PDA

View Full Version : Eur/usd পেয়ারের ডেইলী আপডেট/ট্রেডিং সিগন্যাল, ২০২৫



Rakib Hashan
2025-01-02, 04:06 PM
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ, ২ জানুয়ারি:
ইউরোর দরপতন হয়েছে, কিন্তু মূল্য রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে
http://forex-bangla.com/customavatars/565252498.jpg
সোমবার এবং মঙ্গলবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। যদিও গত দুই দিনের ট্রেডিংয়ে ইউরো প্রায় 100 পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে, তবে এটির মূল্য এখনও 1.0340 থেকে 1.0450 এর সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। গত দুই দিনে, ইউরোর মূল্য এই রেঞ্জের উপরের সীমানা থেকে নিম্ন সীমানায় নেমে এসেছে। মূল্য নিম্ন সীমানা থেকে ফিরে উপরের সীমানায় উঠতে পারে। তবে, মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অক্ষুণ্ন রয়েছে, এবং এটি কেবল সময়ের ব্যাপার যে মূল্য 1.0340 লেভেলটি ব্রেক করে আরও নিচে 1.0000 এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেতে পারে। বছরের শেষের দিকে নববর্ষের পূর্বে মার্কেটের ট্রেডাররা ইউরোর বিক্রি চালিয়ে যাওয়ায় সেটি অনেক কিছু স্পষ্ট করে দেয়। শেষ দুই দিনের ট্রেডিংয়ে ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি বা কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তাই বিশ্লেষণ করার মতো তেমন কিছু নেই। মঙ্গলবার, একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনে, মূল্য একটি ক্রিটিক্যাল লাইনের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। তবে, মার্কিন সেশনের শুরুতে মূল্য এই লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে এবং নিম্নমুখী হতে শুরু করে। দিনের শেষে, মূল্য 1.0340–1.0366 রেঞ্জে পৌঁছে, যেখানে মুনাফা নিশ্চিত করা যেতে পারত। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/397058)

SumonIslam
2025-01-03, 04:29 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1691461340.jpg
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার তীব্র দরপতনের সম্মুখীন হয়, নতুন বছরের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে ২ জানুয়ারিতে এই দরপতনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে কোন কারণ ছিল না। তবে, 2024 সালের পুরো সময়জুড়ে মৌলিক প্রেক্ষাপট ইউরো এবং পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দরপতনের ইঙ্গিত দিয়েছে, যা আমরা একাধিকবার উল্লেখ করেছি। নতুন বছর শুরু হওয়ার সাথে সাথে আমরা একটি পরিচিত প্রবণতা লক্ষ্য করছি: ইউরোর মূল্য কমছে, ডলারের মূল্য বাড়ছে, এবং এই ধরনের মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বৃহস্পতিবার জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুফ্যাকচারিং PMI-র দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হয়েছিল। তবে, এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে ইউরোর তীব্র দরপতন ঘটেনি; এগুলোর ফলাফল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল না, এবং দ্বিতীয় অনুমানগুলো সাধারণত প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ। বরং, আমরা 2024 সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া প্রবণতার ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করছি। ছুটির মৌসুমে মার্কেটে বিরতি নেয়া হয়েছিল এবং এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি হরাইজন্টাল চ্যানেলে ছিল। এখন, সেই নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হয়েছে। EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/397143)

SUROZ Islam
2025-01-06, 04:46 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1925543174.jpg
গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে ৮২ পিপস, যা "মাঝারি" হিসেবে বিবেচিত হয়। সোমবার আমরা আশা করছি যে এই পেয়ার 1.0227 থেকে 1.0391 এর মধ্যে ট্রেড করবে। আপার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করছে, যা বৈশ্বিক পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতাকে নির্দেশ করে। পাশাপাশি, CCI সূচকটি আবারও ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে এবং একটি নতুন বুলিশ ডাইভারজেন্স তৈরি করেছে। তবে, এই সিগন্যাল সর্বোচ্চ একটি সম্ভাব্য কারেকশনের ইঙ্গিত দেয়।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.0254 S2 – 1.0132 S3 – 1.0010
নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.0376 R2 – 1.0498 R3 – 1.0620
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, আমরা নিয়মিতভাবে মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতনের প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করেছি এবং সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছি, যা এখনো শেষ হতে অনেক দেরি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা মার্কেটে ইতোমধ্যেই মূল্যায়িত হয়েছে যার ফলে মধ্যমেয়াদে ডলারের দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কম। যতক্ষণ মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের নিচে থাকে ততক্ষণ শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে, যার লক্ষ্যমাত্রা 1.0254 এবং 1.0227 এর লেভেল। যদি আপনি "শুধুমাত্র" টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ব্যবহার করে ট্রেড করেন, যদি মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের উপরে যায় তাহলে লং পজিশনের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে এবং এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0498। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে একটি কারেকশন হিসেবে দেখা উচিত। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/397249)

Tofazzal Mia
2025-01-07, 06:43 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/31501453.jpg
EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 102 পিপস, যা "উচ্চ" হিসাবে বিবেচিত হয়। মঙ্গলবার আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.0280 এবং 1.0484 এর লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী হচ্ছে, যা বৈশ্বিক পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দেয়। CCI সূচক আবারও ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে এবং একটি নতুন বুলিশ ডাইভারজেন্স তৈরি করেছে, তবে এই সিগন্যালটি সর্বোচ্চ একটি কারেকশনের ইঙ্গিত দেয়।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.0376 S2 – 1.0254 S3 – 1.0132
নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.0498 R2 – 1.0620 R3 – 1.0742
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে আমরা ধারাবাহিকভাবে মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতনের পূর্বাভাস দিয়েছি এবং আমরা সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি, যা আমাদের মতে এখনও শেষ হয়নি। মার্কেটে ইতোমধ্যেই ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যত সুদের হার কমানোর সমস্ত সম্ভাবনাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে সম্ভাবনা বেশি। এর ফলে, মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্যহ্রাসের জন্য উল্লেখযোগ্য মৌলিক কারণ অনুপস্থিত, শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে। যতক্ষণ মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের নিচে থাকে ততক্ষণ শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে, যার লক্ষ্যমাত্রা 1.0280 এবং 1.0254 এর লেভেল। "শুধুমাত্র" টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের উপর ভিত্তি করে যদি মূল্য মুভিং এভারেজের উপরে উঠে যায় তাহলে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে, এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0484 এর লেভেল। তবে, এখন এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে কারেকশন হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/397349)

Rassel Vuiya
2025-01-08, 07:11 PM
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ৮ জানুয়ারি
http://forex-bangla.com/customavatars/911721179.jpg

ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0386 এর লেভেলে পৌঁছায়, যা ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং নিম্নমুখী মুভমেন্ট কাজে লাগাতে পারিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল ডলারের চাহিদা বাড়াচ্ছে, যার ফলে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের ক্রেতারা মূল্যকে স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেলের আশেপাশে দৃঢ়ভাবে স্থিতিশীল করতে পারছে না। আজ, জার্মানি থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের প্রত্যাশার কারণে ইউরো/ডলার পেয়ারের উপর চাপ অব্যাহত থাকতে পারে। জার্মানিতে খুচরা বাণিজ্যের পরিমাণ পরিবর্তন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার সম্পর্কিত প্রতিবেদনের হতাশাজনক পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা ইউরোর আরও বড় মাত্রার বিক্রয় চাপ সৃষ্টি করতে পারে। জার্মানিতে খুচরা বাণিজ্যের পরিমাণ হ্রাস ভোক্তাদের চাহিদা কমার ইঙ্গিত দেয়, যা সম্ভবত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রয় ক্ষমতার হ্রাসের কারণে ঘটেছে। এই পরিস্থিতি অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করে, কারণ অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালক। তদ্ব্যতীত, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডারের পতন উৎপাদন কার্যক্রমে মন্দার ইঙ্গিত দেয়, যা দেশটির রপ্তানিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে—যা ঐতিহ্যগতভাবে জার্মানির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। জার্মানির অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রায়ই ইউরোজোন জুড়ে সম্ভাব্য সংকটের সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখা হয়, যা ইউরোর মূল্যকে প্রভাবিত করে। আজকের ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/397491)

Rakib Hashan
2025-01-09, 06:34 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/148554311.jpg
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা মঙ্গলবার শুরু হয়েছিল। স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি বিবেচনায় এই দরপতন কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করে, তবে এটি বিস্তৃত বৈশ্বিক কারণগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সহজ কথায়, গতকাল ইউরোর দরপতনের জন্য কোনো শক্তিশালী স্থানীয় কারণ ছিল না; তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত বৃহত্তর বিষয়গুলো এই দরপতনের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়। যদিও জার্মানির খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল খুবই দুর্বল ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ADP কর্মসংস্থান প্রতিবেদনেও একইভাবে দুর্বল ফলাফল দেখা গেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। এর ফলে, ইউরো আরও দরপতনের প্রান্তে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও আজ এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়, বর্তমান নিম্নমুখী মুভমেন্টেরই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করতে হবে। ইউরোর আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে মূল্য 1.0269 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে সংগ্রাম করায় নিকট ভবিষ্যতে ফ্ল্যাট মুভমেন্টও দেখা যেতে পারে। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/397583)

Montu Zaman
2025-01-13, 04:08 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/2080764355.jpg
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল, তবে ইউরোর জন্য এখনও কিছুটা আশার আলো রয়েছে। শুক্রবারের মুভমেন্ট থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পেয়ারটির মূল্য তার পূর্ববর্তী স্থানীয় নিম্ন লেভেল ব্রেক করেনি। ইউরোজোনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলের পরেও, এই পেয়ারের মূল্য আগের নিম্ন লেভেলের নিচে নামতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির জন্য সামান্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে, সর্বোচ্চ ইউরোর মূল্যের একটি কারেকশন হতে পারে। এই কারেকশন উল্লেখযোগ্য হতে পারে, তবে তা শুধুমাত্র একটি কারেকশনই থাকবে। ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা 16 বছর ধরে চলমান রয়েছে। শুক্রবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন—বেকারত বের হার এবং নন-ফার্ম পেরোলস প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল, যা আরেকবার ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। বর্তমান মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, আমরা প্রত্যাশা করছি যে ডলারের এই দর বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/397795)

Tofazzal Mia
2025-01-14, 06:25 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/668706282.jpg
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে যাওয়া শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0224 এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 50 পিপসের বেশি বৃদ্ধি পায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক টিম মাসিক হারে ধীরে ধীরে শুল্ক বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করছে। এই পদ্ধতির লক্ষ্য হলো মুদ্রাস্ফীতির আকস্মিক ঝুঁকি এড়ানো এবং অন্যান্য দেশগুলোকে নতুন শুল্কের সাথে মানিয়ে নেওয়ার সময় দেওয়া, যাতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হ্রাস পায়। ট্রাম্পের সমর্থকরা এই যুক্তি দিচ্ছেন যে এই পদক্ষেপ স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে, মার্কিন পণ্যের চাহিদা বাড়াতে এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারে, যা অর্থনীতির বহিরাগত আঘাত প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। অন্যদিকে, সমালোচকরা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। আজকের দিনে, ইউরোর দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা অর্থনৈতিক সূচকের ইতিবাচক ফলাফলের উপর নির্ভর করবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে পারে। জার্মানির ZEW ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই সূচকের শক্তিশালী ফলাফল মূল অর্থনৈতিক খাতগুলোর পুনরুদ্ধারের সংকেত দিতে পারে, যা বিনিয়োগ এবং ভোক্তা ব্যয়ের উন্নতি ঘটাবে এবং ইউরোকে সমর্থন যোগাবে। পুরো ইউরোজোনের জন্য ZEW সূচক সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই সূচকের ইতিবাচক ফলাফল জার্মানির অর্থনীতির প্রতি আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার আস্থা বাড়াতে পারে। ইউরোজোনের প্রধান অর্থনীতিগুলোর স্থায়ী প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক ক্ষেত্রে ইউরোর আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়াও, ইতালির শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে, দেহস্টির শিল্প খাতের পরিবর্তনগুলো ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে এবং পরিবারের আয় বাড়তে পারে, যা চাহিদা বাড়িয়ে ইউরোকে সমর্থন করবে। এই পেয়ার বিক্রয় এবং ক্রয়ের জন্য আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0326-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0262-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0326 পয়েন্টে গেলে, আমি লং পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। শুধুমাত্র আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলেই ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0239-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0262 এবং 1.0326-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0239-এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0187-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র নিচের দিকে যেতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0262-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0239 এবং 1.0187-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।

Read more: https://instaforex.org/bd/forex_analysis/397990

SUROZ Islam
2025-01-15, 06:41 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/239160716.jpg
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান রয়েছে, যা সামগ্রিক বিয়ারিশ প্রবণতার মধ্যে সাম্প্রতিক নিম্নমুখী মুভমেন্টের পরে শুরু হয়েছে। এই মুভমেন্টটি ব্যাখ্যা করার মতো কোনো স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক কারণ ছিল না। গতকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হয়। PPI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে সামান্য নিম্নমুখী ছিল, যা মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ধীরগতির ইঙ্গিত দেয়। এই ধরনের ফলাফল সাধারণত ডলারের জন্য নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে, মার্কিন সেশনে ডলারের সামান্য দুর্বলতা দেখা যেতে পারে। তবে, আমরা মনে করি এই প্রতিবেদন মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। আজ, ডিসেম্বর মাসের মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতা এবং আগামী মাসে ফেডের মুদ্রানীতির দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা প্রদান করবে। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/398092)

SaifulRahman
2025-01-17, 04:56 PM
EUR/USD পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ প্রবণতায় আটকে গেছে
http://forex-bangla.com/customavatars/2044684285.jpg

এই পেয়ারের মূল্য একটি সীমিত করিডোরের মধ্যে আটকে রয়েছে। ক্রেতারা মূল্যকে 1.03 লেভেলে স্থির করতে সংগ্রাম করছে, যখন বিক্রেতারা পেয়ারটির মূল্যকে 1.02 লেভেলের নিচে নামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের বিভ্রান্তিকর ফলাফল এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বারা ধাপে ধাপে শুল্ক আরোপের গুজব ক্রেতাদের EUR/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতাকে সাময়িকভাবে থামাতে সহায়তা করেছে। তবে, সম্প্রতি প্রকাশিত ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং উৎপাদক মূল্য সূচকে (PPI) সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে, যা ক্রেতাদের মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বাধা দিচ্ছে এবং শুধুমাত্র একটি সামান্য কারেকশনের অংশ হিসেবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ঘটিয়েছে। এই পরিস্থিতি ক্রেতা এবং বিক্রেতার নিষ্ক্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়। আমার মতে, মার্কেটের ট্রেডাররা আরও নিম্নগামী প্রবণতা এবং সম্ভাব্যভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতায় নেই। বর্তমানে নিম্নমুখী প্রবণতার বিরতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, তবে এটি একটি সাময়িক বিরতি মাত্র, সমাপ্তি নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা জানুয়ারিতে প্রধান ইভেন্টগুলোর জন্য অপেক্ষা করছে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের প্রথম সিদ্ধান্তগুলোর অপেক্ষা করছে। এছাড়াও, ফেডারেল রিজার্ভ সম্প্রতি প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনগুলো বিবেচনা করে কেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত রয়েছে। জানুয়ারি 28-29 তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ফেডের বৈঠকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট, যদিও প্রত্যাশিত ফলাফল (সুদের হারে স্থিতাবস্থা) ইতোমধ্যে পূর্বনির্ধারিত বলে মনে হয়। এই সপ্তাহে, দুটি প্রধান কারণে ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম কারণ হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের কিছু উপাদান "নেতিবাচক" ফলাফল প্রদর্শন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, মূল ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল, বার্ষিক ভিত্তিতে সামান্য কমে 3.2%-এ নেমেছে, যেখানে পূর্বাভাস ছিল 3.3%। অন্যদিকে, সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা অনুযায়ী বেড়ে জুলাই 2024-এর পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এছাড়া, এক দিন আগে প্রকাশিত উৎপাদন মূল্য সূচকেও (PPI) মিশ্র ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। সামগ্রিক উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) বেড়ে 3.3%-এ পৌঁছেছে, যা 2023 সালের মার্চের পর থেকে থেকে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি। তবে, ডিসেম্বরে মূল উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) অপরিবর্তিত থেকে 3.5%-এ ছিল, যা ট্রেডারদের 3.8%-এর প্রত্যাশার চেয়ে কম। ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনকে ডলারের জন্য নেতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনাকে অসম্ভব করে তুলেছে। CME FedWatch-এর তথ্যেও একই বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে যে CPI এবং PPI প্রতিবেদন প্রকাশের পরে মুদ্রানীতি পরিবর্তনের প্রত্যাশা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ট্রেডাররা এখনও ফেডের জানুয়ারির বৈঠকে বর্তমান নীতিমালার বজায় রাখার প্রত্যাশা করছে, মার্চের জন্য এই সম্ভাব্যতা 75%। তবে, মে মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতির সম্ভাবনা 62%-এর তুলনায় সামান্য কমে 56%-এ দাঁড়িয়েছে। তবুও, এত দূরবর্তী সম্ভাবনার আলোচনার সময় এখনো আসেনি। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন মূলত ডলারকে সমর্থন যোগাচ্ছে। এই প্রতিবেদনের কিছু উপাদানের "নেতিবাচক" ফলাফল কিছুটা দ্বিধা সৃষ্টি করেছে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি প্রবণতার বিষয়ে ট্রেডারদের মধ্যে আর কোন বিভ্রম নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে, ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে নতুন মার্কিন প্রশাসন একবারে শুল্ক আরোপ না করে ধাপে ধাপে বাড়াবে। প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ট্রাম্পের দলের বেশ কয়েকজন সদস্য বিশ্বাস করেন যে এই পন্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিকে প্রতিরোধে সহায়তা করবে। EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা সাম্প্রতিক গুজবের প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে ধীরে ধীরে শুল্ক আরোপের কৌশল ফেডকে মুদ্রানীতি নমনীয় করার সুযোগ দিতে পারে। তবে, এখানে মূল শব্দটি হল "যদি"। এর আগে, ট্রাম্প সকল আমদানিতে 10-20% এবং চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যে 60% পর্যন্ত ন্যূনতম শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। "ধীরগতি পদক্ষেপের" ব্যাপারে ট্রাম্প কখনোই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি, এবং এমনকি যদি এই প্রতিবেদনটির ফলাফল সঠিক হয়, তবে এটি এখনও বিকাশমান এবং ট্রাম্পের কাছ থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় এখনও আসেনি। সারসংক্ষেপ: বর্তমানে, EUR/USD-এর মূল্যের টেকসই বৃদ্ধির জন্য কোন শক্তিশালী কারণ নেই। একইভাবে, 1.02 লেভেলের দিকে স্থির নিম্নগামী প্রবণতার জন্যও কোনও বাধ্যতামূলক ভিত্তি নেই। 20 জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আগে, পেয়ারটির মূল্য একটি সংকীর্ণ রেঞ্জে ওঠানামা করতে পারে, যা ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে অনিশ্চয়তার প্রতিফলন ঘটায়। এই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে, EUR/USD পেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করা উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই পেয়ারের মূল্যের রেজিস্টেন্স লেভেলটি 1.0340-এ অবস্থিত, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ড সূচকের মিডিয়ান লাইনের সাথে মিলে যায়। সাপোর্ট লেভেলটি 1.0230-এ অবস্থিত, যা একই টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের লোয়ার লাইনের প্রতিনিধিত্ব করে। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/398323)

SaifulRahman
2025-01-23, 04:40 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1870468758.jpg
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, নতুন করে এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, যদিও এই প্রবণতা এখনও কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা আশা করছি যে ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকবে। ফেডারেল রিজার্ভ 2025 সালে মাত্র 1-2 বার সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে, যা ট্রেডারদের পূর্ববর্তী প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হকিশ বা কঠোর অবস্থান নির্দেশ করে। অন্যান্য কারণের সঙ্গে এই বিষয়টি সামগ্রিকভাবে মার্কিন ডলারকে সমর্থন যোগাবে। যখন মূল্য ইচিমোকু সূচকের লাইন এবং ট্রেন্ড লাইনের নিচে স্থিতিশীল হবে তখন টেকনিক্যাল কারেকশন শেষ হওয়ার সংকেত পাওয়া যাবে। ২৩ জানুয়ারির জন্য, নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলো গুরুত্বপূর্ণ: 1.0124, 1.0195, 1.0269, 1.0340-1.0366, 1.0461, 1.0524, 1.0585, 1.0658-1.0669, 1.0757, 1.0797, এবং 1.0843। সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.0308) এবং কিজুন-সেন (1.0359) লাইনগুলো পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত। সিগন্যালটি ভুল প্রমাণিত হলে সম্ভাব্য লোকসানের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 20 পিপস মুভমেন্টের পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলো মার্কিন জবলেস ক্লেইম সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশনা, যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এর ফলে, আজ আমরা মার্কেটে বেশ শান্ত মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি।
(https://instaforex.org/bd/forex_analysis/398918)

SaifulRahman
2025-01-31, 05:24 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1363472283.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত অস্বাভাবিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় যখন জেরোম পাওয়েল ফেডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করেন তখন থেকে এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গেছে। যদিও মার্কিন মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, পাওয়েল বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, শ্রম বাজার, বেকারত্ব, এবং মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। আমরা মনে করি মার্কেটের ট্রেডাররা পাওয়েলের বক্তব্যের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারত, তবে অজ্ঞাত কোন কারণে তেমনটি যায়নি। গতকাল, মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এবং ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল। গতকাল প্রকাশিত জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে একটি ধারাবাহিক প্রবণতা দেখা গেছে। যদিও তিনটি প্রতিবেদনই পূর্বাভাসের তুলনায় দুর্বল ছিল, পৃথকভাবে দেখলে ভিন্ন চিত্র উঠে আসে, মার্কিন অর্থনীতি 2.3% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, জার্মান অর্থনীতি 0.2% সংকুচিত হয়েছে এবং ইউরোপীয় অর্থনীতি কোনো প্রবৃদ্ধিই দেখায়নি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, কোন অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে? এরপর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এই বৈঠকের ফলাফল সম্পূর্ণভাবে ডোভিশ বা নমনীয় ছিল, কারণ সুদের হার আবারও কমানো হয়েছে, যা মার্কেটে আগে থেকেই প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। ক্রিস্টিন লাগার্ডও নিশ্চিত করেছেন যে পরিকল্পিত গতিতেই মুদ্রানীতি শিথিলকরণ অব্যাহত থাকবে। এই ঘোষণার পর, শুরুতে ইউরোর মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পায়, তবে সন্ধ্যার মধ্যে আবার এটির মূল্য আগের অবস্থানে ফিরে আসে। টেকনিক্যাল সূচক অনুযায়ী, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়ে গেছে, তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে, এবং মূল্য ইচিমোকু সূচকের লাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। গতকাল মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে এটি কার্যকর ছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.0453-1.0461 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করে নিচের দিকে নামতে শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ, ইউরোর মূল্য প্রায় ৩০ পিপস হারায়, যা ট্রেডারদের জন্য স্পষ্ট মুনাফার সুযোগ তৈরি করে। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/399816)

Rakib Hashan
2025-02-14, 06:38 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/610790793.jpg
ইউরোর ট্রেডের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0404 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ২০ পিপস নিচে কমে যায়, তবে মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকির কারণে স্বল্পমেয়াদে অস্থিরতা সৃষ্টি হলেও দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছে যে এই পদক্ষেপ কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে, যা বিভিন্ন সরকারকে কৌশলগত পদক্ষেপ এবং আলোচনার জন্য সুযোগ দেবে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিমালা ঘিরে মৌলিক অনিশ্চয়তা এখনো বিদ্যমান রয়েছে, যা ইউরোর আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করছে। আজকের দিনে, ইউরোর উপর চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে, বিশেষ করে দিনের প্রথমার্ধে, কারণ ইউরোজোনের ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন এবং কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এই পরিসংখ্যান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যাতে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা যায়। যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল আসে, তাহলে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ইউরোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট শুধুমাত্র সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন দ্বারা নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক কারণ এবং অন্যান্য মুদ্রার, বিশেষ করে মার্কিন ডলারের পারফরম্যান্স দ্বারাও প্রভাবিত হয়। ট্রেডারদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সকল কারণ বিবেচনায় রাখা উচিত। এটি মনে রাখা জরুরি যে পূর্বাভাসসমূহ সম্ভাবনামূলক, এবং প্রকৃত বাজার পরিস্থিতি পূর্বাভাসের তুলনায় আলাদা হতে পারে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেব।

বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0527-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0466-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0527-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন জিডিপি প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার উপর নির্ভর করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0442-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0466 এবং 1.0527-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।

সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0442-এর লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0389-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0466-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0442 এবং 1.0389-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/401417)

SumonIslam
2025-02-17, 07:36 PM
গত সপ্তাহে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0500 লেভেল টেস্ট করেছিল কিন্তু মূল্য এই গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স লেভেলের (D1 টাইমফ্রেমে বলিংগার ব্যান্ডস সূচকের উপরের লাইন) ওপরে স্থিতিশীল হতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের আকস্মিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা মূলত ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে হয়েছিল, যখন ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা শুল্ক আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নেন। এর পরিবর্তে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট "পারস্পরিক শুল্ক পদ্ধতি" প্রস্তুতের জন্য একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন। পাশাপাশি, এটি নিশ্চিত হয় যে এই শুল্ক সব দেশের জন্য সমান হবে না, বরং প্রতিটি দেশের জন্য আলাদাভাবে করের হার নির্ধারণ করা হবে। একটি কর্মপরিষদ এপ্রিল পর্যন্ত এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করবে, যার পর ট্রাম্প পৃথক দেশভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেবেন। মার্কেটের ট্রেডাররা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, যদিও এই বিষয়টি পুরোপুরি আলোচনা থেকে চলে যায়নি—এটি কেবল কয়েক মাসের জন্য স্থগিত হয়েছে। তবে এটি বিনিয়োগকারীদের মনোবল পুনরুদ্ধার করার জন্য যথেষ্ট ছিল, যা ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি করে এবং নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0500 লেভেল টেস্ট করতে সক্ষম হয়।

তবে, পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সূত্র অনুযায়ী, ব্রাসেলস যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট আমেরিকান খাদ্যপণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হতে পারে। গুজব রয়েছে যে প্রথম ধাপে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহৃত সয়াবিনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। যদি ইইউ এই ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, তাহলে মার্কেটে ঝুঁকি গ্রহণ না করার প্রবণতা ফিরে আসতে পারে, যা ডলারের চাহিদা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আগামী সপ্তাহের ক্যালেন্ডারে বড় কোনো ইভেন্ট নেই, তবে অল্প কয়েকটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার-মঙ্গলবার সোমবার ফেডারেল রিজার্ভের দুইজন কর্মকর্তার বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তারা হচ্ছেন ফিলাডেলফিয়া ফেডের প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক হার্কার এবং ফেড গভর্নর মিশেল বোম্যান। বিনিয়োগকারীরা মূলত বোম্যানের বক্তব্যের দিকেই বেশি মনোযোগ দেবে, কারণ হার্কার এই বছর ভোটাধিকার প্রাপ্ত নন এবং তিনি জুনে অবসর নেবেন। ফলে, তার বক্তব্য মার্কেটে তেমন প্রভাব ফেলবে না। অপরদিকে, বোম্যানের মন্তব্য মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। জানুয়ারির শেষ দিকে তার সর্বশেষ প্রকাশ্য বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন যে ফেডের ভবিষ্যৎ নীতিগত সিদ্ধান্ত "সতর্ক ও ধীরগতিতে নেওয়া উচিত, কারণ মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি বিদ্যমান"। তবে, তিনি এই মন্তব্যটি সর্বশেষ CPI ও PPI প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই করেছিলেন, যেখান জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি নির্দেশিত হয়েছিল। মঙ্গলবার জার্মানিতে ফেব্রুয়ারির ZEW সূচক প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুসারে, জার্মানির বিজনেস সেন্টিমেন্ট সূচক ১৯.৯ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারে, যা জুলাই ২০২৪ সালের পর সর্বোচ্চ স্তর, যেখানে জানুয়ারিতে এই সূচক ১০.৩ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল। ইউরোপের সামগ্রিক ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচকও ইতিবাচক গতিশীলতা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২৪.৩ পয়েন্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। মঙ্গলবারের মূল বক্তারা হচ্ছে সান ফ্রান্সিসকো ফেড প্রেসিডেন্ট মেরি ডালি (যিনি এই বছর ভোটাধিকারপ্রাপ্ত) ও ফেড গভর্নর মাইকেল বার, যিনি তার স্থায়ী ভোটাধিকারের কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইজন কর্মকর্তাই সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর মন্তব্য করতে পারেন এবং ২০২৪ সালে মুদ্রানীতি নমনীয় করার সম্ভাবনা মূল্যায়ন করতে পারেন।

বুধবার বুধবার, ফেডের জানুয়ারির বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। ওই বৈঠকে, ফেড মুদ্রানীতির অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রানীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়, কারণ মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চমাত্রায় রয়েছে এবং মার্কিন অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া, ফেড তাদের আগের বিবৃতির "মূল্যস্ফীতি ২% লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছে" বাক্যাংশটি বাদ দিয়ে "মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে" বলে উল্লেখ করেছে। এই পরিবর্তন হকিশ বা কঠোর অবস্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি ফেডের উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। পাওয়েল এই পরিবর্তনকে "প্রযুক্তিগত" হিসেবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন, যা কোনো গভীর অর্থ বহন করে না বলে দাবি করেছেন। ফলে, FOMC-এর মিনিট বা কার্যবিবরণী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে; যদি এটি হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের বার্তা বহন করে, তাহলে সাম্প্রতিক CPI এবং PPI প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেতে পারে।

বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার, মার্কিন সেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যদিও এগুলো গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয়। ফেব্রুয়ারির ফিলাডেলফিয়া ফেড ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই সূচক 44.3 থেকে 19.4 এ নেমে আসতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশার চেয়েও দুর্বল হয়, তাহলে এটি মার্কিন ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, সাপ্তাহিক বেকার ভাতা আবেদন (জবলেস ক্লেইমস) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গত সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল +213,000, এবং আগামী সপ্তাহের জন্য এটি প্রায় +214,000-এ থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে, যদি প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম বা বেশি হয়, তাহলে এটি EUR/USD পেয়ারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বৃহস্পতিবার ফেড কর্মকর্তাদের মধ্যে ফেডের ভাইস চেয়ারম্যান ফিলিপ জেফারসন, সেন্ট লুইস ফেড প্রেসিডেন্ট আলবার্তো মুসালেম (যিনি ২০২৫ সালে ভোটাধিকার পাবেন), শিকাগো ফেড প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবী (যার এই বছর ভোটাধিকার রয়েছে) বক্তব্য দেবেন।

শুক্রবার সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে PMI সূচক প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী: জার্মানির ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচক 45.4 এ পৌঁছাতে পারে এবং ইউরোজোনের সামগ্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 46.9 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই সূচকগুলো সংকোচন অঞ্চলে থাকার পূর্বাভাস রয়েছে, তবে সামান্য উন্নতি দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে, সার্ভিসেস PMI সূচক ইতিবাচক অঞ্চলে থাকার সম্ভাবনা থাকলেও সামান্য হ্রাস পেতে পারে—যা জার্মানিতে 52.4 এবং ইউরোজোনের ক্ষেত্রে 51.1-এ পৌঁছাতে পারে। যদি এই সূচকগুলোর প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়, তাহলে এটি EUR/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বাড়াতে পারে। শুক্রবার মার্কিন সেশনে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রকাশিত হবে, যা 51.2 স্তরে থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ডলার ক্রেতাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে এই সূচক 50 পয়েন্টের নিচে না নামে, কারণ এটি সূচকটির নিম্নমুখী হওয়ার সংকেত দেবে।

শুক্রবার মার্কিন সেশনে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রকাশিত হবে, যা 51.2 স্তরে থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ডলার ক্রেতাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে এই সূচক 50 পয়েন্টের নিচে না নামে, কারণ এটি সূচকটির নিম্নমুখী হওয়ার সংকেত দেবে। ট্রেডারদের মিশিগান ইউনিভার্সিটি কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স-এর উপরও নজর রাখা উচিত। এই সূচক গত দুই মাস ধরে নিম্নমুখী রয়েছে, এবং ফেব্রুয়ারিতে এটি তৃতীয়বারের মতো কমে 67.2 পয়েন্টে নেমে আসতে পারে। তবে, যদি এই সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আসে, তাহলে এটি মার্কিন ডলারকে ব্যাপক সমর্থন প্রদান করতে পারে। দৈনিক চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য এখনো কুমো ক্লাউডের মধ্যে অবস্থান করছে এবং বলিঙ্গার ব্যান্ডস সূচকের মাঝারি ও উপরের লাইনের মধ্যে ওঠানামা করছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানার ওপরে স্থিতিশীল হয়, তাহলে ইচিমোকু সূচকে একটি বুলিশ "প্যারেড অব লাইন্স" সংকেত তৈরি হবে, যা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.06 লেভেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.0390 লেভেলের নিচে নেমে যায়, তাহলে মূল্য বলিঙ্গার ব্যান্ডস সূচকের মাঝারি ও নিম্ন লাইনের মধ্যে অবস্থান করবে এবং ইচিমোকু সূচকের সব লাইনের নিচে চলে যাবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করবে।
(https://instaforex.org/bd/forex_analysis/401529)
http://forex-bangla.com/customavatars/2121805345.jpg

SaifulRahman
2025-03-05, 04:17 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1396929370.jpg
ইউরোর ট্রেডের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নেমে আসতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0530 এর লেভেল টেস্ট করে। এটি ইউরো বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য 25 পিপস হ্রাস পায়। গতকাল ইউরোজোনের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এবং জার্মানির আর্থিক নীতিমালার সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ইউরোর ক্রয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য নতুন মাসিক সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছায়। বার্লিনের এই সাহসী পদক্ষেপ, যা ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়, কারেন্সি মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিনিয়োগকারীরা ইউরোপীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা পুনর্মূল্যায়ন করছে, সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উদ্দীপনার প্রত্যাশা করছে। তবে, জার্মানি ও ইউরোপ দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মধ্যে না ফেলে অবমুক্ত সম্পদগুলো কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারবে কিনা, সেটাই ভবিষ্যতে মার্কেটের গতিপথ নির্ধারণ করবে। আজ, ইউরোজোনের কম্পোজিট ইনডেক্স এবং পরিষেবা PMI সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থমকে যেতে পারে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় নেতিবাচক হয়, তাহলে এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি সীমিত থাকবে। পরিষেবা খাতে মন্দার ইঙ্গিত অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেহেতু ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামীকাল সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে, তাই ইউরোর মূল্যের আরও শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। তাই উচ্চ মূল্যে ক্রয় করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ইউরোজোনের উৎপাদন মূল্য সূচকও বিবেচনায় নেওয়া উচিত। এই সূচকের পতন ইউরোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে, যা ইসিবিকে প্রণোদনা ব্যবস্থা শিথিল করার গতি কমাতে বাধ্য করতে পারে, ফলে এটি ইউরোর জন্য ইতিবাচক হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেব।

বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.0703-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0648-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0703-এর লেভেলে গেলে, আমি মার্কেটের বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র ইউরোজোনের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0609-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0648 এবং 1.0703-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
http://forex-bangla.com/customavatars/1183088767.jpg
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0609-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0557-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0648-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0609 এবং 1.0557-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/403406)

SaifulRahman
2025-03-13, 06:07 PM
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
http://forex-bangla.com/customavatars/1207305357.jpg
বুধবার, EUR/USD কারেজন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য নতুন ভিত্তি স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি আশ্চর্যের কিছু নয়, কারণ ট্রেডাররা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত সংবাদ—বিশেষ করে নতুন শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণাগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তবে, তারা সাধারণত এই শুল্ক বিলম্ব বা বাতিল হওয়া সংক্রান্ত খবর উপেক্ষা করছে। বাস্তবিক অর্থে, এই ধরনের পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে: যখন ট্রাম্প নতুন করে আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন, তখন ডলার দুর্বল হয়ে পড়ে; বিপরীতে, যখন তিনি এই শুল্কগুলো স্থগিত করেন বা বাতিল করেন, তখন ডলার সাধারণত পুনরুদ্ধার করে না। তাই, আমরা মনে করছি যে ডলারের বর্তমান দরপতন পুরোপুরি যৌক্তিক নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণগুলো উপেক্ষা করছে এবং এমনভাবে আচরণ করছে যেন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার শূন্যে নামিয়ে এনেছে এবং মার্কিন অর্থনীতি ইতোমধ্যে মন্দার মধ্যে রয়েছে। EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার, ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, মূল্য 1.0888-1.0896 এর রেঞ্জ থেকে বাউন্স করে মাত্র 20 পিপস বৃদ্ধি পায়, যা ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করার জন্য যথেষ্ট ছিল এবং এর ফলে এই ট্রেড ক্লোজ হয়ে যায়। এরপর, একই রেঞ্জ থেকে আরেকটি সামান্য রিবাউন্ড ঘটে, এবং আবারও মূল্য প্রত্যাশিত দিকনির্দেশে 20 পিপস বৃদ্ধি পায়। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/404319)

Tofazzal Mia
2025-03-14, 05:11 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/730486861.jpg
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল, যা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পর দেখা গেছে, যা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত ঘটনাগুলোর দ্বারা চালিত হয়েছিল। মার্কেটের ট্রেডাররা আপাতত ডলারের বিক্রয়ে বিরতি নিয়েছে, তবে এটি কতদিন স্থায়ী হবে তা অনিশ্চিত। সম্প্রতি, ট্রেডাররা কেবল শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে এবং অন্যান্য সমস্ত খবর উপেক্ষা করেছে। এমনকি যখন ট্রাম্প নিজেই তার শুল্ক বাতিল বা স্থগিত করেন, তখনও ডলার শক্তিশালী হয় না। ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমরা মনে করি যে মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত আগেভাগেই ডলারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ে 600-পিপসের দরপতন অতিরিক্ত বলে মনে হচ্ছে, যা একটি কারেকশনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে। পাশাপাশি, দৈনিক এবং মাসিক উভয় টাইমফ্রেমেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে একটি উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন দেখা গেছে। গতকাল প্রকাশিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল দুর্বল ছিল এবং এটি এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর কোনো প্রভাব ফেলেনি। (https://www.ifxteam.com/bd/forex_analysis/404457)

Rakib Hashan
2025-03-17, 04:07 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/906464338.jpg
500 পিপসের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির পর EUR/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে এবং নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। গত সপ্তাহে, ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.0900 রেঞ্জের মধ্যে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং মূল্য 1.0806 পর্যন্ত নামিয়ে এনেছিল। যদিও সপ্তাহের শেষে EUR/USD ক্রেতারা কিছু মুনাফা অর্জন করেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা স্পষ্টভাবেই গতি হারিয়েছে। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য মূল্য 500 পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ মার্কেটে মার্কিন অর্থনীতি মন্দার দিকে ধাবিত হতে পারে এমন উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, জেপিমরগ্যানের প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্রুস ক্যাসম্যান বলেছেন যে এই বছর অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা 40%, যা বছরের শুরুতে 30% অনুমানের তুলনায় বেশি। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে যদি ট্রাম্পের ঘোষিত পারস্পরিক শুল্কগুলো এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়, তাহলে এই ঝুঁকি 50% বা তার বেশি হতে পারে। ১৯ মার্চে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ পরবর্তী বৈঠকের ফলাফল উপস্থাপন করবে, যা এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই, EUR/USD পেয়ারের ট্রেডাররা মূলত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মার্চ মাসের বৈঠকের দিকে দৃষ্টিপাত করবে, যদিও এই বৈঠকের আনুষ্ঠানিক ফলাফল আগেই অনেকাংশে নির্ধারিত হয়েছে। তবুও, আসন্ন সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সোমবার সোমবারের এশিয়ান সেশনে, চীনে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিশেষ করে, দেশটির শিল্প উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে দেশটির শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে 5.3%-এ পৌঁছাতে পারে, যা আগের মাসে 6.2%-এ বৃদ্ধির তুলনায় কম। তবে, দেশটির খুচরা বিক্রয় 3.8%-এ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা গত বছরের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ স্তর। যদি চীনের প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচক হয়, তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলার চাপের মুখে পড়তে পারে। সোমবার মার্কিন সেশনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। জানুয়ারির ফলাফল এই সূচকের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, কারণ সংখ্যাতাত্ত্বিকভ বে প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি না হয়ে, দেশটির খুচরা বিক্রয় নেতিবাচক অঞ্চলে নেমে গিয়েছিল, যা ভোক্তা কার্যকলাপের পতন নির্দেশ করে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে খুচরা বিক্রয় 0.7% বৃদ্ধি পেতে পারে (গাড়ি বিক্রয় বাদ দিলে, সূচকটি 0.4% বৃদ্ধি পেতে পারে)। এছাড়া, সোমবার নিউ ইয়র্ক এম্পায়ার স্টেট থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স বা উৎপাদন কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। ফেব্রুয়ারিতে এই সূচক 5.7 পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে মার্চে এটি -1.9 পয়েন্টে নামার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মঙ্গলবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রথমত, দেশটিতে আমদানি মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যা মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা পরিবর্তনের প্রাথমিক সূচক হিসাবে বিবেচিত হয়। এই মাসে, সূচকটি -0.1% এ তীব্রভাবে হ্রাস পেতে পারে, যা আগের দুই মাসের বৃদ্ধির পর নতুন করে পতন নির্দেশ করে। বার্ষিক ভিত্তিতে, সূচকটি 1.4% এ হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো, আমদানি মূল্যের প্রবণতা মুদ্রাস্ফীতির অন্যান্য সূচক যেমন কোর পিসিই সূচক, CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক এবং PPI বা উৎপাদক মূল্য সূচকের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃহ নির্মাণ অনুমোদনের পরিমাণ প্রকাশিত হবে। জানুয়ারিতে এই সূচক মাত্র 0.1% বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে ফেব্রুয়ারিতে পূর্বাভাস অনুযায়ী এটি -0.4% হ্রাস পেতে পারে। দিনশেষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সূচকটির নিম্নমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ ডিসেম্বরে 1.0% বৃদ্ধি পাওয়ার পর, জানুয়ারিতে তা 0.5% এ নেমে আসে, এবং ফেব্রুয়ারিতে মাত্র 0.2% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার বুধবারকে সম্ভবত এই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। দুই দিনের বৈঠকের শেষে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, CME FedWatch টুল অনুযায়ী, 98% সম্ভাবনা রয়েছে যে ফেড তাদের বর্তমান মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রাখবে। ফলে, ফেডের বিবৃতি, জেরোম পাওয়েলের মন্তব্য এবং হালনাগাদকৃত অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের দিকে ট্রেডাররা দৃষ্টিপাত করবে। ট্রেডারদের জন্য সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। CME FedWatch অনুসারে, মে মাসের বৈঠকে 30% সম্ভাবনা রয়েছে যে সুদের হার কমানো হতে পারে। তবে, জুন মাসে মুদ্রানীতি শিথিল করার ব্যাপারে ট্রেডাররা প্রায় নিশ্চিত, যেখানে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা 80%। ফেডের বক্তব্য ট্রেডারদের মনোভাবকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ফেড ইঙ্গিত দেয় যে মে মাসে সুদের হার কমানো সম্ভব, তাহলে মার্কিন ডলার প্রবল চাপের মুখে পড়তে পারে, কারণ ট্রেডাররা বর্তমানে এই ধরনের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত নয়। এছাড়া, ফেডের হালনাগাকৃত পূর্বাভাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেতে পারে। নিউ ইয়র্ক ফেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান উইলিয়াম ডাডলি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শিল্প উৎপাদন প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে, তবে মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস বাড়তে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে যে মধ্যমেয়াদী পূর্বাভাসে এই বছর দুইবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে, কিছু বিশ্লেষকের মতে, ডট প্লট পূর্বাভাসে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান প্রতিফলিত হতে পারে, যেখানে সুদের হার তিনবার ২৫-বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার এদিন, EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং মূলত আগের দিনের মোমেন্টামের উপর ভিত্তি করে চলতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা মার্চ মাসের ফেডের বৈঠকের ফলাফল বিশ্লেষণ করবে। এছাড়া, বৃহস্পতিবার কিছু গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রথমত, সাপ্তাহিক বেকার ভাতার জন্য প্রাথমিক আবেদনসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সাম্প্রতিক সপ্তাহে সংখ্যাটি 220,000-এ সামান্য হ্রাস পেয়েছিল, তবে এই সপ্তাহে 222,000-এ সামান্য বৃদ্ধি হতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হয়, তাহলে এটি EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। দ্বিতীয়ত, ফিলাডেলফিয়া ফেডের উৎপাদন সূচক প্রকাশিত হবে। জানুয়ারিতে এই সূচকটি 44.3 পয়েন্টে ছিল, তবে ফেব্রুয়ারিতে 18.1 পয়েন্টে নেমে এসেছে। মার্চে আরও পতন হয়ে 12.1 পয়েন্টে নামার পূর্বাভাস রয়েছে। শেষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহবিক্রয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সূচক নেতিবাচক প্রবণতা দেখাতে পারে। জানুয়ারিতে 4.9%-এ নেমে আসার পর, ফেব্রুয়ারিতে 5.1%-এ আরও হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। শুক্রবার শুক্রবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তুলনামূলকভাবে তেমন কিছু নেই। EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের জন্য প্রধান আকর্ষণ হবে নিউ ইয়র্ক ফেডের প্রেসিডেন্ট জন উইলিয়ামসের বক্তৃতা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মার্চের শুরুতে উইলিয়ামস মন্তব্য করেছিলেন যে "মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রত্যাশাগুলো নিয়ে কোনো সমস্যা দেখা যাচ্ছে না"। শুক্রবার, তিনি সাম্প্রতিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং মার্চ মাসের ফেড বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ পাবেন। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে বলিঙ্গার ব্যান্ডস ইনডিকেটরের মিডিয়ান (1.0880)-এর কাছাকাছি অবস্থান করছে। এই লেভেলটি টেনকান-সেন এবং কিজুন-সেন লাইনগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এটি কুমো ক্লাউডের ওপরে রয়েছে। বিক্রেতারা একাধিকবার এই সাপোর্ট লেভেলের নিচে মূল্যকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তবে সফল হয়নি। দৈনিক চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য বলিঙ্গার ব্যান্ডসের মিডিয়ান ও আপার লাইনের মধ্যে রয়েছে এবং ইচিমোকু ইনডিকেটরের সমস্ত লাইনের ওপরে অবস্থান করছে, যার মধ্যে কুমো ক্লাউডও রয়েছে। এটি লং পজিশন ওপেন করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক সংকেত প্রদান করছে। প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0930, যা চার-ঘণ্টার চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডসের আপার লাইন। প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0980, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডসের আপার লাইন।
(https://www.ifxteam.com/bd/forex_analysis/404594)

SUROZ Islam
2025-03-18, 04:11 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/423873768.jpg
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0893 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, প্রত্যাশিত নিম্নমুখী মুভমেন্ট না হওয়ায় এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়েছে। এর আগে প্রকাশিত মার্কিন খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফলের প্রভাবে স্পষ্টভাবেই মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটেছিল, যা ইউরোর বিক্রির জন্য এন্ট্রি কার্যকর হওয়া থেকে বিরত রেখেছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনকে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখার সম্ভাবনাকে হ্রাস করেছে। যেহেতু এটি মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রথম দুর্বল ফলাফল নয়, তাই ডলার ক্রমাগত ইউরোর বিপরীতে মূল্য হারাচ্ছে, এটি কোনো বিস্ময়কর বিষয় নয়। আজ, ইউরোজোনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ইউরোজোনের ট্রেড ব্যালেন্স এবং জার্মানি ও ইউরোজোনের জন্য ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট বা অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক, যার মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতির সূচকও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ইউরো ক্রেতাদের মনোভাবের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই সূচকগুলোর শক্তিশালী ফলাফল EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও দৃঢ় করবে, অন্যদিকে হতাশাজনক ফলাফলে মূল্যের কারেকশন ঘটাতে পারে, যা স্পেকুলেটিভ ট্রেডিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবো।

বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.0969-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0924-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0969-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়, বিশেষত যদি জার্মানির সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে।গুরুত্বপূর্ ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0904-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0924 এবং 1.0969-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।

সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0904-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0868-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। জার্মানির সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0924-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0904 এবং 1.0868-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। (https://www.ifxteam.com/bd/forex_analysis/404806)

SaifulRahman
2025-03-19, 04:29 PM
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট (১৯ মার্চ)
http://forex-bangla.com/customavatars/1455992978.jpg
মঙ্গলবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখিয়েছে। দৈনিক মুভমেন্ট বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, এই পেয়ারের মূল্য প্রথমে বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপর হ্রাস পেয়েছে, এবং পরবর্তীতে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তিনটি মুভমেন্টের মধ্যে দুটি মুভমেন্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, কারণ ইউরোজোন এবং জার্মানির ZEW সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল, পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফলও প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ছিল। তবে, সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপাদানগুলোর দ্বারা সমর্থিত ছিল না, যা মূল্যের বর্তমান প্রবণতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তুলে ধরে। মার্কেটের ট্রেডাররা হয়তো সম্পূর্ণরূপে আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল উপেক্ষা করছে এবং ডলার বিক্রি করছে, অথবা প্রতিবেদনের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং পরে আবার ডলার বিক্রি করছে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান প্রবণতাকে যৌক্তিক বলে বিবেচনা করা যাচ্ছে না। তবে, এর মানে এই নয় যে বর্তমানে ট্রেডিং করা অসম্ভব। বর্তমানে মূল্যের মুভমেন্টের ধরন বোঝা দরকার। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালার কারণে মার্কিন ডলার দুর্বল হচ্ছে। (https://www.ifxteam.com/bd/forex_analysis/404932)
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তবে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা কমছে। যেহেতু মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখনো ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারকে বেশি সমর্থন করছে, আমরা এখনও এই পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করছি। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ও বৈশ্বিক নীতিমালা সংক্রান্ত ঘোষণা মার্কিন ডলারের মূল্যকে অব্যাহতভাবে নিম্নমুখী করছে। ফলস্বরূপ, মার্কেটে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপাদানগুলোর চেয়ে রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব বেশি পড়ছে, যার ফলে ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বুধবার, ইউরোর মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপাদানগুলো বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে ধারাবাহিকভাবে প্রভাবিত করছে না। ফলে, 1.0940-1.0952 এরিয়ার কাছাকাছি থেকে এখনও ট্রেডিং করা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমের গুরুত্বপূর্ণ লেভেলসমূহ: 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0952, 1.1011, 1.1048। বুধবার, ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, তবে এটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে, সন্ধ্যার দিকে ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক, পাওয়েলের বক্তব্য এবং "ডট প্লট" চার্ট মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

Montu Zaman
2025-03-25, 07:04 PM
২৫ মার্চ কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
http://forex-bangla.com/customavatars/881674538.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0859–1.0861 এরিয়া থেকে বাউন্স করে এবং পরে 1.0797–1.0804 এরিয়া পর্যন্ত নেমে আসে। দ্বিতীয় এরিয়ার কাছাকাছি শর্ট পজিশন ক্লোজ করা যেত, কারণ সেখান থেকে মূল্য প্রথমে কিছুটা বাউন্স করেছিল। সামগ্রিকভাবে, সোমবারের ট্রেডিংয়ের মুভমেন্ট এটুকুই ছিল। এই ট্রেডটি লাভজনক ছিল এবং প্রায় ৩০–৪০ পিপস পর্যন্ত মুনাফা অর্জিত হয়। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে এই প্রবণতার দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা এখন কমছে। যেহেতু মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারকে বেশি সমর্থন করছে, তাই আমরা এখনো এই পেয়ারের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এবং বিশ্বে মার্কিন আধিপত্য পুনর্গঠনের জন্য বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে ডলারকে চাপের মধ্যে ফেলছেন। মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো রাজনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ছায়ায় ঢাকা পড়ে আছে, তাই এখনো ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির আশা করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ অনেকদিন পর মার্কেটের ট্রেডাররা মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ট্রেড করেছে (ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পর), এবং টেকনিক্যালি, এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেল ব্রেক করে নিচের দিকে গিয়েছে। সম্প্রতি ডলার অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত বিক্রি করা হয়েছে এবং এটির মূল্যও কমেছে। তাই এখন একটি কারেকশনই যুক্তিযুক্ত সম্ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0859–1.0861, 1.0888–1.0896, 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1048। মঙ্গলবার জার্মানিতে বিজনেস ক্লাইমেট বা ব্যবসায়িক আবহ সূচক প্রকাশিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিউ হোম সেলস বা নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। উভয়ই প্রতিবেদনই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের বিশ্বাস, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বর্তমানে চলমান কারেকশনকে ব্যাহত করবে না। (https://www.ifxteam.com/bd/forex_analysis/405539)

SaifulRahman
2025-04-09, 03:44 PM
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৯ এপ্রিল
http://forex-bangla.com/customavatars/1050819899.jpg
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.0913 এর লেভেল টেস্ট করে—যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। 1.0913 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল—যার ফলে লং পজিশনের পরিকল্পনা #2 কার্যকর হয় এবং এই পেয়ারের মূল্য 40 পিপসেরও বেশি ঊর্ধ্বমুখী হয়। যুক্তরাষ্ট্রে NFIB থেকে প্রকাশিত ক্ষুদ্র ব্যবসার আস্থা সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল এবং ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের কঠোর বক্তব্য গতকাল ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে মার্কিন সেশনের শেষে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা গঠনে মূল কারণগুলো এখনও মার্কিন ডলারকে সমর্থন করে চলেছে—যদিও ট্রাম্পের পদক্ষেপ এই প্রেক্ষাপটকে দুর্বল করে দিতে পারে। উল্লেখ্য যে, আজ ইউরোজোন থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন সীমিত থাকতে পারে। তা সত্ত্বেও, টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা হলে ইউরোর আরও মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। স্বল্পমেয়াদে ট্রেডাররা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যেকোনো সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ আলোচনার খবরের দিকেই নজর রাখবে। তবে ইউরোপীয় নেতারা এখনই ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে কোনো তাড়াহুড়ো নেই এবং তারা পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিচ্ছেন। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।

বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1157-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1080-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1157-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1034-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1080 এবং 1.1157-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1034-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0948-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোন সময় এই পেয়ার বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1080-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1034 এবং 1.0948-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। (https://www.ifxteam.com/bd/forex_analysis/407197)

Tofazzal Mia
2025-05-05, 03:38 PM
EUR/USD: সাপ্তাহিক পর্যালোচনা। ফেডের মে মাসের বৈঠক ও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের (সম্ভাব্য) বাণিজ্য আলোচনা
http://forex-bangla.com/customavatars/1309925957.jpg
নতুন সপ্তাহটি EUR/USD ট্রেডারদের জন্য তথ্যবহুল হতে চলেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আগামী 6–7 মে নির্ধারিত ফেডারেল রিজার্ভের সভা, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নীতিমালার রূপরেখা নির্ধারণ করবে। যদিও অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, তবুও FOMC-এর বৈঠক এই সপ্তাহে মনোযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দু হতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সমালোচনা করেছেন—ফলে এটি দেখা গুরুত্বপূর্ণ হবে যে ফেড তাদের অবস্থান বা মনোভাব কতটা পরিবর্তন করে, বিশেষ করে নীতিগত শিথিলতার সময়সূচি ও গতি নিয়ে। ট্রাম্পের মন্তব্য বাদ দিলেও, ফেড এখন একটি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে: একদিকে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস পাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক কমেছে: হেডলাইন ইনফ্লেশন 2.4%-এ পৌঁছেছে, এবং কোর ইনফ্লেশন 2.8%-এ নেমে এসেছে। তবে এটি মূলত শুল্ক আরোপের আগের পরিস্থিতিকে প্রতিফলিত করে, তাই বর্তমানে এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব অনেকটাই কম। আরও সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে: ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে প্রকাশিত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ১ বছরের মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা 6.5%-এ পৌএছে—যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ। এদিকে, প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হ্রাস পেয়ে 0.3%-এ পৌঁছেছে, ভোক্তা আস্থা সূচক 86.0-তে নেমে এসেছে, এবং ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI কমে দাঁড়িয়েছে 48.7-এ। এপ্রিলের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে: কর্মসংস্থানের সংখ্যা ছিল 177,000—যদিও 133,000 পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি, তবে এটি পরপর চতুর্থ মাস যেখানে সূচকটি 200,000-এর নিচে রয়েছে। এছাড়া, দুই সপ্তাহ ধরে বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে এবং সর্বশেষ সপ্তাহে তা 241,000-এ দাঁড়িয়েছে—যা ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। এপ্রিলে নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণার সময় ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সতর্ক করেছিলেন যে, এই পদক্ষেপ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করবে, বেকারত্ব বাড়াবে এবং মুদ্রাস্ফীতিকে ত্বরান্বিত করবে—এবং তার সেই পূর্বাভাস ইতোমধ্যে আংশিকভাবে সত্য হয়েছে। তবে পাওয়েল এটাও বলেছিলেন যে, ফেড তাড়াহুড়ো করে সুদের হার কমাবে না। আমার দৃষ্টিতে, ফেড মে মাসের বৈঠকে নীতিগত অবস্থান অপরিবর্তিত রাখবে এবং সতর্ক অবস্থান বজায় রাখবে। তারা অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাদ দিয়ে মুদ্রাস্ফীতিকে বেশি গুরুত্ব দেবে। কারণ নতুন শুল্ক আরোপের ফলে আমদানি-নির্ভর অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। যেহেতু চীনের সাথে এখনো কোনো বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়নি, তাই ফেড মে বা জুনে সুদের হার কমাবে না বলেই মনে হচ্ছে। এই প্রত্যাশা মার্কেটের ট্রেডারদের মনোভাবের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। CME FedWatch অনুযায়ী, মে মাসে ফেডের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সম্ভাবনা 97%, আর জুনে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা 35%। ফেড যদি এই পূর্বানুমান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে ডলার খুব বেশি প্রভাবিত হবে না। একদিকে এই সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে মূল্যায়ন করা হয়ে গেছে, অন্যদিকে ট্রেডাররা ফেডের বিবৃতির শব্দচয়ন এবং পাওয়েলের বক্তব্যের ওপর দৃষ্টি দেবে। যদি ফেড কোনো নেতিবাচক পূর্বাভাস দেয়, তবে ডলারের ওপর চাপ বাড়তে পারে। মে মাসের ফেডের বৈঠক হবে এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারিত ইভেন্ট। তবে এখানে 'নির্ধারিত' শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখন এমন এক ইভেন্টের অপেক্ষা করছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত নয়—কিন্তু প্রত্যাশিত: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা। ট্রাম্প গত সপ্তাহে আলোচনায় বসার অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন। অপরদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে। যদি আগামী সপ্তাহেই আলোচনা শুরু হয়, তবে আলোচনার ফলাফল প্রকাশের আগে থেকেই মার্কেটে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। যদিও পরবর্তী সময়ে আলোচনা অচলাবস্থায় গেলে প্রবণতা উল্টে যেতে পারে (বিশেষত যদি আলোচনা না আগায় বা অচলাবস্থা দেখা যায়), তবুও প্রাথমিকভাবে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। তবে, যদি আলোচনা শুরু না হয়, তবে ডলারের ওপর চাপ বাড়তে পারে, এবং তখন ফেডের সিদ্ধান্তই হবে এ সপ্তাহের মূল অনুঘটক।
(https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/409609)
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: EUR/USD গত সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1260 সাপোর্ট লেভেল টেস্ট করার চেষ্টা করেছিল (4H চার্টে বোলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিচের লাইন), তবে মূল্য 1.1300 লেভেলে থাকা অবস্থায় গত সপ্তাহের ট্রেডিং শেষ হয়েছে—টানা চতুর্থ শুক্রবার মূল্য এই রেঞ্জে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং ক্লোজ হয়েছে। যদি বিক্রেতারা 1.1260-এর নিচে কনসোলিডেশন ঘটাতে পারে, তবে মূল্য 1.1200-এর দিকে যেতে পারে। অন্যথায়, পেয়ারটি 1.1300–1.1400 রেঞ্জে ট্রেড করতে পারে।

Rassel Vuiya
2025-05-06, 04:23 PM
ফেডের বৈঠকের ফলাফল EUR/USD পেয়ারের দরপতন ঘটাতে পারে
এই পেয়ারের মূল্য বর্তমানে 1.1345 রেজিস্ট্যান্স লেভেলের নিচে একটি সংকীর্ণ রেঞ্জে কনসলিডেট করছে, যেখানে ট্রেডাররা ৭ মে বুধবার শেষ হতে যাওয়া ফেডের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। যদি ফেড প্রত্যাশিতভাবে মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখে এবং জুনে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করে, তাহলে পেয়ারটির ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং এটির মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, পেয়ারটির মূল্য বর্তমানে 1.1260–1.1410 এর সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে কনসলিডেট করছে। এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে পেয়ারটির উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটতে পারে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ ও ট্রেডিং আইডিয়া: এই পেয়ারের মূল্য বর্তমানে বোলিঙ্গার ব্যান্ডসের মিডিয়ান লাইনে অবস্থান করছে এবং 5-দিন ও 14-দিন SMA-এর উপরে রয়েছে। RSI সূচক 50% লেভেলের নিচে অবস্থান করছে এবং এটি একটি স্থানীয় নিম্নমুখী রিভার্সালের ইঙ্গিত দিচ্ছে। স্টোকাস্টিক সূচকও একই লেভেলের নিচে রয়েছে, তবে এর ক্রসওভার একটি সম্ভাব্য ঊর্ধ্বমুখী রিবাউন্ডের ইঙ্গিত দিতে পারে। আমার মতে, পেয়ারটির মূল্য প্রথমে 1.1260 পর্যন্ত কমে যেতে পারে এবং পরবর্তীতে 1.1185 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এন্ট্রি পয়েন্ট হিসেবে 1.1308 লেভেলটি বিবেচনা করা যেতে পারে। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/409670)
http://forex-bangla.com/customavatars/191377900.jpg

SUROZ Islam
2025-05-09, 12:35 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/3065788.jpg
EUR/USD পেয়ার 1.1300-এর সাইকোলজিক্যাল লেভেলের নিচে দরপতনের শিকার হয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মের্জ নির্বাচিত হওয়ায় ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে ইউরো কিছুটা সহায়তা পাচ্ছে। অন্যদিকে, বুধবার ফেডারেল রিজার্ভ হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা সত্ত্বেও মার্কিন ডলার তাৎপর্যপূর্ণ সহায়তা পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটি EUR/USD পেয়ারের জন্য একটি অতিরিক্ত ইতিবাচক প্রেক্ষাপট তৈরি করছে। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর মানে হচ্ছে, ফেড এখনই সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে না। তবে, বাণিজ্য শুল্ক থেকে উদ্ভূত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ডলার ক্রেতাদের আরও সতর্ক ও রক্ষণাত্মক অবস্থানে নিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে দ্রুত পরিবর্তনশীল বাণিজ্য নীতির কারণে বিনিয়োগকারীরা এখনো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে বোয়িং বিমানের ওপর শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাতে বাণিজ্য সংঘাত আরও বাড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। এটি EUR/USD পেয়ারের ক্রয়ের আগ্রহেও বাধা দিচ্ছে। আজ ট্রেডিংয়ের কার্যকর সুযোগ গ্রহণের জন্য মার্কিন সাপ্তাহিক বেকার ভাতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। মার্কিন সেশনের সময় ওভাল অফিস থেকে ট্রাম্পের একটি প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি, ইসিবির সুপারভাইজরি বোর্ডের সদস্য তুয়োমিনেনের বক্তব্য মার্কেটে ভোলাটিলিটি বাড়াতে পারে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ: যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1265 এর সাপোর্ট লেভেলের নিচে নেমে যায়, তাহলে পরবর্তী গন্তব্য হবে সাইকোলজিক্যাল লেভেল 1.1200। এই লেভেল ব্রেক করা হলে আরও গভীর দরপতনের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। রেজিস্ট্যান্স লেভেল 1.1375-এ রয়েছে; এর ওপরে 1.1425-এ একটি সাপ্লাই জোন রয়েছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য এই জোনে কনসোলিডেট করতে পারে, তাহলে পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে রাউন্ড লেভেল 1.1500, এবং সেখান থেকে গত মাসের উচ্চতা 1.1570 রিটেস্ট করার এবং সম্ভাব্যভাবে 1.1600 পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে পারে। এখন পর্যন্ত দৈনিক চার্টের অসসিলেটরগুলো নেগেটিভ টেরিটরিতে প্রবেশ করেনি, যার মানে এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবুও, স্বল্প সময়ের টাইমফ্রেমে মনোযোগ দেওয়া উচিত, যেখানে অসসিলেটরগুলো ইতোমধ্যে নেগেটিভ জোনে চলে গেছে। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/410124)

Rassel Vuiya
2025-05-12, 07:19 PM
EUR/USD. সাপ্তাহিক পর্যালোচনা। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার জন্য প্রস্তুত থাকুন
http://forex-bangla.com/customavatars/157955121.jpg
আগামী সপ্তাহে সকল ডলার পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিদের বৈঠকের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। তৃতীয়ত, আমরা ফেডারেল রিজার্ভের অনেক কর্মকর্তার বক্তব্য শুনতে পাব, যার মধ্যে রয়েছেন জেরোম পাওয়েল, যিনি বৃহস্পতিবার বক্তব্য দেবেন। এই সমস্ত বিষয়গুলো ইঙ্গিত করছে যে, এ সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করবে। মূল আলোচ্য বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আসন্ন আলোচনা। জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্রথম দফার বৈঠকের প্রাথমিক ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সুইজারল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি ও চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার (অর্থনৈতিক বিষয়ক) মধ্যে একটি প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিনিধিত্বের স্তর বিবেচনায়, ট্রেডারদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে যে এই বৈঠক পূর্ণমাত্রার আলোচনার সূচনা হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাথমিক মন্তব্যগুলো বিবেচনা করলে দেখা যায়, এই আশাবাদ অযৌক্তিক নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, চীনের সঙ্গে "বড় ধরনের অগ্রগতি" হয়েছে, যা "সম্পূর্ণ পুনর্গঠন"-এর দিকে যেতে পারে। তিনি বলেন, জেনেভার বৈঠকের ফলাফল "খুবই ভালো ছিল," এবং "অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে ও অনেক বিষয়েই একমত হওয়া গেছে।" রবিবার দ্বিতীয় দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদি চীন ট্রাম্পের এই আশাবাদী মনোভাবের প্রতিধ্বনি দেয় (বেইজিং এখনো শনিবারের বৈঠক সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি), তাহলে ডলার উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা পাবে। যদিও পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য আলোচনা শুরু হতে সপ্তাহ বা মাস লেগে যেতে পারে, তবে স্বল্পমেয়াদে যেকোনো অগ্রগতি মার্কেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। চার সপ্তাহের শুল্ক সংক্রান্ত অচলাবস্থার পর আলোচনায় গতি আসলে ডলারের পক্ষে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তবে, যদি চীন জেনেভা বৈঠক সম্পর্কে শীতল প্রতিক্রিয়া জানায়, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। এটি পুরোপুরি সম্ভব, কারণ ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের কোনো কর্মকর্তা সুইজারল্যান্ডে প্রথম দিনের আলোচনা নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি। জেনেভা থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রেস বিবৃতি আসেনি। তাই ডলারের ক্রেতাদের এখনই উদযাপন শুরু করা উচিত নয়: যদি আমরা ট্রাম্পের অত্যন্ত আশাবাদী বক্তব্য থেকে দূরে থাকি (যা তিনি দ্বিতীয় দফার আলোচনার আগেই দিয়েছেন), তাহলে বড় ধরনের অগ্রগতির সম্ভাবনা এখনো অস্পষ্ট। ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি হোয়াইট হাউস ও বিশেষ করে বেইজিংয়ের আনুষ্ঠানিক মন্তব্যের ওপর নির্ভর করবে। আলোচনা বাদে যেসব প্রতিবেদন EUR/USD পেয়ারকে প্রভাবিত করবে: যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন। মঙ্গলবার, ১৩ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশিত হবে। যেহেতু এপ্রিলেই ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কার্যকর হয়েছে, ট্রেডাররা মূল্যায়ন করবেন, এই শুল্কগুলো কত দ্রুত ও কতটা উল্লেখযোগ্যভাবে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক বার্ষিক ভিত্তিতে ২.৪%-এ থাকবে, এবং কোর CPI ৩.০%-এ পৌঁছাতে পারে (পূর্ববর্তী মাসে এটি ছিল ২.৮%)। বৃহস্পতিবার, ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি বিষয়ক সূচক—প্রোডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে। এখানেও একই ধরনের ফলাফল প্রত্যাশিত: সামগ্রিক PPI বা উৎপাদক মূল্য সূচক পূর্ববর্তী মাসের মতো ২.৭% থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং কোর ইনডেক্স কিছুটা বাড়বে ৩.৫%-এ (আগের মাসে ছিল ৩.৩%)। শুক্রবার, ১৬ মে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি বিষয়ক সূচক প্রকাশিত হবে: ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ভোক্তা আস্থা সূচক। চার মাসের টানা পতনের পর, এই সূচকটি মে মাসে (৫৩.১) কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে প্রত্যাশা। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে ইনফ্লেশন এক্সপেকটেশন ইন্ডিকেটর বা মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা সূচকের ওপর, যা মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা হিসাব করা হয়। এপ্রিল মাসে এই সূচক ৬.৫%-এ পৌঁছায় (যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ)। যদি মে মাসেও এই প্রত্যাশা বেড়ে যায় (যদিও এখনো কোনো পূর্বাভাস দেয়া হয়নি), তাহলে ডলারের ক্রেতারা এটিকে নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে, কারণ তাহলে ট্রেডাররা আবারও স্ট্যাগফ্লেশন বা স্থবিরতার ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। তবে, মার্কিন ডলারের "মুভমেন্ট" মূলত জেনেভা বৈঠকের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সুইজারল্যান্ডে আলোচনার ভিত্তি নির্ধারণে একমত হয় এবং উত্তেজনা প্রশমনের পথে এগোয়, তাহলে ডলার অন্য সব সম্ভাব্য নেতিবাচক চাপ মোকাবিলা করতে পারবে। অর্থাৎ, তখন ভবিষ্যতের আলোচনার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মূল্যায়ন করা হবে। ধরে নেওয়া যাক, পূর্বাভাসের বিপরীতে CPI ও PPI যদি যথেষ্ট বেড়ে যায়, তবুও যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আলোচনায় অংশ নেয়, তাহলে ট্রেডাররা হয়তো সেটিকে গুরুত্ব দেবে না। অন্যদিকে, যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রতিটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফল পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলবে। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/410350)

Rakib Hashan
2025-05-13, 06:29 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/1333566544.jpg
আজ EUR/USD পেয়ার কিছুটা পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে এটি এখনও চাপের মুখে রয়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির ফলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। সপ্তাহান্তে, সুইজারল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার আওতায় শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—যা বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত দেয়। এই চুক্তির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের উপর শুল্ক 145% থেকে কমিয়ে 30%-এ নামিয়ে আনবে এবং চীন আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক 125% থেকে কমিয়ে 10%-এ আনবে। এই অগ্রগতি মার্কেটে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্থিতিশীল করার দিকে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আজ ট্রেডিংয়ের জন্য ভালো সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে ট্রেডারদের নর্থ আমেরিকান সেশনে প্রকাশিতব্য এপ্রিল মাসের মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখতে হবে। অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিচ্ছেন যে, মাসিক ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতি -0.1% থেকে বেড়ে 0.3%-এ পৌঁছাতে পারে, এবং কোর CPI-ও 0.1% থেকে বেড়ে 0.3% হতে পারে। তবে বার্ষিক ভিত্তিতে এই সূচকগুলো অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। অপরদিকে, ইউরো এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে, কারণ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতার প্রতিক্রিয়ায় তাদের মুদ্রানীতির নমনীয়করণ আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে বলে ধারণা জোরদার হচ্ছে। সম্প্রতি ইসিবি একাধিক কর্মকর্তা চলমান বাণিজ্য অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতার কথা উল্লেখ করে সুদের হার আরও কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে, গত শুক্রবার স্ট্যানফোর্ডে ইসিবির নির্বাহী বোর্ড সদস্য ইসাবেল স্নাবেল তার বক্তব্যে কিছুটা সতর্ক অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সুদের হার যথাযথ রয়েছে এবং তা নিরপেক্ষ পর্যায়ে থাকা উচিত। পাশাপাশি তিনি মাঝারি মেয়াদে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির কথা বলেও সতর্ক করে বলেন, যা চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ইসিবির 2% এর লক্ষ্যমাত্রাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ফলে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যত মুভমেন্ট মূলত নির্ভর করবে বাণিজ্য আলোচনার ফলাফল, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং ইসিবির মুদ্রানীতির সংকেতগুলোর উপর। ট্রেডারদের এই বিষয়গুলোর দিকেই নিবিড়ভাবে দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1100-এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেলের ওপরে থাকতে সক্ষম হয়, তাহলে পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.11525-এর কাছাকাছি রয়েছে, যা 1.1200-এর রাউন্ড লেভেলের দিকে মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করে। তবে, দৈনিক চার্টে রিলেটিভ স্ট্রেন্থ সূচক (RSI) নেগেটিভ টেরিটরিতে থাকায় 1.1200-এর দিকে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাছাড়া, ঘন্টাভিত্তিক ও ৪-ঘন্টার চার্টে থাকা অসসিলেটরগুলো এখনও বিয়ারিশ জোনে রয়েছে। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/410510)

SUROZ Islam
2025-05-19, 04:50 PM
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ১৯ মে
http://forex-bangla.com/customavatars/2085751624.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের বিশ্লেষণ শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের সামান্য দরপতন হয়েছে। যদিও ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দেখে মনে হতে পারে যে সারাদিন ধরেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছিল, তবে প্রকৃতপক্ষে সারাদিনে মার্কিন ডলারের দর মাত্র ১৯ পিপস বেড়েছে—যা কার্যত বৃদ্ধি পেয়েছে বলার মতো পর্যাপ্ত নয়। সামগ্রিকভাবে, এখনো ধীর গতিতে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় রয়েছে, যার পেছনে মৌলিক কারণ হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর ব্যাপারে অনাগ্রহ এবং বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া কাজ করছে। তবে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে এখনো ডলারের প্রতি সংশয়ী মনোভাব বিরাজ করছে, এবং কেবলমাত্র সামান্য পরিমাণে ডলারের ক্রয়-বিক্রয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমান পরিস্থিতিতে ডলারের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি। শুক্রবার ডলার বিক্রির পক্ষেই যুক্তি বেশি ছিল বলা যায়। ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি বা প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত তিনটি প্রতিবেদন—হাউজিং স্টার্টস, বিল্ডিং পারমিটস, এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স—সাধারণত মার্কেটে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। তবুও, এই তিনটি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল। তবুও, এই সময় ডলারের দর বেড়েছে, যা আবারও প্রমাণ করে যে বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিস্থিতি ও মার্কেটে পরিলক্ষিত মুভমেন্টের মধ্যে কোনো সুস্পষ্ট সম্পর্ক বিদ্যমান নেই। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে মাত্র একটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া গেছে। মার্কিন সেশনের সময়, মূল্য 1.1179–1.1185 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে, এরপর নিম্নমুখী হতে থাকে এবং পরবর্তীতে মূল্য 1.1147-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়। এই লেভেলটি শর্ট পজিশন ক্লোজ করার জন্য উপযুক্ত ছিল, যার ফলে এই ট্রেড থেকে সামান্য লাভ হয়েছে। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/410941)

Montu Zaman
2025-06-02, 04:10 PM
২ জুন কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
http://forex-bangla.com/customavatars/63226083.jpg
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার অনেকটাই স্থিতিশীলভাবে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। এটি মোটেও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ছিল না, কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব দুর্বল ছিল এবং বৃহস্পতিবার মার্কিন আদালত কর্তৃক ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক বাতিল এবং সেই সিদ্ধান্ত ১৪ দিনের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণার যাবতীয় তথ্য মার্কেটে ইতোমধ্যে মূল্যায়িত হয়েছিল। মনে করিয়ে দিই যে বৃহস্পতিবার মার্কিন বাণিজ্য আদালত প্রথমে ট্রাম্পের শুল্ককে অবৈধ উল্লেখ করে তা অবরুদ্ধ করেছিল, তবে পরে তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে, প্রথমে ডলারের মূল্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বৃদ্ধি পায়, এরপর তিনগুণ বেশি মাত্রায় দরপতন ঘটে। শুক্রবার মার্কেটে একটি কারেকশন দেখা যায় এবং বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের মূল্য উচ্চ লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বজায় রাখছে। শুক্রবার জার্মানিতে প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল খুব একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেনি: মে মাসে ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ২.১% ছিল। ট্রেডাররা আশা করেছিলেন দেশটির CPI কমে ২%-এ নামবে, কিন্তু তা ঘটেনি। যেকোনো পরিস্থিতিতে, বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলছে না।
http://forex-bangla.com/customavatars/1363930858.jpg
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। যেহেতু সেদিন প্রবণতাভিত্তিক নয় বরং সাইডওয়েজ মুভমেন্ট চলমান ছিল, তাই সিগন্যালগুলো খুব একটা আদর্শ ছিল না। তা সত্ত্বেও, এই পেয়ারের মূল্য প্রথমে 1.1354–1.1363 এরিয়া ব্রেক করে এবং পরে মার্কিন সেশনের শুরুতে একই এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে। ফলে, নতুন ট্রেডাররা দুটি শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন। দুর্ভাগ্যবশত, কোনো ক্ষেত্রেই পেয়ারটির মূল্য নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি, তবে উভয় ক্ষেত্রেই মূল্য অন্তত ১৫ পিপস সঠিক দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। ওপেন করা ট্রেডগুলোর মধ্যে কোনোটি লোকসানে ক্লোজ হতো না। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইনের নিচে নেমে গেছে; তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে শুরু হওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অব্যাহত থাকতে পারে। মূলত, যেকোনো ইতিবাচক বা নেতিবাচক কারণ ছাড়াই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা মানেই মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। যদি ট্রাম্প আবার হুমকি-ধামকি, আল্টিমেটাম ও শুল্ক আরোপ/বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে শুরু করেন, তাহলে ট্রেডারদের সামনে ডলার বিক্রি করা ছাড়া খুব একটা বিকল্প থাকবে না। ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক বাতিল না করা মানেই বাণিজ্যযুদ্ধের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকছে। সোমবার পুনরায় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন শুরু হতে পারে, যেহেতু ট্রেন্ডলাইন ইতোমধ্যেই ব্রেক হয়েছে। একই সঙ্গে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, মার্কিন ডলারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির জন্য কোনো শক্তিশালী কারণ আপাতত নেই। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। সোমবার জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ISM সূচকের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
(https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/412254)