্চর্যজনক যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2164-1.2170 এর জোন ব্রেক করেনি।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা সম্পূর্ণভাবে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের আশা করছি, কারণ আমাদের মতে এটি সবচেয়ে যৌক্তিক দৃশ্যপট। সুতরাং, আমরা আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি; তবে, ট্রেডারদের সর্বদা টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত। এই সপ্তাহে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে সম্ভবত পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে, এবং এক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সোমবার, শান্তভাবে এই পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে তবে মূল্য 1.2164-1.2170 এর রেঞ্জ ব্রেক করতে পারে, যা নতুন করে নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু করবে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যাবে না। তবে, যদি মূল্য 1.2164-1.2170 এরিয়া ব্রেক করে যায়, তবে পাউন্ডের মূল্যের তীক্ষ্ণ নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/680193061.jpg
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
http://forex-bangla.com/customavatars/1210003730.jpg
চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Read more: https://ifxpr.com/4awxuz2

LIMAFX
2025-01-21, 03:27 PM
এক বছরে ১৯% প্রবৃদ্ধি: কীভাবে ট্রাম্প বৈশ্বিক বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম বদলে দিচ্ছেন
http://forex-bangla.com/customavatars/1977480406.jpg
বিনিয়োগকারীদের জন্য ডেজাভু দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের প্রভাবে অর্থবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছে। একদিকে, শেয়ারহোল্ডাররা তার ব্যবসাবান্ধব এজেন্ডা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল। অন্যদিকে, তিনি পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন এমন মন্তব্য করার পর মুদ্রা বাজার অপেক্ষারত অবস্থায় স্থবির হয়ে পড়ে।

শুল্ক আরোপের হুমকির শংকায় ডলারের দর বৃদ্ধি শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা ডলারের মূল্যের তীব্র ওঠানামার কারণ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, নতুন শুল্কনীতি অবিলম্বে কার্যকর হবে না এমন প্রত্যাশায় ডলারের মূল্য কমে যায়। তবে, ট্রাম্প পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানির ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর ডলারের মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কানাডিয়ান ডলারের বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ১.৪৫২-এ পৌঁছানোর পর ১.৪৪-এ নেমে আসে। তবে, মেক্সিকান পেসোর বিপরীতে, এটি নভেম্বরের শীর্ষ স্তরের নিচে রয়ে গেছে।

অস্থিরতাই নতুন স্বাভাবিকতা বাজারে বর্তমান ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অস্থির সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন যে স্টক মার্কেটের ট্রেডাররা এখন আরও সংযত এবং আতঙ্কিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড বেড়েছে, তবে স্টক ফিউচারগুলো সংক্ষিপ্ত বৃদ্ধির পর প্রারম্ভিক অবস্থানে ফিরে এসেছে। ফলে, নাসডাক ফিউচার ০.০৮% কমেছে, যখন S&P 500 ফিউচার মাত্র ০.০৭% বেড়েছে।

ইউরোপীয় বাজারে দরপতন ইউরোপীয় বাজারগুলোও দরপতনের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। EUROSTOXX 50 ফিউচার ০.২৫% কমেছে, এবং FTSE সূচক ০.০২% কমেছে। অঞ্চলটির মুদ্রাগুলোও চাপের মুখে পড়েছে, ইউরো এবং পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর প্রায় ০.৩% হ্রাস পেয়েছে।

জাপানি ইয়েন: স্থিতিশীলতার অনন্য উদাহরণ মার্কেটের অস্থিরতার মাঝেও, জাপানি ইয়েন শক্তিশালী হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা ব্যাংক অফ জাপানের মুদ্রানীতি কঠোর হওয়ার উপর বাজি ধরেছেন, যদিও জাপানি অটো শিল্পের ওপর মার্কিন শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের প্রভাবে পূর্ব পরিচিত গতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে: অস্থিরতা এবং নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি মনোযোগ রয়েছে। তবে, ট্রেডাররা নতুন পরিস্থিতির মানিয়ে নিতে প্রস্তুত, যদিও জোরালো মন্তব্যের প্রতি তারা সংযতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।

নিক্কেই: সতর্ক প্রবৃদ্ধি জাপানের নিক্কেই সূচক (.N225) অনিশ্চয়তার মধ্যে দরপতন এবং মৃদু প্রবৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছে। দিনের শেষে সূচকটি ০.১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মুখে বিনিয়োগকারীদের সাধারণ সতর্কতাকে প্রতিফলিত করে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি: মিমকয়েনের উত্থান এবং বিটকয়েনের রেকর্ড রাজনৈতিক সংবাদগুলোর মধ্যে ক্রিপ্টো মার্কেটে অপ্রত্যাশিতভাবে নতুন কয়েনের আবির্ভাব হয়েছে—মার্কেটে ট্রাম্পের ছবি সম্বলিত একটি মিম কয়েন ছাড়া হয়েছে। এটির বাজার মূলধন $১০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে, যা পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করে $১০৯,০০০-এ পৌঁছায়, যদিও পরে এটি $১০২,০০০-এর নিচে নেমে আসে। এই বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের ডিজিটাল সম্পদের মূল্যের ওঠানামার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকার প্রতি বাড়তি আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।

চীন এবং হংকং: ঝড়ের আগের থমথমে পরিস্থিতি? হংকংয়ের শেয়ার বাজার স্থিতিশীল ছিল, এবং ইউয়ানের মূল্য রাতারাতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর অবিলম্বে শুল্ক আরোপ না করায় চীনের বাজার কিছু সময়ের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন যে ট্রাম্পের চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার কৌশল তার প্রথম মেয়াদের অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি বলে মনে হচ্ছে।

কানাডা, মেক্সিকো এবং চীন নিয়ে বিশ্লেষকরা যা বলছেন নোমুরার ম্যাক্রো স্ট্র্যাটেজিস্ট নাকা মাতসুজাওয়া বলেন, ট্রাম্প সম্ভবত কানাডা এবং মেক্সিকোকে সরাসরি প্রতিযোগী হিসেবে দেখছেন না, বরং চীনের রপ্তানির মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করছেন। তিনি বলেন, "কানাডা এবং মেক্সিকোর ওপর শুল্ক কেবল একটি বাণিজ্য কৌশলের অংশ হতে পারে।"

নতুন এজেন্ডার চ্যালেঞ্জগুলো ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ বাণিজ্য সংস্কার, কর ছাড়, অভিবাসন এবং ডিরেগুলেশন সংক্রান্ত উচ্চাভিলাষী এজেন্ডা দিয়ে শুরু করেছেন। এই উদ্যোগগুলো কর্পোরেট মুনাফা বাড়াতে পারে, তবে মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ সুদের হারের ঝুঁকি রয়েই গেছে।

জ্বালানি খাতের দিকে দৃষ্টি তার শপথ গ্রহণ বক্তৃতায়, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের তেল, গ্যাস এবং জ্বালানি শিল্পকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, এগুলোকে তিনি "অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি শুল্ক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন, যা রক্ষণশীল নীতিমালা প্রণয়নের জল্পনা-কল্পনা বাড়িয়েছে।

কঠোরতা ও নমনীয়তার ভারসাম্য বক্তৃতায় কঠোর অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা সত্ত্বেও, বিনিয়োগকারীরা নতুন প্রশাসনের অর্থনৈতিক বিষয়ে আরও পরিমিত দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করেছেন, যা প্রথম মেয়াদের তুলনায় ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ বিশ্ববাজারের জন্য আরও পূর্বানুমানযোগ্য হতে পারে বলে আশা বাড়িয়েছে।

ব্যাংকিং খাতের উত্থান ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নিয়ম-কানুন সহজ করার প্রতিশ্রুতি অর্থবাজারে উত্সাহ সৃষ্টি করেছে, বিশেষত ব্যাংকিং খাতে। প্রধান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে, যা ওয়াল স্ট্রিট সিইওদের মন্তব্যে সাহায্য পেয়েছে। তাদের আয়ের প্রতিবেদনে, তারা ব্যবসার জন্য নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে নতুন প্রশাসনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।

ট্রাম্প এবং ক্রিপ্টো মার্কেট: উচ্চ প্রত্যাশা দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল অ্যাসেটের সমর্থক হিসেবে বিবেচিত ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি খাত সংশ্লিষ্টরা বেশ আশাবাদী। ঘোষিত উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে বিটকয়েনের জন্য একটি ফেডারেল রিজার্ভ তৈরি, ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যাংকিং সহজলভ্য করা, এবং একটি বিশেষ ক্রিপ্টোকারেন্সি কাউন্সিল গঠন। এই পদক্ষেপগুলো ক্রিপ্টো খাতকে বৈধতার নতুন স্তরের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে, ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সি সূচনা, যা একদিনেই $৮ বিলিয়ন বাজার মূলধন অর্জন করেছে, মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলছেন: মার্কেটের ওপর এর প্রভাবের প্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ কতটা নৈতিক?

বিটকয়েন: রেকর্ড এবং কারেকশন ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ বক্তৃতার পর, বিটকয়েনের মূল্যের অত্যন্ত অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এটির মূল্য রাতারাতি $১০৯,০৭১ এর সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছানোর পর, কারেকশন হয়ে মূল্য $১০২,০০০-এ নেমে আসে। মার্কেটের এই ধরনের মুভমেন্ট ব্যাখ্যা করে যে বিনিয়োগকারীরা আরও সুনির্দিষ্টভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত নীতিমালার প্রত্যাশা করেছিলেন, যা তারা পাননি।

S&P 500 সূচকের অস্থিরতা: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে কি? ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে বাজারগুলো তীব্র ধাক্কা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদের প্রথম বছরে, S&P 500 সূচক ১৯.৪% বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং পুরো মেয়াদে প্রায় ৬৮% বৃদ্ধি পায়। তবে, এই বৃদ্ধি তীব্র অস্থিরতার সাথে হয়েছে, যা বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিও গতিশীল হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ২০১৭ সালে শপথ গ্রহণের পর, S&P 500 সূচক দৈনিক ভিত্তিতে ০.৩% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছিল, এবং মার্কেটের অনেক ট্রেডাররা এইবার পরিস্থিতি কেমন মোড় নেয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। যেহেতু সোমবার ছুটির দিন ছিল, তাই মঙ্গলবার পর্যন্ত ট্রেডারদের স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে না।

একটি নতুন অধ্যায় নাকি একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি? ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ বড় প্রতিশ্রুতি এবং বিনিয়োগকারীদের উচ্চ প্রত্যাশার মাধ্যমে শুরু হয়েছে। নিয়মকানুন সহজতর করা, ব্যবসা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতকে সমর্থন করা, এবং ডিরেগুলেশন ও কর হ্রাসের মাধ্যমে অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করার আকাঙ্ক্ষা প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে, চলমান অস্থিরতা এবং বাণিজ্য বিরোধের ঝুঁকি অর্থবাজারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।

বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন: "কীভাবে?" ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো সতর্কতা প্রদর্শন করছে। বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হলো "কীভাবে" নতুন পরিস্থিতি মোড় নেবে: প্রশাসন কীভাবে ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার কমাবে? গুড লাইফ ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজার্স অফ নোভা-এর প্রেসিডেন্ট, জোশ স্ট্রেঞ্জ বলেন, "এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা বোঝা।"

ট্রেজারি বন্ড: ইয়েল্ডের পতন মার্কিন ট্রেজারি বন্ড মিশ্র মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। ১০ বছর মেয়াদী বন্ডের ইয়িল্ড ৬.৭ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.৫৪৪০%-এ নেমে এসেছে, এবং ২ বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ৪.৭ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.২২৫৫%-এ পৌঁছেছে। এই পতন অনিশ্চয়তার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।

ডলার এবং অন্যান্য মুদ্রা: সতর্ক পুনরুদ্ধার মুদ্রা বাজারে, ডলার সকালের দরপতন পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং দুই সপ্তাহের নিম্ন স্তর থেকে সরে এসেছে। ইউরোর দর ০.৩% কমে $১.০৩৮৫-এ নেমেছে, যখন পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর ০.৩২% হ্রাস পেয়ে $১.২২৯০-এ পৌঁছেছে।

চীন: বাণিজ্য হুমকি এবং সতর্কতা চীনের বিনিয়োগকারীরা সতর্কভাবে ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়টি মূল্যায়ন করছেন। চীনা আমদানির ওপর শুল্ক ৬০% পর্যন্ত বাড়ানোর হুমকি থাকা সত্ত্বেও, অবিলম্বে কোনো পদক্ষেপের অভাবে মার্কেট আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে।

ব্লু-চিপ CSI300 সূচক ০.১৩% হ্রাস পেয়েছে, এবং শাংহাই কম্পোজিট সূচক ০.৩৫% হ্রাস পেয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কেটের ট্রেডারদের সতর্ক অবস্থান প্রতিফলিত করে, যারা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিতে চান না।

হংকং: এশীয় মার্কেটের উজ্জ্বল দিক আঞ্চলিক বাজারের সাধারণ অস্থিরতার মধ্যে, হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ০.৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে। সূচকটির প্রবৃদ্ধি বৃহত্তর MSCI এশিয়া-প্যাসিফিক এক্স-জাপান সূচকের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, যা ০.৩৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।

অস্থিরতা এখনও প্রধান আলোচ্য বিষয় কিছু পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও, বিশ্ববাজার স্থবির অবস্থায় রয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতিমালার বাস্তব প্রভাব মূল্যায়ন করতে আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রত্যাশা বেশ ব্যাপক, তবে অনিশ্চয়তা এখনও সতর্কতা থাকার নির্দেশ করছে।

তেলের বাজার চাপের মুখে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে তেল এবং গ্যাস উৎপাদন সর্বাধিক করার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে তিনি জ্বালানি খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন। ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস-এর দর কমে $৮০.১৮ প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে, যা এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন স্তরের কাছাকাছি। আমেরিকান WTI ক্রুড-এর মূল্যও ১.৪৬% কমে $৭৬.৭৪ প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে। সরবরাহ বেশি হওয়ার শংকায় এই দরপতন ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের তাদের পূর্বাভাস পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে।

মার্কিন জ্বালানি নীতি ট্রাম্পের তেল এবং গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তার অর্থনৈতিক নীতির অগ্রাধিকারগুলোকে তুলে ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ জ্বালানি নির্ভরতা আহ্বান তার আলোচনার দীর্ঘদিনের অংশ, তবে বর্তমান পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি সরবরাহ চাহিদাকে ছাড়িয়ে যায়।

আবারো স্বর্ণের দিকে ট্রেডারদের দৃষ্টি তেলের দাম হ্রাস এবং অর্থবাজারের সাধারণ অনিশ্চয়তার মধ্যে, স্বর্ণ আবারো আলোচনায় এসেছে। মূল্যবান ধাতুটির স্পট মূল্য ০.৫% বৃদ্ধি পেয়ে $২,৭২২.০১ প্রতি আউন্সে পৌঁছেছে, যা অস্থিরতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে মার্কেটের ট্রেডারদের নিরাপদ বিনিয়োগের অনুসন্ধানের প্রবণতা প্রতিফলিত করে। ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জ্বালানি নীতির পরিবর্তনের প্রতি তাদের সংবেদনশীলতাকে তুলে ধরে। যদি মার্কিন তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সঙ্গতি না থাকে, তবে তেলের দাম চাপের মুখে থাকতে পারে। একইসঙ্গে, স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি এই ইঙ্গিত দেয় যে বিনিয়োগকারীরা আরও সতর্ক হচ্ছেন এবং প্রশাসনের কাছ থেকে আরও স্পষ্ট সংকেতের অপেক্ষা করছেন। পণ্য বাজারের পরিস্থিতি এখনও অস্থির, এবং ট্রাম্পের নতুন উদ্যোগগুলোর প্রভাব সর্বদাই বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে। (https://ifxpr.com/4jrdiCq)

Read more: https://ifxpr.com/4jrdiCq

LIMAFX
2025-01-22, 07:25 PM
ট্রাম্পের কারণে মার্কিন স্টক সূচকসমূহ প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করতে পারছে না
http://forex-bangla.com/customavatars/1710777182.jpg
4-ঘণ্টার চার্টে #SPX-এর ওয়েভ বিশ্লেষণ কিছুটা অস্পষ্ট, এবং আমি এটি 24-ঘণ্টার চার্টের ওয়েভ বিশ্লেষণের সঙ্গে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি (নিচের ছবিটি দেখুন)। 24-ঘণ্টার চার্টে প্রথমে লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্যটি হলো বৈশ্বিক পর্যায়ে পাঁচ-ওয়েভের গঠন, যা এতটাই বিস্তৃত যে এটি সর্বনিম্ন স্কেলেও টার্মিনাল উইন্ডোর মধ্যে ফিট হয় না। সহজভাবে বলতে গেলে, মার্কিন স্টক সূচক দীর্ঘ সময় ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা জানি যে প্রবণতা পরিবর্তন হয়। বর্তমানে, আমরা এখনও ওয়েভ 5-এর মধ্যে ওয়েভ 5 নির্মাণের পর্যায়ে আছি। সম্প্রতি, এই ইনস্ট্রুমেন্ট 6093 এর লেভেল ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ফিবোনাচি স্কেলে 200.0% এর সমতুল্য, তবে এটি অর্জিত উচ্চ লেভেল থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো দরপতন ঘটায়নি। 4-ঘণ্টার চার্টে (উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে), আমরা একটি সম্পন্ন পাঁচ-ওয়েভের গঠন এবং এর পর একটি জটিল কারেকটিভ প্যাটার্ন দেখতে পারি। এটি উল্লেখযোগ্য যে ওয়েভ গঠনগুলি স্পষ্ট এবং সহজবোধ্য হওয়া উচিত যাতে অনিশ্চয়তা এড়ানো যায়। যত বেশি জটিল ওয়েভ গঠিত হয়, ততই লাভজনকভাবে ট্রেড করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। যদি সাম্প্রতিক দরপতনকে "বুলিশ ফ্ল্যাগ" হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়, তবে S&P 500 সূচকের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, এবং নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 6124 এবং 6221-এর লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। স্টক মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পকে নিয়ে শঙ্কিত হলেও তাকে উপেক্ষা করছে মঙ্গলবার S&P 500 সূচক 41 পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আমি এটিকে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি বলব না, সূচকটি গত দুই বছর ধরে ঠিক এইভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে—ধীরে ধীরে এবং প্রায় প্রতিদিনই একই পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই প্রবণতার ভিত্তিতে, আমি বিশ্বাস করি যে ট্রাম্পের পদক্ষেপ আমেরিকান কোম্পানিগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেননি বা তাদের সমর্থন করবেন না। অন্য কথায়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করেছিল, এবং এর পরিস্থিতি প্রধানত ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতির উপর নির্ভরশীল। নিশ্চিতভাবেই, ট্রাম্পের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের মার্কিন কোম্পানিতে বিনিয়োগের ইচ্ছাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, এখন পর্যন্ত, তিনি কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেননি; বরং তার মনোযোগ অভিবাসন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ন্যাটো, এবং বৈশ্বিক সংঘাত শেষ করার মতো বিষয়ে কেন্দ্রীভূত রয়েছে। 78 বছর বয়সী ট্রাম্প মনে করেন, তিনি এমন একটি প্রজন্ম রেখে যেতে চান যারা তাকে পরিবর্তনকারী নেতা হিসেবে মনে রাখবে। এর ফলে, বর্তমানে মার্কিন বিনিয়োগকারী এবং কোম্পানিগুলোর জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগজনক কিছু নেই। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, বড় স্টক সূচকগুলো দীর্ঘমেয়াদি কারেকশনের সম্মুখীন হতে পারে। এই সম্ভাব্য ফলাফলটি ওয়েভ বিশ্লেষণ এবং ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী বছরে সীমিত মাত্রার আর্থিক শিথিলতার প্রত্যাশার মাধ্যমে সমর্থিত। যখন মার্কেটে FOMC-এর আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তনের প্রত্যাশা করা হয়েছিল তখন S&P 500-এর সর্বশেষ বৃদ্ধি ঘটেছিল। যদিও ফেড গত সেপ্টেম্বরে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে শুরু হয়েছিল, সূচকটি এখনও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, আমি এই সূচকের স্থায়ী প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে সন্দিহান, এমনকি যদি "বুলিশ ফ্ল্যাগ" থেকে ব্রেকআউটও ঘটে।
http://forex-bangla.com/customavatars/742123383.jpg
উপসংহার S&P 500 (#SPX)-এর উপর আমার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, আমি এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে সূচকটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে অব্যাহত রয়েছে। এই প্রবণতা শীঘ্রই শেষ হতে যাচ্ছে এমন কোনো দৃঢ় সংকেত নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোর ওয়েভ বিশ্লেষণ বেশ জটিল এবং অস্পষ্ট ছিল। আমি "বুলিশ ফ্ল্যাগ" প্যাটার্নের দিকে মনোযোগ দেওয়ার এবং ট্রাম্পের নীতিগুলোর প্রভাব বিবেচনা করার পরামর্শ দিচ্ছি। যদি তার উদ্যোগগুলো মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য কম সুবিধাজনক হয়—যেমন বাণিজ্য যুদ্ধ, শুল্ক, আমদানি শুল্ক, এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক—তাহলে নতুন করে এই সুচকের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। হায়ার স্কেলে, ওয়েভ গঠনটি অনেক বেশি স্পষ্ট, যা একটি স্বতন্ত্র পাঁচ-ওয়েভের প্যাটার্ন দেখায়, যেখানে পঞ্চম ওয়েভের মধ্যে আরও একটি পাঁচ-ওয়েভ গঠন রয়েছে। এই পঞ্চম ওয়েভটি শেষের দিকে থাকতে পারে, যা একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং জটিল কারেকশনের সূচনা নির্দেশ করতে পারে, যা সম্ভবত ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

আমার বিশ্লেষণের মূল নীতি ওয়েভ স্ট্রাকচারগুলো সহজ এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল স্ট্রাকচার ট্রেডিংয়ে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে এবং প্রায়ই পরিবর্তিত হয়। মার্কেটের পরিস্থিতি অস্পষ্ট হলে, মার্কেট থেকে দূরে থাকা ভালো। মার্কেটের দিকনির্দেশনা সম্পর্কে কখনো ১০০% নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই সর্বদা স্টপ লস ব্যবহার করুন। ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি এবং ট্রেডিংয়ের কৌশলের সঙ্গে একত্রিত করা যায় এবং করা উচিত। (https://ifxpr.com/4aqAnkC)

Read more: https://ifxpr.com/4aqAnkC

LIMAFX
2025-01-23, 04:36 PM
২৩ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1735337590.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে—স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, মাত্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইম বা বেকার ভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল সাধারণত পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি প্রদর্শন করে না এবং বাজার পরিস্থিতির ওপর কম প্রভাব ফেলে। তাই, আমরা আজ মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি না। তবে, যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন হুমকি ও শর্ত আরোপ অব্যাহত রাখেন, তাহলে মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের দিক থেকে বিশেষ কিছু উল্লেখযোগ্য নেই। যদিও গতকাল ক্রিস্টিন লাগার্ডের একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে আজ ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই। তবে, এটি সাময়িক বিরতি। আগামী সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বৈঠক শুরু হবে, এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরো ও পাউন্ডের মূল্য যে বৃদ্ধি পেয়েছে তা ধরে রাখা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা প্রায় 90%, যখন ফেডারেল রিজার্ভের একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা কম।

উপসংহার: সাপ্তাহিক ট্রেডিংয়ের শেষভাগে, মার্কেট তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারই বর্তমানে কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যদিও এই কারেকশনগুলো খুব শক্তিশালী নয়। ফলে, আজ উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না, কারণ সপ্তাহের শুরুতে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টগুলো ন্যায়সঙ্গত বা যৌক্তিক ছিল না। তবে, আমরা আশা করছি উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশন আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত থাকতে পারে। (https://ifxpr.com/40HX2py)

Read more: https://ifxpr.com/40HX2py

LIMAFX
2025-01-27, 06:59 PM
মার্কিন স্টক সূচকসমূহের কারেকশন এবং ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অস্থায়ী হতে পারে (স্থানীয় পর্যায়ে নাসডাক CFD-এর পতনের এবং USD/CAD পেয়ারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে)
http://forex-bangla.com/customavatars/951946738.jpg
আগামী সপ্তাহে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা নিঃসন্দেহে বিশ্ববাজার দৃশ্যমান প্রভাব ফেলবে। প্রথমেই, আমরা গত সপ্তাহের প্রধান রাজনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন অনেক বক্তব্য দিয়েছেন এবং পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা সরাসরি বাজার পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। এর মধ্যে একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হলো আমদানির ওপর শুল্ক এবং কর আরোপ, যা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার সাথে মিলিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। শুক্রবার, ডাভোস ফোরামে অনলাইনে বক্তব্য দেওয়ার সময়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও সুদের হার কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। এই বিবৃতিটি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের চাহিদা বাড়িয়েছে। তবে, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা এবং বেশ কয়েকটি বৃহৎ মার্কিন কোম্পানির আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকায়, বিনিয়োগকারীরা পূর্বে ওপেন করা পজিশনগুলো কমানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। শুল্ক পরিকল্পনা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চলমান আলোচনা মার্কিন ইক্যুইটিগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, অন্যদিকে নিরাপদ বিনিয়োগের মুদ্রা হিসেবে ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। তবে, ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির আসন্ন সভা এবং সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি ট্রেডাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা এখনও অনিশ্চিত। ফেডারেল ফান্ড ফিউচার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৪.২৫%-৪.৫০% সীমার মধ্যে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার ৯৯.৫% সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎ সুদের হার কমানোর বিষয়ে বক্তব্যের ওপর দৃষ্টি থাকবে। অনেক বিনিয়োগকারী মনে করেন যে, গ্রীষ্মের আগে সুদের হার কমার সম্ভাবনা নেই। তাই, যদি FOMC-এর বিবৃতি এবং পাওয়েলের মন্তব্যে নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি না পাওয়া যায়, তাহলে ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের তুলনামূলকভাবে কম প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের প্রতি ঘনিষ্ঠ নজর রাখবেন, যা 3.1% থেকে 2.7% প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত দিতে পারে। মোটের ওপর, ফেডের আসন্ন সভা, সম্ভবত জিডিপি প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল, এবং বৃদ্ধি পাওয়া PCE-এর সাথে শুল্ক সংক্রান্ত উদ্বেগ যুক্ত হয়ে মার্কিন ইক্যুইটিতে আরও কারেকশনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই সময়ে, ডলার সম্ভবত সমর্থন পাবে। তদ্ব্যতীত, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব কানাডার প্রত্যাশিত সুদের হার হ্রাস ইউরো এবং কানাডিয়ান ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত মার্কিন ডলারের বিপরীতে।

কীভাবে মার্কিন ইক্যুইটি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ডলারের শক্তিশালী হওয়ার নেতিবাচক প্রবণতাগুলো পাল্টানো যেতে পারে? ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কিছু আশাব্যঞ্জক ঘোষণা এই অবস্থার পরিবর্তনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কর্পোরেট করের বোঝা হ্রাস করার তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য চাহিদা বৃদ্ধি করবে। তদুপরি, এই সপ্তাহে প্রত্যাশিত বৃহৎ কোম্পানির ইতিবাচক আয়ের প্রতিবেদন ইক্যুইটি মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম সৃষ্টি করতে পারে। মার্কিন অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনাগুলো বিবেচনায় নিয়ে, স্টক মার্কেটে যেকোনো কারেকশন স্বল্পমেয়াদী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে পতন নতুন ক্রয়ের সুযোগ এনে দিতে পারে, যার ফলে প্রধান স্টক সূচকগুলো আবার ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অর্জন করতে পারে। দৈনিক পূর্বাভাস

নাসডাক (#NDX) FOMC-এর সভার ফলাফল এবং এই সপ্তাহে প্রকাশিতব্য গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রত্যাশায় নাসডাক CFD পতনের শিকার হয়েছে। মার্কেটে ক্রমাগত নেতিবাচক অনুভূতির কারণে নাসডাক CFD 21,000.00 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। USD/CAD এই পেয়ারটির মূল্য 1.4300–1.4465 এর সাইডওয়েহ রেঞ্জে রয়েছে। ব্যাংক অব কানাডার সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাস, ফেডের অপরিবর্তিত সুদের হার এবং মার্কেটে সামগ্রিক নেতিবাচক পরিস্থিতির সাথে যুক্ত হয়ে এই পেয়ারের মূল্য উল্লিখিত রেঞ্জের উপরের সীমা 1.4465 এর দিকে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3PR9nBr)

Read more: https://ifxpr.com/3PR9nBr

LIMAFX
2025-01-28, 03:55 PM
২৮ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/135901125.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্রতিবেদন হল মার্কিন ডিউরেবলস গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ডিউরেবল গুডস সাধারণত উচ্চ মূল্যের পণ্য, যা আংশিকভাবে মার্কিন ভোক্তাদের আর্থিক পরিস্থিতির সূচক হিসেবে কাজ করে। যদি এই পরিসংখ্যানের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক হয়, তবে এটি মার্কিন ডলারকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করতে পারে। এছাড়াও, আগামীকাল FOMC-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মার্কিন ডলারের জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের প্রধান ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের আরেকটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, লাগার্ড গত সপ্তাহে বুধবার, শুক্রবার এবং গতকাল সোমবারও বক্তৃতা দিয়েছেন, যেখানে কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার ইসিবির বছরের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা সম্পূর্ণরূপে সুদের হার 0.25% হ্রাসের আশা করছে। এর বিপরীতে, বুধবার অনুষ্ঠিতব্য FOMC-এর বৈঠকে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা নেই। এর ফলে, মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইউরো মার্কিন ডলারের তুলনায় অসুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ইউরোর মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুধুমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন বলেই মনে হচ্ছে এবং এর বেশি কিছু নয়। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, সম্ভবত উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের 80% মুভমেন্ট টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে। আমরা মনে করি, মার্কিন ডলারের মূল্যের পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ গত তিন সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত এই কারণে যে বর্তমান মুভমেন্ট কারেকশনের ভিত্তিতে হচ্ছে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিঃসন্দেহে ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীদের ডলার এবং মার্কিন শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে অনীহা বাড়িয়েছেন, তবে মার্কিন ডলার শুধুমাত্র ট্রাম্পের বৈশ্বিক নীতির প্রভাবে চাপের মধ্যে থাকতে পারে না। (https://ifxpr.com/3CuY4fd)

Read more: https://ifxpr.com/3CuY4fd

LIMAFX
2025-01-29, 04:28 PM
এআই-ভিত্তিক স্টকের নতুন যুগ? ওয়াল স্ট্রিটে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনভিডিয়া
http://forex-bangla.com/customavatars/650478009.jpg
এনভিডিয়া এবং এআই-ভিত্তিক স্টকের পুনরুদ্ধারে মার্কিন স্টক মার্কেটে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি মঙ্গলবার মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে, যেখানে এআই-সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টদের দৃঢ়তার ফলে মূল সূচকসমূহ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। আগের দিনের দরপতনের পর, বিনিয়োগকারীরা কম দামে শেয়ার কেনার সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।

নাসডাক সূচকে প্রবৃদ্ধি, এনভিডিয়ার শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন নাসডাক প্রযুক্তি সূচক ২% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর এআই চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার স্টকের মূল্য দ্রুত পুনরুদ্ধার করে ৮.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি এমন এক পরিস্থিতির পর ঘটলো, যেখানে আগের দিনে কোম্পানিটি ১৭% দরপতনের শিকার হয়, যার ফলে এটির বাজার মূলধন $593 বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছিল— যা একক ট্রেডিং সেশনে কোনো পাবলিক কোম্পানির জন্য সর্বোচ্চ লোকসান।

প্রযুক্তি খাতে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি S&P 500-এর প্রযুক্তি খাত (.SPLRCT) ৩.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ দৈনিক বৃদ্ধি। অন্যদিকে, সেমিকন্ডাক্টর খাত (.SOX) ১.১% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ খাতের পুনরুদ্ধার প্রতিফলিত করছে।

বিনিয়োগকারীরা অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের আয়ের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে অ্যাপলের শেয়ারের দর ৩.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা অ্যাপল (AAPL.O) এবং মাইক্রোসফট (MSFT.O)-এর আসন্ন আয়ের প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখছেন। এই কোম্পানিগুলো তাদের সর্বশেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে, যা মার্কেটের ভবিষ্যৎ মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা: এআই খাতে মার্কিন নেতৃস্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ গতকালের প্রযুক্তি খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্টকের দরপতন চীন থেকে প্রকাশিত সংবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল: দেশটির স্থানীয় স্টার্টআপ ডিপসিক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল উন্মোচন করেছে, যা দাবি করছে যে এটির পারফরম্যান্স মার্কিন শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মডেলের সমতুল্য বা এমনকি উন্নততর, কিন্তু এটির খরচ অনেক কম। এই খবর বিনিয়োগকারীদের সতর্ক সংকেত প্রদান করে, কারণ চীনা কোম্পানির প্রতিযোগিতার কারণে এআই খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোর সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

অস্থিরতার পর শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি: বিনিয়োগকারীরা বাজারে ফিরে আসছে মঙ্গলবার, মার্কিন স্টক মার্কেটের প্রধান সূচকগুলো প্রযুক্তি খাতের অস্থিরতার কারণে সাম্প্রতিক কারেকশনের পর প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। বিনিয়োগকারীরা সক্রিয়ভাবে শেয়ার ক্রয় করছে, এবং এনভিডিয়ার স্টকের মূল্যের দ্রুত বৃদ্ধি এই প্রবণতার একটি স্পষ্ট নিশ্চিতকরণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

অস্থায়ী পতন নাকি দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা? নিউ জার্সির নিউ ভারননের চেরি লেন ইনভেস্টমেন্টস-এর পার্টনার, রিক মেকলার বলেন,"আমরা একটি স্বাভাবিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করছি, যা তখনই ঘটে যখন বাজার পরিস্থিতি অস্পষ্ট থাকে এবং নির্দিষ্ট ঘটনাগুলোর চেয়ে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ থাকে।" তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) খাত, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য কারেকশনের ঝুঁকিতে ছিল। মেকলার যোগ করেন, "চীনা স্টার্টআপ ডিপসিক সংক্রান্ত সংবাদ শুধুমাত্র একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, তবে আজ আমরা বাজারে সুযোগ সন্ধানী বিনিয়োগকারীদের ফিরে আসতে দেখছি। অনেকেই এই খবরকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না, কারণ ডিপসিক সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে।" প্রধান সূচকসমূহে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে বাজার পরিস্থিতি পরিবর্তনের ফলে স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ (.DJI) 136.77 পয়েন্ট বা +0.31% বৃদ্ধি পেয়ে 44,850.35-এ পৌঁছেছে। S&P 500 (.SPX) 55.42 পয়েন্ট বা 0.92% বৃদ্ধি পেয়ে 6,067.70-এ পৌঁছেছে। প্রযুক্তি খাতভিত্তিক নাসডাক কম্পোজিট সূচক (.IXIC) 391.75 পয়েন্ট বা 2.03% বৃদ্ধি পেয়ে 19,733.59-এ পৌঁছেছে। এনভিডিয়ার স্টকের দরপতনের পর পুনরুদ্ধার এনভিডিয়ার ফরওয়ার্ড প্রাইস-টু-আর্নিংস রেশিও (P/E), যা কোম্পানিটির পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি প্রধান সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, ডিসেম্বর ২০২৩-এর পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। তবে, এটি কোম্পানিটির স্টকের সাম্প্রতিক দরপতনের পর দ্রুত পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করেনি, যেখানে স্টকের ব্যাপক বিক্রির কারণে দরপতন ঘটেছিল। স্বল্পমেয়াদী অস্থিরতা সত্ত্বেও, এনভিডিয়া এবং সামগ্রিক মার্কিন স্টক মার্কেট গত দুই বছর ধরে এআই উন্মাদনার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আশাবাদ এখনো উচ্চমাত্রায় রয়েছে, যা এই খাতের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়িয়ে তুলছে। কর্পোরেট রিপোর্ট বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করছে প্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, শক্তিশালী কর্পোরেট প্রতিবেদন দ্বারা বাজারের ইতিবাচক গতিশীলতা সমর্থিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ক্রুজ অপারেটর রয়্যাল ক্যারিবিয়ান (RCL.N)-এর শেয়ারের দর ১২% বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ কোম্পানিটি বাৎসরিক মুনাফার পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। প্রান্তিক-ভিত্তিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের মৌসুম হওয়ায়, বিনিয়োগকারীরা বাজারের বর্তমান প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা নির্ধারণের জন্য বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর আর্থিক ফলাফলের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে। বোয়িং চমকে দিল, জিএম হতাশ করলো: বিনিয়োগকারীরা শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত ঝুঁকি পর্যালোচনা করছে মার্কিন স্টকে মার্কেটে মিশ্র মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, বিনিয়োগকারীরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগ লোর কর্পোরেট প্রতিবেদন ও সম্ভাব্য শুল্ক সংক্রান্ত ঝুঁকি পর্যালোচনা করছে। বোয়িং মুনাফায় প্রবেশ করলো, যদিও বার্ষিক ভিত্তিতে লোকসান হয়েছে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং (BA.N)-এর শেয়ারের দর ১.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতা সম্ভবত বিনিয়োগকারীদের এয়ার ট্রাভেলের ভবিষ্যৎ ও বিমান সংক্রান্ত চাহিদার পুনরুদ্ধার সম্পর্কে আশাবাদের কারণে হয়েছে। জেনারেল মোটরস চাপে সম্মুখীন: শেয়ারের ৮.৯% দরপতন জেনারেল মোটরস (GM.N)-এর জন্য সেশনটি ততটা ইতিবাচক ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতি এমন একটি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে সংগতিপূর্ণ ছিল না। এই প্রেক্ষাপটে, কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য ৮.৯% হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিতে পারে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক হুমকি: চিপ এবং স্টিল শিল্পের উপর চাপ সোমবার সন্ধ্যার ভাষণে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন অর্থনৈতিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টর, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং স্টিলের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। যদি এই নীতিমালা কার্যকর হয়, তবে এটি মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন ঘটাতে পারে, বিশেষত যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। ফেডের ২০২৫ সালে প্রথম সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুতি ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীরা এখন আসন্ন ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের দিকে নজর রাখছে। বুধবার, ফেডের মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সম্ভাবনা রয়েছে, যা হবে নতুন বছরের প্রথম নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত। তবে, বিশ্লেষকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি পরিবর্তন সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। স্টক মার্কেট: নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে (NYSE) ১.১৩:১ অনুপাতে দরপতনের শিকার স্টকের সংখ্যা মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া স্টকের সংক্যার তুলনায় বেশি ছিল। তবে, ১৬৫টি স্টকের দর নতুন উচ্চতায় এবং ৪৬টি স্টকের দর নতুন সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে, যা নির্দেশ করে যে কিছু প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র এখনো বজায় রয়েছে। নাসডাকে, পরিস্থিতি আরও সংকীর্ণ ছিল: ২,১৮৮টি স্টকের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ২,২১৬টি স্টক দরপতনের শিকার হয়েছে, ফলে ১.০১:১ অনুপাতে বিক্রেতাদের পক্ষে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। ট্রেডিং ভলিউম স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল বাজারে ট্রেডিং কার্যক্রম স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। মঙ্গলবার, মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে ১৩.৮৭ বিলিয়ন লেনদেন হয়েছে, যা গত ২০ দিনের ট্রেডিংয়ের গড় ১৫.৫ বিলিয়ন শেয়ারের চেয়ে কম। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়ার পুনরুদ্ধারের উপর বাজি ধরছে এনভিডিয়ার (NVDA.O) স্টকের রেকর্ড দরপতনের পর, দ্রুত মুনাফা অর্জনের আশায় বিনিয়োগকারীরা লিভারেজড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETF) ক্রয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা আশা করছে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে এনভিডিয়া দ্রুত বাজার মূলধন পুনরুদ্ধার করবে। দ্রুত বিনিয়োগ প্রবাহ: এনভিডিয়া-কেন্দ্রিক ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের নজর এনভিডিয়ার দ্রুত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি বৃহত্তম ফান্ডগুলো স্বল্পমেয়াদি ট্রেডারদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যারা চিপ নির্মাতার প্রতিষ্ঠানের স্টকের মূল্যের অস্থিরতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার, অ্যাসেট ম্যানেজাররা নিশ্চিত করেছেন যে লিভারেজড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETF)-এ ব্যাপক বিনিয়োগ প্রবাহ ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের এনভিডিয়ার দৈনিক রিটার্নের দ্বিগুণ মুনাফা অর্জনের সুযোগ দিয়ে থাকে। চীনা প্রতিযোগিতার প্রভাব: এনভিডিয়ার বাজার মূলধনের রেকর্ড পতন সোমবার, এনভিডিয়ার বাজার মূলধন এক দিনে নজিরবিহীন দরপতনের শিকার হয়। এই পতন চীনা স্টার্টআপ ডিপসিকের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মডেল উন্মোচনের ঘোষণার পরপরই ঘটেছে, যা এনভিডিয়ার উন্নত প্রযুক্তির সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রানাইটশেয়ার্স-এ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রবাহ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ফান্ড গ্রানাইট শেয়ার্স 2x Long NVDA Daily ETF (NVDL.O), যা এনভিডিয়ার প্রবৃদ্ধির ওপর দ্বিগুণ রিটার্ন প্রদান করে। গ্রানাইট শেয়ার্স-এর সিইও, উইল রাইন্ড বলেন, "আমরা আমাদের লং ফান্ডে প্রায় $1 বিলিয়ন বিনিয়োগ প্রবাহ দেখেছি।" তবে, এই বৃহৎ বিনিয়োগ প্রবাহ সত্ত্বেও এটি এখনো বিক্রির চাপ পুরোপুরি সামলাতে পারেনি। ফান্ডটির অ্যাসেট $৬ বিলিয়ন থেকে কমে প্রায় $৪.৩ বিলিয়নে নেমে এসেছে। লিভারেজড ফান্ডের ক্ষতি বৃদ্ধি পেয়েছে LSEG-এর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার এনভিডিয়া-কেন্দ্রিক চারটি 2x লিভারেজড ETF-এর প্রতিটির মূল্য ৩৩% থেকে ৩৪% পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। তবে, ট্রেডাররা এখনো এই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে অর্থ ঢালছে। উদাহরণস্বরূপ, Direxion Daily NVDA Bull 2x Shares ETF (NVDU.O), যেটির অ্যাসেটের মূল্য $৪৩৫ মিলিয়ন, সেটি $৬১.৪ মিলিয়ন নতুন বিনিয়োগ প্রবাহ নথিভুক্ত করেছে। অদ্ভুতভাবে, এর বিপরীতমুখী ফান্ড, যা এনভিডিয়ার দরপতনের ওপর বাজি ধরছে, সেটিও প্রায় $৩ মিলিয়ন নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে, যা মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে মতবিরোধের ইঙ্গিত দেয়। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়ার অস্থিরতার ওপর বাজি ধরছে সাম্প্রতিক ধস সত্ত্বেও, এনভিডিয়া এখনো স্টক মার্কেটের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের আশাবাদী মনোভাব কোম্পানিটির স্টকের চাহিদা বাড়িয়ে তুলছে, এবং স্বল্পমেয়াদী ট্রেডাররা মূল্যের উচ্চ ওঠানামা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে এটি নির্ধারিত হবে যে এনভিডিয়া দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা, নাকি কারেকশন দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট: বাজারের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চমাত্রার প্রত্যাশা এখনো বজায় রয়েছে। এনভিডিয়া মিনি-ফান্ডে রেকর্ড লেনদেন চারটি লিভারেজড ETF-এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট ফান্ড, Leverage Shares 2x Long NVDA Daily ETF (NVDG.O), যার মোট অ্যাসেট $৩ মিলিয়ন, তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগ প্রবাহের তথ্য সরবরাহ করেনি। তবে লেনদেনের পরিসংখ্যানই বাজার পরিস্থিতি প্রকাশ করছে। Themes ETFs-এর প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, পল মারিনো, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে Leverage Shares-এর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন, জানান যে সোমবার এই ইন্সট্রুমেন্টের ট্রেডিং ভলিউম গড়ের তুলনায় ছয় গুণ বেশি ছিল। এনভিডিয়া স্পেকুলেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এনভিডিয়া লিভারেজড ফান্ডগুলোর উচ্চ ট্রেডিং কার্যক্রম দেখিয়ে দিচ্ছে যে বাজারে প্রচুর স্পেকুলেটিভ ট্রেডার সক্রিয় রয়েছে, যারা মূলত মূল্যের অস্থিরতার ওপর মুনাফা করতে চায়। মারিনো ব্যাখ্যা করেন, "লেনদেনের পরিমাণ আমাদের বলে দেয় যে বাজারে কতজন বিনিয়োগকারী এনভিডিয়ার ওপর বাজি ধরছে।" ফান্ডটি সোমবারের ট্রেডিং সেশন ইতিবাচকভাবে শেষ করেছে এবং মঙ্গলবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে অনেক বিনিয়োগকারী সাম্প্রতিক দরপতনকে বাজার থেকে বের হওয়ার সংকেত হিসেবে দেখছে না, বরং কম দামে বাজারে প্রবেশের সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করছে। এনভিডিয়া: এআই বাজারের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার লড়াই স্টক মার্কেটের বিনিয়োগাকারীরা এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনভিডিয়ার কার্যক্রম ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাজার মূলধনের রেকর্ড পতনের পর, এনভিডিয়া এখনো উচ্চমাত্রার ট্রেডিং কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, এবং লিভারেজড ফান্ডগুলো এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। কোম্পানিটি দ্রুত তার হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে পারবে নাকি অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার: এনভিডিয়ার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে না, বরং স্বল্পমেয়াদী ট্রেডাররা দ্রুত প্রবণতা পরিবর্তনের আশায় ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। *এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।
(https://ifxpr.com/3Epp2p0)
Read more: https://ifxpr.com/3Epp2p0

LIMAFX
2025-01-30, 05:14 PM
৩০ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/390196692.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানি, ইউরোজোন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় ট্রেডাররা বুধবারের FOMC-এর বৈঠক এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বৈঠকের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। ফলে, এই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের কারণে কিছুটা গুরুত্ব হারাতে পারে। এছাড়াও, ইইউ-এর বেকারত্ব হার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন আজ ট্রেডারদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য মার্কেটে তেমন শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি, তবে তার মাঝারি হকিশ বা কঠোর অবস্থান ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার কারণ হিসেবে কাজ করছে। যদি আজ ইসিবি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান বজায় রাখে, তাহলে মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। লাগার্ড এবং তার সহকর্মীরা নিয়মিতভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ইসিবি মুদ্রানীতিকে আরও শিথিল করতে প্রস্তুত, তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বড় কোনো চমকের আশা করা হচ্ছে না। তবে, মার্কেটে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি অনুঘটকের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও, জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থার নিশ্চিতকরণ প্রদান করতে পারে, এদিকে ইউরোজোনের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।

উপসংহার: বৃহস্পতিবার মার্কেটে বেশ অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। যদিও FOMC-এর বৈঠকের পর মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং ইসিবির কাছ থেকেও বড় কোনো চমকের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না, তবুও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট মার্কেটে উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি কোনো নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ছাড়াই এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যেঁতে পারে। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া মূলত উপলব্ধ তথ্যের ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করবে। মাঝারি মেয়াদে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হতে পারে, তবে সামনের কয়েক দিন নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাই বেশি। (https://ifxpr.com/3CvPfBM)

Read more: https://ifxpr.com/3CvPfBM

LIMAFX
2025-01-31, 05:10 PM
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ৩১ জানুয়ারি
http://forex-bangla.com/customavatars/932558514.jpg
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0415 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.0451 এর লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকেলের পূর্বাভাস অনুযায়ী, 1.0451 লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ভিত্তিতে এই পেয়ার বিক্রি করার ফলে প্রায় ৩০ পিপস লাভ করা গেছে। মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধির দুর্বল ফলাফল সাময়িকভাবে ইউরোকে শক্তিশালী করেছিল, কারণ এটি মার্কিন ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। ট্রেডাররা ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পুনরুদ্ধারের ওপর বাজি ধরতে শুরু করে, বিশেষ করে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠকের পর। তবে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যায়, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য শুল্ক সম্পর্কিত নতুন হুমকি প্রদান করেন, যা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করে এবং ডলারের চাহিদা পুনরুদ্ধার করে। এই ধরনের হুমকি, আগের মতোই, মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে, যা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করতে বাধ্য করেছে। ডলারের রিজার্ভ কারেন্সির মর্যাদা থাকার কারণে, এটি আবারও শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে এবং ইউরোর বিপরীতে এটির মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে, যা বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে। ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং রাজনৈতিক বিবৃতি EUR/USD-এর মূল্যের প্রবণতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি কি একটি চূড়ান্ত বিপরীতমুখী প্রবণতা, নাকি চলমান সাইডওয়েজ মুভমেন্টের ধারাবাহিকতা, তা সময়ই বলে দেবে। বর্তমানে ইউরোপের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে, আজ প্রকাশিতব্য জার্মানির বেকারত্বের হার এবং ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) ফলাফল বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশক হতে পারে। যদি বেকারত্বের হার হ্রাস পায় এবং মূল্যস্ফীতি কমে যায়, তবে এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির সংকেত দিতে পারে, তবে একইসাথে ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং স্থায়ী বেকারত্ব ইউরোর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা কারেন্সি মার্কেটে নেতিবাচক মনোভাব আরও বাড়িয়ে তুলবে। এই পরিস্থিতিতে, ইউরো মার্কিন ডলারের বিপরীতে মূল্য হারাতে পারে। আমি মূলত পরিকল্পনা No.1 এবং No.2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।

বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন মূল্য 1.0430-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0399 এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0430 পয়েন্টে গেলে, আমি লং পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ: কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0381-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0399 এবং 1.0430-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।

সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0381 এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0353-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র নিচের দিকে যেতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0399-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0381 এবং 1.0353-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। (https://ifxpr.com/4hu63Iw)

Read more: https://ifxpr.com/4hu63Iw

FRK75
2025-02-01, 07:30 AM
বোনাস কি আর দিবে না

LIMAFX
2025-02-04, 04:54 PM
বিটকয়েনের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা কি খুব শীঘ্রই শেষ হতে যাচ্ছে?
http://forex-bangla.com/customavatars/1832516111.jpg
মার্কেট সেন্টিমেন্ট বিয়ারিশ হয়ে পড়েছে, যা বেশিরভাগ ক্রিপ্টোকারেন্সি ে প্রভাবিত করেছে। বিটকয়েনের মূল্য স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রায় 6% হ্রাস পেয়ে $93,890-এ নেমে আসে, যখন ছোট টোকেনগুলোর মূল্য আরও বেশি পতনের শিকার হয়েছে। মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনে দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথেরিয়াম, 3 ফেব্রুয়ারি সোমবার, 27% দরপতনের শিকার হয়ে $2,135-এ পৌঁছায়। পরে এটি কিছুটা পুনরুদ্ধার করলেও, বিশেষজ্ঞরা একে 2021 সালের মে মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক দরপতন হিসেবে দেখছেন। 3 ফেব্রুয়ারির সকালে, ইথেরিয়াম $2,500-এর কাছাকাছি ট্রেড করছিল, যখন বিটকয়েনের মূল্য প্রায় $93,960 লেভেলে অবস্থান করছিল। এদিকে, রিপল সংশ্লিষ্ট XRP-এর মূল্য 15% এরও বেশি হ্রাস পেয়ে $2.20-এ নেমে আসে। বিশ্লেষকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ট্রাম্পের কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বিলিয়ন ডলারের শুল্ক শিগগির কার্যকর হবে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যকে ব্যাহত করতে পারে। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। BTC Markets-এর CEO ক্যারোলিন বোউলার বলেছেন, "ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ পুরো মার্কেটকে প্রভাবিত করছে।" তিনি আরও যোগ করেন যে বাণিজ্য সংঘাত এবং স্ট্যাগফ্লেশন নিয়ে উদ্বেগ ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ছে, যা বিটকয়েন ও অল্টকয়েনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এই পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মার্কেটে বিটকয়েনের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা শেষ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যদিও এটি আগের সাইকেলের তুলনায় দুর্বল, তবে বর্তমান সাইকেল 2015-2018 সময়কালের সঙ্গে মিল রাখে, যার ফলে আরও দর বৃদ্ধির সুযোগ থাকছে। গ্লাসনোডের বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সাইকেলে বিটকয়েনের মূল্য বেশ ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি বিটকয়েনের মূল্য নতুন সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছায় এবং নতুন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে, তাহলে এর বুলিশ প্রবণতা শীঘ্রই শেষ হতে পারে। সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর মার্কেটের এই পরিবর্তন একটি তীব্র বিপরীতমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে, যা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার ও বিজয়ের পর তার প্রো-ক্রিপ্টো অবস্থানের ফলে সৃষ্ট হয়েছিল। 24 জানুয়ারি, প্রেসিডেন্ট মার্কিন ক্রিপ্টো সংস্থাগুলোর জন্য মূল নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা ছয় মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরি করবে। এই টিম একটি জাতীয় ক্রিপ্টো রিজার্ভ তৈরির সম্ভাবনাও অন্বেষণ করবে। বিটকয়েন, সোলানা এবং রিপলের তুলনায় ইথেরিয়াম আরও বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ট্রেডার জনাথন ইয়ার্কের মতে, এর কারণ হলো, বিটকয়েন, সোলানা এবং রিপল এই তিনটি অ্যাসেটেরই মার্কিন ডিজিটাল অ্যাসেট রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, বিটকয়েনের তুলনায় ইথেরিয়ামের লিকুইডিটি কম স্থিতিশীল হয়েছে, যা একে আরও বেশি ভোলাটাইল করে তুলেছে। এদিকে, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (SEC) বিটওয়াইজের স্পট বিটকয়েন ও ইথেরিয়াম ETF-এর দ্রুত অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে, সংস্থাটি হ্যাশডেক্স এবং ফ্র্যাঙ্কলিন টেম্পলটনের অনুরূপ তহবিলগুলোর জন্য অনুমোদন দিয়েছিল। ট্রাম্পের ক্রিপ্টো পরিকল্পনা নিয়ে আশাবাদী হলেও, তার শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণাগুলো সপ্তাহান্তে ব্যাপক সেল-অফের কারণ হয়েছে, কারণ ট্রেডাররা বৃহত্তর সামষ্টিক অর্থনৈতিক ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষিত অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডেরিভেটিভস প্রধান শন ম্যাকনাল্টি বলেছেন, বিটকয়েন ছোট টোকেনগুলোর তুলনায় এই পতন থেকে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এটি সফলভাবে পুনরুদ্ধার করতে পারে। (https://ifxpr.com/40FEUvj)

Read more: https://ifxpr.com/40FEUvj

LIMAFX
2025-02-05, 06:46 PM
৫ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/57697468.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের PMI সূচক প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল মিশ্র হতে পারে, কারণ পূর্বাভাস থেকে সামান্য বিচ্যুতি মার্কেটে সাধারণত শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। তবে, যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তাহলে তা মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে। আজ মোট পাঁচটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে দুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, যার মধ্যে ISM সূচক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সাধারণত, এই প্রতিবেদনটি নন-ফার্ম পেরোলস (NFP) প্রতিবেদন প্রকাশের আগে একটি নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও ট্রেডাররা মূলত NFP প্রতিবেদনের ফলাফুল ওপর বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়, ADP প্রতিবেদনের ফলাফলকেও গৌণ নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজকের মূল ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইসিবি-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তব্য, এবং ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে থমাস জেফারসন, থমাস বারকিন, অস্টান গুলসবী এবং মিশেল বাউম্যান বক্তব্য দেবেন। সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তৃতার প্রতি মার্কেটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে দেখা যায় না। তবে, এই মন্তব্যগুলো দীর্ঘমেয়াদী মৌলিক প্রেক্ষাপট নির্ধারণ বা সামঞ্জস্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা কারেন্সি মার্কেটে ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, এই ইভেন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার ব্যাপারে বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও দৃঢ় করতে পারে বা বিপরীত দিকে মার্কেট সেন্টিমেন্টের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এই মুহূর্তে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার কোনো কারণ নেই। বর্তমান কারেকশন শেষ হলে, ইউরো এবং পাউন্ডের আরও উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় পেয়ারের মূল্যের অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। নতুন ট্রেডারদের আজ টেকনিক্যাল ফ্যাক্টরগুলোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং প্রতিটি প্রতিবেদন বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ারের উপর আলাদা প্রভাব ফেলতে পারে। স্বল্প-মেয়াদে, EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে দীর্ঘ-মেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো শেষ হয়নি, তবে এই পর্যায়ে একটি নিম্নমুখী রিট্রেসমেন্টও ঘটতে পারে। (https://ifxpr.com/42PuxaG)

Read more: https://ifxpr.com/42PuxaG

LIMAFX
2025-02-06, 04:58 PM
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ৬ ফেব্রুয়ারী
http://forex-bangla.com/customavatars/978417466.jpg
ইউরোর ট্রেডের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও, বিকেলে আমি উল্লেখিত লেভেলগুলোর কোনো টেস্ট দেখতে পাইনি, যার ফলে কোনো ট্রেড ওপেন করা হয়নি। হোয়াইট হাউসের শুল্ক সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপের অনিশ্চয়তা বিবেচনায়, ইউরোর চাহিদার হ্রাস পুরোপুরি স্বাভাবিক একটি বিষয়। বিনিয়োগকারীরা গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন শ্রমবাজার সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের আগে সতর্কতা অবলম্বন করছে, যা বাজারের প্রবণতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। যদিও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন প্রত্যাশিত ছিল, তবুও আরও গভীর দরপতনের সময় বিক্রয়ের বিষয়টির ব্যাপারে এই মুহূর্তে আগেভাগে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন, কারণ ইউরোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া নির্ভর করবে শুধুমাত্র শ্রমবাজারের প্রতিবেদনের ওপর নয়, বরং ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপরও। আজকের ইউরোজোনের খুচরা বিক্রির প্রতিবেদন ভোক্তাদের চাহিদা ও মনোভাব সম্পর্কে মূল্যবান ইঙ্গিত দিতে পারে। যদি এই প্রতিবেদনে বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়, তাহলে এটি ভোক্তা আস্থা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে এবং অঞ্চলটির অর্থনৈতিক শক্তিশালীকরণে অবদান রাখতে পারে। তবে, চলমান মুদ্রাস্ফীতি এবং অনিশ্চয়তার কারণে ভোক্তাদের আচরণ এখনও অস্থির থাকতে পারে। এছাড়া, জার্মানির শিল্প উৎপাদন আদেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিনের প্রথমার্ধে প্রকাশিত হবে, যা ট্রেডারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। জার্মানি ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ায়, এই প্রতিবেদনের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ। আদেশের পরিমাণ হ্রাস উৎপাদন খাতে গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে, যেমন সরবরাহ শৃঙ্খলের ব্যাঘাত এবং কাঁচামালের ঘাটতি। এই পরিস্থিতি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং বিনিয়োগের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।

বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0427-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0400-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0427-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের পরে আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0380-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0400 এবং 1.0427-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।

সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0380-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0347-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0400-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0380 and 1.0347-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। (https://ifxpr.com/3WS1nnQ)

Read more: https://ifxpr.com/3WS1nnQ

LIMAFX
2025-02-07, 02:32 PM
৭ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/2146825895.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের তথ্য এবং নন-ফার্ম পেয়ারোলস (NFP) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ডলারের মূল্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিগত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে ফেড এই প্রতিবেদনগুলোর ওপর ভিত্তি করেই মুদ্রানীতি সমন্বয় করে। এই প্রতিবেদনগুলোর দুর্বল ফলাফল শুধুমাত্র সাময়িকভাবে অর্থনৈতিক মন্দার সংকেতই দেবে না, বরং আসন্ন বৈঠকগুলোতে ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেবে। এছাড়া, আজ জার্মানির শিল্প উৎপাদন, মার্কিন মজুরি বৃদ্ধির হার এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ভোক্তা আস্থা সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার, বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তার বক্তব্য নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে হু পিল (ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ, লুইস ডে গুইন্ডোস (ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট), মিশেল বোম্যানের (ফেড) বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তবে, তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকই ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই এই কর্মকর্তারা কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন মতামত প্রদান করবেন বলে মনে হচ্ছে না। তবে, তারপরও তাদের বক্তৃতার পর্যালোচনা করা উচিত। উপসংহার: সপ্তাহের সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে, মার্কেটে অত্যন্ত অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে দিনের দ্বিতীয়ার্ধের ট্রেডিংয়ে। মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট শক্তিশালী থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা মার্কেটে দ্রুত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদি মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় আপনার কোনো ওপেন করা পজিশন থাকে, তাহলে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা অথবা পুরো পজিশন ক্লোজ করে দেওয়া উপযুক্ত হবে। (https://ifxpr.com/3CGCPXS)

Read more: https://ifxpr.com/3CGCPXS

LIMAFX
2025-02-10, 05:58 PM
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ১০ ফেব্রুয়ারী
http://forex-bangla.com/customavatars/1931543112.jpg
ইউরোর ট্রেডের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবার 1.0372 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি তখন ইউরো বিক্রি করিনি। কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয়বারের মতো 1.0372 এর লেভেলের পরীক্ষা হয়েছিল, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা পরিকল্পনা #2 অনুসারে ইউরো ক্রয়ের সুযোগ তৈরি করেছিল। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপস বৃদ্ধি পেয়েছিল। শুধুমাত্র মার্কিন অর্থনৈতিক প্রপ্তিবেদনের প্রকাশের পর, 1.0372 লেভেলের আরেকটি টেস্ট হয়েছিল, তখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নামতে শুরুর করেছিল। এটি একটি সঠিক সেল এন্ট্রি নিশ্চিত করেছিল, যার ফলে মূল্য 1.0320 পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকি, যেখানে তিনি সমস্ত দেশের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন, আজ নতুন করে ইউরোর দরপতন সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের মন্তব্য বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে, যা ইতোমধ্যেই ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব সামলানোর চেষ্টা করছে। উচ্চ শুল্ক বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা করতে পারে, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করতে পারে, এবং মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দিতে পারে। যেহেতু ইউরো বৈশ্বিক বাণিজ্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত একটি প্রধান মুদ্রা, তাই এটি এ ধরনের খবরে বিশেষভাবে সংবেদনশীল। ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে, মার্কিন ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ইউরোর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে। ট্রাম্পের অনিশ্চিত নীতিমালা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে, কারণ এটি পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন করে দিচ্ছে যে কোন দেশ ও কোন শিল্পখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আসন্ন ঘটনাগুলো এবং তাদের সম্ভাব্য প্রভাব আজকের ক্যালেন্ডারে ইউরোজোনের সেন্টিক্স ইনভেস্টর কনফিডেন্স ইনডেক্স এবং ECB প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কেটে এই ইভেন্টগুলো প্রভাব মাঝারি মাত্রার হতে পারে। Sentix সূচক বিনিয়োগকারীদের মনোভাব পরিমাপের একটি কার্যকরী নির্দেশক হলেও, এটি সচরাচর মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্ট সৃষ্টি করে না। মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের মতো মূল বিষয়গুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। লাগার্দের ভাষণ থেকে কোনো বড় চমক আসার সম্ভাবনা কম, কারণ ইসিবির ধারাবাহিকভাবে ইইউ-এর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে যাচ্ছে। তবে, যদি তিনি ভবিষ্যতে আরও উদ্দীপনামূলক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন, তাহলে এটি ইউরোর আরও দুর্বলতার কারণ হতে পারে। আজকের ট্রেডিংয়ের কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।

বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0358-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0318-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0358-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের পরে আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0278-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0318 এবং 1.0358-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।

সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0278-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0247-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। প্রকাশিতব্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0318-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0278 এবং 1.0247-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। (https://ifxpr.com/4aQzodK)

Read more: https://ifxpr.com/4aQzodK

LIMAFX
2025-02-11, 06:52 PM
ক্রিপ্টো মার্কেট নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন
http://forex-bangla.com/customavatars/1959224955.jpg
সপ্তাহের শেষে মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল প্রাথমিকভাবে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ডিজিটাল অ্যাসেটগুলোর জন্য ইতিবাচক ছিল, তবে উইকেন্ডে এই মোমেন্টাম হারিয়ে যায়। ফলস্বরূপ, BTC এবং ETH-এর মূল্য নির্ধারিত রেঞ্জের মধ্যেই অবস্থান করেছে, এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ মুভমেন্ট দেখা যায়নি। অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া দুর্বল প্রভাব মূল রেজিস্ট্যান্স লেভেলের ব্রেকের জন্য যথেষ্ট ছিল না। নতুন সপ্তাহের ট্রেডিং এবং সম্ভাব্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন মূল্যায়নের জন্য বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষার অবস্থান গ্রহণ করেছে। ক্রিপ্টো সেক্টরে ট্রেডাররা এখনো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, যদিও বিটকয়েনকে মুদ্রাস্ফীতি এবং ফিয়াট কারেন্সি অবমূল্যায়নের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষিত সম্পদ হিসাবে বিবেচনার আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, সাম্প্রতিক মূল্য বৃদ্ধির পর মুনাফা গ্রহণের কারণেও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। মার্কেটের বড় প্লেয়াররা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে একটি স্পষ্ট দিকনির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছে। নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত উন্নয়ন: মার্কিন আইনপ্রণেতারা স্টেবলকয়েনের জন্য একটি কাঠামো প্রস্তাব করেছে ইতিবাচক দিক হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্টেবলকয়েন নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী: স্ব-প্রদত্ত ডিজিটাল অ্যাসেট দ্বারা সম্পূর্ণরূপে ব্যাকড স্টেবলকয়েনের উপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা থাকবে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগকে ডিজিটাল অ্যাসেটের ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে হবে। এই আইনগত পদক্ষেপ মার্কিন ডিজিটাল অ্যাসেট মার্কেটের জন্য একটি বিশাল অগ্রগতি। যদিও দুই বছরের সীমাবদ্ধতা কিছুটা কঠোর মনে হতে পারে, এটি বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একটি সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করছে। স্টেবলকয়েনের ব্যাপারে ফেডারেল রিজার্ভের মতামত গত সপ্তাহে, ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার স্টেবলকয়েনের প্রতি তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন, তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে এগুলোকে অবশ্যই মার্কিন সরকারি বন্ড দ্বারা ব্যাকড হতে হবে। ওয়ালার বলেছেন যে ফেড কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ গঠনের কোনো পরিকল্পনা করছে না। যদিও সরকারি বন্ড দ্বারা স্টেবলকয়েন সমর্থন করা হলে এগুলোর স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে, এটি ইস্যুকারীদের জন্য সম্পদ নির্বাচন করার নমনীয়তাকে সীমিত করতে পারে। বিটকয়েন রিজার্ভ আইন ও ট্রাম্পের প্রভাব বর্তমানে ২২টি মার্কিন রাজ্যে কৌশলগত BTC রিজার্ভ সংক্রান্ত আইন প্রস্তাবিত হয়েছে। এছাড়া, ফেডারেল ক্রিপ্টো রিজার্ভ বিল কংগ্রেসে ভোটের জন্য প্রস্তুত। তত্ত্বগতভাবে, ট্রাম্প আইনি কৌশলের মাধ্যমে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বাধা অতিক্রম করতে পারেন।

বিটকয়েনের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ রেজিস্ট্যান্স লেভেল: মূল্য $97,400-এর লেভেলে পুনরুদ্ধার হলে $99,000 পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, এরপর লক্ষ্য হবে $100,200। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা $101,200। এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য উপরের দিকে গেলে এটি মাঝারি-মেয়াদে মার্কেটে বুলিশ প্রবণতা ফিরে আসার সংকেত দেবে। সাপোর্ট লেভেল: $96,000-এ ক্রেতাদের উপস্থিতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর নিচে পতন হলে BTC-এর মূল্য $95,900 এবং পরে $94,300-এ নেমে আসতে পারে। বিয়ারিশ মুভমেন্টের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে $92,700।

ইথেরিয়ামের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ রেজিস্ট্যান্স লেভেল: মূল্য $2,665-এ স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে $2,733। এরপর গুরুত্বপূর্ণ লেভেল হবে $2,803। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে $2,878, যা ব্রেকআউট করে মূল্য উপরের দিক গেলে এটি মাঝারি-মেয়াদে মার্কেটে বুলিশ প্রবণতার সূচনা ঘটাবে। সাপোর্ট লেভেল: ETH-এর মূল্যের যদি নিম্নমুখী কারেকশন হয়, তাহলে $2,599-এর লেভেলে ক্রেতাদের উপস্থিতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর নিচে পতন হলে ETH-এর মূল্য $2,532 পর্যন্ত নামতে পারে। বিয়ারিশ মুভমেন্টের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে $2,452। (https://ifxpr.com/4aX3OuQ)

Read more: https://ifxpr.com/4aX3OuQ

LIMAFX
2025-02-12, 05:12 PM
১২ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1100949265.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারের জন্য খুবই অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আজকের প্রধান প্রতিবেদন হলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন, যা ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ফেডের সুদের হার কমানোর কোনো তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেই, যা জেরোম পাওয়েল গতকাল পুনরায় নিশ্চিত করেছেন। যদি মাঝারি মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে—যা গত তিন মাস ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে—তাহলে ২০২৫ সালে অন্তত দুই দফা সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও হ্রাস পাবে, যেমনটি ট্রেডাররা প্রাথমিকভাবে প্রত্যাশা করেছিল। তাই যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার সাধারণত ডলারের জন্য বেশি ইতিবাচক।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের প্রধান ইভেন্ট হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসে জেরোম পাওয়েল দ্বিতীয়বারের মতো বক্তব্য দেবেন। এটি উল্লেখযোগ্য যে সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠান, তাই মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। গতকাল কংগ্রেসে পাওয়েল সিনেটরদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন, তবে তিনি কোনো নতুন বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেননি। যদিও আজ আইনপ্রণেতাদের প্রশ্ন কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, তবে পাওয়েলের বক্তব্য ফেডের বর্তমান নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকার সম্ভাবনা বেশি। ফলে, আজ পাওয়েলের বক্তব্য থেকে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম যা মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে মার্কেটে অত্যন্ত অনিশ্চিত মুভমেন্ট যেতে পারে। ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতারত মাত্রা বেশি থাকতে পারে, এবং দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের হলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন, যা মূল্যের ওঠানামার মাত্রা আরও বৃদ্ধি করতে পারে। যদি যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বিকালের দিকে ডলারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্যস্ফীতি কমে যায়, তাহলে ডলারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। (https://ifxpr.com/3ECJH9y)

Read more: https://ifxpr.com/3ECJH9y

LIMAFX
2025-02-13, 04:18 PM
জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1492766884.jpg
4-ঘণ্টার চার্টে SPX-এর ওয়েভ বিশ্লেষণ এখনো অনিশ্চিত। দৈনিক চার্টে একটি বৈশ্বিক পাঁচ-ওয়েভ গঠন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, যা ট্রেডিং টার্মিনালের ক্ষুদ্রতম জুম স্কেলেরও বাইরে প্রসারিত হয়েছে। সহজ ভাষায়, মার্কিন স্টক সূচক দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। তবে, আমরা জানি যে শেষ পর্যন্ত যেকোনো প্রবণতাই পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে, ওয়েভ ৫-এর ভেতরে আরও একটি ওয়েভ ৫ গঠিত হচ্ছে। S&P 500 (#SPX) ইতোমধ্যে তিনবার 6,093 লেভেল ব্রেক করার চেষ্টা করেছে, যা ওয়েভ ৪-এর 200.0% ফিবোনাচ্চি এক্সটেনশনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। শীঘ্রই একটি কারেকশন বা একাধিক কারেকটিভ ওয়েভের সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন স্টক মার্কেট অতিরিক্ত উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, এবং বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য "বাবলের" শঙ্কা সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। একটি সম্পন্ন a-b-c-d-e কারেকটিভ কাঠামো দৃশ্যমান রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রবণতা একটি নতুন পাঁচ-ওয়েভ ইমপালস তৈরি করছে বলে মনে হয়েছিল, যেখানে ওয়েভ ১ এবং ২ সম্পন্ন হয়েছিল। তবে, সোমবারের মূল্য পতন এই কাঠামোকে ব্যাহত করেছে, যা এটিকে অনিশ্চিত ও অনির্ভরযোগ্য করে তুলেছে। দৈনিক চার্টের গঠন বেশি নির্ভরযোগ্য, এবং সেটিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ওয়েভ বিশ্লেষণ অবশ্যই স্পষ্ট এবং সরল হওয়া উচিত—কারণ জটিল কাঠামো থেকে লাভজনকভাবে ট্রেড করা কঠিন। #SPX এখনো রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি রয়েছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন স্টক বিক্রি করতে আগ্রহী নয়। প্রায় দুই বছর আগে শুরু হওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা মার্কিন মূল্যস্ফীতির ধীরগতি এবং ফেডের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। সুদের হার কমানোর আলোচনা কয়েক মাস ধরে চলছে, এবং স্টক মার্কেট ইতোমধ্যেই ফেডের মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রত্যাশাকে মূল্যায়ন করেছে। ফলে, স্টক মার্কেটের আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সীমিত হতে পারে, কারণ ফেড এখনো সুদের হার দ্রুত কমানোর বিষয়ে সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছে। ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল মার্কিন সিনেটে অর্ধ-বার্ষিক শুনানিতে বক্তব্য রেখেছেন। তার বক্তব্য গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তবে সোমবারের সেশনে মূলত সিনেটরদের প্রশ্নোত্তর পর্বের উপর দৃষ্টিপাত করা হয়।

পাওয়েলের মূল বক্তব্য বর্তমান মুদ্রানীতি পূর্বের তুলনায় কম কঠোর। মার্কিন অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে, যা ফেডকে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করতে সাহায্য করছে। দ্রুত বা আক্রমণাত্মক হার কমানো ডিসইনফ্লেশনের (মূল্যস্ফীতি হ্রাস) গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ধীরগতিতে বা সীমিত মাত্রায় সুদের হার হ্রাস অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ও চাকরির বাজারকে দুর্বল করতে পারে। ফেড সুদের হার সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গ্রহণ করবে। মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ স্তরে রয়েছে, তাই ফেড শিগগিরই আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। যদি অর্থনীতি শক্তিশালী থাকে, তাহলে দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর আর্থিক নীতিমালা বজায় রাখা হবে। ফেড শুধুমাত্র তখনই সুদের হার কমানো শুরু করবে, যদি শ্রমবাজার গুরুতরভাবে দুর্বল হয় বা মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত হ্রাস পায়।

সার্বিক উপসংহার #SPX-এর বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, সূচকটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদে 6,093 লেভেল এবং ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির ওপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা উচিত। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বাণিজ্য নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত (শুল্ক, আমদানি নিষেধাজ্ঞা) মার্কিন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। স্টক মার্কেটে বাবলের শঙ্কা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা একটি বড় কারেকশনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 4-ঘণ্টার চার্ট অনুযায়ী, আরও তিনটি ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভের সুযোগ রয়েছে। তবে, দৈনিক চার্টের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষের দিকে রয়েছে। আমি দৈনিক টাইমফ্রেমের ওপর বেশি নির্ভর করি, যা শীঘ্রই মার্কেটে প্রবণতার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। হায়ার টাইমফ্রেম বিশ্লেষণে একটি স্পষ্ট পাঁচ-ওয়েভ কাঠামো দৃশ্যমান। ওয়েভ ৫ শেষের দিকে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সামনে দীর্ঘমেয়াদী এবং জটিল কারেকশন দেখা যেতে পারে। আমার বিশ্লেষণের মূল নীতিমালা: ওয়েভ স্ট্রাকচার সহজ ও স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল ওয়েভ প্যাটার্ন ট্রেড করা কঠিন করে তোলে এবং প্রায়শই পরিবর্তিত হয়। যদি বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে অনিশ্চিত থাকেন, তবে ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। মূল্যের মুভমেন্টের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া কখনোই সম্ভব নয়। সর্বদা স্টপ লস ব্যবহার করুন। ওয়েভ বিশ্লেষণকে অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি এবং ট্রেডিং কৌশলের সঙ্গে সংযুক্ত করা উচিত।
(https://ifxpr.com/3CKgzfT)
*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।

Read more: https://ifxpr.com/3CKgzfT

LIMAFX
2025-02-14, 06:25 PM
১৪ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1581715845.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার প্রকাশিতব্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের সংখ্যা খুব বেশিও না আবারও খুব কমও না। ইউরোজোনে চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে করবে, যা বস্তুত প্রথম বা তৃতীয় অনুমানের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; দুটিই তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, তবে এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে বিশেষভাবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশা করা হচ্ছে না। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, তবে ঘন ঘন পুনরুদ্ধার বা কারেকশন দেখা যাচ্ছে। আজকের দিনও এর ব্যতিক্রম না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, কারণ কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তব্য নির্ধারিত নেই। তবে, এই মুহূর্তে ট্রেডারদের এসব বক্তৃতার প্রয়োজন নাও হতে পারে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, এবং ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান বেশ স্পষ্ট এবং শিগগিরই তার কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, যা মূলত টেকনিক্যাল কারণেই ঘটছে এবং এটি প্রায় ৮০% সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি এই কারেকশন আরও এক মাস চলতে পারে, তারপর নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে, যা দৈনিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে মার্কেটে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মার্কেটে এখনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই যৌক্তিক মুভমেন্ট আশা করা উচিত নয়। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য টানা তিন দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, তবে আজ সহজেই দরপতন শুরু হতে পারে। কারেকশন সবসময়ই জটিল গঠন অনুসরণ করে, যেখানে ঘন ঘন পুনরুদ্ধার এবং অভ্যন্তরীণ মুভমেন্ট দেখা যায়। (https://ifxpr.com/3CF9eON)

Read more: https://ifxpr.com/3CF9eON

LIMAFX
2025-02-17, 06:46 PM
মার্কিন স্টক মার্কেট অতিরিক্ত অস্থিতিশীল হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1953797458.jpg
মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে; তবে স্টক সূচকসমূহ এমন গুরুত্বপূর্ণ লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যেখানে টেক প্রফিটের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। অনিশ্চয়তার মধ্যে গত সপ্তাহ শেষ হয়েছে: S&P 500 সূচকে অপরিবর্তিত অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে, নাসডাক সূচক 0.4% বেড়েছে, আর ডাও জোন্স সূচক 165 পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। মার্কেটে উচ্চমাত্রার অস্থিরতার প্রধান কারণ ছিল মার্কিন খুচরা বিক্রয়ের প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল, যা জানুয়ারিতে 0.9% হ্রাস পেয়েছে, যা গত এক বছরে সবচেয়ে বড় পতন। এটি মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি ভোক্তা ব্যয়ের বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে, বিনিয়োগকারীরা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলি, যেমন ট্রাম্পের নতুন করে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা এবং ইউক্রেন সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টার ব্যাপারে বিশ্লেষণ করতে থাকায় মার্কেট মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। ওয়াল স্ট্রিট পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে বিলম্বের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে, যা সপ্তাহব্যাপী স্টক সূচকসমূহে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে: S&P 500 সূচক 1%, ডাও জোন্স সূচক 0.3% এবং নাসডাক সূচক 1.7% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে।

প্রযুক্তি খাত মার্কেটে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে প্রযুক্তি খাত মার্কিন স্টক মার্কেটে নেতৃত্ব দিচ্ছে: শক্তিশালী আয়ের প্রতিবেদনের কারণে এয়ারবিএনবি-এর শেয়ারের দর 14.4% বেড়েছে। নতুন করে বিটকয়েন সংশ্লিষ্ট আলোচনার কারণে গেমস্টপের শেয়ারের দর 2.6% বেড়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি লোকসান সত্ত্বেও মডার্নার স্টকের মূল্য 3.3% মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে এলি লিলির শেয়ারের মূল্য 3% হ্রাস পেয়েছে। আগামী সপ্তাহের পূর্বাভাস: সতর্ক আশাবাদ ও ফেডের দিকে দৃষ্টি নতুন সপ্তাহটি সতর্ক আশাবাদের সঙ্গে শুরু হচ্ছে, তবে ট্রেডাররা অপেক্ষা করার পথ বেছে নিয়েছে। FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, যা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিতে পারে। এছাড়া, ফেডের কয়েকজন কর্মকর্তা বক্তব্য দেবেন, যা সুদের হার সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্ট করতে পারে।

আগামী সপ্তাহের পূর্বাভাস: সতর্ক আশাবাদ ও ফেডের দিকে দৃষ্টি নতুন সপ্তাহটি সতর্ক আশাবাদের সঙ্গে শুরু হচ্ছে, তবে ট্রেডাররা অপেক্ষা করার পথ বেছে নিয়েছে। FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, যা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিতে পারে। এছাড়া, ফেডের কয়েকজন কর্মকর্তা বক্তব্য দেবেন, যা সুদের হার সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্ট করতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন যা পর্যবেক্ষণ করা উচিত: মার্কিন আবাসন বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন: বিল্ডিং পারমিট, হাউজিং স্টার্টস এবং এক্সিস্টিং হোম সেলস সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে প্রভাব ফেলবে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কিন নির্মাণ খাতের অবস্থা তুলে ধরবে, যা সুদের হার পরিবর্তনের জন্য সংবেদনশীল। S&P Global-এর PMI সূচক: সূচকটির ফলাফল ইঙ্গিত দেবে যে উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধির গতি স্থিতিশীল আছে কি না। PMI সূচকের ফলাফল শক্তিশালী হলে, এটি ফেডের সুদের হার উচ্চমাত্রায় বজায় রাখার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করবে, যা স্টক মার্কেটের উপর চাপ তৈরি করতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন যা পর্যবেক্ষণ করা উচিত: মার্কিন আবাসন বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন: বিল্ডিং পারমিট, হাউজিং স্টার্টস এবং এক্সিস্টিং হোম সেলস সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে প্রভাব ফেলবে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কিন নির্মাণ খাতের অবস্থা তুলে ধরবে, যা সুদের হার পরিবর্তনের জন্য সংবেদনশীল। S&P Global-এর PMI সূচক: সূচকটির ফলাফল ইঙ্গিত দেবে যে উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধির গতি স্থিতিশীল আছে কি না। PMI সূচকের ফলাফল শক্তিশালী হলে, এটি ফেডের সুদের হার উচ্চমাত্রায় বজায় রাখার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করবে, যা স্টক মার্কেটের উপর চাপ তৈরি করতে পারে।

S&P 500: বুলিশ মোমেন্টাম অব্যাহত রয়েছে S&P 500 সূচক 6,100 লেভেলের ওপরে রয়েছে, যা বর্তমান দৃঢ় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করছে। যদি সূচকটি 6,120-এর ওপরে থাকে, তাহলে এটি 6,150-এ যেতে পারে, যেখানে টেক প্রফিট শুরু হতে পারে। 6,150-এর ব্রেকআউট করে সূচকটি উপরের দিকে গেলে, নতুন লক্ষ্যমাত্রা হবে 6,180 – 6,200, যা সূচকটিকে নতুন সর্বকালের সর্বোচ্চ লেভেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে। মূল সাপোর্ট এখন 6,100-এ অবস্থিত, এবং সূচকটি এই লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে 6,080 এবং 6,050-এর দিকে কারেকশন হতে পারে। যদি বিয়ারিশ প্রবণতা হয়, তাহলে 6,000-এর কাছাকাছি মূল সাপোর্ট জোনে সূচকটির পতন ঘটতে পারে, যেখানে 50-দিনের SMA অবস্থিত।

ইনডিকেটর: RSI (14) = 62, যা নির্দেশ করে যে সূচকটি ওভারবট স্ট্যাটাসের কাছাকাছি যাচ্ছে, তবে এখনো কোনো রিভার্সাল সিগন্যাল দেখা যাচ্ছে না। MACD বুলিশ জোনে রয়েছে, যা মার্কেটে ইতিবাচক পরিস্থিতি নিশ্চিত করছে। 50-দিনের SMA 6,000-এর কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা একটি প্রধান গতিশীল সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছে। যদি S&P 500 সূচকও 6,120-এর ওপরে থাকে, তাহলে এটি আরও বৃদ্ধি পেয়ে 6,150 এবং তার ওপরে যেতে পারে। তবে, যদি সূচকটি 6,100-এর নিচে নামে, তাহলে কারেকশন হয়ে 6,080 – 6,050 লেভেলে পৌঁছাতে পারে।

নাসডাক 100 সূচক 22,200 টেস্ট করছে নাসডাক 100 সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা প্রযুক্তি খাতের ইতিবাচক প্রবণতা প্রতিফলিত করছে। মূল রেজিস্ট্যান্স লেভেল 22,200, এবং এই লেভেল ব্রেকআউট করে সূচকটি উপরের দিকে গেলে 22,500-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা নতুন রেকর্ড উচ্চতা নির্ধারণ করবে। তবে, ওভারবট সিগন্যাল কারেকশন সম্ভাবনা বৃদ্ধি করছে, বিশেষত যদি বিনিয়োগকারীরা টেক প্রফিট সেট করে বা মুনাফা সংগ্রহ শুরু করে।

সাপোর্ট লেভেলসমূহ: 22,000: যদি সূচকটি এই লেভেলের নিচে নামে, তাহলে কারেকশন হয়ে সূচকটি 21,800-এর দিকে যেতে পারে। 21,600: গভীর কারেকশন হলে সূচকটি এই লেভেল টেস্ট হতে পারে, যেখানে 50-দিনের SMA অবস্থান করছে। সূচকসমূহ: RSI (14) = 70, যা নির্দেশ করে যে মার্কেটে ওভারবট সিগন্যাল রয়েছে এবং কারেকশনের সম্ভাবনা বাড়ছে। MACD বুলিশ জোন রয়েছে, তবে মোমেন্টামের সম্ভাব্য মন্দার সংকেত দিচ্ছে। 50-দিনের SMA 21,600-এ রয়েছে, যা কারেকশনের ক্ষেত্রে একটি প্রধান সাপোর্ট লেভেল হিসেবে কাজ করবে। ওভারবট স্ট্যাটাসের কারণে স্বল্পমেয়াদে কারেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি নাসডাক 100 সূচক 22,200-এর ওপরে থাকে, তাহলে মূল্য আরও বৃদ্ধি পেয়ে 22,500-এর দিকে যেতে পারে। তবে, যদি সূচকটি 22,000-এর নিচে নামে, তাহলে এটি 21,800 – 21,600-এর দিকে নেমে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3EDlAaL)

Read more: https://ifxpr.com/3EDlAaL

LIMAFX
2025-02-18, 04:05 PM
১৮ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/847472418.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানি এবং ইউরোজোনে ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হবে, তবে এটি গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে এমনকি ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমেও এই প্রতিবেদনের ফলাফল সামগ্রিক চিত্রকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে না। যুক্তরাজ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেমন বেকারত্বের হার, ক্লেইমেন্ট কাউন্ট বা বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যার পরিবর্তন এবং মজুরি বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এটি উল্লেখযোগ্য যে মজুরি বৃদ্ধি সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, যা পরোক্ষভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (BoE) মুদ্রানীতিকে প্রভাবিত করে। বেকারত্বের হারও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা 4.5%-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য অনুষ্ঠিত। তবে, তিনি ইতোমধ্যেই গতকাল সর্বশেষ বক্তব্য দিয়েছেন, এবং ট্রেডাররা এ থেকে এমন নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি পায়নি যা মুদ্রানীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তদুপরি, সম্প্রতি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী নীতিমালা সম্পর্কে ট্রেডাররা ইতোমধ্যে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছে। আমরা বেইলির কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নতুন ঘোষণা আশা করছি না। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোনে ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বক্তব্য দেবেন, তবে তাদের কাছ থেকেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে মার্কেটের মুভমেন্ট দুর্বল ও অনিয়মিত হতে পারে। শুধুমাত্র সকালের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের কিছুটা সক্রিয় ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। তবে, আমরা আশা করি না যে ইউরো বা পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও দীর্ঘায়িত হবে, কারণ গত সপ্তাহে এই দুটি মুদ্রার মূল্যের উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল, যা যথেষ্ট মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তির অভাবে ঘটেছে। ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে, তবে মার্কেটে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে কারেকশনের অংশ হিসেবে কিছুটা নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/41j1dIu)

Read more: https://ifxpr.com/41j1dIu

LIMAFX
2025-02-19, 04:03 PM
কেন ফেডের সিদ্ধান্ত স্টক মার্কেটে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে
http://forex-bangla.com/customavatars/761701282.jpg
ছুটির পর মার্কিন স্টক মার্কেটে সতর্কভাবে লেনদেন শুরু হয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী পদক্ষেপ মূল্যায়ন করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে। প্রধান স্টক সূচকের ফিউচারে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তবে বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা FOMC বৈঠকের কার্যবিবরণী এবং PMI প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, যা মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করবে। ফেডের ভূমিকা: সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে সোমবার, ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার ওয়ালার বলেছেন যে নীতিনির্ধারকরা সুদের হার দ্রুত কমানোর বিষয়ে তাড়াহুড়ো করবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, যদি ২০২৪ সালের মতো মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করা না যেতে পারে, তবে ফেড কঠোর নীতিমালা বজায় রাখতে পারে। এই মন্তব্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে এবং মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশিত সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে দুর্বল করেছে, যার ফলে স্টক মার্কেটের গতিশীলতা প্রভাবিত হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি কর্পোরেট আয়ের দিকে মুদ্রানীতির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা এখন প্রধান কর্পোরেট আয়ের দিকে নজর রাখছে। এই সপ্তাহে Arista Networks, Occidental Petroleum, Analog Devices, Walmart, এবং Constellation Energy তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। প্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর আয়ের প্রতিবেদনের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ মার্কেটে অস্থিরতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও, ফেব্রুয়ারির PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কিন উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের বর্তমান প্রবণতা এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ঝুঁকিসমূহ তুলে ধরবে। নতুন সর্বোচ্চ লেভেলের সন্ধানে S&P 500 সূচক লেনদেন শুরু হওয়ার পর, S&P 500 সূচক 6,134 পয়েন্টে অবস্থান করছিল এবং এটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। প্রযুক্তিগত সূচকগুলো ওভারবট স্ট্যাটাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে এখনো প্রবণতার বিপরীতমুখী হওয়ার স্পষ্ট কোন সংকেত দেখা যায়নি। নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 6,180–6,200 লেভেলে রয়েছে, যেখানে টেক প্রফিটের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। মূল সাপোর্ট লেভেল 6,080–6,050-এ অবস্থিত, এবং যদি এটি ব্রেক করা হয়, তাহলে সূচকটি 6,000 লেভেলে নেমে আসতে পারে। Nasdaq 100: বুলিশ প্রবণতা কি অব্যাহত থাকবে? নাসডাক 100 বর্তমানে 22,209 লেভেলে ট্রেড করছে এবং সূচকটির ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম বজায় রয়েছে। নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল 22,400-এ অবস্থিত, যা ব্রেক করা হলে সূচকটির 22,600 পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হতে পারে। যদি ক্রয়ের চাপ কমে যায়, তাহলে সূচকটির দর 21,900–21,800 এর সাপোর্ট লেভেলে ফিরে আসতে পারে। অসিলেটর সূচকগুলো চলমান মোমেন্টামের সম্ভাব্য শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে সামগ্রিক প্রবণতা এখনও বুলিশ রয়েছে। কি হবে: কারেকশন না কি আরও ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম? গত সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের পরও মার্কেটে অনিশ্চয়তা বজায় রয়েছে। FOMC-এর কার্যবিবরণী ও অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল বাজার পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে। যদি ফেড সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থান প্রদর্শন করে, তবে সাময়িকভাবে বুলিশ প্রবণতা কমে যেতে পারে। তবে, PMI এবং কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল স্টক সূচকসমূহকে বর্তমান লেভেল ধরে রাখতে বা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সহায়তা করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলের দিকে নজর রাখতে হবে, কারণ আসন্ন দিনগুলোতে বাজারের প্রবণতা নির্ধারণ করতে এগুলো সহায়তা করতে পারে। মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন, ফেডের নীতিমালা এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যৎ বাজার পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে। (https://ifxpr.com/4128gEh)

Read more: https://ifxpr.com/4128gEh

LIMAFX
2025-02-20, 05:15 PM
২০ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ
http://forex-bangla.com/customavatars/356435482.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের জন্য খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত রয়েছে। গত তিন দিনে বিভিন্ন প্রতিবেদন পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হয়েছে, তবে সেগুলো ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, বা মার্কিন ডলারের উপর কার্যত কোনো প্রভাব ফেলেনি। ফলস্বরূপ, আজ একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে মার্কিন বেকার ভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশা করা হচ্ছে না। এছাড়াও, কিছু গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে জার্মানির উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) এবং ইউরোজোনের ভোক্তা আস্থা সূচক, তবে এসব প্রতিবেদন সম্ভবত কোনো কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকেই প্রভাবিত করবে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার, ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা যেমন গুলসবি, বার, মুজালেম এবং কুগলার বক্তব্য প্রদান করবেন। তবে, পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট এবং ট্রেডাররা এটি ভালোভাবে বুঝে নিয়েছে। ফলে, এই কর্মকর্তাদের বক্তব্য থেকে ট্রেডাররা নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি পাবে এমন সম্ভাবনা কম। একই কথা বুন্দেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিল নাগেলের বক্তব্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উপসংহার: আজকের ট্রেডিংয়ে, মার্কেটে দুর্বল ও সামান্য মুভমেন্ট এবং দিকনির্দেশনাহীন প্রবণতার প্রত্যাশা করা উচিত। যদি ট্রেডাররা মঙ্গলবার এবং বুধবার আরও সক্রিয়ভাবে ট্রেড করার কারণ খুঁজে না পেয়ে থাকে, তাহলে আজ আরও কম মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে একেবারেই কোনো মুভমেন্ট যাবে না, তবে সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবারের তুলনায় আজ উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটার সম্ভাবনা অনেক কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত। (https://ifxpr.com/40ZkRYQ)

Read more: https://ifxpr.com/40ZkRYQ

LIMAFX
2025-02-24, 02:41 PM
২৪ ফেব্রুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
http://forex-bangla.com/customavatars/631201592.jpg
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত ধীরগতির মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যেন এই পেয়ার কারও অনুরোধে এমনভাবে মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট শক্তিশালী হলেও কিছুটা পরস্পরবিরোধী ছিল। তা সত্ত্বেও, ট্রেডাররা সক্রিয় ছিল। বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক এবং অপেক্ষাকৃত স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন অন্যান্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপে, জার্মানি এবং ইউরোজোনের উৎপাদন খাত প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে, তবে সেবাখাতে প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই মিশ্র সংকেতগুলোর প্রতিক্রিয়ায় কীভাবে সাড়া দেবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, উৎপাদন সংক্রান্ত PMI ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তবে পরিষেবা PMI সূচক 50.0 লেভেলের নিচে নেমে গেছে। দিনের শেষে, ইউরোর মূল্য সামান্য হ্রাস পেয়েছিল, তবে মূল্য ট্রেন্ডলাইনের ওপরে রয়ে গেছে। আমাদের ধারণা, এই ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউট আসন্ন এবং এটি নতুন করে স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1829716537.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের চার্টে, শুক্রবার মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। গত সপ্তাহে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার কারণে ট্রেডিং সিগন্যালের সংখ্যা খুবই কম ছিল। ট্রেডিং সেশন শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময়ে একমাত্র সিগন্যালটি তৈরি হয়, যখন মূল্য 1.0451 লেভেলে নেমে আসে তবে আবার উপরে উঠতে পারেনি। তবে ট্রেডিং সেশন শেষ হওয়ার সময় ট্রেড ওপেন করা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল না।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগের মতোই, ইউরোর মূল্য হ্রাসের সম্ভাবনাই বেশি, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারকে বেশি সহায়তা করছে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। মূল নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে আমরা কয়েকবার পরিবর্তনশীল প্রবণতা দেখতে পেতে পারি। সোমবার, এই পেয়ারের মূল্যের আবারও খুব দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। এমনকি মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করলেও, এটি ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রাকে খুব বেশি প্রভাবিত নাও করতে পারে এবং আজও খুব বেশি সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, গুরুত্বপূর্ণ ও পর্যবেক্ষণযোগ্য লেভেলগুলো হল: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851। সোমবার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ কিছু নেই। ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রতিবেদন কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তবে এটি শুধুমাত্র জানুয়ারির দ্বিতীয় অনুমান, যা প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় খুব বেশি ভিন্ন হবে না। সবচেয়ে সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি হলো, আজ আরেকবার "একঘেয়ে সোমবার" দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত। চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। (https://ifxpr.com/3XddMmp)

Read more: https://ifxpr.com/3XddMmp

LIMAFX
2025-02-25, 04:29 PM
২৫ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/201967038.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এগুলোর সবগুলোই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। প্রথম নজরে, জার্মানির জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে, তবে এটি মূলত চতুর্থ প্রান্তিকের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত অনুমান। প্রকৃত ফলাফল ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে এমনকি -0.1% পর্যন্ত উন্নতি হলেও এটি অর্থনৈতিক সংকোচন নির্দেশ করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জার্মানির অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, এই প্রতিবেদন থেকে ইউরোর জন্য কোনো সমর্থন আসার সম্ভাবনা কম। যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, এমনকি গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশের কথা নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের ভাষণ, বিশেষ করে হিউ পিল এবং ইসাবেল স্নাবেল, পাশাপাশি ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের মধ্যে থমাস বার্কিন এবং লরি লোগানের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তবে, পূর্বে উল্লেখিত মতানুসারে, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে মুদ্রানীতির বিষয়ে জরুরি প্রশ্ন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত নয়, কারণ তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই তাদের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে। একমাত্র সম্ভাব্য পরিবর্তন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের দিক থেকে হতে পারে, যারা সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের সুদের হার সংক্রান্ত নীতিমালার পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে। এটি উল্লেখযোগ্য যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের এখন মুদ্রাস্ফীতি থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তবে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিলের বক্তব্য আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, সর্বাধিক সম্ভাব্য দৃশ্যপট হলো মার্কেটে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বিরাজ করবে। মৌলিক প্রেক্ষাপট দুর্বল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট আরও দুর্বল হতে পারে। বর্তমানে, স্থানীয় পর্যায়ে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিরাজ করছে, যখন দৃশ্যত কোনো শক্তিশালী ভিত্তি ছাড়াই ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আশা করছি যে এই স্থানীয় প্রবণতাগুলো শীঘ্রই শেষ হবে, কারণ বিশেষ করে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি বজায় থাকার মতো কোনো শক্তিশালী কারণ নেই। (https://ifxpr.com/4bkSLfh)

Read more: https://ifxpr.com/4bkSLfh

LIMAFX
2025-02-26, 02:10 PM
এনভিডিয়া, প্যালান্টির এবং মাইক্রোসফটের দরপতন নাসডাক সূচকের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1577199795.jpg
মার্কিন স্টক মার্কেট বর্তমানে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়েছে। প্রযুক্তি জায়ান্ট এবং AI-কেন্দ্রিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনের কারণে শুরু হওয়া বিক্রির ঢেউয়ের পর ফিউচার মার্কেটে স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে, তবে মার্কেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের চাপ এবং কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদনের প্রভাব বজায় রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়া, সেলসফোর্স এবং হোম ডিপোর আসন্ন আয়ের প্রতিবেদনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনার সম্ভাব্য বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ S&P 500 সূচক মঙ্গলবার ৫,৯৯০ পয়েন্টের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং নিম্নমুখী কারেকশন চালিয়ে যাচ্ছে। সূচকটি আগের সেশনে ০.৫% হ্রাস পেয়েছিল, যা টানা তিন দিন ধরে দরপতনের শিকার হয়েছে। স্বল্পমেয়াদে, প্রধান সাপোর্ট লেভেল ৫,৯৫০ পয়েন্ট রয়ে গেছে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি দ্রুত ৫,৯০০ পয়েন্টের দিকে নামতে পারে। অপরদিকে, ৬,০২০ এর লেভেল রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করবে, যা শক্তিশালীভাবে ব্রেক করা হলে সূচকটি ৬,১০০ পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়তে পারে। নাসডাক 100 সূচক বর্তমানে ২১,৩২০ পয়েন্টে ট্রেড করা হচ্ছে এবং প্রযুক্তি খাতের দুর্বলতার কারণে চাপে রয়েছে। সূচকটি সোমবার ১.২১% হ্রাস পেয়েছে এবং স্বল্পমেয়াদী মুভিং এভারেজের নিচে থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সূচকটির নিকটতম সাপোর্ট লেভেল ২১,২০০ পয়েন্টে অবস্থিত। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি ২১,০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। মূল রেজিস্ট্যান্স ২১,৫০০ পয়েন্টে রয়েছে, যা ব্রেক করা পারলে মার্কেটে নতুন করে ক্রয় কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

প্রযুক্তি খাতে কী ঘটছে? প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাবের হ্রাস নাসডাক সূচকের দরপতনের অন্যতম প্রধান কারণ। প্যালান্টির শেয়ারের দর ১০.৫% হ্রাস পেয়েছে এবং এটি এখন সর্বোচ্চ মূল্য থেকে প্রায় ৩০% নিচে রয়েছে। বুধবারের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এনভিডিয়ার শেয়ারের দর ৩.১% কমেছে। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছে যে ডাটা সেন্টারের ব্যয়ের প্রবাহ কমে গেলে GPU-এর চাহিদার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে, অ্যাপলের শেয়ারের দর ০.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ কোম্পানিটি আগামী চার বছরে মার্কিন অর্থনীতিতে $৫০০ বিলিয়ন বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এবং তারা ২০,০০০ নতুন কর্মী নিয়োগ দেবে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনিশ্চয়তা নতুন শুল্কযুদ্ধের সম্ভাবনার কারণে মার্কেটে চাপ বিরাজ করছে। জেপিমরগ্যানের সর্বশেষ ক্লায়েন্ট নোটে সতর্ক করা হয়েছে যে বর্ধিত শুল্ক এবং মুক্ত বাণিজ্য-বিরোধী বক্তব্যের ঝুঁকি রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে, যার প্রভাবে ইতোমধ্যে আলিবাবার শেয়ারের দর ৯% হ্রাস পেয়েছে।

কর্পোরেট আয়ের প্রত্যাশা মঙ্গলবার মার্কেটে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে হোম ডিপোর আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করছেন যে কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারে আয় হবে $৩.০৪, এবং মোট রাজস্ব হবে $৩৯.০৭ বিলিয়ন। মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভোক্তাদের ব্যয় সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাড়ি নির্মাণ সংক্রান্ত পণ্যের চাহিদাকে সমর্থন করতে পারে। বুধবার মার্কেটে লেনদেন শেষ হওয়ার পরে এনভিডিয়ার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে কোম্পানিটির আয় ৬৩% বৃদ্ধি পাবে এবং রাজস্ব ৭৩% বৃদ্ধি পাবে, যা AI খাতের স্থিতিশীলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হতে পারে। ওয়েডবুশের বিশ্লেষকরা আশাবাদী যে ব্ল্যাকওয়েল জিপিইউ সিরিজের শক্তিশালী চাহিদা বজায় থাকবে, যদিও মাইক্রোসফট মূলধন ব্যয়ের বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বুধবার সেলসফোর্সের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। মূল মনোযোগ থাকবে এজেন্টফোর্স এআই প্ল্যাটফর্মের বৃদ্ধির হার পর্যবেক্ষণে। নতুন গ্রাহকের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হলে কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে? মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদন, ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট লেভেলের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সূচকগুলো এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে, এবং এনভিডিয়া ও সেলসফোর্সের আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল স্বল্পমেয়াদে বাজার পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে, S&P 500-এর জন্য ৫,৯৫০ লেভেল এবং নাসডাক 100-এর জন্য ২১,২০০ লেভেল গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে কাজ করবে, যা মার্কেটের পরবর্তী গতিবিধি নির্ধারণ করতে পারে। (https://ifxpr.com/3XhyFNg)

Read more: https://ifxpr.com/3XhyFNg

LIMAFX
2025-02-27, 04:01 PM
২৭ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1770388425.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে আজ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোজোনে কিছু স্বল্প প্রভাব বিস্তারকারী কিছু অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার সম্ভাবনা কম। তবে, আজ যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির চূড়ান্ত অনুমান, ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার এবং জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যা সংক্রান্ত দাবির প্রতিবেদন। বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির প্রতি ট্রেডারদের বিশেষ মনোযোগ দেয়ার সম্ভাবনা কম। জিডিপি প্রতিবেদনটির ফলাফল পূর্ববর্তী অনুমানের কাছাকাছি থাকতে পারে, যা সম্ভবত মার্কেটে বড় ধরনের কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না। আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে টেকসই পণ্যের অর্ডার, যা ইতিবাচক ফলাফল প্রদান করতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তার—বার, বার্কিন এবং বোম্যানের বক্তৃতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে, আমরা ইতোমধ্যেই একাধিকবার উল্লেখ করেছি যে, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতির বিষয়ে ট্রেডাররা তুলনামূলকভাবে সব কিছুই জানে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখনো নজরদারির মধ্যে রয়েছে, কারণ যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের ফলাফল ২০২৫ সালে পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিগত অবস্থানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তারা এখনো এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি, তাই তাদের নীতিগত অবস্থানে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এদিকে, ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভবত ২০২৫ সালে পূর্ব পরিকল্পিত দুইবারের চেয়েও কম সুদের হার হ্রাস করতে পারে। উপসংহার: আজকের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD এবং GBP/USD উভয় পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং মূল্য সাম্প্রতিক স্থিতিশীল রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। আমরা মনে করি যে গত সপ্তাহেই ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন শুরু হওয়া উচিত ছিল। তবে, আজকের মুভমেন্ট মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে। যদিও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য এখনো ঊর্ধ্বমুখী হতে চাপের সম্মুখীন হচ্ছে, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে মূলত ক্রয়ের প্রবণতা বজায় রাখছে, যদিও ক্রয়ের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। (https://ifxpr.com/41g4XJQ)

Read more: https://ifxpr.com/41g4XJQ

LIMAFX
2025-02-28, 03:51 PM
স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি: S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে পুনরুদ্ধার পরিলক্ষিত হয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1252803007.jpg
এনভিডিয়ার আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের পর মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচারে আবারও দরপতন ঘটে, তবে সাপ্তাহিক সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছানোর পর ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা ফিরে আসে, যা মার্কিন স্টক মার্কেটের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। আজকের এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে, S&P 500 ফিউচার 0.3% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং প্রযুক্তি-নির্ভর নাসডাক সূচক 0.5% বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার, এশিয়ান স্টক মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করেছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক সংক্রান্ত মন্তব্য বিশ্লেষণ করেছে। চীনের স্টক সূচক এবং হংকংয়ের প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে ১০-বছরের মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপীয় স্টক সূচকের ফিউচার 0.9% হ্রাস পেয়েছে, কারণ ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তিনি আরও পুনরায় নিশ্চিত করেন যে, মেক্সিকো এবং কানাডার ওপর পূর্ব ঘোষিত শুল্ক ২ এপ্রিল কার্যকর হবে। ট্রাম্পের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী ছিল, যা মার্কেটে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আগামী মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়ে আগে কোনো ঘোষণা ছিল না। মার্কেটে সেশন শেষ হওয়ার পর এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য কমে যায়, কারণ চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির প্রান্তিকভিত্তিক আয়ের ফলাফল ইতিবাচক হলেও অসাধারণ ছিল না, যা সেই বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে যারা আগের মতো বিস্ফোরকভাবে আয়ের বৃদ্ধি আশা করছিল। প্রতিবেদনে কোম্পানির আয়ের প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিক থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তবে এটি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অনুঘটক ছিল না। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন যে এনভিডিয়া হয়তো আর আগের মতো মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করার মতো সক্ষমতা ধরে রাখতে পারছে না এবং স্বল্পমেয়াদী শক্তিশালী অনুঘটকের অভাবে মার্কিন স্টক মার্কেট আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। কোম্পানিটির বর্তমান কর্মক্ষমতা ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি, শুল্ক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ক্রমবর্ধমান প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ সম্পূর্ণরূপে নিরসন করতে যথেষ্ট নয়। এছাড়াও, এনভিডিয়া সতর্ক করেছে যে তাদের মোট মার্জিন প্রত্যাশার তুলনায় কম হবে, কারণ তারা দ্রুত তাদের নতুন ব্ল্যাকওয়েল চিপ বাজারে আনতে চাইছে। একই সঙ্গে, মার্কিন শুল্ক কোম্পানিটির ভবিষ্যতের আয়ে প্রভাব ফেলতে পারে এমন উদ্বেগ রয়েছে। চলতি বছরে, এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য মূলত নিম্নমুখী হয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে ডাটা সেন্টার অপারেটররা খরচ কমাতে পারে। চীনা AI স্টার্টআপ ডিপসিকের মতো কোম্পানিগুলোর উত্থান আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে যে স্বল্প ব্যয়ে AI চ্যাটবট তৈরি করা সম্ভব, যা এনভিডিয়ার হাই-পারফরম্যান্স AI চিপগুলোর চাহিদা হ্রাস করতে পারে।

ফেডের সুদের হার হ্রাস সংক্রান্ত প্রত্যাশা পরিবর্তিত হয়েছে ট্রেডাররা এই বছর ফেডারেল রিজার্ভের দুইবার সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা পুনর্মূল্যায়ন করেছে। মরগ্যান স্ট্যানলি এখন আরও আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের পূর্বাভাস দিচ্ছে, কারণ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রকাশিত মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল হতাশাজনক ছিল। শুক্রবার প্রকাশিতব্য পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার (PCE) মূল্য সূচকের ফলাফল ফেডের পরবর্তী নীতিগত পদক্ষেপ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদি এই প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির ধীরগতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করবে। (https://ifxpr.com/3DlgNdt)

Read more: https://ifxpr.com/3DlgNdt

LIMAFX
2025-03-03, 04:41 PM
৩ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/973292476.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মানে কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ওপর ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব পড়বে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। প্রতিটি সূচকেরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে; তবে, মার্কিন ISM সূচক সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশ করা হবে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক। তাই, সোমবার অত্যন্ত অস্থির ট্রেডিং দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের দিক থেকে, সোমবারের জন্য তেমন কোনো বড় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, উইকেন্ডে ঘটে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মার্কেটে শক্তিশালী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। শনিবার রাতে, হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত, এই দুই নেতা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। আলোচনায় উভয় দেশের প্রধানের মধ্যে মতোবিরোধ সৃষ্টি হয় এবং তারা যে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন, সেটি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। জেলেনস্কি হতাশ হয়ে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন, এবং ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেনের জন্য সকল প্রকার আর্থিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা মনে করি যে মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার মুহূর্ত থেকেই, অথবা সোমবার এশিয়ান সেশনে ফরেক্স মার্কেটে এই ঘটনাটি প্রভাব ফেলতে পারে।

উপসংহার: সামগ্রিকভাবে, সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ বেশিরভাগ বিষয়ই নিম্নমুখী প্রবণতার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে, মার্কেটে সেশন শুরু হওয়ার সময় ট্রেডারদের সম্ভাব্য গ্যাপ এবং এশিয়ান সেশনের উচ্চ অস্থিরতার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। দৈনিক ট্রেডিংয়ের পুরোটা সময় জুড়ে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বাজার পরিস্থিতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যার ফলে সোমবার কিছুটা অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, ইউরো এবং পাউন্ডের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। (https://ifxpr.com/3QH8ufa)

Read more: https://ifxpr.com/3QH8ufa

LIMAFX
2025-03-04, 04:02 PM
৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/990983561.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের বেকারত্বের হার প্রকাশ করা হবে। তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হারের মতো ট্রেডারদের ওপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলে না, তাই সম্ভাব্যভাবে ট্রেডাররা এটিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করতে পারে। এছাড়াও, আজ জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: যদিও মঙ্গলবার উল্লেখযোগ্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন একটি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। সোমবার, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিবৃতি দেবেন, যা সন্ধ্যার দিকে মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। গত পরশু, হোয়াইট হাউসে ঘটে যাওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর ডলারের তীব্র দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। পরে, ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান করা বন্ধ করবে এবং চীনের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করবে। এই পরিস্থিতির আলোকে, যদি মার্কিন ডলার আজ থেকে পুনরায় শক্তিশালী হতে শুরু করে, তবে এটি আশ্চর্যের কিছু হবে না। তবে, ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত নীতিগুলোর কারণে ট্রেডাররা ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতে পারেন। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগপ্রবণ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ। ইউরো, পাউন্ড এবং ডলারের ক্ষেত্রে শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ট্রেডাররা এই সিদ্ধান্তগুলোকে কীভাবে ব্যাখ্যা করে সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সৃষ্ট মতবিরোধ মার্কেটে ডলার বিক্রির সরাসরি কারণ ছিল বলে মনে হয় না।
(https://ifxpr.com/41DIqrH)
Read more: https://ifxpr.com/41DIqrH

FRK75
2025-03-04, 10:51 PM
বোনাসের কোন খবর নাই কেন?????

LIMAFX
2025-03-05, 04:06 PM
৫ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1027212449.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, এবং ইউরোজোনে সার্ভিস সেক্টর বা পরিষেবা খাতের PMI সূচক প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ISM সূচক। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা শ্রম বাজার পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটায়। তবে, এই প্রতিবেদনটি সাধারণত নন-ফার্ম পেরোলস (NFP) প্রতিবেদনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা ট্রেডারদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। যাই হোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনকে ট্রেডাররা বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে না, কারণ তারা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তৃতার ওপর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের উল্লেখযোগ্য ইভেন্টগুলোর মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ হু পিলের বক্তৃতা রয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে উভয় কর্মকর্তাই মুদ্রানীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সংক্রান্ত নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি ও জিডিপি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। তাদের বক্তব্য ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে; তবে বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে মার্কিন ডলার এবং মার্কিন স্টক বিক্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্প যত বেশি বক্তব্য দিচ্ছেন, ডলার তত বেশি দুর্বল হচ্ছে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্য অস্থিরতার সম্মুখীন হতে পারে, কারণ বর্তমানে আবেগপ্রবণভাবে ট্রেডিং করা হচ্ছে এবং ট্রাম্প এর প্রধান কারণ। ইউরো, পাউন্ড, এবং ডলারের জন্য মূল বিষয় শুধু ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নয়, বরং ট্রেডাররা কীভাবে সেগুলো ব্যাখ্যা করছে। বর্তমানে, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তগুলোকে নেতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করছে। (https://ifxpr.com/4bpbO8p)

Read more: https://ifxpr.com/4bpbO8p

LIMAFX
2025-03-06, 06:22 PM
৬ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/586020973.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। এই সপ্তাহে ইতোমধ্যেই প্রচুর সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা ইউরো, পাউন্ড বা ডলারের উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করেনি। মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে, যা মূলত ট্রেডারদের আতঙ্ক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন বৈদেশিক নীতির সাথে সম্পর্কিত আবেগপ্রবণ প্রত্যাশার ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে, তবে এটি সম্ভবত একটি স্বল্পমেয়াদী কারেকশন হবে, যা সামগ্রিক শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের মূল ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বৈঠক; তবে, এটি বাজার পরিস্থিতির উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইসিবি আবারও মূল সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে, যা তাত্ত্বিকভাবে ইউরোর জন্য নেতিবাচক হওয়া উচিত। তবে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়গুলো বেশি প্রভাব ফেলছে। যদিও ইসিবির ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা বেশ স্পষ্ট, তবুও কারেন্সি মার্কেটে ট্রাম্পের প্রভাব অনেক বেশি দৃশ্যমান। ফলস্বরূপ, আজ মার্কিন ডলার কিছুটা শক্তিশালী হতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে বর্তমানে মার্কেটের মুভমেন্টে কোন যৌক্তিক ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডাররা কতদিন ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডের কারণে ডলার বিক্রি করতে থাকবে, তা এখনো অনিশ্চিত। উপসংহার: সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে আবেগপ্রবণ হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং এই আবেগের প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন বক্তব্য। ইউরো, পাউন্ড এবং ডলারের জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মূল বিষয় নয়, বরং ট্রেডাররা কীভাবে সেগুলো ব্যাখ্যা করছে সেটাই মূল আলোচ্য বিষয়। বর্তমানে, মার্কেটের ট্রেডাররা এসব সিদ্ধান্তকে নেতিবাচকভাবে দেখছে। (https://ifxpr.com/3DnaAhl)

Read more: https://ifxpr.com/3DnaAhl

LIMAFX
2025-03-07, 02:37 PM
মার্কিন ইতিহাসেr প্রথম হোয়াইট হাউস ডিজিটাল অ্যাসেট সামিট!
http://forex-bangla.com/customavatars/1809921262.jpg
মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক, যিনি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি কৌশলগত ক্রিপ্টোকারেন্সি রিজার্ভ পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন, যা এই শুক্রবার প্রকাশিত হবে। তবে, এই পরিকল্পনাটি শুধুমাত্র বিটকয়েনভিত্তিক হবে না—এর পাশাপাশি বিকল্প টোকেনও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। লুটনিক উল্লেখ করেছেন যে ট্রাম্প একটি বিটকয়েন রিজার্ভ গঠন গুরুত্ব স্বীকার করেন, তবে ৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য হোয়াইট হাউস ডিজিটাল অ্যাসেট সামিটে অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এই ঐতিহাসিক সামিট ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রিপ্টো নিয়ন্ত্রণ ও নীতিমালা এবং এই খাতে সরাসরি বিনিয়োগের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। লুটনিক জানিয়েছেন ট্রাম্পের ক্রিপ্টো রিজার্ভ পরিকল্পনায় বিটকয়েন বিশেষ মর্যাদা পাবে। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে, ট্রাম্প বলেছেন যে "মার্কিন ক্রিপ্টো রিজার্ভ" ক্রিপ্টো খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে, যা বাইডেন প্রশাসনের তথাকথিত "দুর্নীতিগ্রস্ত আক্রমণের" কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে রিপল, সোলানা এবং কার্ডানো এই রিজার্ভের অংশ হবে। ট্রাম্প তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের "ক্রিপ্টো রাজধানী" হিসেবে গড়ে তুলতে চান। ডেভিড স্যাকস এবং বো হাইনস দ্বারা আয়োজিত এই সামিটে ক্রিপ্টো খাতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করবেন, যার মধ্যে মাইকেল সেলার, ব্র্যাড গারলিংহাউস এবং সের্গেই নাজারভ রয়েছেন। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে: মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থায় ডিজিটাল অ্যাসেটের ভবিষ্যৎ, জাতীয় অবকাঠামোতে ডিজিটাল মুদ্রার একীভূতকরণ, ক্রিপ্টোকারেন্সি জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রণয়ন। এছাড়া, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম সপ্তাহে, ট্রাম্প এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৪১৭৮ স্বাক্ষর করেন, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অ্যাসেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য জারি করা হয়েছে। এই আদেশ বিশেষভাবে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) সম্পর্কিত ঝুঁকি থেকে মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের মতে আর্থিক স্থিতিশীলতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং মার্কিন সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। এই নির্বাহী আদেশ CBDC-এর তৈরি, ইস্যু এবং ব্যবহারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই ঘোষণার পর, বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং সাম্প্রতিক দরপতন থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। তবে, দৈনিক চার্টের প্রযুক্তিগত সূচক অনুসারে, অসসিলেটরগুলো এখনো ইতিবাচক সংকেত দেয়নি, অর্থাৎ নিশ্চিত বুলিশ প্রবণতা এখনো শুরু হয়নি। (https://ifxpr.com/3DaGeP9)

Read more: https://ifxpr.com/3DaGeP9

LIMAFX
2025-03-10, 05:09 PM
সবার দৃষ্টি এখন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ওপর রয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/635942772.jpg
শুক্রবার ইউরো-ডলার পেয়ারের মূল্য 1.0834 লেভেলে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে মার্কিন ডলারের দুর্বলতা নির্দেশ করে। উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধির পরও, EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা 1.09 লেভেল ব্রেকের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0890 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে ট্রেডাররা মূল্য ঐ লেভেলে থাকা অবস্থায় মুনাফা সংগ্রহ করেছিল। ফলে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই পেয়ারের মূল্য 50 পিপস হ্রাস পেয়েছে। EUR/USD পেয়ারের সাপ্তাহিক চার্টে দেখা যাচ্ছে যে, গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য 500 পিপসের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে—গত ১৬ বছরে এটি ছিল সবচেয়ে দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এর মূল কারণ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা হোয়াইট হাউসের প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে শুল্ক আরোপসংক্রান্ত বিরোধের ফলে সৃষ্ট হয়েছে। পূর্বে, নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা ডলারের পক্ষে কাজ করেছিল, কিন্তু এখন আমরা এর বিপরীত প্রভাব দেখছি। মার্কেটের ট্রেডাররা যৌক্তিকভাবে ধারণা করছে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুর্বলতার প্রতিক্রিয়ায় ফেডারেল রিজার্ভ ডিসেম্বরের তুলনায় আরও বেশি আগ্রাসীভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করতে বাধ্য হবে। ট্রেডারদের প্রত্যাশাও পরিবর্তিত হয়েছে। ট্রেডাররা নিশ্চিত যে এই মাসে ফেডের বর্তমান নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আসবে না, তবে ভবিষ্যৎ বৈঠকে আর্থিক নীতিমালা কিছুটা নমনীয় হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। CME FedWatch টুল অনুযায়ী, মে মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৫০% পর্যন্ত বেড়েছে, এবং জুন মাসে এটি ৮৭% এ পৌঁছেছে। নমনীয় নীতিমালার প্রত্যাশা কেবলমাত্র সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবের কারণে বাড়েনি, বরং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কারণেও এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক, খুচরা বিক্রয়, এবং ভোক্তা আস্থা সূচক প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল, যা মার্কিন ডলারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। ফেব্রুয়ারির নন-ফার্ম পে-রোল (NFP) প্রতিবেদনের ফলাফলও হতাশাজনক ছিল। দেশটির কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়ে 150,000-এ পৌঁছেছে, যা ১২ মাসের গড় 170,000 এর তুলনায় কম ছিল, এবং পূর্ববর্তী দুই মাসের (জানুয়ারি ও ডিসেম্বর) পরিসংখ্যান সংশোধন করে আরও কমানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার (U3) 4.1%-এ পৌঁছেছে, যা প্রত্যাশিত 4.0%-এর চেয়ে বেশি। শ্রমবাজারের বিস্তৃত সূচক U6 হার 8.0%-এ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অক্টোবর ২০২১ সালের পর সর্বোচ্চ। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার 62.4%-এ নেমে এসেছে, যা জানুয়ারি ২০২৩ সালের পর সর্বনিম্ন। মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন এই উদ্বেগজনক চিত্রকে আরও জোরদার করতে পারে, যা মার্কিন ডলারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। আগামী সপ্তাহে, প্রধান মূল্যস্ফীতি সূচক—CPI এবং PPI—প্রকাশিত হবে, যা নমনীয় আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের প্রত্যাশাকে আরও শক্তিশালী বা দুর্বল করতে পারে। বুধবার, ১২ মার্চ, ফেব্রুয়ারির ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গত তিন মাস ধরে সামগ্রিক CPI-এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে, জানুয়ারিতে এটি 0.5% এ পৌঁছেছে। তবে, ফেব্রুয়ারিতে এটি কমে 0.3%-এ নেমে আসার পূর্বাভাস রয়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতে, সূচকটি টানা চার মাস বৃদ্ধি পেয়েছে (অক্টোবর থেকে জানুয়ারি), যা সর্বোচ্চ 3.0%-এ পৌঁছেছিল, তবে এটি 2.9%-এ নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্য ও জ্বালানি বাদে মূল CPI মাসিক ভিত্তিতে 0.4% থেকে 0.3% কমতে পারে এবং বার্ষিক ভিত্তিতে 3.3% থেকে 3.2% এ হ্রাস পেতে পারে। বিশ্লেষকরা কেবল মূল্যস্ফীতির সামান্য হ্রাসের আশা করছেন, তবে মূল বিষয় হলো যে, এমনকি যদি ফলাফল প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় (অথবা আরও দুর্বল আসে), তবুও মার্কিন ডলার চাপের মধ্যে থাকবে। মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নির্ধারণে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক—উৎপাদন মূল্যসূচক (PPI)—পরদিন, ১৩ মার্চ প্রকাশিত হবে। এটিতেও একই ধরণের প্রবণতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যেখানে টানা কয়েক মাসের বৃদ্ধির পর সূচকটি কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। শুক্রবার, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো বুথ স্কুল অফ বিজনেসে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছেন যে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের অগ্রগতি "সম্ভবত অব্যাহত থাকবে, তবে এটি অনিয়মিত হতে পারে।" যদি আসন্ন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনে দুর্বলতা দেখা যায় (বিশেষ করে জানুয়ারির মূল PCE সূচকের মন্থরতার পরিপ্রেক্ষিতে), তাহলে মে মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা নমনীয় নীতিমালার পক্ষে যাবে। বর্তমানে, এই সম্ভাবনা ৫০/৫০। উল্লেখযোগ্যভাবে, শুক্রবার পরিলক্ষিত EUR/USD-এর শেষ মুহূর্তের দরপতন পাওয়েলের বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে মার্কিন অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী অবস্থায় অর্যেছে এবং ফেডের অতিরিক্ত সুদের হার কমানোর কোন জরুরি প্রয়োজন নেই। তবে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, পাওয়েল মূলত ফেডের মার্চের বৈঠকের কথা বলেছেন, যেখানে ট্রেডাররা নীতিমালায় কোনো পরিবর্তনের আশা করছে না। দ্বিতীয়ত, তিনি তার বক্তব্যে বাড়তি অনিশ্চয়তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে বাণিজ্য শুল্কের প্রভাব এবং ভোক্তা আস্থার পতন এখনো সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করা হয়নি, উল্লেখ করে বলেন, "এই পরিবর্তনের ফলাফল অর্থনীতি এবং মার্কিন মুদ্রানীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।" অর্থাৎ, পাওয়েলের শুক্রবারের বক্তব্যকে খুব বেশি কঠোর বলা যাবে না। EUR/USD-এর মূল্যের যেকোনো নিম্নমুখী কারেকশনকে এই পেয়ার ক্রয়ের সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0850 এর লেভেল, যা সাপ্তাহিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ড সূচকের উপরের লাইন। মূল লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0950 এর লেভেল, যা একই টাইমফ্রেমে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানা। (https://ifxpr.com/4kupRgW)

Read more: https://ifxpr.com/4kupRgW

LIMAFX
2025-03-11, 07:13 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি – ১১ মার্চ
http://forex-bangla.com/customavatars/1745334719.jpg
গতকাল মার্কেটে ব্যাপকভাবে স্টক বিক্রির প্রবণতা অব্যাহত ছিল, তবে এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে এই প্রবণতা কিছুটা মন্থর হয়ে যায়, যা মার্কিন স্টক ইনডেক্স ফিউচার, ট্রেজারি ইয়েল্ড, এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি মূল্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। তবে, মার্কেটে এখনো চাপ বিরাজ করছে, কারণ ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের শুল্ক নীতিমালা এবং সরকারি ব্যয় হ্রাসের কারণে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে। S&P 500 ফিউচার 0.3% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের শুরুর দিকে এটি 1% এর বেশি হ্রাস পেয়েছিল। নাসডাক 100 সূচক এবং ইউরোপীয় স্টকের ফিউচার কন্ট্রাক্টেও সামান্য পুনরুদ্ধার পরিলক্ষিত হয়েছে। মঙ্গলবার, এশিয়ার স্টক মার্কেটের প্রধান সূচকসমূহ পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে আসে, কারণ নাসডাক 100 সূচক ২০২২ সালের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের শিকার হয়। হংকং এবং চীনের স্টক সূচকগুলোও দরপতন কিছুটা পুষিয়ে নিয়েছে। ২-বছরের মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড পুনরুদ্ধার হয়েছে, যা আগে অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই মাস পার হওয়ার পর, বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি ক্রমাগত নেতিবাচক হয়ে উঠছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে বাণিজ্য যুদ্ধ, সরকারি ব্যয় হ্রাস, এবং দীর্ঘদিনের ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তনের কারণে। কিছু বিনিয়োগকারী এই পরিবর্তনকে চীনের এবং হংকংয়ের বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে দেখছেন, যেখানে চীনা সরকার সম্ভাব্যভাবে প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান করবে আশা করা হচ্ছে। যদিও বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে দূরে সরে আসছে, চীনের মূল ভূখণ্ডের বিনিয়োগকারীরা গতকাল রেকর্ড পরিমাণ স্টক কিনেছে, বিশেষ করে চীনের AI সেক্টরে ডিপসিক স্টার্টআপের অগ্রগতির কারণে মার্কেটে ইতিবাচক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। এদিকে, সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের কৌশলবিদরা মার্কিন স্টকের রেটিং "ওভারওয়েট" থেকে "নিউট্রাল" করেছে এবং চীনের রেটিং "ওভারওয়েট" এ উন্নীত করেছে, কারণ তারা মনে করছে যে মার্কিন স্টক মার্কেট বর্তমানে স্থবির অবস্থায় রয়েছে। সিটিগ্রুপ চীনের রেটিং উন্নীত করার কারণ হিসেবে মার্কেটে সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর দেশটির আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে। এর আগে, HSBC কৌশলবিদরা ইউরোপীয় (যুক্তরাজ্য ব্যতীত) স্টক মার্কেটের রেটিং "আন্ডারওয়েট" থেকে "ওভারওয়েট" এ উন্নীত করেছে, কারণ তারা মনে করছে যে ইউরোজোনে সম্ভাব্য রাজস্ব প্রণোদনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার S&P 500 সূচক 2.7% এবং নাসডাক 100 সূচক 3.8% দরপতনের শিকার হয়েছে। একপর্যায়ে, উভয় সূচকের দরপতন 5%-এর বেশি ছিল। বৃহৎ মূলধনী কোম্পানিগুলোর মধ্যে, টেসলা ইনকর্পোরেটেডের শেয়ারের দর 15% হ্রাস পেয়েছে, এবং এনভিডিয়ার শেয়ারের দর প্রায় 7% হ্রাস পেয়েছে। মঙ্গলবার, G10 কারেন্সির বেশিরভাগই মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং নিউজিল্যান্ড ডলার এশিয়ান সেশনে কিছুটা দুর্বল ছিল। সুইস ফ্রাঁ এবং জাপানি ইয়েনের মতো ঐতিহ্যগত নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বীকৃত মুদ্রাগুলো ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ইউরো এখনো ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে, কারণ ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত হচ্ছে। কমোডিটি মার্কেটে, তেলের দাম টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য হ্রাস পাচ্ছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছে যে শুল্ক এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক নীতিগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করতে পারে। স্বর্ণের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে মার্কিন স্টক মার্কেটের দরপতনের প্রভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলোর মূল্য নতুন বার্ষিক সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছেছে।

S&P 500-এর টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এখনো S&P 500 সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার বিরাজ করছে। ক্রেতাদের আজকের প্রধান লক্ষ্য হবে $5,645 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। এটি সফল হলে, সূচকটির মূল্য আরও বৃদ্ধি পেয়ে $5,670 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল হলো $5,692, যেখানে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারলে মার্কেটে তাদের শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত হবে। তবে, যদি বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার আগ্রহ আরও কমে যায়, তাহলে ক্রেতাদের অবশ্যই $5,617 লেভেলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যদি সূচকটির দর এই লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যায়, তাহলে সূচকটির দর দ্রুত $5,594 পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে এবং সম্ভবত $5,567 পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। (https://ifxpr.com/43BAJn5)

Read more: https://ifxpr.com/43BAJn5

LIMAFX
2025-03-12, 04:15 PM
১২ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1688835148.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে বর্তমানে অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মতোই এটিও তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ট্রেড করছে এবং অন্যান্য বিষয়গুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করছে। এমনকি যদি মার্কিন মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়—যা 2025 সালে ফেডারেল রিজার্ভের আরও কঠোর আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের ইঙ্গিত দিতে পারে—তবুও এর প্রভাবে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। ডলারের দর হয়তো 50-60 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে আরেকবার ডলার বিক্রির প্রবণতার মধ্যে এই বৃদ্ধি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ে যেতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রয়েছে, যেখানে ক্রিস্টিন লাগার্ডে, ফিলিপ লেন এবং জোয়াকিম নাগেলের বক্তৃতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মূলত ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও ঘোষণার দিকেই নজর দিচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিরতিহীনভাবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার, তিনি কানাডাকে ১৯০৮ সালে প্রণীত সীমান্ত চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে মার্কিন-জাপান বাণিজ্য চুক্তি প্রধানত জাপানের জন্য লাভজনক। মঙ্গলবার, তিনি কানাডার স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ, সকল দেশের স্টিল ও অন্যান্য আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসতে পারে। উপসংহার: এই সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই ওঠানামা করতে পারে, কারণ বর্তমান মার্কেট মূলত আবেগ দ্বারা চালিত হচ্ছে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যক্রম দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আরও চাপের মধ্যে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি মার্কিন মূল্যস্ফীতি কমে যায়, তাহলে এটি ডলার বিক্রির আরও একটি কারণ হিসেবে কাজ করবে। (https://ifxpr.com/420fwlG)

Read more: https://ifxpr.com/420fwlG

LIMAFX
2025-03-13, 05:50 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি, ১৩ মার্চ
http://forex-bangla.com/customavatars/908809974.jpg
S&P 500 এবং নাসডাক সূচকের ফিউচার আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে, যা গতকাল প্রকাশিত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের অপ্রত্যাশিত ফলাফলের কারণে ঘটেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস পেয়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। এশিয়ার স্টক সূচকসমূহেও দরপতন ঘটেছে, যা গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান উচ্চ অস্থিরতার ধারাবাহিকতা হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এই অবস্থার ফলে হেজ ফান্ডগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং ওয়াল স্ট্রিটের কৌশলবিদরা মার্কিন স্টক মার্কেটে আরও দরপতনের পূর্বাভাস দিয়েছে। আজ, মার্কিন ও ইউরোপীয় ফিউচার 0.5% হ্রাস পেয়েছে, যখন নাসডাক 100 কন্ট্রাক্ট 0.9% হ্রাস পেয়ে বুধবারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। বিপরীতে, ট্রেজারি বন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কাজুও উয়েদা মজুরি এবং ভোক্তা ব্যয়ের উন্নতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করার পর ইয়েন শক্তিশালী হয়েছে। স্টক মার্কেটের এই ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে, বিশেষ করে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান আক্রমণাত্মকভাবে স্টকের বিক্রয়ের প্রবণতার কারণে এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। উচ্চ বেকারত্বের হার এবং ফেডারেল চাকরির ছাঁটাইয়ের কারণে আরও অস্থিরতার মাত্রা আরও বেড়েছে, যা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন সম্পর্কিত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে কিছু বিনিয়োগকারী তাদের মূলধন মার্কিন স্টক মার্কেট থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে, বিশ্লেষকরা মার্কিন স্টক মার্কেট সম্পর্কে আরও সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করছে। গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড সাম্প্রতিক সময়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে, যা পূর্বে সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এবং HSBC হোল্ডিংস পিএলসি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ধারাবাহিকতা। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, সিটিগ্রুপ মার্কিন স্টক মার্কেটের রেটিংকে "ওভারওয়েট" থেকে "নিউট্রাল"-এ নামিয়ে এনেছে, যখন চীনের রেটিংকে "ওভারওয়েট"-এ উন্নীত করেছে। স্টক মার্কেটে সাম্প্রতিক অস্থিরতা মূলত এই উপলব্ধি থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) সামান্য বৃদ্ধির প্রতিবেদন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালায় তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন আনবে না। ফেডারেল রিজার্ভ উচ্চ সুদের হার বজায় রাখবে বলে প্রত্যাশা বাড়ছে, যা নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। গতকাল, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার ঘোষণা করেছেন যে তার দল শনিবারের সম্ভাব্য সরকারি শাটডাউন প্রতিরোধ করতে রিপাবলিকানদের ব্যয়ের বিল ব্লক করবে। তিনি রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে তারা ডেমোক্র্যাটদের অর্থায়ন পরিকল্পনাকে অনুমোদন করুক, যা এপ্রিল ১১ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি নির্দেশ করে যে স্টকের মার্কেটের সাম্প্রতিক সর্বনিম্ন লেভেলটি প্রকৃতপক্ষে সর্বনিম্ন লেভেল নাও হতে পারে, কারণ আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। শুল্ক সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন করে আমদানিকৃত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর 25% শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা ব্যবস্থা নেবে, যা বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি, কানাডা আনুমানিক $20.8 বিলিয়ন মূল্যের মার্কিন পণ্যের উপর 25% শুল্ক আরোপ করেছে—যার মধ্যে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়াস্বর প এসেছে। কমোডিটি মার্কেটের হালনাগাদ তথ্য কমোডিটি মার্কেটে, স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি বর্তমানে আউন্স প্রতি $2,940 লেভেলে ট্রেড করছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে, যা পূর্ববর্তী দুই সপ্তাহের ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর পরিলক্ষিত হয়েছে। (https://ifxpr.com/41MbgVB)

Read more: https://ifxpr.com/41MbgVB

LIMAFX
2025-03-14, 05:04 PM
১৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1074177591.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাজ্য জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি, GDP প্রতিবেদনটিতে প্রান্তিক ভিত্তিকের পরিবর্তে মাসিক ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশিত হবে, তাই ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া খুবই সীমিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জার্মানিতেও মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, তবে এটি ট্রেডারদের কাছ থেকে খুব বেশি আগ্রহ আকর্ষণ করবে না। এর প্রধান কারণ হলো এটি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় অনুমান এবং এটি শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের 27টি দেশের মধ্যে একটি দেশের মুদ্রাস্ফীতির চিত্র উপস্থাপন করে। গত দুই সপ্তাহে, ট্রেডাররা আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও উপেক্ষা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশ করা হবে, তবে এটিকেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: যদিও শুক্রবার নির্ধারিত কোন গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং বিবৃতির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। বর্তমানে আলোচনার মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ, কানাডার সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ, এবং ইউক্রেনের সামরিক সংঘাতের সমাধান। ফলে, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কী ধরনের নতুন খবর প্রকাশিত হতে পারে তা আগে থেকে অনুমান করা অসম্ভব। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেট আবেগ দ্বারা চালিত হচ্ছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছেন। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য না আসে, তবে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সামান্য কারেকশন দেখা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এই মুহূর্তে পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। (https://ifxpr.com/3DHkDhk)

Read more: https://ifxpr.com/3DHkDhk

LIMAFX
2025-03-17, 03:57 PM
১৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1097473178.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তবে, গত দুই সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি বেশ কম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর পরিবর্তে, তারা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত তথ্য এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক এমন যেকোনো বৈশ্বিক সংবাদের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এই সপ্তাহে, মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্য দরপতন এড়াতে সক্ষম হয়েছে, তবে এটি এখনো পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। মনে হচ্ছে, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের নতুন শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার (যেমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর শুল্ক আরোপ) জন্য অপেক্ষা করছে, যা ডলারের আরও বিক্রির প্রবণতার অনুঘটক হতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা। তবে, লাগার্ড প্রায়শই বক্তৃতা দিয়ে থাকেন, তাই মার্কেটে নতুন কোন তথ্য আসার সম্ভাবনা নেই। ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থান ইতোমধ্যেই স্পষ্ট: মূল সুদের হার আরও কমানো হতে পারে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি এখন আর উদ্বেগের কারণ নয় এবং গত ২.৫ বছরে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত দুর্বল ছিল। তাই, ইসিবির প্রেসিডেন্ট সোমবার নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগের সাথে ট্রেডিং করা হচ্ছে, যার প্রধান অনুঘটক ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি ট্রাম্পের পদক্ষেপের ব্যাপারে নতুন কোনো তথ্য না আসে, তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই হয় হালকা কারেকশন দেখা যেতে পারে অথবা সাইডওয়েজ মুভমেন্ট বজায় থাকতে পারে। এখনো পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। (https://ifxpr.com/3DYvseW)

Read more: https://ifxpr.com/3DYvseW

LIMAFX
2025-03-18, 03:59 PM
১৮ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/844910002.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোজোন এবং জার্মানিতে ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট বা অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে, যা আমাদের মতে ট্রেডারদের উপর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, হাউজিং স্টার্টস, বিল্ডিং পারমিট এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এসব প্রতিবেদন ডলারের মূল্যের দৈনিক মুভমেন্টের উপর সামান্য প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এর বেশি কিছু ঘটবে না। সোমবারের ট্রেডিংয়ে দেখা গেছে যে, কোনো সংবাদ বা প্রতিবেদনের প্রভাব ছাড়াই মার্কিন ডলারের দরপতন হতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে খুব বেশি প্রশ্ন নেই। ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এই সপ্তাহে বৈঠকে বসবে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায় নিশ্চিত যে কোনোভাবেই মুদ্রানীতি পরিবর্তন করা হবে না। তাই মূল পরিস্থিতি অ্যান্ড্রু বেইলি এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের উপর নির্ভর করছে। তবে, বৈঠকের দুই দিন আগে, মুদ্রানীতি কমিটির কোন সদস্যই সাক্ষাৎকার দিতে বা বর্তমান পরিস্থিতি এবং আসন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারেন না। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে সম্পূর্ণরূপে আবেগের সাথে ট্রেডিং পরিচালিত হচ্ছে এবং এর একমাত্র পরিচালক হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার পুনরায় চাপের মুখে পড়তে পারে। যদি ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো নতুন সংবাদ না আসে, তবুও ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এখন শুধুমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা উচিত। (https://ifxpr.com/4iByEw7)

Read more: https://ifxpr.com/4iByEw7

LIMAFX
2025-03-19, 04:23 PM
১৯ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/648560458.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে। মার্কিন ডলার দুর্বল হওয়ার লক্ষণ দেখিয়ে যাচ্ছে, তবে সামনে কী হতে পারে? বুধবার ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে; তবে, এই ফলাফলে সাধারণত প্রাথমিক প্রতিবেদনের তুলনায় খুব বেশি পার্থক্য দেখা যায় না, তাই মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। আজ অন্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হবে ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক। মূল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুমানযোগ্য হলেও, জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন এবং "ডট প্লট" চার্ট মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি দিতে পারে। বর্তমানে, ট্রেডারদের কাছে মুদ্রানীতি প্রধান আলোচ্য বিষয় নয়, তবে এই ইভেন্টটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। পূর্ববর্তী "ডট প্লট" পূর্বাভাস অনুসারে, 2025 সালে দুইবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ছিল। যদি আজকের চার্টে প্রত্যাশিত সুদের হারের পরিবর্তন দেখা যায়—কম বা বেশি—তবে এটি মার্কিন ডলারের সঙ্গে সম্পর্কিত ট্রেডিং কৌশলগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। পাওয়েলের বক্তব্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে—যদি তিনি আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেন, তবে এটি ডলারকে আরও দুর্বল করতে পারে। তবে, আমরা আশা করছি যে বৃহস্পতিবারের মধ্যে মার্কেটে আবারও মূল প্রবণতায় ফিরে আসবে, যা ডলারের বিক্রির দিকে পরিচালিত করবে, যা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে হয়েছে।

উপসংহার: বুধবার দিনভর, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের যেকোনো দিকে মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগ দ্বারা ট্রেডিং পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছেন। সন্ধ্যায় স্বল্পমেয়াদে মার্কেটে "ঝড়" উঠতে পারে, যা সাময়িকভাবে ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। তবে, ফেডের মুদ্রানীতিও এই মুহূর্তে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নির্ধারণের প্রধান উপাদান নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্ভাব্যভাবে সম্পূর্ণ বাণিজ্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা অব্যাহতভাবে মার্কিন ডলারের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করছে। (https://ifxpr.com/3Y1OlV8)

Read more: https://ifxpr.com/3Y1OlV8

LIMAFX
2025-03-20, 03:59 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের পর্যালোচনা: প্রবৃদ্ধির পর দরপতন।
http://forex-bangla.com/customavatars/854307784.jpg
S&P 500 স্টক মার্কেটের পর্যালোচনা – ১৯ মার্চ মার্কিন স্টক মার্কেটে দরপতন। কনসোলিডেশন। ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের দিকে দৃষ্টি। মঙ্গলবার প্রধান মার্কিন স্টক সূচক: ডাউ জোন্স -0.6%, নাসডাক -1.7%, S&P 500 সূচক -1.1%, S&P 500 সূচক বর্তমানে 5,614 পয়েন্টে রয়েছে, রেঞ্জ 5,500 – 6,000। সকল সেক্টরে দরপতনের সাথে স্টক মার্কেটে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। প্রধান স্টক সূচকগুলো সেশনের সর্বনিম্ন লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়েছে, যেখানে দরপতনের হার ছিল 0.6% - 1.7%। S&P 500 সূচক (-1.1%) এবং নাসডাক কম্পোজিট (-1.7%) টানা দুইদিনের বৃদ্ধির পর নিম্নমুখী হয়েছে, তবে আগের অর্জিত মুনাফা সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়নি। S&P 500 এবং নাসডাক কম্পোজিট যথাক্রমে গত বৃহস্পতিবার সেশন শেষ হওয়ার সময়ের তুলনায় 1.7% এবং 1.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহৎ মূলধনসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরপতনের দিক থেকে শীর্ষে ছিল, যার মধ্যে রয়েছে টেসলা (TSLA 225.31, -12.70, -5.3%), এনভিডিয়া (NVDA 115.52, -4.00, -3.4%), মেটা প্লাটফর্ম (META 582.36, -22.54, -3.7%), এবং অ্যালফাবেট (GOOG 162.67, -3.90, -2.3%)। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়া-এর ইভেন্ট সংক্রান্ত খবর বিশ্লেষণ করছিল, তবে এই ঘোষণাগুলো স্টকের মূল্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। অন্যদিকে, অ্যালফাবেট ঘোষণা করেছে যে তারা ক্লাউড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপার উইয ইনকর্পোরেটেড-কে $32 বিলিয়নে অধিগ্রহণ করবে। ভূরাজনৈতিক ঝুঁকিও মার্কেটে দরপতনের কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তবে, পণ্য মূল্য এবং ট্রেজারি বন্ডের গতিবিধিতে এই উদ্বেগ প্রতিফলিত হয়নি। ট্রেজারি বন্ড সাধারণত ভূরাজনৈতিক সংকটের সময় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে ১০-বছর মেয়াদী ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড ৩ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.২৮% হয়েছে এবং ২-বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ১ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.০৪% হয়েছে, যা শুধুমাত্র সামান্য পরিবর্তন নির্দেশ করে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সাধারণত তেলের দাম বৃদ্ধি পায়, তবে WTI অপরিশোধিত তেলের ফিউচার গতকাল 1.2% হ্রাস পেয়ে প্রতি ব্যারেল $66.78 হয়েছে। ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের পরও মার্কেটে এর তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এই ফোনালাপের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে উভয় নেতা প্রথমে জ্বালানি এবং অবকাঠামোগত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয়েছেন, এরপর কৃষ্ণ সাগরে নৌবাহিনীর যুদ্ধবিরতি এবং পরবর্তীতে পর্যায়ে তারা একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তির দিকে অগ্রসর হবেন। তবে, ট্রাম্প এই আলোচনায় সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং এটি তার প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি বলে মনে হয়েছে। যদিও মস্কোর বক্তব্য ইতিবাচক ছিল, ট্রাম্প ফোনালাপের পরপরই তার নির্ধারিত ভাষণ বাতিল করেন। সাধারণত, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকেন, তবে এইবার তার প্রতিক্রিয়া অনেক দেরিতে এসেছে। এটি স্পষ্ট যে ট্রাম্প সরাসরি একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি আশা করেছিলেন, যা এই ফোনালাপে হয়নি। বিশেষ করে, তার ব্যক্তিগত দূত উইথঅফ ফোনালাপের ঠিক আগে মস্কোতে শীর্ষ রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বসেছিলেন, যেখানে প্রধান আলোচনার বিষয়গুলো আগেই চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। ফোনালাপের পর মস্কো এক্সচেঞ্জ সূচক ১% হ্রাস পেয়েছে। এটি মাঝারি মাত্রার দরপতন হলেও এটি এই আলোচনার ফলাফলের প্রতি রাশিয়ান বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত করে। অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: গতকাল প্রকাশিত মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে ফলাফল মিশ্র ছিল: ফেব্রুয়ারিতে আবাসন নির্মাণ শুরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, আমদানি ও রপ্তানি মূল্য বার্ষিক ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির পরিবর্তন নির্দেশ করেছে। বছরের শুরু থেকে স্টক সূচকসমূহের পারফরম্যান্স: ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ: -1.7% S&P 500 সূচক: -4.5% S&P মিডক্যাপ 400 সূচক: -5.6% নাসডাক কম্পোজিট: -9.4% রাসেল 2000: -8.1% অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: ফেব্রুয়ারির আবাসন নির্মাণ শুরুর সংখ্যা: 1.501 মিলিয়ন (সর্বসম্মত পূর্বাভাস: 1.385 মিলিয়ন) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: 1.350 মিলিয়ন (পূর্বে ছিল 1.366 মিলিয়ন) ফেব্রুয়ারির বিল্ডিং পারমিট: 1.456 মিলিয়ন (সম্মতিসূচক পূর্বাভাস: 1.450 মিলিয়ন) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: 1.473 মিলিয়ন (পূর্বে ছিল 1.483 মিলিয়ন) মূল বিশ্লেষণ: ফেব্রুয়ারিতে আবাসন নির্মাণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উন্নত আবহাওয়ার কারণে সম্ভব হয়েছে। এটি দক্ষিণ অঞ্চলে 18.3% বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে জানুয়ারিতে 23% পতন হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির রপ্তানি মূল্য: +0.1% (পূর্ববর্তী: +1.3%) কৃষিপণ্য বাদে রপ্তানি মূল্য: +0.1% (পূর্ববর্তী: +1.5%) ফেব্রুয়ারির আমদানি মূল্য: +0.4% (পূর্ববর্তী: সংশোধিত হয়ে +0.3% থেকে +0.4%) তেল বাদে আমদানি মূল্য: +0.3% (পূর্ববর্তী: +0.1%) ফেব্রুয়ারির শিল্প উৎপাদন: +0.7% (সম্মতিসূচক পূর্বাভাস: +0.2%) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: +0.5% থেকে +0.3% ফেব্রুয়ারির উৎপাদন ক্ষমতার ব্যবহার: 78.2% (সম্মতিসূচক পূর্বাভাস: 77.7%) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: 77.8% থেকে 77.7% মূল বিশ্লেষণ: শিল্প উৎপাদনে শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখা গেছে, যা মূলত গাড়ি এবং যন্ত্রাংশ উৎপাদনে 8.5% বৃদ্ধির ফলে সম্ভব হয়েছে। সম্ভবত এই খাত নতুন শুল্ক আরোপের প্রত্যাশায় হয়েছে। গাড়ি উৎপাদন গত মাসের তুলনায় 11.5% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি ঋতুভিত্তিক বার্ষিক হারে 10.35 মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছেছে। বুধবার প্রকাশিতব্য নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন: 07:00 ET: MBA সাপ্তাহিক বন্ধকী সূচক (পূর্ববর্তী: +11.2%) 10:30 ET: সাপ্তাহিক অপরিশোধিত তেলের মজুদ (পূর্ববর্তী: +1.45 মিলিয়ন ব্যারেল) 16:00 ET: জানুয়ারির নেট TIC ফ্লো (পূর্ববর্তী: $72.0 বিলিয়ন) অতিরিক্তভাবে, মার্চ মাসের FOMC-এর বৈঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে 14:00 ET-এ। উল্লেখ্য: ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার পরিবর্তন করবে না বলে মনে হচ্ছে, তবে বিবৃতিতে গৃহীত অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ হবে। এনার্জি: Brent অপরিশোধিত তেল: $70.20। মার্কিন মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতার কারণে তেলের দাম প্রায় $1 কমেছে। যদি মার্কিন স্টক মার্কেটের দরপতন অব্যাহত থাকে, তাহলে তেলের দাম $70-এর নিচে নেমে যেতে পারে। উপসংহার: ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে ফেডের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বিবৃতি সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। বর্তমানে, মার্কিন স্টক মার্কেট একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং সূচকটি সেই লেভেল থেকে কিছুটা নেমে এসেছে, যা সম্ভাব্যভাবে ক্রয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে সতর্কভাবে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মিখাইল মাকারভ আরও বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন: (https://ifxpr.com/4iHyjYH)

Read more: https://ifxpr.com/4iHyjYH

LIMAFX
2025-03-21, 05:17 PM
ফেডারেল রিজার্ভ স্টক মার্কেটকে জীবনরক্ষাকারী লাইফবোট উপহার দিল
http://forex-bangla.com/customavatars/473479657.jpg
২৪-ঘণ্টার চার্টে #SPX-এর ওয়েভ স্ট্রাকচার যথেষ্ট স্পষ্ট। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বৃহৎ পরিসরে ফাইভ-ওয়েভ গঠন, যা এতটাই প্রশস্ত যে এটি প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিনে সবচেয়ে ছোট স্কেলেও পুরোপুরি ফিট হয় না। সহজ কথায়, মার্কিন স্টক সূচকগুলো দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। তবে আমরা জানি, একসময় যেকোনো প্রবণতাই শেষ হয়। এই মুহূর্তে, ওয়েভ 5 of 5 সম্ভবত সম্পন্ন হয়েছে, কারণ ইনস্ট্রুমেন্টটি 6,093 লেভেল (ওয়েভ 4 থেকে 200.0% ফিবোনাচ্চি এক্সটেনশন) অতিক্রম করতে চারবার ব্যর্থ হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে, একটি করেকটিভ ওয়েভ সিকোয়েন্স এখন গঠিত হচ্ছে। মার্কিন স্টক মার্কেট অতিরিক্ত উত্তপ্ত, এবং বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ এখন "বাবল" সম্পর্কে সতর্ক করছে। ৪-ঘণ্টার চার্টে, আমরা একটি সম্পূর্ণ জটিল করেকটিভ স্ট্রাকচার a-b-c-d-e দেখতে পাচ্ছি, যার পর একটি ঊর্ধ্বমুখী a-b-c প্যাটার্ন দেখা গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে একটি নতুন নিম্নমুখী স্ট্রাকচার গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যার প্রথম ওয়েভটি স্পষ্টত একটি ইম্পালসের মতো বলে মনে হচ্ছে। তাই, আমি একটি ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ 2 বা b গঠনের প্রত্যাশা করছি, যার পর দরপতন আবার শুরু হতে পারে। আমার বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি দৈনিক ওয়েভ কাউন্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা S&P 500-এর দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী মুভমেন্ট নির্দেশ করে।

ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান ট্রেডারদের আতংক প্রশমিত করেছে, তবে ঝুঁকি রয়ে গেছে আগে যেমনটি সতর্ক করেছিলাম, #SPX এখন করেকটিভ ওয়েভ b গঠন করতে শুরু করেছে, যা সূচকটির দরকে 5,825 পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে—যা ওয়েভ a থেকে 50.0% ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এর মানে, মার্কিন স্টক মার্কেট স্বল্পমেয়াদে প্রবৃদ্ধির প্রদর্শন করতে পারে, তবে এটি পরবর্তী দরপতনের আগে সম্ভবত একটি করেকটিভ বাউন্স হবে। অবশ্য, ওয়েভ স্ট্রাকচার বিভিন্নভাবে বিকশিত হতে পারে—রিট্রেসমেন্ 38.2% বা এমনকি 76.4%ও হতে পারে, তবে আপাতত আমাদের একটি বেসলাইন সিকোয়েন্স রয়েছে। এই সপ্তাহের FOMC-এর বৈঠকে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কেবল মার্কেটের ট্রেডাররাই ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে আতংকিত হচ্ছে—ফেড নয়। ফেড মার্কিন অর্থনীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখতে পায়নি। মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আশা করছে মুদ্রাস্ফীতি ত্বরান্বিত হবে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি কমবে। তাই, পূর্বাভাস অনুযায়ী মুদ্রানীতির নমনীয়করণ ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হবে। তবে, মনে করিয়ে দিতে চাই যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানকে আমলে নিয়েছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মার্কিন অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি, যা এখনো সতর্কভাবে নেতিবাচক রয়ে গেছে। তবুও, ফেড কিছুটা হলেও মার্কেটের ট্রেডারদের শান্ত করতে পেরেছে, যদিও স্পষ্টভাবে অস্বীকার করা যাবে না—মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতিতে হচ্ছে। হয়তো মার্কেটের ট্রেডারদের আশংকা অনুযায়ী নয়, কিন্তু মন্থর হচ্ছে। তাই, আমার ওয়েভ স্ট্রাকচার এখনও সঠিক রয়েছে। চূড়ান্ত মন্তব্য #SPX-এর বর্তমান ওয়েভ বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে ইনস্ট্রুমেন্টটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমি 6,125 লেভেল এবং ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিমালার দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। তাঁর কার্যকলাপ—বাণিজ্ যুদ্ধ, শুল্ক, এবং আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ—মার্কিন অর্থনীতি এবং কর্পোরেট আয়ের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে, যা নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। মার্কিন স্টক মার্কেটে "বাবল" পুরোপুরি তৈরি হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ৪-ঘণ্টার চার্টে আরও একটি ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভের সম্ভাবনা আছে, তারপরে একটি বিয়ারিশ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। ২৪-ঘণ্টার চার্ট দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা নিশ্চিত করেছে। হায়ার টাইমফ্রেমে ওয়েভ স্ট্রাকচার আরও স্পষ্ট: একটি সম্পূর্ণ ফাইভ-ওয়েভ গঠন, যার ভিতরে পঞ্চম ওয়েভে আরেকটি পাঁচ-ওয়েভ প্যাটার্ন—এটি একটি নিশ্চিত নির্দেশক যে এই ওয়েভের গঠন সম্ভবত শেষের কাছাকাছি রয়েছে। সব মিলিয়ে এটি দীর্ঘ এবং জটিল করেকশনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যা সম্ভবত ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমার বিশ্লেষণের মূল নীতিমালা: ওয়েভ স্ট্রাকচারগুলো সহজবোধ্য এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল প্যাটার্নে ট্রেড করা কঠিন এবং এটি প্রায়শই হঠাৎ পরিবর্তিত হয়। প্রবণতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা থাকলে মার্কেটের বাইরে থাকাই ভালো। কখনোই মূল্যের মুভমেন্টের শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। তাই সবসময় স্টপ লস অর্ডার ব্যবহার করুন। ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি এবং ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করা যায়, যাতে আরও পরিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। (https://ifxpr.com/4huB7r3)

Read more: https://ifxpr.com/4huB7r3

LIMAFX
2025-03-24, 03:39 PM
২৪ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
http://forex-bangla.com/customavatars/618102918.jpg
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা টেকনিক্যাল পরিস্থিতি এবং বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে পুরোপুরি যৌক্তিক ছিল। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং এর পেছনে মাত্র একটি কারণ ছিল — সেটি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রোটেকশনিস্ট বা সুরক্ষাবাদী নীতিমালা। অন্যান্য সমস্ত বিষয় প্রায় উপেক্ষিতই হয়েছিল। তবে বুধবার সন্ধ্যায় এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ এখনো আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না এবং পূর্বের মতোই ২০২৫ সালে দুইবারের বেশি সুদের হার হ্রাসের কোনো সম্ভাবনা রাখছে না। উপরন্তু, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে ফেড কোনো সমস্যাও দেখছে না। সুতরাং, মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ও দীর্ঘ সময় ধরে অযৌক্তিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে। সেই হিসেবে, বর্তমানে অন্তত একটি কারেকটিভ মুভমেন্ট হিসেবে হলেও এই পেয়ারের দরপতন সম্পূর্ণভাবে যৌক্তিক। অবশ্যই, আগামীতে অল্প সময়ের মধ্যে ৬ মাস থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত চলমান দীর্ঘমেয়াদি নিম্নমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে এই প্রত্যাশা করা করা অতিরিক্ত আশাবাদী হতে পারে, কিন্তু এই প্রবণতা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর ভিত্তিতে ট্রেড করার বিশেষ কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা খুব কম ছিল। দ্বিতীয়ত, উভয় সিগন্যালই মার্কেটে ট্রেডিং হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে গঠিত হয়েছিল। যদি এগুলো শক্তিশালী এবং স্পষ্ট সিগন্যাল হতো, তাহলে ট্রেড করার যৌক্তিকতা থাকতে পারত। কিন্তু বাস্তবে এমনটি ছিল না।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ সেটা হতে দিচ্ছে না। আমরা এখনো মধ্যমেয়াদে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যদিও ট্রাম্পের কার্যক্রমের প্রভাবে ডলারের দরপতন আর কতদিন স্থায়ী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। একবার এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এখনো এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতাই বিরাজ করছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য অকারণে বৃদ্ধি পায়নি, তবে আবারও এটি অতিরিক্ত এবং অযৌক্তিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। ঘণ্টাভিত্তিক চার্টের টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার অনুযায়ী, সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও হ্রাস পেতে পারে। পাউন্ড আবারও অতিরিক্ত ক্রয় করা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে দামী হয়ে উঠেছে। ৫ মিনিটের চার্টে প্রাসঙ্গিক ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107। সোমবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হলেও, এগুলো সামগ্রিকভাবে নয় বরং মূলত স্থানীয় পর্যায়ে মার্কেট সেন্টিমেন্টে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। (https://ifxpr.com/4hHJeAH)

Read more: https://ifxpr.com/4hHJeAH

LIMAFX
2025-03-25, 03:33 PM
অর্থনৈতিক যুদ্ধ: তেল, গ্যাস এবং নিষেধাজ্ঞার প্রতিযোগিতার ভূ-রাজনৈতিক খেলা
http://forex-bangla.com/customavatars/501493805.jpg
অর্থবাজারে প্রতিটি দিন যেন বাজারের আধিপত্য নিয়ে এক যুদ্ধ। যেদিন ট্রেডাররা মূল্যের উত্থান উদ্যাপন করে, পরদিনই পরিস্থিতি ঘুরে যেতে পারে। শুক্রবার, ন্যাচারাল গ্যাস ফিউচারের দর হঠাৎই বেড়ে যায়, যা বুলিশ ট্রেডারদের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে ক্রুড অয়েল একই রকম পারফরম্যান্স করতে পারেনি। একবার আবারও নিউ ইয়র্ক মারকেন্টাইল এক্সচেঞ্জ (NYMEX) হয়ে ওঠে বড় মুভমেন্টের মঞ্চ। এপ্রিলে ডেলিভারির জন্য ন্যাচারাল গ্যাস ফিউচারের দর 0.48% বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি মিলিয়ন BTU-তে $3.99 এ পৌঁছায়। যদিও সেশনের সর্বোচ্চ মূল্য প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল, তবে $3.866 এর সাপোর্ট এবং $4.259 এর রেজিস্ট্যান্স মার্কেটে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে এবং ধারণা দেয় যে এই মুভমেন্ট এখানেই শেষ নয়। অন্যদিকে, মার্কিন ডলার সূচক — যা ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর নির্ধারণ করে — শুক্রবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সূচকটি 0.28% বৃদ্ধি পেয়ে 103.79 এ পৌঁছেছিল। বহু ট্রেডারের জন্য, ডলার সূচকের মুভমেন্ট একটি নির্ভরযোগ্য সংকেত হিসেবে কাজ করে: ডলারের দর বাড়লে, সাধারণত তেল ও গ্যাসের মতো কমোডিটির ওপর চাপ পড়ে। তবে এই পরিস্থিতিতেই অনেক অভিজ্ঞ ট্রেডাররা কৌশলগত এন্ট্রি পয়েন্ট খুঁজে পায়।

তেলের বাজারে ভিন্ন চিত্র WTI ক্রুড অয়েলের মার্কেট ততটা গতিশীলতা সৃষ্টি হয়নি। NYMEX-এ মে মাসের ডেলিভারির জন্য WTI ফিউচারের দর 0.40% কমে প্রতি ব্যারেল $68.34-এ নেমে আসে। ইউরোপিয়ান সেশনে প্রবণতা আরও নিম্নমুখী হয়, যেখানে দর আরও 0.07% কমে $68.02-এ পৌঁছায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স যথাক্রমে $66.09 এবং $68.61-এ অবস্থান করছে। ICE-এ ট্রেড করা ব্রেন্ট ফিউচারেও চাপ সৃষ্টি হতে দেখা গেছে, যা 0.19% কমে প্রতি ব্যারেল $71.86-এ ট্রেড করা হয়েছে।

চীনে ইরানি তেলের রপ্তানি নিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্র চীনের উদ্দেশে পাঠানো ইরানি তেলের চালানকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার ফলে মার্কেটে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ে। নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় স্বাধীন রিফাইনারি শোগোয়াং লুকিং পেট্রোকেমিকেল এবং একাধিক ট্যাঙ্কার রয়েছে যেগুলো চীনে ইরানি তেল সরবরাহ করে। ফেব্রুয়ারি থেকে এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ নিষেধাজ্ঞা — যা ইঙ্গিত দেয় যে, ওয়াশিংটন আবারও তেহরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে। নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি তেল এখন চীনে আরও জটিল এবং ব্যয়বহুল রুটে পাঠানো হচ্ছে। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, চীনা কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ পুনর্বিন্যাস করছে এবং আমদানি অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাসে চীনে ইরানি তেল আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে দৈনিক 1.43 মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছায়, যা জানুয়ারিতে ছিল 898,000 ব্যারেল। এর একটি বড় অংশকে আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ার তেল হিসেবে লেবেল করা হয় — যা বৈশ্বিক বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সৃজনশীলতাকে নির্দেশ করে।

রাশিয়া এবং ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং উৎপাদন পরিস্থিতি ফেব্রুয়ারি ও মার্চ জুড়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে, বিশেষত জ্বালানি রপ্তানি লক্ষ্য করে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য সরবরাহ সীমিত করা হলেও এটি মার্কেটে কিছু ট্রেডিংয়ের সুযোগও তৈরি করছে। ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একট নির্বাহী আদেশে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহাল করেন। মাত্র তিন সপ্তাহ পর, ২৪ ফেব্রুয়ারি, আরও এক নিষেধাজ্ঞায় ঘোষণা করা হয় যেখানে ইরানি তেল খাতের সঙ্গে যুক্ত ৩০ ব্যক্তি ও ট্যাঙ্কারকে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ, আরও ১৩টি ট্যাঙ্কার এবং ১৮টি কোম্পানি ও ব্যক্তি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হয়। তবুও, ইরানের তেল উৎপাদন স্থিতিশীল রয়েছে। দেশটিতে ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদন ছিল দৈনিক ৪.৮ মিলিয়ন ব্যারেল, যা জানুয়ারির সমান। এটি জানুয়ারি ২০২৩ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য, কারণ তখন উৎপাদন ছিল মাত্র ৩.৭ মিলিয়ন ব্যারেল — যা এই ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর কৌশল রপ্ত করেছে। রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। ১২ মার্চ পর্যন্ত বিদেশি কোম্পানিগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোর (সবারব্যাংক, ভিটিবি, আলফা-ব্যাংক, সভকমব্যাংক) মাধ্যমে রাশিয়ান তেল ও গ্যাস কিনতে পারত। এই লেনদেন একটি নবায়নযোগ্য জেনারেল লাইসেন্সের মাধ্যমে সম্ভব হতো, যা প্রতি দুই মাসর পরপর নবায়ন করা হতো। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্র লাইসেন্সটি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। CBS সহ অন্যান্য বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদে নতুন নিষেধাজ্ঞা ইরান বা রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে বড় প্রভাব ফেলবে না। তবে ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক চাপ তেলের দামে সহায়ক হতে পারে। CBS অনুমান করেছে, এই লাইসেন্স বাতিল করলে তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে $5 পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবুও, মার্চ ১২ থেকে ২০ এর মধ্যে ব্রেন্টের দর কেবল $70.9 থেকে $71.1 পর্যন্ত বেড়েছে — যা তুলনামূলকভাবে সীমিত বৃদ্ধি। যদি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার আর্থিক খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা হ্রাস করে, তাহলে তেলের পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা দূর হতে পারে। তবে এই ধরনের পরিস্থিতি এখনো অনেক দূরের ব্যাপার। উপসংহার উৎপাদন পরিসংখ্যান স্থিতিশীল দেখালেও, জ্বালানি বাজার ভূ-রাজনৈতিক ঘটনার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। এমনকি মূল্যের সামান্য পরিবর্তনও দীর্ঘমেয়াদি ট্রেডিং কৌশলের সুযোগ এনে দিতে পারে। (https://ifxpr.com/4kZgNB0)

Read more: https://ifxpr.com/4kZgNB0

LIMAFX
2025-03-27, 03:45 PM
২৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/616811613.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে, এবং এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত প্রতিবেদনের সংখ্যা আরও কম। একমাত্র যেটি কিছুটা গুরুত্ব রাখে তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান। মার্কেটে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি 2.3% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল এর চেয়ে কম হয়, তাহলে ডলার বিক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি তৈরি হতে পারে, যদিও তা খুব বেশি হবে না, কারণ বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মূল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু নয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাপ্তাহিক বেকার ভাতার আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, তবে এই প্রতিবেদন খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং সাধারণত মূল ফলাফলে পূর্বাভাস থেকে তেমন বিচ্যুতি দেখা না। আজ জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একেবারেই কোন প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির বক্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য। তবে মনে রাখা দরকার যে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি তাদের নীতিগত বৈঠক সম্পন্ন করেছে, তাই মাত্র এক বা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে এমন সম্ভাবনা খুব কম। আবার, লাগার্দের বক্তব্য সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তাই দিনের বেলায় ট্রেডিং চলাকালীন সময়ে এটি কোনো প্রভাব ফেলবে না — এমনকি তাত্ত্বিকভাবেও নয়। উপসংহার: সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শুরু হওয়া দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যই নিজ নিজ অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে কনসোলিডেট করেছে, এবং ফেডের বর্তমান অবস্থান ডলারের পূর্বের দরপতন কিছুটা পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দিচ্ছে। অবশ্য, কেউই জানে না ট্রাম্প কখন নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক ঘোষণা করবেন বা সেগুলোর ধরণ কেমন হবে, তবে এই বিষয়টি বারবার ডলারের দরপতন ঘটানোর একমাত্র চালিকা শক্তি হতে পারে না। বর্তমানে নিম্নমুখী কারেকশনের চেয়ে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সাইডওয়েজ (ফ্ল্যাট) মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। (https://ifxpr.com/4l5RNYR)

Read more: https://ifxpr.com/4l5RNYR

LIMAFX
2025-03-28, 03:28 PM
মার্কিন স্টক মার্কেট দরপতনের সম্মুখীন
http://forex-bangla.com/customavatars/1808943946.jpg
S&P 500 মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ২৭ মার্চ নতুন করে শুল্ক আরোপের আশঙ্কা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার মধ্যে মার্কিন স্টক মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। বুধবারের প্রধান মার্কিন স্টক সূচকসমূহের ফলাফল: ডাও জোন্স সূচক: -0.3%, নাসডাক সয়চক: -2.0%, S&P 500 সূচক: -1.1%, S&P 500 সূচক: 5,712, ট্রেডিং রেঞ্জ: 5,500–6,000। প্রধান সূচকগুলোতে দিনের শেষে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 0.3% হ্রাস পেয়েছে, S&P 500 সূচক 1.1% হ্রাস পেয়েছে এবং নাসডাক কম্পোজিট সূচক 2.0% হ্রাস পেয়েছে। আজকের দরপতনের ফলে S&P 500 সূচক আবার 200-দিনের মুভিং অ্যাভারেজ (5,756)-এর নিচে নেমে গেছে। ডাও সূচক, যা একদিন আগেই এই বছর প্রথমবারের মতো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন, তা আবার দরপতনের শিকার হয়েছে। শুরুর দিকে কিছুটা ক্রয়ের আগ্রহ দেখা গেলেও বৃহৎ মূলধনসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর স্টকগুলোর ক্রমাগত পতনের কারণে সূচকগুলোর ওপর চাপ তৈরি হয়। ট্রেডিং সেশনের পরে মার্কেটজুড়ে বিক্রির প্রবণতা আরও বাড়ে, যখন খবর আসে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমদানিকৃত গাড়ির ওপর 25% শুল্ক আরোপ করবেন। এই পদক্ষেপটি গাড়ির মূল্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং কানাডা, মেক্সিকো ও ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারদের প্রভাবিত করতে পারে। টেসলা (TSLA 272.06, -16.08, -5.6%) দরপতনের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় ছিল, যদিও বছরের শুরুতে দুর্বল পারফরম্যান্স থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পর এই সপ্তাহে এখনও এটির স্টকের মূল্য 9.4% উপরে রয়েছে। তবে বার্ষিক ভিত্তিতে এখনো 32.6% নিচে রয়েছে। এনভিডিয়া (NVDA 113.76, -6.93, -5.7%) এবং অন্যান্য চিপ নির্মাতাদের স্টকেরও উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ৫০টিরও বেশি চীনা কোম্পানিকে অ্যাডভান্সড চিপ রপ্তানির ব্ল্যাকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এবং FT জানিয়েছে যে চীনের উপর নতুন বিধিনিষেধ এনভিডিয়ার আঞ্চলিক বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। PHLX সেমিকন্ডাক্টর ইনডেক্স (SOX) 3.3% হ্রাস পেয়ে ট্রেডিং শেষ করে। এই স্টক বিক্রির প্রবণতা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তীব্র প্রভাব ফেলেছে, যা সেশনের সবচেয়ে বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। এরপরের ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলো ছিল যোগাযোগ পরিষেবা (-2.0%) এবং কনজিউমার ডিসক্রেশনারি (-1.7%)। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামূলক খাত হিসেবে বিবেচিত কনজিউমার স্ট্যাপলস (+1.4%) এবং ইউটিলিটি (+0.7%) খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্টকের মূল্য সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ঝুঁকি গ্রহণ না করার প্রবণতা প্রতিফলিত করে। বন্ড মার্কেটে মাঝারি ধরনের ক্ষতি দেখা গেছে। ১০ বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ৩ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 4.34%-এ পৌঁছেছে, এবং ২ বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ১ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 4.01% হয়। এই প্রেক্ষাপটে, আজ ৫-বছরের ট্রেজারি নোটের $70 বিলিয়নের অকশন তুলনামূলকভাবে দুর্বল চাহিদা দেখিয়েছে, তবে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে স্থির ছিল। চলতি বছরের পারফরম্যান্স: ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ: -0.2%, S&P 500 সূচক: -2.9%, S&P মিডক্যাপ 400: -4.2%, নাসডাক কম্পোজিট সূচক: -7.3%, রাসেল 2000 সূচক: -7.0% অর্থনৈতিক প্রতিবেদন সংক্ষেপ: MBA সাপ্তাহিক মর্টগেজ অ্যাপ্লিকেশন বা বন্ধকী আবেদন সূচক: -2.0% (পূর্ববর্তী: -6.2%) ফেব্রুয়ারির টেকসই পণ্যের অর্ডার: +0.9% (প্রত্যাশা: -1.2%); পূর্ববর্তী ফলাফল সংশোধিত হয়ে +3.1% থেকে +3.3% হয়েছে টেকসই পণ্যের অর্ডার (পরিবহন বাদে): +0.7% (প্রত্যাশা: +0.1%); পূর্ববর্তী ফলাফল সংশোধিত হয়ে 0.0% থেকে +0.1% হয়েছে। প্রধান বার্তাটি হলো, টেকসই পণ্যের অর্ডারের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভালো এসেছে। তবে এই ইতিবাচক তথ্যকে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পতন কিছুটা ভারসাম্যহীন করেছে, যা নন-ডিফেন্স ক্যাপিটাল গুডস (এয়ারক্রাফট বাদে) অর্ডারে 0.3% হ্রাসের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের দিকনির্দেশনা: সকাল ৮:৩০ (ET): চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি (তৃতীয় অনুমান; পূর্বাভাস: 2.3%, পূর্ববর্তী: 2.3%) চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি ডেফ্লেটর (তৃতীয় অনুমান; পূর্বাভাস: 2.4%, পূর্ববর্তী: 2.4%) সাপ্তাহিক প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতা আবেদনের তথ্য (পূর্বাভাস: 225,000; পূর্ববর্তী: 223,000) চলমান জবলেস ক্লেইমস বেকার ভাতার আবেদন (পূর্ববর্তী: 1.892 মিলিয়ন) ফেব্রুয়ারির অগ্রিম গুডস ট্রেড ব্যালান্স (পূর্ববর্তী: -$153.3 বিলিয়ন) ফেব্রুয়ারির প্রাথমিক রিটেইল ইনভেন্টরি (পূর্ববর্তী: -0.1%) ফেব্রুয়ারির প্রাথমিক হোলসেল ইনভেন্টরি (পূর্ববর্তী: +0.7%) সকাল ১০:০০ (ET): ফেব্রুয়ারির পেন্ডিং হোম সেলস (প্রত্যাশা: +2.9%; পূর্ববর্তী: -4.6%) সকাল ১০:৩০ (ET): সাপ্তাহিক ন্যাচারাল গ্যাস ইনভেন্টরি (পূর্ববর্তী: +9 বিলিয়ন কিউবিক ফিট) এনার্জি মার্কেট: ব্রেন্ট ক্রুড: $73.70 — যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দুর্বল হওয়া ইঙ্গিত থাকা সত্ত্বেও তেলের দাম এক মাসের সর্বোচ্চ লেভেলে রয়েছে। উপসংহার: গতকালের বড় দরপতন সত্ত্বেও, মার্কিন স্টক মার্কেটের বুলিশ প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে। দরপতনের ক্ষেত্রে লং পজিশন ধরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি এখনো S&P 500 সূচকে বিনিয়োগ না করে থাকেন, তাহলে জানিয়ে দিতে চাই যে মূল্য বর্তমান লেভেলে থাকা অবস্থায় SPX ইনস্ট্রুমেন্ট কেনার উপযুক্ত সময়। (https://ifxpr.com/3Y770il)

Read more: https://ifxpr.com/3Y770il

LIMAFX
2025-04-09, 03:25 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটে তীব্র অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1007153088.jpg
মার্কিন স্টক মার্কেটে তীব্র অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। পর্ব ২ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্টক সূচকগুলোর পারফরম্যান্স: ডাও জোন্স -0.9%, নাসডাক +0.1%, S&P 500 সূচক -0.2%, S&P 500 সূচক: 5,062, ট্রেডিং রেঞ্জ: 4,800–5,700। সপ্তাহের প্রথম সেশনে স্টক মার্কেটে চরম অস্থিরতা দেখা গেছে এবং গড়পরতার তুলনায় ট্রেডিং ভলিউম বেশি ছিল। S&P 500 সূচক (-0.2%), যেটি বিয়ার মার্কেট জোনে (সাম্প্রতিক সর্বোচ্চ থেকে 20% নিচে) ট্রেড করছিল এবং সেশনের লো লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছিল, তার দৈনিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন লেভেলের মধ্যে 400 পয়েন্টের বেশি ওঠানামা হয়েছে। মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার পর সূচকটি 4.7% পর্যন্ত নিচে নেমে যায় এবং সর্বোচ্চ পয়েন্টে 3.4% পর্যন্ত রিবাউন্ড করে। নাসডাক কম্পোজিট সূচক, যেটি দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন পয়েন্টে পৌঁছাতে 800 পয়েন্টের বেশি হারিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত 0.1% ঊর্ধ্বমুখী হয়ে লেনদেন শেষ করতে সক্ষম হয়—যা বিশাল মূলধনসম্পন্ন কোম্পানি এবং চিপমেকারদের শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে হয়েছে। সেশনের সর্বনিম্ন থেকে প্রাথমিক রিবাউন্ডটি ঘটে এক ভ্রান্ত প্রতিবেদনের পর, যেখানে বলা হয়েছিল NEC ডিরেক্টর কেভিন হাসেট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীন ব্যতীত অন্য দেশের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করার কথা ভাবছেন। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউস এই প্রতিবেদন "ভুল সংবাদ" বলে অভিহিত করে এবং জানায়, যদি চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আরোপিত 34% শুল্ক না তুলে নেয়, তাহলে বুধবার থেকে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত 50% শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ঘোষণার পর পুনরায় মার্কেটে স্টক বিক্রির প্রবণতা শুরু হয়, যদিও প্রধান সূচকগুলো সেশনের সর্বনিম্ন লেভেলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উপরে ছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল ট্রেজারি মার্কেটে বিপরীতমুখী প্রবণতা, যা সূচকগুলোর নিম্নমুখী প্রবণতা কিছুটা কমিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মার্কেটে ইয়েল্ড বা লভ্যাংশ কমছিল, তবে ঐদিন ১০ বছরের বন্ডের লভ্যাংশ ১৭ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় 4.16%-এ, এবং ২ বছরের বন্ডের লভ্যাংশ ৬ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 3.73%-এ পৌঁছায়।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত স্টক মার্কেটের পারফরম্যান্স: ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ: -10.8% S&P 500 সূচক: -13.9% S&P মিডক্যাপ 400 সূচক: -16.1% রাসেল 2000 সূচক: -18.8% নাসডাক কম্পোজিট সূচক: -19.2% আজ খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে কনজিউমার ক্রেডিট $0.8 বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছে (সম্মিলিত পূর্বাভাস ছিল +$15.1 বিলিয়ন)। জানুয়ারিতে এটি পূর্বের $18.1 বিলিয়ন থেকে ঊর্ধ্বমুখীভাবে সংশোধিত হয়ে $8.9 বিলিয়ন হয়েছে। মূল বিষয় হলো, গত চার মাসে তৃতীয়বারের মতো ফেব্রুয়ারিতে কনজিউমার ক্রেডিটের পতন ঘটেছে। জ্বালানি: ব্রেন্ট ক্রুডের দর $64.90-এ পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক ইকুইটি মার্কেটে তীব্রভাবে বিক্রি প্রবণতার প্রতিফলন হিসেবে তেলের দামে সামান্য বৃদ্ধির পেয়েছে, যার ফলে দাম $65-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। এটি ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ শুরুর আগের দামের তুলনায় প্রায় $10 কম। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাতের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্থরতার আশঙ্কা এবং অপরিশোধিত তেলের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় তেলের বাজার এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে।

উপসংহার: ২ এপ্রিল ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এর চিত্র ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে। এই যুদ্ধে মূল ফ্রন্টলাইন হলো যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন। দ্বিতীয় প্রধান পক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যারা একদিকে সীমিত পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে, অন্যদিকে আলোচনার চেষ্টা করছে। জাপান ট্রাম্পের সঙ্গে সক্রিয় আলোচনায় রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইউরোপ ও জাপান তুলনামূলকভাবে কম শুল্কের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে চীনের ওপর ইতোমধ্যে 34% ও 20% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে—যা মোট 54%—এবং ৮ এপ্রিলের মধ্যে চীন যদি নিজেদের 34% পাল্টা শুল্ক না তুলে নেয়, তাহলে আরও 50% শুল্ক আরোপের হুমকি দেয়া হয়েছে। চীন ইতোমধ্যে সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত নেই। 100% শুল্ক আরোপ হলে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়তে পারে—যা ১৯৭৮ সালের নিক্সন-কিসিঞ্জার যুগ থেকে চলমান গভীর বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের সমাপ্তি ঘটাবে। এখন বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই বাণিজ্য যুদ্ধের যৌক্তিক পরিণতি হিসেবে চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক উত্তেজনার বড় রকমের বৃদ্ধি ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সরাসরি সামরিক সংঘাত এবং তার বৈশ্বিক প্রভাবের ঝুঁকি বাস্তবরূপ ধারণ করেছে। মার্কিন স্টক মার্কেটে পূর্বাভাস: সাম্প্রতিক সর্বনিম্ন লেভেল এবং নিম্নমুখী লেভেল থেকে ওপেন করা লং পজিশনগুলো হোল্ড করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধজনিত উদ্বেগ সত্ত্বেও মার্কিন স্টক মার্কেটে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তিশালী পুলব্যাকগুলো নতুন করে ক্রয় করার সুযোগ এনে দিতে পারে। (https://ifxpr.com/3G35h7N)

Read more: https://ifxpr.com/3G35h7N

LIMAFX
2025-04-10, 04:42 PM
১০ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনই ট্রেডারদের জন্য এখনও কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি খুব একটা প্রভাব ফেলছে না, কারণ প্রায় সবাই আশা করছে 2025 সালে এটি দ্রুত বাড়বে। অতএব, আজ যদি মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেও, তাও ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আবার বাড়ানোর জন্য এখন সুদের হার কমাবে—এমন সম্ভাবনা খুবই কম। সারাদিনে আর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
http://forex-bangla.com/customavatars/491975540.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: এখনো ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করার তেমন কোনো অর্থ নেই। গত সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের পরও ডলারের দরপতন অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে তারা যেন কেবলমাত্র বৃহত্তম দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বিবৃতির দিকেই মনোযোগ দেন। ট্রাম্প ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, "অন্যায় দূর করার" লক্ষ্যে নেওয়া তার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিক্রিয়া জানালে, তার জবাবে নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করা হবে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীন ব্যতীত সকল দেশের জন্য ৯০ দিনের জন্য শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর 10% হারে নির্ধারিত শুল্ক প্রযোজ্য হবে। ট্রাম্পের মতে, এই সময়টি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নির্ধারিত। তবে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা এখনও অত্যন্ত কম। উপসংহার: এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কেটে এখনো আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, ফলে মূল্যের মুভমেন্টে কোনো স্পষ্ট যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না। কয়েক ঘণ্টা পরপরই বাণিজ্যযুদ্ধ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, এবং আজ প্রকাশিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনও মার্কেটের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

Rea (https://ifxpr.com/4jwehRj)d more: https://ifxpr.com/4jwehRj

LIMAFX
2025-04-11, 02:16 PM
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্ক আরোপে বিলম্বের ঘোষণায় স্টক মার্কেটে দুর্দান্ত উত্থান
http://forex-bangla.com/customavatars/1843085031.jpg
মার্কিন স্টক মার্কেট সম্প্রতি কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণার পর প্রধান স্টক সূচকগুলো রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করে। S&P 500 সূচক 9.52% বৃদ্ধি পায়, ডাও জোন্স 7.87% এবং নাসডাক 12.16% বৃদ্ধি পায়—২০০১ সালের পর এটি নাসডাকের সবচেয়ে ইতিবাচক দৈনিক পারফরম্যান্স। হোয়াইট হাউসের একটি অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ মার্কেট এই উত্থান সৃষ্টি করে। চীনের সঙ্গে টানাপোড়েন এবং শুল্ক 125% পর্যন্ত বাড়ানো সত্ত্বেও, মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা করে যে, যারা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি—তাদের জন্য নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাগুলোর ওপর ৯০ দিনের বিরতি থাকবে। এই পদক্ষেপটি অনেকটাই স্বস্তি নিয়ে আসে এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা হ্রাস করে। বিনিয়োগকারীরা এটি এই বার্তাই হিসেবে নিয়েছে যে, কঠোর বক্তব্য সত্ত্বেও হোয়াইট হাউস এখনো সব বড় অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাত আরও বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত নয়। নাসডাকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় নেতৃত্ব দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্টরা। টেসলার শেয়ারের দর 22.7% বেড়েছে, এনভিডিয়ার স্টকের দর 18.7% বেড়েছে, অ্যাপলের স্টকের মূল্য 15.3% বৃদ্ধি পেয়েছে, মেটার স্টকের দর 14.8% এবং অ্যামাজনের স্টকের মূল্য 12% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কোম্পানিগুলো বৈশ্বিক বিনিয়োগ মনোভাবের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং এগুলোর স্টকের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি এই ইঙ্গিত দেয় যে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটে মূলধন ফেরত আসছে। S&P 500 এবং নাসডাক 100 সূচকের টেকনিক্যাল পরিস্থিতি S&P 500 সূচক আজকের সেশন 5,340 লেভেলে থাকা অবস্থায় শুরু করেছে—যা সম্প্রতি 5,300–5,320 এর রেজিস্ট্যান্সের সামান্য ওপরে, এবং এখন তা স্বল্পমেয়াদি সাপোর্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। আরও শক্তিশালী সাপোর্ট জোন 5,270 থেকে 5,285 এর মধ্যে গঠিত হয়েছে, যেখানে সূচকটি ব্রেকআউটের আগে কনসোলিডেট করছিল। এর নিচে 5,170 এর কাছাকাছি একটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল রয়েছে, যা গতকালের তীব্র প্রবৃদ্ধির সূচনা স্থান। যদি এই নাটকীয় মুভমেন্টের পর মার্কেটে কারেকশন শুরু হয়, তাহলে এই জোনগুলো বুলিশ প্রবণতা দৃঢ়তা যাচাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। বর্তমানে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স 5,370–5,385 জোনে রয়েছে, এবং পরবর্তী বড় টার্গেট হলো সাইকোলজিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ 5,450 লেভেল—যা সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্যের কাছাকাছি। নাসডাক 100 এখন 18,700 এর কাছাকাছি ট্রেড করছে। এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পর সূচকটি টেকনিক্যালি ওভারবট অবস্থায় রয়েছে, তবে বুলিশ মোমেন্টাম এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো ব্রেক হয়ে গেছে, যেখানে 18,400 এখন নিকটতম সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছে। 18,100 লেভেলের আশেপাশে আরও শক্তিশালী সাপোর্ট জোন রয়ে গেছে, যেখানে ব্রেকআউটের আগে কনসোলিডেশন ও ভলিউম অ্যাকিউমুলেশন ঘটেছিল। পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স 18,850–18,900 এর মধ্যে অবস্থিত, এবং 19,000 একটি বড় সাইকোলজিক্যাল রেঞ্জ হিসেবে সামনে রয়েছে। বর্তমান টেকনিক্যাল সেটআপ এই ইঙ্গিত দেয়, স্বল্পমেয়াদি কারেকশন বা সাইডওয়েজ কনসোলিডেশনের সম্ভাবনা বেশ উচ্চ। এত তীব্র ইমপালস মুভমেন্টের পর মার্কেটের ট্রেডার সংবাদ প্রক্রিয়া করতে এবং প্রফিট লক করতে কিছুটা সময় নিতে পারে। তবে, মৌলিক বিশ্লেষণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পক্ষে রয়েছে। ঘোষিত শুল্ক বিরতির বিষয়টি শুধু একটি বিরতি নয়—বরং এটি মার্কেটে একটি শক্তিশালী বার্তা যে, মার্কিন প্রশাসন আলোচনার জন্য উন্মুক্ত এবং বাণিজ্য সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্রহী। এই বার্তাটি চীনের প্রতি তীব্র বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 125% শুল্ক বৃদ্ধির পরও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক খোলা রাখা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন স্থিতিশীল করতে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে। শক্তিশালী শ্রমবাজার প্রতিবেদন, ইতিবাচক কর্পোরেট আয় এবং বাণিজ্য যুদ্ধের আলোচনার বিরতি—এই তিনটি মিলে স্থির ও মাঝারি মেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। তবে পরিস্থিতি এখনও নাজুক। হোয়াইট হাউসের একটি টুইট বা বক্তব্য মুহূর্তেই মার্কেটে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে। এখন বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতির দিকে যাচ্ছে।

টেসলা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে: নতুন প্রবৃদ্ধির সূচনা, নাকি বুল ট্র্যাপ? টেসলা ইনকর্পোরেটেড (TSLA) শেয়ারের দাম গত দিনের ক্লোজিংয়ের তুলনায় 22.58% বেড়েছে। আজ কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য কিছুটা কারেকশনের মধ্যে রয়েছে। মৌলিক বিশ্লেষণ 2025 সালে টেসলা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে বিক্রির পরিমাণ হ্রাস, বিশেষ করে চীনা গাড়ি নির্মাতাদের সাথে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, এবং সিইও ইলন মাস্কের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে উদ্ভূত রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া। এই কারণগুলো মিলিয়ে বছরের শুরু থেকে টেসলার শেয়ারের মূল্য 34.6% কমেছে। তবে, কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন উদ্বেগগুলো অতিরঞ্জিত। যেমন, বেঞ্চমার্ক আগামী দ্বিতীয় প্রান্তিকে নতুন একটি মডেলের লঞ্চ এবং টেক্সাসের অস্টিনে রোবোট্যাক্সির সীমিত রোলআউটকে ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির প্রধান অনুঘটক হিসেবে উল্লেখ করেছে। এছাড়াও, টেসলার অপ্টিমাস রোবোটিক্স প্রোগ্রামের সম্ভাবনার দিকটিও গুরুত্বসহকারে আলোচনায় এসেছে—যা কোম্পানিটিকে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির সমাধানের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারে। যদিও বেঞ্চমার্ক তাদের পূর্ববর্তী প্রাইস টার্গেট $475 থেকে কমিয়ে $350 করেছে, তবুও তারা টেসলাকে তাদের শীর্ষ বিনিয়োগ আইডিয়ার তালিকায় রেখেছে। অন্যদিকে, ওয়েডবুশের বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি এবং মাস্কের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তৈরি হওয়া একটি "পারফেক্ট স্টর্ম" এর কথা উল্লেখ করে তাদের ১২ মাসের প্রাইস টার্গেট 43% কমিয়ে $550 থেকে $315 করেছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ টেসলার শেয়ার বর্তমানে $263.90 এ ট্রেড করছে। সর্বোচ্চ মূল্য ছিল 18 ডিসেম্বর, 2024-এ—$488.54। টেসলার শেয়ারের প্রধান সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেলসমূহ সাপোর্ট: $225 এবং $186 রেজিস্ট্যান্স: $360 এবং $421 বিনিয়োগকারীদের এই লেভেলগুলো সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, কারণ যেকোনো দিকের ব্রেকআউট টেসলার শেয়ারের মূল্যের পরবর্তী বড় মুভমেন্টের ইঙ্গিত দিতে পারে। (https://ifxpr.com/42sp5sH)

Read more: https://ifxpr.com/42sp5sH

LIMAFX
2025-04-15, 04:07 PM
১৫ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/389305103.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এগুলো মার্কেটে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করছে না। এই প্রতিবেদনগুলো স্বল্পমেয়াদি বা স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এটি সবাই জানে যে মার্কিন অর্থনীতি এতটা খারাপ অবস্থায় নেই যে ডলার শত শত বা হাজার হাজার পিপস দরপতনের শিকার হবে। আজ ইউরোজোনে ZEW ইকোনমিক সেনটিমেন্ট সূচক এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতার আবেদন ও বেতন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যের এই পরিসংখ্যানগুলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিগত অবস্থানে প্রভাব ফেলতে পারে—তবে এখন কে-ই বা সে অবস্থানের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে? ডলার এখনও দরপতনের শিকার হচ্ছে, এমনকি ফেডারেল রিজার্ভ তুলনামূলকভাবে কঠোর অবস্থানে থাকলেও।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ বাদে অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে হয় না। অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের প্রতি পরামর্শ দেব, বিশ্বের বৃহত্তম দেশ ও অর্থনৈতিক জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্যের দিকে মনোযোগ দিতে। ট্রাম্প বলেছেন, "অন্যায্যতা দূর করার" লক্ষ্যে তার নেওয়া পদক্ষেপের বিপরীতে যেকোনো প্রতিক্রিয়া নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের মাধ্যমে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীন বাদে সব দেশের জন্য ৯০ দিন শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে সমানভাবে ১০% আমদানি শুল্ক কার্যকর থাকবে। ট্রাম্পের মতে, এই সময়টি বাণিজ্য আলোচনা চালানোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে আমরা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, এবং চীন থেকে আপসমূলক উদ্যোগ আসবে বলে মনে করার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টিতে বর্তমানে চীন এবং ইউরোজোনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কেটে এখনও আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই বর্তমানে মূল্যের মুভমেন্টে কোনো যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত খবর আসছে, এবং কখন এই ধরনের খবর আসবে বা ট্রাম্প পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেবেন, তা অনুমান করা একেবারেই অসম্ভব। (https://ifxpr.com/42eiT8U)

Read more: https://ifxpr.com/42eiT8U

LIMAFX
2025-04-16, 03:36 PM
১৬ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/510010845.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বর্তমানে আসল বিষয় হচ্ছে—এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব নয়, বরং মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলোর প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে — এবং আদৌ কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে কি না সেটই আসল বিষয়। এটা আর কোন গোপন বিষয় নয় যে গত দুই মাস ধরে মার্কেটের ট্রেডাররা কার্যত কেবল "ট্রাম্প সংবাদের" ভিত্তিতেই ট্রেড করছে; বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ঘোষণা মার্কেটে আরও এক দফা ডলার বিক্রির সংকেত দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আজকের প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলারের মূল্য সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে প্রবণতার পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোন মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার খুব বেশি প্রাসঙ্গিকতা এখন আর নেই। অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব, বড় দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ নেতাদের শুল্ক বিষয়ক বক্তব্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোজোনে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় "সামান্য অগ্রগতি" অর্জন করেছেন। তবে "সামান্য অগ্রগতি" ডলারকে সহায়তা করার জন্য যথেষ্ট নয়। এদিকে ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী অনেক দেশকে প্রভাবিত করবে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ এখনো অমীমাংসিত অবস্থাত রয়েছে এবং সেটিই এখন পর্যন্ত মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের স্থিতিশীল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, অন্যদিকে ইউরোর মূল্যের মূলত ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আজকের নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া একেবারেই অনিশ্চিত। টেকনিক্যাল লেভেলগুলোও ধারাবাহিকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে না এবং অনেক সময় একেবারেই উপেক্ষিত থাকছে। (https://ifxpr.com/3YubUWY)

Read more: https://ifxpr.com/3YubUWY

LIMAFX
2025-04-17, 06:47 PM
১৬ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1759447357.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বর্তমানে আসল বিষয় হচ্ছে—এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব নয়, বরং মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলোর প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে — এবং আদৌ কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে কি না সেটই আসল বিষয়। এটা আর কোন গোপন বিষয় নয় যে গত দুই মাস ধরে মার্কেটের ট্রেডাররা কার্যত কেবল "ট্রাম্প সংবাদের" ভিত্তিতেই ট্রেড করছে; বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ঘোষণা মার্কেটে আরও এক দফা ডলার বিক্রির সংকেত দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আজকের প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলারের মূল্য সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে প্রবণতার পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোন মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার খুব বেশি প্রাসঙ্গিকতা এখন আর নেই। অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব, বড় দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ নেতাদের শুল্ক বিষয়ক বক্তব্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোজোনে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় "সামান্য অগ্রগতি" অর্জন করেছেন। তবে "সামান্য অগ্রগতি" ডলারকে সহায়তা করার জন্য যথেষ্ট নয়। এদিকে ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী অনেক দেশকে প্রভাবিত করবে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ এখনো অমীমাংসিত অবস্থাত রয়েছে এবং সেটিই এখন পর্যন্ত মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের স্থিতিশীল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, অন্যদিকে ইউরোর মূল্যের মূলত ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আজকের নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া একেবারেই অনিশ্চিত। টেকনিক্যাল লেভেলগুলোও ধারাবাহিকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে না এবং অনেক সময় একেবারেই উপেক্ষিত থাকছে। (https://ifxpr.com/3YubUWY)

Read more: https://ifxpr.com/3YubUWY

LIMAFX
2025-04-18, 04:40 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের পূর্বাভাস – ১৮ এপ্রিল
http://forex-bangla.com/customavatars/993928484.jpg
গতকাল নিয়মিত ট্রেডিং সেশন শেষে মার্কিন স্টক মার্কেটের সূচকসমূহে মিশ্র ফলাফল দেখা গেছে। S&P 500 সূচক 0.13% বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে নাসডাক 100 সূচক 0.13% হ্রাস পেয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 1.33% দরপতনের শিকার হয়েছে। আজ এশিয়ার স্টক সূচকগুলো সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মূলত অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের কৌশল অনুসরণ করছে—বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে চলমান শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনার অগ্রগতির জন্য। বাণিজ্যনীতির অনিশ্চয়তা মার্কেটের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে অনেক কোম্পানি বড় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে, কারণ নতুন শুল্ক তাদের লাভজনকতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই সতর্ক মনোভাব ট্রেডিং ভলিউমেও প্রতিফলিত হচ্ছে—যা তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। অনেকেই লিকুইড অ্যাসেট ধরে রাখার পথ বেছে নিচ্ছে যাতে দ্রুত পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। জাপানের নিক্কেই-225 সূচক 0.8% বৃদ্ধির, অন্যদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সূচকসমূহ 0.4% হ্রাস পেয়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র চীনা জাহাজের মার্কিন বন্দরে প্রবেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। আজ গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে অঞ্চলটির বেশিরভাগ মার্কেট বন্ধ থাকায় অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকতে পারে। তবে উপরের বিষয়গুলো মাথায় রেখেই ট্রেডাররা এখনো নির্দিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতির দিকে নজর রাখছে, যাতে বোঝা যায় ভবিষ্যতে শুল্কনীতি কীভাবে গড়ে উঠবে। ট্রাম্প জাপানের সঙ্গে আলোচনাকে "গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি" হিসেবে উল্লেখ করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও তেমনই অগ্রগতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি, ফলে এটি কেবল ট্রাম্পের কথাবার্তার অংশ হিসেবেই থেকে যেতে পারে। আগের সেশনে দুর্বল হওয়ার পর শুক্রবার ইয়েনের মূল্য তুলনামূলকভাবে স্থির ছিল। জাপানের প্রধান আলোচকগণ জানিয়েছেন যে বৈঠকে মুদ্রা সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি, যা মার্কিন পক্ষ থেকে উচ্চতর এক্সচেঞ্জ রেট চাওয়ার শঙ্কা কিছুটা কমিয়েছে। যদিও ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি, তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ সম্পদ চুক্তিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন এবং জানিয়েছেন যে এটি আগামী সপ্তাহেই স্বাক্ষরিত হতে পারে। ফেব্রুয়ারি থেকে এমন বক্তব্য বারবার আসছে, তাই এগুলোর তথ্যগত গুরুত্ব এখন অনেকটাই কমে গেছে। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি চীনের ওপর আর শুল্ক বাড়াতে চান না, কারণ এতে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে কথার সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই—কারণ ঠিক এই মন্তব্যের পরই যুক্তরাষ্ট্র চীনা জাহাজের ওপর শুল্ক আরোপ করে, যা বৈশ্বিক জাহাজ চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র করে তুলতে পারে। এর ফলে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শিপিং কোম্পানি যেমন কাওয়াসাকি কিসেন কাইশা লিমিটেড এবং এইচএমএম কোং-এর শেয়ার দরপতনের শিকার হয়েছে। গতকাল ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে কটাক্ষ করে বলেন, চাইলে খুব দ্রুতই তাকে সরিয়ে দেয়া সম্ভব এবং ফেডারেল রিজার্ভের উচিত ছিল ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানো। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, চাইলে তিনি পাওয়েলকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন। S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, আজ ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে মূল্যকে $5305 রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করানো। এতে সফল হলে সূচকটির আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সুযোগ তৈরি হবে এবং $5342 পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হবে। $5399 লেভেলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য, কারণ এটি তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। যদি মার্কেটে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের চাহিদা কমে যায় এবং সূচকটির দর নিম্নমুখী হয়, তাহলে ক্রেতাদের মূল্যকে $5296 লেভেলে ধরে রাখতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি দ্রুত $5226 পর্যন্ত কমে যেতে পারে এবং সেখান থেকে $5195 পর্যন্ত নিম্নমুখী হতে পারে। (https://ifxpr.com/42xIpVq)

Read more: https://ifxpr.com/42xIpVq

LIMAFX
2025-04-21, 05:09 PM
২১ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/2054644718.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই—না যুক্তরাষ্ট্রে, না ইউরোজোনে, না জার্মানিতে, না যুক্তরাজ্যে। তাই, ধরুন যদি ট্রেডাররা আজ মার্কেটের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুসরণ করতে চায়ও, বাস্তবিক অর্থে আজকের জন্য তেমন কিছু নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও কেবলমাত্র "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করেই ট্রেড করছে। অন্তত এখন ইউরোর মূল্যের ফ্ল্যাট প্রবণতা দেখা যাচ্ছে (সংবাদ প্রত্যাশায়), আর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কোনো স্পষ্ট কারণ বা ভিত্তি ছাড়াই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ বাদে অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার তেমন প্রয়োজন নেই। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ানো অব্যাহত রাখেন, তবে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে তারা যাতে বড় বড় দেশ এবং জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত মন্তব্যের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন। যেকোনো রকম উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত নতুন করে ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে, আবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ইঙ্গিত ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, যা বৈশ্বিকভাবে বহু দেশকে প্রভাবিত করেছে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংঘাত এখনও নিষ্পন্ন হয়নি এবং এটি মার্কেটের ট্রেডারদের মূল উদ্বেগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি, ট্রাম্প আবারও সুদের হার কমাতে ফেডারেল রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন, এমনকি তিনি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন—যদিও তার সে ধরনের সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই। বুধবার সন্ধ্যায় ফেডের চেয়ারম্যান স্পষ্ট করে বলেছেন, সুদের হার হ্রাসের জন্য স্পষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি দরকার, যা বর্তমানে অনুপস্থিত। স্পষ্টতই ট্রাম্প এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। যেমন আমরা দেখছি, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আত্মবিশ্বাসের সাথে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, অথচ ইউরো এখনো ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে। আজ যদি মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টি করার মতো কোনো খবর আসে, তাহলে তা একমাত্র হোয়াইট হাউস থেকেই আসতে পারে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি না এলে, বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। (https://ifxpr.com/3RX4gAH)

Read more: https://ifxpr.com/3RX4gAH

LIMAFX
2025-04-22, 03:48 PM
২২ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/587424873.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই—না যুক্তরাষ্ট্রে, না ইউরোজোনে, না জার্মানিতে, না যুক্তরাজ্যে। সুতরাং, যদি মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি মনোযোগ দিতেও চাইত, আজ সেরকম কিছুই নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও কেবলমাত্র "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করেই ট্রেড করছে। উপরন্তু, সোমবার দেখা গিয়েছে যে, হোয়াইট হাউস থেকে কোনো খবর না থাকলেও ডলারের বড় ধরনের দরপতন হতে পারে। তাই, আজও মার্কিন মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকলে আমরা অবাক হব না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়াতে থাকেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব, গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সেটি ডলারের আরও দরপতন ঘটাতে পারে। অন্যদিকে, উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ—যা বর্তমানে অনুপস্থিত—ডলারকে সমর্থন দিতে পারে। তবে নতুন কোনো শিরোনাম ছাড়াও ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন, যা বৈশ্বিকভাবে অনেক দেশকেই প্রভাবিত করবে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতের বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, এবং এটি মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করছে। ট্রাম্প আবারও ফেডারেল রিজার্ভের ওপর সুদের হার কমানোর চাপ প্রয়োগ করছেন এবং এমনকি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন, যদিও তার সেই ক্ষমতা নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ট্রাম্পের কার্যকলাপের প্রতি স্পষ্টভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং সেটি ডলার বিক্রি করে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। যেমনটা আমরা দেখছি, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, এবং সোমবার ইউরোর মূল্যও সেই ধারায় যোগ দিয়েছে। আজ মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টিকারী যেকোনো সংবাদ সম্ভাব্যভাবে কেবলমাত্র হোয়াইট হাউস থেকেই আসতে পারে। যদি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো খবর না আসে, তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের ধরন পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আগের মতোই, কেবলমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতেই ট্রেডিং করা উচিত। (https://ifxpr.com/4jMX0n5)

Read more: https://ifxpr.com/4jMX0n5

LIMAFX
2025-04-23, 04:08 PM
২৩ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/806785451.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এর সবকটাই পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতে এপ্রিল মাসের পারচেসিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (PMI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই সূচকগুলো ইউরোপের অনেক দেশ, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হবে। ইউরোপে ব্যবসায়িক কার্যকলাপে মন্থরতার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা সম্ভবত বুলিশ ট্রেডারদের সন্তুষ্ট করবে না। একই সময়ে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও বাজার পরিস্থিতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল সাধারণত মূল্যের মুভমেন্টে খুব বেশি প্রতিফলিত হয় না এবং ট্রেডারদের মনোভাবেও তা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না। ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে PMI সূচকগুলো কমে গেলে ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আগের মতোই, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন শুল্ক আরোপ করে অথবা বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করে, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ এবং অর্থনৈতিক জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্যের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখুন। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনা নতুন করে ডলারের দরপতনের কারণ হতে পারে। আবার, যেকোনো ধরনের উত্তেজনা প্রশমনের সংকেত ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষণ দেখা যায়নি, এবং নতুন কোনো ঘটনা ছাড়াই ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত 145% শুল্ক বহাল রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটেই স্বস্তির আভা দেখা গেছে। বিটকয়েন, মার্কিন ডলার, এবং মার্কিন স্টক সূচকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে ট্রাম্প ব্যাখ্যা করেননি যে কখন বা কী শর্তে এই শুল্ক হ্রাস করা হবে। এবং যদি চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত না হয়, তাহলে হোয়াইট হাউজ সম্ভবত এই সংঘাত নিরসনের পথে এগোবে না। তবে, ট্রাম্পের ক্ষেত্রে, কোনকিছুই অসম্ভব নয়। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মঙ্গলবার আমরা মার্কিন ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখেছি, যা বুধবারের প্রথমার্ধেও অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য পুরোপুরি মূল্যায়ন করেনি। এছাড়াও, এপ্রিল মাসের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকগুলোর ফলাফল থেকে ইউরো এবং পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি পারে, যা ব্যবসায়িক কার্যকলাপ মন্থর হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। (https://ifxpr.com/4cNBk7Z)

Read more: https://ifxpr.com/4cNBk7Z

LIMAFX
2025-04-24, 06:01 PM
ট্রাম্প চীনের উপর চাপ কমাচ্ছেন
http://forex-bangla.com/customavatars/235915862.jpg
24-ঘণ্টার চার্টে #SPX এর ওয়েভ প্যাটার্ন মোটামুটি স্পষ্ট। বৈশ্বিক ফাইভ-ওয়েভ স্ট্রাকচারটি এত বিস্তৃত যে এটি টার্মিনাল স্ক্রিনের লোয়ার স্কেলেও পুরোপুরি ধরছে না। সহজ কথায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্টক সূচকগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছিল—কিন্তু আমরা জানি যে প্রবণতা সর্বদা পরিবর্তিত হয়। এই মুহূর্তে, আপওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইন্সট্রুমেন্টটি চারবার 6,093 লেভেল ব্রেকের চেষ্টা করেছে, যা ওয়েভ 4 থেকে 200.0% ফিবোনাচ্চি লেভেলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, তবে তা সফল হয়নি। আমার দৃষ্টিতে, আমরা শিগগিরই একটি কারেকটিভ ওয়েভ সিরিজের ধারাবাহিকতা দেখতে পারি। মার্কিন স্টক মার্কেট দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত অস্থিতিশীল ছিল, এবং ট্রাম্প একটি চেইন রিঅ্যাকশন শুরু করেছেন। 4-ঘণ্টার চার্টে (উপরের চিত্র), আমরা একটি নতুন ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্টের বিকাশ দেখতে পাচ্ছি, যা বেশ বিস্তৃত হতে পারে। স্ট্রাকচারে এখনো পঞ্চম ওয়েভ অনুপস্থিত, তাই আমি মনে করি S&P 500 সূচকের দরপতন এখনো শেষ হয়নি। এটি মনে রাখা জরুরি যে ট্রাম্প নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ করলে—অথবা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপিত হলে—মার্কিন স্টক মার্কেটে নতুন করে বিক্রির প্রবণতা আসতে পারে। বর্তমানে, অনুমানকৃত ওয়েভ 4 এখনো গঠনের মধ্যে রয়েছে এবং এটি অভ্যন্তরীণভাবে বেশ জটিল হতে পারে। #SPX তীব্রভাবে পুনরুদ্ধার করেছে, তবে নিম্নমুখী প্রবণতার গঠন এখনো চলছে। আমরা এখন অনুমানকৃত ওয়েভ 4-এর মধ্যে একটি জটিল কারেকটিভ স্ট্রাকচারের গঠন প্রত্যক্ষ করছি। আমি এই মুহূর্তে প্রবণতার পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখছি না। S&P 500 সূচকের সাম্প্রতিক পুনরুদ্ধার মূলত ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ সম্পর্কিত অবস্থান নমনীয় করার ফলাফল। মনে করিয়ে দিই যে কয়েক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প 75টি দেশের আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কের ওপর 90 দিনের ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, তিনি চীনের উপর আরোপিত শুল্কের বোঝা কমানোর কথা বলেছেন। এটি এখনও স্পষ্ট নয় কতটা কমানো হবে, কখন বা কী শর্তে হবে, তবে চীন এবং অন্যান্য দেশের প্রতি অবস্থান স্পষ্টভাবেই নমনীয় হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা বুঝতে পেরেছে যে বাণিজ্য যুদ্ধের ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়ানো যেতে পারে, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টক বিক্রির প্রবণতা বন্ধ হয়েছে। তবে বাণিজ্য উত্তেজনার পূর্ণ প্রশমন নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি, কারণ ট্রাম্প আরোপিত সকল শুল্ক প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করছেন না। আমি সন্দিহান যে সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে কিনা। আমি বিশেষভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, যেখানে আলোচনা করে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা এখনো অত্যন্ত কঠিন। সুতরাং, সম্প্রতি মার্কেটে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বেশ যৌক্তিক, তবে ভবিষ্যতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখতে হলে বাণিজ্য উত্তেজনা সম্পর্কিত ইতিবাচক খবরের দরকার হবে। এই ধরনের খবর না থাকলে, S&P 500 সূচকের বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। সারসংক্ষেপ #SPX-এর বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, আমি এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে আপওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্ট শেষ হয়েছে। ট্রাম্প এখনো এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং মার্কিন কর্পোরেশনগুলোর স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে (যেমন: বাণিজ্য যুদ্ধ, শুল্ক আরোপ, আমদানি নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ), যার কারণে আমরা এখন একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা দেখছি। যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেটে যে "বাবল" তৈরি হয়েছিল তা বহু বছর ধরে ফুলে উঠেছিল—এবং ট্রাম্প সেটিকে ফুটিয়ে দিয়েছেন। 4-ঘণ্টার চার্টেও ভবিষ্যতে আরও দরপতনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পর্যায়ে, আমরা ওয়েভ 5 এর গঠনের প্রত্যাশা করছি, যার লক্ষ্য 4,614 এর আশেপাশে। হায়ার টাইমফ্রেমে, ওয়েভ স্ট্রাকচার আরও স্পষ্ট: একটি সম্পূর্ণ ফাইভ-ওয়েভ স্ট্রাকচার, যার মধ্যে ওয়েভ 5-এর মধ্যে একটি ফাইভ-ওয়েভ সাবস্ট্রাকচার রয়েছে। আপওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্ট শেষ হয়েছে। সুতরাং, আমি একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি ডাউনওয়ার্ড সেগমেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমার বিশ্লেষণের মূলনীতি ওয়েভ স্ট্রাকচার সহজ এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল প্যাটার্নে ট্রেড করা কঠিন এবং প্রায়শই অনিশ্চিত হয়ে থাকে। যদি মার্কেটে অনিশ্চয়তা বিরাজ করে, তাহলে মার্কেট থেকে দূরে থাকাই ভালো। মার্কেটের দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে কখনোই 100% নিশ্চয়তা থাকে না—সবসময় স্টপ লস অর্ডার ব্যবহার করুন। ইলিয়ট ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি এবং ট্রেডিং কৌশলের সাথে কাজে লাগানো যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3S3Vy3G)

Read more: https://ifxpr.com/3S3Vy3G

LIMAFX
2025-04-25, 04:31 PM
২৫ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1762003475.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এগুলো এখন আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো 90% প্রকাশিত প্রতিবেদনকে উপেক্ষা করে চলেছে। আজকের তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় (রিটেইল সেলস) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তিন মাস আগে হলে এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করত, কিন্তু এখন আর তেমনটা হচ্ছে না। বর্তমানে, সবকিছুই একমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও মন্তব্যের উপর নির্ভর করছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করতে থাকেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে দেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সেটি ডলারের আরও দরপতনের কারণ হতে পারে, অন্যদিকে উত্তেজনা প্রশমনের যেকোনো সংকেত ডলারের শক্তিশালীকরণে সহায়তা দিতে পারে। এই সপ্তাহে ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় করেছেন, তবে এটিকে এখনো উত্তেজনা প্রশমন হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জানা মতে, আমরা অবাক হব না যদি চীনের উপর শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি আবার তা বাড়িয়ে দেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর বাণিজ্য শুল্ক 145% স্তরে রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটে স্বস্তির ঢেউ সৃষ্টি করেছে। তবে একই সময়ে, চীন জানিয়েছে যে ট্রাম্পের সাথে কোনো আলোচনা বর্তমানে চলছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে যে আলোচনা চলছে, তবে ইউরোপীয় কমিশন এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবিগুলো বুঝতে পারছে না। সুতরাং, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান অংশীদারের সাথে আলোচনা হয়তো হচ্ছে না, অথবা আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ডলারের জন্য ইতিবাচক খবর ইতোমধ্যে মার্কেটে বিবেচিত হয়েছে, তাই এখন উভয় পেয়ারের নতুন করে বড় ধরনের দরপতনের আশা করা কঠিন। ইউরোর মূল্যের 1.1275 লেভেল পর্যন্ত নামার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আরও দরপতনের সম্ভাবনা এখন সন্দেহজনক। ব্রিটিশ পাউন্ডও ইউরোর পথ অনুসরণ করতে পারে, তবে ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে নতুন করে মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারেন। (https://ifxpr.com/3YLd806)

Read more: https://ifxpr.com/3YLd806

LIMAFX
2025-04-28, 03:31 PM
২৮ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/195306966.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, তাই সোমবারও বিশেষ কিছু প্রত্যাশা করার নেই। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে এমন কোনো বক্তব্য দিতে পারেন, যা আবার ট্রেডারদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করবে, তবে স্বাভাবিকভাবেই, আমরা এটি অনুমান করতে পারি না যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কখন কি ঘোষণা দিতে পারেন।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার তেমন কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করে বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে দেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি নতুন করে ডলারের দরপতনের কারণ হতে পারে। আবার, উত্তেজনা প্রশমনের যেকোনো সংকেত ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হতে পারে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান নমনীয় করেছেন, তবে এটিকে এখনো উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া বলা যাবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে যতটুকু জানি, আমরা এতে অবাক হব না যদি চীনের উপর আরোপিত শুল্কে ছাড়ের ঘোষণা দেওয়ার পরে তিনি আবার তা বাড়িয়ে দেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক 145% এর স্তিরে রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটেই স্বস্তিজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে একই সাথে চীন জানিয়েছে যে বর্তমানে ট্রাম্পের সাথে কোনো আলোচনা চলছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে কিছু আলোচনা চলছে, তবে ইউরোপীয় কমিশন এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি বুঝতে পারছে না। সুতরাং, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান অংশীদারের সাথে হয়তো কোনো আলোচনা চলছে না, অথবা তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই, খুব শীঘ্রই ডলার শক্তিশালী হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ এখন পর্যন্ত যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তা বাস্তবিক অর্থে বাণিজ্য সংঘাতের উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাবনা প্রতিফলিত করছে না।

উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, তবে ফ্ল্যাট মার্কেট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেবলমাত্র ট্রাম্পের মাধ্যমে প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। নতুবা, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা এবং সাইডওয়েজ মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
(https://ifxpr.com/4jPkCXZ)
Read more: https://ifxpr.com/4jPkCXZ

LIMAFX
2025-04-29, 06:15 PM
২৯ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1934078341.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি আমরা জার্মানির GfK ভোক্তা আস্থা সূচক বা ইউরোজোনের ভোক্তা মনোভাবের মতো সব স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন বাদ দিই, তাহলে কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের JOLTS থেকে প্রকাশিতব্য জব ওপেনিংস বা চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনই রয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রতিবেদন যথেষ্ট বিলম্বে প্রকাশিত হয়, এবং তাই এটি বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবণতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। সমস্ত যুক্তি অনুযায়ী, বড় পরিসরে আমদানি শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হতে পারে এবং বেকারত্ব বাড়তে পারে। ফলে, মার্চের JOLTS প্রতিবেদনের তুলনায় এপ্রিলের নন-ফার্ম পে-রোলস এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো অর্থ নেই। ট্রাম্প নতুন নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে চললে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলতে পারে। যেকোনো উত্তেজনার বৃদ্ধি ডলারের আরেক দফা দরপতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে, আর উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনের প্রতি তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় করা শুরু করেছেন, তবে এখনো উত্তেজনা প্রশমনের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। ট্রাম্প সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, এটা অবাক করার মতো হবে না যদি তিনি চীনের জন্য শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর আবার তা বাড়িয়ে দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি চীনা পণ্যের ওপর 145% শুল্ক বজায় রাখার কোনো ইচ্ছা পোষণ করছেন না, যা মার্কেটে কিছুটা স্বস্তির সঞ্চার ঘটিয়েছে। তবে, মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে কোনো আশাবাদের ঢেউ দেখা যায়নি। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো উত্তেজনা প্রশমনের কোনো দৃশ্যমান ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে না, তাই তারা মার্কিন মুদ্রা কেনার জন্য তাড়াহুড়ো করছে না। এমনকি সোমবারেও, যখন কোনো সংবাদ ছিল না এবং ট্রেডাররা সক্রিয় ছিল, তখনও মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রির পথই অনুসরণ করেছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, তবে আমরা সম্ভবত ফ্ল্যাট ট্রেডিং দেখতে পাব — অন্তত ইউরোর ক্ষেত্রে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য এখনো অনেক বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করছে, এবং এর জন্য কোনো সংবাদের প্রয়োজন হচ্ছে না। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: (https://ifxpr.com/3GxjQ3C)

Read more: https://ifxpr.com/3GxjQ3C

LIMAFX
2025-04-30, 06:14 PM
মার্কিন জিডিপি এবং পিসিই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে না (সম্ভাব্যভাবে #NDX এবং #SPX-এ পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে)
http://forex-bangla.com/customavatars/264670905.jpg
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের কারণে সৃষ্টি চলমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই বেশ ক্লান্ত। পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত অনিশ্চিত রয়ে গেছে, ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন পুরোপুরিভাবে আজ প্রকাশিতব্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে — বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের দিকে। মূল দৃষ্টি থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন জিডিপি এবং পিসিই সূচকের ওপর। সম্মিলিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য মন্থর হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি 2.4% থেকে কমে মাত্র 0.2%-এ নেমে আসতে পারে — এটি এতটাই নেতিবাচক ফলাফল, যা পরিসংখ্যানগত ত্রুটির মধ্যেই পড়ে, এবং এর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যার সঙ্গে যুক্ত থাকবে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব। আজ, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের ক্লান্তিকর শুল্ক কাহিনি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে মার্চ মাসের পিসিই (Personal Consumption Expenditures) মূল্য সূচকের দিকে মনোযোগ দেবে। এই সূচকটি বার্ষিক ভিত্তিতে 2.5% থেকে 2.2%-এ হ্রাস পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবং মাসিক ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারির 0.3% বৃদ্ধির বিপরীতে এবার 0.0% পরিবর্তনের পূর্বাভাস রয়েছে। কোর PCE সূচকটিও বার্ষিক ভিত্তিতে 2.8% থেকে 2.6%-এ নামতে পারে এবং মাসিক প্রবৃদ্ধি 0.4% থেকে কমে 0.1%-এ নেমে আসতে পারে। এর পাশাপাশি আয় ও ব্যয়ের তথ্যও গুরুত্ব পাবে। ব্যক্তিগত আয় 0.8% থেকে 0.4%-এ নামার এবং ব্যয় 0.4% থেকে 0.6% বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ট্রেডার এবং মার্কিন ডলার এই প্রতিবেদনগুলোর প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? জিডিপির পতন ঘটলে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ট্রেজারি বন্ডের চাহিদা বাড়তে পারে। একই সময়ে, যদি সত্যিই PCE সূচকের পতন নিশ্চিত হয়, তাহলে স্থানীয় পর্যায়ে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। পূর্বেই যেমন বলা হয়েছে, এর প্রধান কারণ হবে মে অথবা জুনে 0.25% হারে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার প্রতি ট্রেডারদের প্রত্যাশা বৃদ্ধি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন স্টক মার্কেট সমর্থন পেতে পারে, কারণ সুদের হার কমার প্রত্যাশা ইক্যুইটির চাহিদা বাড়াতে পারে। তবে, ডলারের দরপতনের মাত্রা সম্ভবত সীমিত থাকবে। ডলার সূচক 99.00-এর নিচে নামলেও 98.00-এর উপরে থাকতে পারে। এর কারণ ইউরোজোনে প্রত্যাশিত মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আবারও সুদের হার কমাতে বাধ্য করতে পারে, ফলে ফেডের সঙ্গে সুদের হার পার্থক্য ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে। আজকের প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি অ্যাসেটের মূল্যের উপর সীমিত প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ ট্রাম্পকে ঘিরে চলমান বিশৃঙ্খলা সবকিছু ছাপিয়ে ফেলছে। অনিশ্চয়তাই এখনো মার্কেটের প্রধান চালক। (https://ifxpr.com/3GvTz5P)

Read more: https://ifxpr.com/3GvTz5P

LIMAFX
2025-05-02, 07:00 PM
মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক হতে পারে
http://forex-bangla.com/customavatars/1678486161.jpg
এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাত্রা সম্ভবত ধীর হয়েছে, যদিও বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে — যা শ্রমবাজারের ইতিবাচক কিন্তু স্বল্প চাহিদার ইঙ্গিত দেয়। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাণিজ্য নীতি শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করছে। গত মাসের শুরুতে আরোপিত নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার পর এটি হবে প্রথম প্রতিবেদন, যেটিতে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব প্রতিফলিত হতে শুরু করবে। এপ্রিল মাসে ননফার্ম পেরোল 138,000 পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মার্চ মাসের প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ফলাফলের পর পূর্বাভাস দেইয়া হয়েছে। বেকারত্বের হার 4.2% থাকারই পূর্বাভাস রয়েছে। উল্লেখ্য, মার্কিন শ্রম দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিতব্য এটিই প্রথম প্রতিবেদন হবে, যেটি ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক শুল্ক আরোপের পর প্রকাশিত হচ্ছে। এই প্রতিবেদনটি তৈরিতে ব্যবহৃত জরিপগুলো এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সম্পন্ন হয়েছে, যখন ট্রাম্প একদিকে কিছু শুল্ক স্থগিত করেছিলেন, অন্যদিকে চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বাড়িয়েছিলেন — যার ফলে বড় ও ছোট উভয় ধরনের ব্যবসার মধ্যে অনিশ্চয়তা বেড়ে যায়। অভিবাসন এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধিনিষেধ আগামী মাসগুলোতে পেরোলের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ এপ্রিলের প্রতিবেদনে এর খুব বেশি প্রভাবের প্রত্যাশা করছেন না। এছাড়াও, মৌসুমি কারণগুলোর কারণে এপ্রিল মাস সাধারণত তুলনামূলকভাবে সহায়ক হয় — বিশেষ করে পরিষেবা খাতে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়ার ফলে। শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য অবনতি মে মাসে দৃশ্যমান হতে পারে। ৬ জুনে প্রকাশিতব্য মে মাসের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনে লজিস্টিকস, লেজার এবং হসপিটালিটি খাতে নিয়োগের আরও তীব্র মন্থরতা দেখা যেতে পারে। সাধারণভাবে, অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ঐতিহাসিকভাবে কম থাকবে — যা 4.2%-এ থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো, কোভিড-পরবর্তী শ্রমিক ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার পর কোম্পানিগুলো হয়তো খরচ কমিয়ে কর্মীদের ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। পাশাপাশি, গত গ্রীষ্ম থেকে অভিবাসনের তীব্র হ্রাসের ফলে শ্রমবাজারে প্রবেশকারীর সংখ্যা কমে গেছে — যা শ্রমচাহিদা দুর্বল করলেও বেকারত্ব বৃদ্ধি ঠেকাতেও সাহায্য করছে। বারক্লেস পিএলসির অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, "আমরা এখনো মনে করি মধ্য-মেয়াদে বেকারত্বের হারের নিম্নমুখীতা বজায় থাকবে, যেখানে অভিবাসন নীতিমালাই শ্রম সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।" "তবে, আমরা মনে করি যে ভবিষ্যতের প্রান্তিকগুলোতে শ্রমচাহিদার পতন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এই প্রভাবকে কিছুটা ভারসাম্য এনে দেবে।" সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের অর্থনীতিবিদরাও একই মত পোষণ করেন, যারা প্রত্যাশা করছেন যে সম্মিলিত পূর্বাভাসের তুলনায় কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি কম হবে — যা প্রায় 105,000-এর মতো হতে পারে। ফেডারেল রিজার্ভ শ্রমবাজার পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ উদ্বেগ বেড়েছে যে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। নীতিনির্ধারকরা আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য দু'দিনব্যাপী বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ বর্তমানে, ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে 1.1337 লেভেল ব্রেক করা। কেবল তখনই 1.1386 লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। এরপর পেয়ারটির মূল্য 1.1437 লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সমর্থন ছাড়া মূল্যের এই লেভেল পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1487। যদি ইনস্ট্রুমেন্টটির দরপতন হয়, তাহলে আমি 1.1265 লেভেলের কাছাকাছি শক্তিশালী ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি সেখানে প্রতিক্রিয়া না দেখা যায়, তাহলে 1.1215-এর নতুন লো অথবা 1.1185 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রির কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ পাউন্ড ক্রেতাদের জন্য তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হলো 1.3315 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। কেবল তখনই মূল্যের 1.3354 লেভেলের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে — যার উপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3394 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে বিক্রেতারা 1.3280 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের এই রেঞ্জ ব্রেক ব্রেক করে নিচের দিকে যেয়ে ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে এবং পেয়ারটির মূল্য 1.3250 এবং পরবর্তীতে 1.3205 লেভেলের দিকে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3GvGjOG)
https://ifxpr.com/3GvGjOG

LIMAFX
2025-05-05, 03:33 PM
৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1509178763.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI ছাড়া আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে এটি নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা আদৌ এটির প্রতি মনোযোগ দেবে কিনা। গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা বেশিরভাগ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকেই উপেক্ষা করেছে। মনে রাখা দরকার, সপ্তাহান্তে কারেন্সি মার্কেট বন্ধ থাকে, ফলে কোনো সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় না। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো "উইকএন্ড" নেই — তাই সোমবারে তিনি হঠাৎ করে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসতে পারে, যেটার প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই — যদিও এই যুদ্ধে আপাতত বিরতি নেয়া হয়েছে। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে ডলারের দরপতন দীর্ঘায়িত হতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আবারও মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা শুরু হতে পারে, আর উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। ট্রাম্প এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখালেও, এটিকে এখনো সত্যিকারের উত্তেজনা প্রশমন বলা যাবে না। ট্রাম্প সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, যদি তিনি আবারো শুল্ক বাড়ান তাহলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প বুঝে গেছেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ মার্কিন অর্থনীতির ধ্বংস ডেকে আনতে পারে, তাই খুব শিগগিরই নতুন করে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। একইসাথে, চীনের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ক আলোচনা এখনো শুরু হয়নি, যার মানে "145% – 125%" হারে আরোপিত দণ্ডমূলক শুল্ক এখনো বলবৎ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই বুধবারে দেখেছি যে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির প্রতি মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট বজায় থাকতে পারে, তাই 1.1275 লেভেল থেকে একটি বাউন্স হলে সেটি নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূচনা করতে পারে। এখনো ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যদিও এটি টানা চার দিন ধরে দরপতনের শিকার হয়েছে। আনুমানিক 90% সম্ভাবনা রয়েছে যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ই প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ট্রেডিংয়ের জন্য এখন একমাত্র ভরসা হচ্ছে টেকনিক্যাল লেভেল — যদিও দুঃখজনকভাবে ট্রেডাররা সবসময় তা অনুসরণ করে না। (https://ifxpr.com/4d6gT6n)

Read more: https://ifxpr.com/4d6gT6n

LIMAFX
2025-05-06, 04:14 PM
৬ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/374859143.jpg

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। ইউরোজোন এবং জার্মানিতে এপ্রিল মাসের সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচকের দ্বিতীয় সংশোধিত হিসাব প্রকাশিত হবে, তবে এসব প্রতিবেদন খুব একটা গুরুত্ব পাবে বলে মনে হচ্ছে না। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা একাধিক মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করেও স্বাভাবিকভাবে ট্রেডিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তাই ইউরোপে প্রকাশিত এই সংশোধিত পরিষেবা সংক্রান্ত সূচকগুলো বিনিয়োগকারীদের তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করবে না। একই কথা যুক্তরাজ্যের একই সূচকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করা এখনো খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও এই বাণিজ্য সংঘাত বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আবারও মার্কিন ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। এই সংঘাতের নতুন করে বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ডলারের আরও দরপতন ঘটতে পারে, অপরদিকে যদি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকেই অগ্রগতি হয়, তাহলে ডলার সমর্থন পেতে পারে। যদিও সম্প্রতি ট্রাম্প তার বক্তব্যে চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছেন, তবে এটিকে এখনই প্রকৃতভাবে "বাণিজ্য উত্তেজনার প্রশমন" বলা যাচ্ছে না। ট্রাম্পের অতীত পদক্ষেপ বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, তিনি যেকোনো সময় আবারও শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে পারেন — সেটি কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার হবে না। ট্রাম্প জানেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হলে আমেরিকার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই অদূর ভবিষ্যতে তার পক্ষ থেকে খুব একটা আগ্রাসী পদক্ষেপের আশা করা যাচ্ছে না। তবে এখনো পর্যন্ত চীনের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়নি, অর্থাৎ দণ্ডমূলক 145%–125% শুল্ক এখনো কার্যকর রয়েছে। গত বুধবার আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। EUR/USD পেয়ারের সাইডওয়েজ ট্রেডিং অব্যাহত থাকতে পারে এবং 1.1275 লেভেল থেকে একটি রিবাউন্ড হলে নতুন একটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এখনো শক্তিশালীভাবে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কিন্তু ইতোমধ্যে এটি টানা চার দিন ধরে দরপতনের মধ্যে রয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলে মনে হচ্ছে। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে—যা দুর্ভাগ্যবশত অনেক সময় প্রত্যাশিত ফলাফল দিতে ব্যর্থ হয়। (https://ifxpr.com/3GBkBZF)

Read more: https://ifxpr.com/3GBkBZF

LIMAFX
2025-05-07, 04:26 PM
৭ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/668716116.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং যেগুলো প্রকাশিত হবে সেগুলোর প্রভাবও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের উপর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরোর মূল্য এখনো সম্পূর্ণরূপে ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে—তবে সেটি তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত ও কম দৃশ্যমান। সারাদিনে একমাত্র ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন ট্রেডারদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ তৈরি করতে পারে, তবে সেটিও কেবল সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করবে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করা যায়? সর্বোচ্চ ২০–৩০ পিপসের মুভমেন্ট? এমনকি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রভাবেও মার্কেটে কোনো স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া এখনো অন্য কোনো মৌলিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করাটা খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও আপাতত বাণিজ্য উত্তেজনা স্থগিত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লে ডলারের দরপতন হতে পারে, অপরদিকে শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয় বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু এটিকে এখনই 'বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন' বলা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা শুরু হয়নি, তাই নিকট ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলা ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ট্রাম্প জানেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অদূর ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে নতুন করে আগ্রাসী পদক্ষেপ আসার সম্ভাবনা কম। গত বুধবার আমরা দেখেছি, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি কীভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। আজ সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে। তাত্ত্বিকভাবে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে কিছুটা "ডোভিশ" না নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, তবে আমাদের মতে ফেড এখনো মূলত মুদ্রাস্ফীতির দিকেই নজর রাখছে। তাই তাদের অবস্থানে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের আশা করা ঠিক হবে না। তবুও, যদি নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়, তাহলে তা ডলারের জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করবে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইউরো এখনো সাইডওয়েজ ট্রেডিং করছে, যদিও 1.1275 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হওয়ার পর একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের এখনো কিছুটা বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও, কার্যত এখনো রেঞ্জ-ভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেবল সন্ধ্যার FOMC-এর বৈঠক থেকে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটিও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সমাপ্তির জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে হচ্ছে না। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/409930)

LIMAFX
2025-05-08, 07:18 PM
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমাতে প্রস্তুত
http://forex-bangla.com/customavatars/1351343408.jpg
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আজ 0.25 পয়েন্ট সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং জুনে আরও একবার সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটি ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো পরপর দুইবার সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কারণ মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। চার্টে দেখা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ পাউন্ড যথেষ্ট নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন যে যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারকেরা মূল সুদের হার ৪.৫০% থেকে ৪.২৫%-এ নামিয়ে আনবেন, এবং মুদ্রানীতি কমিটির নয়জন সদস্যের মধ্যে অন্তত একজন সুদের হার 0.50 পয়েন্ট কমানোর পক্ষে ভোট দিতে পারেন। ফিউচার মার্কেটেও সুদের হার 0.25 কমানোর সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং পরবর্তী বৈঠকে আরেকবার সুদের হার কমানোর ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মনে রাখা দরকার, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গত বছরের আগস্ট থেকে শুরু করে তিনবার সুদের হার কমিয়েছে এবং ট্রাম্পের শুল্কনীতির ঝুঁকি এবং মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে তা অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে, এখন যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এখন অর্থনীতিকে সমর্থন দেওয়াই শ্রেয়, অপেক্ষা না করে ভবিষ্যতে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অনিশ্চিত প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়াই উচিত। এই সিদ্ধান্ত পাউন্ডের ওপর অবশ্যই প্রভাব ফেলবে এবং স্বল্পমেয়াদে কিছুটা ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া, এটি অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে অনুপ্রাণিত করতে পারে যাতে তারা বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে তাদের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। তবে, এটা জানা জরুরি যে সুদের হার কমানো কোনো সর্বজনীন সমাধান নয়। এর কার্যকারিতা অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের আগ্রহ এবং ভোক্তাদের খরচের প্রস্তুতির উপর। যদি অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকে, তাহলে সুদের হার কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব নাও হতে পারে। যদিও আজকের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবুও কিছু সদস্য আরও আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার হ্রাসের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। এটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সদস্যদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের প্রতি শক্তিশালী সমর্থনের সংকেত দেবে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য স্বাতী ধিংরা, অ্যালান টেইলর এবং ক্যাথরিন ম্যান এর আগে অস্বাভাবিকভাবে সুদের হার 0.50 পয়েন্ট হ্রাসের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তবে সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে তারা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠদের সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তী দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করেনি, যখন তারা বিনিয়োগকারীদের সতর্ক এবং ধীরগতিতে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করতে বলেছিল। "সতর্কতা" শব্দটি যুক্ত করা হয়েছিল, যাতে কমিটি ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব মূল্যায়নের জন্য সময় পায়। যদি আজকের বিবৃতে থেকে সেই শব্দটি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঝুঁকি বেশি—যা আবারও ইঙ্গিত দেবে যে সুদের হার কমানোর প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এই পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা সংকেত, এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে মূল্যকে 1.3365 এর নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা 1.3399 লেভেলের দিকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারবে, যেটি ব্রেকআউট করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়া কঠিন হতে পারে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3437 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3285 লেভেল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে 1.3260 এর নিম্ন লেভেল এবং সম্ভবত 1.3235 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3F5ouW3)

Read more: https://ifxpr.com/3F5ouW3

LIMAFX
2025-05-12, 05:03 PM
১২ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1725725789.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। মৌলিক প্রেক্ষাপটগত প্রভাব বা গুরুত্বপূর্ণ খবরও সীমিত থাকবে, তবে এই মুহূর্তে মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে ঠিক কোন উপাদানগুলো কাজ করছে, সেটি পুরোপুরি অনিশ্চিত। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পাউন্ড ও ইউরোর দরপতনের যথেষ্ট কারণ ছিল। তবে ইউরোর দরপতন ছিল খুবই ক্ষণস্থায়ী, আর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের চাপের মুখেও সাইডওয়েজ চ্যানেল থেকে বের হতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার এখনো খুব একটা যৌক্তিকতা নেই, তবে ওই দিকেও এখন তেমন কোনো খবর নেই। বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা এখন স্থগিত রয়েছে, আর ট্রাম্প বারবার নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিলেও তিনি বিস্তারিত কিছুই প্রকাশ করছেন না। যদি তিনি নতুন করে শুল্ক আরোপ শুরু করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবারও ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। আবার যদি তিনি উত্তেজনা প্রশমনের দিকে অগ্রসর হন, তাহলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন, তাই এ কারণেও ডলারের তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাগুলোর বিপরীতে শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল। মনে করিয়ে দিই, পূর্বে যদি উত্তেজনার খবরে ডলার দরপতন ঘটে থাকে, তাহলে চুক্তির খবরে ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী হওয়াই স্বাভাবিক। সুতরাং, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি মার্কিন ডলারের জন্য একটি সহায়ক উপাদান হওয়া উচিত। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন চীন ও ইইউ-এর সঙ্গে চুক্তির দিকেই বেশি মনোযোগী, যেখানে এখনো কোনো বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। সোমবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখবেন। তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও ফেডের বৈঠক গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, আর ইসিবি তারও এক সপ্তাহ আগে বৈঠক করেছে। ফলে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ইতোমধ্যে স্পষ্ট। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টদেখা যেতে পারে। ইউরোর ধীরে ধীরে দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে মার্কিন ডলারের মূল্যের বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এখনো খুব একটা প্রত্যাশিত নয়। পাউন্ডের মূল্য এখনো সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই আটকে রয়েছে, যার মানে এটির মূল্যের মুভমেন্ট অনেকটা এলোমেলো বা বিশৃঙ্খল হতে পারে। (https://ifxpr.com/3H358By)

Read more: https://ifxpr.com/3H358By

LIMAFX
2025-05-13, 05:16 PM
১৩ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/901269383.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর বেশিরভাগ প্রতিবেদনই EUR/USD ও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে খুব সামান্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি, বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না—তাদের মূল মনোযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতির দিকে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কিছু লক্ষণ দেখা গেছে, যার ফলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে। আজ যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব ও মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ইউরোজোনে অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক এবং যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমাদের মতে, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ডলারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার এখনও খুব বেশি প্রয়োজন দেখা যাচ্ছে না। বাণিজ্য সংঘাতের তীব্রতা আপাতত থেমে আছে, এবং ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিলেও সেগুলোর বিস্তারিত এখনো স্পষ্ট নয়। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ শুরু করেন, পুরনো শুল্ক বাড়ান, কিংবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে ঘোষিত চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হন তাহলে ডলারের দরপতন আবারও শুরু হতে পারে। তবে, যেহেতু বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে, এই প্রক্রিয়া ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে, যেমনটি আমরা সোমবার দেখেছি। অতএব, ভবিষ্যতের মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরি ট্রাম্পের উপর নির্ভর করছে—বা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে, তার ঘোষিত বাণিজ্য চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরিত হচ্ছে কি না এবং তিনি আগের আরোপিত শুল্কগুলো কতটা কমাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করছে।

উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই আরও কিছুটা নিম্নমুখী হতে পারে, কারণ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে 115% শুল্ক হ্রাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক অগ্রগতি, যা মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল। তবে, গত তিন মাসের দরপতনের পর ডলারের পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হতে হলে বাণিজ্যযুদ্ধের মাত্রা ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতেই হবে। (https://ifxpr.com/4mvXTCL)

Read more: https://ifxpr.com/4mvXTCL

LIMAFX
2025-05-14, 02:55 PM
১৪ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/446652348.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হলো—জার্মানির এপ্রিল মাসের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক সংক্রান্ত দ্বিতীয় আনুমানিক প্রতিবেদন। সাধারণত দ্বিতীয় আনুমানিক প্রতিবেদন প্রথমটির তুলনায় খুব বেশি ভিন্ন হয় না, তাই এই সূচকের ফলাফল থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হচ্ছে না। সেই অনুযায়ী, মার্কেটেও কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আজ ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আবারও বলা যায়, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া বর্তমানে আলোচনার মতো কোনো মৌলিক ঘটনা নেই। বাণিজ্য উত্তেজনা আপাতত থেমে আছে, আর ট্রাম্প বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে একের পর এক সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে চলেছেন। যদি তিনি আবার নতুন করে শুল্ক আরোপ করা শুরু করেন, বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, কিংবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যর্থ হন, তবে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। তবে বর্তমানে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের ধারা মাঝে মাঝে হলেও মার্কিন ডলারকে কিছুটা সহায়তা দিতে পারে। তবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে সামগ্রিকভাবে ডলারের প্রতি ট্রেডারদের মনোভাব এখনো বেশ নেতিবাচক, যার ফলে মার্কিন গ্রিনব্যাকের জন্য শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ছে। সুতরাং, ভবিষ্যতে মার্কেটের মুভমেন্ট পুরোপুরিভাবে ট্রাম্পের পদক্ষেপের উপর নির্ভর করছে—বিশেষ করে তিনি আদৌ বাণিজ্য চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করেন কিনা এবং পূর্বের আরোপিত শুল্কগুলো হ্রাস করেন কিনা, তার উপর। উপসংহার: এই সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, এবং শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা গেছে, প্রতিটির পেছনেই নির্দিষ্ট কারণ ছিল। তবে আজকের দিনটি বেশ "নিঃশব্দভাবে" অতিবাহিত হতে পারে। (https://ifxpr.com/42UnX2y)

Read more: https://ifxpr.com/42UnX2y

LIMAFX
2025-05-15, 04:54 PM
১৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/165800306.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে খুব কম সংখ্যক প্রতিবেদনই আছে যা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ইউরোজোন ও যুক্তরাজ্যে প্রথম প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান ও শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, ট্রেডাররা সহজেই এই প্রতিবেদনগুলো উপেক্ষা করতে পারেন। প্রথমত, ইউরোপীয় ও ব্রিটিশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। দ্বিতীয়ত, এই সপ্তাহের শুরুতেই প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে ট্রেডাররা গুরুত্ব না দিয়েই পাশ কাটিয়ে গেছে। আজকের মার্কিন প্রতিবেদনগুলোও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় ও প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন কিছুটা মনোযোগের দাবিদার। এপ্রিল মাসে খুচরা বিক্রয় সূচকের দুর্বল ফলাফল দেখা যেতে পারে—কারণ এই সময়েই ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকর হয়।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের একাধিক বক্তব্য রয়েছে। তবে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা ইতোমধ্যেই ট্রেডারদের কাছে বেশ স্পষ্ট, তাই এই বক্তব্যগুলো থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আমাদের মতে, মার্কেটে প্রকৃত অর্থে কেবলমাত্র বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত খবরই প্রভাব বিস্তার করছে, এবং ডলার বিক্রির যৌক্তিকতা তৈরি করছে। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা আপাতত স্থগিত হয়েছে, আর ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে চলেছেন—তবে কোন বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছেন না। যদি ট্রাম্প আবার নতুন করে শুল্ক আরোপ করা শুরু করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন, অথবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্যর্থ হন, তাহলে নতুন করে ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যেটুকু উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে, সেটি অন্তত মাঝে মাঝে মার্কিন মুদ্রাকে কিছুটা সমর্থন দিতে পারে। তবে তা সত্ত্বেও, মার্কেটে ডলারের প্রতি সামগ্রিক মনোভাব অত্যন্ত নেতিবাচকই রয়ে গেছে, যার ফলে মার্কিন গ্রিনব্যাকের শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা এখনো খুবই কম। উপসংহার: এই সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা উচিত হবে না—যদিও প্রতিক্রিয়া দুর্বল হতে পারে, তবুও সামান্য প্রতিক্রিয়াও দৈনিক ভিত্তিতে মার্কেটের দিকনির্দেশনায় প্রভাব ফেলতে পারে। (https://ifxpr.com/4dhSX01)

Read more: https://ifxpr.com/4dhSX01

LIMAFX
2025-05-16, 07:10 PM
১৬ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/385472250.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং সেগুলোর গুরুত্ব বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর চেয়েও কম, যেগুলো মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। সার্বিকভাবে, একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক, যা সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে। দিনের বেলা—সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট যেভাবেই গড়ে উঠুক না কেন—তা EUR/USD কিংবা GBP/USD পেয়ারের মূল্যে মুভমেন্টে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্য লেন এবং চিপোলোনের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে, তবে ইসিবির বর্তমান মুদ্রানীতিগত অবস্থান প্রায় শতভাগ স্পষ্ট। আমাদের দৃষ্টিতে, এখন শুধুমাত্র মার্কিন ডলার বিক্রির জন্য মার্কেটে প্রাসঙ্গিক দুটি বিষয় রয়েছে: বাণিজ্য যুদ্ধ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক খবর। বাণিজ্য যুদ্ধ আপাতত স্থগিত রয়েছে, এবং ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিচ্ছেন, তবে এই তথ্য ডলারকে কেবল সামান্যই সহায়তা করছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করা শুরু করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন, কিংবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হন তাহলে ডলারের আরও একবার দরপতন ঘটতে পারে। তবে ইতোমধ্যেই শুরু হওয়া বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া অন্তত মাঝে মাঝে মার্কিন মুদ্রাকে সমর্থন যোগাতে পারে। তারপরও, এটা স্বীকার করা জরুরি যে, বর্তমানে মার্কেটে ডলারের প্রতি সামগ্রিক মনোভাব খুবই নেতিবাচক, যার ফলে মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী কোনো বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, যেকোনো দিকেই EUR/USD এবং GBP/USD উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট যেতে পারে। সামষ্টিক প্রেক্ষাপট দুর্বল, আর ট্রাম্প ঠিক কখন আবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসবেন—সেই পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। আমরা অনুমান করছি, আজ খুবই সামান্য মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং সম্ভবত সাইডওয়েজ (ফ্ল্যাট) ট্রেডিং দেখা যাবে। শুধুমাত্র শক্তিশালী টেকনিক্যাল সিগন্যাল থাকলেই ট্রেডিংয়ের কথা বিবেচনা করা উচিত। (https://ifxpr.com/4djQx0V)

Read more: https://ifxpr.com/4djQx0V

LIMAFX
2025-05-19, 04:44 PM
১৯ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1321145096.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার খুবই অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের এপ্রিল মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)-এর দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা তিনটি কারণে মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রথমত, ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে ব্যাপকভাবে উপেক্ষা করছে। দ্বিতীয়ত, এটি ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI-এর দ্বিতীয় অনুমান, যা প্রথম অনুমানের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয়ত, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থান ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট। ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI মূলত ইসিবির সুদের হারের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলার কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে আজ ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের (বস্টিক, জেফারসন, উইলিয়ামস, লোগান এবং কাশকারি) বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, এসব বক্তব্যের আদৌ কী গুরুত্ব থাকতে পারে যদি এই সপ্তাহেই জেরোম পাওয়েল পুনরায় বলে থাকেন যে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে এবং এখনই সুদের হার কমানোর প্রয়োজন নেই? আমাদের মতে, এখনো ট্রেডাররা কেবলমাত্র বাণিজ্য যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেই ধরনের খবরগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা ডলার বিক্রির যৌক্তিক কারণ প্রদান করে। বাণিজ্য সংঘাতে আপাতত বিরতি দেখা যাচ্ছে এবং ট্রাম্প এখনো একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে চলেছেন, তবে এই তথ্যগুলো ডলারকে সীমিত মাত্রায় সহায়তা প্রদান করছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন অথবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যর্থ হন, তবে আবারও ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। তবে বর্তমানে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের চলমান প্রক্রিয়া অন্তত মাঝে মাঝে হলেও মার্কিন ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে। যদিও স্বীকার করতে হবে, ডলারের প্রতি ট্রেডারদের সামগ্রিক মনোভাব এখনো অত্যন্ত নেতিবাচক, যার ফলে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ও স্থায়ী বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। ইউরোর মূল্য এখনো ধীরে ধীরে বাড়ছে, কিন্তু পাউন্ডের মূল্য এখনো স্থির অবস্থায় রয়েছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব তেমন থাকবে না এবং কখন ট্রাম্পের কাছ থেকে নতুন কোনো প্রভাবশালী মন্তব্য আসবে, তা আগে থেকে অনুমান করা অসম্ভব। আমরা মনে করি আজ মার্কেটে ধীরগতি ও ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সাথে ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যাবে। শুধুমাত্র শক্তিশালী টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা যুক্তিযুক্ত হবে। (https://ifxpr.com/4jksjFe)
http://forex-bangla.com/customavatars/401993446.jpg
Read more: https://ifxpr.com/4jksjFe

LIMAFX
2025-05-20, 04:01 PM
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ২০ মে
http://forex-bangla.com/customavatars/1733118289.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের বিশ্লেষণ সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মতে, ঐদিন মার্কিন ডলারের হঠাৎ এমন দরপতনের পেছনে কোনো মৌলিক বা অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল না। তবে আগেই বলা হয়েছে, এখন মার্কেটে ডলার বিক্রি করার জন্য আর কোনো শক্তিশালী কারণের প্রয়োজন হয় না। মার্কিন গ্রিনব্যাক সহজেই এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, বিপরীতে ইউরো এখনও শক্তিশালী অর্থনীতি বা ইসিবির হকিশ বা কঠোর নীতির দাবিদার হতে পারছে না। তবুও, বর্তমানে এসব বিষয়ের আর তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। বাণিজ্যযুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোনো কারণ এখন আর ডলারের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নয়। মাঝে মাঝে ডলার শক্তিশালী হয়, কিন্তু তা কেবল তখনই হয় যখন বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের খবর প্রকাশিত হয় — এবং এমন খবর প্রতিটি সপ্তাহে আসে না। এদিকে, মুডি'স কর্তৃক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেডের মতো সংবাদ ডলার বিক্রির কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।

টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যাচ্ছে, আবার এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন হয়েছে, তবে তিন মাসব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও অক্ষুণ্ন রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, সবকিছু ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের উপর নির্ভর করছে। যদিও তার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে অনুমান করা সম্ভব না, তবুও আমরা এটুকু বলতে পারি — এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো কার্যকর রয়েছে। সোমবারের ট্রেডিং সিগনালের ক্ষেত্রে, দুটি মুহূর্ত আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য: প্রথমত, 1.1185 লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এবং দ্বিতীয়ত, 1.1274 লেভেলের নিচে দরপতন। প্রথম সিগনালে ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন, যা পরবর্তী সেল সিগনাল — অর্থাৎ 1.1274 এর নিচে দরপতনের সময় — ক্লোজ করা যেত। সেই পর্যায়ে শর্ট পজিশন ওপেন করে মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ক্লোজ করা যেত। অতএব, সোমবার দুটি ট্রেড ওপেন করা যেত এবং উভয় ট্রেডই উল্লেখযোগ্য মুনাফার সাথে ক্লোজ করা যেতো। COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট ১৩ মে প্রকাশিত হয়েছে। উপরের চার্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নিট পজিশনের সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিক্রেতারা অল্প সময়ের জন্য মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, তবে দ্রুত তা হারিয়ে ফেলে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলারের দরপতন হচ্ছে। যদিও বলা যাচ্ছে না এই প্রবণতা কতদিন চলবে, তবুও COT রিপোর্ট বড় ট্রেডারদের মানসিকতা প্রতিফলিত করে—যদিও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই মানসিকতা দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। ইউরোর পক্ষে কোনো এমন কোনো মৌলিক কারণ নেই যা এটিকে শক্তিশালী করতে পারে, তবে ডলারের উপর রাজনৈতিক চাপ অনেক বেশি। আরও কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান থাকতে পারে, তবে গত ১৬ বছরের দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা এত সহজে বদলাবে না। একবার ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ হলে, পুনরায় ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। COT চার্টে লাল ও নীল লাইন আবারও একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যা একটি নতুন বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের লং পজিশনের সংখ্যা 15,400টি বেড়েছে, আর শর্ট পজিশনের সংখ্যা বেড়েছে 6,300টি। ফলে নিট পজিশনের সংখ্যা 9,000 কন্ট্রাক্ট বেড়ে গেছে

EUR/USD পেয়ারের 1 ঘন্টার চার্টের বিশ্লেষণ 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বর্তমানে মূল্য ইচিমোকু ইন্ডিকেটর লাইনগুলোর ওপরে অবস্থান করছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো মূলত বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতির অগ্রগতির উপর নির্ভর করছে। যদি বাণিজ্য চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয় এবং শুল্ক কমানো হয়, তাহলে ডলারের পুনরুদ্ধার হতে পারে। অন্যথায়, কিংবা নতুন কোনো নেতিবাচক প্রভাবিক দেখা গেলে, ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। বর্তমানে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ও মৌলিক প্রতিবেদন প্রভাব খুবই সীমিত — সবকিছু বাণিজ্য আলোচনা সংক্রান্ত সংবাদের উপর নির্ভর করছে। ২০ মে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0823, 1.0886, 1.0949, 1.1006, 1.1092, 1.1147, 1.1185, 1.1234, 1.1274, 1.1321, 1.1426, 1.1534। ইচিমোকু লাইন: সেনকৌ স্প্যান বি (1.1224), কিজুন-সেন (1.1193)। লক্ষ্য রাখতে হবে যে ইচিমোকু লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে এবং ট্রেডিং সিগনাল নির্ধারণের সময় তা বিবেচনায় নেওয়া উচিত। একইসাথে মনে রাখতে হবে, মূল্য সঠিক দিকের দিকে 15 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত, যাতে সম্ভাব্য ভুল সিগনাল থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ফলে দিনের বেলায় ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই থাকবে না। তবে সোমবারের অভিজ্ঞতা থেকে আবারও দেখা গিয়েছে যে এমনকি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন সংবাদের প্রভাবেও ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটতে পারে। কিন্তু এমন প্রভাবশালী সংবাদ প্রতিদিন আসে না, তাই আজ দুর্বল ও সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সম্ভাবনাই বেশি। চিত্রের ব্যাখা: মূল্যের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল – গাঢ় লাল লাইন; যেখানে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যেতে পারে। তবে এগুলো সরাসরি ট্রেডিং সিগন্যাল নয়। কিজুন সেন ও সেনকৌ স্প্যান বি লাইন – শক্তিশালী ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের লাইন, যা ৪-ঘণ্টা চার্ট থেকে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক্সট্রিম লেভেল – হালকা লাল লাইন; যেখানে পূর্বে মূল্য রিবাউন্ড করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। হলুদ লাইন – ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল প্যাটার্ন নির্দেশ করে। COT ইন্ডিকেটর 1 – চার্টে প্রতিটি গ্রুপের ট্রেডারদের নিট পজিশনের পরিমাণ প্রদর্শন করে। (https://ifxpr.com/3SLwXAY)

Read more: https://ifxpr.com/3SLwXAY

LIMAFX
2025-05-21, 10:28 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের নিউজ ডাইজেস্ট, ২১ মে
http://forex-bangla.com/customavatars/2079294920.jpg
S&P 500 সূচক মোমেন্টাম হারাচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন চীনের দিকে $8.6 ট্রিলিয়নের ব্যাপক প্রবৃদ্ধির পর মার্কিন স্টক মার্কেটে দরপতনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের নেতিবাচক ফলাফল এবং সাম্প্রতিক মার্কিন ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেড সত্ত্বেও, মরগান স্ট্যানলি S&P 500-এর সূচকের ইতিবাচক পূর্বাভাস ধরে রেখেছে—চলতি বছরের মধ্যে সূচকটি 6,500 পয়েন্টে পৌঁছাতে পারে বলে প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে। তবুও, মার্কিন টেক স্টকগুলোর প্রতি আগ্রহ কমছে। বিনিয়োগকারীরা এখন স্বল্পমেয়াদে আরও লাভজনক বিকল্প হিসেবে চীনা স্টক মার্কেটের দিকে ঝুঁকছেন। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিংক অনুসরণ করুন। ছয় দিনের প্রবৃদ্ধির পর ট্রেডাররা বিশ্রাম নিচ্ছে টানা ছয় দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর মার্কিন ইক্যুইটি সূচকগুলো সামান্য নিম্নমুখী হয়েছে। এই দরপতনের পেছনে মূল কারণ ছিল একটি টেকনিক্যাল কারেকশন এবং নতুন কোনো কর্পোরেট বা সামষ্টিক অনুঘটকের অনুপস্থিতি। ট্রেডাররা এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর এবং নতুন বাজেট বিল নিয়ে আলোচনার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা এখনো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং কর ও রাজস্ব নীতির অগ্রগতির ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিংক অনুসরণ করুন।
মার্কেটে চাপ সৃষ্টি হয়েছে: বন্ডের ইয়েল্ড বাড়ছে, সংস্কার নিয়ে উদ্বেগ দিন শেষে মার্কিন স্টক সূচকগুলো নিম্নমুখী থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে, কারণ ট্রেজারি ইয়েল্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ভবিষ্যতের সুদের হার সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত কর সংস্কার ঘিরে ট্রেডারদের প্রত্যাশা। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, প্রস্তাবিত সংস্কার বাস্তবায়ন করলে জাতীয় ঋণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। স্বল্পমেয়াদে, ফেডের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের দিকে নিবিড়ভাবে নজর উচিত রাখা হবে, কারণ সেগুলো ট্রেডারদের প্রত্যাশা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন। মনে করিয়ে দিচ্ছি, InstaForex স্টক, সূচক ও ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ের জন্য সর্বোত্তম শর্ত প্রদান করে, যা আপনাকে বাজারদরের ওঠানামা থেকে কার্যকরভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ করে দেয়।

Read more: https://ifxpr.com/3Hiq7As (https://ifxpr.com/3Hiq7As)

LIMAFX
2025-05-22, 08:07 PM
২২ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/913607718.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। জার্মানি, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসের সার্ভিস ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি সূচক প্রকাশিত হবে। সহজেই অনুমান করা যায় যে চলমান বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতির সম্ভাবনা নেই। যেকোনো পরিস্থিতিতেই, এই সূচকগুলো এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা হঠাৎ করে মার্কিন ডলার বিক্রি বন্ধ করে দেবে। ট্রেডারদের কাছে অন্যান্য প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্ব আরও কম। খুব কম ট্রেডারই জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স বা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আবাসন বিক্রির প্রতিবেদনের প্রতি আগ্রহ প্রদর্শন করবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি জন উইলিয়ামস, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লুইস দে গুইন্ডোস এবং ফ্র্যাঙ্ক এলডারসন, এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি স্বাতি ধিংগ্রা ও হিউ পিলের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তবে, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিগত অবস্থান ১০০% স্পষ্ট এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র একটি মাত্র বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করছে—তখন এই বক্তৃতাগুলোর কতটুকু গুরুত্ব রয়েছে? আমাদের মতে, ট্রেডারদের কাছে এখনো একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ, যা ধীরে ধীরে প্রশমিত হলেও এখনো চলমান। ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিচ্ছেন, তবে এই খবর মার্কিন ডলারের জন্য খুবই দুর্বলভাবে সমর্থন দিচ্ছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন, বা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন—তাহলে আরও জোরালোভাবে ডলারের দরপতন হতে পারে। এমনকি নতুন করে শুল্ক আরোপ ছাড়াও যদি মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্প ও গৃহীত নীতিমালার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে, তাতেও ডলার দরপতন হতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে EUR/USD ও GBP/USD উভয় পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। আজ বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও এগুলো এমন কোনো প্রতিবেদন নয় যা মার্কেটের বুলিশ প্রবণতাকে বিয়ারিশে রূপান্তরিত করতে পারে। এই সপ্তাহে আমরা দেখতে পেয়েছি, শক্তিশালী কারণ বা অনুঘটক ছাড়াও মার্কেটের ট্রেডাররা উভয় পেয়ারই ক্রয় করার ইচ্ছা দেখিয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সহজেই আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। (https://ifxpr.com/43tfZfQ)

Read more: https://ifxpr.com/43tfZfQ

LIMAFX
2025-05-23, 06:35 PM
ফেড ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধের আগে নীতিমালা পরিবর্তনে প্রস্তুত নয়
http://forex-bangla.com/customavatars/1918282660.jpg
সাম্প্রতিক বিশ্লেষণগুলোতে আমি বারবার ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি, ট্রেডারদের প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছি। আমার মতে, ফেডের মুদ্রানীতির নমনীয়করণের বিষয়ে এখনো ট্রেডারদের মধ্যে অতিরিক্ত উচ্চ মাত্রার প্রত্যাশা রয়ে গেছে। এই প্রত্যাশা আগের বছরেও অতিরঞ্জিত ছিল, যখন সবাই আশা করেছিল যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্তত 1.5–1.75% হারে সুদের হার কমাবে। বাস্তবে, FOMC মাত্র তিনবার মোট 100 বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমিয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুতে প্রায় সবাই ২ থেকে ৪ দফা সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিল, যদিও সর্বশেষ দুটি ডট-প্লট চার্টে সর্বোচ্চ দুই দফায় সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনায় বড় ধরনের ভারসাম্যহীনতা এবং অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। শুল্ক যুদ্ধ শুরুর পর কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই ফেডের সকল কর্মকর্তা মুদ্রাস্ফীতির তীব্র বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিতে শুরু করেন। কেউ বলছেন এটি স্বল্পস্থায়ী হবে, আবার কেউ বলছেন এটি দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী হতে পারে। যেভাবেই হোক, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে—এটা অনিবার্য। কারণ যদি সব আমদানিকৃত পণ্যের দাম মাত্র ১০% বাড়ে, তাহলে মূল্যস্ফীতি এড়ানো সম্ভব নয়। আর এটি ভুলে গেলে চলবে না যে ১০% হচ্ছে ট্রাম্পের নির্ধারিত সর্বনিম্ন শুল্ক হার। এই হারে ৭৫টি দেশের ওপর শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে— যেখানে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক ৩০%। আরও উল্লেখযোগ্য হলো, গাড়ি, স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫% শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম অন্তত ৪–৫% বৃদ্ধি পাওয়া অবধারিত। এই প্রেক্ষাপটে ফেড এখন মুদ্রানীতি নমনীয় করতে ইচ্ছুক নয়, কারণ কেউই নিশ্চিত নয় যে মূল্যস্ফীতি কতটা বাড়তে পারে। যদিও জিডিপি প্রবৃদ্ধিও ফেডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, ট্রাম্প কয়েক মাসেই কোনো অর্থনৈতিক "মন্দা" সৃষ্টি করতে পারবে না। যদি জিডিপির দ্রুত পতন শুরু হয়, তখন ফেড হস্তক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু আপাতত তাদের প্রধান লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ২%-এ নামানো। অতএব, ট্রেডাররা বাস্তবিকভাবে সর্বোচ্চ যা আশা করতে পারে তা হলো ২০২৫ সালে মাত্র একবার সুদের হার কমানো হতে পারে। ফেডের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন যে, FOMC কেবল তখনই সুদের হার কমাবে যদি চূড়ান্ত শুল্ক প্রস্তাবিত সীমার নিচে থাকে। অর্থাৎ শুল্ক ১০% এর বেশি না হলে। ওয়ালার আরও মনে করেন যে জুলাইয়ের মধ্যেই সব বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। তাহলেই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হবে।

EUR/USD পেয়ারের ওয়েভের পূর্বাভাস: সম্পাদিত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বলা যায়, EUR/USD পেয়ারের এখনো একটি বুলিশ ওয়েভ সেগমেন্ট বিকশিত হচ্ছে। স্বল্প-মেয়াদে ওয়েভ স্ট্রাকচার সম্পূর্ণভাবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও মার্কিন বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত সংবাদের প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করবে—এটি মাথায় রাখা দরকার। ওয়েভ ৩ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং সম্ভাব্য লক্ষ্য 1.25 পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। তাই আমি এখনো 1.1572 লেভেলের ওপরে টার্গেট রেখে লং পজিশন বিবেচনা করছি, যা 423.6% ফিবোনাচ্চি লেভেলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। অবশ্য, বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমিত হলে এই বুলিশ ওয়েভ রিভার্স করতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত ওয়েভ ভিত্তিক কোনো রিভার্সাল সিগনাল দৃশ্যমান নয়। GBP/USD পেয়ারের ওয়েভের পূর্বাভাস: GBP/USD-এর ওয়েভ স্ট্রাকচার পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে আমরা একটি বুলিশ ইম্পালস ওয়েভ দেখতে পাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কেটে এমন বহু শক ও ট্রেন্ড রিভার্সাল দেখা যেতে পারে, যা কোনো ওয়েভ স্ট্রাকচার বা টেকনিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী হবে না। আপওয়ার্ড ওয়েভ ৩-এর গঠন চলমান রয়েছে, যার নিকটতম টার্গেট হলো 1.3541 এবং 1.3714। তাই আমি এখনো বাই পজিশন বিবেচনা করছি, কারণ মার্কেটে এখনো ট্রেন্ড রিভার্সালের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আমার বিশ্লেষণের মূল নীতিমালা: ওয়েভ স্ট্রাকচারগুলো সহজবোধ্য এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল স্ট্রাকচার বিশ্লেষণ কঠিন এবং প্রায়ই পরিবর্তনশীল হয়। যদি মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, তাহলে ট্রেড না করাই ভালো। মার্কেটের দিকনির্দেশনা সম্পর্কে ১০০% নিশ্চয়তা কখনোই সম্ভব নয়। সুরক্ষিত থাকার জন্য সর্বদা স্টপ-লস ব্যবহার করুন। ওয়েভ অ্যানালাইসিস অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি ও ট্রেডিং কৌশলের সঙ্গে একত্রে ব্যবহারযোগ্য এবং করা উচিত। (https://ifxpr.com/4jiVoAC)

Read more: https://ifxpr.com/4jiVoAC

LIMAFX
2025-05-26, 04:42 PM
২৬ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/326062763.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। তাই সোমবারের ট্রেডিংয়ে কোনো পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের ওপর মৌলিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের গুরুত্ব খুব একটা নেই। এমনকি কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই—মূলত ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞা বা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গত সপ্তাহে বারবার ডলারের দরপতন ঘটেছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের নির্ধারিত ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তৃতা উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে আগেও বলা হয়েছে, বর্তমানে মার্কেটে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্যদের বক্তৃতাগুলোর তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ছে না, কারণ নীতিগত অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা ইতোমধ্যেই ট্রেডারদের কাছে সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট। এখন শুধু "ট্রাম্পের পদক্ষেপ" ঘিরেই ট্রেডিং চলছে। এমনকি ক্রিস্টিন লাগার্ডে যদি আজ ঘোষণা দেন যে ইসিবি মূল সুদের হার শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রস্তুত, তবুও মার্কেটে কোনো দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে। আমাদের মতে, বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো একমাত্র বিষয় যা মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ—যদি এটি ধীরে ধীরে প্রশমিত হচ্ছে, তবুও এখনো এটি চলমান রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন, তবে এই খবর ডলারের জন্য খুব একটা সহায়ক হচ্ছে না। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক আরও বাড়িয়ে দেন অথবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হন—তাহলে যেমনটি আমরা গত সপ্তাহেই দেখেছি—ডলারের দরপতন আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে, আর ডলার যেকোনো কারণেই (বা কোনো কারণ ছাড়াই) দরপতনের শিকার হতে পারে। সোমবার কিছুটা কারেকশন দেখা যেতে পারে, তবে সামগ্রিক প্রবণতা ও বাজার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে। ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে এখনো গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। (https://ifxpr.com/4dEsEBo)

Read more: https://ifxpr.com/4dEsEBo

SumonIslam
2025-05-27, 05:19 PM
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ২৭ মে
http://forex-bangla.com/customavatars/591329347.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ ১ জুন থেকে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০% পর্যন্ত বাড়ানো হবে ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর সোমবার দিনের শুরুতে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়। তবে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েনের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পিছিয়ে ৯ জুলাই করার ঘোষণা দিলে, এই পেয়ারটি পরে আবারও দরপতনের মুখে পড়ে। ট্রাম্প ও ভন ডার লায়েনের ভাষ্যমতে, কার্যকর আলোচনা ও সমঝোতায় পৌঁছাতে পাঁচ সপ্তাহই যথেষ্ট সময়। আমাদের মতে, "সমঝোতা" মানেই যে ইতিবাচক কিছু হবে তা নয় — তবে এক মাস দেড় মাসের মধ্যে বোঝা যাবে, আদৌ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব কি না। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইইউ সহজে চাপের মধ্যে পড়তে চাচ্ছে না, তবে তুলনামূলকভাবে নমনীয় অবস্থান বজায় রেখেছে। ইউরোপ ট্রাম্পের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং তার শক্তিশালী অবস্থানের স্বীকৃতিও তারা দিয়েছে। তবে, ইউরোপ যেকোনো শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। সুতরাং আলোচনায় মতৈক্যে পৌঁছানো কঠিন হবে বলেই ধরে নেওয়া যায়, কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সমস্যা হলো, এই আলোচনার প্রায় কোনো তথ্যই গণমাধ্যমে আসছে না, তাই পরবর্তী দেড় মাস মার্কেটের ট্রেডাররা শুধু অনুমানই করে যাবে আলোচনা কতটা অগ্রসর হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ডলারের মূল্যের আরও অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রেডাররা বারবার নতুন করে ডলারের শর্ট পজিশন ওপেন করছে, আবার ট্রাম্পের হঠাৎ মত পরিবর্তনের কারণে পরদিনই তা ক্লোজ করতে বাধ্য হচ্ছে — এসব করতে করতে তারা ক্লান্তি বোধ করছে। কেউ কেউ শর্ট পজিশন ক্লোজ করছে না — আবার সবাই সবসময় করছে না। এমনকি মৌলিক কোনো কারণ ছাড়াও মার্কিন ডলার এখনো প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। সোমবারের ট্রেডিং সিগন্যালের বিষয়ে বলতে গেলে — তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু দেখা যায়নি। এই পেয়ারের মূল্য কোনো লেভেল বা লাইন টেস্ট করেনি। ইউরোপীয় সেশনে মূল্য 1.1426 লেভেলের খুব কাছাকাছি এসেছিল, তবে সেখানে পৌঁছায়নি।

COT রিপোর্ট সর্বশেষ COT রিপোর্ট ২০ মে প্রকাশিত হয়েছিল। উপরের চার্টে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ২০২৪ সালের শেষে কিছু সময়ের জন্য বিক্রেতারা মার্কেটে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল, কিন্তু তারা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ডলারের মূল্য নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। আমরা ১০০% নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি না যে ডলারের দরপতন চলতেই থাকবে, তবে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পক্ষে কোনো মৌলিক কারণ নেই; তবে ডলারের দরপতন হওয়ার জন্য একটি বড় কারণ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনো বিদ্যমান, যদিও এই মুহূর্তে "প্রবণতা" শব্দের প্রভাবই বা কী? ট্রাম্প যদি বাণিজ্য যুদ্ধের যবনিকা টানেন, তবে ডলার আবারও শক্তিশালী হতে পারে, কিন্তু আদৌ কি তিনি তা করবেন? লাল এবং নীল লাইনগুলো আবারও একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যা মার্কেটে নতুন করে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" ট্রেডারদের লং পজিশনের সংখ্যা 3,500 কমেছে, এবং শর্ট পজিশনের সংখ্যা 6,800 বেড়েছে। ফলস্বরূপ, নিট পজিশনের সংখ্যা 10,300 কমেছে। তবে, COT রিপোর্টগুলো এক সপ্তাহ পরে প্রকাশিত হয়। এখন আবারও মার্কেটের ট্রেডাররা সক্রিয়ভাবে এই পেয়ার ক্রয় করছে।

EUR/USD পেয়ারের 1 ঘন্টার চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন স্বল্পমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো সম্পূর্ণভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। যদি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয় এবং শুল্ক হ্রাস পায়, তাহলে ডলার পুনরুদ্ধারের সুযোগ পাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো শান্তিপূর্ণ সমঝোতার আভাস নেই। ট্রাম্প এখনো অস্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন ও বিস্ময়কর মন্তব্য করে যাচ্ছেন, যা মার্কেটের ট্রেডারদেরকে হতবাক করে দিচ্ছে। ট্রেডাররা এখন সবচেয়ে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করছে এবং ট্রাম্পের ওপর আস্থা হারিয়েছে। যখন ট্রেন্ডলাইন ও ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের ব্রেকআউটের ঘটে এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হবে আমরা তখনই ধরে নিতে পারব যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। ২৭ মে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0823, 1.0886, 1.0949, 1.1006, 1.1092, 1.1147, 1.1185, 1.1234, 1.1274, 1.1362, 1.1426, 1.1534, 1.1607। সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.1214) এবং কিজুন-সেন লাইন (1.1322) রয়েছে। দিনের বেলায় ইচিমোকু লাইনের অবস্থান পরিবর্তিত হতে পারে, তাই সিগন্যাল বিশ্লেষণের সময় তা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। যখন মূল্য আপনার অনুকূলে ১৫ পিপস অগ্রসর হয়, তখন ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে ভুলবেন না — কারণ এটি ভুল সিগন্যাল থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। মঙ্গলবার ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট বা প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এটির ফলাফল ডলারকে সহায়তা করতে পারবে এমন সম্ভাবনা নেই। সবোর্চ্চ মার্কিন গ্রিনব্যাকের দর ৪০–৫০ পিপস পর্যন্ত সাময়িকভাবে বাড়তে পারে, তবে ডলারের মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা এখনো ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে। (https://ifxpr.com/4jpczjX)

Read more: https://ifxpr.com/4jpczjX

LIMAFX
2025-05-28, 03:26 PM
২৮ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
http://forex-bangla.com/customavatars/542431904.jpg
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা সোমবার থেকেই শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত মার্কিন ডলারের দর আরও বৃদ্ধি পেয়েছে; তবে এতে খুব একটা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ১ জুন থেকে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ডলারের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে মনে করে দেখুন, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ১১৫% শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়েছিল, তখনও ডলার অল্প সময়ের জন্য শক্তিশালী হয়েছিল — কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। গতকাল প্রকাশিত ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনও মার্কিন ডলারকে কিছুটা সমর্থন প্রদান করে, কারণ এটির ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কম হতাশাজনক ছিল। ফলে টানা দুই দিন ধরে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এটিকে কোনোভাবেই বিগত চার মাসের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি বলা যাবে না। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। ট্রেন্ডলাইন এবং 1.1267 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হলে আবারও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/947673458.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট আদর্শ ছিল না। যদিও দিনের পুরো সময়জুড়ে সাধারণভাবে নিম্নমুখী প্রবণতা বিদ্যমান ছিল, তবে এটি এড়ানো যেত যদি ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত না হত। মার্কিন সেশনের শুরুতে মূল্য 1.1354–1.1363 জোন ব্রেক করে উপরের দিকে যায়, কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশের ঠিক পরপরই আবারও ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ফলে দিনের প্রায় সব ট্রেডিং সিগন্যাল ভুল ছিল অথবা দেরিতে গঠিত হয়। সারাদিনজুড়ে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট টেকনিক্যাল সিগন্যালকে ছাপিয়ে গেছে।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা এখনো বজায় রয়েছে। মনে হচ্ছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে শুরু হওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অব্যাহত থাকবে। এই মুহূর্তে মার্কেটে ডলারের প্রতি অনাস্থা তৈরি হওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই একটি তথ্যই যথেষ্ট যে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প যখন হুমকি দেন, চূড়ান্ত শর্ত আরোপ করেন বা শুল্ক আরোপ ও বৃদ্ধি করেন, তখন মার্কেটের ট্রেডারদের হাতে ডলার বিক্রি করা ছাড়া খুব কমই বিকল্প থাকে। বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে ট্রেন্ডলাইন ও 1.1267 লেভেল ব্রেক করে মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার জন্য শক্তিশালী কোনো ভিত্তির প্রয়োজন হবে। আমরা অনুমান করছি, এই লেভেল এবং ট্রেন্ডলাইনের কাছাকাছি কোথাও একটি ঊর্ধ্বমুখী রিবাউন্ড দেখা দিতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। ইউরোজোনে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, তবে এটিকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতিকে উপেক্ষা করছে, তাই এই মিনিটস বা কার্যবিবরণীর উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব প্রত্যাশিত নয়। (https://ifxpr.com/4dFbljx)

Read more: https://ifxpr.com/4dFbljx

LIMAFX
2025-05-29, 04:58 PM
২৯ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1367732287.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুবই কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোজোনে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি এবং বেকারভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জিডিপি প্রতিবেদনটি হবে প্রথম প্রান্তিকের দ্বিতীয় অনুমান, যা বস্তুগতভাবে তিনটি অনুমানের মধ্যে সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ। বেকারভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে যদি পূর্বাভাসের তুলনায় প্রকৃত ফলাফল বড় ধরনের বিচ্যুতি না দেখা যায়, তাহলে তা মার্কেটে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না — আর এই ধরনের বিচ্যুতি খুব কমই ঘটে থাকে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের—থমা বারকিন, অস্টান গুল্সবি, অ্যাড্রিয়ানা কুগলার এবং ম্যারি ডেলি—বক্তব্যগুলো কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে, আমরা পূর্বেও বলেছি, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিমালা ও দৃষ্টিভঙ্গি মোটামুটি ১০০% স্পষ্ট। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন কেবল "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করছে। সম্প্রতি ফেডের অনেক সদস্য বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের মুদ্রানীতির দিক নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। সারসংক্ষেপে, তারা অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে ট্রাম্পের শুল্কের পূর্ণ প্রভাব প্রতিফলিত হওয়ার অপেক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। গতকাল প্রকাশিত ফেডের মিনিটেও এই দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য এখনো একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাণিজ্য যুদ্ধ, যা ধীরে ধীরে প্রশমিত হলেও এখনো চলমান রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়ে চলেছেন, তবে এসব তথ্য ডলারকে খুব বেশি সহায়তা করতে পারেনি। যদি বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে চুক্তিগুলো চূড়ান্ত না হয় অথবা আলোচনা দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি ট্রাম্প নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ না করলেও তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মনোভাবের কারণে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের আগের দিনে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের (EUR/USD এবং GBP/USD) নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ এটি এখন একটি টেকনিক্যাল কারেকশন বলে মনে হচ্ছে। একই সময়ে, আমরা ডলারের মূল্যের স্থায়ী বৃদ্ধির কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ দেখতে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে, উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আপাতত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশেষ করে যখন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন করে কোনো উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত নেই। তবে, আমরা এটাও বলতে পারছি না যে, বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনেরও সুস্পষ্ট কোনো লক্ষণ রয়েছে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত। ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন। MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন। স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে। চার্টের মূল উপাদান: সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী। লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে। MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়। ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। (https://ifxpr.com/4jr1QFM)

Read more: https://ifxpr.com/4jr1QFM

LIMAFX
2025-05-30, 07:36 PM
৩০ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/495313185.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনকেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। জার্মানিতে মে মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে ২% হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিবার মুদ্রাস্ফীতি কমার সাথে সাথে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) মুদ্রানীতির আরও নমনীয় হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে, এই পদক্ষেপ বর্তমানে ইউরোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা পুরোপুরিভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ সংক্রান্ত ইস্যুর উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রেখেছে। এর পাশাপাশি, জার্মানিতে স্বল্প গুরুত্বপূর্ণ খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রেও আজ তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এর কোনোটিই মার্কেটে ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে। এই তিনটি প্রতিবেদন হলো: PCE প্রাইস ইনডেক্স, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স, এবং ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। আমরা আশা করছি না যে এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি—অস্টেন গুল্সবি, রাফায়েল বস্টিক এবং লরি লোগানের—বক্তব্যগ লোর কথা উল্লেখ করা যায়। তবে পূর্বে যেমনটি বলা হয়েছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের বক্তব্য মার্কেটে প্রভাবিত করছে না, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি ইতিমধ্যেই ট্রেডারদের কাছে শতভাগ স্পষ্ট। ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র "ট্রাম্প ফ্যাক্টর"-কে কেন্দ্র করেই ট্রেড করছে, যা গতকালের সেশনে আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া, সম্প্রতি ফেডের বহু কর্মকর্তা ইতোমধ্যে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। সংক্ষেপে, তারা মনে করছেন যে ট্রাম্পের শুল্কনীতির পূর্ণ প্রভাব অর্থনৈতিক সূচকে প্রতিফলিত হতে কিছুটা সময় লাগবে। আমাদের বিশ্বাস, ট্রেডাররা এখনো শুধুমাত্র বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন, যার উত্তেজনার মাত্রা ধীরে ধীরে কমছে ঠিকই, কিন্তু এখনো সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়নি। যদি বেশিরভাগ দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি না হয় কিংবা আলোচনাগুলো দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ না করলেও, মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ট্রাম্প এবং তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি চরম নেতিবাচক মনোভাবের কারণে ডলার দরপতনের শিকার হতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত ট্রাম্পের শুল্ক বাতিল করার রায় দিলেও, সন্ধ্যার মধ্যেই তারা সেই রায় স্থগিত করে দেয়। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ ট্রেডিং দিনে, উভয় কারেন্সি পেয়ার (EUR/USD এবং GBP/USD) আবারও দক্ষিণমুখী মুভমেন্ট শুরু করতে পারে, কারণ এটি একটি টেকনিক্যাল কারেকশনের সময় বলে মনে হচ্ছে। একই সাথে, দীর্ঘমেয়াদি ডলার র্যালির জন্য কোনো শক্তিশালী কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সম্ভবত এই মুহূর্তে উভয় পেয়ারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়ে গেছে, কারণ নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের কোনো বিস্তার দেখা যাচ্ছে না। তবে, পাশাপাশি কোনো সত্যিকারের ডি-এসকেলেশন বা উত্তেজনা হ্রাসেরও স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রেডিংয়ের ভিত্তি হওয়া উচিত টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ। (https://ifxpr.com/3Z4847l)

Read more: https://ifxpr.com/3Z4847l

LIMAFX
2025-06-02, 03:55 PM
ISM সূচক, ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি, ইসিবির বৈঠক এবং মে মাসের নন-ফার্ম পেরোল
http://forex-bangla.com/customavatars/1690702359.jpg
এ সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে ভরপুর রয়েছে। প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের জন্য ঐতিহ্যগতভাবে সবচেয়ে বেশি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে থাকে, এবং জুনও এর ব্যতিক্রম হবে না। ক্যালেন্ডারে মার্কিন ISM সূচক, ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন, এবং গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অতিরিক্ত হিসেবে রয়েছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) জুন মাসের বৈঠক। অর্থাৎ, আসন্ন সপ্তাহটি বেশ ঘটনাবহুল, তথ্যসমৃদ্ধ এবং অত্যন্ত অস্থিরতা হবে বলে মনে হচ্ছে।

সোমবার
সোমবার ইউরোপীয় সেশনে মে মাসের চূড়ান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, চূড়ান্ত অনুমানের ফলাফল প্রাথমিক অনুমানের সঙ্গে মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে, তাই ট্রেডাররা সম্ভবত এই প্রতিবেদন উপেক্ষা করবে। তবে, মার্কিন সেশনের প্রতিবেদনগুলো সম্ভবত মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা বাড়াবে। বিশেষ করে, মে মাসের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক প্রকাশিত হবে। এই সূচক টানা চার মাস ধরে কমেছে এবং গত দুই মাস ধরে সংকোচন অঞ্চলে (৫০ পয়েন্টের নিচে) অবস্থান করছে। বিশ্লেষকেরা মে মাসে সূচকটি সামান্য বেড়ে ৪৯.৩-তে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন। যদি প্রত্যাশার বিপরীতে সূচকটি ৫০-এর ওপরে উঠে যায়, তাহলে ডলার উল্লেখযোগ্য সহায়তা পাবে। মার্কিন সেশনে ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও বক্তব্য দেবেন: ডালাস ফেডের প্রেসিডেন্ট লরি লোগান (এই বছর ভোটাধিকার নেই), শিকাগো ফেডের প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবি (ভোটাধিকার প্রাপ্ত সদস্য), এবং ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার

মঙ্গলবার দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোনের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই অঞ্চলের সামগ্রিক ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) দুই মাস ২.২%-এ থাকার পর বার্ষিক ভিত্তিতে কমে ২.০%-এ নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খাদ্য মূল্য বাদ দিয়ে মূল CPI-ও ২.৭% থেকে কমে ২.৪%-এ নামবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এমন ফলাফল জুনের বৈঠকে ইসিবি কর্তৃক আরেকবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে সমর্থন করবে। তবে, এটা মনে রাখা জরুরি যে জুনে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাস ইতোমধ্যে মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে। তাই মে মাসের মুদ্রাস্ফীতি কমে গেলে সেটির প্রভাব মার্কেটে পড়বে না, যদি না মুদ্রাস্ফীতি অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায়—সেক্ষেত্রে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা উল্লেখযোগ্য অনুপ্রেরণা পেতে পারে। মার্কিন সেশনে এপ্রিল মাসের JOLTs থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গত মাসে এই প্রতিবেদনের ফলাফল ৭.১৯ মিলিয়ন এসেছিল (৭.৪৯ মিলিয়নের পূর্বাভাসের তুলনায় কম), যা টানা দুই মাস ধরে পতন নির্দেশ করছে। বিশ্লেষকেরা এই ফলাফল আরও একবার হ্রাস পেয়ে ৭.০৩ মিলিয়ন হবে বলে আশা করছেন। যদিও এই সূচকটি বেশ দেরিতে প্রকাশিত হবে, তবুও এটি ডলারের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি জোরদার করতে পারে।

বুধবার ADP থেকে মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা অফিশিয়াল ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী মে মাসে মাত্র ১১০,০০০ কর্মসংস্থান বাড়বে, যা দুর্বল ফলাফল এবং ননফার্ম প্রতিবেদনের জন্য ভালো সংকেত নয়, যদিও দুটি প্রতিবেদনের ফলাফল সবসময় সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। গত মাসে ADP-র প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছিল কর্মসংস্থান ৬২,০০০ বেড়েছে, আর ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন কর্মসংস্থান +১৭৭,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এদিন ISM থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-ও প্রকাশিত হবে। এটি মে মাসে এপ্রিলের ৫১.৬ থেকে বেড়ে ৫২.০-তে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডলারের ক্রেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো সূচকটি যেন ৫০-এর ওপরে থাকে। এদিন ফেডের প্রধান বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন আটলান্টা ফেডের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বোস্টিক (যার এই বছর ভোটাধিকার নেই) এবং ফেড গভর্নর লিসা কুক (ভোটাধিকার প্রাপ্ত সদস্য)।

বৃহস্পতিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুন মাসের বৈঠক সভা। সম্ভাব্য দৃশ্যপট অনুযায়ী, সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাস করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে ইসিবির। ফ্রাঁসোয়া ভিলেরোই ডি গালো, পিয়েরে উঁশ, এবং মারিও সেন্তেনোর মত কর্মকর্তাদের পূর্ববর্তী বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত মার্কেটে ইতোমধ্যেই মূল্যায়িত হয়েছে। তাই ইসিবির বিবৃতি ও ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্যের দিকে দৃষ্টি থাকবে। "হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেও সুদের হার হ্রাসের" সম্ভাবনা রয়েছে—ইসিবি সুদের হার কমালেও হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রেসিডেন্ট ফাবিও পানেত্তা সম্প্রতি বলেছেন ইসিবির সুদের হার কমানোর সুযোগ "সীমিত", এবং তিনি বাস্তববাদী ও নমনীয় পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসিবি যদি এমন সংকেত দেয়, তাহলে ইউরো উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হতে পারে। বৃহস্পতিবার ফেডের বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন গভর্নর অ্যাড্রিয়ানা কুগলার এবং ফিলাডেলফিয়া ফেড প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক হার্কার (যিনি শীঘ্রই অবসর নিচ্ছেন)।

শুক্রবার শুক্রবার ট্রেডারদের দৃষ্টি মে মাসের ননফার্ম পেরোলস-এর দিকে নিবদ্ধ থাকবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী মাত্র ১৩০,০০০ কর্মসংস্থান বাড়বে, যেখানে এপ্রিল মাসে ১৭৭,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বেকারত্বের হার ৪.২%-এ অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং গড় ঘন্টা মজুরি বৃদ্ধির হার কমে ৩.৮%-এ নামবে। লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট ৬২.৫%-এ কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস অনুযায়ী বা এর নিচে আসে, তাহলে ডলার আবারও চাপের মধ্যে পড়বে।

উপসংহার জুনের প্রথম সপ্তাহে বেশ অনেকগুলো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং বেশ উচ্চমাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছে। ISM সূচক এবং ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের প্রতি ডলারের ট্রেডাররা প্রতিক্রিয়া দেখাবে, এবং ইউরোর ট্রেডাররা মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ও ইসিবির বৈঠকের সভার ফলাফলের ওপর প্রতিক্রিয়া দেখাবে। এছাড়াও, ট্রেডাররা মার্কিন-চীন এবং মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য আলোচনার খবরের ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখবে। গত শুক্রবার, ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত কাঁচামালের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন, যার ফলে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীন অভিযোগ তোলে যে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়াকে "বারুদের স্তুপে" পরিণত করছে এবং পেন্টাগন প্রধান পিটার হেগসেথের "ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুমকি" মন্তব্যের নিন্দা জানায়। যদি এই দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে, তাহলে ISM বা ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন থেকে সমর্থন পেলেও ডলার তীব্র চাপের মুখে পড়বে। আমার বিশ্বাস ডলার এখনও দুর্বল অবস্থায় রয়েছে, তাই EUR/USD-র যেকোনো দরপতনকে লং পজিশন ওপেন করা সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে প্রথম (এবং প্রধান) লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1430-এর লেভেল—যা D1 টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের ঊর্ধ্বসীমা। (https://ifxpr.com/4mN8cSY)

Read more: https://ifxpr.com/4mN8cSY

LIMAFX
2025-06-03, 06:10 PM
ট্রেডাররা জাপানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না
http://forex-bangla.com/customavatars/905826168.jpg
আজ ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর কাজুয়ো উয়েদা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে পরবর্তী অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারী বন্ড ক্রয়ের গতি আরও মন্থর করতে পারে—যেহেতু বোর্ড বন্ড ক্রয় কর্মসূচি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এর পরপরই ইয়েন দুর্বল হয় এবং ডলারের বিপরীতে কিছুটা দরপতনের শিকার হয়। যদিও এই বক্তব্যটি ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং নতুন করে জাপানের মুদ্রানীতির মূল্যায়নের সূচনা করেছে, তবুও মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে ধীরগতিতে হলেও আরও কঠোর নীতিমালার দিকেই অগ্রসর হওয়ার সংকেত হিসেবে দেখছে। পূর্বে বিনিয়োগকারীরা ধরে নিচ্ছিলেন যে ব্যাংক অব জাপান তাদের 'অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের' অবস্থান অব্যাহত রাখবে, কিন্তু এখন তারা বাধ্য হচ্ছেন এই সম্ভাবনাও বিবেচনায় আনতে যে, ব্যাংক অব জাপান পূর্বাভাসের তুলনায় দ্রুতই দীর্ঘদিনের কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং কর্মসূচি থেকে সরে আসতে পারে।
ব্যাংক অব জাপানের অবস্থানের পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ—যার মধ্যে অন্যতম হলো বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি এবং আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। বন্ড ক্রয় হ্রাস মূলত মুদ্রানীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রথম ধাপ, যা বৈশ্বিক মূলধন প্রবাহের ওপরও প্রভাব ফেলবে। "বেশ কয়েকটি মতামতে বলা হয়েছে, বন্ড ক্রয় কমানোর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়াই উপযুক্ত হবে, তবে এটি যেন পূর্বানুমানযোগ্য া ও নমনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে,"—মঙ্গলবার কাজুয়ো উয়েদা গত মাসে ব্যাংক অব জাপান আয়োজিত বন্ড মার্কেট ট্রেডারদের সঙ্গে সভায় আলোচিত মতামতগুলো তুলে ধরেন। তার বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, ব্যাংক অব জাপান মনে করে ট্রেডাররা সামগ্রিকভাবে বন্ড ক্রয় হ্রাসকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছে, বিশেষ করে যখন গত গ্রীষ্মে কোয়ান্টিটেটিভ টাইটেনিং শুরু হয়েছিল। চলতি মাসের শেষ দিকে ব্যাংক অব জাপান আগামী অর্থবছরের (এপ্রিল থেকে শুরু) জন্য বন্ড ক্রয়ের পরিকল্পনা প্রকাশ করতে পারে, যদিও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা এখনো নির্ধারিত করা হয়নি। উয়েদা আরও উল্লেখ করেন যে, ব্যাংক অব জাপান বর্তমানে ৪০০ বিলিয়ন ইয়েনের (প্রায় $2.8 বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বন্ড ক্রয়ের পরিকল্পনা বজায় রাখবে, এবং এই পরিমাণের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা এখনো খুব সীমিত। এইসব ঘোষণার প্রেক্ষিতে, বন্ড ট্রেডাররা এখন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে—দীর্ঘ এক দশকের অধিক সময় ধরে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির পর ব্যাংক অব জাপান, যেটি জাপানের সবচেয়ে বড় সরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান, কীভাবে ধীরে ধীরে বন্ড ক্রয় হ্রাস করবে। ব্যাংক অব জাপানের সাবেক বোর্ড সদস্য মাসাকোতো সাকুরাইসহ অনেকেই পূর্বাভাস দিচ্ছেন যে, সাম্প্রতিককালে বন্ডের ইয়েল্ডের বৃদ্ধির পর, যা মার্কেটকে এক সংকটময় পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, ব্যাংক অব জাপান হয়তো বন্ড ক্রয় হ্রাসের প্রক্রিয়া থামিয়ে দেবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সম্প্রতি ৩০-বছর মেয়াদি জাপানি বন্ডের ইয়েল্ড রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে, যা দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের চাহিদা-সরবরাহের ভারসাম্যে স্পষ্ট সংকটের ইঙ্গিত দেয়। এর ফলে আগামী ১৭ জুন ঘোষিতব্য ব্যাংক অব জাপানের বন্ড ক্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রতি আগ্রহ আরও বেড়েছে। উয়েদা বন্ড ক্রয়ের গতি সম্পর্কে খুব বেশি বিশদে যাননি, বরং তিনি বলেন এই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। ব্যাংক অব জাপান বর্তমানে জাপানের বিদ্যমান সরকারি বন্ডের প্রায় অর্ধেকই ধরে রেখেছে—এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নজিরবিহীনভাবে বন্ড ক্রয়ের ফলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উয়েদা বারবার বলেছেন যে, বন্ডের ইয়েল্ড লেভেল এখন মার্কেটেই নির্ধারিত হবে এবং এর কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারই এখন তার প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের রেফারেন্স রেট জোর করে বাড়িয়ে ভবিষ্যতে ইয়েল্ড কমানোর পরিবেশ তৈরি করতে চাই না—এমনকি যদি আমরা অর্থনীতি ও মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতির উন্নতি প্রত্যাশা করতে না পারি।" উল্লেখযোগ্য, কিছুদিন আগেই উয়েদা ইয়েনকে সমর্থন দিয়েছিলেন যখন তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে অর্থনীতির উন্নতি হলে তিনি মূল সুদের হার আরও বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছে। ব্যাংক অব জাপান এখনো এমন একটি নমনীয় কৌশল অবলম্বন করছে, যাতে প্রয়োজনে মুদ্রানীতির পরিমাণ সমন্বয় করে মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। (https://ifxpr.com/3FxgsWq)

Read more: https://ifxpr.com/3FxgsWq

LIMAFX
2025-06-04, 04:03 PM
৪ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/2141916562.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। অবশ্যই উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিষেবা খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। তবে আমরা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে সোমবার মার্কেটের ট্রেডাররা এই ধরনের সূচকগুলোর প্রতি প্রায় কোনোই মনোযোগ দেয়নি। গতকাল JOLTs থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক ফলাফল দেখা গিয়েছিল, যার ফলে ডলারের মূল্য ২০ পিপস বেড়ে যায়, তবে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডলার দরপতনের শিকার হয়। সুতরাং, আমাদের ধারণা অনুযায়ী, আজ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ISM পরিষেবা সূচকই হয়তো মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি সামগ্রিকভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। এছাড়াও, আজ যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সম্পর্কিত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, যেটিকে প্রায়ই ননফার্ম পেরোলের "ছোট ভাই" বলা হয়। তবে ননফার্ম পেরোল ও ADP প্রতিবেদনের ফলাফল ও প্রবণতা সাধারণত একসঙ্গে পাওয়া না, তাই শ্রমবাজারের ব্যাপারে ধারণা পাওয়ার জন্য ট্রেডাররা মূলত ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের দিকেই নজর রাখবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদ লাইজা কুক এবং রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। তবে, আমরা পূর্বেও বলেছি, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য মার্কেটে কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিমালা ও অবস্থান শতভাগ স্পষ্ট, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র "ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপের" ভিত্তিতে ট্রেড করছে। আমাদের বিশ্লেষণে এখনো প্রতীয়মান হয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা শুধুমাত্র চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়েই উদ্বিগ্ন। যদি বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নির্ধারিত সময়সীমার (যা এখন প্রায় এক মাস বাকি) মধ্যে সম্পাদিত না হয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি নতুন করে ট্রাম্প শুল্ক আরোপ না করলেও মার্কেটে ডলারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের কারণে এটি দুর্বল থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত শুরুতে ট্রাম্পের শুল্ককে অবরুদ্ধ করার আদেশ দিলেও সন্ধ্যায় আপিল আদালত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে। পরে সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে ট্রাম্প স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। উপসংহার: এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, সম্ভবত টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেই দুটি প্রধান কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হবে, যদি না ট্রাম্পের তরফ থেকে নতুন কোনো উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন খবর আসে। অতএব, আজ শান্ত বা এমনকি সাইডওয়েজ মুভমেন্টও দেখা যেতে পারে। ইউরোর মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ রেঞ্জ হচ্ছে 1.1354 থেকে 1.1363 এর মধ্যে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এখনো তুলনামূলকভাবে স্বাধীনভাবে ওঠানামা করছে। (https://ifxpr.com/3HqHgYT)

Read more: https://ifxpr.com/3HqHgYT

LIMAFX
2025-06-16, 04:57 PM
১৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1163695994.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই, তবে মার্কেটে খবরের কোনো ঘাটতি নেই। এই সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি সমস্ত আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন, কারণ "কালো তালিকাভুক্ত" দেশগুলোর কোনোটিই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বা গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এর পাশাপাশি শুক্রবার রাতে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে, যার সাথে যুক্তরাষ্ট্রেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে। এরপর শনিবার রাতে ইরান ইসরায়েলের একাধিক শহরে পাল্টা আক্রমণ করে। "আয়রন ডোম" শত্রুপক্ষের শত শত রকেট থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার রাতের আগে মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আর কী কী হতে পারে তা কল্পনা করাও কঠিন, তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ট্রেডাররা এই সমস্ত খবরের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে—অথবা অন্তত উচ্চমাত্রায় আবেগপ্রবণ অবস্থায় থাকবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ নির্ধারিত নেই, তবে আজ দিনের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প ইতোমধ্যে বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইরান হামলায় অংশ নেয়নি, কিন্তু এটি আদৌ কোনো গুরুত্ব বহন করে না, কারণ সবাই জানে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন প্রদান করে। আমাদের মতে, এখনো পর্যন্ত মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, এবং এর সমাধানের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। এর পাশাপাশি বর্তমানে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্র ুড়ে গণবিক্ষোভ, ট্রাম্পের "অতি সুন্দর বিল", 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনায় অগ্রগতি আছে কি না, নতুন শুল্ক আরোপ, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা এবং ইসরায়েল-ইরান সামরিক সংঘাত। ইসরায়েল-ইরানের সংঘাত, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ডলার সাময়িকভাবে কিছুটা সহায়তা পেতে পারে, তবে এই বিষয়টি শুক্রবারও ডলারকে খুব একটা সহায়তা দিতে পারেনি। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে আবারও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। আমরা এই পেয়ারগুলোর মূল্যের মুভমেন্ট নিয়ে কোনো পূর্বাভাস দিচ্ছি না, কারণ সবকিছুই উপরোক্ত বিষয়গুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খবরের ওপর নির্ভর করবে। টেকনিক্যাল লেভেল অনুসারে ট্রেড করা যেতে পারে, তবে ঘন ঘন রিভার্সাল এবং মূল্যের তীব্র ওঠানামার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। (https://ifxpr.com/4jUXS8G)

Read more: https://ifxpr.com/4jUXS8G

LIMAFX
2025-06-17, 07:02 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি, ১৭ জুন
http://forex-bangla.com/customavatars/994793736.jpg
গতকাল নিয়মিত সেশনের শেষে, মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.94% বৃদ্ধি পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক 1.55% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ 0.74% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আজ সকালের ট্রেডিং সেশনে মার্কিন ফিউচার সূচকগুলোতে পতন পরিলক্ষিত হয়েছে এবং তেলের দাম বেড়েছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেসামরিক ব্যক্তিদের তেহরান থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন—যা আগের দিনে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমন প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মার্কেটের ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এবং মার্কেটের সার্বিক অস্থিরতার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা প্রতিফলিত হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব এবং বৈশ্বিক তেল সরবরাহে এর প্রভাব মূল্যায়ন করছে। যদি তেহরান থেকে বেসামরিক লোকজনের সরে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়, তবে এটি সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য বড় প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিতে পারে, যার ফলে প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চল থেকে তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈশ্বিক নেতাবৃন্দের এবং কূটনৈতিক সংস্থাগুলোর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। যতদিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বজায় থাকবে, তেলের মূল্যের অস্থিরতা বজায় থাকবে, যা এই অঞ্চলে সম্ভাব্য পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রতিফলিত করে। এর প্রভাব শুধু জ্বালানি খাতে নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপরও পড়ছে, যা ভূ-রাজনীতি ও অর্থনীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে তুলে ধরছে। G7 সম্মেলন থেকে ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যমে করা মন্তব্যের পর S&P 500 ফিউচার 0.7% কমে গেছে। তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা পরিষ্কার নয়, কারণ কিছুক্ষণ আগেই তিনি বলেছিলেন যে ইরান একটি চুক্তি করতে চাচ্ছে। ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলোতেও দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং এশীয় স্টক মার্কেটে তেমন কোনো বড় পরিবর্তন ছাড়াই ট্রেড করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার G7 সফরসূচী সংক্ষিপ্ত করেন এবং জানান যে তার ওয়াশিংটনে ফিরে আসার কারণ যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। স্বর্ণের দাম বেড়েছে, তবে মার্কিন ডলার এবং ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ডে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতের কারণে মার্কেটে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, এবং বিনিয়োগকারীরা এই সামরিক যুদ্ধের বিস্তার ও বৃহৎ হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করছে। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন প্রধানত তেলের দামের দিকে, কারণ প্যান্ডেমিকের সময়ের কাছাকাছি মূল্যে থাকা এই কমোডিটি হঠাৎ করে আবার একটি নতুন মুদ্রাস্ফীতির উৎসে পরিণত হয়েছে। এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা কমাতে আলোচনা করতে আগ্রহী, যদিও উভয় পক্ষ এখনও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, ট্রাম্প কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। ব্রেন্ট ক্রুডের দর 2.7% বৃদ্ধির পর দর বৃদ্ধি এবং দরপতনের মধ্যে দোদুল্যমান ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, মধ্যপ্রাচ্যের উৎপাদকরা হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ করে থাকে, এবং তেহরান যদি এই পথে জাহাজ চলাচলে বাধা দেয়, তবে তেলের দাম তীব্রভাবে বেড়ে যেতে পারে। বাণিজ্য আলোচনার দিক থেকে, কানাডার আলবার্টায় অনুষ্ঠিত G7 সম্মেলনে ট্রাম্প এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি। তবে, ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে পূর্বঘোষিত বাণিজ্য শর্ত বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে একমত হন, যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ রপ্তানির ওপর শুল্ক কমাবে এবং যুক্তরাজ্য নির্দিষ্ট মার্কিন কৃষিপণ্যের জন্য কোটা বাড়াবে। অন্যদিকে, ব্যাংক অব জাপান প্রত্যাশামতো তাদের সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে এবং মার্কেটে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছর বন্ড ক্রয়ের মাত্রা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইয়েনের মূল্যে এর তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। আগামী দিনগুলোতে, ওয়াল স্ট্রিটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর মনোযোগ দেবে, যা বুধবার প্রকাশিত হবে। ফেডের কর্মকর্তারা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার বার্তা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের কাছ থেকে ইঙ্গিত খুঁজছেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে কবে ও কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটির $6013 এর কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা। এতে সফল হলে সূচকটির পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা $6030-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে $6047 এর উপরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, যা ক্রেতাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। যদি মার্কেটে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে যায় এবং সূচকটি নিম্নমুখী হয়, তবে ক্রেতাদের সূচকটির দরকে $5999 লেভেলে ধরে রাখতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি দ্রুত $5986-এ নেমে যেতে পারে এবং সেখান থেকে $5975 পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হতে পারে। (https://ifxpr.com/4kNqbHs)

Read more: https://ifxpr.com/4kNqbHs

LIMAFX
2025-06-19, 03:47 PM
১৯ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1115746.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। আজ একমাত্র উল্লেখযোগ্য বিষয় হবে ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ এবং নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। একইসঙ্গে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সামরিক সংঘাত—যাতে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে—এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য-সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে ভুলে যাওয়া যাবে না। এইগুলোই আজ উভয় ইনস্ট্রুমেন্টের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে, লাগার্দের ভাষণকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলেও, আমরা আশা করছি না যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। ইসিবির বৈঠক সদ্য অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই আজ নতুন কোনো বিবৃতির প্রত্যাশা করার কারণ নেই। এছাড়াও, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকও উল্লেখযোগ্য, যার ফলাফল আগেই অনেকটা জানা। মূল মনোযোগের বিষয় হবে মূল সুদের হার নিয়ে ভোটের ফলাফল। ভোট বিভাজনের ধরন অনুযায়ী মধ্যাহ্নের আশপাশে পাউন্ডের মূল্যের চলমান মুভমেন্টে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। আমরা মনে করি, বাণিজ্য যুদ্ধই ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এখনো কোনো সমাধানের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ইস্যুর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক গণ-আন্দোলন, ট্রাম্পের তথাকথিত "অতি সুন্দর আইন", 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি আছে কি না, নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান ট্যারিফ বৃদ্ধির বিষয়গুলো। তাত্ত্বিকভাবে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এতে জড়িয়ে পড়লে ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে আমরা মনে করি না যে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে সমর্থন পাবে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ থাকবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের দিকে। এর ফলে, আবারও উভয় পেয়ারের মূল্যের যথেষ্ট এলোমেলো মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3G6DPGv)

Read more: https://ifxpr.com/3G6DPGv

LIMAFX
2025-06-20, 06:19 PM
২০ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1481599536.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার তেমন কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে যুক্তরাজ্যের রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফলে, আজ সম্ভবত স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। ক্রিস্টিন লাগার্ডে গতকাল কিয়েভে দুটি বক্তব্য দিয়েছেন, তবে তার কোনোটিতেই তিনি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। ইতোমধ্যে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে, ফলে ইসিবি, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে শিগগিরই নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারার সম্ভাবনা কম। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ এখনো মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের উত্তেজনার দিকেই রয়ে গেছে। মার্কেটের ট্রেডারদের উদ্বেগের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যা নিষ্পত্তির কোনো ইঙ্গিত এখনো নেই। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, ট্রাম্পের "একটি অতি সুন্দর আইন", ৭৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা কতটা অগ্রসর হয়েছে কিংবা হয়নি, নতুন শুল্ক আরোপ এবং পূর্বের শুল্ক বৃদ্ধি। তত্ত্বগতভাবে, ইসরায়েল–ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত থাকার কারণে মার্কিন ডলার কিছুটা সমর্থন পেতে পারে; তবে, আমাদের বিশ্বাস ডলার ইতোমধ্যে এই ঘটনাটি থেকে সম্ভবপর সব সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সীমিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ কার্যত কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে গতকাল উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম শুরু হয়েছে, যা ইঙ্গিত দিতে পারে যে, ডলার এখন একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি দরপতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত। ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন। MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন। স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
(https://ifxpr.com/44i5r3I)
Read more: https://ifxpr.com/44i5r3I

LIMAFX
2025-06-23, 05:01 PM
ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে "দীর্ঘমেয়াদি জবাব" দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে
http://forex-bangla.com/customavatars/290970378.jpg
মার্কিন বোমারু বিমান কর্তৃক ইরানের উপর রাতভর বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই—ইরান থেকে ছোড়া হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র। তবে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি বা সম্পদ এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল না, বরং ইসরায়েলের উপর আক্রমণ করা হয়েছে, যা ভৌগোলিকভাবে ইরানের অনেক কাছাকাছি অবস্থিত। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ইরান পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। তিনি সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। আরাকচির ভাষ্যমতে, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) সরাসরি লঙ্ঘন করেছে। ইরান যুক্তি দিয়েছে, একই যুক্তির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যেকোনো পারমাণবিক স্থাপনাকে "বিপজ্জনক হুমকি" আখ্যা দিয়ে আক্রমণ করতে পারে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, "জাতিসংঘ সনদ আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে বৈধ প্রতিক্রিয়ার অনুমতি দেয়। ইরান তার সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষা করার অধিকার রাখে।" উল্লেখযোগ্য যে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর ইতিহাস বরাবরই ধোঁয়াশায় ঘেরা। কয়েক দশক ধরে ইরানি কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অনেক দেশ সন্দেহ পোষণ করে যে, ইরান পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ওয়ারহেড তৈরি করছে, যেগুলোকে "বেসামরিক গবেষণা" হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনেক পারমাণবিক স্থাপনাই ভূগর্ভে নির্মিত হওয়ায় বাইরের দৃষ্টিসীমা বা স্যাটেলাইটেও সেগুলো অদৃশ্য থাকে। স্বাভাবিকভাবেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সক্রিয় রয়েছে, এবং ইরান যে শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করছে—তা মনে করার বিশেষ কারণ নেই, বিশেষ করে যখন অঞ্চলটিতে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবুও বাস্তবিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ থাকলেও তারা তা অস্বীকার করে এবং ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে অর্থনীতিকে চাপে রাখা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে চলেছে। আমার মতে, এই পর্যায়ে এসেও তেহরান স্বেচ্ছায় পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করবে এমন সম্ভাবনা নেই। ইরানের তা করার জন্য প্রায় ৪০ বছর সময় ছিল। এখনও পর্যন্ত তা না করা মানেই, পারমাণবিক কর্মসূচীর উন্নয়ন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বা বিশ্বের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ফলে, এই সংঘাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি, এবং দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি আঘাত হানতে থাকবে। সোমবার ডলার কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে? এটি একটি জটিল প্রশ্ন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন ডলার "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে তার অবস্থান হারিয়েছে। এখন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি একটি আন্তর্জাতিক সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে গেছে। বিনিয়গকারীকে এই ঘটনাকে ইতিবাচকভাবে দেখবে কিনা বা মার্কিন মুদ্রার চাহিদা বাড়বে কিনা সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান। (https://ifxpr.com/3T4fwfd)

Read more: https://ifxpr.com/3T4fwfd

LIMAFX
2025-06-24, 05:05 PM
২৪ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1542022331.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কার্যত, উল্লেখযোগ্য বলতে কেবল জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স রয়েছে — কিন্তু এখন কে আসলেই এই সূচকের প্রতি আগ্রহী থাকবে? গতকাল ট্রেডাররা জার্মানি, ইইউ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের আটটি বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্সকে সরাসরি উপেক্ষা করেছে, কারণ অন্য সংবাদগুলি এগুলোর ওপর সুস্পষ্টভাবে ছায়া ফেলেছে। আজও একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দ এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। আবারও বলি, আমরা লাগার্দ কিংবা পাওয়েলের কাছ থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য বিবৃতির প্রত্যাশা করছি না, কারণ ইসিবি এবং ফেডের সর্বশেষ বৈঠক খুব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তারপর থেকে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি যা তাদের নীতিমালায় পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। চমক থাকতে পারে, তবে সে সম্ভাবনা কম। ট্রেডারদের কাছে এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যার সমাধানের কোনো ইঙ্গিত নেই। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক গণবিক্ষোভ, ট্রাম্পের "অতি সুন্দর একটি", ৭৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা কতটা এগিয়েছে (বা এগোয়নি), নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংঘর্ষ থেকে ডলার কিছুটা সমর্থন পেতে পারত, যেখানে এখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হয়েছে। তবে, আমাদের মতে ডলার ইতোমধ্যেই এই পরিস্থিতি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে ফেলেছে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ ডলার এখন চাপের মুখে রয়েছে — একদিকে বাণিজ্য যুদ্ধ, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, যেখানেও যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়েছে। অবশ্যই, ডলারের মূল্য চিরকাল নিম্নমুখী প্রবণতায় থাকবে না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো সংঘাতেরই প্রশমনের কোনো ইঙ্গিত নেই। ফলে, উভয়পক্ষ পরস্পরের ওপর হামলা চালিয়ে যেতে পারে, যা নতুন করে ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে — ডলারকে এখন আর কেউ "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে বিবেচনা করছে না। (https://ifxpr.com/4nhgl2a)

Read more: https://ifxpr.com/4nhgl2a

LIMAFX
2025-06-25, 04:36 PM
২৫ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1502583635.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। গত দুই দিনে ইউরো ও পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে, নতুন করে ডলারের দরপতনই যার মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তবে গতকাল (বিশেষ করে ইউরোর ক্ষেত্রে) অস্থিরতার মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে, তাই আজ (যদি নতুন কোনো উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন খবর না আসে) মার্কেটের ট্রেডাররা বিরতি নিতে পারে। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য ৩ বছরের মধ্যে নতুন সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে এবং সামগ্রিকভাবে ডলারের বিপরীতে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার জন্য প্রস্তুত। গত দুই সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত একাধিকবার ডলারকে সহায়তা করেছিল, কিন্তু এই সহায়তা সত্ত্বেও মার্কিন কারেন্সির মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সপ্তাহে জেরোম পাওয়েল, ক্রিস্টিন লাগার্দ ও অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে কেবল কংগ্রেসের সামনে পাওয়েলের দ্বিতীয় বক্তব্যই কিছুটা গুরুত্বসম্পন্ন। স্মরণ করিয়ে দিই যে, পাওয়েলের প্রথম বক্তব্য গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ফেডের চেয়ারম্যান শুধু সেই সকল বিষয়েরই পুনরাবৃত্তি করেছেন, যেগুলো ট্রেডাররা অনেক আগে থেকেই জানে: নিকট ভবিষ্যতে মূল সুদের হার কমানো হবে না; নতুন মার্কিন বাণিজ্য নীতিমালা অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা পর্যবেক্ষণ করছে; এবং নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আজ পাওয়েল নতুন কিছু বলবেন—এমন সম্ভাবনা খুবই কম। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের কাছে এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যার শেষ কোথায় তা স্পষ্ট নয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সব ঘটনাই কোনো না কোনোভাবে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সুযোগে ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারত, কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে যতটুকু সুবিধা নেওয়া সম্ভব ছিল, তা ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে। যদি বিনিয়োগকারীরা "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে ডলারের প্রতি আস্থা না রাখে, তাহলে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার সময়েও ডলারের মূল্য বাড়বে না। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে এটি স্পষ্ট হয়ে যাবে যুক্তরাজ্য ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য কোনো দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে কি না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট সামনে অপেক্ষা করছে, তবে আজ কোনোই গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। (https://ifxpr.com/4k4FbPW)

Read more: https://ifxpr.com/4k4FbPW

LIMAFX
2025-06-26, 04:12 PM
২৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/707705049.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং চলতি সপ্তাহে মার্কেটে স্পষ্টভাবে গত পাঁচ মাস ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য ছাড়া—যা মূলত মঙ্গলবারের বক্তব্যের হুবহু পুনরাবৃত্তি ছিল—মার্কেটে নতুন করে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য আসেনি। তবুও ডলার আরও 100 পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে। তাই আজ প্রকাশিতব্য মার্কিন জিডিপি এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন মার্কেট সেন্টিমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, এমনটা আমরা আশা করছি না। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের সময় স্থানীয়ভাবে মার্কিন ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারে, তবে সেটারই বা কী গুরুত্ব রয়েছে? শুধুমাত্র এই কারণে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে কম সংকুচিত হয়েছে, তাই বলে কি ডলারের পাঁচ মাসব্যাপী চলমান দরপতন থেমে যাবে? এমন সম্ভাবনা কম। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য, যিনি ইতোমধ্যেই সপ্তাহের শুরুতে বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেননি। একই কথা ক্রিস্টিন লাগার্দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যিনি এই সপ্তাহেই বক্তব্য রেখেছেন কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছুই জানাননি। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে, এবং সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে জুলাই মাসে সুদের হার কমানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন। স্পষ্টতই, যত বেশি এই ধরনের মতামত সামনে আসবে, ডলারের দরপতনের সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। এখনো মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, এবং এখন পর্যন্ত যার কোনো সমাধান বা উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত নেই। পরিস্থিতি খুব দ্রুত উত্তপ্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য বাদে) একটি বাণিজ্য চুক্তিও স্বাক্ষর করতে পারেননি। তার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/331772031.jpg
উপসংহার: এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আরও বাড়তে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই বোঝা যাবে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করবে কি না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভেন্ট সামনে রয়েছে, এবং ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। (https://ifxpr.com/3HYHc2Y)

Read more: https://ifxpr.com/3HYHc2Y

LIMAFX
2025-06-27, 02:16 PM
এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে
http://forex-bangla.com/customavatars/453563718.jpg
গতকাল নাসডাক টেক সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে, যার প্রধান কারণ ছিল এনভিডিয়া কর্পোরেশনের শেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা, যা ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। এআই চিপ ও সেমিকন্ডাক্টরের শীর্ষ প্রস্তুতকারক এনভিডিয়ার স্টকের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত রয়েছে এবং আবারও এটি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। এনভিডিয়ার শেয়ারের দর 4.3% বৃদ্ধি পেয়ে $154.31-এ পৌঁছায়, যা এ বছরের জানুয়ারিতে নির্ধারিত পূর্বের সর্বোচ্চ রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। এপ্রিলের নিম্নমুখী স্তর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দর 63% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে কোম্পানিটির বাজার মূলধন প্রায় $1.5 ট্রিলিয়ন বেড়েছে। সর্বশেষ এই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এনভিডিয়ার বাজারমূল্য পৌঁছেছে প্রায় $3.77 ট্রিলিয়নে, যা মাইক্রোসফট কর্পোরেশনকে ছাড়িয়ে গেছে, যার বাজারমূল্য বর্তমানে $3.66 ট্রিলিয়ন। এনভিডিয়ার সর্বশেষ আয়ের প্রতিবেদন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও শক্তিশালী অবস্থান বজায় থাকবে বলে আভাস মিলেছে—যদিও ট্রাম্পের আরোপিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের কারণে চীনে উন্নত সেমিকন্ডাক্টরের বিক্রিতে চাপ পড়ছে। কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কয়েক মাসব্যাপী শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত ফলাফল, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্ত ক উন্নয়নে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি অসীম চাহিদা দ্বারা চালিত হয়েছে। এই দ্রুত বিকাশমান খাতে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়া ভবিষ্যতের এআই খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এনভিডিয়ার এই সাফল্য কেবল সৌভাগ্যের উপর নির্ভরশীল নয়—কোম্পানিটি বছরের পর বছর গবেষণা ও উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে, যা আজকের এই নেতৃস্থানীয় ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। তাদের GPU আর্কিটেকচার এখন মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং-এর জন্য ডি-ফ্যাক্টো স্ট্যান্ডার্ড হয়ে উঠেছে, যা স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বড় বড় টেক জায়ান্টদের জন্য অপরিহার্য। এনভিডিয়ার বুধবারের শেয়ারহোল্ডারদের সভায় সিইও জেনসেন হুয়াং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছেন যে চাহিদা এখনও শক্তিশালী রয়েছে। তিনি আবারও বলেছেন, কম্পিউটিং শিল্প বর্তমানে একটি বিশাল পরিকাঠামোগত রূপান্তরের শুরুতে রয়েছে, যার চালিকা শক্তি হচ্ছে AI। মাত্র কয়েক বছর আগেও অচেনা থাকা এনভিডিয়া এখন ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে এবং সম্ভবত ওয়াল স্ট্রিটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে—যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত প্রায় সবকিছুর প্রতিচ্ছবি। এই বছরে এনভিডিয়ার শেয়ারের দর 15% বেড়েছে, যা 2024 সালে 170% বৃদ্ধির এবং 2023 সালে প্রায় 240% বৃদ্ধির পর এসেছে। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এমন শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পরেও কোম্পানিটি এখনও আকর্ষণীয় অবস্থানে রয়েছে। এনভিডিয়ার শেয়ার বর্তমানে পূর্বাভাস্কৃত ১২ মাসের আয় অনুযায়ী 31.5 গুণে ট্রেড করছে—যা তাদের গত ১০ বছরের গড় থেকে কম এবং নাসডাক 100-এর গড় 27-এর খুব কাছাকাছি। শেয়ারের PEG অনুপাত—যা প্রবৃদ্ধির তুলনায় মূল্যায়ন বোঝায়—প্রায় 0.9, যা "ম্যাগনিফিসেন্ট" কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং যৌক্তিক মূল্যায়নের এই সমন্বয়ই এনভিডিয়া সম্পর্কে ওয়াল স্ট্রিটের ট্রেডারদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মূল কারণ। বড় বড় অনেক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এখনও এনভিডিয়ার শেয়ার কেনার পরামর্শ দিচ্ছে, কারণ এটি এখনো বিশ্লেষকদের মূল্যের গড় লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় 12% নিচে ট্রেড করছে—যা ভবিষ্যতেও বুলিশ মোমেন্টামের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ব্যাংক অব আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি ফান্ডগুলোর মধ্যে 74% এনভিডিয়ার শেয়ার ধরে রেখেছে, যা অ্যামাজন, অ্যাপল, এবং মাইক্রোসফটের পিছনে রয়েছে—যেখানে মাইক্রোসফটের হোল্ডিং 91%। (https://ifxpr.com/3IgFTw9)

Read more: https://ifxpr.com/3IgFTw9

LIMAFX
2025-06-30, 03:43 PM
৩০ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1360753227.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনটি হচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রথম প্রান্তিকের চূড়ান্ত জিডিপি প্রতিবেদন। উল্লেখযোগ্য যে, প্রাথমিক দুইটি অনুমান অনুসারে 2025 সালের প্রথম প্রান্তিকে ব্রিটিশ অর্থনীতি 0.7% হারে তুলনামূলকভাবে আত্মবিশ্বাসী প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছিল। চূড়ান্ত ফলাফল সামান্য বেশি বা কম হলেও, ইতিবাচক প্রবণতা ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট। এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য আরেকটি ইতিবাচক কারণ হিসেবে কাজ করছে। ইউরোজোনে, শুধুমাত্র জার্মানির খুচরা বিক্রয় ও মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। তবে এই প্রতিবেদনগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতিও এখন আর বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তায় ফেলছে না। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো মুদ্রানীতি নমনীয় করার পথেই রয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রে, সোমবার স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে, সোমবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের একটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, তবে তিনি গত সপ্তাহে দুবার বক্তব্য দিয়েছিলেন এবং কোনোবারই মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। বর্তমানে ইসিবির মুদ্রানীতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের এই চক্র সমাপ্তির পথে রয়েছে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী মূল সুদের হার আরও এক বা দুইবার কমানো হতে পারে, তবে তা নির্দিষ্ট বিরতির পর করা হবে। এখনো ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, যার মীমাংসা বা হ্রাসের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আগামী দিনগুলোতে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো কোনো বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ছাড়া)। শুক্রবার, কিছু সংবাদমাধ্যম চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধবিরতির কথা জানালেও, বিস্তারিত তথ্য খুবই সীমিত এবং যুদ্ধবিরতির ধরন ভিন্ন হতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1918022598.jpg
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন যা মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আস্থা জাগায় না। শীঘ্রই এটি স্পষ্ট হবে যে, ট্রাম্প কতটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে সক্ষম হবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। (https://ifxpr.com/3ThBDyV)

Read more: https://ifxpr.com/3ThBDyV

LIMAFX
2025-07-01, 04:52 PM
পহেলা জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/384491625.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রথমে ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ISM উৎপাদন সূচকের দিকে নজর দেওয়া উচিত। গতকাল জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি কমে 2%-এ নেমে এসেছে, তাই আজ ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে এমন সম্ভাবনা কম। এর ফলে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) 2025 সালেও তাদের মুদ্রানীতির নমনীয়করণ অব্যাহত রাখতে পারে। তবে, আমরা বহুবার উল্লেখ করেছি, ইউরোর বিনিময় হারের উপর এই উপাদানটির কোনো বাস্তব প্রভাব নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচক বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি ডলারের কী ধরনের সহায়তা দিতে পারে? 50-পিপসের দর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে? সেটি মার্কেটে কী এমন পরিবর্তন আনবে? ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এগুলো সম্ভবত বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হতে পারে, তবে আমরা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে বর্তমানে ইসিবির এবং ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নিয়ে তেমন কোনো নতুন প্রশ্ন নেই। উভয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক সম্প্রতি শেষ হয়েছে, ফলে তারা ইতোমধ্যেই প্রাসঙ্গিক সব তথ্য জানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার যে গত সপ্তাহেই পাওয়েল এবং লাগার্ড একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছেন—তবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুই বলেননি। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, এবং এই বিষয়ে এখনো কোনো সমাধান বা অগ্রগতির ইঙ্গিত নেই। পরিস্থিতি শিগগিরই চরম আকার ধারণ করতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো কোনো বাণিজ্য চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ব্যতীত)। চীনের সঙ্গে চুক্তিকে এখনো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না, কারণ এর বিস্তারিত এখনও অস্পষ্ট। এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের "সমঝোতা" মানে হচ্ছে সব শুল্ক বহাল রাখা। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান রয়েছে, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেয় না। নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প বহু দেশের উপর শুল্কের মাত্রা বাড়াতে পারেন, যেহেতু এখনো কোনো নতুন বাণিজ্য চুক্তির স্বাক্ষরের ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। আমরা ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছি যে বাণিজ্য যুদ্ধ মানেই এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আমদানি শুল্ক বাতিল করবে। (https://ifxpr.com/3G7apZ0)

Read more: https://ifxpr.com/3G7apZ0

LIMAFX
2025-07-02, 06:53 PM
২ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1391520897.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রে ADP প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে—এই প্রতিবেদনটিকে নন-ফার্ম পে-রোলসের সমতুল্য হিসেবে ধরা হয়। নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা প্রয়োজন যে, ADP এবং নন-ফার্ম পে-রোল সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাধারণত পরিসংখ্যান বা প্রবণতার দিক থেকে মেলে না। প্রায় একই ধরনের পরিসংখ্যান প্রতিফলিত করলেও, এই দুই প্রতিবেদন একেবারে বিপরীত ফলাফল দেখাতে পারে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়টি ভালোভাবে জানে এবং তারা নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের আরও একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে, যিনি গত দেড় সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য রাখছেন, এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনের একটি ভাষণও অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগের মতোই, আমরা ইসিবির প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি প্রত্যাশা করছি না। মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যার সমাপ্তি বা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। নিকট ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ছাড়া)। চীনের সাথে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে, সেটিকে এখনও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ এটি আসলে কেমন ধরনের চুক্তি—তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে, তবে তারা এমন কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে, যেগুলো ট্রাম্প খুব সহজেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের বিষয়টিও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, যা ভবিষ্যতে চরম আকার ধারণ করতে পারে। এই ধরনের সকল ঘটনা স্পষ্টভাবেই মার্কেটে ডলার কেনার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং, উভয় কারেন্সি পেয়ার—EUR/USD এবং GBP/USD—মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য এখনও চলমান, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন যেগুলোর ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করা কঠিন। নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিতে পারেন, কারণ কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, বাণিজ্য চুক্তি মানেই যে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করবে—তা নয়। (https://ifxpr.com/40mFw9V)

Read more: https://ifxpr.com/40mFw9V

LIMAFX
2025-07-03, 07:24 PM
৩ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/921450007.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাধারণত শুক্রবার প্রকাশিত হয়, কিন্তু আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। তাই আজ উল্লিখিত মার্কিন প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হবে এবং মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় সবার আগ্রহ এই প্রতিবেদনগুলোর দিকেই থাকবে, পাশাপাশি ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর ওপরও দৃষ্টি থাকবে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় কেবলমাত্র জার্মানি ও ইউরোজোনের সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর চূড়ান্ত অনুমান প্রকাশিত হবে—যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের সদস্য রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে; তবে এই সপ্তাহে ক্রিস্টিন লাগার্ড, অ্যান্ড্রু বেইলি এবং জেরোম পাওয়েল ইতিমধ্যে এতবার বক্তব্য দিয়েছেন যে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছে। উল্লেখ্য, এসব কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধানদের কাছ থেকে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ক্রিস্টিন লাগার্ড উল্লেখ করেছেন যে, বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতির ফের বাড়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং জেরোম পাওয়েল ভবিষ্যতের আর্থিক নীতিমালা নির্ধারণে শ্রমবাজারকে মূল নির্ধারক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনগুলো আজ প্রকাশিত হবে। মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। স্বল্পমেয়াদে এই উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য ব্যতীত) কোনো বাণিজ্য চুক্তিতেই স্বাক্ষর করেননি। চীনের সঙ্গে করা চুক্তিটিও এখনো কার্যকর হিসেবে ধরা হচ্ছে না, কারণ এর বিস্তারিত এখনো অস্পষ্ট। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বললেও, তারা নিজেদের কিছু শর্ত উপস্থাপন করেছে, যা ট্রাম্প খুব সহজেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, ইলন মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্বের কথা ভুলে গেলে চলবে না, যা এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যে তা গৃহবিক্ষোভ এমনকি বিপ্লবের রূপ নিতে পারে। এই ঘটনাগুলোর কোনোটিই মধ্যমেয়াদে মার্কেটের ট্রেডারদের ডলার ক্রয়ের আগ্রহকে স্পষ্টভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারছে না। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে যেতে পারে, কারণ মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর মুভমেন্টের দিক নির্ভর করছে। এছাড়া, এটা মনে রাখা জরুরি যে, যেকোনো সময় ট্রাম্প এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যা আবারো ডলারের ধস নামাতে পারে। "ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল" পাস হয়ে গেছে, এবং এখন ইলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের নতুন করে দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে। (https://ifxpr.com/44H5GGJ)

Read more: https://ifxpr.com/44H5GGJ

LIMAFX
2025-07-04, 08:08 PM
৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/330388665.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন পালিত হবে। দেশটির সকল ব্যাংক ও স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকবে এবং কোনো ট্রেডিং কার্যক্রম চলবে না। ইউরোপে খোলা থাকলেও, ক্যালেন্ডারে আজ কোনো প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে আজ কারেন্সি মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, যিনি গত দুই সপ্তাহে ইতোমধ্যেই পাঁচ বা ছয়বার বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য থেকে যে একমাত্র বার্তাটি পাওয়া যায়, তা হলো ইউরোজোনে ভবিষ্যত বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির ব্যাপারে ইসিবি উদ্বিগ্ন। তাই ধরে নেওয়া যায়, ইসিবি পরবর্তী বৈঠকগুলোতেও আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখবে, যা বর্তমানে ইউরোর ওপর কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে না। মার্কেটের এখনও বাণিজ্য যুদ্ধকেই মূল অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যার সমাপ্তি বা সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছাতে পারে, কারণ তথাকথিত "তিন মাসের শুল্কছাড়" শেষ হওয়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭৫টি দেশের মধ্যে মাত্র ৩টি দেশের সাথে চুক্তিতে সই করেছেন। এর পাশাপাশি, মার্কেটের ট্রেডাররা বুঝে উঠতে পারছে না আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু আদৌ আছে কি না, যেহেতু ট্রাম্প যেসব শুল্ক আরোপ করেছিলেন, সেগুলো এখনও বহাল রয়েছে। চীনের সঙ্গে পরিস্থিতি আরও বেশি অস্পষ্ট, কারণ একটি চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটির বিষয়বস্তু বা পরিসর সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা যাবে না বলে মনে হচ্ছে, কারণ আজ কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশনা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেটগুলো বন্ধ রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের কারণে মার্কিন শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো শুক্রবার নয়, বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। (https://ifxpr.com/401nqtR)


Read more: https://ifxpr.com/401nqtR

LIMAFX
2025-07-07, 07:04 PM
৭ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/2143515633.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার বেশ অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। মনে করিয়ে দিই, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কার্যত ছুটির দিন ছিল। সোমবারও খুব একটা ট্রেডিং কার্যক্রম নাও দেখা যেতে পারে। জার্মানিতে শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব কমই ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। তবে ২০২৫ সালে এই প্রতিবেদন ইউরোর জন্য তেমন কোনো তাৎপর্য বহন করছে না, কারণ ডলারের দরপতনের মাঝে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। সোমবার ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনের ফলাফলের ট্রেডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার সম্ভাবনা খুবই কম। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারে একেবারেই কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। গত দুই সপ্তাহে ইসিবি, ফেড ও এমনকি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (যা বেশ বিরল একটি ঘটনা) গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বেশ কিছু বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে খুব অল্প কিছু বক্তব্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সেগুলো মার্কেটের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলেনি। ইসিবি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, ফেডও ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেইসাথে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও একই কারণে উদ্বিগ্ন—এবং সম্মিলিতভাবে সবাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের কারণে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বাণিজ্য যুদ্ধ রয়ে গেছে, যার সমাধান বা উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখনো দৃশ্যমান নয়। নিকট ভবিষ্যতে এই উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে, কারণ "শুল্ক ছাড়ের সময়কাল" শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭৫টির মধ্যে মাত্র ৩টি দেশের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তদুপরি, ট্রেডাররা বুঝতে পারছে না যে এতে খুশি হওয়ার কী আছে, বিশেষত যদি ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত সকল শুল্কই বহাল থাকে। চীনের সঙ্গে চুক্তি বিষয়ক পরিস্থিতিও পুরোপুরি অস্পষ্ট—চুক্তির ঘোষণা দেয়া হলেও এর বিষয়বস্তু বা ব্যাপ্তি সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে তো বোঝাই যাচ্ছে না, আদৌ মার্কেটে এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই অত্যন্ত ধীর গতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে আজও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হতে পারে, যেখানে কোনো প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট না-ও দেখা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3I9Xnut)

Read more: https://ifxpr.com/3I9Xnut

LIMAFX
2025-07-08, 04:21 PM
ইলন মাস্কের আমেরিকা পার্টি বিটকয়েন ও ডিজিটাল অ্যাসেটের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1439124473.jpg
সম্প্রতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল "আমেরিকা পার্টি" বিটকয়েনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। টেসলার সিইও নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছেন। বিটকয়েনকে দলীয়ভাবে গ্রহণ করা হবে কিনা—এই প্রশ্নের জবাবে মাস্ক বলেন, "ফিয়াট বা নগদ অর্থের ব্যবস্থা নিরাশাজনক, তাই হ্যাঁ, আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সি উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।" এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে ক্রিপ্টো কমিউনিটির মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল অ্যাসেটের প্রতি ভালবাসা এবং মার্কেটে প্রভাব সৃষ্টির জন্য পরিচিত মাস্ক কার্যত বিটকয়েনের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন প্রকাশ করেছেন। এই পদক্ষেপের প্রভাব শুধুমাত্র বিটকয়েনের ওপর নয়, বরং সমগ্র রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত হতে পারে। কারণ একটি রাজনৈতিক দলের বিটকয়েনের প্রতি সমর্থন মানে শুধু প্রযুক্তিকে সমর্থন করা নয়, বরং ডিজিটাল অ্যাসেটকে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে সংহত করার ঘোষণাও। এর মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি জন্য সহায়ক আইন প্রণয়ন, যুক্তরাষ্ট্রে যেটি ইতোমধ্যেই কিছু রাজনীতিবিদ সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন, সেইসাথে ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থ রক্ষায় লবিং ও বিটকয়েনকে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহারের প্রসার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। মনে করিয়ে দিই, গত শনিবার মাস্ক এক জরিপের মাধ্যমে জনমত যাচাই করার পর আমেরিকা পার্টি গঠনের ঘোষণা দেন। নতুন এই দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের দুই-দলীয় ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চায়। মাস্ক শনিবার এক্স-এ পোস্ট করে লেখেন, "অপচয় ও ঘুষের মাধ্যমে আমাদের দেশকে দেউলিয়া করার ক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট যে আমরা গণতন্ত্রিক দেশে বাস করি না। আজ নতুন আমেরিকা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য।" আমেরিকা পার্টির যাত্রা শুরু হয়েছে ইলন মাস্ক এবং তার পূর্বের ঘনিষ্ঠ মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে $3.4 ট্রিলিয়নের "বিগ, বিউটিফুল বিল" নিয়ে ব্যাপক আলোচিত দ্বন্দ্বের পর। এই ব্যয় প্যাকেজটিকে মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাড়াবে বলে সমালোচনা করেছিলেন। ট্রাম্প গত শুক্রবার বিলটি স্বাক্ষর করেন। এদিকে, ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে বলেন, মাস্ক "পুরোপুরিভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন," এবং যুক্তরাষ্ট্রে কখনও কোনো তৃতীয় রাজনৈতিক দল সফল হয়নি বলেও মন্তব্য করেন। ইতোমধ্যেই আমেরিকা পার্টি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চালু করেছে এবং অনেক বিলিয়নিয়ার নতুন দলের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমেরিকা পার্টি এখনো ফেডারেল ইলেকশন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়নি এবং মাস্কও এখনো বিস্তারিত রোডম্যাপ উপস্থাপন করেননি। (https://ifxpr.com/4ks3OpZ)

Read more: https://ifxpr.com/4ks3OpZ

LIMAFX
2025-07-10, 05:21 PM
১০ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/2006027536.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারে খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে এবং এর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে না। তাহলে আজ ট্রেডাররা কীসের উপর দৃষ্টি দেবে? জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচকের দ্বিতীয় অনুমান? না কি মার্কিন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন? বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, শক্তিশালী প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম। তবে এটা মনে রাখা জরুরি যে, কারেন্সি মার্কেটে প্রায়শই অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিরাজ করে। যেকোনো সময় শক্তিশালী মুভমেন্ট অথবা নতুন কোনো প্রবণতা শুরু হতে পারে, এমনকি স্পষ্ট কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব ছাড়াও এটি হতে পারে। তাই, যদি নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়, তাহলে সেগুলোর ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডের কর্মকর্তা—ক্রিস্ োফার ওয়ালার, মেরি ডালি এবং অ্যালবার্ট মুজালেমের ভাষণ উল্লেখযোগ্য। তবে, ফেডের বর্তমান অবস্থান এখন ইসিবির মতোই বেশ স্পষ্ট: পাওয়েল এবং তাঁর টিম ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব দেখতে ও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য, এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা প্রশমনের জন্য অপেক্ষা করতে চায়। সুতরাং, নিকট ভবিষ্যতে সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই ট্রেডারদের কাছে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং এর কোনো সমাধানের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিল হচ্ছে, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন—যার মধ্যে একটি আবার অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। উপরন্তু, বিনিয়োগকারীরাও আশাবাদের তেমন কিছু দেখছে না, কারণ ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত সমস্ত শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে। এই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও এক দফা শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের জন্য যারা এখনো ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহ দেখায়নি (প্রায় সবাই), এবং এর পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। তাই, আমরা এখনো ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো জোরালো কারণ দেখছি না। উপসংহার: সপ্তাহের শেষদিকের ট্রেডিংয়ের, সম্ভবত নিম্নমুখী প্রবণতার সাথেই EUR/USD এবং GBP/USD কারেন্সি পেয়ারেরট্রেড করা হবে, কারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। টেকনিক্যাল কারেকশন এখনো চলমান রয়েছে, তবে এটি যেকোনো সময় শেষ হয়ে যেতে পারে। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে উভয় পেয়ারেরই একটি করে ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং এই লাইন ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি আবারও উর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হওয়ার সংকেত দিবে। (https://ifxpr.com/4ktRKo0)

Read more: https://ifxpr.com/4ktRKo0

LIMAFX
2025-07-11, 06:49 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ১১ জুলাই
রেকর্ড উচ্চতায় ওঠার পর S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে দরপতন
http://forex-bangla.com/customavatars/344182913.jpg
বুধবার মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে লেনদেন শেষ হয়, যেখানে S&P 500 সূচক 0.27% বৃদ্ধি পায়, নাসডাক 100 সূচক 0.09% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক 0.43% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আজ এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচারগুলো নিম্নমুখী হয়ে পড়ে এবং মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়িয়ে অধিকাংশ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। S&P 500 এবং ইউরোপীয় ইকুইটির ফিউচার চুক্তিগুলো ট্রাম্পের ঘোষণার পর 0.2% কমে যায়—যেখানে তিনি বলেন, তিনি সার্বজনীন শুল্কহার 10% থেকে বাড়িয়ে 15% থেকে 20% করার পরিকল্পনা করছেন। ট্রাম্প কানাডার নির্দিষ্ট আমদানিকৃত পণ্যের ওপর 35% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর কানাডিয়ান ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ট্রাম্পের এই অপ্রত্যাশিত মন্তব্য আর্থিক বাজারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে দেয়। প্রস্তাবিত এই বিস্তৃত শুল্ক নীতিগুলো তার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি থেকে একটি বড় বিপরীতমুখী পদক্ষেপ এবং তা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে এমন পদক্ষেপ আমদানি মূল্যে বৃদ্ধি, marrkin কোম্পানির প্রতিযোগিতা হ্রাস এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দিতে পারে। এদিকে, গোল্ডম্যান শ্যাক্সের কৌশলবিদরা জাপান ছাড়া এশিয়ার আঞ্চলিক ইকুইটিগুলোর ওপর তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করায় এশিয়ান সূচকগুলো আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়—তারা উন্নততর সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং কমে আসা শুল্ক ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন। এই সপ্তাহে বাণিজ্য উত্তেজনা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে, কারণ ট্রাম্প বিভিন্ন বাণিজ্য অংশীদারের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন—যার মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অকল্যাণকর বৈশ্বিক বাণিজ্য চুক্তিগুলো পুনর্গঠন করতে চাইছেন। তা সত্ত্বেও, বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছেন, এবং বৃহস্পতিবার S&P 500 সূচকের নতুন সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানোর পর লেনদেন শেষ হয়েছে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা ধীর প্রবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা থেকে মনোযোগ সরিয়ে আয়ের মৌসুমের প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করছেন। অন্যদিকে, চীনের মন্থর অর্থনীতিকে সহায়তা করতে বেইজিং একটি নতুন আর্থিক ও রাজস্ব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, রিয়েল এস্টেট খাতের সংকট, এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এমন পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে পিপলস ব্যাংক অব চায়না সুদের হার কমিয়ে ব্যবসা ও ভোক্তাদের জন্য ঋণগ্রহণ সহজতর করা। এছাড়াও, সরকারের অবকাঠামো প্রকল্প—যেমন সড়ক, রেলপথ এবং বিমানবন্দরে—ব্যয বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনাধীন। এই বিনিয়োগগুলো অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তদুপরি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য কর হ্রাসের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে, যাতে আর্থিক চাপ কমে এবং পুনঃবিনিয়োগ ও উৎপাদন সম্প্রসারণ সম্ভব হয়—যা চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ। টেকনিক্যাল দিক থেকে, আজ ক্রেতাদের লক্ষ্য থাকবে সূচকটির $6,267 লেভেল ব্রেক করা। এই লেভেল সফলভাবে অতিক্রম করতে পারলে মূল্য $6,276 পর্যন্ত উঠতে পারে এবং পরবর্তী লক্ষ্য হবে $6,285—যা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করবে। বিপরীত দিকে, যদি ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব কমে যায়, তবে ক্রেতাদের $6,257 লেভেলের কাছাকাছি সক্রিয় থাকতে হবে। এই লেভেলের নিচে নেমে গেলে সূচকটির দর $6,245 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আরও নিম্নমুখী হয়ে $6,234 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। (https://ifxpr.com/3GEIMqf)

Read more: https://ifxpr.com/3GEIMqf

LIMAFX
2025-07-14, 04:07 PM
১৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1205967764.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। স্মরণ করা যাক, গত সপ্তাহেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র — উভয় অঞ্চলেই — কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা, ভাষণ বা উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না। কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদিনের মতো নতুন করে শুল্ক আরোপ ও বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে গেছেন। তবে কোনো এক অজানা কারণে, মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এই ঘোষণাগুলো সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে। বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে টেকনিক্যাল ভিত্তিতে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে। সোমবার ইউরো ও পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
http://forex-bangla.com/customavatars/566845609.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। আমরা বহুবার বলেছি, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ফেডারেল রিজার্ভ (ফেডের), অথবা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড-এর প্রতিনিধিদের বক্তব্য বর্তমানে মার্কেটের উপর কার্যত কোনো প্রভাব ফেলছে না। এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিগত অবস্থান এখন একেবারে স্পষ্ট। কোনো প্রশ্ন নেই এবং মুদ্রানীতির পরিবর্তনের প্রভাবও এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় রয়েছে। মনে করিয়ে দেই, 2025 সালে ইউরো ও পাউন্ড — উভয় কারেন্সিই — ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো নমনীয় মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্যযুদ্ধ রয়ে গেছে, যার কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি ক্রমেই আরও জটিল হচ্ছে, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত কেবল তিনটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন — যার একটি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। তদুপরি, সব ধরনের শুল্ক এখনও কার্যকর থাকায়, মার্কেটে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো বাস্তব ভিত্তিও নেই। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আবারও তাদের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না (প্রায় সব দেশই), এবং একই সঙ্গে তামা, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেন। সার্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে মার্কেটের অবস্থা ভালো হচ্ছে না। তাই আমরা এখনো ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ দেখতে পাচ্ছি না। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুবই ধীর গতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন বা ইভেন্ট নেই। টেকনিক্যাল কারেকশন চলমান রয়েছে, তবে যেকোনো সময় তা শেষ হয়ে যেতে পারে। উভয় পেয়ারের ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে — যদি মূল্য এই ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে, তবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। (https://ifxpr.com/4eNOAul)

Read more: https://ifxpr.com/4eNOAul

LIMAFX
2025-07-15, 06:38 PM
GBP/USD. বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস, ১৫ জুলাই।
http://forex-bangla.com/customavatars/904162744.jpg
আজ GBP/USD পেয়ার 1.3430–1.3435 লেভেলের মধ্যে কনসোলিডেশনের মধ্যে রয়েছে, যেখানে এই পেয়ারের মূল্য এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের সময় রেকর্ডকৃত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের তুলনায় সামান্য ওপরে অবস্থান করছে। এই মূহূর্তে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে মৌলিক দিক থেকে এই প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতারই সম্ভাবনা নির্দেশ করছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পরবর্তীতে সম্ভাব্যভাবে এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের হতাশাজনক ফলাফল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আগস্ট মাসে আরেকবার সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে আরও জোরালো করেছে। এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার বিপরীতে অবস্থান করছে, যা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। যদিও সাময়িকভাবে মার্কিন ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম থেমে যাওয়ায় এই পেয়ারের দরপতন কিছুটা সীমিত হয়েছে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, 4-ঘণ্টার চার্টে এই পেয়ারের মূল্য 100-পিরিয়ড সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার বিষয়টি গত সপ্তাহে বিয়ারিশ প্রবণতা শুরু হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল ছিল। তবে একই টাইমফ্রেমে রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (RSI) ইতোমধ্যে ওভারসোল্ড স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে দৈনিক ভিত্তিতে কনসোলিডেশন অথবা একটি সামান্য রিবাউন্ড দেখা যেতে পারে। তবে, যেকোনো প্রকার রিবাউন্ডের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.3475 লেভেলের আশেপাশে রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হবে, যা মূল্যকে 1.3500 সাইকোলজিক্যাল রেজিস্ট্যান্সের নিচে আটকে রাখবে। এই লেভেলের ওপরে একটি স্থিতিশীল মুভমেন্ট শর্ট কাভারিং শুরু করতে পারে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে ধাপে ধাপে 1.3550 মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স, তারপর 1.3600-এর রাউন্ড লেভেল এবং 1.3620–1.3625 সাপ্লাই জোনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, বিয়াররা নতুন শর্ট পজিশন নেওয়ার আগে 1.3400-এর গুরুত্বপূর্ণ সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট লেভেলের স্পষ্টভাবে ব্রেকআউটের পর মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার অপেক্ষায় থাকবে। এই পরিস্থিতিতে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য দ্রুতগতিতে নিম্নমুখী হতে পারে এবং পরবর্তীতে মূল্য গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট 1.3355 লেভেল যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, এরপর মূল্য 1.3300-এর রাউন্ড লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। আরও দরপতন হলে পেয়ারটির মূল্য 100-দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) এর দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা বর্তমানে 1.3265 লেভেলের আশেপাশে অবস্থান করছে। (https://ifxpr.com/44uLlV5)

Read more: https://ifxpr.com/44uLlV5

LIMAFX
2025-07-16, 04:18 PM
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের উপর চাপ সৃষ্টি করছে
http://forex-bangla.com/customavatars/629134065.jpg
গতকাল মার্কিন ডলার বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, যদিও জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি টানা পাঁচ মাস ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের সাম্প্রতিক ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কোম্পানিগুলো এখন ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কজনিত কিছু খরচ আরও সরাসরিভাবে ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI), যা সাধারণত খাদ্য ও জ্বালানির মতো অস্থির উপাদান বাদ দিয়ে গণনা করা হয়, মে মাসের তুলনায় 0.2% বেড়েছে। গাড়ির দামের পতন সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক দ্বারা প্রভাবিত পণ্যের — যেমন খেলনা এবং গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির দামের সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধিই দেখা গেছে। এই প্রতিবেদন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারকদের কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করছে না, কারণ তারা এখনো বিভক্ত যে আরোপিত শুল্ক এককালীনভাবে প্রভাব ফেলবে নাকি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। তথাপি, এই ফলাফল উচ্চ সুদের হার বজায় রাখার পক্ষে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য আরোপিত শুল্কের প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে, যদিও সুদের হার হ্রাসের পক্ষে খুব বেশি যৌক্তিকতা নেই। বিনিয়োগকারীরা এখনো আশা করছে যে দুই সপ্তাহ পর ফেডের বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিতই থাকবে। উল্লেখযোগ্য যে, জুন মাস ছিল পঞ্চম মাস, যখন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারের উপর শুল্ক কার্যকর থাকা সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতিতে কোনো আকস্মিক বৃদ্ধি দেখা যায়নি। তবুও, ফেডের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে এমন আরও নিশ্চিয়তা প্রয়োজন, তাই মাসের শেষে কোনো বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা কম। তবে বর্তমান প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সুদের হার হ্রাসের জন্য চাপ বাড়তে পারে। এর আগেই আরেকটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, ফলে এখনই ফেডের নীতিমালায় বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। খাদ্য ও জ্বালানি বাদ দিয়ে পণ্য মূল্য 0.2% হারে বেড়েছে, যা গত মাসে স্থির ছিল। খেলনার দাম 2021 সালের শুরু থেকে সবচেয়ে দ্রুত বেড়েছে, 2022 সালের পর গৃহস্থালী পণ্য ও স্পোর্টস পণ্যের সর্বোচ্চ বৃদ্ধিও দেখা গেছে। গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ মূল্য বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, নতুন ও পুরোনো গাড়ির দাম কমেছে। ইনফ্লেশন ইনসাইটস এলএলসি-এর প্রেসিডেন্ট ওমর শরীফ জানিয়েছেন, যদি অটোমোবাইল বাদ দেওয়া হয়, তাহলে জুনে মূল পণ্যের দাম 0.55% বেড়েছে—যা 2021 সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ মাসিক বৃদ্ধি। তবে মুদ্রাস্ফীতির অনেক সূচক প্রত্যাশার নিচে আসায় প্রশ্ন উঠছে যে ট্রাম্পের শুল্কগুলো কতটা বিস্তৃতভাবে ভোক্তা পণ্যের দামে প্রভাব ফেলবে। কিছু কোম্পানি আগেভাগে পণ্য মজুদ করে বা লাভের পরিমাণ কমিয়ে দাম বাড়ার চাপ থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে পেরেছে। জ্বালানি বাদ দিয়ে পরিষেবার মূল্য 0.3% বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিষেবা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে আবাসন খাত, তবে হোটেল ভাড়া কমার ফলে আবাসন খরচের বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ফেড যেসব পরিষেবা সূচক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে, তার মধ্যে একটি — যেটি আবাসন ও জ্বালানি বাদ দিয়ে পরিমাপ করা হয় — জুনে 0.2% বেড়েছে, যার পেছনে হাসপাতাল পরিষেবা খরচের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে। তবুও, ফেড সুদের হার কমাতে বিলম্ব করতে পারে—এই আশঙ্কা কারেন্সি মার্কেটে প্রতিফলিত হয়েছে, যার ফলে ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের দরপতন ঘটেছে। EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল দৃশ্যপট অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যের 1.1625 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই 1.1660-এর লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1690-এর দিকে একটি মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এই মুভমেন্ট হওয়া বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1720 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যা, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয়তা আশা করা যায়। সেখানে ক্রয়ের আগ্রহ না দেখা গেলে, 1.1550-এর লেভেল টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1495 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে। GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমেই 1.3420-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3464-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি অতিক্রম করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3500 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3375 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিচে নেমে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য তা বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3335 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে , এবং এমনকি মূল্য 1.3290-এও পৌঁছাতে পারে। (https://ifxpr.com/3IM2Asl)

Read more: https://ifxpr.com/3IM2Asl

LIMAFX
2025-07-17, 04:16 PM
ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টর ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন
http://forex-bangla.com/customavatars/404916391.jpg
গতকাল, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি শিগগিরই ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ও সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন—যা মার্কিন স্টক মার্কেটে দরপতন ঘটিয়েছে, আর মার্কিন ডলার আরও শক্তিশালী হয়েছে। মঙ্গলবার পিটসবার্গে এআই সম্মেলনে যোগ দিয়ে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, "সম্ভবত, আমরা চলতি মাসের শেষে স্বল্প হারে শুল্ক আরোপ দিয়ে শুরু করব এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এক বছরের মতো সময় দেব, এরপর শুল্ক অনেক বেশি হবে।" তিনি আরও জানান, সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রেও সময়সূচি "প্রায় একই রকম" হবে এবং চিপের উপর শুল্ক আরোপ প্রক্রিয়া "সহজতর" করা হবে, যদিও এ নিয়ে তিনি অতিরিক্ত কোনো তথ্য দেননি। চলতি মাসের শুরুতে এক মন্ত্রিসভা বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি আসন্ন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তামার ওপর 50% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে শুল্ক 200% পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তা করছেন, যেহেতু কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই 1962 সালের ট্রেড এক্সপ্যানশন অ্যাক্টের সেকশন 232-এর আওতায় ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের আমদানি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এ ধরনের মাত্রায় শুল্ক আরোপ করা হলে এলি লিলি অ্যান্ড কো, মার্ক অ্যান্ড কো, ও ফাইজার ইনকর্পোরেটেডের মতো ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে, যাদের উৎপাদন কার্যক্রম বিদেশে — ফলে আমেরিকান ভোক্তাদের ওষুধের দাম বেড়ে যেতে পারে। ট্রাম্প প্রস্তাবিত সেমিকন্ডাক্টর পণ্যে শুল্কের ক্ষেত্রেও একই ঝুঁকি বিদ্যমান রয়েছে, যা কেবল চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই নয়, অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের মতো স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কো.-এর মতো জনপ্রিয় ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন নির্মাতাদেরও প্রভাবিত করতে পারে। পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, যদি শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে বিদেশে উৎপাদন—যা এতদিন উৎপাদন খরচ কমাতে সাহায্য করেছে—ততটা কার্যকর থাকবে না, যার প্রভাব পড়বে মূল্য নির্ধারণ কৌশল ও মার্কিন ভোক্তাদের ওষুধের ক্রয়ক্ষমতার ওপর। কোম্পানিগুলো বাড়তি খরচ নিজেরা বহন করবে নাকি তা সরাসরি গ্রাহকের ওপর চাপিয়ে দেবে—তা এখনো স্পষ্ট নয়। মার্কিন মূল্যস্ফীতির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে তাদের কিছু বাড়তি খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই প্রবণতা কতদূর গড়াবে। সেমিকন্ডাক্টর খাতেও একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কেবল চিপ নির্মাতাদেরই নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনে ইলেকট্রনিকস ব্যবহার করা ভোক্তাদেরও প্রভাবিত করতে পারে। অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনের দাম বাড়লে, চাহিদা কমে যেতে পারে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। গতকাল ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেন যে, তিনি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে এক চুক্তিতে পৌঁছেছেন যাতে পূর্ব ঘোষিত 32% শুল্ক কমিয়ে 19%-এ আনা হবে। চুক্তির অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে $15 বিলিয়ন মূল্যের জ্বালানি পণ্য, $4.5 বিলিয়ন মূল্যের কৃষিপণ্য এবং 50টি বোয়িং কো. বিমানের অর্ডার দিতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি শুল্ক আরোপ কার্যকর হওয়ার আগেই—যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা—"দুই বা তিনটি" দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারেন এবং ভারতের সঙ্গে চুক্তিকে সবচেয়ে সম্ভাব্য বলে উল্লেখ করেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা—যাদে ওপর সম্ভাব্য 30% শুল্ক আরোপ হতে পারে—এই সপ্তাহেই মার্কিন আলোচকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল দৃশ্যপট অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যের 1.1625 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই 1.1660-এর লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1690-এর দিকে একটি মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এই মুভমেন্ট হওয়া বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1720 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যা, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয়তা আশা করা যায়। সেখানে ক্রয়ের আগ্রহ না দেখা গেলে, 1.1550-এর লেভেল টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1495 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে। GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমেই 1.3420-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3464-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি অতিক্রম করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3500 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3375 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিচে নেমে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য তা বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3335 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে , এবং এমনকি মূল্য 1.3290-এও পৌঁছাতে পারে। (https://ifxpr.com/4nY8CGM)

Read more: https://ifxpr.com/4nY8CGM

LIMAFX
2025-07-18, 05:28 PM
১৮ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/965688067.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও, এর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক কিছুটা দৃষ্টি পাওয়ার মতো, যা সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে। দিনের বাকি সময়ে ট্রেডাররা কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতির উপর নির্ভর করতে পারে, যিনি হয়তো নতুন করে শুল্ক আরোপ বা জেরোম পাওয়েলকে পুনরায় বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়ে আরেক দফা ঝড় তুলতে পারেন। ইউরোজোন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে একেবারেই কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক বা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ভাষণ নির্ধারিত নেই। তবে, আমরা অনেকবার বলেছি যে, তাদের বক্তব্য বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুস্পষ্ট মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে এবং ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই তা বুঝে ফেলেছে। এখনও বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয় বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধানের সুস্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার একটি নিয়ে সন্দেহও রয়েছে, আর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অনিচ্ছুক দেশগুলোর ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের আমদানিতেও শুল্ক বাড়িয়েছেন। এই নিরুৎসাহজনক মৌলিক প্রেক্ষাপট সত্ত্বেও, গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলার সক্রিয়ভাবে শক্তিশালী হয়েছে, যা মৌলিক পরিস্থিতির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। আমরা এখন হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার নতুন তরঙ্গ শুরু হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1042187853.jpg
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট না থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ার খুব ধীর গতিতে ট্রেড করতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন এখনো চলছে, তবে যেকোনো মুহূর্তে তা শেষ হতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের গঠিত হয়েছে এবং মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত দেবে। ইউরোর মূল্য 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা বর্তমান নিম্নমুখী মুভমেন্টের সমাপ্তির সংকেত হতে পারে। (https://ifxpr.com/4kOQsV3)

Read more: https://ifxpr.com/4kOQsV3

LIMAFX
2025-07-21, 04:16 PM
২১ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1084819573.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, মার্কেটে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। অবশ্যই, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে শুল্ক সংক্রান্ত নতুন কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা "জেরোম পাওয়েলকে আবারও বরখাস্ত" করার ঘোষণার মাধ্যমে হঠাৎ করে মার্কেটে ঝড় সৃষ্টি করতে পারেন। তবে, এ ধরনের ঘটনাগুলো পূর্বানুমান করা সম্ভব নয়। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের এখনো নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মৌলিক দিক থেকেও সোমবার কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কোনো প্রতিনিধির গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য নির্ধারিত নেই। তবে, আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে, বর্তমানে তাদের মন্তব্যের প্রভাব খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুস্পষ্ট আর্থিক নীতিমালা অনুসরণ করছে এবং এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পুরোপুরি পরিষ্কার। এখনো বাণিজ্যযুদ্ধই ট্রেডারদের মূল উদ্বেগের বিষয় রয়ে গেছে এবং এর কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বেশ জটিল, কারণ ট্রাম্প চার মাসের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার মধ্যে একটি চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভাব্য ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধে পুনরায় শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অনাগ্রহী, একই সঙ্গে তিনি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আমদানি শুল্কও বাড়িয়েছেন। এই নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও, গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে—যা মৌলিক প্রেক্ষাপটের সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এখন হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রস্তুতি নিচ্ছি। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট না থাকায়, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুব ধীরগতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন চলছে, তবে যেকোনো মুহূর্তে এটি শেষ হতে পারে। উভয় পেয়ারের চার্টে ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে এবং সেগুলো ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। ইউরোর মূল্য ইতোমধ্যে 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা বিয়ারিশ প্রবণতা শেষ হওয়ার একটি প্রাথমিক সতর্ক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/46Ppqte)

Read more: https://ifxpr.com/46Ppqte

LIMAFX
2025-07-22, 03:38 PM
২২ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/283815311.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। সুতরাং, সারাদিন ধরেই মার্কেটে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে নতুন কোনো শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বা "জেরোম পাওয়েলকে আবার বরখাস্ত" করার ঘোষণার মাধ্যমে আবারও আলোচনার মূল কেন্দ্রে উঠে আসতে পারেন। তবে এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। গতকাল উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সেগুলোর ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, যা ইঙ্গিত দিতে পারে যে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনালগ্নে রয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/620040966.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে পাওয়েলের ভাষণ অবশ্যই আলাদা গুরুত্ব বহন করে। তবে এটি আর্থিক নীতিমালা সম্পর্কিত কোনো সংকেতের কারণে নয়, বরং ফেডারেল রিজার্ভের পুনর্গঠন বাজেট সংক্রান্ত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ট্রেডারদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পাওয়েল পূর্বে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে ট্রাম্প যে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণেই ফেডের চেয়ারম্যানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন, তা স্পষ্ট। বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে, এবং এর সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি এখনও ডলার এবং সামগ্রিক কারেন্সি মার্কেটের জন্য একটি মুখ্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে এবং এটি আরও কিছুদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাই, আমরা প্রতিদিন একই জিনিস বলছি দেখে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি জটিলই রয়ে গেছে, কারণ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান আলোচনার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন—যার মধ্যে একটি আবার প্রশ্নবিদ্ধ। সম্ভাব্য 75টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারো সেইসব দেশের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অনিচ্ছুক। পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলারের মূল্যের উল্লেখযোগ্যভাবে কারেকশন হয়ে, তাই এখন আমরা আশা করছি যে হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হবে বলে । উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, শুধুমাত্র একটি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই মন্থর ট্রেডিং হতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর মানে অবশ্য এই নয় যে আজ ইউরো ও পাউন্ডের দরপতন হতে পারবে না, তবে এটি নির্দেশ করে যে নিকট ভবিষ্যতে আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। (https://ifxpr.com/4l1DovK)


Read more: https://ifxpr.com/4l1DovK

LIMAFX
2025-07-23, 07:53 PM
২৩ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1337643327.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে কিছুই নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—তবে এটি মার্কেটে তেমন উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে না। ফলে, দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার মধ্য দিয়ে রেঞ্জ-বাউন্ড ট্রেডিং দেখা যেতে পারে। আবারও দৃষ্টি যাচ্ছে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের দিকে, কারণ তখন সাধারণত ইউরোপীয় সেশনের তুলনায় বেশি সক্রিয় ও গতিময় মুভমেন্ট দেখা যায়। উল্লেখযোগ্য যে, মার্কেটে এখনও ডলার বিক্রির পক্ষে একাধিক কারণ রয়েছে। তাই ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু না থাকলেও মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বক্তব্য প্রদান করেছেন, তবে এতে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য উঠে আসেনি। পাওয়েল পদত্যাগ করেননি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি, এবং মুদ্রানীতির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। বাণিজ্যযুদ্ধই এখনও মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে আছে, এবং এর কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি আগামী আরও কিছুদিন মার্কিন ডলারের উপর প্রভাব ফেলতে থাকবে। তাই যদি প্রতিদিন আমরা একই ধরনের ব্যাখ্যা প্রদান করি, তা দেখে বিস্ময়ের কিছু নেই—কারণ সামগ্রিক প্রেক্ষাপট এখনও জটিল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাম্প গত সাড়ে চার মাস ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে পেরেছেন, যার একটি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভাব্য ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র ৩টি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেইসব দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী নয়। একইসঙ্গে, তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের আমদানির উপর শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। এই নতুন শুল্কগুলো এখনো বাজারমূল্যে প্রতিফলিত হয়নি, কারণ ট্রেডাররা মূলত টেকনিক্যাল কারেকশন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের অনুপস্থিতির কারণে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যের টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, ফলে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ ইউরোর জন্য মূল বিবেচ্য এরিয়া হলো 1.1740–1.1745 এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য 1.3518–1.3532। (https://ifxpr.com/3IIyGp1)

Read more: https://ifxpr.com/3IIyGp1

LIMAFX
2025-07-24, 04:27 PM
২৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1593937950.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এগুলোর ধরন অনেকটাই একরকম। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই মাসের পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হবে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—যেকোনো সূচকের ফলাফল যদি পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তাহলে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সূচকগুলোকে ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না—বিশেষ করে তখন, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব ছাড়াই মার্কিন ডলার টানা ছয় মাস ধরে দরপতনের শিকার হচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/677538514.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রথমত, আজ ইসিবির পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, ইসিবি মূল সুদের হার ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে দিলেও ইউরোর দর স্থায়ীভাবে বাড়ছে। অর্থাৎ, বর্তমানে ইসিবির মুদ্রানীতির সঙ্গে ইউরোর এক্সচেঞ্জ রেটের তেমন কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই, ইসিবি কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করলেও মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমেয়াদে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে—তবে সেই প্রতিক্রিয়া সামগ্রিক মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না, কারণ গত ছয় মাস ধরে মার্কেটে ইউরোর মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। মার্কেটের ট্রেডারদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে এখনও বাণিজ্য যুদ্ধই বিবেচিত হচ্ছে। এবং এখনো এর অবসানের কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি আরও দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের মূল্যের মূল অনুঘটক হিসেবে রয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। তাই যদি আমরা প্রতিদিন একই বার্তার পুনরাবৃত্তি করছি, সেটি দেখে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও জটিল, কারণ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনার পর ট্রাম্প মাত্র তিনটি দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন—তাও এর একটি প্রশ্নবিদ্ধ— ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র ৩টি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশেষ করে যেসব দেশ ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না তাদের উপর। একইসঙ্গে তামা, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানিতে শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো এই নতুন শুল্কগুলোর প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়ন করতে পারেনি, কারণ এই সময়টায় মার্কেটে টেকনিক্যাল কারেকশন হয়েছে।

উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তাই আমরা আশা করছি যে সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে উভয় পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি চলমান থাকবে। ইউরোর ক্ষেত্রে 1.1740–1.1745 জোন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা ইতোমধ্যে ব্রেক করা হয়েছে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া হলো 1.3574–1.3590। (https://ifxpr.com/4lV16uw)

Read more: https://ifxpr.com/4lV16uw

LIMAFX
2025-07-25, 03:59 PM
২৫ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1147159991.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও, প্রতিটি প্রতিবেদনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে—যা দিনের সবচেয়ে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন। এর বিপরীতে, যুক্তরাজ্যে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকের দুর্বল ফলাফলের কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের আংশিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছিল; আজকেও একই রকম পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে—সেটি হচ্ছে ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই ধরনের পণ্য সাধারণত উচ্চ মূল্যের হয়ে থাকে, তাই এটি ভোক্তাদের আস্থা ও মনোভাবের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের একটি নির্ভরযোগ্য সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলো বাস্তবিক অর্থে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না। আগেও বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির প্রাসঙ্গিকতা একদম কমে এসেছে—প্রথমত, একমাত্র মার্কিন ডলারই ধারাবাহিকভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে; দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থানের ব্যাপারে এখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুরোপুরি ধারণা রয়েছে। তাই, কোনো হঠাৎ অবস্থাকনের পরিবর্তন বা নীতিগত পালাবদলের সম্ভাবনা নেই, যার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য এখন আর বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারছে না। এখনও বাণিজ্য যুদ্ধই বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্বেগের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এবং এর সমাধানের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়টি সম্ভবত দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের মূল অনুঘটক হয়ে থাকবে। তাই প্রতিদিন একই কথার পুনরাবৃত্তি করা হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও জটিল, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প চার মাসের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে পেরেছেন—এর মধ্যে একটি চুক্তি নিয়ে আবার ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে। সম্ভাব্য 75টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে অনিচ্ছুক দেশগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের আমদানিতে নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন। তবে ট্রেডাররা এখনো এই নতুন সব শুল্ককে সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করেনি, কারণ সম্প্রতি টেকনিক্যাল কারেকশন হয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD ও GBP/USD—উভয় পেয়ারের মূল্যের আবার ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তাই আমরা আশা করছি সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। (https://ifxpr.com/40zZwFY)

Read more: https://ifxpr.com/40zZwFY

LIMAFX
2025-07-28, 04:30 PM
২৮ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/454289168.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। সুতরাং, যদি না ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি বা সিদ্ধান্ত ঘোষণা, তাহলে সোমবার স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা এবং ফ্ল্যাট রেঞ্জে মূল্যের অবস্থান করার প্রবণতা পরিলক্ষিত হতে পারে। এই বিশ্লেষণ ইউরোর জন্য বেশি প্রযোজ্য, কারণ গত দুই দিনে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী নিম্নমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিষয়ে বলতে গেলে, আবারও বলতেই হচ্ছে — আজও উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। আমরা আগেও উল্লেখ করেছি, বর্তমানে যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির বিষয়টি গুরুত্ব হারিয়েছে — প্রথমত, কারণ কেবলমাত্র ডলারই স্পষ্টভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে, এবং দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর অবস্থান ইতোমধ্যে পরিপূর্ণভাবে স্পষ্ট এবং ট্রেডাররা সে সম্পর্কে সবকিছুই জানে। গৃহীত অবস্থানের কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বা নতুন নীতিগত পরিকল্পনার ইঙ্গিত নেই, তাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিনিধিদের ভাষণগুলোরও তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। এখনো বাণিজ্যযুদ্ধই বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। এবং আমরা এখনো এই যুদ্ধের সমাপ্তির কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। কেউ কেউ মনে করতে পারেন যে বাণিজ্য চুক্তিগুলো সত্যিই স্বাক্ষরিত হচ্ছে, তবে আমরা লক্ষ্য করছি যে, চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে পরবর্তী সহযোগিতার শর্তগুলো পূর্বের তুলনায় আরও নেতিবাচক হয়ে উঠছে। এই বিষয়টি ডলারের ক্ষেত্রে আরও দীর্ঘ সময় ধরে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারে। পরিস্থিতি এখনো জটিল, কারণ চার মাসের বেশি সময় ধরে চলমান আলোচনার পর ট্রাম্প মাত্র চারটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছেন — যার মধ্যে একটি চুক্তি নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সর্বশেষ তিন সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে; পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানির ওপরও শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। তদ্ব্যতীত, তিনি জানিয়েছেন যে বিশ্বের প্রায় সব দেশকে মার্কিন বাজেটে শুল্ক প্রদান করতে হবে। সত্যি বলতে, এই পরিস্থিতিতে "বাণিজ্যযুদ্ধের প্রশমন" শব্দটির কোনো প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। উপসংহার: এ সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। কারণ আজ কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করাও বাস্তবসম্মত নয়। শুধুমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ওপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা হবে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে বর্তমানে 1.3413–1.3421 এরিয়ায় একটি শক্তিশালী সাপোর্ট জোন রয়েছে, আর ইউরোর ক্ষেত্রে 1.1740–1.1745 লেভেলে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত সাপোর্ট এরিয়া রয়েছে। (https://ifxpr.com/41gMhdw)
http://forex-bangla.com/customavatars/1111799786.jpg
https://ifxpr.com/41gMhdw

LIMAFX
2025-07-29, 05:18 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ২৯ জুলাই:
http://forex-bangla.com/customavatars/707272292.jpg
SP500 এবং নাসডাক সূচক কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
গত শুক্রবার মার্কিন স্টক সূচকসমূহে মিশ্র ফলাফলের সাথে লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.02% বৃদ্ধি পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক 0.33% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর শিল্পখাত-ভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.14% হ্রাস পেয়েছে। এশীয় স্টক মার্কেটে টানা তিন দিন ধরে দরপতন হয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তির প্রভাব কমে গেছে এবং বিনিয়োগকারীরা আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ও কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদনের পূর্বাভাস সামনে রেখে সতর্ক হয়ে উঠেছেন। MSCI এশিয়া-প্যাসিফিক সূচক 0.8% কমেছে, যার পেছনে মূলত হংকংয়ের স্টক মার্কেটের দরপতন দায়ী। মে মাসের পর সবচেয়ে বড় উত্থানের পর মার্কিন ডলারের দর স্থিতিশীল হয়েছে। সোমবারের সেশনে সূচকগুলো বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে লেনদেন শেষ করলেও, S&P 500 ফিউচার 0.2% বেড়েছে। আগের সেশনে দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতনের পর ইউরোর দর সামান্য কমেছে। অপরদিকে, মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দর কিছুটা বেড়েছে, ফলে ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের ইয়িল্ড ১ বেসিস পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে 4.40%-এ। জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত চুক্তির ফলে তৈরি হওয়া আশাবাদ ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে এসেছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা এখন কর্মসংস্থান, মুদ্রাস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ সূচকের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন বুধবারের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সংক্রান্ত ঘোষণার দিকে, যেখানে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, একইসঙ্গে চারটি বড় টেক কোম্পানির আয়ের প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। বর্তমানে শুল্ক পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত স্পষ্ট হওয়ায়, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাৎক্ষণিক বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ালেও, বিনিয়োগকারী ও সমালোচকদের একটি বড় অংশ মনে করছে এই চুক্তি ট্রান্সআটলান্টিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে—এই প্রত্যাশা অনেকটাই দুর্বল হয়েছে। অনেক ইউরোপীয় নেতা ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পাদিত বাণিজ্য চুক্তিকে সমর্থন করলেও, জার্মান শিল্পপতিরা সতর্ক করেছেন যে এই চুক্তির ফলে ইউরোপীয় অটোমোটিভ খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হতে পারে। ডাচ বাণিজ্যমন্ত্রী চুক্তিটিকে "ত্রুটিপূর্ণ" বলেছেন এবং ইউরোপীয় কমিশনকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা শুল্ক যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ মধ্য আগস্টের পরেও বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বজায় রেখে বাণিজ্য সম্পর্ক অব্যাহত রাখার উপায় খুঁজে বের করতে দুই দিনের আলোচনার প্রথম ধাপ সম্পন্ন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গেও একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে অতিরিক্ত আলোচনা প্রয়োজন। আগামী দিনে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের সিদ্ধান্ত হবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। একইসঙ্গে, ব্যাংক অফ জাপান তাদের মুদ্রানীতি নির্ধারণে একটি বৈঠকে বসবে। আজ ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ও অন্যান্য কর্মকর্তারা দুই দিনের বৈঠকে বসছেন, যেখানে তারা রাজনৈতিক চাপ, বাণিজ্য খাতের পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে সুদ হার নিয়ে আলোচনা করবেন। এটি এখন স্পষ্ট যে, ফেড তথ্যনির্ভর নীতির দিকেই যাচ্ছে। বিশেষভাবে নজর থাকবে নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের দিকে, যা ফেডের স্বল্পমেয়াদি সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

কমোডিটি মার্কেট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে দ্রুত সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানোর পর তেলের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয় এবং তিনি সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন। ফিডেলিটি ইন্টারন্যাশনালের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছরের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি $4,000 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ফেড সুদের হার কমাবে, ডলারের মান দুর্বল হবে এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের ব্যালান্স শীটে স্বর্ণ যুক্ত করবে। S&P 500-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সূচকটির $6,400 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। এতে সফল হলে, আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত পাওয়া যাবে এবং পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে $6,423। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো $6,434-এর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, যা ক্রেতাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। যদি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের চাহিদা কমে যায় এবং দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য $6,392 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করলে সূচকটি দ্রুত $6,383-এর দিকে এবং পরবর্তীতে $6,373-এর দিকে নেমে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/40EcWRn)

Read more: https://ifxpr.com/40EcWRn

LIMAFX
2025-07-30, 06:23 PM
ফেড সম্ভবত কোনো স্পষ্ট বার্তা দেবে না
http://forex-bangla.com/customavatars/1177885283.jpg
যখন ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ড মার্কিন ডলারের বিপরীতে সামান্য মূল্যবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে, তখন অনেক বিনিয়োগকারী জেরোম পাওয়েলের কাছ থেকে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা নিয়ে ইঙ্গিত আশা করলেও, তারা হতাশ হতে পারেন। আজ ফেডারেল রিজার্ভ পরপর পঞ্চমবারের মতো সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এক বা একাধিক সদস্য ভিন্নমত পোষণ করলে তা এই ইঙ্গিত দিতে পারে যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির কিছু সদস্য ভিন্ন কৌশলের পক্ষে থাকলেও সেটি সামগ্রিক নীতিগত অবস্থানে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে থাকবে অর্থনীতিকে প্রণোদনা দেওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা। একদিকে, উচ্চ সুদের হার ভোক্তাদের ব্যয় এবং বিনিয়োগকে হ্রাস করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমাতে পারে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত নমনীয় আর্থিক নীতিমালা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে — বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী বৈঠকের আগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ফলে ফেডের চেয়ারম্যান হয়তো এই মুহূর্তে সকল বিকল্প হাতে রাখতেই পছন্দ করবেন — যতক্ষণ না অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকনির্দেশনা এবং যথাযথ নীতিগত পদক্ষেপের বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা আসে। মঙ্গলবার ব্যাংক পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিল নেলসন এক মন্তব্যে বলেছেন, "এটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি এবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে। মূল প্রশ্ন হলো, তারা কি সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাসের ব্যাপারে আরও প্রস্তুতির বার্তা দেবে কি না।" এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুদের হার কমানোর আহ্বান অব্যাহত রেখেছেন। সম্ভাব্যভাবে পাওয়েলের কাছে ফেডের ২.৫ বিলিয়ন ডলারের সদর দপ্তর সংস্কার প্রকল্প সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হতে পারে — যা বর্তমানে রিপাবলিকানদের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, এই সপ্তাহের পর এই বছরের ক্যালেন্ডারে ফেডের আর মাত্র তিনটি নীতিনির্ধারণী বৈঠক রয়েছে। জুন মাসে, ফেডের কর্মকর্তারা ২০২৫ সালে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, পাওয়েল সেই দিকেই প্রত্যাশা কতটা এগিয়ে নিতে পারেন। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে ৬০%-এর বেশি হিসেবে মূল্যায়ন করছেন, তবে বৈঠকের পূর্ববর্তী প্রতিবেদন বিশ্লেষণের আগেই ফেডের সদস্যরা এই সম্ভাবনাকে আরও বাড়াতে আগ্রহী নাও হতে পারেন। নীতিনির্ধারকগণ এখনো দুটি কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাবেন — যার মধ্যে একটি হলো জুলাই মাসের প্রতিবেদন, যেটি এই শুক্রবার প্রকাশিত হবে। পাশাপাশি, তারা মুদ্রাস্ফীতি, ভোক্তা ব্যয় এবং আবাসন খাত সম্পর্কেও অতিরিক্ত প্রতিবেদন হাতে পাবেন। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1580 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1620 লেভেল টেস্টের দিকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1635 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও মার্কেট বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1660-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, যদি দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.1560-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা যেতে পারে। অন্যথায়, 1.1510 লেভেল রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে অথবা 1.1480 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল কাঠামোর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3365 রেজিস্ট্যান্স লেভেলের ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3385-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে — যদিও সেই লেভেলের উপরে উঠতে পারাটাও এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3415-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, যদি পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা 1.3330-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। এতে সফল হলে, মূল্য ওই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হতে পারে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3295 পর্যন্ত এবং সেখান থেকে সম্ভাব্যভাবে 1.3255 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। (https://ifxpr.com/40GhZRj)

Read more: https://ifxpr.com/40GhZRj

LIMAFX
2025-07-31, 06:25 PM
৩১ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1234713764.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এর মধ্যে শুধুমাত্র অল্প কয়েকটি প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। জার্মানি ও ইউরোজোনের বেকারত্বের হার প্রকাশিত হবে এবং জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না, কারণ এই সূচকটি 2%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল হয়ে গেছে। পূর্বাভাস বা আগের মান থেকে তেমন কোনো বড় বিচ্যুতির সম্ভাবনাও কম। যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোর PCE মূল্য সূচক, ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলোও স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। আমাদের ধারণা, আজ অস্থিরতা কমে আসবে এবং ট্রেডাররা শুক্রবারের আগে ট্রেডিং কার্যক্রম থেকে সাময়িক বিরতিতে যাবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, কারণ দিনের মধ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য নির্ধারিত নেই। গত রাতেই জেরোম পাওয়েল পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক মন্তব্য তাকে প্রভাবিত করে না এবং ফেডারেল রিজার্ভ হয়তো বছরের শেষ নাগাদ কেবল একবারই সুদের হার কমাতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্বেগের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে এবং এটি সোমবার থেকে নতুন রূপ ধারণ করেছে। আমরা এখনো মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যাতে শুল্ক বহাল থাকে, সেটিও আসলে "ভিন্ন রূপে বাণিজ্য যুদ্ধ" হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির মতো চুক্তিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইতিবাচক। তাই, এ ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তিই ডলারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। তবে বৃহত্তর ও মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে ট্রেডাররা এখনো নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিমালাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিতে, এ ধরনের মৌলিক পটভূমি দীর্ঘমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত নয়। সুতরাং, আমরা এখনো মনে করি দৈনিক টাইমফ্রেমে কেবল একটি নিম্নমুখী কারেকশন হচ্ছে।

উপসংহার: এ সপ্তাহের শেষদিকের ট্রেডিংয়ে, আজ কোনো বড় ইভেন্ট না থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে শান্ত মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। এখনো স্থানীয় পর্যায়ে ইউরোর কিছুটা দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং মূল্য 1.1455–1.1474 এর কাছাকাছি থাকা অবস্থায় পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। পাউন্ডের ক্ষেত্রে, আরও দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি, তবে আজকের জন্য যে লেভেলটি মনোযোগের দাবি রাখে সেটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল লেভেল – 1.3259। (https://ifxpr.com/45tPoRV)

Read more: https://ifxpr.com/45tPoRV

LIMAFX
2025-08-01, 05:46 PM
ট্রাম্প মার্কেটে ধস নামালেন। এখন মার্কিন কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1905912773.jpg
মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিরোনাম তৈরির ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনো বিশ্বের প্রধান উৎস হিসেবে রয়ে গেছেন, যিনি একা-হাতে ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটকে দুই দিকেই দোলাতে পারেন। বৃহস্পতিবার, বিনিয়োগকারীরা উদ্দীপিত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত শুল্ক জয়ের খবর মার্কেটে মূল্যায়ন করতে শুরু করেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান এবং কোরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এমন ধারণা তৈরি হয়। এর ফলে স্টক, কমোডিটি এবং কাঁচামালের চাহিদা বেড়ে যায়, এবং মার্কিন ডলারের মূল্যের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। তবে, এই পরিস্থিতি বেশিক্ষণ বজায় থাকেনি। বিনিয়োগকারীদের মাঝে আশাবাদ হারিয়ে যায় যখন গণমাধ্যম মনে করিয়ে দেয় যে ১ আগস্ট ঘনিয়ে আসছে—এবং এই সময়ের মধ্যেও ট্রাম্প চীন বা ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশের সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি, যারা যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে থাকে। গতকাল ট্রাম্প উত্তেজনা আরও বাড়ান, শুধু চীন ও ভারত নয়—তিনি ব্রাজিলকেও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। পাশাপাশি, ব্রিকস সদস্যদের—বিশেষ করে ব্রাজিল এবং ভারতকে—বিনাশমূলক নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখান। স্বাভাবিকভাবেই, এই নতুন সংঘাত মার্কেটের ট্রেডাররা উপেক্ষা করতে পারেনি, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ইকুইটি মার্কেটে কারেকশন শুরু হয় এবং আজ সকালের সেশনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এর প্রভাব পড়েছে। যদিও এসব নতুন কিছু নয়, বিনিয়োগকারীরা এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতোই বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছেন, কারণ এ মুহূর্তে ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনই মূল বিনিয়োগ পরিস্থিতি নির্ধারণ করছে। ট্রাম্পের নেতিবাচক প্রভাব ট্রেডারদের বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা পানি ঢেলে দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, এশিয়ার স্টক সূচকগুলোতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, ঠিক যেমনটি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার সূচকেও দেখা যাচ্ছে। অবশ্যই, ১ আগস্টের আগমন এবং তার সঙ্গে থাকা বৃদ্ধপ্রায় আধিপত্যবাদীর শুল্ক হুমকিগুলো মার্কেটে চাপ তৈরি করছে—তবে প্রশ্ন হলো: এই নেতিবাচক পরিস্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে? যদি ট্রাম্প "আগ্রাসী দেশগুলোর" বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য না করেন, তাহলে আমার মনে হয় বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ ধীরে ধীরে আরও নির্দিষ্ট বিষয়ে স্থানান্তরিত হবে—যার মধ্যে একটি হলো জুলাই মাসের যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন। সর্বসম্মত পূর্বাভাস অনুযায়ী, নতুন নন-ফার্ম পেরোলের সংখ্যা 106,000-এ পৌঁছাতে পারে, যা এক মাস আগে ছিল 147,000। বেকারত্বের হার 4.1%-এর জায়গায় 4.2% হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে বার্ষিক গড় ঘণ্টাপ্রতি আয় 3.7%-এর পরিবর্তে 3.8% এবং জুলাই মাসে 0.2%-এর তুলনায় 0.3% বাড়তে পারে। এর বাইরে, ট্রেডারদের দৃষ্টি গত মাসের উৎপাদন সংক্রান্ত PMI-এর দিকেও থাকবে, যা 52.9 থেকে কমে প্রতীকী 50-এর নিচে 49.5-এ নেমে আসতে পারে।

মার্কেটের ট্রেডাররা এসব খবরের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? যুক্তরাষ্ট্র বনাম শক্তিশালী উৎপাদক দেশের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া বাণিজ্য সংঘাতের পটভূমিতে, বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত এখনো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর দিকে মনোযোগ সরাবে। যদি প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল সামগ্রিকভাবে আরও নেতিবাচক চিত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে ট্রেডাররা মনে করতে পারে যে ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার 0.25% কমাতে বাধ্য হবে। এই প্রত্যাশিত পদক্ষেপ মার্কেটের পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে এবং গতকালের শুরু হওয়া বিক্রির প্রবণতা থামাতে বা এমনকি সার্বিক প্রবণতা বদলে দিতেও পারে। যদি নতুন চাকরির সংখ্যা সামান্য বেশি হয়, তাহলে মার্কিন ডলার স্থানীয়ভাবে সমর্থন পেতে পারে এবং ডলার সূচক ফের 100.00 লেভেলের উপরে উঠে যেতে পারে, যেখানে এটি বর্তমানে নিচে রয়েছে। এই ধরনের ফলাফল স্টক মার্কেটের বিনিয়োগকারীদেরও কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে, গতকাল এবং আজ ট্রাম্পের চীন ও ভারতের বিরুদ্ধে নতুন, যদিও এটি কিছুটা প্রত্যাশিত ছিল, সংঘাতের কারণে হওয়া ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে পারে। (https://ifxpr.com/4oo8ocb)


Read more: https://ifxpr.com/4oo8ocb

LIMAFX
2025-08-04, 03:44 PM
ISM পরিষেবা সূচক ও শ্রম ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ফেডের সংকেত
http://forex-bangla.com/customavatars/1430037806.jpg
আসন্ন সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে এর মানে এই নয় যে মার্কেটে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করবে—যুক্তরাষ্ট্ ের স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতিও বিনিয়োগকারীরা তীব্রভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর কারণ হলো, গত সপ্তাহের শেষে প্রকাশিত জুলাইয়ের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন ডলারের মৌলিক প্রেক্ষাপটকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিয়েছে। রূপকভাবে বলতে গেলে, এ যেন "রাজার গায়ে পোশাক নেই": যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো (BLS) মে ও জুন মাসে প্রকাশিত শক্তিশালীভাবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির আগের তথ্যকে ভুল বলে ঘোষণা করেছে। এই কঠিন বাস্তবতায় ট্রেডাররা বিস্মিত হয়ে পড়ে: দেখা যায়, মে মাসে কেবলমাত্র 19,000টি (যেখানে আগের তথ্য ছিল 139,000), এবং জুনে মাত্র 14,000 (আগে দাবি করা হয়েছিল 147,000) কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছিল। 258,000 কর্মসংস্থানের সংখ্যার সংশোধন কোনো "পরিসংখ্যানগত ত্রুটি" নয়—এটি মার্কিন ডলারের জন্য একটি বড় ধাক্কা, যার পূর্ববর্তী দর বৃদ্ধি মূলত শ্রমবাজারের টানাপোড়েনের ওপর নির্ভর করছিল। অতএব, ননফার্ম পেরোলের ফলাফলের সংশোধন এবং জিডিপি উপাদানগুলোর বিস্তারিত বিশ্লেষণের পর ট্রেডাররা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সামনের প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতা কিংবা অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ঘোষিত 3% জিডিপি প্রবৃদ্ধি মূলত হিসাবভিত্তিক কৃত্রিমতা ছিল—যার পেছনে ছিল "অ্যাকাউন্টিং এনহান্সমেন্ট অ্যালগরিদম।" হঠাৎ করে আমদানির 30% হ্রাস (যা জিডিপির নেতিবাচক উপাদান হ্রাস করে) মূল্য সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটিয়েছে, অথচ দেশীয় চাহিদা এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতি দুর্বল ছিল। বাণিজ্য ও তথাকথিত মজুদের প্রভাব বাদ দিলে প্রকৃত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র 1.2%–1.4%। এ কারণেই আসন্ন সব সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট সাম্প্রতিক এসব প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্লেষণ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশের দেড় ঘণ্টা পর প্রকাশিত ISM উৎপাদন সূচক ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। প্রথমত, সূচকটি টানা পাঁচ মাস ধরে সংকোচনের অঞ্চলে (৫০ পয়েন্টের নিচে) অবস্থান করছে। দ্বিতীয়ত, এটি প্রত্যাশিত 49.5-এর পরিবর্তে 48.0-এ নেমে এসেছে, যা উৎপাদন খাতের আরও অবনতি নির্দেশ করে। দুর্বল অর্ডার এবং কর্মসংস্থানের তীব্র পতন বিনিয়োগকারীদের আবার যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার, 5 আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ISM পরিষেবা PMI প্রকাশিত হবে। মে মাসে এই সূচক 49.9-এ নেমে গিয়েছিল, তবে জুনে তা বেড়ে 50.8 হয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুলাইয়ে এটি আরও বেড়ে 51.5 হতে পারে। তবে যদি এটি আবার ৫০-এর নিচে নেমে আসে, তাহলে ডলারের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হতে পারে, কারণ পরিষেবা খাতই বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ধরে রাখার শেষ শক্তিশালী স্তম্ভ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় খাত, যা জিডিপির 70%-এর বেশি এবং মোট কর্মসংস্থানের 75%-এর বেশি প্রতিনিধিত্ব করে। যদি ISM পরিষেবা সূচক আবার ৫০-এর নিচে নামে, তাহলে বোঝা যাবে যে এখন উৎপাদন ও পরিষেবা—উভয় খাতেই মন্থরতার সম্ভাবনা বিস্তৃত হয়ে গেছে। এই প্রতিবেদনটিই সম্ভবত সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন। অন্য প্রতিবেদনগুলোর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হলেও, তা সামগ্রিক মৌলিক চিত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সোমবার, 4 আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাক্টরি অর্ডারস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এটি একটি ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির ইঙ্গিত প্রদানকারী সূচক, যা ভোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে উৎপাদন চাহিদার পরিবর্তন নির্দেশ করে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুন মাসে অর্ডারস 4.9% হ্রাস পেতে পারে, যেখানে আগের মাসে তা 8.2% বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই ফলাফল—বিশেষ করে ISM উৎপাদন সূচকের সংকোচনের প্রেক্ষাপটে—মার্ িন ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বৃহস্পতিবার, 7 আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিট লেবার কস্ট (ULC) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। অধিকাংশ বিশ্লেষক ধারণা করছেন দ্বিতীয় প্রান্তিকে শ্রমব্যয় কেবলমাত্র 1.4% বৃদ্ধি পা, যেখানে প্রথম প্রান্তিকে তা 6.6% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি শ্রম ব্যয় পূর্বাভাসের অনুযায়ী বা তার চেয়েও কম আসে, তাহলে তা মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতির সংকেত দেবে—যা সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর পক্ষে একটি অতিরিক্ত যৌক্তিকতা তৈরি হবে। আসলে, জুলাইয়ের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশের পর, ফেডের পরবর্তী বৈঠকে 25 বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা 35% থেকে বেড়ে 80%-এ দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, সপ্তাহজুড়ে অনুষ্ঠেয় ফেডের কর্মকর্তাদের কয়েকটি বক্তব্য মার্কেটের ট্রেডারদের ডোভিশ বা নমনীয় মনোভাবকে আরও শক্তিশালী বা ভারসাম্যপূর্ণ করতে পারে। বুধবার, 6 আগস্ট সান ফ্রান্সিসকো ফেড প্রেসিডেন্ট মেরি ডেইলি বক্তব্য দেবেন। এ বছর তাঁর ভোটাধিকার নেই। জুলাইয়ে তিনি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারীদের শিবিরে মৌখিকভাবে যোগ দিয়েছিলেন (যদিও তিনি তখন সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন), এবং বছরের শেষ নাগাদ দুইবার হার কমানোর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনায়, তার বক্তব্যে আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে। এই দিনেই বোস্টন ফেডের প্রেসিডেন্ট সুসান কলিন্সও বক্তব্য দেবেন। তার এ বছর ভোটাধিকার রয়েছে এবং তিনি সাধারণত মধ্যপন্থী অবস্থান গ্রহণ করেন, যার ফলে তাঁর বক্তব্য সাধারণত সতর্ক হয়ে থাকে। যদি তিনি তার স্বাভাবিক সতর্কতা সত্ত্বেও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের দিকে ঝুঁকেন, তাহলে ডলারের ওপর তাৎক্ষণিক চাপ তৈরি হতে পারে। এছাড়া, বুধবার ফেডের গভর্নর লিসা কুক (FOMC-এর স্থায়ী ভোটার) বক্তৃতা দেবেন। তিনি সাধারণত মাঝারি মাত্রায় ঝুঁকি গ্রহণের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচিত মুখ, তাই তার বক্তব্যে যেকোনো ধরনের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত EUR/USD পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। পরের দিন, 7 আগস্ট আটলান্টা ফেডের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বোস্টিক বক্তব্য দেবেন (2025 সালে তাঁর ভোটাধিকার নেই)। তিনি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি বছরের শেষ নাগাদ কেবল একবার সুদের হার কমানোর পক্ষপাতী—তাও যদি শ্রমবাজার শক্তিশালী থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেতে থাকে। শুক্রবারের "সারপ্রাইজ"-এর পর, তার অবস্থান অনেকটাই নমনীয় হয়ে যেতে পারে। শুক্রবার, 8 আগস্ট সেন্ট লুইস ফেড প্রেসিডেন্ট আলবার্টো মুসালেম (যার এ বছর ভোটাধিকার রয়েছে) তার মতামত প্রকাশ করবেন। মুসালেম "অপেক্ষা করুন ও দেখুন" পন্থার সমর্থক—তিনি জুলাইয়ে বলেছিলেন যে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পুরোপুরি মুদ্রাস্ফীতিতে প্রতিফলিত হবে 2025 সালের শেষভাগে বা 2026 সালের শুরুতে। জুলাইয়ের NFP-র ফলাফল তার অবস্থান বদলাতে পেরেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সুতরাং, এই সপ্তাহের মূল সামষ্টিক প্রতিবেদন এবং ফেড সদস্যদের মন্তব্য মার্কিন ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

Read more: https://ifxpr.com/46AG9QZ

LIMAFX
2025-08-06, 04:00 PM
৬ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারে মাত্র একটি প্রাসঙ্গিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল প্রকাশিত মার্কিন ISM ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবুও এটি স্পষ্টভাবে প্রভাব বিস্তারকারী ফলাফল প্রদর্শন করা সত্ত্বেও তা মার্কেটে মাত্র 30 পিপসের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে স্পষ্টতই ট্রেডাররা এক ধরনের শীতনিদ্রায় রয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/791213037.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আবারও বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। দিন শেষে, ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সদস্য লিসা কুক ভাষণ দেবেন, যা বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আগ্রহ করবে – কারণ এই মুহূর্তে ফেডের যেকোনো সদস্যের ভাষণই গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমবাজার সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর, সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বেড়ে প্রায় 90%-এ পৌঁছেছে। ফেডারেল রিজার্ভের যেকোনো কর্মকর্তার মুদ্রানীতিমালার নমনীয়করণের পক্ষে ভোট দেওয়ার প্রস্তুতির যেকোনো ইঙ্গিতকে ট্রেডাররা স্বাগত জানাবে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যা গত শুক্রবার থেকে নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমাদের দৃষ্টিতে, যেকোনো বাণিজ্যিক চুক্তি – যদি তাতে শুল্ক বহাল রাখে – তা প্রকৃতপক্ষে বাণিজ্যযুদ্ধের আরেক রূপ, শুধু "ভিন্ন নামে"। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে সম্পাদিত চুক্তিগুলো অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশি ইতিবাচক, এবং এ ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তিই মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। তবে বৃহত্তর এবং মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বিনিয়োগকারীরা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিমালার বিষয়টি মাথায় রেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন নতুন শুল্ক আরোপ করছেন এবং বিদ্যমান শুল্কের হার বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন, যার উদ্দেশ্য হল সারা বিশ্ব থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করা। আমরা ইতোমধ্যেই গত সপ্তাহে মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, তার কিছুটা আভাস পেয়েছি: জিডিপি হয়তো বাড়তে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক সম্ভবত বাড়বে না। সাম্প্রতিক সময়ে, ট্রাম্প 60টি দেশের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছেন এবং এখন তিনি ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন, কারণ ভারত রাশিয়ান তেল ক্রয় বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1809384174.jpg
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গত শুক্রবার শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হতে পারে। আমাদের মতে, শুক্রবার ডলারের জন্য একাধিক নেতিবাচক ঘটনা পুরো সপ্তাহজুড়েই ইউরো ও পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থান ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। 1.1527–1.1571 জোন থেকে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখতে পারে এবং একটি সংশ্লিষ্ট বাই সিগন্যাল ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য গতকাল 1.3259 স্তর থেকে রিবাউন্ড করেছে এবং এখন মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া অতিক্রমের চেষ্টা করবে। (https://ifxpr.com/46KuZJt)

Read more: https://ifxpr.com/46KuZJt

LIMAFX
2025-08-07, 06:06 PM
আজই সুদহার কমাতে যাচ্ছে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড
http://forex-bangla.com/customavatars/1735782011.jpg
দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে সুদহার নামিয়ে আনার প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ পাউন্ডের দর আজ ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড মূল নীতিগত সুদহার 25 বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে 4%-এ নামিয়ে আনবে—যা আগের প্রান্তিকে শুরু হওয়া আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করা হবে লন্ডন সময় দুপুর 12:00-এ, যার আধা ঘণ্টা পর গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি একটি সংবাদ সম্মেলন আসবেন। এই প্রত্যাশিত সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া অর্থনীতিকে সহায়তা দেওয়ার ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের চলমান প্রচেষ্টারই প্রতিফলন ঘটায়। সুদের হার কমিয়ে 4%-এ নামানো হলে ব্যবসা ও ভোক্তাদের জন্য ঋণ নেওয়ার পরিবেশ সহজতর হবে, যা বিনিয়োগ ও ভোক্তা ব্যয়কে উৎসাহিত করতে পারে। তবে, এই পদক্ষেপে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। অতিরিক্ত নমনীয় মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াতে পারে এবং পাউন্ড স্টার্লিংকে দুর্বল করতে পারে। অ্যান্ড্রু বেইলির সংবাদ সম্মেলনটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট, যেখানে তিনি সুদের হার কমানোর পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করবেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত দিকনির্দেশ ও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত খুঁজে পেতে ট্রেডাররা তার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। এটা স্পষ্ট যে মনেটারি পলিসি কমিটি (MPC) মূল্যস্ফীতির নতুন ঢেউয়ের প্রেক্ষাপটে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখছে। হালনাগাদ পূর্বাভাস অনুযায়ী মে মাসের তুলনায় স্বল্পমেয়াদে মূল্যস্ফীতির আরও বেশি চাপ দেখা হতে পারে। তবে, অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে, বিশেষ করে বসন্তে টানা দুই মাসের সংকোচন এবং এপ্রিলের পে-রোল ট্যাক্স ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ফলে নিয়োগ হ্রাসের প্রেক্ষিতে। অর্থনীতিবিদদের মতে, MPC-এর সদস্যগণ বর্তমান দিকনির্দেশনা বজায় রাখবে, যার ফলে মার্কেটে সুদহার কমানোর গতি ধীর হবে বলে প্রত্যাশা গড়ে উঠছে। এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে MPC-র নয়জন সদস্যের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস, কমিটির একটি বড় অংশ সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট কমানোর পক্ষে থাকবে, দুইজন সদস্য 50 বেসিস পয়েন্ট কমানোর পক্ষে অবস্থান নেবেন এবং আরও দুইজন কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে থাকবেন—যা গত তিন মাস আগের বিভাজনের প্রতিরূপ। MPC সম্ভবত এমন একটি দিকনির্দেশনা বজায় রাখবে যা ধীরে ও সতর্কভাবে সুদহার কমানোর পথে চালিত করবে, যেখানে প্রতিটি বৈঠকে নীতিমালার পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। এটি পাউন্ডকে কিছুটা সমর্থন দিতে পারে, কারণ গতকাল পাউন্ডের দর ডলারের বিপরীতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও, ট্রেডাররা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে ধরে নিচ্ছে যে বছরের শেষ নাগাদ—আজকের সিদ্ধান্তসহ—আরও দুইবার সুদের হার হ্রাস করা হবে, যার ফলে 2026 সালে মূল সুদের হার 3.5%-এ নেমে আসবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি 17 মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তর 3.6%-এ পৌঁছেছে, যা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের পূর্বাভাসের চেয়ে 0.2 শতাংশ বেশি। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি পূর্বাভাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি প্রায় 4% হবে বলে ধরে নিতে পারে। যদিও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি মনে করছেন এই মুদ্রাস্ফীতি অস্থায়ী প্রকৃতির, তবে ব্যাংকটির প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিলসহ অনেকে মজুরি ও পণ্যমূল্যে গৌণ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে বেকারত্ব সংক্রান্ত পূর্বাভাসের দিকেও নজর দেওয়া হতে পারে, কারণ MPC ক্রমবর্ধমানভাবে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় করছে। (https://ifxpr.com/4mv1Zdf)

GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3380 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3425-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যেতে পারবে, যার ব্রেকআউট করে মূল্যের উর্ধ্বমুখী হওয়ার বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3450 লেভেল। অন্যদিকে, যদি পুলব্যাক দেখা যায়, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেল পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, সেই রেঞ্জের ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি GBP/USD ক্রেতাদের ওপর বড় আঘাত হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3280 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যার পর 1.3250 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হতে পারে।

EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস বর্তমানে ক্রেতাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1690 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। কেবল তখনই 1.1730 টেস্টের সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1760 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হতে পারে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1800-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, যদি দরপতন দেখা দেয়, তাহলে মূল্য 1.1655 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহের আশা করা যায়। যদি সেই জায়গায় কোনো ক্রয় কার্যক্রম না দেখা যায়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1610 লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই যুক্তিযুক্ত হবে, অথবা 1.1565 থেকে লং পজিশনের পরিকল্পনা করা যেতে পারে।


Read more: https://ifxpr.com/4mv1Zdf

LIMAFX
2025-08-08, 05:05 PM
শুল্কই এখনও মার্কেটে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে
http://forex-bangla.com/customavatars/912514779.jpg
ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রকে একমাত্র আধিপত্য বিস্তারকারী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অন্যান্য দেশ ও মহাদেশকে জোরপূর্বক নতিস্বীকার করানোর পেছনে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই শুল্কভিত্তিক নীতিই বর্তমানে মার্কেটে প্রাধান্য বিস্তার করছে এবং এর ফলে অস্থিরতার মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে — যা উপেক্ষা করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। একের পর এক নতুন শুল্কের ঘোষণায় মার্কেট ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলে গেছে, কারণ এখনও স্পষ্ট নয়—শেষ পর্যন্ত এর পরিণতি কী হবে। তবে এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতেও বিনিয়োগকারীরা লাভজনক ট্রেডিং সুযোগ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, ট্রাম্প যখন ঘোষণা দেন যে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় উৎপাদকদের ছাড় দিয়ে বিদেশি কোম্পানির আমদানিকৃত সেমিকন্ডাক্টরের উপর 100% শুল্ক আরোপ করা হবে—তখন প্রযুক্তি খাতের স্টকের প্রতি ব্যাপক চাহিদা দেখা দেয়। এর ফলে বৃহস্পতিবার ট্রেডিং সেশনের শেষভাগে নাসডাক 100 সূচকের দর প্রায় সাম্প্রতিক সর্বকালের উচ্চতার কাছাকাছি ফিরে আসে। অন্যদিকে, মার্কিন ডলার—যা তত্ত্ব অনুযায়ী বাণিজ্য ও শুল্ক-সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা এবং ফেডারেল রিজার্ভের আগাম সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা থেকে চাপের মুখে থাকার কথা—তা এখনও আশ্চর্যজনকভাবে স্থিতিশীল রয়ে গেছে। একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে কমোডিটি মার্কেটেও। যেমন: অপরিশোধিত তেলের দাম একটি তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ রেঞ্জে রয়েছে। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটেও। এই সবকিছুর মূল কারণ ট্রাম্পের আগ্রাসী ও স্বেচ্ছাচারী নীতিমালা। এটা এখনো অনিশ্চিত যে কবে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। বরং আরও বেশি সম্ভাবনা রয়েছে যে, নতুন শর্তে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরও, মার্কিন বাণিজ্য অংশীদাররা বর্তমান কঠোর শর্তাবলীর বিরুদ্ধে আপত্তি জানাবে — যা পরবর্তীতে মার্কেটের পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রতিফলিত হবে। তাহলে এমন পরিস্থিতিতে কোন অ্যাসেটগুলো আকর্ষণীয় হতে পারে? আমার মতে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক কোম্পানির স্টকগুলোই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তনির্ভর নীতির কারণে যতটা বিশৃঙ্খলা বাইরে তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যেও স্পষ্ট একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে—সেটি হলো বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদে উপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে স্থানীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দেওয়া এবং সুদের হার শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনার চেষ্টা। হ্যাঁ, এটি একটি সম্পূর্ণ ব্যবস্থাগত ও ইচ্ছাকৃত প্রক্রিয়া—কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এটাকেই একমাত্র সঠিক পথ হিসেবে বিবেচনা করছেন। এর মানে, যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ভোক্তাদের জন্য পণ্য ও সেবা তৈরি করে, সেগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের বিষয়ে বলতে এগেলে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের নীতির অধীনে, নিকট ভবিষ্যতে ক্রিপ্টো মার্কেটে আত্মবিশ্বাসী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে—এমনটা ঘটার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। আমি আগেও উল্লেখ করেছি—যখন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা থাকে, তখন বন্ড এবং অন্যান্য সুদবিহীন অ্যাসেট (যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি, স্বর্ণ এবং ফরেক্স ইনস্ট্রুমেন্ট)–এর প্রতি চাহিদা কমে যায়। আর এই প্রেক্ষাপটে, মার্কিন ইকুইটি এগিয়ে থাকবে। সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ করলে বলা যায়—কমোডিটি, স্বর্ণ, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং এমনকি মার্কিন ডলারের ডলারের সাইডওয়ে প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে, মার্কিন স্টক সূচক এবং মার্কিন কর্পোরেট স্টকসমূহ সমর্থন পেতে থাকবে। (https://ifxpr.com/46SE6Ih)

Read more: https://ifxpr.com/46SE6Ih

LIMAFX
2025-08-11, 02:43 PM
১১ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। তাই আজ মার্কেটে খুব দুর্বল মুভমেন্ট এবং কোনো প্রবণতা না থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, যার অর্থ যেকোনো মুহূর্তে নতুন শুল্কের ঘোষণা আসতে পারে। বিকল্পভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও কোনো উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যা মার্কেটের ট্রেডারদের ডলার বিক্রিতে প্ররোচিত করবে। গত দুই সপ্তাহে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা ডলার বিক্রি চলমান রাখার জন্য যথেষ্ট কারণ পেয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/396028122.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা বাড়ছে, সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়ছে এবং ট্রাম্প শুল্ক আরোপ অব্যাহত রেখেছেন। ট্রেডারদের জন্য বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো মূল আলোচ্য বিষয় এবং গত সপ্তাহে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমরা এখনো মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যাতে শুল্ক বজায় থাকে, তা মূলত একই বাণিজ্য যুদ্ধ, শুধু "ভিন্ন নামে"। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশি সুবিধাজনক। তাই এই ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। তবে আরও বিস্তৃত ও মৌলিক পর্যায়ে, মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতি বিবেচনায় রাখবে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সঙ্গে বেশ কিছু জোরালো বিবৃতি দিয়েছেন। সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে তথ্য প্রবাহ আসা অব্যাহত থাকতে পারে, তাই যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় নমনীয় মনোভাব গ্রহণ করা উচিত নয়।
http://forex-bangla.com/customavatars/1474821192.jpg
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গত শুক্রবার শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আমাদের মতে, সম্প্রতি ডলারের জন্য পর্যাপ্ত নেতিবাচক ঘটনা ঘটেছে, যা মার্কেটে শান্ত ও ধারাবাহিকভাবে মার্কিন মুদ্রা বিক্রি অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে। ইউরোর মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া থেকে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। (https://ifxpr.com/45ct27y)

Read more:https://ifxpr.com/45ct27y

LIMAFX
2025-08-12, 05:38 PM
মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধবিরতি ৯০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/695876692.jpg
গতকাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির বিরতি আরও ৯০ দিনের জন্য, অর্থাৎ নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত, বাড়ানোর পর বহু বিনিয়োগকারী ও ট্রেডার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। এই পদক্ষেপ বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে। এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য আশাবাদের সংকেত হিসেবে কাজ করেছে, যা বাণিজ্যযুদ্ধের আরও তীব্রতার আশঙ্কা করছিল—এই সংঘাত বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করতে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করতে পারত। যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হওয়ায় সেটি কোম্পানিগুলিকে আমদানি ও রপ্তানির খরচ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিকল্পনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেবে, যা ইতিবাচক বিনিয়োগ পরিস্থিতিকে সমর্থন করে। তবে, মার্কেটে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও মনে রাখা জরুরি যে এটি কেবল একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ। আগামী ৯০ দিনে উভয় পক্ষেরই বিদ্যমান বিরোধ সমাধান এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের আরও অস্থিতিশীলতা রোধ করার জন্য পারস্পরিকভাবে সুবিধাজনক একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ট্রাম্প একটি আদেশে স্বাক্ষর করে চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন, যার ফলে মঙ্গলবার নির্ধারিত শুল্ক বৃদ্ধির কার্যকরী সময় পিছিয়ে গেল। শিথিলকরণ কার্যকর হয়েছিল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পারস্পরিক শুল্ক বৃদ্ধির মাত্রা কমাতে এবং বিরল খনিজ ও কিছু প্রযুক্তির রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে সম্মত হয়। হোয়াইট হাউসের বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন সময়সীমা ছাড়া চুক্তির মূল উপাদানগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। একইভাবে, চীনও ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের পদক্ষেপ স্থগিত রাখার সময়সীমা আরও 90 দিনের জন্য বাড়াবে। গত মাসে সুইডেনে, উভয় পক্ষের আলোচকরা চুক্তি বজায় রাখার জন্য একটি প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন। এই সমঝোতার বাড়ানো না হলে, চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক কমপক্ষে 54% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেত। এই সময়সীমা বৃদ্ধি উভয় দেশকে অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আরও সময় দেবে, যেমন—ফেন্টানিল বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত শুল্ক যা ট্রাম্প বেইজিংয়ের ওপর আরোপ করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্বেগ যে চীন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থেকেও রাশিয়া ও ইরান থেকে তেল কিনছে, এবং চীনে মার্কিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে মতপার্থক্য। এই সমঝোতা ট্রাম্পের জন্য অক্টোবরের শেষের দিকে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকের পথ প্রশস্ত করতে পারে। আদেশে ট্রাম্প লিখেছেন, "যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের পারস্পরিকতার অভাব এবং এর ফলে সৃষ্ট জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সমস্যাগুলো সমাধান করতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (PRC) সাথে আলোচনায় অব্যাহত রয়েছে। এই আলোচনার সময়, চিন পারস্পরিক নয় এমন বাণিজ্য চুক্তিগুলো সংশোধন করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক বিষয়গুলো সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।" কারেন্সি মার্কেটে, এই খবরের প্রভাবে মার্কিন ডলারের দর কয়েকটি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1640 লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। কেবল মূল্য এই লেভেলে পৌঁছালেই 1.1670 টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1695-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1730 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, কেবল মূল্য 1.1600 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়চাপের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তবে 1.1560 লেভেলের টেস্ট বা 1.1530 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করাই ভালো।

GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল 1.3470 অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই মূল্যকে 1.3502-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে, যার উপরে আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3540 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্য 1.3400-এ থাকা অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এতে তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি ব্যাপক দরপতন নিয়ে আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3375-এর দিকে নিয়ে যাবে, যারপর 1.3350 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Read more: https://ifxpr.com/45rpblJ

LIMAFX
2025-08-13, 03:59 PM
১৩ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/62574792.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারের জন্য কেবল একটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে — জার্মানির জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় প্রাক্কলন প্রকাশিত হবে। ইইউ-তে সাধারণত দ্বিতীয় প্রাক্কলন প্রথমটির থেকে ভিন্ন হয় না, জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির গুরুত্ব ইউরোজোনের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি সূচকের তুলনায় অনেক কম, এবং বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো ভূমিকা রাখছে না, কারণ ব্যাংকটি মূল সুদের হার নিরপেক্ষ স্তরে নামিয়ে এনেছে। তাই, ইউরোর উপর এই প্রতিবেদনের ফলাফলের কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। আজ যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্ধারিত নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য অস্টান গুলসবী, রাফায়েল বস্টিক এবং থমাস বারকিনের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, যত বেশি ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তারা সুদের হার কমানোর প্রস্তুতির কথা প্রকাশ করবেন, ততই মার্কিন ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা বাড়বে। তবে, এখন সবাই স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে যে সেপ্টেম্বর মাসে মূল সুদের হার কমানো হবে। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ এখনো বাণিজ্য যুদ্ধের রয়েছে, যা গত সপ্তাহে নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমরা এখনো মনে করি, শুল্ক বহাল রয়েছে যেকোনো বাণিজ্য চুক্তিই মূলত একই বাণিজ্য যুদ্ধ, যা শুধু ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। অবশ্য ইইউ বা জাপানের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। তাই, এ ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধিকে প্ররোচিত করতে পারে। তবে, বৈশ্বিক ও মৌলিক দিক থেকে বিনিয়োগকারীরা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির বিষয়টি মাথায় রাখবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/183990579.jpg
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে বিরতি দেখা যেতে পারে। আজ কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক প্রেক্ষাপট থাকবে না। তবুও, নতুন করে ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে তা সম্ভবত সামান্য হবে। আজ শুধুমাত্র টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা উচিত, যে বিষয়ে আগের দুইটি প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। (https://ifxpr.com/45MCMp7)

Read more: https://ifxpr.com/45MCMp7

LIMAFX
2025-08-14, 06:23 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনার বিষয়টি এখনও মার্কেটে প্রাধান্য বিস্তার করছে
http://forex-bangla.com/customavatars/484526462.jpg
বুধবার, বিনিয়োগকারীরা সেপ্টেম্বরের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে এমন প্রত্যাশার মূল্যায়ন অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে এ বছরের বসন্তে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে শুরু হওয়া শুল্ক-সংক্রান্ত বিষয়টি কিছুটা পিছনের সারিতে চলে গেছে। সম্ভাব্য ফেড সুদের হার কমানোর সাথে যুক্ত উচ্ছ্বাসের ঢেউয়ে ভেসে, মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা দৃঢ়ভাবে ধারণা করছেন যে সুদের হার সত্যিই কমানো হবে। এটি ফেডারেল ফান্ডস রেট ফিউচার্সের অব্যাহত বৃদ্ধির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে, যা আজ সকালে 95.8% সম্ভাবনা দেখাচ্ছে, যেখানে গতকাল এটি ছিল 94.2%। এমনকি ফেডের দুই ভোটাধিকারপ্রাপ্ত সদস্য—শিকাগো ফেডের প্রেসিডেন্ট গুলসবি এবং আটলান্টা ফেডের প্রেসিডেন্ট বস্টিক—যারা মূলত শুল্ক ইস্যুর কারণে সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তারাও বিনিয়োগকারীদের মনোভাব পরিবর্তন করতে পারেননি। গুলসবি মনে করেন, যদি মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকে এবং শ্রমবাজার দুর্বল হয়, তাহলে মার্কিন অর্থনীতি স্থবির-মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কার মুখে পড়তে পারে। এছাড়াও, তিনি জুলাই মাসে মূল মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে তার সংশয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন, যদিও বার্ষিক ভিত্তিতে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির হার অপরিবর্তিত ছিল। আমার মতে, ফেডের সুদের হার কমানোর বিষয়ে ট্রেডাররা আস্থা কেবল সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির স্থিতিশীলতা থেকেই নয়, বরং এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবিচল অবস্থান থেকেও এসেছে। মনে করিয়ে দিই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সক্রিয়ভাবে আরও অনুগত প্রার্থী দিয়ে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করছেন, যাতে দ্রুত সুদের হার কমানো এবং দেশীয় উৎপাদন উদ্দীপিত করার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। ট্রাম্পের অবস্থান এবং বিনিয়োগকারীদের সামগ্রিক মনোভাব বিবেচনা করে, আমার বিশ্বাস মার্কিন স্টক মার্কেটে আরও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, এবং এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে এমন যেকোনো পরিসংখ্যান স্টক মার্কেটকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করবে। উদাহরণস্বরূপ, আজ বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি উৎপাদক মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে থাকবে, যা সর্বসম্মত পূর্বাভাস অনুযায়ী, বার্ষিক ভিত্তিতে 2.3% থেকে বেড়ে 2.5% হতে পারে এবং মাসিক ভিত্তিতে জুনের শূন্য থেকে জুলাইয়ে 0.2% হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, সাপ্তাহিক প্রাথমিক বেকারভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও গুরুত্ব পাবে, যা গত সপ্তাহের 226,000 থেকে সামান্য কমে 225,000 হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে? বেকারভাতা আবেদনের সংখ্যার যেকোনো হ্রাস ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের (বিশেষ করে স্টক) চাহিদা সমর্থন করে। উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) বৃদ্ধির ফলে ট্রেডারদের মনোভাবে বড় ধরনের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। যেমন আমি বহুবার উল্লেখ করেছি, মার্কিন অর্থনৈতিক কাঠামোতে ফেডের নীতিমালা এবং সুদের হার পূর্বাভাসে ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) উৎপাদন সংক্রান্ত উপাদানের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। দিনের শেষে, ট্রাম্প এবং রিচমন্ড ফেড প্রেসিডেন্ট থমাস বার্কিন বক্তব্য আশা করা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি, শুল্ক এবং মার্কিন অর্থনীতিতে বহিরাগত প্রভাব নিয়ে তাদের মতামত স্বল্পমেয়াদে অ্যাসেটের মূল্যে প্রভাব ফেলতে পারে। বাজার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আমি এটিকে মধ্যম পর্যায়ের ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করছি। (https://ifxpr.com/3V19HjC)
দৈনিক পূর্বাভাস: #SPX সেপ্টেম্বরের বৈঠকে ফেডের সুদের হার কমানোর দৃঢ় প্রত্যাশার পটভূমিতে S&P 500 ফিউচার্সের CFD নতুন স্থানীয় উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে, সামান্য কারেকশনের অংশ হিসেবে দরপতনের মাধ্যমে সূচকটির 6,441.25-এ পৌঁছানোর পর পুনরায় 6,486.20-এ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সূচকটি ক্রয়ের জন্য সম্ভাব্য লেভেল হল 6,445.01। #NDX সেপ্টেম্বরের বৈঠকে ফেডের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার মধ্যে নাসডাক 100 ফিউচার্সের CFD-ও নতুন স্থানীয় উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে, সম্ভাব্য সামান্য কারেকশনের অংশ হিসেবে দরপতনের মাধ্যমে সূচকটির 23,717.70-এ পৌঁছানোর পর পুনরায় 24,000.00-এ প্র বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সূচকটি ক্রয়ের জন্য সম্ভাব্য লেভেল হল 23,741.90।
Read more: https://ifxpr.com/3V19HjC

LIMAFX
2025-08-15, 04:29 PM
১৫ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/249552503.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন রয়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোজোনের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন, খুচরা বিক্রয় এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে ভোক্তা মনোভাব সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, এবং প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাস থেকে ভিন্ন হলে ট্রেডারদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ফলাফল ও পূর্বাভাসের বিচ্যুতি যত বেশি হবে, মার্কেটে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াও তত বেশি হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে আলাস্কায় রুশ ও মার্কিন নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকটি উল্লেখযোগ্য। আলোচনা গভীর রাতে শুরু হবে, এবং কখন শেষ হবে তা কেউ জানে না। তাই সম্ভবত এই বৈঠক সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পাওয়ার আগেই ফরেক্স মার্কেট বন্ধ হয়ে যাবে। তবুও, এই ইভেন্টতির কথা মাথায় রাখা উচিত, কারণ এটি মার্কেটে তীব্রমাত্রার অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ট্রেডারদের কাছে মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে বাণিজ্যযুদ্ধই রয়ে গেছে, যা গত সপ্তাহে নতুন গতি পেয়েছে। আমরা এখনও মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যাতে শুল্ক বহাল থাকে, তা মূলত "অন্য রূপে" একই বাণিজ্যযুদ্ধ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে হওয়া চুক্তির মতো সমঝোতা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন এ ধরনের চুক্তি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধিকে উসকে দিতে পারে। তবে, বৈশ্বিক এবং মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বিনিয়োগকারীরা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির বিষয়টি মাথায় রাখবে। এমন মৌলিক পরিস্থিতিতে, ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। গতকাল উভয় পেয়ারের মূল্যেরই কারেকশন হয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা সাপোর্ট লাইনে এসে মুভমেন্ট থেমেছে। আজ কেবল দিনের দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল ডলার বিক্রির নতুন কারণ হবে। আলাস্কার আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল আসলে সেটিও ডলার বিক্রির আরেকটি কারণ হতে পারে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, এবং যতক্ষণ তা অব্যাহত থাকবে, ততক্ষণ আমরা এই পেয়ার বিক্রির কোনো কারণ দেখছি না। (https://ifxpr.com/4lsthAc)

Read more: https://ifxpr.com/4lsthAc

Tofazzal Mia
2025-08-18, 04:18 PM
১৮ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1536206736.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফলে দিনের বেলায় ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই থাকবে না। আমাদের বিশ্বাস, ট্রেন্ডলাইন এবং গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো ব্রেক করতে বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর এখন বিক্রেতাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ডলার অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থানে রয়েছে, এবং ইউক্রেনের সামরিক সংঘাতের প্রশমনের সম্ভাবনা, পাশাপাশি ফেডারেল রিজার্ভের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা—এই দুইটি বিষয়ই ট্রেডারদের মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করতে আরও উৎসাহিত করবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/967907585.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে কেবল ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠককেই গুরুত্ব দেওয়া যায়, কারণ এগুলো কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যকার চলমান সামরিক সংঘাত সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমরা মনে করি না যে এই আলোচনা সহজ, সরল বা দ্রুত হবে। সব ধরনের যুদ্ধবিরতির শর্ত আলোচনা এবং সমঝোতায় পৌঁছাতে একটি বৈঠক যথেষ্ট নয়—এর বাইরে আরও বহু বৈঠকের প্রয়োজন হবে। তবুও, এটি সঠিক পথের দিকে একটি পদক্ষেপ। ট্রেডারদের কাছে মূল অগ্রাধিকার হিসেবে এখনও বাণিজ্যযুদ্ধ রয়ে গেছে। আমরা মনে করি যে, যেকোনো বাণিজ্যচুক্তিতে যদি শুল্ক বহাল থাকে, তাহলে সেটিও বাণিজ্যযুদ্ধই—শু ুমাত্র "অন্য রূপে।" যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সঙ্গে হওয়া চুক্তিগুলো লাভজনক। তাই অনুরূপ প্রতিটি নতুন চুক্তি মার্কিন ডলারের সাময়িক দর বৃদ্ধির প্রেরণা জোগাতে পারে। তবে বৈশ্বিক এবং মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং সুরক্ষাবাদী নীতিমালার বিষয়টি মাথায় রাখবে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দৃঢ় দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।

উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার উভয় পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হয়েছিল, তবে মূল্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা সাপোর্ট লাইনে এসে আটকে যায়। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে, এবং তা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ডলার বিক্রির জন্য কোনো কারণ দেখতে পাচ্ছি না। (https://ifxpr.com/4mGahz4)

Read more: https://ifxpr.com/4mGahz4

LIMAFX
2025-08-19, 08:52 PM
ইউরোর ইতিবাচক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1347090632.jpg
মার্কিন ডলার যখন ফেডারেল রিজার্ভের আরও আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার হ্রাসের ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছে – যা আগামী মাস থেকেই শুরু হতে পারে – তখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নিং কাউন্সিলের সবচেয়ে বিপ্লবী সদস্য তার পদ ছাড়ার আগে শেষ একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। ইসিবির অন্যতম হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য রবার্ট হোল্ৎসমান, যিনি সুদের হার হ্রাস সংক্রান্ত আলোচনায় কখনো কখনো এককভাবে "না" বলেছেন, তিনি চান বাইরের পর্যবেক্ষকরা যেন নীতিনির্ধারকদের মানসিকতা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন যখন তারা ঋণের খরচ নির্ধারণ করেন। অস্ট্রিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ সাবেক অর্থমন্ত্রী মার্টিন কোশারের কাছে হস্তান্তরের আগে হোল্ৎসমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "যখন আমরা কাজ শুরু করি, সর্বসম্মতি একটি শক্তিশালী ও ইতিবাচক সংকেত, কিন্তু যদি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্পষ্ট না হয় যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, কারণ সব সিদ্ধান্তেই যৌক্তিকতা থাকে, তখন আমি মনে করি সর্বসম্মতি থেকে বিচ্যুতি বিনিয়োগকারীদের বার্তা প্রদান করে।" যখন মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর লক্ষ্যমাত্রায় ফিরে আসে, হোল্ৎসমান জুন মাসের সুদের হার কমানোকে সমর্থন করেননি, যা ঋণগ্রহণের খরচ আরও কমাতো। তিনি সুদের হার কমানোর প্রচারণার সময় নেওয়া অন্যান্য পদক্ষেপও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। হোল্ৎসমানের অবস্থান প্রকাশ করে যে তিনি আগেভাগে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অবশ্যই ইতিবাচক সংকেত হলেও, তিনি জোর দিয়েছেন প্রবণতার স্থায়িত্ব নিয়ে সতর্ক মূল্যায়নের ওপর। তার মতে, সুদের হার হ্রাস নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির ঢেউ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে মার্কিন বাণিজ্য নীতি থেকে উদ্ভূত চলমান অনিশ্চয়তার কারণে। জুলাই মাসে ফ্রাঙ্কফুর্টে তার বিদায়ী নৈশভোজে তিনি প্রথম বেশি স্বচ্ছতার আহ্বান জানালেন, যখন ক্রিস্টিন লাগার্দ তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ইসিবি কীভাবে আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হতে পারে। হোল্ৎসমান বলেছিলেন, "কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্নমত প্রদান করা অন্যদের তুলনায় সহজ। তবে এমন মুহূর্তও এসেছে যখন আমার মতে সর্বসম্মতি থেকে বিচ্যুতি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল।" এই বিদায়ী পরামর্শই ইসিবির হোল্ৎসমানের ছয় বছরের মেয়াদের ইতি টানল শেষ, যেখানে ৭৬ বছর বয়সী এই নীতিনির্ধারক ইউরোজোনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির উল্লম্ফন মোকাবিলায় গৃহীত নজিরবিহীন সুদের হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রবল সমর্থক ছিলেন। এই বছরে ইসিবির জনবলের বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে, হোল্ৎসমান বলেননি তার জায়গায় হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণকারীদের নেতৃত্ব কে নিতে পারেন। তিনি বলেন, "সাতজন নতুন সদস্য আসছে, আমি ধরে নিতে পারি অন্তত একজন বা দুজন এক্ষেত্রে নেতৃত্ব নিতে পারেন, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আমি জানি অনেকে প্রায়শই আমার মূল বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নয়।" উল্লেখযোগ্য যে ইসিবির হকিশ বা কঠোর অবস্থান সাধারণত ইউরোকে সমর্থন করে, অন্যান্য অ্যাসেটের বিপরীতে এটির মূল্য বৃদ্ধি করে।
EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1730 লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটি করা হলে 1.1770 লেভেলের টেস্টের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1790 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি বেশ কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1825-এর লেভেল। অন্যদিকে, দরপতনের ক্ষেত্রে কেবল মূল্য 1.1695 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় আমি উল্লেখযোগ্য ক্রয়চাপের আশা করছি। যদি সেখানে বড় ক্রেতারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1660 লেভেলের টেস্টের জন্য অপেক্ষা করা বা 1.1635 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা ভালো হবে। GBP/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3555-এ নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটিই 1.3590 লেভেলে মুভমেন্টের সুযোগ তৈরি করবে, যা ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়া কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3615 এরিয়া। অন্যদিকে, দরপতনের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা পুনরায় মূল্যকে 1.3520 লেভেলে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে ক্রেতাদের অবস্থানে বড় ধাক্কা আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3480-এ নেমে আসবে, যেখানে দরপতন আরও প্রসারিত হয়ে মূল্য 1.3445 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। (https://ifxpr.com/4lTeSgN)


Read more:https://ifxpr.com/4lTeSgN

Tofazzal Mia
2025-08-20, 02:40 PM
২০ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/230216749.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার মাত্র দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোজোনে জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশ করা হবে। ইউরোপের প্রতিবেদনটির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, তাই এটির ফলাফল ট্রেডারদের প্রভাবিত করবে এমন সম্ভাবনা কার্যত নেই। যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনতির ফলাফল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি পুনরায় মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে ব্রিটিশ কারেন্সির দর বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে স্বল্পমেয়াদে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও হ্রাস পাবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1204890816.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার ওয়ালার এবং রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মনে করিয়ে দিই যে, ফেড সেপ্টেম্বর মাসে মূল সুদের হার কমানোর দিকে এগোচ্ছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে একাধিকবার সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। FOMC কমিটির প্রায় অর্ধেক সদস্য মনে করেন যে ধীরে ধীরে সুদের হার কমানো প্রয়োজন। ফেডের যত বেশি সদস্য নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করবে, মার্কিন ডলারের পুনরায় দরপতনের সম্ভাবনা ততই বাড়বে। এখনও বাণিজ্যযুদ্ধই ট্রেডারদের মূল উদ্বেগের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমরা এখনও মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তিতে যদি শুল্ক বজায় থাকে, তবে তা মূলত "ভিন্ন মোড়কে" একই বাণিজ্য যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে সম্পাদিত চুক্তিগুলো অবশ্যই লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন এ ধরনের চুক্তি মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তবে বৈশ্বিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির বিষয়টি মাথায় রাখবে। এই পরিস্থিতিতে, ডলারের মূল্য শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করবে এমন সম্ভাবনা কম। সম্প্রতি ট্রাম্প নতুন কোনো শুল্ক আরোপ করেননি, কারণ তিনি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার সংঘাত সমাধানে ব্যস্ত। তাই এই বিষয়টি কিছুটা নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।

উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় ডিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট আবারও দুর্বল থাকবে। ইউরোর মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া ব্রেক করার পর ধীরগতির নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, অন্যদিকে 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ট্রেড করা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3HHZHJ1)

Read more: https://ifxpr.com/3HHZHJ1

LIMAFX
2025-08-21, 09:23 AM
মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/130812187.jpg
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে সুদের হার কমানোর মাত্রা পুনর্বিবেচনা করতে চাপ দিচ্ছে। বুধবার জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মূল্য সূচক বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 3.8%-এ পৌঁছেছে, যা জুন মাসের 3.6%-এর তুলনায় বেশি। অর্থনীতিবিদরা দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 3.6%-এ স্থিতিশীল থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। মুদ্রাস্ফীতির এই বৃদ্ধি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের উপর চাপ বাড়িয়ে তুলেছে, যা সুদের হার কমানোর মাত্রা পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগামী বছরেই মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর লক্ষ্যমাত্রায় ফিরে আসবে বলে আশা করছে, তবে জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির কারণে এই ধারণা জোরদার হয়েছে যে সুদের হার নিয়ে আরও সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে হবে।

আজকের এই ঊর্ধ্বমুখী মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৪ সালের জানুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিমান ভাড়া, হোটেল এবং জ্বালানির উচ্চমূল্য এই বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করেছে। সেবাখাতের মুদ্রাস্ফীতি—যা মৌলিক মূল্যস্ফীতির অন্যতম প্রধান সূচক—5%-এ পৌঁছেছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের 4.9% পূর্বাভাসকেও অতিক্রম করেছে। এই প্রতিবেদন আরও নিশ্চিত করেছে যে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভস এপ্রিল মাসে যে কর ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করেছিলেন, তার প্রভাব হিসেবে কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত বিলিয়ন পাউন্ডের খরচ ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদক্ষেপ বোধগম্য হলেও, এটি ভোক্তা চাহিদার স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালক। এর ফলাফল স্পষ্ট: বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিবারগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে যারা আগে থেকেই আর্থিক চাপের মধ্যে আছে। এর ফলে ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পেতে পারে, যা খুচরা বাজারসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। এছাড়া, কর বৃদ্ধির ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির কারণে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদি ভোক্তারা আরও মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে, তবে তারা উচ্চ মজুরি দাবি করতে পারে, যা কোম্পানিগুলোকে পুনরায় পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য করবে এবং এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির একটি চক্র সৃষ্টি হতে পারে। খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতিও বেশ দ্রুত বেড়ে 4.9%-এ পৌঁছেছে, যা আগের মাসের 4.5%-এর তুলনায় বেশি এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। এই প্রেক্ষাপটে, ৭ আগস্ট ধার্যকৃত সুদের হার প্রত্যাশার তুলনায় কম হারে কমানোর সিদ্ধান্তের পর ট্রেডাররা ভবিষ্যৎ সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা কমিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের পর কিছু নীতিনির্ধারক সতর্ক করেছিলেন যে ভোক্তারা হারানো ক্রয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলে মজুরি ও দামের উপর প্রভাব তৈরি হতে পারে। পরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে অর্থনীতি ও শ্রমবাজার প্রত্যাশার চেয়ে ভালোভাবে টিকে আছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ট্রেডাররা নভেম্বর মাসে সুদের হার সম্ভাবনা এক-তৃতীয়াংশ এবং বছরের শেষে সম্ভাবনা মাত্র 50% হিসেবে মূল্যায়ন করেছিল। এই ধরনের ফলাফল রিভস এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্যও ধাক্কা, যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন কর্মজীবী মানুষের জীবনমান উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এখন বরং বাস্তব আয়ের পুনরুদ্ধার স্থবির হয়ে পড়েছে, কারণ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিপরীতে রয়েছে শ্রমবাজারের দুর্বলতা, এবং সমালোচকরা এর জন্য অক্টোবর মাসের কর বৃদ্ধির বাজেটকে দায়ী করছেন।

GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3530-এ নিয়ে যেতে হবে। কেবলমাত্র এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে 1.3560-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যদিও এর পর আরও মূল্য বৃদ্ধি সম্ভবত কঠিন হবে। পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.3590-এ অবস্থান করছে। দরপতনের, বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে ক্রেতাদের উপর বড় আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3445 পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে 1.3405 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।

EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1670 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে, এরপর 1.1700 টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। অন্যদিকে, কেবলমাত্র মূল্য 1.1625-এর কাছাকাছি থাকা অবস্থায় আমি ক্রেতাদের সক্রিয় কার্যক্রম প্রত্যাশা করছি। যদি তারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো অথবা 1.1565 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/4mPQXzk)

Read more: https://ifxpr.com/4mPQXzk

SumonIslam
2025-08-22, 09:36 AM
শ্রমবাজারের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতিই বড় উদ্বেগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1001468272.jpg
গতকাল ডলারের ফেডের কার্যবিবরণীর দ্বারা প্রায় কোনোভাবেই প্রভাবিত হয়নি, এবং এর পেছনে যৌক্তিক কারণও ছিল। গত মাসের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভের বেশিরভাগ কর্মকর্তারা জোর দিয়েছিলেন যে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বেগকে ছাপিয়ে গেছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার নির্ধারণকারী কমিটির মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। ফেডের জুলাইয়ের বৈঠকের কার্যবিবরণীতে সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্যের গভীরতা স্পষ্ট হয়েছে। যদিও সবাই একমত ছিলেন যে মার্কিন অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে, তবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রমবাজারকে সহায়তা করার সর্বোত্তম উপায় নিয়ে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। ফেডের অনেক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় উচ্চস্তরে বজায় থাকতে পারে এবং এটি নিয়ন্ত্রণে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাদের যুক্তি ছিল যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার ঝুঁকি অতিরিক্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণের ঝুঁকির চেয়ে বেশি। এই সদস্যরা জোর দিয়ে বলেছেন যে মুদ্রাস্ফীতিকে 2%-এর লক্ষ্যমাত্রায় ফেরাতে ফেডকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে আরও কিছু সদস্য শ্রমবাজারে উচ্চ সুদের হারের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, কঠোর মুদ্রানীতি ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করেছে এবং বেকারত্বের হার বাড়াচ্ছে। এই সদস্যরা সতর্কভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে ছিলেন এবং অতিরিক্ত কঠোর আর্থিক নীতিমালার ঝুঁকি বিবেচনা করার পরামর্শ দেন। তাদের মতে, শ্রমবাজার এখনো শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে এবং উচ্চ সুদের হারে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন। উল্লেখযোগ্য যে এই বৈঠকের পরপরই ফেডের কয়েকজন সদস্য তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেন। তাদের আরও নমনীয় অবস্থান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে। গত মাসে নীতিনির্ধারকেরা সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে 4.25%–4.50%-এর মধ্যে রাখেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম ছয় মাসে মন্থর অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মধ্যে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাড়তি অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। সে সময় শ্রমবাজারকে "সহনশীল" বলা হলেও মুদ্রাস্ফীতিকে "বাড়তি" বলা হয়েছিল। সাম্প্রতিক তথ্যে অনুযায়ী পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে কোম্পানিগুলো উৎপাদন ব্যয়ের চাপ সামাল দিতে দাম বাড়ানো শুরু করেছে। ঠিক তারপরেই ফেডের কয়েকজন কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ আগামী বছরও পণ্যমূল্যের ওপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ বজায় রাখবে। সম্ভবত জেরোম পাওয়েল আগামীকাল জ্যাকসন হোলে অনুষ্ঠেয় তার বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোকপাত করবেন। অনেকে তার অবস্থানের বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছেন, যা কারেন্সি মার্কেটের ভারসাম্য বদলে দিতে পারে।

EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1660 এর ওপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই 1.1700 এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি মূল্য 1.1625 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলের 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1565 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত হবে। GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এর নিকটতম রেসিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3530 এর দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে, যদিও সেই লেভেলের ওপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3560-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3440-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত নেমে যাবে, যার পরবর্তী সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3375-এর লেভেল। (https://ifxpr.com/4oObu9r)

Read more: https://ifxpr.com/4oObu9r

Tofazzal Mia
2025-08-25, 07:05 PM
ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তা পাওয়েলের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট
http://forex-bangla.com/customavatars/1963715726.jpg
জেরোম পাওয়েল তার ভাষণে এ বছরের সেপ্টেম্বরেই সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাসের ইঙ্গিত দেওয়ার পরপরই, ফেডের কিছু প্রতিনিধিরা তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে, শিকাগো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবি জেরোম পাওয়েলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, কারণ পাওয়েল চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর আট বছরের মেয়াদে ফেড কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিন্নমতকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জটিল এবং প্রায়শই পরস্পরবিরোধী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। মূল সিদ্ধান্তগুলোতে ঐক্য বজায় রাখা — বিশেষ করে মহামারির সময় এবং পরবর্তীতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি সময় — পাওয়েলের দক্ষতা প্রদর্শন করে যে তিনি কীভাবে ভিন্নমতের দৃষ্টিভঙ্গিকে একত্রিত করতে এবং আপসের সমাধান খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সহজ কাজ নয়, কারণ প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব অঞ্চলের এবং খাতের অভিজ্ঞতা থেকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসেন। পাওয়েলের সকল মতামত শোনা ও বিবেচনা করার ক্ষমতা, একই সাথে সহকর্মীদের নির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে রাজি করানো — এগুলো তার সাফল্যের মূল কারণ। গুলসবিকে পাওয়েলের নেতৃত্বে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটিতে অস্বাভাবিকভাবে কম ভিন্নমতের ভোট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে সদস্যদের একই মতামত থাকার কারণে নয়, বরং পাওয়েলের ঐকমত্য গড়ে তোলার দক্ষতার কারণে হয়েছে। গুলসবি বলেন, "আমি মনে করি তিনিই ফেডের প্রথম চেয়ারম্যান যিনি হল অব ফেমে জায়গা পাওয়ার যোগ্য, এবং তার অসাধারণ বিচক্ষণতা রয়েছে। তাছাড়া, এই কমিটির সাথে কাজ করার সময় তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি হয়েছেন।" প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে মনোনীত করার পর পাওয়েল 2018 সালে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ দেন। সেন্ট লুইস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাওয়েলের নেতৃত্বে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির 62টি বৈঠকে মোট 18টি ভিন্নমতের ভোট হয়েছে — অর্থাৎ গড়ে প্রতি 3.4 টি বৈঠকে একটি করে ভিন্নমত পরিলক্ষিত হয়েছে। তার পূর্বসূরি জ্যানেট ইয়েলেন 32টি বৈঠকে 22টি ভিন্নমত (প্রতি 1.5 বৈঠকে একটি) এবং বেন বারনানের আমলে 66টি বৈঠকে 48টি ভিন্নমত (প্রতি 1.4 বৈঠকে একটি) রেকর্ড করা হয়েছিল। আগেই যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, গত শুক্রবার পাওয়েল ফেডের চেয়ারম্যান হিসেবে জ্যাকসন হোলে তার শেষ ভাষণ দিয়েছেন, যেখানে তিনি সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। তার মেয়াদ ২০২৬ সালের মে মাসে শেষ হবে।

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: বর্তমানে ক্রেতাদের 1.1740 লেভেলের উপরে নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1780-এর লেভেল টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে 1.1830 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সম্ভব, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1865-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি 1.1700 লেভেলের আশেপাশে উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ আশা করছি। যদি তা না ঘটে, তবে 1.1655-এর লো পুনরায় টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ভালো হবে বা 1.1625 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3530-এর লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা 1.3560-এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার উপরে ব্রেকআউট আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3590 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3490-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জের ব্রেকআউট হলে সেটি ক্রেতাদের উপর বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3455-এর দিকে নিয়ে যাবে, সম্ভাব্যভাবে 1.3425 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে। (https://ifxpr.com/41hXpXS)

Read more: https://ifxpr.com/41hXpXS

Rakib Hashan
2025-08-26, 03:37 PM
২৬ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/166302177.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। মূলত, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার প্রতিবেদন-ই উল্লেখযোগ্য। মনে রাখা উচিত, এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন ভোক্তাদের বড় অংকের কেনাকাটায় আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। ফলস্বরূপ, এটি পরোক্ষভাবে ভোক্তা আস্থা এবং সঞ্চয়ের পরিবর্তে খরচ করার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। তাই, অর্ডার বৃদ্ধি পেলে সেটি মার্কিন অর্থনীতি এবং ডলারের জন্য ইতিবাচক সংকেত, আর পতন হলে তা নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার এই প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফলের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। সোমবার সন্ধ্যায় মার্কিন ডলার অপ্রত্যাশিতভাবে শক্তিশালী হয়েছিল, এবং এর ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া এখনও কঠিন। ডলারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সেরা পরিস্থিতি হলো, সেপ্টেম্বর মাসের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক মূল সুদের হার না কমানো। তবে এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য খুব একটা নির্ভরযোগ্য সমর্থন নয়, কারণ এই ক্ষেত্রে আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রয়েছে। আসন্ন বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ফেডের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন এবং সদস্য পরিবর্তনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও নিয়ন্ত্রণযোগ্য করার চেষ্টা করছেন। ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্য যুদ্ধ রয়ে গেছে। যেহেতু আমরা বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনের কোনো প্রকার লক্ষণ দেখছি না, তাই মধ্যমেয়াদে ডলারের বাই পজিশনের জন্য কোনো ভিত্তি আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবল টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন্ন ইভেন্ট/প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধির উপর নির্ভর করতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। কেবল মার্কিন সেশনের শুরুতে মার্কেটে অপ্রত্যাশিত মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, যখন ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছে ইউরোর দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই স্থানীয় পর্যায়ে 1.1571 লেভেলের দিকে আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডিং করা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3HOWFmp)

Read more: https://ifxpr.com/3HOWFmp

SaifulRahman
2025-08-27, 01:55 PM
ট্রাম্প কুককে "শুভ বিদায়" জানালেন
http://forex-bangla.com/customavatars/1268693217.jpg
মর্টগেজ ডকুমেন্ট জালিয়াতির অভিযোগের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান লিসা কুককে পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে একটি গুরুতর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে। এই সিদ্ধান্ত আর্থিক ও রাজনৈতিক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বহু অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষক ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, জোর দিয়ে বলেছেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মার্কিন অর্থনীতির প্রতি আস্থা দুর্বল করতে পারে এবং ফিনান্সিয়াল মার্কেটকে অস্থিতিশীল করতে পারে। তবে ট্রাম্পের সমর্থকরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন যে কুক পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন এবং তার নীতিমালা মার্কিন জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেনি। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্টের অধিকার আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করার, যারা তার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন করেন, যাতে তার নীতিমালা কার্যকর করা যায়। জালিয়াতির অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তবে তা কুকের জন্য এর গুরুতর আইনি পরিণতি বয়ে আনতে পারে এবং তার সুনামকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ট্রাম্পের সমালোচকরা দাবি করছেন, কুককে অসম্মানিত করার জন্য এবং তার অপসারণকে যৌক্তিক করার জন্য বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, কুককে বরখাস্ত করার যথেষ্ট ভিত্তি তার হাতে রয়েছে—ওয়াশিংটনে ফেড বোর্ড অব গভর্নর্সে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি এক বা একাধিক মর্টগেজ লোন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। কুক সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন যে ট্রাম্পের তাকে বরখাস্ত করার কোনো অধিকার নেই এবং তিনি পদত্যাগ করবেন না। তার আইনজীবী অ্যাবে লোয়েল জানান, তারা ট্রাম্পের "অবৈধ পদক্ষেপ" ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন। কুক বলেন: "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন যে তিনি আমাকে বরখাস্ত করেছেন, কিন্তু আইন অনুযায়ী এর কোনো ভিত্তি নেই এবং তার সে ক্ষমতাও নেই। আমি পদত্যাগ করব না। আমি মার্কিন অর্থনীতিকে সমর্থন করার জন্য আমার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাব, যেমনটি আমি 2022 সাল থেকে করে আসছি।" প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক 2022 সালে নিয়োগ পাওয়া কুকের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল 2038 সালে। তাকে সরানো হলে ট্রাম্পের ফেড বোর্ড অব গভর্নর্সে সাত আসনের মধ্যে চারটিতে প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি হবে। ফেড এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সোমবার কুককে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, "মার্কিন জনগণকে অবশ্যই ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালা প্রণয়ন ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সততার উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে। আর্থিক বিষয়ে আপনার অসততা এবং সম্ভাব্য অপরাধমূলক আচরণের আলোকে তারা, আর আমি, আপনার সততার প্রতি আস্থা রাখতে পারছি না।" কুকের আইনজীবীর মতে, তিনি অবিলম্বে আদালতে পুনর্বহালের জন্য আবেদন করতে পারেন যতক্ষণ না মামলার প্রক্রিয়া শেষ হয়। কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি, যদিও গত সপ্তাহে বিচার বিভাগ জানিয়েছিল যে তদন্ত শুরু হতে পারে। উপরোক্ত মতো, ফিনান্সিয়াল মার্কেটে এই খবরের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এই ঘোষণার পর মার্কিন ডলার সূচক, দুই-বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইয়েল্ডস, এবং S&P 500 ফিউচারের দর কমে গেছে, আর দশ-বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড সামান্য বেড়েছে।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী বর্তমানে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1660 লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। কেবলমাত্র তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1690 লেভেল টেস্ট করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। সেখান থেকে 1.1740 লেভেলের দিকে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1780-এর লেভেল। যদি দরপতন হয়, আমি আশা করছি মূল্য 1.1600 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় কার্যক্রম দেখা যাবে। যদি বড় ক্রেতারা সক্রিয় না তাহলে, তবে 1.1565 লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা বা 1.1530 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত হবে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3490 ব্রেক করাতে হবে। কেবল এটিই তাদেরকে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3523-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সুযোগ দেবে, যার ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়া মূল্যের পক্ষে কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3560 লেভেল। অন্যদিকে, যদি দরপতন হয়, তবে বিক্রেতারা মূল্য 1.3440 লেভেলে থাকা অবস্থায় মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তাঁরা সফল হলে ও এই রেঞ্জের ব্রেকআউট ঘটলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় ক্ষতি ডেকে আনবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3420-এর লেভেলে নামিয়ে আনবে, যেখানে দরপতন আরও বিস্তৃত হয়ে এই পেয়ারের মূল্য 1.3390 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। (https://ifxpr.com/4mAyFTd)

Read more: https://ifxpr.com/4mAyFTd

LIMAFX
2025-08-28, 03:53 PM
২৮ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/78127911.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার আবারও খুব অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে আজ দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন এবং আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আজ মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা প্রথম বা তৃতীয় অনুমানের তুলনায় অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেগুলোর ক্ষেত্রেও মার্কেটে সবসময় শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টটি হয় না। সুতরাং বলা যায়, আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
http://forex-bangla.com/customavatars/1912998725.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য হলো ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য ক্রিস্টোফার ওয়ালারের বক্তব্য। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে কি না, তা নিয়ে মার্কেটে তীব্র বিতর্ক চলছে। ক্রিস্টোফার ওয়ালার ট্রাম্পের সমর্থক এবং খোলাখুলিভাবে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য, তাই তার বক্তব্যের সুর নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে, এখনো ফেডের মধ্যে পর্যাপ্ত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানধারীদের ভোট নেই যা সুদের হার কমানোর নিশ্চয়তা দিতে পারে। তবুও, 17 সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটির ভারসাম্যে পরিবর্তন হতে পারে। ডলারের জন্য সর্বোচ্চ ইতিবাচক পরিস্থিতি হবে যদি সেপ্টেম্বর মাসে ফেড মূল সুদের হার না কমায়। তবে এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য খুবই প্রশ্নবিদ্ধ একটি সহায়ক কারণ, কারণ এক্ষেত্রে মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের সুদের হার কমানো সময়ের ব্যাপার, তবে কখন এটি কার্যকর হবে এবং কত দ্রুত এরপরে সুদের হার হ্রাস করা হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে এটির সদস্যপদ পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। ট্রেডারদের জন্য এখনো বাণিজ্য যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তাই আমরা মাঝারি-মেয়াদে ডলার কেনার কোনো কারণও দেখছি না। এই সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে 50% করেছেন। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবল স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ওপর নির্ভর করতে পারে, যা টেকনিক্যাল কারণ বা বিচ্ছিন্ন ইভেন্ট/প্রতিবেদনের প্রভাব হতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।

উপসংহার: সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে, আবারও টেকনিক্যাল সূচকের ওপর ভিত্তি করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছাকাছি ইউরোর একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে, যা 1.1571-এর দিকে নতুন নিম্নমুখী মুভমেন্টের ইঙ্গিত দেবে। গতরাতে 1.3518–1.3532 এরিয়ার কাছাকাছি পাউন্ড স্টার্লিংয়ের একটি নতুন সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই পাউন্ডেরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য খুব কম কারণ রয়েছে, এবং আজও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/45TbFYx)

Read more: https://ifxpr.com/45TbFYx

LIMAFX
2025-08-29, 04:29 PM
২৯ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সূচি নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর কোনোটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; তবে এগুলো ইউরোজোনের একটি মাত্র দেশের প্রতিবেদন, আর বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে খুব সামান্য প্রভাব ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রে আজকের প্রধান প্রতিবেদন হলো PCE সূচক, যা মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। অন্যভাবে বললে, এই সূচক ব্যক্তিগত ভোগ্য ব্যয়ের পরিবর্তন প্রদর্শন করে। সাধারণত এটি মাসিক ভিত্তিতে 0.2% থেকে 0.3% পর্যন্ত পরিবর্তিত হয় এবং মার্কেটে তেমন কোনো শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। মুদ্রাস্ফীতির গতিশীলতা পরিমাপের প্রধান সূচক হিসেবে ভোক্তা মূল্য সূচকই (CPI) বিবেচিত হয়। (https://ifxpr.com/4p3rtAM)
http://forex-bangla.com/customavatars/1209667740.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস দে গুইন্ডোসের বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, ইসিবি কার্যত মুদ্রানীতি নমনীয় করার চক্র সম্পন্ন করেছে এবং ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল হয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের আরোপের প্রতিক্রিয়াতেও খুব একটা পরিবর্তিত হয়নি। সুতরাং, বর্তমানে ইসিবির সুদের হার আরও কমানোর জন্য কোনো কারণ নেই। কেবল মুদ্রাস্ফীতি যদি অব্যাহতভাবে কমতে থাকে, তবেই নতুন করে সুদের হার কমানো যেতে পারে। ট্রেডারদের কাছে বাণিজ্য যুদ্ধই মূল বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যেহেতু বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাই মার্কেটে মাঝারি-মেয়াদে ডলার ক্রয়ের কোনো কারণও দেখা যাচ্ছে না। এই সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে 50% করেছেন। আগের মতোই, কেবল টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন কোনো ইভেন্ট/প্রতিবেদনের কারণে মার্কিন মুদ্রার দর স্থানীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি পেতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
http://forex-bangla.com/customavatars/67397995.jpg
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে আবারও টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছাকাছি ইউরোর একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে, অথবা গতকাল একই এরিয়ার বাই সিগন্যাল অনুসরণ করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারে। গতকাল 1.3518–1.3532 এরিয়ায় পাউন্ড স্টার্লিংয়ের চারটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, যা শুক্রবার এটির মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে, এবং ফ্ল্যাট (সাইডওয়েজ) মুভমেন্টের স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

Read more: https://ifxpr.com/4p3rtAM

LIMAFX
2025-09-01, 05:09 PM
ফেডের আরেকজন কর্মকর্তা সুদের হার হ্রাসের ইঙ্গিত দিলেন
http://forex-bangla.com/customavatars/1008839589.jpg
গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বক্তব্যে সান ফ্রান্সিসকো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মেরি ডালি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে নীতিনির্ধারকরা শিগগিরই সুদের হার কমানোর জন্য প্রস্তুত হবেন এবং তিনি আরও যোগ করেছেন যে শুল্কজনিত মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব সম্ভবত সাময়িক হবে। শুক্রবার ডালি বলেন, "খুব শিগগিরই নীতিমালা সমন্বয়ের করা হবে, যাতে এটি আমাদের অর্থনীতির চাহিদার সাথে আরও ভালোভাবে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।" তিনি উল্লেখ করেন যে শুল্কের কারণে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি "সাময়িক ঘটনা" হবে। "এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানতে আমাদের সময় লাগবে। তবে আমরা অপেক্ষা করতে পারছি না, কারণ এতে শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।" ডালির এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে যুক্ত মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বহু অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারী ক্রমবর্ধমানভাবে আশঙ্কা করছেন যে বাড়তি শুল্ক ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগ কমাতে পারে, যা পরবর্তীতে জিডিপির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মার্কেটের ট্রেডাররা ডালির মন্তব্যকে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। ট্রেডাররা আশা করছেন যে সুদের হার হ্রাস করে হলে সেটি অনিশ্চয়তার মধ্যে অর্থনীতিকে সমর্থন দিতে সহায়তা করবে। তবে এটি উল্লেখযোগ্য যে ফেডের অন্যান্য কর্মকর্তারা এখনও এতোটা স্পষ্টভাবে সুদের হার হ্রাসের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেননি। বরং তাঁরা আসন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল মূল্যায়ন করে অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের অবস্থান বজায় রাখতে চাইছেন। এই বছর প্রতিটি বৈঠকে ফেড মুল সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে, যা 4.25–4.5% রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। ডালির মন্তব্য ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি ঘটিয়েছে, যিনি জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সেপ্টেম্বরের নীতিনির্ধারণী বৈঠকেই সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা উন্মুক্ত রয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তীব্র মন্থরতার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ডালি বলেন, "কংগ্রেস ফেডকে দুটি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে: পূর্ণ কর্মসংস্থান এবং মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা। বর্তমানে এই দুটি লক্ষ্যমাত্রাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে: শুল্ক আরোপের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, আর শ্রমবাজার পরিস্থিতির দুর্বলতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।" (https://ifxpr.com/3JEKRnm)

নীতিনির্ধারকরা এখনও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতির পরিবর্তনের অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছেন। গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে জুলাই মাসে পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার (PCE) সূচক টানা চতুর্থ মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষণ নিশ্চিত করছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সান ফ্রান্সিসকো ফেডের প্রধানের এই বছর মুদ্রানীতি বিষয়ক সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। EUR/USD: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1715 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই পেয়ারটির মূল্য 1.1750 লেভেল টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে। সেখান থেকে 1.1780-এর দিকে মূল্যের মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সহায়তা ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1820 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য মূল্য হ্রাস পায়, তবে আমি কেবলমাত্র মূল্য 1.1685 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয়তার প্রত্যাশা করব। যদি সেই লেভেলে কোনো ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তবে পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের 1.1655 লেভেলের টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত হবে, অথবা 1.1630 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD: পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3540 ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই মূল্যের 1.3565-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যার ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3590। যদি পেয়ারটির মূল্য হ্রাস পায়, তবে মূল্য 1.3495 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে তা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে গুরুতর আঘাত হানবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3470 লেভেলে নামিয়ে আনবে, যেখান থেকে 1.3440 পর্যন্ত দরপতন প্রসারিত হতে পারে

Read more: https://ifxpr.com/3JEKRnm

SUROZ Islam
2025-09-02, 01:52 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের নিউজ ডাইজেস্ট (https://ifxpr.com/47X4GjM)
http://forex-bangla.com/customavatars/1123048196.jpg
প্রযুক্তি খাতের প্রভাবে মার্কিন স্টক সূচকসমূহে দরপতন গত সপ্তাহের শেষ দিনে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে লেনদেন শেষ হয়েছে: S&P 500 0.64% হ্রাস পেয়েছে, নাসডাক সূচক 1.15% হ্রাস পেয়েছে, এবং ডাও জোন সূচক 0.20% হ্রাস পেয়েছে। ওয়াল স্ট্রিটে প্রযুক্তি খাতের শেয়ারের ব্যাপক বিক্রির কারণে এশিয়ার স্টক মার্কেটও চাপের মধ্যে রয়েছে। বাড়তি অনিশ্চয়তার অন্যতম কারণ হলো গুরুত্বপূর্ণ আইটি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
(https://ifxpr.com/47X4GjM)
করেকশনের ঝুঁকিতে ইকুইটি মার্কেট মার্কিন স্টক মার্কেটে করেকশনের ঝুঁকি রয়েছে, কারণ S&P 500 সূচকের মৌলিক মূল্যায়ন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। সূচকটি যদি নির্দিষ্ট রেঞ্জের নিচে নেমে যায়, তবে এটি স্টক বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে এমন পরিস্থিতি স্বল্পমেয়াদি ট্রেডারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন (https://ifxpr.com/47X4GjM)।

ট্রাম্পের শুল্ক অবৈধ ঘোষণা, ডলারের দরপতন আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ককে বেআইনি ঘোষণা করেছে, যার ফলে মার্কিন ডলারের দর 5-সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে এবং ফেডের সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশার মধ্যে ডলারের দরপতন ঘটিয়েছে। এছাড়াও, ইন্টেল মার্কিন সরকার থেকে CHIPS Act-এর আওতায় 5.7 বিলিয়ন ডলার পেয়েছে, যা কোম্পানিটির জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। এই সিদ্ধান্ত সেমিকন্ডাক্টরভিত তিক শেয়ারের প্রতি আগ্রহও বৃদ্ধি করেছে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন। (https://ifxpr.com/47X4GjM)

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অংশীদার খুঁজছে মেটা মেটা গুগল এবং ওপেনএআই-এর সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অংশীদারিত্ব সংক্রান্ত আলোচনায় বসেছে, যা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারে। এই পদক্ষেপ কোম্পানিটির কৌশলগত পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করছে, কারণ তারা দ্রুত পরিবর্তনশীল খাতে নিজেদের পণ্যের উন্নয়নের গতি বাড়ানোর উপায় খুঁজছে। নতুন অংশীদারিত্ব কার্যক্রম কোম্পানিটিকে অতিরিক্ত প্রযুক্তি ও সহায়তার উৎস প্রদান করতে পারে। বিস্তারিত জানতে এই এই লিংকে ক্লিক করুন (https://ifxpr.com/47X4GjM)।

শেয়ার দরপতনের পর চাপের মুখে ওরাকল ওরাকলের শেয়ারের মূল্য এক মাসের মধ্যে দুর্বল পারফরম্যান্সের পর 6%-এর বেশি হ্রাস পেয়েছে, যা এআই অবকাঠামোর ব্যয় বৃদ্ধি এবং কর্মী ছাঁটাই দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ এবং এর টেকসই মুনাফা বৃদ্ধির উপর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করেন এটি কোম্পানির ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করবে। বিস্তারিত জানতে এই এই লিংকে ক্লিক করুন। মনে করিয়ে দিই, InstaForex স্টক, সূচক এবং ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ের জন্য সর্বোত্তম শর্ত প্রদান করে, যা ট্রেডারদের মার্কেটে মূল্যের ওঠানামা থেকে কার্যকরভাবে মুনাফা করতে সহায়তা করে।


Read more: https://ifxpr.com/47X4GjM

Rassel Vuiya
2025-09-03, 07:20 PM
ইসিবি আপাতত সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না
http://forex-bangla.com/customavatars/1874140721.jpg
গতকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ইসাবেল স্নাবেল এক বক্তৃতায় বলেছেন যে ইসিবির উচিত সুদের হার বর্তমান স্তরে অপরিবর্তিত রাখা, কারণ এখনও মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সাক্ষাৎকারে এই জার্মান ও হকিশ বা কঠোর অবস্থানের সমর্থক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ব্যাঘাত সত্ত্বেও ইউরোপের অর্থনীতি বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে, যদিও আগামী কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতির হার পূর্বাভাসের চেয়ে কম হতে পারে। স্নাবেল বলেন, "আমার বিশ্বাস আমরা ইতোমধ্যে একটি মাঝারি নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছি, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার আরও কমানোর কোনো কারণ আমি দেখছি না।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমার মতে, শুল্ক সরাসরি মুদ্রাস্ফীতির কারণ।" তার এই বক্তব্য ইউরোপীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এসেছে, যেখানে শুধু বাণিজ্য যুদ্ধই নয় বরং অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জও প্রভাব ফেলছে। যদিও তার মন্তব্যে আশাবাদের সুর ছিল, তবে তা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য ঝুঁকিকেও তুলে ধরেছে। প্রত্যাশার চেয়ে কম মূল্যস্ফীতি ভোক্তা চাহিদা ও বিনিয়োগ কার্যক্রমের দুর্বলতার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমিয়ে দিতে পারে। একই সঙ্গে, এটি ইসিবিকে তাদের মুদ্রানীতিতে আরও স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগও দিতে পারে। স্নাবেল আরও বলেন যে বাণিজ্য নীতি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি এবং জনগণের বার্ধক্যের কারণে বিশ্বব্যাপী ঋণের খরচ প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত কমতে শুরু করতে পারে। তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আবারও সুদের হার কমানো শুরু করবে—এবং সেটি অনেকের প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত ঘটতে পারে।" তার এই মন্তব্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার ঠিক দুই দিন আগে এসেছে, যেখানে এক সপ্তাহ ধরে ইসিবির কর্মকর্তা কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে সময়কাল। সেই বৈঠকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঋণের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1655 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল এটিই 1.1685 লেভেল টেস্টের সুযোগ করে দেবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1715 পর্যন্ত বাড়তে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1740-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে আমি কেবল মূল্য 1.1625 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানে কোনো সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তবে 1.1605 লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত হবে অথবা 1.1575 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যদিকে GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3390 লেভেল নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3430 পর্যন্ত মুভমেন্টের সুযোগ সৃষ্টি করবে, যদিও মূল্যের এই লেভেলের উপরের অগ্রগতি কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3470 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা 1.3340 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3310 লেভেলের দিকেনামতে পারে এবং পরবর্তীতে 1.3280 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। (https://ifxpr.com/45OgWln)

Read more: https://ifxpr.com/45OgWln

LIMAFX
2025-09-04, 07:48 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ৪ সেপ্টেম্বর
S&P 500 এবং নাসডাক সূচক আবারও প্রবৃদ্ধি শুরু হয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/217437683.jpg
গতকালের সেশন শেষে মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে মিশ্র ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.51% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর নাসডাক 100 সূচক 1.01% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শিল্পখাত-ভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.05% হ্রাস পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্টের কর্মসংস্থানের সুযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের কারণে ফেডারেল রিজার্ভ এই মাসের শেষে সুদের হার কমাবে—এই প্রত্যাশা জোরদার করার পর ইনডেক্স ফিউচারস অগ্রসর হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ ও শ্রম পরিবর্তন সংক্রান্ত জরিপে শূন্যপদের হ্রাস দেখা গেছে, যা শ্রমবাজার পরিস্থিতির কিছুটা দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর ফলে ফেড আরও ডোভিশ বা নমনীয় মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে পারে। সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা ইকুইটি মার্কেটকে সহায়তা করে, কারণ ঋণের ব্যয় হ্রাস পেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উদ্দীপিত হয় এবং কর্পোরেট আয় বাড়ে। এছাড়া, কম সুদের হার স্টককে বন্ডের তুলনায় আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, যেগুলোর ইয়েল্ডও সুদের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পায়। S&P 500 এবং নাসডাক 100 সূচকের ফিউচার 0.02% থেকে 0.03% পর্যন্ত বেড়েছে। ইউরো স্টক্স 50 সূচকের ফিউচার কন্ট্রাক্টের দর অপরিবর্তিত ছিল। ট্রেজারি বন্ড এবং মার্কিন ডলারেও তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। চীনা ইকুইটি মার্কেটে অব্যাহত দরপতনের কারণে এশিয়ার স্টক সূচকের প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়েছে। MSCI আঞ্চলিক ইকুইটি সূচক আগের সেশনে 0.7% বৃদ্ধির পরে 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানি বন্ডের ফিউচারের দর বাড়চ্ছে, কারণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষিত 30-বছরের সরকারি বন্ডের নিলাম ১২ মাসের গড়ের সঙ্গে প্রায় সামঞ্জস্যপূর্ণ চাহিদা পূরণ করেছে। এদিকে, চীনা ইকুইটি মার্কেটে দরপতন অব্যাহত ছিল: CSI 300 সূচক 1.8% হ্রাস পেয়েছে। এর আগে খবর এসেছিল যে আগস্টের শুরু থেকে $1.2 ট্রিলিয়নের প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের কারণে দেশটির আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বিবেচনা করছে। আগামীকাল মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগস্টে প্রায় 75,000 কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, আর বেকারত্বের হার 4.3%-এ পৌঁছাতে পারে। টানা চার মাসে 100,000 এর নিচে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে তা 2020 সালের মহামারির শুরুর পর থেকে সবচেয়ে নেতিবাচক সময় হিসেবে চিহ্নিত হবে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য পতন ফেডের শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বেগের কারণে সুদের হারের বড় ধরনের হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া, ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেপ্টেম্বরেই সুদের হার হ্রাস শুরু করা উচিত এবং আগামী কয়েক মাসে আরও কয়েকবার সুদের হার হ্রাস বাস্তবায়ন করা উচিত। তিনি আরও যোগ করেন যে, ফেডের কর্মকর্তারা সেপ্টেম্বরের বৈঠকে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সঠিক মাত্রা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। কমোডিটি মার্কেটে, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো তেলের দরপতন হয়েছে, কারণ ট্রেডাররা আশঙ্কা করছেন OPEC+ সরবরাহ বাড়াতে পারে, অন্যদিকে ইন্ডাস্ট্রির অনুমান অনুযায়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টোরেজ হাবে তেলের মজুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দর ব্যারেলপ্রতি $67-এ নেমে গেছে, আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দর $64-এর নিচে চলে গেছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স ইনকর্পোরেটেডের বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক উদ্বৃত্তের কারণে আগামী বছর ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি $50-এ নেমে আসবে।

S&P 500-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী , আজ ক্রেতাদের প্রধান কাজ হবে সূচকটির নিকটতম রেজিস্ট্যান্স $6,457 ব্রেক করা। এটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে অব্যাহত রাখবে এবং $6,473 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে। ক্রেতাদের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা হবে $6,490 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা, যা ক্রেতাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে, ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে গেলে এবং সূচকটির দর নিম্নমুখী হলে, সূচকটি $6,441 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করে গেলে ইন্সট্রুমেন্টটি দ্রুত $6,428 লেভেলের দিকে নেমে যাবে এবং $6,414 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। (https://ifxpr.com/4gbBiZh)

Read more: https://ifxpr.com/4gbBiZh

SaifulRahman
2025-09-05, 07:33 PM
৫ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1862164432.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এগুলোর প্রায় সবকটিই গুরুত্বপূর্ণ বা অন্ততপক্ষে তুলনামূলকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। অবশ্যই মূল দৃষ্টি থাকবে মার্কিন ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হারের ওপর। এসব প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের 16–17 সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে। যদি বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পায় এবং ননফার্ম পেরোল আবারো পূর্বাভাসের নিচে আসে, তবে ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবেই মূল সুদের হার কমাবে। এর ফলে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটতে পারে, যা আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রত্যাশা করছি। অন্যান্য প্রতিবেদনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয়, ইউরোজোনের জিডিপি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মজুরি সম্পর্কিত পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্য। তবে আমাদের ধারণা, এসব প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে মার্কেটে দুর্বল অথবা একেবারেই কোনো প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/462HAFN)
http://forex-bangla.com/customavatars/2001205715.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে আলাদা করে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই—এবং আজ সেগুলোর প্রয়োজনও পড়বে না। ট্রেডাররা ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হাতে পাবে। মনে করিয়ে দিই, যেকোনো পরিস্থিতিতেই ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবে সুদের হার কমানো শুরু করবে। একমাত্র প্রশ্ন হলো, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে কত দ্রুত সুদের হার কমানো হবে। তাই এই পুরো সময়ে মৌলিক প্রেক্ষাপটগত দিক থেকে মার্কিন মুদ্রা উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে থাকবে। চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কথাও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি চলমান থাকলে মার্কিন ডলারের চাহিদা সৃষ্টির কোনো সুযোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অতিরিক্তভাবে, ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর তালিকায় ফেডের ওপর ট্রাম্পের চাপ প্রয়োগকেও যুক্ত করা যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে ফেডের অর্ধেক সদস্যকে পরিবর্তন করতে চান, যা ফেডের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং মার্কিন ডলারের প্রতি আস্থা আরও দুর্বল করতে পারে।

উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে। তবে এ সপ্তাহে ভোলাটিলিটি অত্যন্ত কম, এবং কার্যত কোনো প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়নি। তাই মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আমরা মার্কেটে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি না। মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর মার্কেটে কী ঘটবে, তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সেই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের ওপর।

Read more: https://ifxpr.com/462HAFN

LIMAFX
2025-09-08, 04:02 PM
৮ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত
http://forex-bangla.com/customavatars/1138605795.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার খুব অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলো হলো জার্মানির আমদানি, রপ্তানি, ট্রেড ব্যালেন্স এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তবে এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, কারণ এগুলো কেবল ইউরোজোনের একটি দেশের জন্য প্রযোজ্য, যা ইউরোর ওপর খুব সীমিত প্রভাব ফেলতে পারে। সোমবার ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে কিছুই নেই।
http://forex-bangla.com/customavatars/202604423.jpg

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের দিক থেকে সোমবার আলাদা করে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। তবে বর্তমানে ট্রেডারদের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বক্তব্যের প্রয়োজনও নেই—কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্য এখন একেবারেই স্পষ্ট। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড চাইলেও আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ অব্যাহত রাখতে পারবে না, যেহেতু যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি ইতোমধ্যেই 4%-এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ইসিবিও কার্যত সুদের হার কমানোর চক্র শেষ করেছে, যেখানে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় 2%-এর কাছাকাছি রয়েছে। অপরদিকে, ফেড পুনরায় সুদের হার হ্রাস শুরু করতে বাধ্য হয়েছে, কারণ মার্কিন শ্রমবাজার টানা চার মাস ধরে দুর্বল ফলাফল প্রদর্শন করছে। তাই আসন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈঠকগুলোকে ঘিরে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। মার্কিন ডলার এখনো মৌলিক এবং সামষ্টিক প্রেক্ষাপটের কারণে শক্তিশালী চাপের মধ্যে রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ডের বিপরীতে ডলারের দরপতন না হওয়া কেবল একটি সাময়িক বিরতি ছাড়া আর কিছু নয়।

উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সামান্য পুলব্যাক হতে পারে। যেহেতু কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই মূল্যের ভোলাটিলিটি কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় পেয়ারের মূ্ল্যই এখনো ফ্ল্যাট রেঞ্জের রয়েছে, তাই খন্ড খন্ড মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। পাউন্ডের মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়ায় বেশ ভালো সেল সিগন্যাল গঠন করেছে, তাই ঐ লেভেলগুলো থেকে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি। (https://ifxpr.com/4njXYbV)

Read more: https://ifxpr.com/4njXYbV

Montu Zaman
2025-09-09, 07:12 PM
৯ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1655607583.jpg

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, সেটির ফলাফল নতুন করে মার্কেটে ঝড় তুলতে পারে। আমরা এখানে বার্ষিক ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের কথা বলছি। এটি স্পষ্ট যে, এই প্রতিবেদনটি মাসিক প্রতিবেদন তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এবং গত চার মাসের পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইতিবাচক ফলাফল আসার সম্ভাবনা কম। সুতরাং, আজ মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রির নতুন ভিত্তি খুঁজে পেতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, আমরা আগেই আলোচনা করেছি যে এ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আসন্ন বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তেমন কোনো অনিশ্চয়তা নেই। ইসিবি প্রায় নিশ্চিতভাবেই (90% সম্ভাবনা) মুদ্রানীতির নমনীয়করণ শেষ করেছে, কারণ তারা সফলভাবে মুদ্রাস্ফীতিকে 2%-এ নামিয়ে এনেছে। গত 10 মাসে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় 90% সম্ভাবনা রয়েছে যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার হ্রাসে বিরতি নেবে। অন্যদিকে, 99% সম্ভাবনা রয়েছে ফেড সেপ্টেম্বর থেকেই সক্রিয়ভাবে মূল সুদের হার কমাতে শুরু করবে। সুতরাং, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নতুন বক্তৃতা ট্রেডারদেরকে নতুন কোনো তথ্য সরবরাহ করবে না।
http://forex-bangla.com/customavatars/637340305.jpg
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর মূল্য 1.1737–1.1745 এর গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া ভেদ করেছে, যা তিন সপ্তাহ ধরে সাইডওয়েজ চ্যানেলের ঊর্ধ্বসীমা হিসেবে কাজ করছিল। একইভাবে, পাউন্ডের মূল্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ 1.3529–1.3543 এরিয়া অতিক্রম করেছে, যা এটির মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান রাখতে সহায়তা করছে। আজকের একমাত্র প্রতিবেদন, ননফার্ম পেরোল, খুব সম্ভবত (90% সম্ভাবনা রয়েছে) মার্কিন মুদ্রার দরপতন ঘটাতে সহায়তা করবে। (https://ifxpr.com/4nkH6BQ)

Read more: https://ifxpr.com/4nkH6BQ

LIMAFX
2025-09-10, 04:10 PM
১০ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/2146428749.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারও খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। কেবলমাত্র মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) উল্লেখযোগ্য। গত মাসে এই সূচক পূর্বাভাসকৃত 0.3%-এর বিপরীতে +0.9% ফলাফল প্রদর্শন করেছিল, যা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সূচকের প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাস থেকে খুব বেশি ভিন্ন হয় না। তাই, আজ মার্কেটে কেবল তখনই প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, যদি টানা দ্বিতীয়বারের মতো মূল ফলাফল ও পূর্বাভাসের মধ্যে ব্যাপক ভিন্নতা দেখা যায়। ইউরোজোন, জার্মানি বা যুক্তরাজ্যে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
http://forex-bangla.com/customavatars/2145785023.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে, তাই এই মুহূর্তে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মুদ্রানীতি সম্পর্কিত মন্তব্য প্রত্যাশা করার কারণ নেই। তাছাড়া, প্রত্যাশিত সুদের হারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রেডারদের মধ্যে কোনো অনিশ্চয়তাও নেই। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড প্রায় নিশ্চিতভাবেই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে। দুর্বল শ্রমবাজারের কারণে ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবেই সুদের হার কমাবে। সুতরাং, ইউরো এবং পাউন্ডের এখনও মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হওয়ার সব সুযোগ রয়েছে। উপসংহার: এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে। গতকাল ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ই অযৌক্তিক দরপতনের শিকার হয়েছিল, তাই আজ হয়তো মার্কেটে "সঠিক মুভমেন্ট" দেখা যাবে। ইউরোর মূল্যের যেকোনো মুভমেন্টের জন্য নতুন সিগন্যাল প্রয়োজন, যা 1.1655–1.1666 এবং 1.1737–1.1745 এরিয়াতে গঠিত হতে পারে। পাউন্ডের মূল্য বর্তমানে 1.3529–1.3543 এরিয়াতে রয়েছে, তাই এই এরিয়ার উপরে কনসোলিডেশন বা এখান থেকে বাউন্স নতুন ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রির সুযোগ করে দেবে। (https://ifxpr.com/4ni1B2a)

Read more: https://ifxpr.com/4ni1B2a

LIMAFX
2025-09-11, 04:45 PM
১১ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/788788450.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে আগস্ট মাসের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেটিতে যদি প্রত্যাশার বিপরীতে কোনো ফলাফল দেখা যায় তাহলে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। 2.7–2.9% রেঞ্জের বাইরে যেকোনো মানকে উল্লেখযোগ্য চমক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। প্রত্যাশার তুলনায় কম মুদ্রাস্ফীতি (পূর্ববর্তী ফলাফল ও পূর্বাভাসের তুলনায়) মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। অপরদিকে, প্রত্যাশার তুলনায় উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি মার্কিন মুদ্রাকে সহায়তা করবে। আজ যুক্তরাজ্য, জার্মানি বা ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা নেই। (https://ifxpr.com/3I4jdzN)
http://forex-bangla.com/customavatars/2101113403.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক এবং ক্রিস্টিন লাগার্দের সংবাদ সম্মেলন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, কোনো বড় ধরনের সিদ্ধান্ত বা গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইসিবি ইতোমধ্যে মূল সুদের হার নিরপেক্ষ পর্যায়ে নামিয়েছে এবং সফলভাবে মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তাই নিকট ভবিষ্যতে ইসিবির মুদ্রানীতি পরিবর্তন করার মতো কোনো কারণ নেই।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, তবে তা অনেকাংশে নির্ভর করবে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর। গত দুই দিনে ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ই অযৌক্তিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে, তাই আজ মার্কেট হয়তো "ন্যায্য মুভমেন্ট পুনরায় শুরু" হওয়ার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হবে। ইউরোর ক্ষেত্রে, পরবর্তী মুভমেন্ট নির্ভর করছে নতুন সিগন্যালের ওপর, যা 1.1655–1.1666 এবং 1.1737–1.1745 এর এরিয়ায় গঠিত হতে পারে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর বর্তমানে 1.3529–1.3543 জোনে রয়েছে, তবে গতকাল এই লেভেলে বহু ভুল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। আজকের মুভমেন্টও একইভাবে বিশৃঙ্খল হতে পারে, তবে ভোলাটিলিটি বাড়তে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3I4jdzN

Montu Zaman
2025-09-12, 02:27 PM
১২ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1962445878.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ অনেকগুলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানিতে আগস্ট মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় (তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ) অনুমান প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদনের মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোও কম গুরুত্ব বহন করে। যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে। সবগুলো প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেই যদি পূর্বাভাস ও মূল ফলাফলের মধ্যে বড় ধরনের ভিন্নতা দেখা যায় তাহলেই কেবল মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে ।
http://forex-bangla.com/customavatars/1422636804.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। গতকালই ইসিবির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব তথ্য পেয়েছে। ফেডের বৈঠক আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে, যার অর্থ FOMC-এর সদস্যরা বর্তমানে কোনো মন্তব্য বা সাক্ষাৎকার দেওয়ার অনুমতি পাবেন না। শুক্রবার ট্রেডাররা কেবল কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনের ওপরই মনোযোগ দিতে পারবেন।

উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, তবে এর জন্য নতুন বাই সিগন্যাল প্রয়োজন। ইউরোর ক্ষেত্রে, 1.1737–1.1745 জোন ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে 1.1808-এর দিকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আরও মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। 1.1737–1.1745 জোন থেকে বাউন্স হলে শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে, যদিও উল্লেখযোগ্য দরপতন প্রত্যাশিত নয়। পাউন্ডের ক্ষেত্রে, 1.3529–1.3543 এরিয়া থেকে বাউন্স বা 1.3574–1.3590 জোন ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে লং পজিশন আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, অন্যদিকে 1.3529–1.3543 এর নিচে কনসোলিডেশন হলে শর্ট পজিশন যৌক্তিক হবে। উভয় ক্ষেত্রেই লং পজিশন প্রাধান্য পাবে। (https://ifxpr.com/3IkEy82)

Read more: https://ifxpr.com/3IkEy82

LIMAFX
2025-09-15, 06:58 PM
সংকট থেকে মার্কিন ডলারের সহসাই মুক্তি মিলছে না
http://forex-bangla.com/customavatars/781340206.jpg
মার্কিন ডলার সমস্যার মুখোমুখি হয়েই চলেছে, এবং মূল প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে: ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের আগে এবং বৈঠকের পরে এটি কতটা দরপতনের শিকার হবে। এই সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হলো ফেডের কর্মকর্তারা কি ট্রেডারদের ধারাবাহিকভাবে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার বিপরীতে কোনো অবস্থান নেবেন কিনা, যা বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদদের মতে আগামী বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। স্পষ্টতই, বুধবারের ফেডের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাজারের (মুদ্রাসহ) পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে, তবে এটিই ক্যালেন্ডারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নয়। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অব জাপানও মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। ট্রেডারদের দৃষ্টি নিঃসন্দেহে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে থাকবে, যেখানে তিনি সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করবেন এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার দিকনির্দেশনা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কখন সুদের হার কমানো শুরু হতে পারে এবং কী মাত্রায় তা করা হবে সে বিষয়ে যেকোনো সংকেতের জন্য ট্রেডাররা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ট্রেডারদের প্রত্যাশা এবং ফেডের নির্দেশনার মধ্যে যেকোনো ভিন্নতা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি তৈরি করতে পারে। সাম্প্রতিককালে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের গতি মন্থর হওয়ায় তা ফেডকে একটি জটিল অবস্থার মধ্যে ফেলেছে: একদিকে কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখায় তা অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে খুব দ্রুত মুদ্রানীতি নমনীয় করা হলে সেটি নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। ফেডের কৌশল নির্ধারণে পাওয়েলের বক্তব্যই মূল বিবেচ্য বিষয় হবে। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন তিনি এ বছর আরও সুদের হার কমানোর প্রস্তুতির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করবেন, তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে সুদের হার কতবার কমানো হবে। একই সময়ে, মার্কেটে অনিশ্চয়তা এড়াতে পাওয়েলের জন্য বক্তব্যে অস্পষ্টতা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ হবে। তার কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্যের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। যদি পাওয়েল চাকরি হারানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন—কারণ মহামারির পর শ্রমবাজার সবচেয়ে বড় মন্দার সম্মুখীন হয়েছে—তাহলে এটি ফেডের সুদের হার কমানোর মাত্রা বাড়ানোর সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিপরীতে, যদি তিনি শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন এবং বর্তমান সমস্যাকে অস্থায়ী হিসেবে উপস্থাপন করেন, তবে এটি ফেডের আর্থিক নীতিমালা আরও দীর্ঘ সময় কঠোর রাখার ইঙ্গিত হতে পারে। অন্যান্য প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তও গুরুত্বপূর্ণ হবে। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার অর্থনৈতিক গতিশীলতা যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রায় একই রকম, ফেডের পথ অনুসরণের চাপের মধ্যে পড়তে পারে। অন্যদিকে, ব্যাংক অব জাপানের সতর্কভাবে অপেক্ষার অবস্থান এবং ইয়িল্ড কার্ভের নিয়ন্ত্রণ এখনও বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছে। সুদের হার আরও বাড়ানোর প্রস্তুতির যেকোনো ইঙ্গিত বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, যেহেতু জাপান একটি বড় ঋণদাতা দেশ। সার্বিকভাবে, এই সপ্তাহ বেশ ঘটনাবহুল এবং অনিশ্চয়তায় ভরপুর হবে, যেহেতু বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে। EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1745 লেভেলের উপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1780 পৌঁছানো সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1813 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া তা চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1866। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.1700 লেভেলের কাছে থাকা অবস্থায় আমি এই পেয়ার ক্রয়ের উল্লেখযোগ্য আগ্রহের আশা করছি। যদি তা না ঘটে, তবে মূল্যের 1.1665-এ নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে অথবা 1.1630 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: পাউন্ড ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3590-এর তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3615-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যেতে পারবে, যদিও মূল্যের আরও উপরে ওঠা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3645। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3525 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3495-এর দিকে নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3458 পর্যন্ত দরপতন আরও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।

Read more: https://ifxpr.com/46AIKd8

FXBD
2025-09-16, 07:21 PM
যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে দুর্বলতার ইঙ্গিত
http://forex-bangla.com/customavatars/336313280.jpg
ইতিবাচক পরিসংখ্যান সত্ত্বেও ব্রিটিশ পাউন্ড পুরোপুরিভাবে সহায়তা পায়নি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো আসন্ন কর বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নেয়ায় গ্রীষ্মকাল জুড়ে যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে দুর্বল পরিস্থিতি অব্যাহত থেকেছে, যা অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করবে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস জানিয়েছে, আগস্টে কর্মসংস্থানের সংখ্যা আরও 8,000 হ্রাস পেয়েছে, যা টানা সপ্তম মাসের মতো পতন। ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য ইতিবাচক হলেও তা উদ্বেগজনক। তিন মাসের বোনাস বাদে মজুরি প্রবৃদ্ধি কমে 4.8%-এ নেমে এসেছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বেসরকারি খাতের মজুরি প্রবৃদ্ধি কমে 4.7%-এ দাঁড়িয়েছে, যে সূচকটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। বেকারত্বের হার 4.7%-এ স্থির হয়েছে, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ, অন্যদিকে চাকরির শূন্যপদের সংখ্যা অব্যাহতভাবে হ্রাস পেয়েছে। স্পষ্টতই, শ্রমবাজার কার্যক্রমের মন্থরতা ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, কম কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং দুর্বল মজুরি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে, যা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ নির্দেশ করছে। এমনকি বেকারত্ব সামান্য বাড়লেও তা সতর্কবার্তা দেয়, যা ইঙ্গিত দেয় যে কোম্পানিগুলো ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শূন্যপদ হ্রাস শ্রম চাহিদা দুর্বল হওয়ার প্রমাণ দেয়, কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হচ্ছে। মজুরি প্রবৃদ্ধির মন্থরতা যদিও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করে, যা ভোক্তা চাহিদা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। সার্বিকভাবে, যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। অতিরিক্ত কর বৃদ্ধি অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে এবং শ্রমবাজার পরিস্থিতিকে আরও নেতিবাচক করতে পারে। এই পরিসংখ্যান চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের জন্যও বড় ধাক্কা, যিনি এপ্রিল মাসে বেতন কর এবং ন্যূনতম মজুরি করের তীব্র বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার কারণ হয়ে দাঁড়ানোর জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। কোম্পানি ও ভোক্তারা এখন 26 নভেম্বর বাজেটে নতুন জনঅর্থ ঘাটতি পূরণের জন্য আরেক দফা কর বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সময়ে, এই প্রতিবেদন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগ হ্রাস করবে না। যদিও গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি শ্রমবাজারের দুর্বলতার ওপর জোর দিয়েছেন, তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা ক্রমশ উদ্বিগ্ন হচ্ছেন যে সাম্প্রতিককালে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ভোক্তাদের মধ্যে স্থায়ীভাবে পণ্য মূল্যের বৃদ্ধির প্রত্যাশা তৈরি করছে। খাদ্য ও জ্বালানির বিল বৃদ্ধি 18 মাসের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতিকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে হয়েছে, এবং আগামীকালের প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতি 3.8%-এ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। গত এক মাসে ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা পুনর্বিবেচনা করেছে এবং এ বছর আর কোনো নমনীয়করণের প্রত্যাশা করছে না। নয় সদস্যবিশিষ্ট মুদ্রানীতি কমিটি বৃহস্পতিবার মূল সুদের হার 4%-এ অপরিবর্তিত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3645-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3675-এর লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যা ব্রেক করে মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3710 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3610 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3585-এর নিম্ন লেভেলে নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3550 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। (https://ifxpr.com/4nD1dM6)
Read more: https://ifxpr.com/4nD1dM6

Tofazzal Mia
2025-09-17, 06:27 PM
আজ ফেডের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়
http://forex-bangla.com/customavatars/619247090.jpg
আজ ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারা সুদের হার কমিয়ে মার্কিন শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এটি হবে একটি নীতিগত পরিবর্তন, যেখানে গত কয়েক মাস ধরে শুল্কের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা এই সিদ্ধান্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, কারণ এটি মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। সুদের হার হ্রাস করা হলে সেটি ঋণ গ্রহণ ও বিনিয়োগকে উদ্দীপিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ এই ধরনের পদক্ষেপের সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের মতে, নিম্ন সুদের হারে ফিরে গেলে তা অ্যাসেটের বাবলের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে এবং আর্থিক খাতের অস্থিরতা বাড়াতে পারে। তাছাড়া তারা সতর্ক করেছেন যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তারা চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ঋণ গ্রহণ ও ব্যয় করতে দ্বিধা করলে এই সুদের হার হ্রাসের পদক্ষেপ অকার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। এই নীতিগত পরিবর্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অব্যাহত চাপের মধ্যে আসছে, যিনি এই সপ্তাহে আরও বড় আকারে সুদের হার হ্রাসের দাবি করেছিলেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতির এই নাটকীয়তা এমনকি প্রশ্ন তুলেছিল এই সপ্তাহের বৈঠকে কারা অংশ নেবেন তা নিয়ে, যদিও সোমবার সন্ধ্যায় সিনেটে ফেডের নতুন এক গভর্নরকে অনুমোদন দেওয়ার পর তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বাইরে, বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে এবং সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসগুলোর ওপর দিকে থাকবে, যেখান থেকে আগামী মাসগুলোতে সুদের হারের সম্ভাব্য পথ সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে "ডট প্লট"-এ—যে চার্টে FOMC সদস্যদের ভবিষ্যৎ সুদের হার সম্পর্কিত ব্যক্তিগত পূর্বাভাস দেখানো হয়। এই পূর্বাভাসগুলোতে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা দিলে তা ফেডের অভ্যন্তরে বিভাজনকে উন্মোচিত করবে এবং মার্কেটে অনিশ্চয়তা বাড়াবে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত পূর্বাভাসও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবেন। এই পূর্বাভাসগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন ট্রেডারদের প্রত্যাশা ও বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উপর প্রবল প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যাংক অব আমেরিকার বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, "প্রতিটি সুদের হার হ্রাসের পদক্ষেপ পূর্ববর্তীটির তুলনায় আরও কঠিন হয়ে উঠবে, যদি না শ্রমবাজার আরও অবনতির লক্ষণ দেখা যায়।" আগেই যেমন বলা হয়েছে, সুদের হার প্রত্যাশিত কোয়ার্টার-পয়েন্ট হ্রাস নিয়ে ফেডের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি থাকতে পারে। কিছু কর্মকর্তা আরও উচ্চ হারে সুদের হার হ্রাসের পক্ষে চাপ দিতে পারেন, আবার কেউ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে থাকতে পারেন। শেষ পর্যন্ত বিতর্কটি কেন্দ্র করবে কোন বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ: শ্রমবাজারের তীব্র অবনতি নাকি শুল্কের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি। যাইহোক, যদি নীতিনির্ধারকদের পূর্বাভাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না দেখা যায় এবং আজকের সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়ে থাকে, তবে স্বল্পমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে যদি ফেডের অধিকাংশ সদস্য ভবিষ্যতের জন্য আরও ডোভিশ বা নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন—অথবা আরও কঠোর হয়ে সুদের হার অর্ধ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেন—তাহলে সম্ভবত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে, যেমন ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলার দুর্বল হবে।

EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1875 লেভেলের নিয়ে যেতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1910 লেভেল টেস্ট করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1940-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1985 উচ্চতা। অন্যদিকে, মূল্য কেবল 1.1835 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় কার্যক্রমের আশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1790 রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করা অথবা 1.1750 থেকে লং পজিশন ওপেন করা উত্তম হবে।

GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3665-এর নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। এটি 1.3710 পর্যন্ত অগ্রগতির সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে, যা ব্রেক করে মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা প্রায় 1.3745-এ অবস্থিত। যদি এই পেয়ারের দরপতন শুরু করে, তবে মূল্য 1.3625 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের জন্য গুরুতর আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3590-এর দিকে চলে যেতে পারে, যেখানে 1.3550 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হতে পারে। (https://ifxpr.com/41WQ6oM)

Read more: https://ifxpr.com/41WQ6oM

LIMAFX
2025-09-18, 03:54 PM
১৮ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1770839654.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত হয়েছে, আর সপ্তাহের শেষ দিকে ট্রেডাররা পুরোপুরিভাবে ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের দিকে মনোযোগ দেবে। ফেড গতকাল সন্ধ্যায় তাদের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করেছে, তবে আজকের পুরোটা সময় এই দুটি কারেন্সি পেয়ার সেই ইভেন্টের চাপের মধ্যে থাকতে পারে। ফেডের বৈঠকের পর আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নিঃসন্দেহে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হবে, তবে একই সময়ে এটি পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট ঘটাতে পারে, কারণ ট্রেডাররা সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ভোট বণ্টনের দিকে মনোযোগ দেবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/919969386.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণ বেশ উল্লেখযোগ্য। লাগার্ড ইতোমধ্যেই এই সপ্তাহে দুইবার বক্তব্য রেখেছেন, এবং উভয় ক্ষেত্রেই তিনি মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই ট্রেডারদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে। আজকের মূল ইভেন্ট হলো ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বৈঠক। এই বৈঠকের ফলাফল দিনেরবেলা ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণ করবে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, তবে এর জন্য নতুন বাই সিগন্যাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। আজ 1.1808 লেভেল থেকে ইউরো ট্রেড করা যেতে পারে, আর পাউন্ডে ট্রেডিং নির্ভর করবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের ওপর। এই গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত মার্কেটে এন্ট্রি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না, কারণ অনিশ্চিত প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে—আগেভাগে কেউই জানে না যে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নেবে। (https://ifxpr.com/46bgrSD)

Read more: https://ifxpr.com/46bgrSD

LIMAFX
2025-09-19, 07:14 PM
নতুন প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে
http://forex-bangla.com/customavatars/953415580.jpg
ব্রিটিশ পাউন্ডের আবারও দরপতন শুরু হয়েছে, কারণ আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহণের পরিমাণ পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে—যা আসন্ন শরতের বাজেটের আগে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এমনকি খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলও পাউন্ডকে সহায়টা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেটির ফলাফল অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক এসেছিল। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ঋণ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 18 বিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং-এ, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের 12.5 বিলিয়ন পাউন্ডের পূর্বাভাসের অনেক উপরে এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাসিক ঋণগ্রহণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ঋণগ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাজ্যের ইতোমধ্যেই জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং যুক্তরাজ্যের সরকারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাউন্ড কিছুটা দরপতনের শিকার হয়েছে, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের সংকেত দিচ্ছে। ঋণগ্রহণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকলে যুক্তরাজ্যের ক্রেডিট রেটিংয়ের অবনমন হতে পারে, যা বিনিয়োগ আকর্ষণকে আরও কঠিন করে তুলবে এবং সরকারি ঋণ পরিশোধের খরচ বাড়িয়ে তুলবে। র্যাচেল রিভস এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে তাকে এমন একটি বাজেট প্রস্তুত করতে হবে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে কিন্তু ঋণের বোঝা বাড়াবে না। তাকে অবকাঠামো ও সামাজিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং সরকারি অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ব্যয় সংকোচনের দাবির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। এই শরতে প্রকাশিতব্য বাজেট যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হবে। এর ফলাফল শুধু আগামী কয়েক বছরের অর্থনৈতিক নীতিমালাই নির্ধারণ করবে না, বরং পাউন্ডের মূল্যের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করবে, যা সরকারের প্রতিটি ঘোষণা ও পরিকল্পনার পরিবর্তনের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস শেষে বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 83.8 বিলিয়ন পাউন্ডে, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের পূর্বাভাসের চেয়ে 11.4 বিলিয়ন বেশি এবং এক বছর আগের তুলনায় 67.6 বিলিয়ন পাউন্ড বেশি। এই অবনতির পেছনে রয়েছে জনসেবা, সামাজিক সুবিধা এবং ঋণের সুদ প্রদানে ব্যয় বৃদ্ধি, পাশাপাশি প্রতিকূল সংশোধিত পূর্বাভাসও এতে ভূমিকা রেখেছে। ঋণ পরিষেবার বাড়তি খরচ, ধারাবাহিকভাবে আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তন, এবং বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিস কর্তৃক উৎপাদনশীলতার প্রত্যাশিত নিম্নমুখী সংশোধন চ্যান্সেলরের নিজস্ব আর্থিক নিয়ম ভাঙতে পারে, যেখানে বলা হয়েছে 2029–30 অর্থবছরের মধ্যে রাজস্ব দিয়ে বর্তমান ব্যয় মেটাতে হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস জানিয়েছে, অনলাইন ও দোকানে বিক্রিত পণ্যের পরিমাণ 0.5% বেড়েছে, যা জুলাই মাসের সংশোধিত 0.5% বৃদ্ধির সাথে মিলে গেছে। উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পোশাক ও বেকারি পণ্যের বিক্রি বেড়েছে, যা কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের দোকানের বিক্রি হ্রাসকে পুষিয়ে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা খুচরা বিক্রয় সূচকের 0.4% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করছে যে ভোক্তারা গ্রীষ্মকালে কর্মী ছাঁটাই, মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতি এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সতর্কতাকে উপেক্ষা করেছেন, যার একটি বড় অংশ লেবার সরকারের 26 বিলিয়ন পাউন্ড মজুরি ব্যয়ের বৃদ্ধির ফল। স্পষ্টতই, খুচরা বিক্রয় সূচকের শক্তিশালী ফলাফল এখন চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। বর্তমানে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3570-এ পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3620 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যা ব্রেক করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3655 লেভেল। অন্যদিকে, যদি দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3495 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সেটি GBP/USD ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3455 লেভেলে নেমে যেতে পারে, যেখানে আরও দরপতন হয়ে 1.3420 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। (https://ifxpr.com/4ptywCK)

Read more: https://ifxpr.com/4ptywCK

LIMAFX
2025-09-22, 04:23 PM
নতুন প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে
http://forex-bangla.com/customavatars/955624721.jpg
ব্রিটিশ পাউন্ডের আবারও দরপতন শুরু হয়েছে, কারণ আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহণের পরিমাণ পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে—যা আসন্ন শরতের বাজেটের আগে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এমনকি খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলও পাউন্ডকে সহায়টা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেটির ফলাফল অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক এসেছিল। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ঋণ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 18 বিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং-এ, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের 12.5 বিলিয়ন পাউন্ডের পূর্বাভাসের অনেক উপরে এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাসিক ঋণগ্রহণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ঋণগ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাজ্যের ইতোমধ্যেই জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং যুক্তরাজ্যের সরকারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাউন্ড কিছুটা দরপতনের শিকার হয়েছে, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের সংকেত দিচ্ছে। ঋণগ্রহণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকলে যুক্তরাজ্যের ক্রেডিট রেটিংয়ের অবনমন হতে পারে, যা বিনিয়োগ আকর্ষণকে আরও কঠিন করে তুলবে এবং সরকারি ঋণ পরিশোধের খরচ বাড়িয়ে তুলবে। র্যাচেল রিভস এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে তাকে এমন একটি বাজেট প্রস্তুত করতে হবে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে কিন্তু ঋণের বোঝা বাড়াবে না। তাকে অবকাঠামো ও সামাজিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং সরকারি অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ব্যয় সংকোচনের দাবির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। এই শরতে প্রকাশিতব্য বাজেট যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হবে। এর ফলাফল শুধু আগামী কয়েক বছরের অর্থনৈতিক নীতিমালাই নির্ধারণ করবে না, বরং পাউন্ডের মূল্যের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করবে, যা সরকারের প্রতিটি ঘোষণা ও পরিকল্পনার পরিবর্তনের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস শেষে বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 83.8 বিলিয়ন পাউন্ডে, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের পূর্বাভাসের চেয়ে 11.4 বিলিয়ন বেশি এবং এক বছর আগের তুলনায় 67.6 বিলিয়ন পাউন্ড বেশি। এই অবনতির পেছনে রয়েছে জনসেবা, সামাজিক সুবিধা এবং ঋণের সুদ প্রদানে ব্যয় বৃদ্ধি, পাশাপাশি প্রতিকূল সংশোধিত পূর্বাভাসও এতে ভূমিকা রেখেছে। ঋণ পরিষেবার বাড়তি খরচ, ধারাবাহিকভাবে আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তন, এবং বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিস কর্তৃক উৎপাদনশীলতার প্রত্যাশিত নিম্নমুখী সংশোধন চ্যান্সেলরের নিজস্ব আর্থিক নিয়ম ভাঙতে পারে, যেখানে বলা হয়েছে 2029–30 অর্থবছরের মধ্যে রাজস্ব দিয়ে বর্তমান ব্যয় মেটাতে হবে। উল্লেখযোগ্য যে, আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস জানিয়েছে, অনলাইন ও দোকানে বিক্রিত পণ্যের পরিমাণ 0.5% বেড়েছে, যা জুলাই মাসের সংশোধিত 0.5% বৃদ্ধির সাথে মিলে গেছে। উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পোশাক ও বেকারি পণ্যের বিক্রি বেড়েছে, যা কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের দোকানের বিক্রি হ্রাসকে পুষিয়ে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা খুচরা বিক্রয় সূচকের 0.4% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করছে যে ভোক্তারা গ্রীষ্মকালে কর্মী ছাঁটাই, মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতি এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সতর্কতাকে উপেক্ষা করেছেন, যার একটি বড় অংশ লেবার সরকারের 26 বিলিয়ন পাউন্ড মজুরি ব্যয়ের বৃদ্ধির ফল। স্পষ্টতই, খুচরা বিক্রয় সূচকের শক্তিশালী ফলাফল এখন চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।

বর্তমানে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3570-এ পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3620 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যা ব্রেক করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3655 লেভেল। অন্যদিকে, যদি দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3495 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সেটি GBP/USD ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3455 লেভেলে নেমে যেতে পারে, যেখানে আরও দরপতন হয়ে 1.3420 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। (https://ifxpr.com/4pAj6Nc)

Read more: https://ifxpr.com/4pAj6Nc

Tofazzal Mia
2025-09-23, 07:13 PM
ফেডের কর্মকর্তাদের সতর্ক বক্তব্য মার্কিন ডলারের দরকে প্রভাবিত করেনি
http://forex-bangla.com/customavatars/1547660925.jpg
গতকাল ক্লিভল্যান্ড ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট লোরেটা হ্যাম্যাকের এক সাক্ষাৎকার ট্রেডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তিনি বলেন যে তিনি এখনও মুদ্রাস্ফীতির হার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং বাড়তি অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এড়াতে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকা উচিত। এই মন্তব্যটি বেশ বিস্ময়কর ছিল—বিশেষত গত সপ্তাহেই ফেড কর্তৃক সুদের হার হ্রাসের পর। হ্যাম্যাক উল্লেখ করেন যে সাম্প্রতিক সময়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ধীর হয়ে সার্বিকভাবে শ্রমবাজার স্থিতিশীল রয়ে গেছে, যেখানে কর্মী ছাঁটাই এবং বেকারত্বের হার কম রয়েছে। একই সময়ে, মুদ্রাস্ফীতি গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ফেডের 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে এবং আগামী কয়েক বছরেও লক্ষ্যমাত্রা নাও অর্জিত হতে পারে। তার মন্তব্যগুলো মুদ্রানীতি নমনীয় করার সাধারণ প্রবণতার বিপরীতে গিয়ে বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ট্রেডাররা ক্লিভল্যান্ড ফেডের প্রধান কর্তাব্যক্তির বক্তব্যকে এই সংকেত হিসেবে নিয়েছিল যে, ভবিষ্যতে সুদের হার হ্রাসের গতি মন্থর হতে পারে। এর ফলে ইকুইটি মার্কেটে কিছুটা অস্থিরতা দেখা যায় এবং মার্কিন ডলার সাময়িকভাব্বে এই পরিস্থিতি থেকে সহায়তা পেয়েছিল। সোমবার ক্লিভল্যান্ড ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে এক আলোচনায় হ্যাম্যাক বলেন, "আমার মনে হয় আমাদের মুদ্রানীতি নমনীয় করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হওয়া উচিত। আমি উদ্বিগ্ন যে যদি আমরা এই সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে নিই, অর্থনীতি আবারও অতিরিক্ত অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।" হ্যাম্যাকের বক্তব্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মুদ্রাস্ফীতির স্থায়ী চাপের উপর তার দৃষ্টি। চলমান শুল্ক যুদ্ধ এবং অনিশ্চিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ফেডের শীর্ষ অগ্রাধিকার রয়ে গেছে। একদিকে, সুদের হার কমানো হলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে এটি মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ভবিষ্যতে আবারও নীতিমালা কঠোর করার প্রয়োজন সৃষ্টি করতে পারে। এই দুই লক্ষ্যের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করাই ফেডের প্রধান চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে ফেডের নেতৃত্ব সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছে যে এই বছর সুদের হার আরও কতটা কমানো যায়, বিশেষত গত সপ্তাহে সুদের হার হ্রাসের পর, যা ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো করা হয়েছে। কিছু নীতিনির্ধারক ক্রমবর্ধমানভাবে শ্রমবাজারের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন, আবার অন্যরা মূলত ধারণ করছে যে শুল্ক এবং অন্যান্য পদক্ষেপগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে লক্ষ্যমাত্রার উপরে নিয়ে যেতে পারে। হ্যাম্যাক বলেন, গত সপ্তাহে সুদের হার হ্রাসের পর আর্থিক নীতিমালা এখন "খুব মাঝারি পর্যায়ে" কঠোর রয়েছে, যা সুদের হারকে নিরপেক্ষ লেভেলের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে—যা প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে না, আবার বাধাও সৃষ্টি করে না। তিনি আরও বলেন, "আমি মনে করি শ্রমবাজার এখনও যথেষ্ট ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে এবং আমি মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন।" এদিকে, কারেন্সি মার্কেটের ট্রেডাররা হ্যাম্যাকের বক্তব্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1820 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা ক্রেতাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। কেবল তখনই 1.1850 লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1882 লেভেলের দিকে যেতে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1920-এর লেভেল। যদি দরপতন ঘটে, আমি আশা করি মূল্য 1.1785 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা দেবে। যদি তা না হয়, তাহলে 1.1760 লেভেল টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই উচিত হবে অথবা 1.1725 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: পাউন্ড ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হল এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3540 লেভেল ব্রেক করানো। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3565 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে, যার উপরে ওঠা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3605 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.3490 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেকআউট হয়ে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3455 লেভেলে নেমে যেতে পারে, এরপর 1.3415 লেভেল পর্যন্ত দরপতন প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। (https://ifxpr.com/3Ia7yzy)

Read more: https://ifxpr.com/3Ia7yzy

LIMAFX
2025-09-24, 03:16 PM
এনভিডিয়া ওপেনএআই-এ $100 বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে: স্টক ও স্বর্ণের দর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, ফেড ধীর গতিতে সুদের হার কমাতে যাচ্ছে
http://forex-bangla.com/customavatars/227793517.jpg
ওয়াল স্ট্রিটএর স্টক সূচক আবারও নতুন উচ্চতায় মার্কিন স্টক মার্কেট সোমবার টানা তৃতীয় সেশনে রেকর্ড লেভেলে লেনদেন করেছে, যেখানে প্রযুক্তি খাতের স্টকের মূল্যের শক্তিশালী উত্থান প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এআই আশাবাদ বাড়াচ্ছে এনভিডিয়া ওপেনএআই-এ $100 বিলিয়ন বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণার পর এনভিডিয়ার স্টকের দর প্রায় 4% বেড়েছে। চিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে যে তারা ডেটা সেন্টারের জন্য প্রসেসর সরবরাহ করবে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় করেছে। অ্যাপল এবং টেসলার স্টকেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ওয়েডবুশ আসন্ন iPhone 17-এর শক্তিশালী চাহিদার কথা উল্লেখ করে স্টকের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর পর অ্যাপলের শেয়ারের দর 4.3% বেড়েছে। টেসলার শেয়ারের মূল্যও 1.9% বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে টেক সেক্টর S&P 500 সূচককে টেনে তুলেছে, যা 1.7% বৃদ্ধি পেয়েছে।

মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের মধ্যে ভারসাম্য রাখছে ফেড মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বাইরেও ট্রেডাররাক ফেডারেল রিজার্ভের সংকেতের দিকে নিবিড়ভাবে লক্ষ্য রেখেছিল। গত সপ্তাহে ফেড ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো সুদের হার কমিয়েছে এবং জানিয়েছে ভবিষ্যতে আরও কমানো হতে পারে। তবে সব কর্মকর্তা একমত নন। সেন্ট লুইস ফেডের প্রেসিডেন্ট আলবার্তো মুসালেম এবং আটলান্টা ফেড প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বস্টিক উভয়েই উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিককালে সুদের হারের এক-চতুর্থাংশ পয়েন্ট হ্রাস বাড়তে থাকা বেকারত্বের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেছে, তবে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ অগ্রাধিকার রয়ে গেছে। S&P 500 সূচক মৌসুমি দুর্বলতাকে অগ্রাহ্য করছে S&P 500 সূচক বছরের শুরু থেকে 13.8% বেড়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে 3.6% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও ঐতিহাসিকভাবে সেপ্টেম্বর মাস ইকুইটি মার্কেটের জন্য দুর্বল থাকে। স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 66 পয়েন্ট বা 0.14% বেড়ে 46,381.54-এ থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে। S&P 500 সূচক 29 পয়েন্ট বা 0.44% বেড়ে 6,693.75-এ থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে। নাসডাক কম্পোজিট 157 পয়েন্ট বা 0.70% বেড়ে 22,788.98-এ থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে।

Kenvue শেয়ারের অস্থির লেনদেন যখন বিনিয়োগকারীরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলেন তখন Tylenol প্রস্তুতকারী Kenvue-এর শেয়ারের 7.5% দরপতন হয়েছিল, যিনি ব্যথানাশক ওষুধ এবং অটিজমের সম্ভাব্য সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য দিতে যাচ্ছিলেন। মার্কেটে সেশন শেষ হওয়ার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে FDA চিকিৎসকদের গর্ভবতী নারীদের অ্যাসিটামিনোফেন প্রেসক্রাইব না করার সুপারিশ করবে। তার বক্তব্যের পর Kenvue-এর শেয়ারএর মূল্য শক্তিশালীভাবে রিবাউন্ড করে 4.7% বেড়ে যায়। মুদ্রাস্ফীতির দিকে দৃষ্টি এই সপ্তাহের প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হবে মার্কিন পারসোনাল কনজাম্পজন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) প্রাইস ইনডেক্স, যা মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর এশিয়ার স্টক মার্কেটে কারেকশন মঙ্গলবার বেশিরভাগ এশীয় স্টক মার্কেট সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধির পর কিছুটা দরপতনের শিকার হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আশাবাদ প্রযুক্তি শেয়ারে অর্থ প্রবাহিত করতে থাকে, অন্যদিকে ফেড কর্তৃক আরও সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা স্বর্ণের দাম বাড়তে সহায়তা করে। ওয়াল স্ট্রিট আবার নতুন রেকর্ড গড়লো এনভিডিয়া ওপেনএআই-তে সর্বোচ্চ 100 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর মার্কিন ইকুইটি সূচকগুলো আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। কোম্পানিটি আরও নিশ্চিত করেছে যে 2026 সালের দ্বিতীয়ার্ধে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রথম চিপ সরবরাহ শুরু হবে। স্বর্ণের দর সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি $3759-এ পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে, যা শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় 9% বৃদ্ধি নির্দেশ করছে। এশিয়ার স্টক মার্কেটে টেক কোম্পানির রাজত্ব প্রযুক্তি খাতের স্টকগুলোর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এশিয়ায় সেমিকন্ডাক্টর শেয়ারের প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি সূচক 0.5% বেড়েছে, যা মাসিক প্রবৃদ্ধি 9%-এর উপরে নিয়ে গেছে। জাপানের নিক্কেই ছুটির কারণে বন্ধ ছিল, তবে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এটি 6.5% বেড়েছে। তাইওয়ানের বেঞ্চমার্ক সূচকও প্রায় 7% বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনে ঊর্ধ্বমুকী প্রবণতা কমেছে তারল্য-নির্ভর প্রবৃদ্ধি ফিকে হয়ে যাওয়ায় চীনের ব্লু-চিপ শেয়ারের দর 0.8% কমেছে। ফলে জাপানের বাইরের এশিয়া-প্যাসিফিক স্টকের MSCI সূচক স্থিতিশীল ছিল, যদিও এক মাস আগের তুলনায় এটি এখনও 5.5% বেশি। ইউরোপ ও মার্কিন স্টক মার্কেটে সতর্ক মনোভাব ইউরোপীয় মার্কেটগুলো বৈশ্বিক আশাবাদের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। EUROSTOXX 50 এবং FTSE ফিউচার 0.1% বেড়েছে, আর DAX ফিউচার 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে S&P 500 এবং নাসডাক ফিউচারে তেমন পরিবর্তন হয়নি, যদিও আগের দিন উভয় সূচক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। ফেডের আরও সুদের হারের উপর বাজি বৈশ্বিক স্টক মার্কেট সমর্থন পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে আরও সুদ কমানোর প্রত্যাশা থেকে। গত সপ্তাহের নীতিগত শিথিলতার পর ট্রেডাররা আরও আত্মবিশ্বাসী যে ফেড অতিরিক্ত রেট কাট করবে। ফিউচারস মার্কেটের মূল্যায়ন অক্টোবরে এক-চতুর্থাংশ পয়েন্ট সুদের হার সম্ভাবনা এখন প্রায় 90% এবং ডিসেম্বরে আরেকটি কাটের সম্ভাবনা 75% নির্ধারণ করছে ফিউচারস মার্কেট। বিনিয়োগকারীদের মনোভাব ফেড কর্মকর্তাদের মিশ্র বার্তার তুলনায় বেশি ডোভিশ। ফেডের ভেতরে বিভক্ত মতামত সোমবার ফেডের নতুন নিযুক্ত গভর্নর স্টিফেন মিরান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে, আক্রমণাত্মকভাবে রেট কমানোর আহ্বান জানান। তবে তার তিন সহকর্মী যুক্তি দেন যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ আরও পরিমিত অবস্থান দাবি করে। ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল মঙ্গলবার পরে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা মুদ্রানীতিতে আরও স্বচ্ছতা আনবে। রাজনৈতিক ঝুঁকির দিকে দৃষ্টি মার্কেট আরও বিবেচনা করছে যে সেপ্টেম্বর 30-এর ফান্ডিং ডেডলাইন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মার্কিন সরকারের শাটডাউনের সম্ভাবনা রয়েছে। কারেন্সি মার্কেটে অস্থিরতা কারেন্সি ট্রেডিংয়ে ডলার টানা তিন সেশনের প্রবৃদ্ধির পর কিছুটা নেমে গেছে। ইউরো $1.1803-এ স্থিতিশীল ছিল, যা সোমবারের $1.1726 লো থেকে রিবাউন্ড করেছে। ইয়েনের বিপরীতে ডলার সাময়িকভাবে 148 স্পর্শ করার পর নেমে গেছে 147.77-এ। সুইডিশ ক্রোনা ডলারের বিপরীতে $9.3497-এ স্থিতিশীল ছিল, যখন বিনিয়োগকারীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেট সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন। ফিউচারস বর্তমানে এক-তৃতীয়াংশ কাটের সম্ভাবনা নির্ধারণ করছে। তেলের উপর চাপ রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত সরবরাহের উদ্বেগ ক্রুডের দাম কমিয়ে দিয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড 0.5% কমে ব্যারেলপ্রতি $66.24-এ নেমেছে, আর মার্কিন ক্রুড একই হারে কমে $61.98-এ নেমেছে। (https://ifxpr.com/4muo3Es)

Read more: https://ifxpr.com/4muo3Es

LIMAFX
2025-09-25, 06:23 PM
স্বর্ণের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত রয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1736099411.jpg
স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে তবে এখনো এটির মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি রয়েছে, কারণ ট্রেডাররা—মার্কি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল এবং এই সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের ভিন্নমত লক্ষ্য করে—ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সম্পর্কিত প্রত্যাশা পুনর্মূল্যায়ন করেছেন। স্বর্ণের দর আউন্সপ্রতি প্রায় $3,719-এ নেমে এসেছে, যা মঙ্গলবার রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ লেভেল থেকে $70 নিচে। বুধবার স্বর্ণের মূল্য কমে যায়, যখন প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায় যে আগস্টে মার্কিন নতুন আবাসন বিক্রয় অপ্রত্যাশিতভাবে 2022 সালের শুরুর পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়েছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ কমিয়েছে। ডলারের দর প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে, যা অধিকাংশ ক্রেতার জন্য স্বর্ণকে আরও ব্যয়বহুল করেছে। ট্রেডাররা মার্কিন কর্মকর্তাদের মন্তব্যও বিবেচনা করেছেন। বুধবার, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল কর্তৃক সুদের হার কমানোর জন্য স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা উপস্থাপন না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। সপ্তাহের শুরুতে, ফেডের চেয়ারম্যান শ্রমবাজার দুর্বলতা এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। সাধারণত সুদের হার হ্রাস মূল্যবান ধাতুর জন্য ইতিবাচক, কারণ এগুলো সুদ প্রদান করে না। এছাড়াও, সরবরাহ এবং চাহিদার গতিশীলতা এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু অঞ্চলে স্বর্ণ উৎপাদন হ্রাস এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর—বিশে করে উন্নয়নশীল বাজারগুলোতে—চাহি া বৃদ্ধির ফলে স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো রিজার্ভ বৈচিত্র্যময় করতে এবং মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে স্বর্ণ ব্যবহার করছে। এই প্রবণতা দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা স্বর্ণের মৌলিক চাহিদাকে সহায়তা করবে। আশ্চর্যের কিছু নেই যে বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়ের কারণে স্বর্ণ ও রূপা এই বছর সবচেয়ে জনপ্রিয় কমোডিটি হয়ে উঠেছে—এর মধ্যে রয়েছে গত সপ্তাহে ফেড কর্তৃক সুদের হার হ্রাস এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো থেকে ব্যাপক চাহিদা। মঙ্গলবার স্বর্ণের 1.2% বেড়ে আউন্সপ্রতি $3,791.10-এ পৌঁছেছে, গুজব অনুসারে চীন মূল্যবান ধাতুতে ফরেন সভারিন রিজার্ভের কাস্টডিয়ান হওয়ার পরিকল্পনা করছে। এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETFs) থেকেও স্বর্ণের চাহিদা শক্তিশালী ছিল, যার ইনফ্লো গত শুক্রবার তিন বছরের সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে। বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের স্বর্ণের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স $3,756 ব্রেক করাতে হবে। এটি স্বর্ণের মূল্যের $3,802 পর্যন্ত অগ্রগতির পথ খুলে দেবে, যার উপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে $3,849 এরিয়া। স্বর্ণের দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য $3,705 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং স্বর্ণের মূল্যকে $3,658 পর্যন্ত নামিয়ে আনতে পারে, যেখানে আরও নিচে $3,600 পর্যন্ত দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। (https://ifxpr.com/3W4CFzE)

Read more: https://ifxpr.com/3W4CFzE

LIMAFX
2025-09-26, 03:13 PM
২৬ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1655722114.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সর্বাগ্রে নজর দেওয়া উচিত কোর পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচার (PCE) প্রাইস ইনডেক্স এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সের প্রতি। অনেকের মতে, PCE সূচকটি মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য ফেডারেল রিজার্ভের প্রিয় সূচক, যদিও আমরা অবশ্য এটির সাথে একমত নই। তাছাড়া, PCE সূচকের ক্ষেত্রে পূর্বাভাসের তুলনায় মূল ফলাফলের বড় ধরনের বিচ্যুতি খুবই বিরল। তাই উভয় ক্ষেত্রেই মার্কেটে কেবল তখনই প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত যখন মূল ফলাফল পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য উল্লেখযোগ্য, তবে আমরা আগেই বলেছি, বর্তমানে ইসিবির অবস্থানের ব্যাপারে ট্রেডারদের মধ্যে কোনো প্রশ্ন নেই। অর্থাৎ, এখন ইসিবির প্রধানের কাছ থেকে মুদ্রানীতি সম্পর্কিত নতুন কোনো বিবৃতি প্রত্যাশা করা উচিত নয়। সময়ের সাথে সাথে মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে বা কমলে ইসিবির প্রতিনিধিদের বক্তব্যের ভঙ্গি পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এর জন্য আমাদের পরবর্তী মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়াও, আজ ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তা থমাস বারকিন, মিশেল বোম্যান এবং রাফায়েল বস্টিক বক্তব্য দেবেন। মনে করিয়ে দিই, বর্তমানে ফেডারেল ওপেন মার্কেটে কমিটিতে মাত্র তিনজন স্পষ্ট "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থানধারী সদস্য রয়েছেন যারা প্রতিটি বৈঠকে সুদের হার হ্রাসের পক্ষে ভোট দিতে প্রস্তুত। তাই পুরো কমিটিকে "ডোভিশ বা নমনীয়" বলা যায় না।
http://forex-bangla.com/customavatars/387797285.jpg
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের যেকোনো দিকে মুভমেন্ট হতে পারে। গত দেড় সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ড উভয়েরই যথেষ্ট পরিমাণে দরপতন ঘটেছে, যা ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের অংশ হিসেবে রিবাউন্ডের সম্ভাবনাকে যৌক্তিক করে তুলেছে। তবে, আজ যুক্তরাষ্ট্রে আরও দুটি তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হবে, যা নতুন করে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। ট্রেডারদের পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল গ্রহণ করতে হবে। ইউরোর জন্য 1.1655–1.1666 এরিয়া ট্রেডিং জোন হিসেবে কাজ করতে পারে। পাউন্ডের জন্য 1.3329–1.3334 এরিয়ায় দিকে নজর দিতে হবে, যেখান থেকে মূল্য ইতোমধ্যেই দুইবার রিবাউন্ড করেছে। (https://ifxpr.com/3IsMunZ)


Read more: https://ifxpr.com/3IsMunZ

SaifulRahman
2025-09-29, 04:31 PM
মার্কিন সরকারের শাটডাউনের ঝুঁকিতে স্বর্ণের দর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে
http://forex-bangla.com/customavatars/50272875.jpg
ডলারের দরপতনের মধ্যে স্বর্ণের মূল্য আউন্সপ্রতি প্রায় $3,800-এ উঠে নতুন সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সরকারের শাটডাউনের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। স্বর্ণের দর 1.4% বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি $3,814-এ পৌঁছায়, যা গত মঙ্গলবারের রেকর্ড ভেঙে টানা ছয় সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখে। রূপার দর 2.4% বৃদ্ধি পেয়েছে, একইসাথে প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মার্কেটে অব্যাহত অস্থিরতা এবং এই ধাতুগুলোর এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে প্রবাহিত মূলধনের কারণে হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর থেকে শক্তিশালী চাহিদা—বিশেষত উদীয়মান বাজারগুলো থেকে—স্বর্ণের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বৈদেশিক রিজার্ভকে স্বর্ণ দিয়ে বৈচিত্র্যময় করা ডলার ও অন্যান্য মুদ্রার মূল্যের ওঠানামার বিরুদ্ধে সুরক্ষা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা মার্কেটে অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও স্বর্ণের উচ্চমূল্য বজায় রাখতে সহায়তা করছে। বিনিয়োগকারীরা সোমবার নির্ধারিত মার্কিন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সাথে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের আগে নেতিবাচক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন—যা ফেডারেল সরকারের ফান্ডিং শেষ হওয়ার একদিন আগে অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই প্রভাবে ডলারের দরপতনের আশা করা হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদি ব্যয়ের বিল নিয়ে সমঝোতায় ব্যর্থতা শাটডাউন নিয়ে আসতে পারে, যা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে, বিশেষত শুক্রবারের বহুল প্রত্যাশিত কর্মসংস্থান প্রতিবেদন, যাতে সেপ্টেম্বরে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দুর্বলতা দেখা যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন। দুর্বল ডলার সাধারণত আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জন্য মূল্যবান ধাতুগুলোকে সস্তা করে তোলে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফেডের অক্টোবরের নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকে আরেকবার সুদের হার হ্রাসের পক্ষে অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে—এই পরিস্থিতি স্বর্ণকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। তবে, ফেডের সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ ঘিরে অনিশ্চয়তা এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, কারণ গত সপ্তাহে নীতিনির্ধারকরা আর্থিক নীতিমালা নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। বার্কলেস পিএলসি সম্প্রতি উল্লেখ করেছে যে মূল্যবান ধাতুগুলো ডলার এবং মার্কিন ট্রেজারির তুলনায় অতিমূল্যায়িত বলে মনে হচ্ছে না, যেখানে ফেডের পদক্ষেপ সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়টি কিছুটা প্রতিফলিত হওয়া উচিত, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার সম্ভাব্য হুমকির কথা বিবেচনা করলে। এই বছর এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম 45% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর শক্তিশালী চাহিদা এবং ফেডের সুদের হার হ্রাসের নতুন প্রত্যাশার ফলে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্বর্ণের মূল্য এখন টানা তৃতীয় প্রান্তিক বৃদ্ধির পথে রয়েছে। মূল্যবান ধাতু সমর্থিত ETF-এ মূলধন প্রবাহ ইতোমধ্যেই 2022 সালের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এবং ডয়েচে ব্যাংক এজি-সহ প্রধান ব্যাংকগুলো জানিয়েছে যে তারা আশা করছে স্বর্ণের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

স্বর্ণের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস ক্রেতাদের জন্য তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স $3,802-এ অবস্থিত। এই লেভেল ব্রেক করলে $3,849 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করা মূল্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বুলিশ প্রবণতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে $3,906-এর লেভেলকে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, যদি পুলব্যাক ঘটে, তবে বিক্রেতারা মূল্যকে $3,756 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হবে এবং স্বর্ণের মূল্য $3,705-এ নেমে যেতে পারে , এমনকি $3,658 পর্যন্ত আরও দরপতন ঘটতে পারে। (https://ifxpr.com/3IjGG04)

Read more: https://ifxpr.com/3IjGG04

Montu Zaman
2025-09-30, 04:33 PM
৩০ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/559697022.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, যার অধিকাংশই জার্মানি থেকে প্রকাশিত হবে। ইউরোর জন্য জার্মানির প্রতিব্দন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জার্মানি ইউরোজোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি। তবে এটি ২৭টি দেশের মধ্যে কেবল একটি দেশ, তাই জার্মানির প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া সাধারণত সীমিত হয়। আজকের প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে খুচরা বিক্রয়, বেকারত্বের হার, বেকারের সংখ্যা পরিবর্তন, এবং মুদ্রাস্ফীতি। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে মুদ্রাস্ফীতি, যা বৃদ্ধি পেয়ে 2.3%-এ পৌঁছাতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি যত বেশি হবে, ইউরোর জন্য তত ভালো, কারণ এতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) আরেক দফা আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ JOLTs চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, আর যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশিত হবে। অর্থাৎ, বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং এর মধ্যে কিছু প্রতিবেদনের ফলাফল নিশ্চিতভাবেই মার্কেটে মুভমেন্ট সৃষ্টি করবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/928141389.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার আরও বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত রয়েছে, তবে আমরা প্রতিটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বক্তৃতা নিয়ে আলোচনা করব না। শুধু গতকালই ইসিবি এবং ফেডের প্রতিনিধিদের অন্তত দশটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেগুলো মার্কেটে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলেনি। আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হবে ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য, যদিও এটিও ট্রেডারদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করবে না। বর্তমানে ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, তাই লাগার্দের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বা দৃঢ় কোনো বক্তব্যের আশা করা উচিত নয়। কেবল সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরই ইসিবির অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে।

উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য দুই দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, যা নির্দেশ করে যে ইউরোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা শেষ হয়ে গেছে। EUR/USD: 1.1745–1.1754 এরিয়া এখনও প্রাসঙ্গিক, কারণ গতকাল এখান থেকে একটি রিবাউন্ড ঘটেছে। GBP/USD: মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া ব্রেক করেছে, তাই নতুন লং পজিশনের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3466–1.3475 লেভেল এখনও সঠিক রয়েছে। (https://ifxpr.com/3KNgcof)

Read more: https://ifxpr.com/3KNgcof

LIMAFX
2025-10-03, 04:04 PM
৩ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, এবং এর মধ্যে কেবল একটিই সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ - সেটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে প্রকাশিতব্য পরিষেবা খাতের PMI। এই সূচকের পাশাপাশি, আমরা জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইইউ-এর পরিষেবা খাতের PMI-এর দ্বিতীয় অনুমান, সেইসাথে ইইউ-এর উৎপাদক মূল্য সূচকও প্রকাশিত হতে দেখব। তবে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। এছাড়াও, আজ যুক্তরাষ্ট্রে নন-ফার্ম পে-রোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কথা ছিল, তবে সম্ভবত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মার্কিন সরকারের "শাটডাউন"-এর কারণে তা প্রকাশ করা হবে না। অতএব, আজ ট্রেডারদের মূল মনোযোগ ISM পরিষেবা খাতের PMI-এর উপর থাকবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1017082263.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাপতি ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা। লাগার্ড সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারেন, অন্যদিকে অ্যান্ড্রু বেইলি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারেন। উভয় বক্তৃতাই সম্ভাব্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ফেডের প্রতিনিধিদেরও বেশ কয়েকটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, যারা শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কীসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। ফেডের পরবর্তী বৈঠক অক্টোবরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে নির্ধারিত হয়েছে, যার মধ্যে শাটডাউন শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে, শাটডাউনের কারণে অক্টোবরের প্রতিবেদন "অসম্পূর্ণ" হতে পারে। সুতরাং, ফেডের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের দিকেও বাড়তি মনোযোগ দেয়া উচিত।
http://forex-bangla.com/customavatars/105018233.jpg
উপসংহার: এ সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে ইউরোর মূল্যেরও নিম্নমুখী প্রবণতা সম্পন্ন হয়েছে (যদিও এটির মূল্য এখনও ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেনি)। ইউরোর ট্রেডিং জোন হচ্ছে 1.1745–1.1754, যেখানে পাউন্ডের ক্ষেত্রে এন্ট্রি এরিয়া হচ্ছে 1.3466–1.3475 এবং 1.3413–1.3421। (https://ifxpr.com/4nzkUEV)

Read more: https://ifxpr.com/4nzkUEV

LIMAFX
2025-10-06, 04:51 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ৬ অক্টোবর: S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে সামান্য কারেকশন হয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1687457237.jpg
গত শুক্রবার, মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে মিশ্র ফলাফলের সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.01% বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে নাসডাক 100 সূচক 0.28% হ্রাস পেয়েছে। শিল্পখাতভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.51% বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তি খাতভিত্তিক কোম্পানিগুলোর স্টকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুক্রবার কিছুটা মন্থর হয়, রেকর্ড উচ্চতা থেকে মূল্য়ের কারেকশন শুরু হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঘিরে প্রচলিত আশাবাদের মধ্যে হামাসকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর বার্তা এবং মার্কিন সরকারের চলমান শাটডাউনের ফলে অর্থনৈতিক দুর্বলতার লক্ষণ প্রকাশের কারণে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছেদ পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঋণ গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ 10-বছর মেয়াদী বন্ডের ইয়েল্ড বা লভ্যাংশ শুক্রবার একদিনেই পাঁচ বেসিস পয়েন্টের বেশি কমে যায়। প্যালান্টির টেকনোলজিস ইনকর্পোরেটেডের স্টক সবচেয়ে বেশির দরপতনের তালিকায় অন্যতম ছিল, বড় ধরনের যোগাযোগ সংকট সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর যেটির দর ৭.৫% হ্রাস পেয়েছে। দিনের শেষভাগে দরপতন সত্ত্বেও S&P 500 সূচকে সামান্য প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল—এটি জুলাই মাসের পর থেকে এখন পর্যন্ত সূচকটির সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্কবার্তায় বলেন, যদি হামাস গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ থামাতে তার প্রস্তাবে সম্মত না হয়, তাহলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। নিউইয়র্ক মার্কেটে সেশন শেষ হওয়ার কিছু আগে হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবের কিছু শর্ত—যার মধ্যে জিম্মি মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—গ্রহণ করে, ফলে হামাস রবিবার পর্যন্ত বেঁধে দেয়া সময়সীমার আগেই সাড়া দিয়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ISM পরিষেবা খাতের প্রতিবেদনের ফলাফল অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পরিষেবা খাতে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে—যেখানে মহামারির পর প্রথমবারের মতো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড হ্রাস পায় এবং নতুন অর্ডার বৃদ্ধির সংখ্যা খুবই কম ছিল। এটি উদ্বেগের বিষয়, কারণ পরিসেবা খাত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি—জিডি ি এবং কর্মসংস্থানের একটি বড় অংশের উৎস। এই মন্থরতার কারণ হিসেবে একাধিক বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এবং ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়া। ঋণ গ্রহণের খরচ বেড়ে যাওয়া ব্যবসাগুলোর ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, আর পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের আয় হ্রাস পাচ্ছে—যা পরিষেবা খাতের চাহিদাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। তবে, ISMসূচকের হতাশাজনক ফলাফল সত্ত্বেও এটা বলা গুরুত্বপূর্ণ যে সামগ্রিকভাবে দেশটির পরিষেবা খাত এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে সোয়াপ ট্রেডারদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে যে অক্টোবর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভবত আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমাবে, যদিও শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি। গত সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায় এ নিয়ে যে, আরও কতটা সুদের হার কমানো প্রয়োজন—পূর্বে তারা সুদের হার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছিল। শিকাগো ফেডের প্রেসিডেন্ট অস্টেন গুলসবী তার আগের অভিমত পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সুদের হার কমানোর ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের অত্যন্ত সতর্ক হয়ে অগ্রসর হওয়া উচিত। অন্যদিকে, ফেডের গভর্নর স্টিভেন মিরান, যিনি সেপ্টেম্বর মাসে আরও বড় ধরনের হ্রাসের পক্ষে ছিলেন, বলেন—যদি আবাসন মূল্য অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায়, তবে তিনি মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি পর্যালোচনা করবেন। কমোডিটি মার্কেটে, OPEC+-এর সরবরাহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি $61-এর নিচে নেমে যায়, যদিও গাজা সংঘর্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরে শুক্রবার তেলের মূল্য কিছুটা বেড়ে যায়। স্বর্ণের মূল্য পরপর সপ্তম সপ্তাহে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার হ্রাস এবং অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতি জনিত উদ্বেগের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ ক্রয় বাড়িয়ে দিয়েছে। S&P 500 সূচকের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটির নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল $6,743 অতিক্রম করানো। সূচকটির দর এই লেভেল ব্রেক করলে নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে এবং পরবর্তী লেভেল $6,756-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি, বুলিশ ট্রেডারদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো $6,769 লেভেলের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, যা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে যায় এবং সূচকটি মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে মূল্য $6,727 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের পক্ষ থেকে সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক হলে, সূচকটি দ্রুত $6,711 পর্যন্ত এবং সেখান থেকে $6,697 লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3VRgdKg)

Read more: https://ifxpr.com/3VRgdKg

Tofazzal Mia
2025-10-07, 06:30 PM
ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিবৃতি ইউরোর জন্য আংশিকভাবে সহায়ক হয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/905814042.jpg
ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংকটের ঝুঁকি যখন ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সরকারের শাটডাউনের দিকেই মোড় নিয়েছে, তখন ইউরোর দর দ্রুতই মার্কিন ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) দুই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, মুদ্রাস্ফীতি এখন এমন কোনো গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে না—কোনোদিক থেকেই নয়—যার ফলে তারা সুদের হার পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনই কোনো সম্ভাবনা প্রকাশ করছেন না। এই অবস্থান ইউরোপীয় মুদ্রার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ানোর একটি অতিরিক্ত কারণ হিসেবে কাজ করছে। ইসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস দে গিনদোস এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইন স্বীকার করেছেন যে একাধিক উপাদান এখন মূল্যস্ফীতিকে উভমুখীভাবে প্রভাবিত করছে। সোমবার মাদ্রিদে এক সম্মেলনে লুইস দে গিনদোস বলেন, "আমরা বলতে পারি যে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকিগুলো এখন অনেকটাই ভারসাম্যপূর্ণ—আম া আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলছি এবং মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও নিশ্চিত করা সম্ভব। আমরা আমাদের মুদ্রানীতির বর্তমান অবস্থানকে গ্রহণযোগ্য হিসেবেই বিবেচনা করছি। এর পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির হার, আমাদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস এবং মুদ্রানীতি পরিবর্তনের কার্যকারিতা।" বিনিয়োগকারীরা এ বক্তব্যগুলোর প্রতি সতর্ক আশাবাদের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এটিকেই সুদের হার কমানোর সংকেতের অনুপস্থিতি হিসেবে দেখছেন, যা ইউরোপীয় অ্যাসেটের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, ইসিবি এখন থেকে সুদের হার পরিবর্তনের পূর্বে আগত প্রতিবেদনের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। ইসিবির বেশিরভাগ নীতিনির্ধারক মনে করছেন তারা তাদের বর্তমান মুদ্রানীতির কাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট এবং নতুন করে নীতিমালা নমনীয় করতে হলে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের এতটাই ভিন্ন ধরনের ফলাফল আসতে হবে, যা এ মুহূর্তে তাদের মূল্য পূর্বাভাসের বাইরে। ইসিবির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর মুদ্রাস্ফীতি ১.৭%-এ নেমে আসবে এবং এরপর ২০২৭ সালে তা আবার ১.৯%-এ ফিরে যাবে। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে—যা মূলত জার্মানি এবং অন্যান্য দেশগুলোর বাজেট ব্যয় বৃদ্ধির কারণে হবে। ফিলিপ লেইন উল্লেখ করেন—যদিও এই মুহূর্তে তিনি আরও নমনীয় আর্থিক নীতিমালার পক্ষে নন, কিন্তু নীতিনির্ধারকদের সামনে দুটি বিকল্প খোলা রয়েছে: সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা অথবা আরও কমানো। তিনি বলেন, "যদি মুদ্রাস্ফীতির হার নিম্নমুখী বা উর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, তাহলে একটু হ্রাসকৃত সুদের হার মধ্যমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা আরও ভালোভবে অর্জনে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।" ফ্রাঙ্কফুর্টে এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইন আরও উল্লেখ করেন, "পদ্ধতিগতভাবে, আমাদের মুদ্রানীতি এমন হতে হবে যাতে এটি মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের প্রতি যথাযথভাবে সাড়া দিতে পারে।"

EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র বর্তমানে ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1720 লেভেল ব্রেক করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কেবল এই লেভেল ব্রেক করা গেলে 1.1745 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1775 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ক্রেতাদের সহায়তা ছাড়া এই লেভেলে পৌঁছানো কঠিন হবে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1820 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1685-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করছি। সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না হলে, 1.1655-এর লেভেল রিটেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই সঙ্গত হবে অথবা 1.1610 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।

GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য এই মুহূর্তে মূল লক্ষ্য হলো 1.3500 লেভেলের নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এই লেভেল ব্রেক করলে এই পেয়ারের মূল্য 1.3540-এ পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে, তবে এর পরে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া যথেষ্ট কঠিন হবে। দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3565 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.3460 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইবে । যদি তারা সেখানে নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত যেতে পারে এবং সেখান থেকে সম্ভাব্যভাবে 1.3365 পর্যন্তও নেমে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/4nFlcKs)


Read more: https://ifxpr.com/4nFlcKs

LIMAFX
2025-10-08, 06:41 PM
মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্প্রসারিত হয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1575618325.jpg
গতকাল বেশ কিছু মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল — যার মধ্যে ইউরো ও জাপানি ইয়েন সবচেয়ে বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। মিনিয়াপলিস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিল কাশকারির মন্তব্যের পর আবারও মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়, যেখানে তিনি সতর্ক করেন যে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার দ্রুত কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। মুদ্রানীতি নমনীয়করণের ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশার মধ্যে তার এই বক্তব্য কারেন্সি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। বিনিয়োগকারীরা, আগেভাগে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের ঝুঁকিগুলো বিবেচনায় নিয়ে, আবারও ডলারকেই তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। কাশকারির মন্তব্য ফেডারেল রিজার্ভের সামনে থাকা মূল নীতিগত দ্বিধা স্পষ্ট করেছে। একদিকে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা ও কমতে থাকা মূল্যস্ফীতি সুদের হার কমানোর পক্ষে যৌক্তিকতা সৃষ্টি করছে; অন্যদিকে, অতিরিক্ত নমনীয় আর্থিক নীতিমালা নতুন করে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ফেডের প্রতি আস্থা দুর্বল করে দিতে পারে। এদিকে, ডলারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা অন্যান্য মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে — বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর ক্ষেত্রে, যেগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এর ফলে মূলধন প্রবাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং এসব দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অর্থনীতি প্রতিপাদ্যে মিনেসোটা স্টার ট্রিবিউন কর্তৃক আয়োজিত একটি প্যানেল আলোচনায় কাশকারি বলেন, "আমরা অর্থনীতিতে মারাত্মক মূল্যস্ফীতির প্রবণতা লক্ষ্য করতে পারি। মূলত, আপনি যদি অর্থনীতিকে এর প্রকৃত উৎপাদন ও মূল্য নির্ধারণ সক্ষমতার চেয়ে দ্রুতগতিতে টানার চেষ্টা করেন, তাহলে শেষ পর্যন্ত আপনি শুধু বাড়তি মূল্যস্ফীতিই পাবেন।" মিনিয়াপলিস ফেড প্রেসিডেন্ট, যিনি এই বছর ফেডারেল ওপেন মার্কেট কওমিটির ভোটাধিকারপ্রাপ্ত সদস্য না হলেও নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, তিনি আরও সতর্ক করে বলেন যে বর্তমানে স্ট্যাগফ্লেশনের বা অর্থনৈতিক স্থবিরতার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে — কারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হচ্ছে এবং মূল্যস্ফীতি স্থায়ী হয়ে আছে। তিনি বলেন, "আমরা যে কিছু প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করছি, তা স্ট্যাগফ্লেশনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।"

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় এখন মার্কেট বেশিরভাগ ট্রেডার ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের দেওয়া বক্তব্যের ওপর আরও ঘনিষ্ঠভাবে নজর দিচ্ছেন। সামনের দিনগুলোতে ডলারের মূল্যের মুভমেন্ট নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন — যা সরকারি অচলাবস্থা নিরসনের পর প্রকাশিত হবে — এবং ফেডের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করবে। যদি মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হতে থাকে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়, তাহলে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে, যা ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে। তবে, যদি মূল্যস্ফীতি উচ্চতর পর্যায়ে থাকে, তাহলে ফেড মুদ্রানীতি নমনীয় করা থেকে বিরত থাকতে পারে, যা ডলারের মূল্যকে বর্তমান লেভেলে থাকার জন্য সমর্থন প্রদান করা অব্যাহত রাখবে। EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী এখন ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1650 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। কেবল এই লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে পারলে 1.1680 লেভেল টেস্ট করার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1715 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে তা সম্ভব হবে শুধুমাত্র বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা থাকলে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে 1.1745 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1610 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য কার্যকলাপের প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও কেউ সক্রিয় না হয়, তবে 1.1570 এরিয়া রিটেস্ট বা 1.1530 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করাই যুক্তিসঙ্গত হবে।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে 1.3405 লেভেলের রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3450 লেভেলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যার ওপরে পৌঁছানোটা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3490। অন্যদিকে, দরপতন ঘটলে মূল্য 1.3365 রেঞ্জে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে, তাহলে সেটি বুলিশ পজিশনের ওপর বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং GBP/USD-এর মূল্য কমে 1.3325 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3280 লেভেল পরবর্তী সাপোর্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। (https://ifxpr.com/4h1np0d)

Read more: https://ifxpr.com/4h1np0d

LIMAFX
2025-10-09, 06:14 PM
৯ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/788010538.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বৃহস্পতিবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং সবগুলো প্রতিবেদনই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। জার্মানিতে আমদানি, রপ্তানি এবং ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; তবে এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ট্রেডারদের মনোভাবের উপর অর্থবহ কোনো প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। এমন মনে হতে পারে যে গতকাল প্রকাশিত জার্মানির শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল ইউরোর দরপতনের কারণ হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে—উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই ইউরোর দরপতন থেমে যায়। আজ যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্র—এই তিনটি প্রধান অঞ্চলের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে প্রায় কিছুই নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হলো — জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য। তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইভেন্ট, কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেডের চেয়ারম্যানের বক্তৃতার গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন ফেডারেল রিজার্ভ কীভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে এবং মাসের শেষে সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা নিরসনের অপেক্ষায় রয়েছে। গতকাল ফেডের সেপ্টেম্বর মাসের বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অনেক কর্মকর্তাই আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয় করার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে মনে রাখা উচিত, সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থা চলছিল না। আমরা এখন এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছি, যেখানে প্রধান অর্থনৈতিক সূচকগুলোও প্রকাশিত হচ্ছে না। এই ধরণের প্রেক্ষাপটে ফেড "অপেক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের" অবস্থান গ্রহণ করতে পারে: "যেহেতু প্রতিবেদন নেই — সেহেতু কোনো সিদ্ধান্ত নয়।" সংক্ষেপে বলা যায়, পাওয়েলের কাছে অনেক প্রশ্ন রয়েছে — এবং এই বক্তব্যই পুরো সপ্তাহের ট্রেডিংয়ের একমাত্র উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উপসংহার: এ সপ্তাহের শেষভাগের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, EUR/USD এবং GBP/USD উভয় পেয়ারেরই বিশৃঙ্খল ও অযৌক্তিক ট্রেডিং অব্যাহত থাকতে পারে। পুরো সপ্তাহজুড়েই উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চিত ছিল, আর পাওয়েলের বক্তব্য হয়তো মার্কেটে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলবে। নতুন ট্রেডারদের জন্য এখনো নিকটবর্তী গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা জোন থেকে ট্রেড করা সম্ভব; তবে মনে রাখতে হবে, মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতি পরিপূর্ণ বা ধারাবাহিক পরিকল্পনা জন্য আদর্শ নয়। সতর্কতা অবলম্বন এবং যথাযথ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
(https://ifxpr.com/4pYai45)
Read more: https://ifxpr.com/4pYai45

Montu Zaman
2025-10-10, 04:44 PM
১০ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/321960769.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: পুরো সপ্তাহজুড়েই যেমনটি দেখা গেছে, শুক্রবারও খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মূলত, এ পর্যন্ত এই সপ্তাহে একমাত্র উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রইতিবেদন ছিল জার্মানির শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন, যেটির ফলাফল আবারও অত্যন্ত দুর্বল এবং নেতিবাচক ছিল। এর বাইরে কিছু চোখে পড়ার মতো কিছু ঘটেনি। আজ যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজ্যুমার সেনটিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। এটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কোনো সূচক নয়, এবং এই সপ্তাহে পরিলক্ষিত মার্কেটের পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেইচ্ছে যে ট্রেডাররা এখন আর ডলার কেনার পেছনে স্পষ্ট কোনো কারণ খুঁজছেন না — সেই একই মার্কিন ডলার যা বিগত আট মাসে আগ্রাসীভাবে বিক্রি হয়ে আসছিল।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজ দুটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি কমিটির সদস্য মুসালেম এবং গুলসবি আজ বক্তব্য দেবেন। তবে মনে রাখা দরকার, গতকাল জেরোম পাওয়েল বক্তব্য দিয়েছেন এবং তিনি স্পষ্ট করেছেন যে ফেডের বর্তমান অবস্থান হলো: মুদ্রানীতির ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল, এবং ভবিষ্যতে সুদের হার কমানো হবে কি না, তা নির্ধারিত হয়নি। এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে পাওয়েল একই কথা গত কয়েক মাস ধরে বারবার বলে এসেছেন। তিনি বছরের শেষ নাগাদ দুইবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন না, কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়নি। বর্তমান প্রশ্ন হলো: যদি অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম অচলাবস্থা চলতে থাকে, তাহলে ফেড কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, যখন মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং শ্রমবাজার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনসমূহই প্রকাশিত হয়নি?

উপসংহার: চলতি সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, এখনও প্রধান দুই কারেন্সি পেয়ারের (EUR/USD এবং GBP/USD) বিশৃঙ্খল ও অযৌক্তিক ট্রেডিং দেখা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত উভয় পেয়ারের মূল্যের মূলত নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে — এবং কেন এমন হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে বলা খুবই কঠিন। এর মানে হলো, আজ ইউরো ও পাউন্ডের দর আরও কমে যেতে পারে — এই মুহূর্তে এটি ঘটার জন্য বিশেষ কোনো কারণ প্রয়োজন নেই। সুতরাং, আজ 1.1571–1.1584 জোন থেকে EUR/USD-এর ট্রেডিং করা যেতে পারে, এবং 1.3329–1.3331 জোন থেকে GBP/USD-এর ট্রেড করা যেতে পারে । (https://ifxpr.com/4pZU4rb)

Read more: https://ifxpr.com/4pZU4rb

LIMAFX
2025-10-13, 06:17 PM
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে
http://forex-bangla.com/customavatars/109414521.jpg

ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে, অপরদিকে মার্কিন ডলার দরপতনের শিকার হচ্ছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন রবিবার চীনের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তারপরও কারেন্সি ট্রেডাররা এখনো সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছে, এমনকি যখন মার্কিন স্টক মার্কেটে স্থিতিশীলতার প্রাথমিক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স বেইজিংকে অনুরোধ করেছেন যেন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে দেশটি একটি যৌক্তিক পথ গ্রহণ করে। তিনি বলেন, যদি বাণিজ্য সংঘাত দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ট্রাম্পের কূটনৈতিক সক্ষমতা আরও বাড়বে। পরে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে সম্ভাব্য আপসের ইঙ্গিত দেন, কিন্তু পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন যে পূর্ণমাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধ চীনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, "চীনকে নিয়ে চিন্তা করবেন না—সব ঠিক হয়ে যাবে! সম্মানিত চেয়ারম্যান শি সম্প্রতি কঠিন সময় পার করেছেন। তিনি নিজের দেশে অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে আসতে চান না, আমিও তা চাই না। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি করতে নয়!" ভ্যান্স ও ট্রাম্পের বিবৃতিগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বাণিজ্য সংঘর্ষ পুনরায় তীব্রতর হওয়ার কারণে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে বিঘ্ন ঘটেছে এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকলে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়তে পারে। যেখানে ভ্যান্স সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান, ট্রাম্প সেখানে অপেক্ষাকৃত কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আপসের ইঙ্গিত অনেকেই ইতিবাচক বলে গ্রহণ করলেও, চীনের প্রতি তাঁর সতর্কবার্তা ইঙ্গিত দেয় তিনি দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের মতে, দুই পক্ষই বাণিজ্যযুদ্ধের চড়া মূল্য সম্পর্কে সচেতন। বিশেষ করে চীন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হ্রাস পেলে দেশটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতা এবং কর্মসংস্থানে সংকটের সম্মুখীন হতে পারে। ট্রাম্প ও ভ্যান্সের বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাম্প্রতিক বাণিজ্যভিত্তিক সিদ্ধান্তগুলো পরিবর্তনে চাপ দিয়ে যাবে, আবার একই সময়ে মার্কেটের বিচলিত বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতেও চাইছে যে এই উত্তেজনার আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনিবার্য নয়। সর্বাধিক সম্ভাব্য দৃশ্যপট হলো, দুই পক্ষই এখন সবচেয়ে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে এবং মে মাসে নির্ধারিত নতুন শুল্ক আরোপের সময়সীমা আরও দীর্ঘস্থায়ীভাবে স্থগিত হতে পারে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, শুধু ডলারেরই দরপতন হয়নি—শুক্রবার স্টক মার্কেট, তেল এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি েও গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপভাবে অ্যাসেট বিক্রির প্রবণতা দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প হুমকি দেন যে, চীনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য পদক্ষেপের উত্তর দেওয়া হবে। এর আগে, রবিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রকে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি বন্ধ করতে হবে এবং অবশিষ্ট বাণিজ্য সমস্যার সমাধানে আরও আলোচনার প্রয়োজন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, "প্রতিটি পদক্ষেপে উচ্চ শুল্কের হুমকি প্রদান চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার উপযুক্ত পথ নয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান অবস্থান অব্যাহত রাখতে, তবে চীন উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না এবং নিজের আইনগত অধিকার রক্ষা করতে কঠোর অবস্থান নেবে।" এই সবকিছু শুরু হয়েছিল গত সপ্তাহে, যখন চীন নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ ঘোষণা করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, ট্রাম্প শুক্রবার ঘোষণা দেন যে, ১ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের উপর 100% শুল্ক আরোপ করা, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের রপ্তানি সীমিত করা হবে এবং সম্ভবত চীনের জন্য বিমান উপাদান সরবরাহও স্থগিত হতে পারে। যেমনটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ফরেক্স মার্কেট—বিশেষত মার্কিন ডলার—এই ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে দরপতনের শিকার হয়েছে। বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD এই মুহূর্তে ক্রেতাদের মূল লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1630 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হলে পেয়ারটির মূল্য 1.1660 পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। সেখান থেকে 1.1690-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডাররা সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। উর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হল 1.1720। যদি এই পেয়ারে মূল্য হ্রাস পায়, তবে মূল্য 1.1590 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় ক্রেতারা সক্রিয় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা উপস্থিত না থাকে, তবে 1.1545-এর লেভেল টেস্ট করা পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত অথবা 1.1510 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করার চিন্তা করা যেতে পারে। বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম কাজ হবে 1.3360 লেভেলের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হলে এই পেয়ারের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3390। এই লেভেল অতিক্রম করলে পরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যদিও সেখানে পৌঁছানো মূল্যের পক্ষে কঠিন হবে। চূড়ান্ত ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3425-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3290-এর দিকে চলে যাবে, এবং সেখান থেকে মূল্য আরও কমে 1.3260 পর্যন্ত যেতে পারে। (https://ifxpr.com/48rUxfp)

Read more: https://ifxpr.com/48rUxfp

LIMAFX
2025-10-14, 06:12 PM
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ বছর আর সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে না
http://forex-bangla.com/customavatars/1512880680.jpg
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারক মেগান গ্রীন যখন ইঙ্গিত দেন যে তিনি অন্তত ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার কথা ভাবছেন, তখন ব্রিটিশ পাউন্ড চাপের মুখে পড়ে। গ্রীনের মতে, বিদ্যমান নীতিমালা মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট কঠোর নয়। গত সোমবার লন্ডনে 'সোসাইটি অব প্রফেশনাল ইকোনোমিস্ট' সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে গ্রীন বলেন, এখন সুদের না কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিদ্যমান। তার দৃষ্টিতে, আগেভাগেই আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা হলে সেটি মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দিতে পারে, এবং পরবর্তীতে আরও বেশি আক্রমণাত্মক ও কঠোর নীতিমালা আরোপের প্রয়োজন সৃষ্টি করতে পারে। এমন পরিস্থিতি কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতার উপর আঘাত হানবে না, বরং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটেও অস্থিরতা তৈরি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। গ্রীন জোর দিয়ে বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি মোকাবেলায় দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ সুদের হারের দরকার হবে, যাতে চাহিদা কিছুটা দমন করে মূল্যস্ফীতির হার কমানো যায়। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং নতুন করে সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আরও সতর্কভাবে আর্থিক নীতিমালা বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করছে। গ্রীনের মতে, সুদের হার কমানো বন্ধ রাখা হলে সেটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আগের কঠোর আর্থিক নীতিমালার প্রভাব মূল্যায়নের জন্য আরও সময় দেবে—বিশেষ করে অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতির উপর তার প্রভাব মূল্যায়নের জন্য এটি করা প্রয়োজন। এই প্রতিবেদন-নির্ভর এবং সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি নীতিগত ভুল এড়াতে সহায়তা করবে এবং মূল্যস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রায় স্থায়ী প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রত্যাশা করছেন যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মনেটারি পলিসি কমিটি (MPC) আগামী নভেম্বর সভায় সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেবে—যা হবে আগস্ট ২০২৪-এ শুরু হওয়া তিন মাসব্যাপী সুদের হার হ্রাসে প্রথম বিরতি। গ্রীনের মন্তব্যে বোঝা যায়, ফেব্রুয়ারি বৈঠকে যেখানে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা দুই-তৃতীয়াংশ মূল্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে, সেই বৈঠকও তিনি এড়িয়ে যেতে আগ্রহী হতে পারেন। ট্রেডাররা আরও প্রত্যাশা করছে যে ডিসেম্বরেও সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে। MPC-তে দায়িত্বপ্রাপ্ত চারজন বাইরের সদস্যদের একজন হিসেবে, গ্রীন সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার ৪%-এ অপরিবর্তিত রাখতে সংখ্যাগরিষ্ঠের সঙ্গে একমত ছিলেন এবং আগস্ট মাসে যখন গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি ঋণ সুদের হার হ্রাসের পক্ষে নিয়ন্ত্রণকারী ভোট দেন, সেসময়ে নয় সদস্যের কমিটিতে গ্রীন ছিলেন চারজন ভিন্নমতালম্বীদের একজন। "আমি মনে করি আমাদের আর্থিক নীতিমালা এখনও কিছুটা কঠোর,"—গ্রীন বলেন। "তবে আগের চেয়ে কম কঠোর, এবং এটা উদ্বেগের কারণ—বিশেষ করে যখন আমি দেখতে পাচ্ছি যে গত ১২ মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি আবার বাড়ছে।" ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আশা করছে মুদ্রাস্ফীতি অচিরেই ৪%-এর আশেপাশে পৌঁছাবে—যা তাদের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। "আমার উদ্বেগের কারণ হলো, আমরা সম্প্রতি এমন একটি সময় পার করেছি, যখন মুদ্রাস্ফীতি ১১%-এ পৌঁছেছিল, এবং আমার বিশ্বাস এটি মানুষের আচরণে প্রভাব ফেলেছে,"—তিনি আরও বলেন। "মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে, কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে সেটির গতি কমছে।" গ্রীনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে টেকসই সাফল্য আনতে হলে—বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতির হার বেশ 'অস্থিতিশীল' প্রমাণিত হচ্ছে—তখন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে ট্রেডারদের প্রত্যাশার আরও কঠোর রাখতে হবে। "এর একটি উপায় হতে পারে প্রথমে সুদের হার বাড়ানো, তারপর কমানো,"—তিনি বলেন। "তবে আমি মনে করি, এইভাবে ঘন ঘন নীতিমালা পরিবর্তন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আস্থার ব্যাঘাত ঘটে।" যেমনটি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রীনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ পাউন্ড দরপতনের মুখে পড়ে। সাধারণত মার্কেটের স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা পাউন্ডকে সমর্থন করে, তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে—যেখা ে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি বাণিজ্য সংকট এবং কম প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে—এই অবস্থান কেবল স্টার্লিং-এর দুর্বলতাই বাড়িয়ে তোলে। টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম কাজ হবে 1.3295 লেভেল ব্রেক করানো। এতে সফল হলে তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3325-এর লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারে পারবে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করাও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.3360-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে মূল্য 1.3260 লেভেলের নিচে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইবে। এই লেভেল সফলভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনে গুরুতর আঘাত হানতে পারে এবং GBP/USD-এর মূল্য 1.3230 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি সম্ভাব্যভাবে মূল্য আরও কমে 1.3200 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের প্রথম লক্ষ্য হবে মূল্যকে 1.1600 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে পেয়ারটির মূল্যের 1.1630 লেভেলে পৌঁছানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1660 পর্যন্ত বাড়তে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের শক্তিশালী সমর্থন ছাড়া তা অর্জন করা কঠিন হতে পারে। আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.1690-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেতে পারে। যদি দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য 1.1570 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা সক্রিয় না হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য 1.1545 লেভেলে পর্যন্ত নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা অধিক যুক্তিযুক্ত হবে অথবা 1.1510 লেভেলের আশপাশ থেকে লং পজিশন ওপেন করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।

Read more: https://ifxpr.com/4qewW8o

LIMAFX
2025-10-15, 06:48 PM
সুদের হার আরও কম হওয়া উচিত
http://forex-bangla.com/customavatars/791952750.jpg
গতকাল, বোস্টনের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সুসান কলিন্স বলেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি বছর সুদের হার আরও কমানো উচিত, যাতে শ্রমবাজারকে সহায়তা প্রদান করা যায় — তবে সেইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সুদের হারকে যথেষ্ট উচ্চ পর্যায়ে রাখাও প্রয়োজন। মঙ্গলবার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব বোস্টনের একটি অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তৃতায় কলিন্স বলেন, "যেহেতু মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি কিছুটা সীমাবদ্ধ হয়ে এসেছে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়েছে, তাই শ্রমবাজারকে সহায়তা করার জন্য এ বছর আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের প্রবণতা অব্যাহত রাখা যুক্তিসঙ্গত হবে বলে মনে হচ্ছে।" তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময় এসেছে যখন ফেডের ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালা নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং ট্রেডাররা এর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কলিন্সের বক্তব্য ফেডের দায়িত্বের জটিলতা তুলে ধরেছে — একদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অন্যদিকে শ্রমবাজারকে সক্রিয় রাখতে হবে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবুও তা এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে রয়ে গেছে। তাই কলিন্স ধীরে-ধীরে সুদের হার কমানোর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছেন — যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ স্তরে সুদের হার বজায় রেখেই গৃহীত হবে এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে ফেডের নীতিগত কৌশল নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, দ্রুত এবং তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় সুদের হার হ্রাস করা উচিত যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেওয়া যায়, যদিও তার ফলে অস্থায়ীভাবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। অন্যদিকে, অনেকেই আরও সতর্ক পদক্ষেপের পক্ষে যারা মনে করেন, খুব দ্রুত সুদের হার কমালে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে। কলিন্স বলেন, "সামান্য অতিরিক্ত নমনীয় নীতিমালার পরেও আর্থিক নীতিমালা এখনও কিছুটা সীমাবদ্ধ থাকবে।এর ফলে, যখন শুল্কজনিত প্রভাব অর্থনীতির ভেতর পুরোপুরি কাজ করা শুরু করবে, তখন মুদ্রাস্ফীতি আবারও কমে আসবে।" এখন বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন যে, চলতি মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় ফেডের বৈঠকে সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে — গতকাল ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এটি হলে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার হ্রাস করা হবে। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে, ফেড মূল সুদের হার এক চতুরাংশ পয়েন্ট কমিয়ে 4.00–4.25%-এ নামিয়ে এনেছিল। কলিন্স আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কর্মসংস্থান হ্রাসের পেছনে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা কঠিন — এটি শ্রম চাহিদার কমে যাওয়ার ফল, না কি অভিবাসন কমে যাওয়ার ফলে শ্রমের যোগান কমেছে তা এখনই বলা মুশকিল। তাঁর মতে, বেকারত্বের হার স্থিতিশীল রাখতে যা প্রতি মাসে প্রয়োজন, সেই হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা মহামারির আগের প্রায় 80,000 থেকে কমে এসে এখন 40,000-এ পৌঁছে যেতে পারে। বোস্টন ফেডের প্রধান আরও যুক্ত করেন, তিনি আশা করছেন ২০২৫ সালের শেষ ভাগে এবং ২০২৬ সালের শুরুতে বেকারত্বের হার কিছুটা হলেও বাড়বে – তবে তা তুলনামূলকভাবে সীমিত মাত্রায়। সুসান কলিন্সকে সুদের হারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেন, আর্থিক নীতিমালা কোনো পূর্ব নির্ধারিত পথ অনুযায়ী চলে না এবং তিনি এমন একটি পরিস্থিতিরও কল্পনা করতে পারেন, যেখানে অক্টোবর মাসে সুদের হার হ্রাসের পর নীতিনির্ধারকরা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন — বিশেষ করে যদি মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, "সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাস যথোপযুক্ত হতে পারে, তবে আমি মনে করি আমাদের আগেভাগেই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না।" ফেডের আর্থিক নীতিমালার প্রেক্ষিতে কলিন্সের এইসব মন্তব্যের পর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন শুরু হয়।

ফেডের আর্থিক নীতিমালার প্রেক্ষিতে কলিন্সের এইসব মন্তব্যের পর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন শুরু হয়। এখন EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, ক্রেতাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে 1.1630 লেভেল ব্রেক করিয়ে মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1660 লেভেল টেস্ট করানোর পরিকল্পনা করতে পারবে। এরপর সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1690 লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে — তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে এই উচ্চতায় পৌঁছানো বেশ কষ্টসাধ্য হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1715 লেভেল। যদি ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে 1.1600 লেভেলের দিকে যায়, তাহলে বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। যদি তারা সক্রিয় না হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1570 লেভেলে নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1545 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হবে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3360 ব্রেক করানো। কেবল এরপরই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3390-এ পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী হওয়া যাবে, যেখান থেকে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3425 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হলে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে ক্রেতাদের অবস্থানে বড় ধরনের আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও নিচে 1.3290 এবং সম্ভবত 1.3250-এর দিকে নেমে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/4n7GMGa)

Read more: https://ifxpr.com/4n7GMGa

LIMAFX
2025-10-16, 06:29 PM
মিরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন
http://forex-bangla.com/customavatars/1856210220.jpg
মার্কিন ডলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ক্রমাগতভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে, কারণ ফেডারেল রিজার্ভের আরও বেশি সংখ্যক কর্মকর্তারা অক্টোবরের শেষের দিকে নির্ধারিত বৈঠকে সুদের হার কমানোর পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করছেন। স্টিভেন মিরান, যাকে প্রায়শই 'ট্রাম্প-নিযুক্ত' ফেড কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তিনি গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে সাম্প্রতিক বাণিজ্য উত্তেজনা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে এখন নীতিনির্ধারকদের জন্য দ্রুত সুদের হার হ্রাস করা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বুধবার মিরান বলেন, "বর্তমানে সুদের হার হ্রাসের ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকির সম্ভাবনা আগের চেয়ে অনেক কম।" তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধকে ঘিরে বেড়ে চলা অনিশ্চয়তা নতুন করে ব্যাপক ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। তিনি যোগ করেন, "আমি বলব, এখন আমি গত সপ্তাহ বা গত মাসের তুলনায় আরও কম সুদের হার চাই। তবে ঝুঁকির এই পরিবর্তিত ভারসাম্যের পরিপ্রেক্ষিতে, আমি মনে করি এখন আরও নিরপেক্ষ আর্থিক নীতিমালার দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়া জরুরি।" স্পষ্টতই অনেক অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষক মিরানের এই অবস্থানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে বর্তমান অনিশ্চয়তার মধ্যে অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে সুদের হার হ্রাস অত্যন্ত জরুরি—মার্কিন ডলারে দরপতনের মাধ্যমে এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। তবে অন্যদিকে, দ্রুত সুদের হার কমানোর এই অভিযানের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত সুদের হার হ্রাসের ফলে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে এবং জাতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটতে পারে। এই কারণেই, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে আরও ভারসাম্যপূর্ণভাব এবং ধাপে ধাপে নীতিমালা নমনীয়করণের প্রয়োজন রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইনে যুক্ত কোম্পানিগুলো নতুন করে পূর্ণমাত্রার বাণিজ্যযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে — কারণ গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের উপর অতিরিক্ত 100% শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। এর আগে চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র জানায় যে তারাও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের বিক্রয়ের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিবেচনা করবে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এই মঙ্গলবার এক বক্তব্যে মার্কিন অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করেন এবং এটি নিশ্চিত করেন যে, চলতি মাসের শেষের দিকে ফেড কর্মকর্তাদের আসন্ন বৈঠকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার এক চতুরাংশ পয়েন্ট (0.25%) হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে মন্থরতা ও সম্ভাব্য বেকারত্বের ঝুঁকি — এই দুটি বিষয়কেই এই সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করতে পারে, যদিও মূল্যস্ফীতি এখনও ফেডের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার ওপরে রয়েছে। বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন 1.1680 লেভেল ব্রেক করিয়ে এই পেয়ারের মূল্যকে উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এটি করা গেলে মূল্যের 1.1715 লেভেলে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে মূল্য 1.1745 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এই লেভেল অতিক্রম করা মূল্যের পক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1765 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.1644 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হন, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1614 লেভেলে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1580 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করাই বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হবে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3450-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলটি ব্রেক করাতে হবে। কেবলমাত্র এটি সফলভাবে ব্রেক করা গেলে তারা মূল্যকে 1.3480 লেভেলের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার ওপরে মূল্যের আরো অগ্রসর হওয়া কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3525 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3400-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা আবার মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তবে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি বাই পজিশনের জন্য বড় ধরনের আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3370 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং এমনকি 1.3333 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে। (https://ifxpr.com/4hg3rPh)

Read more: https://ifxpr.com/4hg3rPh

LIMAFX
2025-10-17, 02:11 PM
১৭ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/537158787.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: আবারও দেখা যাচ্ছে যে শুক্রবারের ক্যালেন্ডারে খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পূর্ববর্তী বিশ্লেষণগুলোতে আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে শুক্রবার কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, কিন্তু তা পুরোপুরি সঠিক নয়। আজ ইউরোজোনে সেপ্টেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় প্রাথমিক অনুমান প্রকাশিত হবে। তবে এটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, কারণ দ্বিতীয় অনুমান সাধারণত প্রথম অনুমানের সঙ্গে মিলে যায় এবং এটি কখনোই "উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন" প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয় না। এই প্রতিবেদন ছাড়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই।
http://forex-bangla.com/customavatars/2037946343.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত থাকলেও, মার্কেটে সেগুলো সামান্য প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এই সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কর্মকর্তাদের অন্তত ২০টি বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয়েছে — কিন্তু এর কোনোটিই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। পূর্বে যেমনটি বলা হয়েছে, ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং জেরোম পাওয়েল — উভয়েই গত কয়েক সপ্তাহে একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছেন, যার ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে বেশ ভালোভাবে বুঝে নিতে পেরেছে যে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা কোন দিকে এগোচ্ছে। ইসিবি সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না, যেহেতু বর্তমানে এটি করার দরকার নেই। আর ফেডের পক্ষ থেকে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে, কারণ মার্কিন শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট সূচকগুলোর ফলাফল এখনো বেশ দুর্বল। একই সঙ্গে, এটি স্পষ্ট যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কাছ থেকেও নিকট ভবিষ্যতে কোনো আর্থিক প্রণোদনামূলক পদক্ষেপের আশা করা যাচ্ছে না, কারণ যুক্তরাজ্যে ইতোমধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে এবং বর্তমানে এটি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ পর্যায়ে অবস্থান করছে।

উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিং সেশন, সাম্প্রতিককালে ট্রেন্ডলাইন ব্রেকআউটের ভিত্তিতে প্রধান দুটি কারেন্সি পেয়ার — EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। EUR/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, 1.1655–1.1666 জোন সফলভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাই লং পজিশন এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে এবং আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যও 1.3413–1.3421 জোনের ওপর উঠে গেছে, যা 1.3466–1.3475 এরিয়ার দিকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে। যেহেতু সপ্তাহের শেষ দিনে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছি, তাই পুরো শুক্রবারজুড়েই উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। (https://ifxpr.com/3IPeen1)

Read more: https://ifxpr.com/3IPeen1

LIMAFX
2025-10-20, 04:38 PM
২০ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1414317671.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। তাই আজ ট্রেডাররা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, এর বাইরে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তব্যও এখন খুব একটা গুরুত্ব বহন করছে না, কারণ ট্রেডাররা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট ধারণা পেয়েছে। শুধুমাত্র ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালাকে কেন্দ্র করে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে, যদিও সেটিও এখন তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
http://forex-bangla.com/customavatars/350483387.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবার খুবই অল্প সংখ্যক ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে, যার প্রায় কোনোটিই ট্রেডারদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। গত কয়েক সপ্তাহে, আমরা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড (BoE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) অনেক প্রতিনিধির বক্তব্য পর্যবেক্ষণ করেছি। সেই হিসেবে, ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত। সোমবার ইসাবেল স্ন্যাবেল-এর (ইসিবির প্রতিনিধি) নির্ধারিত বক্তৃতা খুব সম্ভবত মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে, ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয় করার সম্ভাবনা হ্রাস করেছে। তবে, নতুন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার আরও কমানোর পক্ষপাতী ছিল না। তাই নতুন মুদ্রাস্ফীতি পরিসংখ্যান প্রকাশ পেলেও, নীতিগত অবস্থানে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।

উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউটের পর ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর জন্য 1.1655–1.1666 লেভেলে একটি শক্তিশালী ট্রেডিং এরিয়া রয়েছে, যেখান থেকে পরবর্তী সিগনালের উপর ভিত্তি করে লং অথবা শর্ট পজিশনের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে, 1.3413–1.3421 এরিয়া ইতোমধ্যেই ব্রেক করা হয়েছে, যার ফলে 1.3466–1.3475 জোনের দিকে আরও মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। (https://ifxpr.com/47asBM5)

Read more: https://ifxpr.com/47asBM5

LIMAFX
2025-10-21, 06:19 PM
যুক্তরাজ্যে সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1437974179.jpg
বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাজ্য সরকার পূর্বাভাসের চেয়ে £7.2 বিলিয়ন বেশি ঋণ গ্রহণ করেছে—এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এটি অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভসের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ, যিনি বর্তমানে প্রকাশিতব্য বাজেট পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন যার লক্ষ্য হলো আর্থিক খাত পুনরুদ্ধার করা। যদিও ঋণগ্রহণে এই আকস্মিক বৃদ্ধি পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না, তবে এটি সরকারের ঘোষিত সরকারি ঋণ গ্রহণের মাত্রা স্থিতিশীল করা এবং বাজেট ঘাটতি হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস এবং দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এই মুহূর্তে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনাগুলোর জন্য অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড যদি মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও দীর্ঘ সময় ধরে সুদের হার উচ্চ পর্যায়ে ধরে রাখে, তাহলে এতে দেশটির সরকারের ঋণ গ্রহণের ব্যয় বেড়ে যাবে এবং আর্থিক খাতের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে, যা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলিতে বিনিয়োগ হ্রাস ঘটাতে পারে। রিভসের আসন্ন বাজেট পরিকল্পনাটি বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকগণ সতর্কভাবে পর্যালোচনা করবে। আর্থিক খাত পুনরুদ্ধারের জন্য তাঁর পরিকল্পনার বিশ্বাসযোগ্যতা ও বাস্তবতাই মূলত ব্রিটিশ মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থার বিষয়টি নির্ধারণ করবে। রিভস রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপের প্রস্তাব দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে স্থিতিশীল আর্থিক নীতিমালা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা তার জন্য অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির বাজেট ঘাটতি বর্তমানে £99.8 বিলিয়নে পৌঁছেছে, যা অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটি (OBR)-এর মার্চ মাসের পূর্বাভাস £92.6 বিলিয়নের চেয়েও বেশি। শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসেই যুক্তরাজ্য সরকার £20.2 বিলিয়নের ঋণ গ্রহণ করেছে, যা করোনা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণগ্রহণ। মূলত সরকারি ঋণের উপর উচ্চ সুদ পরিশোধ করার কারণে পরিস্থিতির এইরূপ অবনতি ঘটেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, উচ্চ সুদের হার, কল্যাণ খাতে ব্যয় হ্রাস স্থগিত রাখা, এবং OBR-এর পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত উৎপাদনশীলতা সংশোধনের ফলে রিভসকে প্রায় £35 বিলিয়ন অতিরিক্ত অর্থ খুঁজে বের করতে হবে—যা শুধুমাত্র ব্যয় ও আয়ের ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য নির্ধারিত £9.9 বিলিয়ন রিজার্ভ পূরণ করতেই লাগবে। ঘাটতির পরিমাণ OBR-এর পূর্বাভাস ও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি, যদিও এই মাসের শুরুতে এক সংশোধনের মাধ্যমে রিভস অতিরিক্ত £2 বিলিয়ন VAT রাজস্ব পেয়েছেন। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স (ONS) জানিয়েছে, এই সংশোধন মূলত HM রেভিনিউ অ্যান্ড কাস্টমস-এর পক্ষ থেকে বিতরণ করা ভুল ভ্যাট সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কারণে করা হয়েছে। ONS আরও জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে বাজেট ঘাটতি ছিল এই রেকর্ড চালুর (১৯৯৩) পর থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক ঘাটতি এবং এটি OBR-এর পূর্বাভাস £20 বিলিয়নের প্রায় কাছাকাছি ছিল। অর্থনীতিবিদরা গড় পূর্বাভাস দিয়েছিলেন £20.8 বিলিয়ন। উল্লেখ্য, উপরের সব ঘটনাপ্রবাহের ফলে পাউন্ডের সামান্য দরপতন ঘটেছে। বর্তমানে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথম লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে $1.3405-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এটিই এই পেয়ারের মূল্যের $1.3440-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে, যার উপরে যাওয়ার অনেক কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে $1.3485 এর আশেপাশের লেভেল। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রয়ের প্রবণটা বাড়লে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে সম্ভবত $1.3370 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে $1.3335 পর্যন্ত নামিয়ে আনবে, যার পরে $1.3295 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারণের সম্ভাবনাও থাকবে। (https://ifxpr.com/4onMTHA)

Read more: https://ifxpr.com/4onMTHA

LIMAFX
2025-10-22, 04:39 PM
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ২২ অক্টোবর:
http://forex-bangla.com/customavatars/1811796241.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ৪.০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। আমাদের ধারণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃদ্ধি পেলে (বা তার চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পেলে), যা বিগত এক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে—মূল সুদের হার হ্রাসের বিষয়ে এখন কোনো আলোচনাই হওয়া উচিত নয়। তাই ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির এই প্রবণতা ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য একটি সহায়ক মৌলিক কারণ হতে পারে। জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই।
http://forex-bangla.com/customavatars/1682289966.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট তালিকাভুক্ত থাকলেও, বাস্তবে সেগুলোর মধ্যে কোনোটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত কয়েক সপ্তাহে, আমরা ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB), ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BOE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের একাধিক প্রতিনিধির বক্তব্য শুনেছি, ফলে এই তিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান অবস্থান এখন স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে। আজ ক্রিস্টিন লাগার্ডের নতুন কোনো মন্তব্য মার্কেটে নতুন করে চিন্তার খোরাক যোগাবে বলে মনে হয় না। মনে করিয়ে দিই যে, ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল — যা আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সম্ভাবনা হ্রাস করেছে। তাছাড়া, মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ প্রতিবেদন ছাড়াও, ইসিবি প্রধান ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানোর বিষয়ে অনিচ্ছুক ছিলেন। ফলে নতুন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও নীতিগত অবস্থানের দিক থেকে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। উপসংহার: চলতি সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারো স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটি ও ফ্ল্যাট মুভমেন্ট বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোর (EUR/USD) জন্য 1.1571–1.1584 এরিয়ায় একটি কার্যকর ট্রেডিং জোন রয়েছে, যেখান থেকে লং ও শর্ট উভয় ধরনের পজিশনের কথা ভাবা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য (GBP/USD) বর্তমানে 1.3329–1.3331 এবং 1.3413–1.3421 এরিয়ার মাঝামাঝি নির্দিষ্টভাবে অবস্থান করছে। তবে আবারও মনে করিয়ে দিই—বর্তমানে মার্কেটে ভলাটিলিটি অত্যন্ত কম এবং কার্যকর কোনো সামষ্টিক প্রেক্ষাপট কার্যত অনুপস্থিত। শুধুমাত্র আজ প্রকাশিতব্য মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে পাউন্ডের মূল্যের একটি উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে। (https://ifxpr.com/4qlPH9R)

Read more: https://ifxpr.com/4qlPH9R

LIMAFX
2025-10-23, 02:36 PM
বিটকয়েনের মূল্য কি $100,000-এর নিচে নেমে যাবে?
http://forex-bangla.com/customavatars/1077031714.jpg
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, স্বল্পমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের $100,000-এর নিচে নেমে যাওয়াটা একরকম "অনিবার্য"। যদিও যৌক্তিকভাবে এটি একপ্রকার বিপরীত ধরণের পরিস্থিতি—কারণ এই দরপতন হয়তো পরবর্তী বুলিশ মুভমেন্টের আগে বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্কেটে এন্ট্রি করার শেষ সুযোগ হতে পারে। মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই, এই একই বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিটকয়েনের মূল্য $135,000-এ পৌঁছাবে এবং বছরের শেষে সম্ভবত এটির মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ $200,000-এ পৌঁছাবে। তবে বর্তমানে তারা সতর্ক করে বলছেন, সাময়িকভাবে বিটকয়েনের মূল্যের $100,000-এর নিচে নেমে যাওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়।

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের চাপ বনাম ক্রিপ্টো মার্কেট: আতঙ্ক, বাণিজ্য যুদ্ধ ও ডলার ৬ অক্টোবর বিটকয়েনের মূল্য $126,000-এ পৌঁছেছিল, এটি শুধু স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেল ছিল না; বরং এটি মার্কেটে নতুন পর্ব শুরুর ইঙ্গিত দেয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড উল্লেখ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসেট বিক্রির ধারা শুরু হয়। এই ধরনের আশংকা বিনিয়োগকারীদের মার্কিন ডলারে বিনিয়োগে বাধ্য করে — এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর জন্য বিষের মতো কাজ করে। বিটকয়েনও এর ব্যতিক্রম নয়। যেহেতু ঐতিহ্যবাহী মার্কেটে লিকুইডিটি ফেরার কোনো লক্ষণ নেই এবং আর্থিক নীতিমালা নমনীয় সকল প্রত্যাশা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে, তাই বিটকয়েন বর্তমানে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে এটিতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।

বিটকয়েনের মূল্য $100,000-এর নিচে নেমে যাবে—কিন্তু এই দরপতন খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না: বরং এটি নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিটকয়েনের সম্ভাব্য সময়িক দরপতনকে ঝুঁকি হিসেবে দেখছে না, বরং এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, আগামী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করার আগেই "মার্কেটকে দুর্বল বিনিয়োগকারীদের ঝেঁটিয়ে বের করে দিতে হবে।" যারা এই "দরপতনের" সময় বিটকয়েন কিনতে পারবে, তারা আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের শুরুতেই উপকৃত হতে পারে। ব্যাংকটি সম্ভাব্য নিম্ন লেভেল চিহ্নিত করতে তিনটি সূচকের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে: ১. স্বর্ণ ও বিটকয়েনের মধ্যে বিনিয়োগ প্রবাহ পূর্ববর্তী সপ্তাহে স্বর্ণের দরপতনের মধ্যেই বিটকয়েনের মূল্য দৈনিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদি এই বিপরীতমুখী পারস্পারিক সম্পর্ক বহাল থাকে, তাহলে এটি ঐতিহ্যবাহী নিরাপদ বিনিয়োগের খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাসেট থেকে ক্রিপ্টোর দিকে বিনিয়োগ প্রবাহ শুরু হওয়ার সংকেত দিতে পারে। ২. ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক হঠাৎ ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান ফেডারেল রিজার্ভ যদি শুধুমাত্র নিরপেক্ষ থাকার সংকেতও দেয়, তাহলে সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর জন্য ইতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা করা হবে। আর্থিক নীতিমালা কঠোর করার পদক্ষেপ স্থগিত করার যেকোনো ইঙ্গিত সরাসরি লিকুইডিটি বাড়িয়ে দেবে এবং ডিজিটাল অ্যাসেটের মূল্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ৩. টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কারেকশনের মাঝেও বিটকয়েনের মূল্য এখন পর্যন্ত ৫০-সপ্তাহের মুভিং অ্যাভারেজের (২০২৩ সালে যা ছিল প্রায় $25,000-এ) উপরে রয়েছে। এই আপট্রেন্ড লাইনটি বুলিশ মার্কেটের অন্তর্নিহিত কাঠামোগত শক্তিমত্তা নির্দেশ করে।

অপশন বনাম ফিউচার: পরিণত মার্কেটের ইঙ্গিত যখন মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডার স্বল্পমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিতর্ক করছে, বিটকয়েনের মার্কেটের কাঠামো কিন্তু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চেকঅনচেইনের তথ্য অনুযায়ী, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিটকয়েন অপশনে মোট ওপেন ইন্টারেস্ট ফিউচারের তুলনায় বেশি হয়েছে: যা যথাক্রমে $108 বিলিয়ন বনাম $68 বিলিয়ন। যেখানে আগে ট্রেডাররা উচ্চ লিভারেজসম্পন্ন ফিউচারের উপর নির্ভর করতেন, এখন তারা ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য অপশনের দিকে ঝুঁকছে। অপশন ব্যবহার করে ফোর্সড লিকুইডেশনের ঝুঁকি ছাড়াই ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা থেকে সুরক্ষিত থাকা যায় — যা প্রতিষ্ঠানিক মানসিকতা ও ঝুঁকি পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিপক্বতা নির্দেশ করে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ব্ল্যাকরকের তৈরি আইশেয়ার্স বিটকয়েন ট্রাস্ট (IBIT)-এ অপশনের সূচনা বিটকয়েনের প্রতিষ্ঠানিক রূপান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

অক্টোবর: স্বর্ণ–বিটকয়েনে সম্পর্ক ছিন্ন অক্টোবর মাসটি বেশ ব্যতিক্রমধর্মী ছিল: স্বর্ণ ও বিটকয়েনের মূল্য সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে গিয়েছে। যেখানে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে, শেখানে বিটকয়েনের মূল্য ৬% কমেছে। এতে "ডিজিটাল স্বর্ণ বনাম সত্যিকারের স্বর্ণের" দীর্ঘদিনের পারস্পারিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। আসলে, এই বিচ্যুতি দুইটি অপ্রাসঙ্গিক কারণের ফল। অক্টোবরের ২১–২২ তারিখে স্বর্ণ দরপতন মূলত মার্কেটের ওভারহিট পরিস্থিতির ফল ছিল, পক্ষান্তরে ক্রিপ্টো মার্কেট সপ্তাহখানেক আগেই কারেকশনের মাধ্যমে "পেইন পয়েন্ট" অতিক্রম করেছিল, যখন প্রায় ১৭% দরপতনের পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, আগে থেকেই বিটকয়েনের মূল্যের কারেকশন শুরু করেছিল।

বিভিন্ন ধরণের অনুঘটক, বিভিন্ন ধরণের প্রভাব স্বর্ণের মূল্য মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবিত হয়। তার বিপরীতে, বিটকয়েনের মূল্য বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ কারণ দ্বারা প্রভাবিত—যেমন লিভারেজ, ইটিএফে বিনিয়োগ প্রবাহ, এবং অন-চেইন রিডিস্ট্রিবিউশন। এই বিষয়গুলোই ক্রিপ্টো মার্কেটকে আলাদা করে তুলেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাইবিটের মতো প্ল্যাটফর্মে টোকেনাইজড গোল্ড (XAUTUSDT) ঠিকই স্পট মার্কেটের মুভমেন্ট অনুসরণ করেছে, যাতে কোনো ব্যতিক্রম বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি—এটি ট্রেডারদের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। এই ইকোসিস্টেম এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যা বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সক্ষম।

ট্রেডারদের জন্য এর মানে কী দাঁড়ায়? বিটকয়েনের মূল্য এখন টার্বুলেন্সের জোনে প্রবেশ করছে। শক্তিশালী হোল্ডাররা এখনো সক্রিয় রয়েছে, এবং প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ফিউচারের তুলনায় অপশনের দিকে ঝুঁকছেন। স্বল্পমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের আরও ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এবং বিটকয়েনের মূল্য $95,000–$97,000 রেঞ্জে আরেকবার দরপতনের শিকার হতে পারে। তবে ৬–১২ মাসের সময়কাল বিবেচনায় নিলে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং প্রতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ভিত্তিতে মনে করা যায় যে দীর্ঘমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে। (https://ifxpr.com/3Jsqo5n)

Read more: https://ifxpr.com/3Jsqo5n

LIMAFX
2025-10-24, 02:30 PM
মার্কিন ডলার চাপের সম্মুখীন হয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/62463545.jpg
২০২৫ সালে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান পদপ্রাপ্তির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার সম্প্রতি তার অবস্থানে হঠাৎ বড় রকমের পরিবর্তন এনেছেন — যা আপাতদৃষ্টিতে কারেন্সি মার্কেটে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ওয়ালার ফেডের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে মার্কিন প্রশাসনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন। বহু বিশ্লেষকের মতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিফেন মিরানের মতো চাপের মধ্যে রয়েছেন, যিনি আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমাতে জোর দিয়ে আসছেন। ফলে ওয়ালার কার্যত হোয়াইট হাউস প্রশাসনের সমর্থন পাওয়ার জন্য একটি কৌশলগত ভিত্তি গড়ে তুলছেন। তবে, এমন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। একদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রতি আনুগত্য তার কাঙ্ক্ষিত পদ লাভের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে, অন্যদিকে, হঠাৎ নীতিগত অবস্থানের পরিবর্তন তাকে ফেডের অন্যান্য সদস্য এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের আস্থার বাইরে ঠেলে দিতে পারে — যারা এতদিন তাকে একজন রক্ষণশীল এবং পূর্বাভাসযোগ্য নীতিনির্ধারক হিসেবে বিবেচনাক করে এসেছে। ফেডের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তীব্র বিতর্ক চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে এবং এই স্বাধীনতার ওপর যেকোনো রাজনীতিক চাপ জাতীয় মুদ্রার প্রতি আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং আর্থিক খাতে গুরুতর অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। একজন অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ হিসেবে ওয়ালার এই সূক্ষ্ম ভারসাম্যের বিষয়টি ভালোভাবেই বোঝেন, এবং ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে আর্থিক ব্যবস্থা বিপন্ন না করে সতর্কতার সাথে এগিয়ে চলা তার কর্তব্য। গত কয়েক মাস ধরে ওয়ালার পুনরায় সুদের হার কমানোর পক্ষে কথা বলে আসছেন, যদিও তার কয়েকজন সহকর্মী তার বক্তব্যকে সন্দেহের চোখে দেখেছেন। তবে মাত্র গত সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোই যথেষ্ট হবে। অথচ এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক ইভেন্টে ওয়ালার বলেন, "আমরা সবাই বুঝি যে, মার্কেট এবং মার্কিন জনগণের স্বার্থে একটি সুস্পষ্ট ও ধারাবাহিক নীতিমালার জন্য আমাদের নিজ নিজ অবস্থানের ব্যাপারে কিছুটা সমঝোতায় আসতে হবে।" এটা মনে করিয়ে দেয়া উচিত যে ট্রাম্প শুধু ফেডের পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়টিই পর্যালোচনা করছেন না—তিনি ফেডের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য বৃহত্তর পর্যায়ে প্রচারণাও চালাচ্ছেন। তিনি সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক প্রভাব কমিয়ে আনতে চান। সুদের হার কমানোর চাপ দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা চান ফেড নিজেদের কর্মদক্ষতা নতুন করে মূল্যায়ন করুক এবং প্রয়োজনে বড় পরিসরের কাঠামোগত সংস্কারে এগিয়ে আসুক। যেহেতু ওয়ালার জেরোম পাওয়েলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন (যার মেয়াদ ২০২৫ সালের মে মাসে শেষ হবে), তাই তার দৃষ্টিভঙ্গি এখন সর্বদিক থেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ওয়ালারের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান সুদের হার আরও কমানোর দিকেই ইঙ্গিত করে, এবং এই বিষয়ে তার প্রকাশ্য সমর্থন দেখে অনেকেই সন্দেহ করছেন যে, তিনি কৌশলগতভাবে নিজেকে চেয়ারম্যান পদের জন্য উপযুক্ত করে তুলছেন। চলতি বছর জুড়ে বেশ কিছু বিষয়ে তিনি এগিয়ে ছিলেন — যেমন ট্রাম্প কর্তৃক শুল্ক আরোপের ফলে মূল্যস্ফীতি এককালীনভাবে বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, আবার শ্রমবাজারের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করতেও তিনিই প্রথম মন্তব্য করেন। গত জুনে তিনি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার স্পষ্ট লক্ষণ দেখিয়ে প্রথম নীতিনির্ধারক হিসেবে পুনরায় সুদের হার হ্রাসের আহ্বান জানান। এমনকি জুলাই মাসের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকে যখন বেশির ভাগ সদস্য সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ছিলেন, তখন ওয়ালার ভিন্নমত পোষণ করেন। এটাই প্রথমবার নয় যে, ওয়ালার তার সহকর্মীদের সন্দেহ সত্ত্বেও নিজস্ব অবস্থান বজায় রেখেছেন। ২০২২ সালেও তাকে সমালোচিত হতে হয়েছিল, কারণ তিনি বলেছিলেন ফেড শ্রমবাজারে ব্যাপক বেকারত্ব সৃষ্টি না করেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ফেডের প্রতিনিধিদের বক্তব্য যতটা 'নমনীয়' হবে, মার্কিন ডলারের ওপর চাপও ততটাই বাড়বে।

টেকনিক্যাল পূর্বাভাস — EUR/USD বর্তমানে ইউরোর ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1620 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। মূল্য কেবল এই লেভেল ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারলেই 1.1650 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এরপর পেয়ারটির মূল্য 1.1700 এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও এটি সফলভাবে করতে হলে মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সহায়তার প্রয়োজন হবে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1725 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। যদি বড় ক্রেতারা সেখানে সক্রিয় না হন, তাহলে পরবর্তী সম্ভাব্য লং এন্ট্রির জন্য হয়ত 1.1545 লেভেল ব্রেকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বা 1.1500 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।

টেকনিক্যাল পূর্বাভাস — GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য লক্ষ্য হবে 1.3360-এ অবস্থিত রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। কেবল এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3385 এর দিকে মুভমেন্টের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে পারে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করাও বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3420 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের দরপতনের হয়, তাহলে মূল্য 1.3320 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয় এবং এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে এটি বুলিশ পজিশনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আঘাত হতে পারে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3280 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি 1.3250 পর্যন্তও দরপতন হতে পারে। (https://ifxpr.com/3J3TVlU)

Read more: https://ifxpr.com/3J3TVlU

md mehedi hasan
2025-10-26, 05:51 PM
পণ্য তৈরি করে দিন যেখানে কোন এঈই

LIMAFX
2025-10-27, 03:32 PM
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ২৭ অক্টোবর
http://forex-bangla.com/customavatars/2001958640.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার একটি মাত্র সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। আজ জার্মানিতে Ifo বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। বলা বাহুল্য যে এটি একটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, এবং গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক মৌলিক প্রভাবক কিংবা উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রায় উপেক্ষা করে চলেছে। ফলে, আজ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব অত্যন্ত দুর্বল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/268300298.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। এই সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) যেসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলোর প্রতিও ট্রেডারদের আগ্রহ খুবই কম। সব ট্রেডারদের কাছে এটি এখন স্পষ্ট যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল সুদের হার ০.২৫% কমাবে এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মুদ্রানীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না। তাই, সম্ভবত মার্কেটে এই দুটি বৈঠকের প্রভাব বেশ কম থাকবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জেরোম পাওয়েল কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি পাওয়া যেতে পারে, তবুও এখনো এটি স্পষ্ট নয় যে শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদন ঠিক কবে প্রকাশিত হবে। আজ ক্রিস্টিন লাগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না।

উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, দুটি কারেন্সি পেয়ারের ক্ষেত্রেই আবারও খুব দুর্বল এবং এলোমেলো ট্রেডিং পরিলক্ষিত হতে পারে। ইউরোর জন্য একটি উপযুক্ত ট্রেডিং এরিয়া হলো 1.1655 থেকে 1.1666 রেঞ্জ, যেখানে লং এবং শর্ট — উভয় ধরনের পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ড বর্তমানে 1.3329–1.3331 রেঞ্জের কাছাকাছি ট্রেড করছে, যা একটি ট্রেডিং রেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে, অধিকাংশ ট্রেডিং সিগন্যালের ক্ষেত্রে বর্তমানে মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারছে না, কারণ মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা মাত্রা খুবই দুর্বল রয়েছে। (https://ifxpr.com/4oIBjai)

Read more: https://ifxpr.com/4oIBjai

LIMAFX
2025-10-28, 06:51 PM
ফেডারেল রিজার্ভের অতি-নমনীয় অবস্থান নীতিনির্ধারকদের মধ্যকার বিভাজন আরও বাড়াতে পারে
http://forex-bangla.com/customavatars/2090059217.jpg
ধারণা করা হচ্ছে, দুই দিনব্যাপী নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত বৈঠক শেষে ফেডারেল রিজার্ভ টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যাতে করে দুর্বল হয়ে পড়া শ্রমবাজারকে সমর্থন দেওয়া যায়। তবে অক্টোবর পেরিয়ে মুদ্রানীতির নমনীয়করণ পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার যেকোনো প্রচেষ্টা ফেডের ভেতরে এমন কিছু কর্মকর্তার কাছ থেকে নতুন করে বাধার সম্মুখীন হতে পারে, যারা এখনো মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। গত এক মাস ধরে মার্কিন সরকারি কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ থাকায় কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি — যার ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই অনিশ্চিত ও অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একদিকে, পূর্ববর্তী কিছু সূচক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য দুর্বলতার ইঙ্গিত দেননি। অপরদিকে, কর্মসংস্থান বিষয়ক পরিসংখ্যানে স্পষ্ট স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে — যা মুদ্রানীতিতে উদ্দীপনার প্রয়োজনের ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতির চাপ তুলনামূলকভাবে মাঝারি হলেও এখনো বিদ্যমান রয়েছে, এবং অতিরিক্ত হারে সুদের হার কমালে সেই চাপ আরও বাড়তে পারে — যা মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (FOMC) অভ্যন্তরীন মতবিরোধ এই পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। যারা ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তারা মনে করেন, শ্রমবাজার সংকট মোকাবেলার ঝুঁকি ইতোমধ্যেই মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিকে ছাড়িয়ে গেছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা দেওয়া জরুরি — এমনকি তার ফলে মূল্যস্ফীতি হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে। অপরদিকে, হকিশ বা কঠোর অবস্থানে থাকা সদস্যরা মনে করেন, মূল্যস্ফীতি এখনই সবচেয়ে বড় হুমকি এবং সেটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে — এমনকি তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর বা বেকারত্ব বেড়ে গেলেও। গত শুক্রবার প্রকাশিত নতুন কনজ্যুমার প্রাইস বা ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফল অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল মুদ্রাস্ফীতি গত তিন মাসের মধ্যেই সর্বনিম্ন গতিতে বেড়েছে। এটি ফেডের জন্য সুদের হার হ্রাসের পক্ষে একটি নির্ধারণকারী উপাদান হতে পারে, যা বছরের শেষ পর্যন্ত মুদ্রানীতি নমনীয় করার ধারাকে বজায় রাখবে। চলতি বছরে নীতিনির্ধারকরা শুল্ক ও অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের প্রভাব বুঝতে অপেক্ষারত ছিলেন। গ্রীষ্মে কর্মী নিয়োগের সংখ্যা রেকর্ড পতনের পর, ফেডের কর্মকর্তারা সেপ্টেম্বরে মূল হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং বছরের শেষ নাগাদ আরও দুইবার সুদের হার কমানোর পূর্বাভাস দেন। এই মাসের শুরুতে দেওয়া এক বিবৃতিতে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল উল্লেখ করেন যে, শ্রমবাজার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে গেছে এবং আরও অবনতির ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, ফিউচার মার্কেটে এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে আগামীকাল শেষ হতে যাওয়া বৈঠকের পরে আরও একবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হার কমানোর পথে সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে ফেলেছে, এবং ডিসেম্বরেও আরেকবার সুদের হার কমানো হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্পের শুল্কনীতি এখনো প্রত্যাশিত হারে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারেনি, তবুও নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক আরোপসহ নিয়মিত নানা বিধিনিষেধের ঘোষণা উদ্বেগ তৈরি করছে যে, এসব প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। এছাড়া এমন পণ্যখাতেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেগুলো সরাসরি শুল্ক দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। ফেডের বহু কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই মন্তব্য করেছেন, মূল্যস্ফীতি গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ফেডের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করেছে এবং তারা ২০২৮ সালের আগ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখছেন না। দীর্ঘ সময় ধরে এই লক্ষ্যমাত্রার ওপরে থেকে যাওয়া মানে হলো দীর্ঘমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যহারে বেড়ে যেতে পারে — যা নীতিনির্ধারকদের জন্য প্রকৃত অর্থেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যেভাবেই হোক, ফেড কর্তৃক অত্যন্ত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের আশঙ্কাই এখন মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্রের প্রসঙ্গে বলা যায়, ক্রেতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1675 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। শুধুমাত্র এই লেভেল পুনরুদ্ধার করতে পারলেই, এই পেয়ারের মূল্যের 1.1700 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.1725-এ যেতে আরে, তবে প্রধান ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1755-এর লেভেল। অন্যদিকে, যদি ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য 1.1645-এ নেমে আসে, তাহলে আমি মূল্য এই লেভেলে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি সেখানে কেউ সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1620-এর লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে অথবা 1.1580 থেকে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ খোঁজা উচিত।

GBP/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3365 লেভেল অতিক্রম করানো উচিত। এটি করতে পারলেই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3400 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে — তবে এই লেভেল ব্রেক করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া কঠিন হতে পারে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3435-এর এরিয়ার আশেপাশের লেভেল। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে মূল্য 1.3345 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জের ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি GBP/USD পেয়ারের বুলিশ পজিশনের ওপর বড় ধাক্কা হবে এবং মূল্য কমে অন্তত 1.3320-এ চলে আসতে পারে — যারপর 1.3285 পর্যন্ত দরপতন হতে পারে। (https://ifxpr.com/47j5ugQ)

Read more: https://ifxpr.com/47j5ugQ

LIMAFX
2025-10-29, 03:23 PM
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ২৯ অক্টোবর
http://forex-bangla.com/customavatars/1485907720.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বুধবার কোনো নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। যদিও সোমবার এবং মঙ্গলবার জার্মানিতে অন্তত কিছুটা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল (যেগুলোর ফলাফল মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি), বুধবার এই ধরনের কোনো প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলো ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক, সেইসাথে জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/352246692.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজ বুধবার শুধুমাত্র একটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট রয়েছে। স্পষ্ট কারণেই বলা যায়, বর্তমানে ফেড বা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কেউই মুদ্রানীতি বা অর্থনীতির ওপর কোনো মন্তব্য বা সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না, তাই আজ শুধুমাত্র ফেডের বৈঠকের প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত হবে। ফেডারেল রিজার্ভ যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, তা অনেকাংশেই আগে থেকেই জানা — মূল সুদের হার 0.25% হ্রাস করার কথা রয়েছে। তবে, পাওয়েল আজকে সংবাদ সম্মেলনে কী বার্তা দেবেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিবেচনা করার মতো একটি বিষয় হলো, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রমের "শাটডাউন" চলছে, যার ফলে অনেক সরকারি সংস্থা বন্ধ রয়েছে। অক্টোবর মাসে শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি, যার ফলে এসব সূচকের অবস্থা এখনো শুধুমাত্র অনুমানভিত্তিক। ফেড সম্ভাব্যভাবে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মূল সুদের হার হ্রাস করতে পারে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ফেড কীভাবে মুদ্রানীতির ব্যাপারে অগ্রসর হবে সেটি বোঝা। আমাদের দৃষ্টিতে, ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কথা ছিল। তারপরেও পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে বিভিন্ন কারণে ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।

উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের এলোমেলো মুভমেন্ট বা বিশৃঙ্খল ট্রেডিং দেখা যেতে পারে। দিনের প্রথমার্ধে, একইভাবে স্বল্পমাত্রার ভোলাটিলিটি বজায় থাকতে পারে; তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভোলাটিলিটির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। ইউরো পেয়ারের জন্য ট্রেডিং রেঞ্জ হিসেবে 1.1655-1.1666 গুরুত্বপূর্ণ, যেখান থেকে শর্ট এবং লং – উভয় ধরনের পজিশন বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ড 1.3259 লেভেলের আশেপাশে ট্রেড করছে, যেখান থেকেও ট্রেড করা যেতে পারে। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ সিগন্যাল অনুযায়ী মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাচ্ছে না, কারণ মার্কেটে মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা এখনো অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। (https://ifxpr.com/4oMTbRo)

Read more: https://ifxpr.com/4oMTbRo

LIMAFX
2025-10-30, 04:32 PM
ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক: মতবিরোধপূর্ণ অবস্থান
http://forex-bangla.com/customavatars/1188676079.jpg
গতকাল মার্কিন ডলারের দঢ় ইউরো, পাউন্ড, জাপানি ইয়েন এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ হলো আজকের ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পর মার্কেটে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়তে পারে এমন আশংকা করা হচ্ছে। ট্রেডাররা এখন দুটি মূল বিষয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন: এক, মার্কিন সুদের হার 0.25% হ্রাস; দুই, ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের পক্ষ থেকে কিছু দিকনির্দেশনা—যদি তিনি সম্ভবত জটিল প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন, কারণ নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের ফলে অস্পষ্ট পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই মাসের শুরুতে পাওয়েল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC) মূলত শ্রমবাজারে সম্ভব্য ঝুঁকির বিষয়েই মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রেখেছে। তবে, গত সপ্তাহে বিলম্বে প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল এসেছে—যা স্বল্পমেয়াদে ফেডের মধ্যে হকিশ বা কঠোর অবস্থানধারী সদস্যদের ভূমিকা কমাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিনিয়োগকারীরা এখন শ্রমবাজার-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে আরও বেশি মনোযোগী হয়েছেন। যেহেতু ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তাই বর্তমান মূল্যস্ফীতির চাপ এবং ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা নিয়ে সন্তুষ্ট, তাই এখন ফেডের এজেন্ডায় আরও আগ্রাসীভাবে সুদের হার হ্রাস নিয়ে আলোচনা উঠে আসতে পারে। এর ফলে, পাওয়েল হয়তো আবারও মনোযোগ সরিয়ে কর্মসংস্থানকেন্দ রিক নীতিতে ফিরে যেতে পারেন, এবং ফেডকে নিরপেক্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেন। ফেডের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বুধবার ঘোষণা করা হবে এবং এর পরে পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এবার ফেড কমিটির পক্ষ থেকে কোনো নতুন অর্থনৈতিক পূর্বাভাস বা সুদের হারের পূর্বাভাস প্রকাশ করা হবে না। ফলে, পাওয়েলের বক্তব্যের দিকেই মনযোগ কেন্দ্রীভূত থাকবে। তার মন্তব্যই পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি নির্ধারণ করে দিতে পারে। যদি তাঁর বক্তব্যে কোনো ধরনের স্পষ্ট বা ঘোলাটে ইঙ্গিত থাকে, তাহলে মার্কেটে প্রবল ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। ট্রেডাররা সেই অনুযায়ী বিভিন্ন দৃশ্যপট বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশেষ নজর থাকবে ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং শ্রমবাজারকে সহায়তা করার কৌশলের ওপর কোনো নতুন ইঙ্গিত পাওয়া যায় কি না। ফিউচার মার্কেটের গতিপ্রবাহে দেখা যাচ্ছে যে, বিনিয়োগকারীরা আজকের বৈঠকে সুদের হার 0.25% কমানোকে প্রায় অবধারিত সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছেন। তবে এই উচ্চ সম্ভাবনা মানে এই নয় যে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ঐক্যমত রয়েছে। কমিটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, যারা শ্রমবাজারের ঝুঁকি স্বীকার করলেও, এখনো মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এছাড়া, আনুষ্ঠানিকভাবে কঠোর অবস্থানে সমাপ্তি টানা হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এমনকি, গত সেপ্টেম্বরে যেখানে নয়জন সদস্য বছর শেষে সর্বোচ্চ একবার সুদের হার কমানোর পক্ষে ছিলেন, এবারের বৈঠকে সেই বিভাজন আরও তীব্র হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, অনেকেই মনে করছেন পাওয়েল আজকের বৈঠক সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। চলমান সরকারি কার্যক্রমে শাটডাউনের কারণে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান না থাকাও তার এই সতর্ক অবস্থানকে আরও জোরালো করবে।

টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের জন্য প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1645 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এটি সম্ভব হলে পরবর্তীতে 1.1668 লেভেল টেস্ট করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1696 পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা কঠিন হতে পারে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1725 লেভেল। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তবে মূল্য 1.1621 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেখানে কেউ সক্রিয় না হলে, এই পেয়ারের মূল্য আবারও 1.1602 লেভেল টেস্ট করতে পারে বা 1.1580 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।

টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হবে 1.3270 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। এটি সম্ভব হলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3310-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে, যদিও এই লেভেল ব্রেক করাও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3340 লেভেল। অন্যদিকে, যদি পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3225 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। এই লেভেল যদি ব্রেক করা হয়, তাহলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3180-এর লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি 1.3140 পর্যন্তও দরপতনের সম্ভাবনা থাকবে।

Read more: https://ifxpr.com/4o8ETue

LIMAFX
2025-10-31, 02:56 PM
ইসিবি চলতি বছরের শেষভাগ পর্যন্ত তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে না
http://forex-bangla.com/customavatars/145167495.jpg
এর আগের দুটি বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) আজ তাদের পরপর তৃতীয় বৈঠকেও সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সদ্যপ্রাপ্ত কিছু নতুন প্রতিবেদনে বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ফ্রান্সে উদ্ভূত রাজস্ব সংকট কতখানি ক্ষতিসাধন করেছে — তা বোঝার ক্ষেত্রে আরও স্পষ্ট ধারণা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য আরও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের নীতি অবস্থানের দিকনির্দেশনা ও ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির হার এখনো ইসিবি'র ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার সামান্য ওপরে অবস্থান করছে, তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে — যা ইসিবি'র নীতিনির্ধারকদের সামনে একটি দ্বিধাগ্রস্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এছাড়া, সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের পর ফ্রান্সে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ ও ভোক্তা ব্যয়ের ওপরও প্রভাব ফেলছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে ইসিবি যেকোনো নীতিগত অবস্থানের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থানেই থাকতে পারে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, ইসিবি নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অর্থনৈতিক অবস্থা এবং মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার অপেক্ষা করবে। এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য মজুরি এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফার ক্ষেত্রেও, যা বর্তমান অর্থনৈতিক মন্থরতার প্রেক্ষিতে প্রত্যাশানুযায়ী নাও বৃদ্ধি প্রদর্শন পারে। ইসিবির পরবর্তী বৈঠকটি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং সে সময় পর্যন্ত সর্বশেষ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন সম্ভব হবে। বেশিরভাগ বিশ্লেষকদের মতে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ডিপোজিট রেট ২% স্তরেই অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, ঋণ নেয়ার ব্যয় ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই মাত্রায়ই থাকবে — যদি না ডিসেম্বরে হালনাগাদ পূর্বাভাসে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম দেখানো হয়। এখানে লক্ষ্যনীয় যে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসিবির কর্মকর্তারা প্রায় প্রতিনিয়ত প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্যকে অনুসরণ করে বলেছেন যে, বর্তমানে ইউরোজোনে বিদ্যমান মুদ্রানীতি "উপযুক্ত স্থলে" রয়েছে। তবে কিছু ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। একদিকে আগামী বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফ্রান্সে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকর্নু ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেডের চাপে আছেন, এবং জার্মানিতে একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেখানে চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ-এর দল নির্বাচনী জরিপে ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বীদে থেকে পিছিয়ে রয়েছে — এসবও ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝুঁকির সৃষ্টি করছে। আজ প্রকাশিতব্য ইউরোপীয় প্রধান অর্থনীতিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এইসব প্রভাব অর্থনীতিকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে — তা বোঝা যাবে। তবে, প্রতিবেদনের ফলাফল যদি আরও নেতিবাচকও হয়, তারপরও আগামী কয়েক মাসে ইসিবি'র পক্ষ থেকে আরেকবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলেই মনে করা হচ্ছে।

EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস বর্তমানে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1645 লেভেল স্পষ্টভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী করতে হবে। শুধুমাত্র এর ফলে 1.1668 লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1696 পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1725। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1621 পর্যন্ত নেমে যায়, তাহলে আমি বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি কেউ সেখানে সক্রিয় না হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1602 লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে, অথবা 1.1580 থেকে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেখতে হবে।

GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ড ক্রেতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3240 লেভেলে নিয়ে যাওয়া এবং এই রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা। কেবলমাত্র এই লেভেলের ওপরে উঠতেই মূল্যের 1.3270-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যাবে, যা অতিক্রম করা তুলনামূলকভাবে কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3310 এরিয়া। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে মূল্য 1.3190 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি GBP/USD পেয়ারের বুলিশ পজিশনে বড় ধাক্কা দিতে পারে এবং মূল্য কমে 1.3170-এ পৌঁছাতে পারে — যারপর দরপতনের মাত্রা আরও বিস্তৃত হয়ে মূল্য 1.3140-এর দিকেও নেমে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/4nsF2Yb)

Read more: https://ifxpr.com/4nsF2Yb

LIMAFX
2025-11-03, 04:12 PM
আজ যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৩ নভেম্বর
http://forex-bangla.com/customavatars/1311759646.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোর মধ্যে কয়েকটি বেশ উল্লেখযোগ্য। আজ জার্মানি, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে অক্টোবর মাসের উৎপাদন খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচকের (PMI) চূড়ান্ত অনুমান হিসেবে প্রকাশিত হবে। মনে করিয়ে দিই, মার্কেটে দ্বিতীয় বা চূড়ান্ত অনুমানের প্রভাব সাধারণত খুবই সীমিত থাকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ISM উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক সূচক প্রকাশিত হবে, যা একবারই প্রকাশিত হয় এবং মার্কেটে এই প্রতিবেদনের প্রভাব অনেক বেশি হয়। তাই আজকের দিনটিতে ট্রেডারদের দৃষ্টি মূলত ISM সূচকের দিকেই থাকবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/208600215.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবার অল্প কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত রয়েছে। বিশেষভাবে, আজ ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য মেরি ড্যালি এবং লিসা কুকের ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে মনে রাখতে হবে, ফেডের সর্বশেষ বৈঠক মাত্র কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই বৈঠকে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই বিস্তারিতভাবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। সংক্ষেপে বললে, বর্তমানে ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তারাই শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত সামষ্টিক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং সেই প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ করে ডিসেম্বর মাসের চূড়ান্ত নীতিগত বৈঠকে সুদের হার সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়াও, আজ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনেরও একটি ভাষণ নির্ধারিত রয়েছে। তবে ইসিবির মুদ্রানীতির ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। ইসিবি ইতোমধ্যেই মুদ্রানীতির নমনীয়করণ সম্পন্ন করেছে এবং শুধুমাত্র যদি ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে 2%-এর নিচে চলে যায় তাহলে তা পুনরায় শুরু হবে। বর্তমানে এই ধরণের কোনো সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারও অনিশ্চিত ও দিকনির্দেশনাবিহী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। আজ প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের পরিমাণ সীমিত হওয়ায় মার্কেটে ভোলাটিলিটি তুলনামূলকভাবে কম থাকতে পারে। শুক্রবার ইউরোর মূল্য 1.1527 থেকে বাউন্স করে এবং সম্ভাবত 1.1571-1.1584-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে। একইভাবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছে, যা নির্দেশ করছে এটির মূল্য 1.3203-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে যদি উভয় কারেন্সি পেয়ার আবারও এই লেভেল/এরিয়ার নিচে স্থির হয়ে যায়, তাহলে নতুন করে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে—EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1474 এবং GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে 1.3043। (https://ifxpr.com/47kvUAe)

Read more: https://ifxpr.com/47kvUAe

LIMAFX
2025-11-04, 04:24 PM
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৪ নভেম্বর:
http://forex-bangla.com/customavatars/1468686585.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, আর সোমবার প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোও মার্কেটে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি—প্রত্যাশি মুভমেন্ট তো দূরের কথা। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই এখনো "নিম্ন লেভেল" অবস্থান করছে, কিন্তু কারেকশনভিত্তিক মুভমেন্টের কাঠামোর মধ্যেও মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা চোখে পড়ছে না। তাই আজ, যখন কার্যত কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনই প্রকাশিত হবে না, তখন শক্তিশালী প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম—যদি না ডোনাল্ড ট্রাম্প আরেকটি "তথ্যবোমা" মারেন।
http://forex-bangla.com/customavatars/442492257.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলো নিয়ে মার্কেটে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সকালে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে দুটি বক্তব্য দেবেন; তবে ইসিবি মাত্র গত সপ্তাহেই একটি বৈঠক করেছে, এবং সে বৈঠকের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যেই মার্কেটে সরবরাহ করা হয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে লাগার্ডে ঠিক কী নতুন তথ্য দিতে পারেন? সর্বশেষ মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ইসিবির মুদ্রানীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি, কারণ মুদ্রাস্ফীতির হার এখনো 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার আশপাশেই রয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রার আশেপাশে মুদ্রাস্ফীতির ওঠানামার বাস্তবে প্রায় কোনো গুরুত্ব নেই। ইসিবি ইতোমধ্যেই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, নিকট ভবিষ্যতে মূল সুদের হার বাড়ানোর বা কমানোর কোনো বৈধ ভিত্তি তাদের হাতে নেই।

উপসংহার: এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারও এলোমেলো ও কম অস্থিরতার সাথে ট্রেডিং হতে পারে। 1.1527 লেভেলের কাছাকাছি ইউরোর নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়তে পারে, তবে সোমবারের মতোই অস্থিরতা কম থাকার কারণে সেসব সিগন্যাল থেকেও প্রকৃত লাভের কোনো সম্ভাবনা দেখা নাও যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে তৃতীয় বা চতুর্থবারের মতো বাউন্স করে উঠতে পারে, যার ভিত্তিতে মূল্যের 1.3203-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3JvxpCA)

Read more: https://ifxpr.com/3JvxpCA

LIMAFX
2025-11-05, 03:47 PM
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৫ নভেম্বর:
http://forex-bangla.com/customavatars/1160256092.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বুধবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, গত এক মাস ধরে ট্রেডাররা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এবং ইভেন্ট উপেক্ষা করেছে। এর একটি অন্যতম উদাহরণ হল সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ ISM উৎপাদন সূচক, যেটির ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ছিল, তবুও আমরা ডলারের কোনো দরপতন দেখতে পাইনি। আজ পরিষেবা খাতের ADP এবং ISM প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও একই রকম পরিস্থিতি দেখা পারে, যা বুধবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে, অক্টোবর মাসের পরিষেবা খাতের কার্যকলাপ সংক্রান্ত সূচকের দ্বিতীয় মূল্যায়নে প্রকাশিত হবে, তবে এগুলো একেবারেই স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার একটি মাত্র ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত আছে। শুধুমাত্র ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সারাহ ব্রিডেনই বক্তব্য রাখবেন, এবং এর বাইরে আর কিছি। তবে, কারেন্সি মার্কেটের (এবং এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটেও) সাম্প্রতিক মুভমেন্ট মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির সাথে ভালোভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বর্তমানে ট্রেডারদের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

উপসংহার: এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, দিনের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। গতকাল 1.1474-এর কাছাকাছি ইউরোর একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তাই আজ এটির মূল্য 1.1527-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে, 1.2980-1.2993 এর এরিয়া অথবা 1.3043-এর কাছাকাছি নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3LgJlJ3)

Read more: https://ifxpr.com/3LgJlJ3

LIMAFX
2025-11-06, 01:49 PM
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ৬ নভেম্বর:
http://forex-bangla.com/customavatars/715285592.jpg
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আবারও অস্বাভাবিক মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। এবার, মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল উপেক্ষা করেছে, যা আমাদের এই ধারণা পুনরায় নিশ্চিত করছে যে ডলারের বর্তমান মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা অসম্ভব রকমের অযৌক্তিক এবং এই চলমান মুভমেন্টের সাথে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোনো সম্পর্ক নেই। মনে করিয়ে দিই, সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ISM ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাকটিভিটি সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় অনেক নেতিবাচক এলেও সেটি অগ্রাহ্য করা হয়। বুধবার প্রকাশিত ISM সার্ভিস অ্যাকটিভিটি সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ইতিবাচক ছিল, সেটিও মার্কেটের ট্রেডাররা উপেক্ষা করেছে। একই সময়ে, ADP থেকে প্রকাশিত শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফলও প্রত্যাশার থেকে ইতিবাচক ছিল, তাও ট্রেডাররা আমলে নেয়নি; তবে মার্কিন অর্থনীতিতে +42,000 নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, সাধারণভাবে বলতে গেলে, "এটি গড়পরতার নিচের মান।" ফলে, পুরোপুরি টেকনিক্যাল কারণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। দৈনিক টাইমফ্রেমে 1.1400–1.1830-এর ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের দরপতন চলমান রয়েছে। এই দরপতন শীঘ্রই শেষ হতে পারে, এবং আমরা মধ্যমেয়াদে কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করে চলেছি।
http://forex-bangla.com/customavatars/868524593.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার দিনের মধ্যে একটি মাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা মূল্য 1.1474 লেভেল থেকে তিনবার বাউন্স করার ফলে গঠিত হয়েছে। এর ফলে, নতুন ট্রেডাররা মার্কিন ট্রেডিং সেশনে লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন। যেহেতু সিগন্যালটি তুলনামূলকভাবে দেরিতে গঠিত হয়, তাই ট্রেডটি পরবর্তী দিনে নিয়ে যেতে হতো। বর্তমানে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা যেতে পারে, যাতে করে মুনাফার জন্য সুস্থিরভাবে অপেক্ষা করা যায়।

বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছে, এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও মার্কিন ডলারের জন্য প্রতিকূল রয়েছে। সুতরাং, শুধুমাত্র টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে ইউরোপীয় মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা এখনও প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে। তবে আমরা এই রেঞ্জ থেকে মূল্যের বের হওয়ার অপেক্ষায় আছি এবং 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা গতকালের বাই সিগন্যাল অনুসরণ করে মূল্যের 1.1527-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা প্রত্যাশা করতে পারেন। এই লেভেল থেকে বাউন্স হলে মূল্যের 1.1474-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1527 লেভেল ব্রেক করে, তাহলে মূল্যের 1.1571-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ রেখে লং পজিশন হোল্ড করে রাখা যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোনে জার্মানির খুচরো বিক্রয় ও শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নেই, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি খুব বেশি মনযোগ দিচ্ছে না। (https://ifxpr.com/3JzUVyo)

Read more: https://ifxpr.com/3JzUVyo

LIMAFX
2025-11-06, 01:53 PM
পাউন্ডের তীব্র দরপতন হয়েছে — এবং এর পেছনে বস্তুনিষ্ঠ কারণ ছিল
http://forex-bangla.com/customavatars/1751369531.jpg
গতকাল, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে বাজেটের অংশ হিসেবে এই মাসের শেষে প্রত্যাশিত আসন্ন কর-বৃদ্ধির ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকার কঠোর কিন্তু ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেবে, তারপর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ১০০ পয়েন্টেরও বেশি কমেছে। ২৬ নভেম্বর ট্রেজারি কর্মকর্তাদের কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কয়েক ডজন সম্ভাব্য কর বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনা করার সময় এই সতর্কতা জারি করা হল। তিনি ৩৫ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন, যার মধ্যে রয়েছে দেশ ছেড়ে যাওয়া ধনী ব্রিটিশদের জন্য এক্সিট ট্যাক্স এবং প্রিমিয়াম হাউজিংয়ের উপর উচ্চতর শুল্ক আরোপ সহ সম্ভাব্য পদক্ষেপ। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক ছিল। প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে পাউন্ডের তীব্র দরপতন হয়েছিল, যা অর্থনৈতিক সম্ভাবনার অবনতি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে কর বৃদ্ধি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল করে দিতে পারে। নতুন বাজেটকে ঘিরে প্রত্যাশা ব্রিটিশ মুদ্রার উপর একটি বড় আঘাত এনেছে। বিনিয়োগকারীরা নতুন আর্থিক পদক্ষেপের জন্য অপ্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে, এগুলোকে এমন একটি কারণ হিসেবে দেখছেন যা ইতোমধ্যেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে। কিয়ার স্টারমারের প্রস্তাবনা কেবল উদ্বেগ বাড়িয়েছে, তবে উচ্চ কর আরোপের সম্ভাবনা প্রায় অনিবার্য বলে মনে হচ্ছে। স্টারমার লেবার পার্টির এমপিদের বলেছিলেন যে বাজেটটি জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ জনসাধারণের পরিষেবা সুরক্ষার মতো শ্রম মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। তিনি বলেন "এটি আমাদের জাতীয় ঋণ কমাবে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমাবে।" ইতোমধ্যে, র্যাচেল রিভস কর ব্যবস্থা বিবেচনা করার সময় ধনী ব্রিটিশদের উপর সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। তিনি বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিস কর্তৃক জারি করা উৎপাদনশীলতার পূর্বাভাসের অবনমনের সুযোগ নিতে চান, যা কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ এবং এটিকে আরও ন্যায্য করে তোলার মাধ্যমে জনসাধারণের অর্থায়নে অতিরিক্ত ২০ বিলিয়ন পাউন্ডের আঘাতের সম্মুখীন হতে পারে। ব্রেক্সিট, কোভিড-১৯ মহামারী এবং পূর্ববর্তী সরকারগুলোর অধীনে বছরের পর বছর ধরে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণকে দায়ী করে স্টারমার বলেছেন যে পরিস্থিতির যতটুকু অবনতি হয়ে তা আশঙ্কার চেয়েও খারাপ ছিল।দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এর মুখোমুখি হয়ে, আমরা আমাদের দেশকে নতুন করে এবং দীর্ঘমেয়াদীভাবে গড়ে তোলার জন্য কঠোর কিন্তু ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেব।" GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যের 1.3035-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবলমাত্র এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3065-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সুযোগ দেবে, যার উপরে আরও মূল্য বৃদ্ধি বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হল 1.3100 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.3000 লেভেলের উপর থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানের উপর একটি গুরুতর আঘাত আনবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2965-এ নেমে যেতে পারে, যার ফলে 1.2930-এর দিকে দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। (https://ifxpr.com/3LrLW2I)

Read more: https://ifxpr.com/3LrLW2I

LIMAFX
2025-11-07, 04:04 PM
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৭ নভেম্বর
http://forex-bangla.com/customavatars/2124179769.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: শুক্রবার খুব স্বল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে, কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কেবল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে। মনে রাখবেন যে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের শূন্যপদ এবং মজুরি অন্তর্ভুক্ত থাকে। তবে, টানা দ্বিতীয় মাসের মতো, চলমান "শাটডাউনের" কারণে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি, যা এখন সময়কালের দিক থেকে রেকর্ড স্থাপন করেছে। সুতরাং, মার্কিন শ্রম বাজারের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/2064063790.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু এর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের আরও বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, তবে এই দুই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাই ট্রেডাররা ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য পেয়েছে। গত সপ্তাহে কোনো নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ISM সূচক ছাড়া) প্রকাশিত না হওয়ায় এবং মার্কিন শ্রমবাজারের অবস্থা মূল্যায়ন করার সময় ADP প্রতিবেদনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া না হওয়ায়, এল্ডারসন, জেফারসন বা মিরান ট্রেডারদের মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম। সবাই নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন জন্য অপেক্ষা করছে, যেটিতে ADP-এর চেয়ে অনেক বেশি খাতের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ গত দুই দিনে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ইউরোর মূল্য 1.1527 লেভেল অতিক্রম করেছে, তাই লং পজিশন আজও প্রাসঙ্গিক রয়েছে, যেখানে মূল্যের 1.1571-1.1584-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া অতিক্রম করেছে, যার ফলে সেল সিগন্যাল গঠিত না হওয়া পর্যন্ত লং পজিশন বজায় রাখা সম্ভব, যেখানে মূল্যের 1.3203-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/4omlaHy)

Read more: https://ifxpr.com/4omlaHy

LIMAFX
2025-11-10, 06:10 PM
মার্কিন শাটডাউন নিরসনের পথে একটি সফল পদক্ষেপ
http://forex-bangla.com/customavatars/4976696.jpg
সপ্তাহান্তে, সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে মার্কিন সিনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যখন মধ্যপন্থী কিছু ডেমোক্র্যাট দলীয় অবস্থান থেকে সরে এসে এমন এক চুক্তিকে সমর্থন দিয়েছেন, যার লক্ষ্য ছিল রেকর্ড সময় ধরে চলমান সরকারি শাটডাউন শেষ করা। রোববার সন্ধ্যায়, সিনেট বিলটি এগিয়ে নেওয়ার একটি কার্যপ্রক্রিয়াগত প্রস্তাবনায় 60–40 ভোটের মাধ্যমে সমর্থন জানায়। এরপর সিনেট সোমবার পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয় এবং বিলটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এখনো ভোট নির্ধারিত হয়নি। ডেমোক্র্যাট পার্টির অভ্যন্তরীন এই বিভাজনের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে মার্কিন অর্থনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থার প্রভাব নিয়ে মধ্যপন্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। শাটডাউন বহু ফেডারেল সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বাধ্য করেছে, সরকারি কর্মীদের বেতন বিলম্বিত হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলোর কার্যকারিতা হুমকির মুখে পড়েছে—ফলে অর্থনীতিতে বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে। মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটরা এই ভোট সংকট নিরসনের লক্ষ্যে আপস করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, এমন বার্তাই প্রদান করেছে। তা সত্ত্বেও, সরকারি কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে পুনরায় চালু করার পথ এখনো অনিশ্চিত। সিনেট যেই সমঝোতা প্রস্তাব দিয়েছে, তা এখনো হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, যেখানে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এই বিস্তৃত চুক্তির বিভিন্ন ধারার বিরোধিতা করতে পারে। প্রেসিডেন্ট নিজেও এই বিল গ্রহণযোগ্য মনে না করলে ভেটো দিতে পারেন। তবুও, সিনেটে গৃহীত ভোট এটি প্রমাণ করে যে, রাজনৈতিক বিভাজনের মাঝেও কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে—যেখানে আপোষ এবং একসাথে কাজ করার সদিচ্ছা এখনো সম্ভব। গভীর রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে এই পদক্ষেপ পারস্পরিক সমঝোতা এবং সহযোগিতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে এখন দেখার বিষয় হচ্ছে উভয় দলের নেতারা দেশের স্বার্থে কোনো যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন কিনা। এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না এই শাটডাউন সংকটের কত দ্রুত সমাধান হবে। এই প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে, সিনেটের প্রতিটি সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন। যেকোনো একটি বিরোধী কণ্ঠস্বর কয়েক দিনের প্রক্রিয়াগত বিলম্ব সৃষ্টি করতে পারে। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এই বিল পাসের বিষয়টি নিশ্চিত নয়। ডেমোক্র্যাট নেতারা এমন কোনো চুক্তিকে সমর্থন করতে যাচ্ছেন না, যেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া ওবামাকেয়ার ভর্তুকিগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর কথা অন্তর্ভুক্ত নেই—যা এই বিদ্যমান বিলে নেই। অন্যদিকে, রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা একটি বিকল্প বিলের জন্য চাপ দিচ্ছেন, যার মাধ্যমে সামগ্রিক সরকারব্যবস্থার তহবিল আগামী বছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিশ্চিত করা হবে। ডেমোক্র্যাট হাউস লিডার হাকিম জেফ্রিস রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বলেন, "আমরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস রিপাবলিকান পার্টির বিলের বিরুদ্ধে লড়াই করব।" ৪০ দিনের চলমান শাটডাউন অবসানের সম্ভাব্য সমাধান ২০১৩ ও ২০১৮–২০১৯ সালের অতীত অচলাবস্থার ঘটনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়—যেখানে রাজনৈতিক সুযোগ-সন্ধানী উদ্দেশ্যে সরকারি কার্যক্রম স্থগিত করার চেষ্টাগুলো ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৮–২০১৯ সালের শাটডাউনে ট্রাম্প সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের তহবিল নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং ২০১৩ সালে রিপাবলিকানরা ওবামাকেয়ার বাতিল করার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়।

EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী—ক্রেতাদে এখন এই পেয়ারের মূল্যকে নিশ্চিতভাবে 1.1570 লেভেলে ধরে রাখতে হবে। শুধুমাত্র তারপরেই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1590-এর লেভেল পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে মূল্য 1.1610-এর দিকে যেতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহযোগিতা ছাড়া এটা করা বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1636 লেভেল। তবে যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে আমি কেবলমাত্র মূল্য 1.1545-এর আশপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় কার্যক্রমের আশা করছি। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা সক্রিয় না থাকে, তাহলে 1.1520 পর্যন্ত পুনরায় দরপতনের জন্য অপেক্ষা করা যুক্তিযুক্ত হবে কিংবা 1.1490 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

অন্যদিকে, GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3150 রেজিস্ট্যান্স লেভেল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রয়োজন। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.3180-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারবে—যার ওপরে ব্রেকআউট করা তুলনামূলকভাবে কঠিন হবে। সবচেয়ে বেশি দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে 1.3215 লেভেল। তবে যদি পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে বিক্রেতারা পুনরায় 1.3135 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে সেটি ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের উপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3095 পর্যন্ত নিম্নমুখী করতে পারে, যার পরে মূল্যের 1.3056-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3JEJzsW)

Read more: https://ifxpr.com/3JEJzsW

LIMAFX
2025-11-11, 04:27 PM
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ১১ নভেম্বর:
http://forex-bangla.com/customavatars/170558410.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: মঙ্গলবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যে আজ বেকারত্বের হার, বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যার পরিবর্তন এবং মজুরি বৃদ্ধির হার প্রকাশিত হবে। স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ৫.১% পর্যন্ত বেকারত্ব বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে, যদিও অফিসিয়াল পূর্বাভাস অনুযায়ী সেপ্টেম্বঢ়ে এই হার ৪.৯%-এ পৌঁছাতে পারে। অতএব, ব্রিটিশ পাউন্ড আজ মার্কেটের পরিস্থিতি থেকে সহায়তা পেতে কিছুটা চাপের সম্মুখীন হতে পারে, তবে আমরা এখনো মনে করি যে ট্রেডাররা মূলত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করেই চলছে। মঙ্গলবার জার্মানি এবং ইউরোজোনে ZEW ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে, যেগুলো তুলনামূলকভাবে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের নির্ধারিত একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত এক মাস ধরে লাগার্ডে গড়ে প্রতি সপ্তাহে তিনবার করে ভাষণ দিয়েছেন এবং সম্প্রতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবির) চলতি বছরের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে, ট্রেডারদের হাতে ইতোমধ্যেই সকল প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে। ইসিবি নিকট ভবিষ্যতে সুদের হার পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা করছে না এবং প্রতিষ্ঠানটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ও মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ে সন্তুষ্ট অবস্থানে রয়েছে। তাই, আমরা লাগার্ডে ভাষণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার সম্ভাবনা দেখছি না। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD ও GBP/USD— উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই উর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পর্যাপ্ত বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ইউরোর মূল্য 1.1571-1.1584 রেঞ্জ থেকে বাউন্স করেছে, তবে মূল্য আবার কিছুটা নিম্নমুখী নামলেও তা সাময়িক হতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও 1.3096-1.3107 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের 1.3203-1.3211 লেভেলের দিকে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। (https://ifxpr.com/4nRC4Nj)

Read more: https://ifxpr.com/4nRC4Nj

SUROZ Islam
2025-11-12, 06:35 PM
অবশেষে ট্রেডাররা মার্কিন শাটডাউনের প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে
http://forex-bangla.com/customavatars/322692970.jpg
কারেকশন এখন থেমে গেছে। মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও "বাই দ্য ডিপ" বা দরপতনের সময় ক্রয়ের কৌশল গ্রহণ করছে। ইতিহাস বলছে, 1981 সাল থেকে এখন পর্যন্ত, প্রতিটি মার্কিন শাটডাউন শেষ হওয়ার পরের এক মাসে গড়ে S&P 500 সূচক 2.3% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এই স্টক সূচকটি 7,000 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া বছরের শেষ প্রান্তিক সাধারণভাবে মার্কিন স্টক মার্কেটের জন্য ইতিবাচক সময় হিসেবে পরিচিত। ভেটেরান্স ডে-র পর থেকে সূচকসমূহ সাধারণভাবে গড়ে 2.3% থেকে 2.5% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে চলমান শাটডাউন শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে। ইতিহাসে এটিই দীর্ঘতম শাটডাউন হলেও এই সময়ের মধ্যেও S&P 500 সূচক 2.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস সতর্ক করেছিল যে সরকারি কার্যক্রমে এই স্থবিরতার ফলে মার্কিন জিডিপি থেকে 1.5 শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেতে পারে, তবু বিনিয়োগকারীরা এই সময়েও আশাবাদের উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। বর্তমানে মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সবচেয়ে বেশি সমর্থন জুগিয়েছে 2021 সালের শুরুর পর থেকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের প্রতিবেদনের সবচেয়ে শক্তিশালী। প্রকৃত আয়ের তথ্য বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের তুলনায় দ্বিগুণ হারে ভালো হয়েছে। একই সময়ে বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন ধীরে ধীরে এনভিডিয়ার তৃতীয় প্রান্তিকের আয়ের উপর চলে যাচ্ছে, যে প্রতিবেদনটি ১৯ নভেম্বর প্রকাশিত হবে।
এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করবে বলেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। S&P 500 সূচকের অন্তর্ভুক্ত সেক্টরগুলোর গতিশীলতা শাটডাউন শেষ হওয়া নিয়ে ছড়িয়ে পড়া জল্পনা কল্পনা স্টক মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সপ্তাহের শুরুতে, দীর্ঘমেয়াদে দরপতনের শিকার প্রযুক্তিভিত্তিক শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায়। তবে এরপর দিনই প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার আবার দরপতনের শিকার হয়, যখন স্বাস্থ্যসেবা ও জ্বালানিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর শক্তিশালীভাবে বৃদ্ধি পায়। বিনিয়োগকারীরা এখন তাদের পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যপূর্ণ করার কৌশলে মনোযোগ দিচ্ছেন। তবুও, তারা এখনও অনিশ্চিত যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-তে এই বিপুল বিনিয়োগ বাস্তবিকভাবে লাভজনক হবে কি না। এদিকে, অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল এখন মার্কেটের জন্য 'ভালো সংবাদ' হয়ে উঠছে—বিশেষ করে S&P 500 সূচকের জন্য। ADP-এর তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতে নিয়োগ কমেছে এবং বর্তমানে ব্যাপক প্রচেষ্টার মাধ্যমে শ্রমবাজারে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স আশা করছে যে অক্টোবর মাসে নন-ফার্ম পে-রোল 50,000 হারে হ্রাস পাবে, আর ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের জরিপে অংশ নেওয়া ৭১% আমেরিকান মনে করছেন যে আগামী বছর বেকারত্ব বাড়বে। ট্রেজারি বন্ডের ইয়িল্ডের গতিশীলতা ও ফেডের আর্থিক সম্প্রসারণের মাত্রা মার্কিন স্টক মার্কেটে দুর্বল পরিসংখ্যান উপেক্ষিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পর ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা দেখছেন। এর ফলে, ডেরিভেটিভ মার্কেটে ডিসেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৬৫%-এ পৌঁছেছে এবং ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড কমছে। এই পরিস্থিতি মার্কেটের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। ঋণগ্রহণে স্বল্প ব্যয় কোম্পানিগুলোর খরচ কমাবে এবং মুনাফা বাড়াবে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন অধীর আগ্রহে শাটডাউনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছে। পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসের জব ওপেনিংস প্রতিবেদন সম্ভবত ১৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে এবং ২৬ নভেম্বর মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/662637032.jpg
S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল চিত্র (দৈনিক চার্ট): S&P 500 সূচকের দৈনিক চার্ট অনুযায়ী ক্রেতারা এখন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য স্থির করেছেন। এর জন্য প্রাথমিক শর্ত হলো সূচকটির 6,855-এর ফেয়ার ভ্যালু লেভেল অতিক্রম করা। এই লেভেল ব্রেক করলে ট্রেডারদের জন্য আগেই ওপেন করা লং পজিশন আরও হোল্ড করার ক্ষেত্র তৈরি হবে এবং স্টক সূচকটি আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ পাবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/119905077.jpg
(https://ifxpr.com/4nMKPrN)
Read more: https://ifxpr.com/4nMKPrN

LIMAFX
2025-11-13, 02:41 PM
WTI-এর মূল্যের বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস। উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে তেলের দরপতন
http://forex-bangla.com/customavatars/1032690870.jpg
বুধবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুড অয়েলের তীব্র দরপতন হয়েছে, যার ফলে আগের তিন দিন যেটুকু মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল তার সবটুকুই হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন মৌলিক কারণে এটির মূল্য নভেম্বর মাসের সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাটডাউন খুব শীঘ্রই শেষ হচ্ছে—এমন প্রত্যাশা ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এই তথ্য বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে এবং মুনাফা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে মার্কিন সরকারি ঋণ নিয়ে কংগ্রেসে আলোচনা চলছে—যেখানে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস একটি আইনের ওপর ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে, যার মাধ্যমে মার্কিন সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে এবং ফেডারেল সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম আবার শুরু করতে পারবে। এই অগ্রগতি স্বল্পমেয়াদে ঝুঁকি কমিয়েছে, বিশ্ববাজারে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি করেছে এবং ডলারের মূল্য খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণত ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেলে তেলের মূল্য কমে যায়, কারণ এতে বিদেশি ক্রেতাদের জন্য এটি তুলনামূলকভাবে আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। এছাড়াও, তেলের অতিরিক্ত সরবরাহ মূল্যের পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে। ওপেকের অক্টোবর মাসের মাসিক অয়েল মার্কেট রিপোর্ট (MOMR) অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক পর্যায়ে তেলের চাহিদা প্রতিদিন 1.3 মিলিয়ন ব্যারেল (mb/d) হারে বাড়বে—এই পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মোট চাহিদা গড়ে 105.1 mb/d হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, নন-ওপেকভুক্ত দেশ যেমন—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, কানাডা এবং আর্জেন্টিনায় ২০২৬ সালে তেল উৎপাদন প্রতিদিন 0.6 মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত বাড়তে পারে। একই সময়ের মধ্যে ওপেকের সদস্য দেশগুলোর নিজস্ব তেলের চাহিদার পূর্বাভাস সামান্য হ্রাস পেয়ে ৪৩ মিলিয়ন ব্যারেল প্রতিদিন হবে, যা আগের পূর্বাভাসের চেয়ে ১ লাখ ব্যারেল কম। ট্রেডিংয়ের কার্যকর সুযোগের জন্য ট্রেডারদের যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (EIA)-এর সাপ্তাহিক তেলের মজুদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখা উচিত। ছুটির কারণে এই প্রতিবেদন বৃহস্পতিবারে প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, তেলের মজুদ ১ মিলিয়ন ব্যারেল বাড়তে পারে, যেখানে গত সপ্তাহে এটি ৫.২ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়েছিল। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, দৈনিক চার্টে অসিলেটরগুলো নেগেটিভ সিগন্যাল দিচ্ছে। যদি ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুড অয়েলের দর 58.75 লেভেলে ধরে রাখা না যায়, তাহলে দ্রুত 58.00-এর রাউন্ড ফিগারের দিকে দরপতন হতে পারে এবং নভেম্বরে নতুন সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে যেতে পারে। এরপর পরবর্তী সাপোর্ট হিসেবে 57.40 লেভেলকে বিবেচনা করা যেতে পারে, এবং সেখান থেকে মূল্য ধীরে ধীরে অক্টোবর মাসের সর্বনিম্ন লেভেল, অর্থাৎ 56.00-এর রাউন্ড লেভেলের দিকে নামতে পারে। (https://ifxpr.com/49WgWSu)

Read more: https://ifxpr.com/49WgWSu

LIMAFX
2025-11-14, 02:39 PM
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১৪ নভেম্বর:
http://forex-bangla.com/customavatars/2124752192.jpg
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3107 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, যেটিকে আমরা একটি শক্তিশালী সাপোর্ট লেভেল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম। এতে এই পেয়ারের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায় এবং মূল্য ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়, যদিও সাথে সাথেই মূল্য আবারও কিছুটা নিম্নমুখী হয়। আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী আমরা ধারণা করছি যে নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, তবে প্রায়শই যেভাবে হয়, আগামীতে মূল্য বৃদ্ধি শুরু হওয়ার আগে কিছুটা করেকশন দেখা যেতে পারে। ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য রাতেরবেলা আবার কমে গেলেও, দিনের বেশিরভাগ সময়ই এটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কি কোনো স্থানীয় কারণ ছিল? না, ছিল না। যদি গতকাল এই পেয়ারের মূল্য ১০০ পিপস হ্রাস পেত, তাহলে তা অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ও ইভেন্টের প্রেক্ষাপটে যুক্তিযুক্ত হতো। মনে করিয়ে দিই, সকালেই ৪৩ দিন স্থায়ী মার্কিন শাটডাউনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি, যুক্তরাজ্যের জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে নেতিবাচক ছিল। সুতরাং গতকাল ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না, তবুও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যেমনটি দেখতে পাচ্ছি, মার্কেটে এখনও অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, এবং আমরা ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে যুক্তিসঙ্গত, আর যেকোনো দরপতনকে এখন শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1165430715.jpg
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার অনেক কার্যকর দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.3096-1.3107 এরিয়া থেকে স্পষ্টভাবে রিবাউন্ড করে এবং সারাদিন জুড়েই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। ফলে নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করে, সন্ধ্যা নাগাদ ৮০–৯০ পিপস লাভের সাথে পজিশন ক্লোজ করতে পারতেন। 1.3203-1.3211 এরিয়া থেকেও একটি রিবাউন্ডের মাধ্যমে ট্রেড করা যেত, এবং এটি থেকেও লাভবান হওয়া সম্ভব হতো; তবে, এই সিগন্যালটি তুলনামূলকভাবে দিনের একদম শেষভাগে গঠিত হয়েছিল।

শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাই আমরা আগামি কয়েক সপ্তাহে স্থানীয় খবর বা প্রতিবেদন উপেক্ষা করে হলেও ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য বেড়ে যেতে পারে বলে আশা করছি। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পেছনে বৈশ্বিকভাবে কোনো ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশাই করছি। দৈনিক টাইমফ্রেমে যদি করেকশন/ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শেষ হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্য়ের ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবারও শুরু হতে পারে। শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3096-1.3107 এবং 1.3203-1.3211 এরিয়ায় নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে পারেন। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। শুক্রবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। ফলে আজও এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। (https://ifxpr.com/47TLVMy)

Read more: https://ifxpr.com/47TLVMy

LIMAFX
2025-11-17, 06:15 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ১৭ নভেম্বর: S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে কারেকশন শুরু হয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/2050356569.jpg
গতকাল মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে মিশ্র ফলাফলের মাধ্যমে লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক ০.০৫% হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে নাসডাক 100 সূচক ০.১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ০.৬৫% হ্রাস পেয়েছে। এশিয়ার প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর স্টকের মূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচারগুলো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের নেতৃস্থানীয় কোম্পানি এনভিডিয়া কর্পোরেশনের আয়ের ফলাফল এবং যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, যা চলতি সপ্তাহে মার্কেটের পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে। এনভিডিয়ার আর্থিক প্রতিবেদনের ফলাফল, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে আশা জাগানিয়া প্রবৃদ্ধির অনুমান নিশ্চিত বা খণ্ডন করতে পারে, কোম্পানিটির সফলতা নির্ধারণ করবে এবং সামগ্রিক প্রযুক্তি খাতের পরিস্থিতি যাচাইয়ের একটি মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আয়ের প্রবৃদ্ধি হ্রাসের যেকোনো ইঙ্গিত থাকলে, এটি বিশ্বব্যাপী স্টক মার্কেটে শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা কেবলমাত্র আর্থিক ফলাফল নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে মার্কেটের কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, প্রতিযোগিতা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে মন্তব্যগুলোর অপেক্ষাও করছেন। এর পাশাপাশি, ট্রেডাররা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, যা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেবে। মুদ্রাস্ফীতি, কর্মসংস্থান এবং ভোক্তা চাহিদা সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই প্রেক্ষাপটে S&P 500 ফিউচার ০.৪% এবং নাসডাক 100 সূচকের ফিউচার ০.৬% বৃদ্ধি পায়। যেসব কোম্পানির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোং এবং এসকে হাইনিক্স ইনকর্পোরেটেড, যেগুলো দক্ষিণ কোরিয়ায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতেও ইতিবাচক পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে, যেখানে বিটকয়েনের মূল্য ১.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং $93,000-এর আশেপাশে অবস্থিত নিম্নমুখী লেভেল থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপীয় স্টক মার্কেটের মোটামুটি ইতিবাচক পরিস্থিতির সাথে ট্রেডিং শুরু হয়েছে। ছয় প্রান্তিক পর জাপান প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক সংকোচনের মুখোমুখি হয়ে এই খবর প্রকাশের পর দেশটির স্টক সূচকসমুহ নিম্নমুখী হয়েছে, এবং একই সাথে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন বৃদ্ধির কারণে ভ্রমণ ও খুচরা খাত সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর কমে গেছে। মার্কেটের অন্যান্য খাতে, স্বর্ণের দর টানা তৃতীয় দিনের মতো নিম্নমুখী ছিল, অপরদিকে মার্কিন ডলারের দর ০.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রেজারি বন্ডের দর স্থিতিশীল ছিল কারণ বিনিয়োগকারীরা আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন—যা ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সম্পর্কিত প্রক্ষেপণ সম্পর্কে ধারণা দেবে। গত সপ্তাহে, ফেডের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানো উচিত কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বা সরাসরি এর বিপক্ষে মত দিয়েছেন। ট্রেডাররা ডিসেম্বর মাসে এক চতুর্থাংশ পয়েন্ট হারে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৫০%-এর নিচে নামিয়ে এনেছেন, কারণ ফেডের কয়েকজন প্রতিনিধির মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে নেয়া হবে এমন সম্ভাবনা নেই। S&P 500-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, আজকের জন্য ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটির $6,769 লেভেলের রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এটি সূচকটিকে আরও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং সম্ভাব্যভাবে নতুন লক্ষ্যমাত্রা $6,784 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে। একইভাবে, ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে সূচকটির দর $6,801 লেভেলের উপরে ধরে রাখা—যা ক্রেতাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পাওয়ার কারণে দরপতন হয়, তাহলে সূচকটির দর $6,756 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। স্টক সূচকটি এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সূচকটি দ্রুত $6,743 লেভেলে নেমে যেতে পারে এবং সেখানে থেকে $6,727 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে। (https://ifxpr.com/49jVyXe)

Read more: https://ifxpr.com/49jVyXe

LIMAFX
2025-11-18, 05:08 PM
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ১৮ নভেম্বর:
http://forex-bangla.com/customavatars/1541027612.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। অতএব, শুরুতেই ধরে নেওয়া যায় যে আজকের ট্রেডিংয়ে তেমন কোনো অস্থিরতা কিংবা প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাবে না। যেকোনো অবস্থাতেই, বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা বেশিরভাগ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করে চলেছে। আমাদের ধারণা, ট্রেডাররা এখনো মূলত টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই ট্রেড করছেন। ইউরো এবং ব্রিটিশ পাউন্ড—উভয় কারেন্সিই বিগত কয়েক মাস ধরে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে কারেকশনের মধ্যে রয়েছে। এখন হয়তো সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার সময় এসেছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল নির্ধারিত রয়েছে, কিন্তু উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখুন! কার্যত কোনো মুভমেন্ট নেই বললেই চলে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য একদম ফ্ল্যাট রেঞ্জের রয়েছে, এবং ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট সারাদিনে সর্বাধিক মাত্র ৪০-৫০ পিপসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বক্তব্য পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম। মনে রাখতে হবে, বর্তমান সময়ে ইসিবির কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিশেষ কোনো তাৎপর্য বহন করছে না। ইসিবি ইতোমধ্যেই তাদের মুদ্রানীতির নমনীয়করণ সম্পন্ন করেছে এবং আগামী এক বছরে সুদের হার পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব কম। মুদ্রানীতির যেকোনো রকম সংশোধনের প্রত্যাশা করতে হলে মূল্যস্ফীতির হারের বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বক্তব্য তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো নিশ্চিত নয় যে চলতি বছরের শেষ বৈঠকে তারা কী ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সম্ভবত মূল সুদের হার কমাতে পারে, এবং ফেড হয়তো বর্তমান সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর জন্য আজ 1.1571–1.1584 বেশ ভালো একটি ট্রেডিং রেঞ্জ। সোমবারের মতোই ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য যথারীতি দুটি প্রাসঙ্গিক ট্রেডিং রেঞ্জ রয়েছে: 1.3096–1.3107 এবং 1.3203–1.3211।

Read more: https://ifxpr.com/4pkuOe3

LIMAFX
2025-11-19, 05:35 PM
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ১৯ নভেম্বর:
http://forex-bangla.com/customavatars/572916840.jpg
গতকাল মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক ০.৮২% হ্রাস পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক ১.২১% হ্রাস পেয়েছে এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ১.০৭% হ্রাস পেয়েছে। এনভিডিয়া কর্পোরেশনের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশকে কেন্দ্র করে মার্কেটে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় স্টক সূচকগুলোতে ব্যাপক দরপতন হতে দেখা গেছে। প্রযুক্তিখাতে অতিমূল্যায়নের আশঙ্কায় শুরু হওয়া স্টক বিক্রির প্রবণতা ইতোমধ্যে মার্কেটে $1.6 ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা মার্কেটে স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়ার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে, যারা AI চিপ মার্কেটে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। যে কোম্পানিটির কাছ থেকে উচ্চ মাত্রার প্রত্যাশা রয়েছে, সেটি যদি প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হয় বা মার্কেটের চাহিদা পূরণ করতে না পারে, তাহলে নতুন করে স্টক মার্কেটে স্টক বিক্রির প্রবণতা শুরু হতে পারে—যার প্রভাব প্রযুক্তি খাত ছাড়িয়ে পুরো মার্কেটকেই প্রভাবিত করবে। বছরের শেষভাগে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি খাতের অতিমূল্যায়ন এবং সেটি স্টক মার্কেটের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলছে কি না—এ নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এনভিডিয়ার আর্থিক প্রতিবেদন মার্কেটের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হয়ে উঠেছে।ইতিবাচক ফলাফল কিছু সময়ের জন্য মার্কেটে আস্থা ফেরাতে পারে এবং প্রযুক্তি খাতকে স্থিতিশীল হিসেবে উপস্থাপন করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে। তবে এই ধরনের ইতিবাচক পরিস্থিতিতেও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের অনিশ্চয়তার সঙ্গে সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক থাকবে। এশিয়ার স্টক সূচকগুলো ০.২% হ্রাস পেয়েছে, যা টানা চার দিনের দরপতনের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলোতে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীলভাবে দৈনিক লেনদেন শুরু হয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটেও দরপতন অব্যাহত রয়েছে: বিটকয়েনের মূল্য এক পর্যায়ে $90,000 লেভেলের নিচে নেমে যায়, তবে এটির মূল্য দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়ে আবার এই লেভেলের উপরে উঠে আসে। চলতি মাসে S&P 500 সূচক ইতোমধ্যে ৩% এর বেশি হ্রাস পেয়েছে, এবং স্টক সূচকটির অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোলাট্যালিটির ক্ষেত্রে ওয়াল স্ট্রিটের 'ফিয়ার ইনডেক্স' হিসেবে পরিচিত CBOE ভোলাট্যালিটি ইনডেক্স বৃদ্ধি পেয়ে ২৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা ট্রেডারদের জন্য আশংকাজনক স্তর হিসেবে বিবেচিত ২০ পয়েন্টের স্তরকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—ফেডারেল রিজার্ভ কি আগামী মাসে সুদের হার কমাবে? বর্তমানে ট্রেডারদের মধ্যে সুদের হার আরও হ্রাস পাওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাস আগের চেয়ে কম। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা ৫০%-এর নিচে নেমে এসেছে বলে সোয়াপস ইঙ্গিত দিয়েছে। সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ফেডের বেশ কয়েকজন সদস্য সরাসরি সুদের হার কমানোর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। যদিও ফেডের সদস্য ক্রিস্টোফার ওয়ালার সুদের হার হ্রাসের পক্ষে তার পূর্বের অবস্থান পুনঃনিশ্চিত করেছেন। S&P 500-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের আজকের জন্য প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটিকে $6,627 লেভেলের নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করানো। এটি সূচকটিকে আরও মজবুত অবস্থানে নিয়ে আসবে এবং নতুন লক্ষ্যমাত্রা $6,638 লেভেলের দিকে যাওয়ার পথ তৈরি করবে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা হবে সূচকটিকে $6,651 লেভেলের উপর ধরে রাখা—যা ক্রেতাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পায় এবং সূচকটি আরও নিম্নমুখী হয়ে পড়ে, তবে সূচকটির দর $6,616 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করে সূচকটি নিম্নমুখী হলে, সূচকটি দ্রুত $6,603-এ নেমে যেতে পারে এবং তারপরে $6,590-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারে। (https://ifxpr.com/48091RG)

Read more: https://ifxpr.com/48091RG

LIMAFX
2025-11-20, 04:57 PM
২০ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/119888320.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বৃহস্পতিবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকলেও, আজকের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ফরেক্স মার্কেটে ব্যাপক "অস্থিরতা" সৃষ্টি করতে পারে। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বর মাসের নন-ফার্ম পেরোলস ও বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো বাস্তবিক অর্থে অনেকটাই পুরোনো, তবুও নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে মার্কেটের ট্রেডাররা এগুলোর ফলাফলের প্রতি দ্বিগুণ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি যে, ইউরো অথবা পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও, তা খুব অল্প সময়ের জন্যই স্থায়ী হচ্ছে এবং এই কারেন্সিগুলোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট স্পষ্টভাবে অনেকটাই অনিচ্ছা সত্ত্বে হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে, যখন মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তখন সেটিকে খুব শক্তিশালী বৃদ্ধি বলা না গেলেও, ইউরো অথবা পাউন্ডের তুলনায় তা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী বলে প্রতীয়মান হয়। সামগ্রিকভাবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মার্কিন ডলারকে প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছে, যদিও বাস্তবে এর জন্য খুব বেশি কারণ নেই।
http://forex-bangla.com/customavatars/1600410392.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত রয়েছে। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (FOMC) প্রতিনিধি হার্কার, গুলসবি এবং কুক বক্তব্য দেবেন। তবে আমরা ইতোমধ্যেই ১০০% নিশ্চিত যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিনির্ধারক কমিটি ডিসেম্বরে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। তবে চূড়ান্ত নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং অন্তত অক্টোবরের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর। সুতরাং, ডিসেম্বরে ফেড কী সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিয়ে এখনই পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়; ডিসেম্বরের শুরুতেই তা নিরূপণ করতে পারা যাবে। উপসংহার: চলতি সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারে যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ আজকের দিনটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী হতে চলেছে। ইউরো পেয়ারের জন্য 1.1527-1.1531 রেঞ্জ একটি চমৎকার ট্রেডিং এরিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য 1.3043 লেভেল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও দিনের প্রথমার্ধে কার্যকর টেকনিক্যাল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে, দিনের দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি এমনও হতে পারে যেখানে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণকে উপেক্ষা করে উভয় পেয়ারের মূল্য়ের সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের মুভমেন্ট শুরু হতে করে। (https://ifxpr.com/49ovYjT)

Read more: https://ifxpr.com/49ovYjT

BDFOREX TRADER
2025-11-21, 05:29 PM
২১ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
http://forex-bangla.com/customavatars/1451364990.jpg
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তবে মূল্যের ভোলাটিলিটির মাত্রা অত্যন্ত স্বল্প ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও তাতে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য কোনো মুভমেন্ট দেখা যায়নি। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.3043 থেকে 1.3107 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এখন একটি নতুন ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, যেটি ব্রেক না করা পর্যন্ত ভবিষ্যতে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা সীমিতই থাকবে। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও, গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল থেকে ফেডারেল রিজার্ভের বছরের শেষ বৈঠক বা সুদের হারের বিষয়ে কোনো দৃঢ় সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সে হিসেবে এগুলো কার্যত অর্থহীন। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বর্তমানে আবারো একটি স্থানীয় "বটমে" অবস্থান করছে এবং আবারও "এখান থেকে বৃদ্ধি পাওয়ার" চেষ্টা করবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1526982525.jpg
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল। দিনের শুরুতেই প্রথম সিগন্যালটি গঠিত হয়, যখন এই পেয়ারের মূল্য দুইবার 1.3043 লেভেল থেকে বাউন্স করে—যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে (মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কিছুটা সহায়তায়) এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং কার্যকরভাবে 1.3096-1.3107 এরিয়ার দিকে যায়। সেই মুহূর্তে লং পজিশন ক্লোজ করে মুনাফা নেওয়া যেত। 1.3096-1.3107 এরিয়াতে গঠিত সেল সিগন্যাল কাজে লাগিয়ে ট্রেড করা উচিত কি না, তা একটি উন্মুক্ত প্রশ্ন হলেও, এই ট্রেড করলেও কোনো লোকসানের সম্মুখীন হতে হতো না।

শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের আবারও একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সাম্প্রতিক সময়ে এমনকি টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকেও এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট খুব একটা যৌক্তিক নয়। আমরা আগেই বলেছি, ডলারের মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য কোনো বৈশ্বিক ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা কেবল ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতারই প্রত্যাশা করছি। তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে চলমান কারেকশন/ফ্ল্যাট মুভমেন্ট এখনো শেষ হয়নি এবং স্থানীয় মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3096-1.3107 এরিয়ার মধ্যে নতুন ট্রেডিং সিগন্যালের প্রত্যাশা করতে পারেন। যদি এই এরিয়া থেকে এই পেয়ারের মূল্য বাউন্স করে, তাহলে মূল্যের 1.3043-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্য এই এরিয়ার ওপরে কনসোলিডেট করে, তাহলে মূল্যের 1.3203-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, এবং 1.3574-1.3590। শুক্রবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বর মাসের সেবাখাত ও উৎপাদনখাত ভিত্তিক বিজনেস অ্যাক্টিভিটি সূচক প্রকাশিত হবে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যেহেতু সামগ্রিকভাবে মার্কেটে দুর্বল মাত্রার ভোলাটিলিটি বিরাজ করছে, তাই শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে হালকা মুভমেন্টেরই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, যুক্তরাজ্যে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা আস্থা সূচক প্রকাশিত হবে। (https://ifxpr.com/3LSZ7dd)

Read more: https://ifxpr.com/3LSZ7dd

LIMAFX
2025-11-24, 03:48 PM
২৪ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/2023575179.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। মূলত একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট সূচক প্রকাশিত হবে, যা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই অনুযায়ী, আজ খুব বেশি সক্রিয় বা তীব্র মুভমেন্ট না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেই কারণে, আজকের ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্তে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মনে করিয়ে দিই, বর্তমানে দৈনিক টাইমফ্রেমে ইউরোর মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জই আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। উপসংহার: সোমবার কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত আছে। আজ ইউরোজোনে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে এবং তাঁর কয়েকজন সহকর্মী ভাষণ প্রদান করবেন। তবে লক্ষ্যণীয় যে, বর্তমানে ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নিয়ে মার্কেটে কোনো বিশেষ প্রশ্ন বা অনিশ্চয়তা নেই। ইউরোজোনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ২%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে এবং আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের পদক্ষেপের প্রায় ৯৯%-ই সমাপ্ত হয়েছে। তাই বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে ইসিবির প্রেসিডেন্টের বক্তব্য খুব বেশি তাৎপর্য বহন করছে না। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব কম থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ধরণের মুভমেন্ট লক্ষ্য করা যেতে পারে। ইউরোর জন্য 1.1527-1.1531 লেভেলে একটি কার্যকর ট্রেডিং এরিয়া রয়েছে। অপরদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য ট্রেডিং এরিয়া রয়েছে 1.3096-1.3107 লেভেল, যেখানে একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জও বিদ্যমান। বর্তমানে মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা খুবই কম রয়েছে, তা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের গুরুত্ব কিংবা পরিমাণ যাই হোক না কেন—এই বিষয়টি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

Read more: https://ifxpr.com/4abrAFb

LIMAFX
2025-11-25, 04:35 PM
২৫ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/684283714.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে বর্তমানে এগুলো ট্রেডারদের মধ্যে খুব একটা আগ্রহ সৃষ্টি করছে না। মার্কেটে এখনও উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি দেখা যাচ্ছে না এবং কোনও নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মার্কিন ডলার সামান্য দুর্বল হচ্ছে, তবে এর পেছনে যথাযথ কোনো ভিত্তি নেই। যদিও মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও তাড়াহুড়া করে ডলার বিক্রি করে ফেলছে না। আজ জার্মানিতে তৃতীয় প্রান্তিকের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত জিডিপি অনুমান প্রকাশিত হবে, আর যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন, উৎপাদন মূল্য সূচক (PPI), এবং খুচরা বিক্রয়ের পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও আগ্রহজনক হলেও, ট্রেডাররা বর্তমানে অন্যান্য প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রেডাররা মূলত নজর দিচ্ছেন নন-ফার্ম পেরোল, বেকারত্বের হার এবং অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (CPI) উপর — ফলে বর্তমানে অন্যান্য প্রতিবেদন তাদের কাছে স্বল্প গুরুত্ব বহন করছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত থাকলেও, এগুলো এখনও ট্রেডারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারছে না। ইউরোজোনে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রতিনিধি চিপোলোনে এবং ডোননারি বক্তব্য রাখবেন, তবে বর্তমানে ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নিয়ে কোনো বিতর্ক বা প্রশ্ন নেই। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি মূল্যস্ফীতিকে স্থিতিশীল করতে পেরেছে এবং ইতোমধ্যে নীতিমালার নমনীয়করণের প্রায় ৯৯% সমাপ্ত হয়েছে। সুতরাং, বর্তমানে ইসিবির প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের গুরুত্ব খুবই সীমিত। মঙ্গলবার ফেডারেল রিজার্ভ বা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কোনো প্রতিনিধির বক্তব্যও নির্ধারিত নেই। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কিছুটা মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও সামষ্টিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপট আজ বেশ দুর্বল এবং মার্কেটে এমনিতেই খুব বেশি সক্রিয় ট্রেডিং দেখা যাচ্ছে না। ইউরো ট্রেডিংয়ের জন্য ভালো একটি রেঞ্জ হচ্ছে 1.1527-1.1531। ব্রিটিশ পাউন্ড 1.3096-1.3107 রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করছে এবং মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জের রয়েছে। বর্তমানে মার্কেটে ভোলাটিলিটি খুবই কম, যদিও আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন গুরুত্ব বেশ উল্লেখযোগ্য — ট্রেডিংয়ের সময় এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। (https://ifxpr.com/48yc8BQ)

Read more: https://ifxpr.com/48yc8BQ

LIMAFX
2025-11-26, 06:15 PM
আবারও চাপের মুখে মার্কিন ডলার
http://forex-bangla.com/customavatars/1614148558.jpg
গতকাল মার্কিন ডলার একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ মুদ্রার বিপরীতে তীব্রভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে, যার পেছনে অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে সরকারি কার্যক্রম শাটডাউনের পূর্ব মুহূর্তে মার্কিন ভোক্তাদের আস্থা হ্রাসের স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা ক্রমাগত নেতিবাচক হচ্ছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে খুচরা বিক্রয় মাত্র 0.2% বেড়েছে। এর চেয়েও উদ্বেগজনক তথ্য এসেছে কনফারেন্স বোর্ড থেকে—যেখানে দেখা গেছে, ভোক্তা আস্থা সূচক গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। অক্টোবরের 95.5 থেকে নভেম্বরে এটি কমে হয়েছে 88.7, যা অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি পতন এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক। এই তথ্যগুলো ট্রেডারদের মধ্যে উদ্বেগের ঢেউ সৃষ্টি করেছে। তারা আশঙ্কা করছেন যে, ভোক্তা ব্যয়ে এই মন্থরতা হয়তো বৃহত্তর অর্থনৈতিক মন্দার ইঙ্গিত বহন করছে। এই খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ডলার ইউরো এবং পাউন্ডের মতো প্রধান মুদ্রার বিপরীতে দরপতনের শিকার হয়। এতে করে ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিমালা পুনর্মূল্যায়ন করা শুরু করেছেন, এবং অনেকেই ধারণা করছেন যে অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে ফেড সুদের হার কমানোর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারে। খুচরা বিক্রয় হ্রাস ও নিম্নমুখী ভোক্তা আস্থা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। প্যান্থিয়ন ম্যাক্রোইকোনোমিক সের মতে, "গত কয়েক বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ভোক্তা ব্যয়—তাই এই সূচকের দুর্বল ফলাফল এখন বহু প্রশ্ন সৃষ্টি করছে।" ভোক্তারা দামী পণ্য কম কিনছেন এবং মূল্যছাড়ের খোঁজে রয়েছেন—এটাই বাস্তবতা বোঝাতে যথেষ্ট। ক্রেডিট সংস্থা ট্রান্সইউনিয়নের মতে, অর্ধেকেরও বেশি আমেরিকান এই ছুটির মৌসুমে অন্তত গত বছরের সমপরিমাণ খরচ করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। তবে এটি মূলত মূল্যস্ফীতির কারণে হতে পারে, কারণ কিছু কোম্পানি শুল্কের প্রভাবে ব্ল্যাক ফ্রাইডে ছাড় কমাতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে, সুদের হার কমানো হবে কি না তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এখনো মতবিভেদ রয়েছে। কারণ একদিকে তারা কর্মসংস্থান বাজারের ভবিষ্যত নিয়ে বিতর্কে ব্যস্ত, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়ে গেছে। সরকারি কার্যক্রমে শাটডাউনের কারণে তারা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নির্ধারিত বৈঠকের আগে মাসিক ভিত্তিক কর্মসংস্থান, মূল্যস্ফীতি বা ব্যয়-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পাবে না।

বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1600 লেভেলে নিয়ে আসার কৌশল সম্পর্কে ভাবতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1630-এর লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1655 পর্যন্ত বাড়তে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1675 লেভেল। যদি ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে যায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1575 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা রাখব। যদি মূল্য এই লেভেলে থাকা অবস্থায় কেউ সক্রিয় না হয়, তাহলে মূল্য 1.1550-এ নেমে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত হবে, অথবা 1.1520 থেকে নতুন লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। বর্তমানে GBP/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন 1.3211-এর নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেলটি ব্রেক করাতে হবে। কেবল এই লেভেলটি ব্রেক করলেই পাউন্ডের মূল্যের 1.3244-এর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে, যা ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়াটা অপেক্ষাকৃত কঠিন হবে। দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3275 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তবে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3180 লেভেলের নিচে নেয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা তা সফলভাবে করতে পারে, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকের ফলে সেটি ক্রেতাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3155-এ নেমে যাবে, পরে সম্ভাব্যভাবে 1.3125 লেভেলের দিকে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/48olAqg)

Read more: https://ifxpr.com/48olAqg

LIMAFX
2025-11-27, 03:35 PM
২৭ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1016065873.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বৃহস্পতিবার অত্যন্ত অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। মূলত, যদি পুরো দিনের সামষ্টিক প্রেক্ষাপটকে বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে তা শুধুমাত্র জার্মানির কনজিউমার কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ভোক্তা আস্থা সূচক পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এটি স্পষ্ট যে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে স্বল্পমাত্রার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে না। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—এই তিন অঞ্চলের ইভেন্ট ক্যালেন্ডার আজ তেমন কিছুই নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার অল্প কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রতিনিধি চিপোলোন, ডে গুইন্দোস এবং মাচাডোর বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে; তবে এটি উল্লেখযোগ্য যে, বর্তমানে ট্রেডারদের মধ্যে ইসিবির পদক্ষেপের ব্যাপারে বিশেষ কোনো প্রশ্ন বা উদ্বেগ নেই। ইসিবি ইতোমধ্যে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সফলভাবে লড়াই করেছে, তাই বর্তমানে তাদের কাছে মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার কোনো সমস্যা নয়। এ ক্ষেত্রে, ফেডারেল রিজার্ভ বা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফলে, সুদের হার বাড়ানোর বা কমানোর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বা ফেডের প্রতিনিধিদের কারো কোনো বক্তৃতা নির্ধারিত নেই। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে—অর্থাৎ বৃহস্পতিবার—উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ বর্তমানে উভয় পেয়ারের ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। ইউরোর জন্য 1.1571-1.1584 লেভেলে একটি কার্যকর ট্রেডিং এরিয়া দেখা যাচ্ছে, যেখানে গতকালই একটি বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে 1.3259 লেভেলটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গতকাল মার্কেটে অস্থিরতার পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল, এবং আমরা কেবল আশা করতে পারি যে আজ নতুন করে আরেকবার ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক ট্রেডিং শুরু হবে না। (https://ifxpr.com/4ikI5AS)

Read more: https://ifxpr.com/4ikI5AS

LIMAFX
2025-11-28, 07:02 PM
২৮ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1246918827.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এসব প্রতিবেদন জার্মানি থেকে প্রকাশিত হবে। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, জার্মানি ইউরোপীয় অর্থনীতির "ইঞ্জিন" হিসেবে পরিচিত — এমন এক "ইঞ্জিন" যেটি বিগত কয়েক বছরে থেমে গিয়েছিল। তাই জার্মানির যেকোনো মূল অর্থনৈতিক প্রতিবেদন শর্তসাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আজ দেশটিতে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো একসাথে প্রকাশিত হবে না, বরং দিনটির প্রথমার্ধজুড়ে ধাপে ধাপে প্রকাশিত হবে — যার ফলে মার্কেটে দিনের প্রথমার্ধে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। সম্প্রতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের বক্তব্যগুলোর মধ্যেও ট্রেডারদের উপর প্রভাব বিস্তার করার মতো তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ইসিবি ইতোমধ্যেই মুদ্রাস্ফীতিকে ২%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল করতে সফল হয়েছে, তাই বর্তমানে মুদ্রানীতি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নেই। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ বছর চতুর্থবারের মত মূল সুদের হার হ্রাস করতে পারে, তবে মুদ্রাস্ফীতি এখনও উচ্চ পর্যায়ে থাকায়, শিগগিরই আরও দ্রুত সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। অপরদিকে ফেডের পদক্ষেপ এখনো অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসের শ্রমবাজার, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ওপর নির্ভর করছে, যেগুলো এখনো প্রকাশিত হয়নি। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকতে পারে, কারণ উভয় পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। ইউরোর জন্য 1.1571-1.1584 এরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং এরিয়া হিসেবে অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া উচিত, যেখানে গত দুই দিনে একাধিক বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য 1.3259 একটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল এবং 1.3203-1.3211 একটি কার্যকর ট্রেডিং এরিয়া। শুক্রবার মার্কেটে আবারও সীমিত মাত্রার অস্থিরতা বজায় থাকতে পারে। (https://ifxpr.com/3XSVM0m)

Read more: https://ifxpr.com/3XSVM0m

LIMAFX
2025-12-01, 06:33 PM
ইসিবি কর্মকর্তারা উদ্বেগের কিছু দেখছেন না
http://forex-bangla.com/customavatars/1218665516.jpg
নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকর পদক্ষেপের ফলে ইউরো এখনও সৃষ্ট চাপ মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছে। আজ এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জোয়াকিম নাগেল জানিয়েছেন, তিনি ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নিয়ে সন্তুষ্ট। সোমবার সিওলে দেওয়া ভাষণে সম্প্রতি ইসিবি প্রতিনিধিদের প্রমিত অবস্থান তুলে ধরে বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, "আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে সুদের হার একটি ভাল পর্যায়ে রয়েছে। ইসিবির আর্থিক নীতিমালা বর্তমানে সামগ্রিকভাবে নিরপেক্ষ।" নাগেলের এমন এক সময় এই মন্তব্য করেছে, যখন ইউরোজোনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কিছু বিশ্লেষকের মতে, বর্তমান স্তরে সুদের হার বজায় রাখার মাধ্যমে ইসিবি ঝুঁকি নিচ্ছে—বিশেষত ঋণে ভারাক্রান্ত দেশগুলোর অর্থনীতি চাপে পড়তে পারে। তবে নাগেল জোর দিয়ে বলেন, ইসিবির প্রধান অগ্রাধিকার হল মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং বর্তমান আর্থিক নীতিমালা সেই লক্ষ্য পূরণের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রত্যাশিতভাবেই, এই অবস্থানের ফলে মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একদিকে, রক্ষণশীল বিনিয়োগকারীরা মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসিবির প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে, নমনীয় আর্থিক নীতিমালার সমর্থকরা আশঙ্কা করছেন যে এটি আরও দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে। ইসিবির নীতিনির্ধারকরা এখন বছরের শেষ বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিনিয়োগকারী ও অর্থনীতিবিদরা ব্যাপকভাবে আশা করছেন যে, টানা চতুর্থবারের মতো সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হবে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি যখন ২%-এর আশেপাশে রয়েছে এবং মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব সত্ত্বেও ইউরোজোনের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে, তখন বেশিরভাগ নীতিনির্ধারকই এই নিরপেক্ষ অবস্থানে সন্তুষ্ট। তবে এই দৃশ্যত শান্ত পরিস্থিতির আড়ালে আগামী দিনের নীতিনির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক তীব্রতর হচ্ছে। যদিও বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, উৎপাদন খাতসহ সামগ্রিক দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। গভর্নিং কাউন্সিল কয়েকজন সদস্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার লক্ষণগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণের এবং আগামী বছর নীতিমালা নমনীয় করার প্রস্তুতি রাখার পক্ষপাতী। একই সময়ে, রক্ষণশীল গোষ্ঠী আগেভাগে উদযাপন থেকে সতর্ক থাকতে বলছে। তারা জ্বালানি মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মতো বাকি থাকা ঝুঁকিগুলোর দিকে ইঙ্গিত করছে—বিশেষ করে বাণিজ্য শুল্কের প্রভাব মুদ্রাস্ফীতিকে নিরবিচারে প্রভাবিত করতে পারে। তাদের মতে, মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতার উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত—এমনকি যদি তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সীমিত পর্যায়ে মন্থরতা ডেকে আনে তা হলেও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা উৎপাদন কার্যক্রমের হ্রাস ও ভোক্তা মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিতব্য নতুন পূর্বাভাসে দেখা যেতে পারে যে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে মুদ্রাস্ফীতি ২%-এর নিচে থাকবে—যা ডিসেম্বরেই সুদের হারের সম্ভাব্য হ্রাস অথবা পরের বছরে ব্যাপক নমনীয়করণের প্রস্তাবকে জোরালো করতে পারে। নাগেল জানান এই পূর্বাভাসে "২০২৮ সালের প্রাথমিক পূর্বাভাস অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই পূর্বাভাসের ভিত্তিতে, আমরা নির্ধারণ করতে পারব যে মধ্যমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির আমাদের লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা কতটুকু বজায় রয়েছে।" ইতিপূর্বে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে গত সপ্তাহে ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড বলেছেন, ইসিবি বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে, কারণ বর্তমানে ঋণের ব্যয় উপযুক্ত স্তরে রয়েছে। EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, এখন ক্রেতাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এই পেয়ারের মূল্যের 1.1615 লেভেল ব্রেক করানো। কেবলমাত্র এই লেভেল ব্রেক করতে পারলেই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1635 লেভেলে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। সেখান থেকে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1655 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সহযোগিতা ছাড়া মূল্যের সেখানে পৌঁছানো কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1675-এর লেভেল। যদি ট্রেডিং ইনস্ট্রুমেন্টটির মূল্য কমে যায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1585 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার আশা করছি। যদি মূল্য সেখানে থাকা অবস্থায় মার্কেটে কেউ এন্ট্রি না করে, তাহলে মূল্যের 1.1560 লেভেলে পুনরায় নেমে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা, কিংবা 1.1530 থেকে লং পজিশন ওপেন করাই বুদ্ধিমানের হবে। GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের প্রাথমিক রেজিস্ট্যান্স 1.3240 ব্রেক করাতে হবে। কেবলমাত্র এতে সফল হলে তারা মূল্যকে 1.3265 এর লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যার উপরে ব্রেকআউট করা যথেষ্ট কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3300 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে মূল্য 1.3210-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। তারা যদি এতে সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জের ব্রেকআউট হলে সেটি ক্রেতাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3185-এর দিকে নেমে যেতে পারে, যেখানে সম্ভাব্য পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে মূল্য 1.3155-এর দিকে যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3Y0xsd4)

Read more: https://ifxpr.com/3Y0xsd4

LIMAFX
2025-12-02, 05:03 PM
২ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/339065784.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আজ ইউরোজোনে ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, তবে শুধুমাত্র পূর্বাভাস ও মূল ফলাফলের মধ্যে অপ্রত্যাশিত এবং বড় ধরনের কোনো বিচ্যুতির ক্ষেত্রে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে বলে ৯৯% সম্ভাবনা রয়েছে, তাই কেবলমাত্র মূল্যস্ফীতি শক্তিশালীভাবে বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলেই সুদের হার সংক্রান্ত পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করা হয়তে পারে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে আজ তেমন কিছুই নেই।
http://forex-bangla.com/customavatars/511691023.jpg
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারও খুব কম সংখ্যক ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট তালিকাভুক্ত রয়েছে। রাতের বেলায় ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের একটি বক্তব্য প্রত্যাশিত ছিল, তবে এখন পর্যন্ত তা নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি এবং মার্কেটের মুভমেন্ট থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, পাওয়েল সম্ভবত উল্লেখযোগ্য কিছু বলেননি। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, ফেডের পরবর্তী নীতিনির্ধারণী বৈঠক ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে; আর বর্তমানে মূল্যস্ফীতি, শ্রম বাজার বা বেকারত্ব সংক্রান্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নেই। ১০ ডিসেম্বরের আগে এই ধরনের প্রাসঙ্গিক কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে কি না, সেটাও অনিশ্চিত। এছাড়াও, ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য মিশেল বোম্যানের একটি বক্তব্য প্রত্যাশিত রয়েছে, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে নমনীয় আর্থিক নীতিমালার পক্ষে কথা বলেছেন। সামগ্রিকভাবে ট্রেডাররা ধরে নিচ্ছে যে, ফেড ২০২৫ সালে তৃতীয়বারের মতো সুদের হার কমাবে, তবে শ্রম বাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন ছাড়া ফেড এমন ঝুঁকি নেবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিদ্যমান থাকবে, কারণ উভয় পেয়ারের মূল্যের ক্ষেত্রেই বুলিশ প্রবণতা শুরু হয়েছে। ইউরোর জন্য একটি চমৎকার ট্রেডিং রেঞ্জ হলো 1.1571-1.1584, যেখানে সাম্প্রতিক সময়েই একাধিক বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডিং রেঞ্জ হলো 1.3203-1.3211 এবং এটির মূল্য বর্তমানে একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে। মঙ্গলবার মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে। (https://ifxpr.com/48fL22p)

Read more: https://ifxpr.com/48fL22p

LIMAFX
2025-12-03, 04:18 PM
৩ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/793207390.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: প্রথম নজরে মনে হতে পারে যে, মঙ্গলবার অনেকগুলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে বাস্তবিকপক্ষে, এগুলোর অধিকাংশই এই মুহূর্তে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বা আগ্রহজনক নয়। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, চলতি সপ্তাহেই মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM সূচক, এবং ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ফলাফল সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছে। সেক্ষেত্রে, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের পরিষেবা খাতের PMI সূচকের দ্বিতীয় আনুমানিক ফলাফলগুলো এবার মার্কেটে আদৌ কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে— এমন সম্ভাবনা খুবই কম। তাই এই প্রতিবেদনগুলোকে আত্মবিশ্বাসের সাথে উপেক্ষা করাই যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হচ্ছে। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অল্প কয়েকটি প্রতিবেদনই কিছুটা আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে— যার মধ্যে রয়েছে ADP শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ISM পরিষেবা কার্যক্রম সূচক এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন। অবশ্যই এটি উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রভাবেও মার্কেটে সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক বা অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তাই এগুলোকে একবারে উপেক্ষা করাও উচিত হবে না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার অল্প কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত আছে, তবে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। যদিও ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনের বক্তব্য মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে, তারপরও এটাও মনে রাখা দরকার যে, বর্তমানে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) আর্থিক নীতিমালা নিয়ে ট্রেডারদের মধ্যে কোনো প্রশ্ন বা সংশয় নেই। ইসিবি ইতোমধ্যে মূল সুদের হার হ্রাস করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, এবং এমনকি গতকাল মুদ্রাস্ফীতির সামান্য বৃদ্ধি পেলেও ইসিবি আবারও নীতিমালা পরিবর্তনে তাড়াহুড়ো করবে বলে মনে হচ্ছে না। অপরদিকে, ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিগণ এখন "নিরব থাকার ভূমিকা" পালন করছেন। আগামী সপ্তাহেই ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, তাই এই মুহূর্তে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্যবৃন্দ আর্থিক নীতিমালা নিয়ে কোনোরূপ মন্তব্য করার অনুমতি পাচ্ছেন না।

উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD এবং GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করতে পারে, যেহেতু দুই পেয়ারের মূল্যেরই এই মূহূর্তে একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ইউরোর জন্য 1.1655–1.1666 লেভেলে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং এরিয়া বিদ্যমান, যেখানে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বর্তমানে 1.3203–1.3211 লেভেলের মধ্যে একটি রেঞ্জে অবস্থান করছে। বুধবার মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে, তবে মার্কেটে ট্রেডিং সেশনের সময় কিছু আবেগপ্রবণ স্বল্পমেয়াদী মূল্য বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। (https://ifxpr.com/3Kl1W6z)

Read more: https://ifxpr.com/3Kl1W6z

BDFOREX TRADER
2025-12-04, 03:40 PM
৪ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/1439705082.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত নয়। যুক্তরাজ্যে নির্মাণ খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক বেকারভাতা আবেদনের পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। আমরা মনে করি, এমনকি নতুন ট্রেডাররাও বুঝতে পারছেন যে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের মার্কেটে খুব একটা শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার সম্ভাবনা নেই। এই সপ্তাহে ইতোমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ও পরিষেবা খাতভিত্তিক ISM ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচকগুলোর ফলাফল মিশ্র গতিশীলতার ইঙ্গিত দিয়েছে, অন্যদিকে নভেম্বর মাসে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ADP প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ছিল। অতএব, সম্ভাবনা রয়েছে যে, ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালে তৃতীয়বারের মতো মূল সুদের হার কমাবে। এটি মার্কিন ডলারের দরপতনের আরেকটি কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত থাকলেও, এগুলোর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। হ্যাঁ, লুইস দে গুইন্ডোস এবং ফিলিপ লেনের বক্তব্য কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে, কিন্তু মনে রাখতে হবে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে বর্তমানে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নেই, যা মার্কেটের ট্রেডারদের উদ্বিগ্ন করতে পারে। ইসিবি ইতোমধ্যেই নীতিমালা নমনীয়করণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, এবং ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও, এটি ইসিবিকে মূল সুদের হার পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে—এমন সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। ফেডের প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে, বর্তমানে তাঁরা "নীরব থাকছেন"। কারণ, ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী বৈঠক আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে, তাই এখন আর্থিক নীতিমালা নিয়ে ফেডের কোনো কর্মকর্তাই মন্তব্য করতে পারবেন না। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, দুটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ দুই ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। ইউরোর জন্য 1.1655-1.1666 একটি চমৎকার ট্রেডিং এরিয়া, অন্যদিকে ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং জোন হচ্ছে 1.3329-1.3331। যেহেতু আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, সেহেতু বৃহস্পতিবারে অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকতে পারে। (https://ifxpr.com/445ZR53)

Read more: https://ifxpr.com/445ZR53

LIMAFX
2025-12-05, 03:04 PM
৫ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
http://forex-bangla.com/customavatars/924066373.jpg
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রথম নজরে আজকের প্রতিবেদনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হতে পারে; তবে এই সপ্তাহে আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলোর প্রায় কোনোটা-ই সামগ্রিকভাবে মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারেনি। স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় থাকলেও অস্থিরতার মাত্রা কমই থেকে যাচ্ছে। তাই আজ মার্কেটে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন সম্ভাবনা খুবই কম। ইউরোজোনে তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে। এই অনুমান পূর্বের দুই অনুমানের তুলনায় খুব একটা ভিন্ন হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, এবং ইউরোকে খুব বেশি সহায়তা প্রদানও করবে না। ইউরোজোনের অর্থনীতি এখনো অত্যন্ত দুর্বল গতিতে এগিয়ে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে আজ যে প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হবে তার মধ্যে রয়েছে কোর PCE মূল্যসূচক, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা আস্থা সূচক, এবং মার্কিন ভোক্তাদের ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। প্রথম দুটি সূচককে শর্তসাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, কারণ সেগুলোর ফলাফলের মার্কেটে কিছুটা হলেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আজকের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট তালিকাভুক্ত থাকলেও সেগুলোর কোনোটি-ই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে, তবে বর্তমানে ইসিবির নীতিনির্ধারণী কাঠামো নিয়ে ট্রেডারদের কাছে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নেই। ইসিবি ইতোমধ্যেই মুদ্রানীতির নমনীয়করণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, এবং সাম্প্রতিককালে মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিও সম্ভাব্যভাবে ইসিবিকে নীতিগত সুদের হার পরিবর্তনে বাধ্য করবে না। বর্তমানে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিবৃন্দ "নীরব" রয়েছেন, কারণ আগামী সপ্তাহে ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে এই সময় ফেডের প্রতিনিধিদের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত কোনোরকম মন্তব্য করার অনুমোদন নেই। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংইয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। ইউরোর জন্য 1.1655–1.1666 একটি চমৎকার ট্রেডিং এরিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডও 1.3329–1.3331 রেঞ্জে ট্রেড করা হচ্ছে। শুক্রবার অস্থিরতার মাত্রা আবারও কম থাকতে পারে, কারণ আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। (https://ifxpr.com/48UxWru)

Read more: https://ifxpr.com/48UxWru

BDFOREX TRADER
2025-12-08, 01:14 PM
সবাই ফেডের আসন্ন বৈঠকের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে
http://forex-bangla.com/customavatars/1545190438.jpg
চলতি সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী EUR/USD পেয়ারের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে অক্টোবর মাসের JOLTS কর্মসংস্থান এবং সাপ্তাহিক বেকারভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তবে এর মানে এই নয় যে সপ্তাহটি বেশ শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করবে। বরং, মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে যাচ্ছে, কারণ সপ্তাহের মাঝামাঝি বুধবার ফেডারেল রিজার্ভের ডিসেম্বরের বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হবে। তাই পুরো সপ্তাহটিকে দুটি অংশে ভাগ করা যায়: বৈঠকের আগ মুহূর্ত এবং বৈঠকের পর। বৈঠকের আগে ট্রেডাররা এই বৈঠকের প্রত্যাশার দিকে মনোযোগ দেবে, এবং পরবর্তীতে প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া জানাবে । অন্যান্য সকল মৌলিক অনুঘটক কিছুটা অন্তরালে থাকবে। আগেও উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে প্রায় সকলেই নিশ্চিত যে ফেড এই মাসে ফেডারেল সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে। CME ফেডওয়াচের তথ্য অনুসারে, এই সম্ভাবনার হার বর্তমানে ৮৬.২%-এ দাঁড়িয়েছে। ফেডের বোর্ডের সদস্য ক্রিস্টোফার ওয়ালার, স্টিফেন মিরান, মিশেল বোম্যান, নিউ ইয়র্ক ফেড প্রেসিডেন্ট জন উইলিয়ামস এবং সান ফ্রান্সিসকো ফেড প্রেসিডেন্ট মেরি ডেইলির মতো বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি সুদের হার কমানোর পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন, যা বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক দ্বারা সমর্থিত—যেগুলো নিয়ে নিচে বিশ্লেষণ করা হবে। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, সুদের হার হ্রাসের সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মত হবে না। গত দুই থেকে তিন সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি—যেমন সুসান কলিন্স, লরি লোগান, বেথ হ্যাম্যাক এবং জেফ শমিড—আরও সতর্ক অবস্থানের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং বলেছেন সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা উচিত। তাঁদের যুক্তি, মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি এবং সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের কিছু ইতিবাচক উপাদান সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বর্তমানে অনেকটাই নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং এ বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন। আমার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, ডিসেম্বরের বৈঠকের মূল রহস্য ফেডের মুদ্রানীতির ভবিষ্যৎ নমনীয়করণের গতিপথে লুকিয়ে আছে। বৈঠকের তাৎক্ষণিক নির্দেশনা প্রায় পূর্বনির্ধারিত। যেমন, রয়টার্স পরিচালিত এক জরিপে অংশ নেওয়া ১০৮ জন অর্থনীতিবিদের মধ্যে ৮৯ জন মনে করেন যে ডিসেম্বর মাসেই ফেড সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে। তবে তাঁদের মধ্যে মাত্র ৫০ জন মনে করছেন যে ফেড আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকেই আরেকবার সুদের হার কমাতে পারে। CME ফেডওয়াচের তথ্য অনুসারে, যদি ডিসেম্বরেই একবার সুদের হার কমানো হয়, তাহলে জানুয়ারিতে সুদের হার আরও একবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর সম্ভাবনা দাঁড়ায় মাত্র ২৫%। সেক্ষেত্রে মার্চে সুদের হার হ্রাসের ৪০% সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, যদি ডিসেম্বরের বৈঠকের ফলাফল প্রকাশের পর পরবর্তী কোনো বৈঠকে ফেড সুদের হার আরও কমানোর ইঙ্গিত দেয়, তাহলে ডলারের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হতে পারে, কারণ এখন পর্যন্ত ট্রেডাররা ধারণা করছে যে ফেড ডিসেম্বরে সুদের হার কমালেও তা থেকে "ডোভিশ বা নমনীয়" নীতিমালা প্রণয়নের খুব বেশি ইঙ্গিত পাওয়া যাবে না।

বর্তমান চিত্র অনুযায়ী, ফেডের ডিসেম্বরের বৈঠকের ফলাফল মার্কেটে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা সৃষ্টি করবে — তবে তা ডলারের পক্ষে যাবে না বিপক্ষে, সেটিই এখনো অনিশ্চিত। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, H4 টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্য বলিঙ্গার ব্যান্ডের মধ্যম ও নিম্ন লাইনের মধ্যবর্তী অঞ্চলে, কুমো ক্লাউডের ওপরে, এবং টেনকান-সেন ও কিজুন-সেন লাইনের মাঝখানে অবস্থান করছে। D1 টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের বলিঙ্গার ব্যান্ডের মধ্যম ও উপরের লাইনের মাঝামাঝি, টেনকান এবং কিজুন লাইনের ওপরে, তবে কুমো ক্লাউডের ভেতরে অবস্থান করছে। লং পজিশন ওপেন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে D1 টাইমফ্রেমে ক্রেতাদের EUR/USD-এর মূল্যের বলিঙ্গার ব্যান্ডের মধ্যম লাইন 1.1650-এর ওপরে ব্রেক করানো প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য H4-এ বলিঙ্গার ব্যান্ডের মধ্যম ও উপরের লাইনের মাঝখানে, এবং সকল ইচিমোকু লাইনের ওপরে পৌঁছে যাবে — যেটি "প্যারেড অব লাইন্স" পাট্যার্নের মাধ্যমে বুলিশ প্রবণতা গঠনের ইঙ্গিত দেবে। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1690 (H4-এ বলিঙ্গার ব্যান্ডের উপরের লাইন) এবং 1.1730 (D1-এ কুমো ক্লাউডের উপরের সীমা)। (https://ifxpr.com/4a33SuU)

Read more: https://ifxpr.com/4a33SuU

SaifulRahman
2025-12-09, 04:26 PM
রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার ডিসেম্বর বৈঠকের প্রাক-পর্যালোচনা

চলতি বছর রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার চূড়ান্ত বৈঠকটি মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত৬ হবে। এই বৈঠকের সম্ভাব্য ফলাফল ইতিমধ্যেই মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করেছে। সম্প্রতি শ্রমবাজার এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখন এটি মোটামুটি নিশ্চিত যে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রাখবে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত জিডিপি ও বাণিজ্য ঘাটতির প্রতিবেদনগুলোও এই ধারণা নিশ্চিত করেছে। তবে এর মানে এই নয় যে ডিসেম্বরে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার অনুষ্ঠেয় বৈঠক "আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।" ট্রেডাররা রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আগ্রহী থাকবেন। পূর্বে মার্কেটে দুটি মূল সম্ভাবনার কথাই বিবেচনা করা হচ্ছিল—সুদের হার হ্রাস বা বর্তমান সুদের হার বহাল রাখা। তবে এখন কিছু বিশেষজ্ঞ তৃতীয় একটি সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না, যা এর আগে খুব অল্পই সম্ভবপর বলে মনে হচ্ছিল: সেটি হচ্ছে সুদের হার বৃদ্ধি। নভেম্বরের শেষদিকে অক্টোবর মাসের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই আগামী বছরে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে মুদ্রানীতি কঠোর করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রতিবেদন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস সিদ্ধান্ত নেয় যে তাঁরা এখন থেকে ত্রৈমাসিকের বদলে মাসিক ভিত্তিতে অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশ করবে। উক্ত প্রতিবেদনের ফলাফল অনুযায়ী, বার্ষিক ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ার ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যেখানে বেশিরভাগ বিশ্লেষক সূচকটি ৩.৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে প্রত্যাশা করেছিল। এছাড়াও, সামগ্রিকভাবে শুধুমাত্র জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়নি —বরং আবাসন (৫.৯%), খাদ্য ও অ্যালকোহলবিহীন পানীয় (৩.২%), এবং বিনোদন ও সংস্কৃতি (৩.২%) খাত থেকেও বড় ধরনের প্রভাব এসেছে। ট্রিমড মিন সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৩ শতাংশে, যা ৩ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার উপরে অবস্থান করছে। এই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার গভর্নর মিশেল বুলক স্বীকার করেছেন যে, মূল্যস্ফীতি এবারও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা (২-৩ শতাংশ) ছাড়িয়ে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। এর পরেই মার্কেটে আলোচনা শুরু হয়—যদি মূল্যস্ফীতি হ্রাস না পায়, তাহলে আগামী বছরে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অতএব, ডিসেম্বরের বৈঠকের পর রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া হয়তো তাদের অবস্থান কিছুটা কঠোর করতে পারে এবং ঘোষণা দিতে পারে যে, আলোচিত বিভিন্ন নীতির মধ্যে কঠোর মুদ্রানীতির বিকল্পটি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল, "তবে আপাতত বর্তমান নীতিমালা বজায় রাখা যুক্তিযুক্ত হবে"। এ ধরনের 'হকিশ বা কঠোর' (মার্কেটের ট্রেডারদের ভাষায়) অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত অস্ট্রেলিয়ান ডলারের জন্য সহায়ক হতে পারে। রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া এই ধরনের রণকৌশল গ্রহণ করতে পারে তা অনুমান করা যায় মূলত কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বল্পমেয়াদী অর্থনৈতিক সূচকের প্রেক্ষিতে। কেবল ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI নয়—অস্ট্রেলিয়া শ্রম বাজারেও চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অক্টোবর মাসে দেশটির বেকারত্বের হার কমে ৪.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে পূর্বানুমান ছিল ৪.৪ শতাংশ। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৪২,০০০—যেখানে পূর্বানুমান ছিল মাত্র ২০,০০০ বৃদ্ধির। টানা দুই মাস ধরে এই সূচক বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা এপ্রিলের পর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, এই বৃদ্ধি হয়েছে মূলত পূর্ণকালীন চাকরির কারণে; খণ্ডকালীন কর্মসংস্থানে এখনও নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে (+৫৫.৩/−১৩.১ হাজার)। অস্ট্রেলিয়ার জিডিপি তৃতীয় প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের তুলনায় ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে এটি ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, দ্বিতীয়তে ০.৬ শতাংশ এবং তৃতীয় প্রান্তিকে আবার ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বার্ষিক ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি ২.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছিল, যেখানে আগের প্রান্তিকে তা ছিল ১.৮ শতাংশ। এটি গত দুই বছরে সর্বোচ্চ। উপরন্তু, এই প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতার ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে কারণ পরপর চতুর্থ প্রান্তিকে এই সূচকে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়ে AUD ৪.৩৮৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে, যেখানে আগের মাসে তা ছিল AUD ৩.৯৩৮ বিলিয়ন। ব্যবসায়িক খাতে ক্রেডিটের পরিমাণ মাসিকভিত্তিতে ০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে (পূর্বাভাস ছিল ০.৬ শতাংশ)। বার্ষিক ভিত্তিতে এটি বৃদ্ধি পেয়েছে ৭.৩ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৭.২ শতাংশ। অর্থাৎ, ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিতভাবেই সব ধরনের নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখবে এবং 'অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের' অবস্থান গ্রহণ করবে। তবে গভর্নর বুলকের পূর্ববর্তী মন্তব্য বিবেচনায়, রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে আরও আক্রমণাত্মক অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ধারণাগতভাবে, ২০২৪ সালে সুদের হার বৃদ্ধি করা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ান ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা পেতে পারে, কারণ মার্কেটে বর্তমানে এমন পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হয়নি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1858571545.jpg
AUD/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ দৈনিক টাইমফ্রেমে AUD/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে 0.6650-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পৌঁছেছে, যা বোলিঙ্গার ব্যান্ডস ইন্ডিকেটরের আপার ব্যান্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই পেয়ারের মূল্য এখনো ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের সব লাইনের উপরে অবস্থান করছে এবং সেখানে একটি বুলিশ "প্যারেড অফ লাইন্স" সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। একই রকম প্যাটার্ন W1 টাইমফ্রেমেও গঠিত হয়েছে। এই টেকনিক্যাল কাঠামো কারেকশনের অংশ হিসেবে পুলব্যাক চলাকালীন সময়ে মার্কেটে লং পজিশনে এন্ট্রির সুযোগ প্রদান করছে। এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হলো 0.6650। যদি ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে এই লেভেলটি অতিক্রম করাতে সক্ষম হয়, তাহলে পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 0.6710, যা সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত বার্ষিক সর্বোচ্চ লেভেল।সাপোর্ট এরিয়ায় সংশ্লিষ্ট সিগন্যাল গঠিত হলে লং পজিশন নেওয়া যেতে পারে। শর্ট পজিশনের সম্ভাবনা সীমিত থাকবে এবং তা কেবল রেজিস্ট্যান্স এরিয়ায় রিভার্সাল সিগন্যাল গঠনের পর কার্যকর হতে পারে।

Read more: https://ifxpr.com/4iU1vNq

LIMAFX
2025-12-10, 04:16 PM
ফেডের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়: সম্ভাব্য প্রধান দুটি দৃশ্যপট
http://forex-bangla.com/customavatars/1124036340.jpg
বুধবারের বৈঠকে ফেড যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা আগামী কয়েক সপ্তাহ (বা এমনকি মাস) জুড়ে মার্কিন ডলারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণ করতে পারে। ডিসেম্বরের বৈঠকটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অভ্যন্তরীণ বিভেদের মধ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের গতি নির্ধারণে সুস্পষ্ট একটি অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। প্রথমত, এটি লক্ষ্যণীয় যে ডিসেম্বর বৈঠকের আনুষ্ঠানিক ফলাফল কার্যত পূর্বনির্ধারিত। CME ফেডওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর সম্ভাবনা ৯০%। ফলে, এ নিয়ে মার্কেটে খুব বেশি সংশয় নেই। উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তা কারও জন্য বিস্ময়কর হবে না—ট্রেডারদের মনোযোগ থাকবে ফেডের বিবৃতি ও ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের উপর। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভবিষ্যতে কতটা আক্রমণাত্মকভাবে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা হবে তা নিয়ে ফেডের সদস্যবৃন্দ এখনো কোনো ঐকমত্য পৌঁছাতে পারেনি। রয়টার্সের জরিপে অংশ নেওয়া ১০৯ জন অর্থনীতিবিদের মধ্যে ৮৯ জনই আশা করছেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিসেম্বরের বৈঠকে সুদের হার ২৫ পয়েন্ট কমাবে। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫০ জন ২০২৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে আরও একবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করছেন। CME ফেডওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সুদের হার কমার সম্ভাবনা ২৩%, আর মার্চে তা ৩৭%। অর্থাৎ, ট্রেডাররা ডিসেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা স্বীকার করছে কিন্তু ভবিষ্যতে আরও নমনীয়করণের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয়ে আছে—অন্তত আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ডিসেম্বরের বৈঠকে সম্ভাব্য দুটি দৃশ্যপটের মধ্যে যেকোনো একটি দেখা যেতে পারে: হয় ফেড ট্রেডাররা প্রত্যাশা নিশ্চিত করবে এবং 'অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণ'-ভিত্তিক অবস্থান গ্রহণের ঘোষণা দেবে, অথবা ফেড ভবিষ্যতের কোনো বৈঠকে সুদের হার আরও কমানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখে চমক সৃষ্টি করবে। এটি লক্ষ্যণীয় যে ফেডের সদস্যদের মধ্যে "ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানধারী" এবং অপেক্ষাকৃত বেশি সতর্ক অবস্থানধারী—দুই পক্ষই তাদের অবস্থান সমর্থনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তাঁদের যুক্তি পেশ করতে পারে। ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানধারীদের পক্ষের যুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে ISM উৎপাদন সূচকের ফলাফল, যা ৪৮.২-তে নেমে গেছে; খুচরা বিক্রি মাত্র ০.২% বৃদ্ধি পেয়েছে (যা মে মাসের পর সর্বনিম্ন); ভোক্তা আস্থা সূচক নেমেছে ৮৮.৭-তে, যা কয়েক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন; এবং শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল, যেখানে মার্কিন বেকারত্ব বেড়ে ৪.৪%-এ দাঁড়িয়েছে (যা অক্টোবর ২০২১ সালের পর সর্বোচ্চ)। এছাড়াও, রিচমন্ড ফেডের উৎপাদন সূচক হ্রাস পেয়ে -১৫ হয়েছে (যেখানে পূর্বাভাস ছিল -৫), এবং টেকসই পণ্যের অর্ডার মাত্র ০.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে আগের মাসে তা ২.৫% বৃদ্ধি পেয়েছিল। হকিশ বা কঠোর অবস্থানধারীদের যুক্তি হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি। যদিও এটি শক্তিশালী যুক্তি নাও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি তুলনামূলকভাবে উচ্চ হলেও, মূল সূচকগুলো হয় ধীরে ধীরে এগোচ্ছে না হয় স্থবির রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত সর্বশেষ ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI প্রতিবেদনে দেখা গেছে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ৩.০%-এ (পূর্বাভাস ছিল ৩.১%) পৌঁছেছে এবং মূল মুদ্রাস্ফীতি কমে ৩.০% হয়েছে (আগস্টে ছিল ৩.১%)। মোট উৎপাদক মূল্য সূচক বা PPI বার্ষিক ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ২.৭%-এ (আগস্টে ২.৬% ছিল) পৌঁছেছে, যখন খাদ্য ও জ্বালানি বাদে মূল উৎপাদক মূল্য সূচক বা PPI বেড়ে ২.৯%-এ পৌঁছেছে (পূর্বাভাস ছিল ২.৮% – এটি প্রতিবেদনটির একমাত্র ইতিবাচক ফলাফল)। ISM পরিষেবা কার্যক্রম সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বেড়ে ৫২.৬-এ (পূর্বাভাস ছিল ৫২.০) দাঁড়িয়েছে। এই সূচকটি টানা দুই মাস বেড়েছে। তবে এক্ষেত্রেও সবকিছু এত "সহজ" নয়। উদাহরণস্বরূপ, এই খাতে কর্মসংস্থানের হার এখনো কম রয়েছে (৪৮.৯), অর্থাৎ পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থানের উন্নতি দ্বারা সমর্থন পায়নি। তাছাড়া, নভেম্বর মাসে এই খাতে নতুন অর্ডার ৫৬.২ থেকে কমে ৫২.৯-এ নেমে এসেছে। হকিশ বা কঠোর অবস্থানধারীদের পক্ষে আরেকটি যুক্তি হলো ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে প্রকাশিত ভোক্তা মনোভাব সূচক। এই মাসে এটি বেড়ে ৫৩.০ হয়েছে, যেখানে পূর্বাভাস ছিল ৫২.০। এই সূচকটি গত চার মাসের ধারাবাহিক পতনের পর প্রথমবারের মতো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। প্রথমদিকে এটি বেশ "স্পষ্ট" ফলাফলের ইঙ্গিত দিলেও, সূচকটি এখনও ঐতিহাসিক মানদণ্ড অনুযায়ী নিম্নস্তরে রয়েছে—গত বছর ডিসেম্বরে এটি ৭৪.০ ছিল। উপরন্তু, এই সূচকের কিছু উপাদান যেমন বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন সূচক ডিসেম্বরে কমে ৫০.৭ হয়েছে, যেখানে এটি পূর্বে ৫১.১ ছিল। এই কারণে, আমার মতে, ডিসেম্বরের বৈঠকে ফেড "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান গ্রহণ করতে পারে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি পরবর্তীতে সুদের হার কমানোর ঘোষণা নাও দিতে পারে, তবে তারা মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করে শ্রমবাজার পরিস্থিতির দুর্বলতা ও অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের ওপর জোর দিতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা বজায় রয়েছে। আজ পর্যন্ত শুধু নিশ্চিতভাবে জানা গেছে যে, ১২ জন ভোটাধিকার প্রাপ্ত সদস্যের মধ্যে ৫ জন বাড়তি সুদের হার কমানোর বিরোধিতা করেছেন। চার জন — বোর্ড অব গভর্নরসের মিরান, ওয়ালার, বোম্যান এবং নিউইয়র্ক ফেড প্রেসিডেন্ট উইলিয়ামস — সরাসরি নমনীয় মুদ্রানীতির পক্ষে মত দিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, এই "ডোভিশ" অবস্থানধারীরা কি তাদের মতামত মধ্যপন্থীদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবেন? এটি এখনো উন্মুক্ত একটি প্রশ্ন। (https://ifxpr.com/44lPtX0)

Read more: https://ifxpr.com/44lPtX0