PDA

View Full Version : কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত - জানুয়ারি



Montu Zaman
2025-01-13, 04:06 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/546761861.jpg
সোমবার কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, যার মানে ট্রেডারদের নির্দিষ্ট কোনো প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ থাকবে না। তবে, শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রভাবে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ডিসেম্বরের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে, যেমনটি বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদনেও দেখা গেছে। অন্য দুটি প্রতিবেদন—মজুরি বৃদ্ধির হার এবং ভোক্তা আস্থার সূচক—তুলনামূলকভা ে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তব্য। এই ইভেন্টটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লেন ইউরোজোনের সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারেন এবং 2025 সালের মুদ্রাস্ফীতি এবং আর্থিক নীতিমালার সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে তার পূর্বাভাস প্রদান করতে পারেন। তবে, যেহেতু ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে কোন উল্লেখযোগ্য ফলাফল পরিলক্ষিত হয়নি, তাই তার বক্তব্যে খুব বেশি উল্লেখ করার মতো বিষয় নাও থাকতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের শান্ত এবং নিয়ন্ত্রিত মুভমেন্টের প্রত্যাশা নেই। কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই—যদি না ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও কোন "বড় পরিকল্পনার" মাধ্যমে মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করেন। তবে, ট্রেডাররা প্রায়শই ট্রাম্পের বিবৃতিগুলোকে সন্দেহের চোখে দেখে থাকে, তাই সোমবার উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছি না। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/397799)

Tofazzal Mia
2025-01-14, 06:28 PM
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাস-চলতি দশকের শেষ নাগাদ নিট কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে ৭৮ মিলিয়ন
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে জনসংখ্যা অনুপাতে কর্মসংস্থান বড় একটি চ্যালেঞ্জ আকারে রয়ে গেছে। দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির আকার, প্রযুক্তির পরিবর্তন ও নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে এ চ্যালেঞ্জ। বিষয়গুলো বিবেচনা করে সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) বলেছে, এ দশকের শেষ নাগাদ অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নিট ৭৮ মিলিয়ন বা ৭ কোটি ৮০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
http://forex-bangla.com/customavatars/482590016.jpg

SUROZ Islam
2025-01-15, 06:47 PM
টানা তৃতীয় বছরে চীনে করপোরেট মুনাফা পতনের আভাস
http://forex-bangla.com/customavatars/89275809.jpg
চীনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্থরতার প্রভাব পড়েছে দেশটির করপোরেট খাতে। দুই বছর ধরে এ খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমেছে, ২০২৪ সালের চূড়ান্ত আর্থিক ফলাফল আসার আগেই সে ধারা অব্যাহত থাকার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এনবিএস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মরগান স্ট্যানলির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে মূল্য সংকোচনজনিত চাপের কারণে করপোরেট খাতে মুনাফা পতনের প্রবণতা অব্যাহত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এনবিএসের তথ্যানুসারে, ২ কোটি ইউয়ান বা তার বেশি আয় করা করপোরেট কোম্পানির মুনাফা ২০২৩ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত গড়ে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। ২০২২ সালে কভিড-১৯ মহামারীর সময় মুনাফা কমার হার ছিল ৪ শতাংশ।
অন্যদিকে গত বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিগুলোর আয় বেড়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২২ সালে আয় বেড়েছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

এছাড়া গত বছর লোকসানে পড়া কোম্পানির সংখ্যাও বেড়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ইউয়ান বা তার বেশি আয় করা কোম্পানিগুলোর ২৫ শতাংশই সরাসরি লোকসান দেখেছে। ২০১৯ সালে মহামারীর আগের পুরো বছরে এ হার ছিল ১৬ শতাংশ।
মরগান স্ট্যানলির চিফ চায়না ইকুইটি স্ট্র্যাটেজিস্ট লরা ওয়াং বলেন, ‘পণ্য ও সেবার মূল্য কমে যাওয়াই মুনাফা কমার প্রধান কারণ।’
আগামী শুক্রবার চীনের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এটি প্রকাশিত হলে দেশটি ২০২৪ সালে ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে কিনা তা স্পষ্ট হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনের অর্থনীতি স্থবির ও ভোক্তা আস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
বিশ্বের প্রভাবশালী অর্থনীতিটি দ্বিমুখী সংকটে পড়েছে। রফতানি বাড়া সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমায় অর্থনীতি চাপে পড়েছে। অন্যদিকে সম্পত্তি খাতে দীর্ঘমেয়াদি মন্দার কারণে ভোক্তা চাহিদাও বাড়ছে না।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চীনের রফতানি ডলারের হিসাবে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। রফতানি প্রবৃদ্ধির এ হার রয়টার্সের বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ৭ দশমিক ৩ শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে। চীনের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে গত বছর তা উৎপাদকদের অতিরিক্ত সরবরাহ চাপ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়নি। বিক্রি বাড়াতে উৎপাদকরা রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে দাম কমিয়েছেন। ফলে মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এনবিএস জানিয়েছে, উৎপাদক মূল্য সূচক টানা ২৮ মাস ধরে নিম্নমুখী। অর্থনীতিবিদদের মতে, চলতি বছরেও এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
সিটি ব্যাংকের বিশ্লেষকরা এক প্রতিবেদনে বলেন, ‘পণ্যের দাম কমার কারণে করপোরেট মুনাফা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এছাড়া চাহিদা হ্রাস ও অতিরিক্ত প্রতিযোগিতার কারণে মুনাফা কমে যাচ্ছে। এ কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরো প্রভাবিত হচ্ছে।’
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বড় প্রতিষ্ঠানকে ব্যাপকভাবে সহায়তা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও এনবিএসের করপোরেট মুনাফাসংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কমে গেছে। অন্যদিকে বেসরকারি ও বিদেশী কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমেছে ১ শতাংশ বা তার কম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বেইজিং সরকারের বাস্তবায়ন করা বিভিন্ন সামাজিক বা ভূরাজনৈতিক কৌশলের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা দূর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে তা অর্থনীতির ওপর বাড়তি বোঝা তৈরি করেছে। এ ধরনের পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে শেয়ার ক্রয় বা বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় আন্তর্জাতিক অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ।

বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ গ্রুপের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ লিক্সিন কলিন সু বলেন, ‘বর্তমান হারে মুনাফা কমতে থাকলে সরকারের প্রণোদনা নীতি দীর্ঘদিন ধরে বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।’
চায়না অ্যাসোসিয়েশন ফর পাবলিক কোম্পানিজের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে মূল ভূখণ্ডে ৫ হাজার ৩৬৮টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ২৩ শতাংশ নিট ক্ষতির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ কোম্পানির মুনাফা ও ৪৫ শতাংশ কোম্পানির আয় কমেছে।
মরগান স্ট্যানলির লরা ওয়াংয়ের পূর্বাভাস অনুসারে, এমএসসিআই চায়না সূচকে থাকা কোম্পানিগুলোর মুনাফা ২০২৫ সালে ৫ শতাংশ বাড়বে, যা গত বছরের ৭ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কম।
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম কমায় আয় বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই কোম্পানিগুলোকে এখন শেয়ার বাইব্যাক বা লভ্যাংশ দেয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের মুনাফার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’
পাশাপাশি ব্যবসা কৌশল পরিবর্তনের পরামর্শও দেন লরা ওয়াং। তিনি বলেন, ‘২০-৩০ বছর ধরে কোম্পানিগুলো তাদের আয় পুনর্বিনিয়োগ করে নতুন বাজার দখল বা ব্যবসার সম্প্রসারণে কাজ করেছিল। এ দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।’

Rassel Vuiya
2025-01-16, 06:48 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/933345840.jpg
বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এগুলোর কোনটিই গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনের মতো ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাজ্যে, জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; তবে, যেহেতু জিডিপি প্রতিবেদনটি মাসিক এবং প্রান্তিক ভিত্তিক নয়, তাই এটির ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া সীমিত হতে পারে। উভয় প্রতিবেদন থেকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। জার্মানিতে, ডিসেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভবত মার্কেটে সীমিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। যুক্তরাষ্ট্রে, খুচরা বিক্রয় এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো মাঝারি মাত্রার গুরুত্ব বহন করে, তবে মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্ট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে আজ মার্কেটে স্বল্প মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হতে পারে, তবে শক্তিশালী ও দিকনির্দেশনামূলক মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, কারণ প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কোনো কর্মকর্তাই বক্তৃতা দেবেন না। তবে, গতকালের যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন কিছুটা অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে। নিকট ভবিষ্যতে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিরা ইঙ্গিত দিতে পারেন যে পুর্বের অনুমান অনুযায়ী ২০২৫ সালে ০.২৫% করে দুইবার সুদের হার হ্রাসের তুলনায় আরও কম মাত্রায় মুদ্রানীতি নমনীয়করণের হতে পারে। এর ফলে মার্কিন ডলার পুনরায় শক্তিশালী হতে শুরু করতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষভাগে, মার্কেটে মাঝারি মাত্রা ট্রেডিং কার্যক্রমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ আজ কোনো বড় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের শিল্প উৎপাদন এবং জিডিপি ও পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গতকাল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে বলে আমরা আশা করছি। তবে, আজকের ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো টেকনিক্যাল এনালাইসিসের উপর বেশি নির্ভর করবে। (https://instaforex.org/bd/forex_analysis/398224)