Rassel Vuiya
2025-01-22, 07:40 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/958408098.jpg
হোয়াইট হাউজে ফিরেই কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশ দুটি থেকে আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার পর আর্থিক বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমে গেছে কানাডিয়ান ডলার ও মেক্সিকার পেসোর বিনিময় হার। সোমবার শপথ নেয়ার পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেক্সিকো ও কানাডার বিরুদ্ধে শুল্ক কার্যকরের কথা জানান ট্রাম্প। এর আগেও দুই প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের বিরুদ্ধে সীমান্ত নিরাপত্তার দুর্বলতা ও মাদক পাচারের জবাবে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ঘোষণার প্রভাব পড়েছে আর্থিক বাজারে। এদিন ডলারের বিপরীতে মেক্সিকোর মুদ্রা পেসোর বিনিময় হার ১ দশমিক ১ শতাংশ ও কানাডিয়ান ডলারের বিনিময় হার দশমিক ৯ শতাংশ কমে গেছে। গতকাল এশিয়ার বাজারে লেনদেন শুরুর পর এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক আরোপের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। বরং বাণিজ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। তাদের এমন আশ্বাসে দেশ দুটির মুদ্রার বিনিময় হার সোমবার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক বাড়ানোর কথা বলে আসছেন। দায়িত্ব নিয়েও বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। জো বাইডেন প্রশাসনের প্রধান আর্থিক নীতি বাতিল ও মার্কিন অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রক্ষণশীল কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছেন সদ্য দায়িত্ব নেয়া প্রেসিডেন্ট। বিনিয়োগকারীরা চলতি সপ্তাহে মুদ্রাবাজারে বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। বিনিময় হারের সাম্প্রতিক ওঠানামা সেদিকেই ইঙ্গিত দেয়।
অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স বার্নস্টেইনের অর্থনীতিবিদ এরিক উইনোগ্রাড বলেন, ‘আর্থিক বাজারে এ ধরনের অস্থিরতা এখন নতুন বাস্তবতায় পরিণত হতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের অধীনে আমরা পূর্বাভাসযোগ্য ও দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে নেয়া নীতিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ট্রাম্প প্রশাসনের বেলায় সম্ভবত তা হবে না।’
এদিকে বাজারের উদ্বেগের কারণে মার্কিন ডলার সূচক অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ১ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কসংক্রান্ত মন্তব্যের পর এ পতন কিছুটা কমে এসে দশমিক ৯ শতাংশে স্থিতিশীল হয়। সর্বশেষ কার্যদিবসে ওয়াল স্ট্রিটের পুঁজিবাজার এসঅ্যান্ডপি-৫০০ ও নাসডাক-১০০ সূচক লেনদেনের শেষ দিকে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে শুল্ক ব্যবস্থাকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের ইঙ্গিতও দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি জ্বালানি তেল না কিনলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইইউ) আমাদের গাড়ি নেয় না, কৃষিপণ্য নেয় না। তারা প্রায় কিছুই নেয় না। কিন্তু আমরা তাদের গাড়ি নিই, কৃষিপণ্য নিই, অনেক কিছু নিই। তাই আমরা হয় শুল্কের মাধ্যমে এটি ঠিক করব অথবা তারা আমাদের জ্বালানি তেল কিনবে।’
ডলারের ইনডেক্সে সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা ইউরো। গতকাল এশিয়া-প্যাসিফিকের বাজারে লেনদেন শুরুর দিকে মুদ্রাটির বিনিময় হার দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১ ডলার শূন্য ৪ সেন্টে নেমে যায়। আগের দিন ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল ইউরোর বিনিময় হার।
একই দিন পাউন্ডের বিনিময় হারও দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১ ডলার ২৩ সেন্টে নেমে যায়, যা আগের দিন দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
এদিকে চীনের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎভাবে মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন এশিয়ার মুদ্রা ব্যবসায়ীরা। যদিও ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন, বেইজিং টিকটকের আংশিক নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে অস্বীকার করলে তিনি এটি করতে পারেন।
চীনের মূল ভূখণ্ডের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সূচক সিএসআই-৩০০ গতকাল লেনদেনের মাঝামাঝি সময়ে স্থিতিশীল ছিল। অন্যদিকে হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ে। ডলারের বিপরীতে অফশোর রেনমিনবির বিনিময় হারও ছয় সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ২৫ রেনমিনবি হয়েছিল। পরে তা কমে ৭ দশমিক ২৮ রেনমিনবিয়ে নেমে আসে।
বিএনপি পারিবাসের কৌশলবিদ জেসন লুই বলেন, ‘ট্রাম্প তার প্রথম দিনেই চীনের ওপর তৎক্ষণাৎ কোনো শুল্ক আরোপ করেননি। ফলে শেয়ারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ কিছুটা লাঘব করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ফোনালাপ হয়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি সৃষ্টি করেছিল। ফলে চীনা শেয়ারবাজার সূচক ট্রাম্পের অভিষেকের আগে বৃদ্ধি পেয়েছিল।’
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পরই কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট হারে শুল্কের বার্তা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে দেশ তিনটি দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। তখন চীন বলেছিল, এ ধরনের বাণিজ্যযুদ্ধে কোনো পক্ষই বিজয়ী হতে পারে না।
হোয়াইট হাউজে ফিরেই কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশ দুটি থেকে আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার পর আর্থিক বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমে গেছে কানাডিয়ান ডলার ও মেক্সিকার পেসোর বিনিময় হার। সোমবার শপথ নেয়ার পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেক্সিকো ও কানাডার বিরুদ্ধে শুল্ক কার্যকরের কথা জানান ট্রাম্প। এর আগেও দুই প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের বিরুদ্ধে সীমান্ত নিরাপত্তার দুর্বলতা ও মাদক পাচারের জবাবে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ঘোষণার প্রভাব পড়েছে আর্থিক বাজারে। এদিন ডলারের বিপরীতে মেক্সিকোর মুদ্রা পেসোর বিনিময় হার ১ দশমিক ১ শতাংশ ও কানাডিয়ান ডলারের বিনিময় হার দশমিক ৯ শতাংশ কমে গেছে। গতকাল এশিয়ার বাজারে লেনদেন শুরুর পর এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক আরোপের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। বরং বাণিজ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। তাদের এমন আশ্বাসে দেশ দুটির মুদ্রার বিনিময় হার সোমবার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক বাড়ানোর কথা বলে আসছেন। দায়িত্ব নিয়েও বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। জো বাইডেন প্রশাসনের প্রধান আর্থিক নীতি বাতিল ও মার্কিন অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রক্ষণশীল কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছেন সদ্য দায়িত্ব নেয়া প্রেসিডেন্ট। বিনিয়োগকারীরা চলতি সপ্তাহে মুদ্রাবাজারে বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। বিনিময় হারের সাম্প্রতিক ওঠানামা সেদিকেই ইঙ্গিত দেয়।
অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স বার্নস্টেইনের অর্থনীতিবিদ এরিক উইনোগ্রাড বলেন, ‘আর্থিক বাজারে এ ধরনের অস্থিরতা এখন নতুন বাস্তবতায় পরিণত হতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের অধীনে আমরা পূর্বাভাসযোগ্য ও দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে নেয়া নীতিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ট্রাম্প প্রশাসনের বেলায় সম্ভবত তা হবে না।’
এদিকে বাজারের উদ্বেগের কারণে মার্কিন ডলার সূচক অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ১ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কসংক্রান্ত মন্তব্যের পর এ পতন কিছুটা কমে এসে দশমিক ৯ শতাংশে স্থিতিশীল হয়। সর্বশেষ কার্যদিবসে ওয়াল স্ট্রিটের পুঁজিবাজার এসঅ্যান্ডপি-৫০০ ও নাসডাক-১০০ সূচক লেনদেনের শেষ দিকে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে শুল্ক ব্যবস্থাকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের ইঙ্গিতও দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি জ্বালানি তেল না কিনলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইইউ) আমাদের গাড়ি নেয় না, কৃষিপণ্য নেয় না। তারা প্রায় কিছুই নেয় না। কিন্তু আমরা তাদের গাড়ি নিই, কৃষিপণ্য নিই, অনেক কিছু নিই। তাই আমরা হয় শুল্কের মাধ্যমে এটি ঠিক করব অথবা তারা আমাদের জ্বালানি তেল কিনবে।’
ডলারের ইনডেক্সে সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা ইউরো। গতকাল এশিয়া-প্যাসিফিকের বাজারে লেনদেন শুরুর দিকে মুদ্রাটির বিনিময় হার দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১ ডলার শূন্য ৪ সেন্টে নেমে যায়। আগের দিন ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল ইউরোর বিনিময় হার।
একই দিন পাউন্ডের বিনিময় হারও দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১ ডলার ২৩ সেন্টে নেমে যায়, যা আগের দিন দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
এদিকে চীনের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎভাবে মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন এশিয়ার মুদ্রা ব্যবসায়ীরা। যদিও ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন, বেইজিং টিকটকের আংশিক নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে অস্বীকার করলে তিনি এটি করতে পারেন।
চীনের মূল ভূখণ্ডের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সূচক সিএসআই-৩০০ গতকাল লেনদেনের মাঝামাঝি সময়ে স্থিতিশীল ছিল। অন্যদিকে হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ে। ডলারের বিপরীতে অফশোর রেনমিনবির বিনিময় হারও ছয় সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ২৫ রেনমিনবি হয়েছিল। পরে তা কমে ৭ দশমিক ২৮ রেনমিনবিয়ে নেমে আসে।
বিএনপি পারিবাসের কৌশলবিদ জেসন লুই বলেন, ‘ট্রাম্প তার প্রথম দিনেই চীনের ওপর তৎক্ষণাৎ কোনো শুল্ক আরোপ করেননি। ফলে শেয়ারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ কিছুটা লাঘব করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ফোনালাপ হয়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি সৃষ্টি করেছিল। ফলে চীনা শেয়ারবাজার সূচক ট্রাম্পের অভিষেকের আগে বৃদ্ধি পেয়েছিল।’
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পরই কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট হারে শুল্কের বার্তা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে দেশ তিনটি দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। তখন চীন বলেছিল, এ ধরনের বাণিজ্যযুদ্ধে কোনো পক্ষই বিজয়ী হতে পারে না।