Log in

View Full Version : ফেড সুদের হার অপরিবর্তিত রাখায় এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন আলোচনার অগ্রগতি



Tofazzal Mia
2025-05-08, 07:26 PM
ফেড সুদের হার অপরিবর্তিত রাখায় এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন আলোচনার অগ্রগতি ডলারকে সহায়তা করছে (EUR/USD এবং স্বর্ণের দরপতনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে)
http://forex-bangla.com/customavatars/524155725.jpg
ফেডারেল রিজার্ভ আগের অবস্থানে অনড় রয়েছে এবং ফেডের প্রধান সুস্পষ্টভাবে "অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণ" কৌশলের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। লক্ষণীয়ভাবে, ফেড সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনগুলোর প্রতিক্রিয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি; বরং বর্ধিত অনিশ্চয়তাকেই এর মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বাস্তবিক অর্থেই, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন ইতোমধ্যেই প্রাথমিকভাবে এই ধারণা দিয়েছে যে "পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলার" রাজনীতি সম্ভবত আগামী চার বছরব্যাপী চলবে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেবল তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের প্রতীক নন, বরং আমেরিকার জীবনব্যবস্থাকে পুনর্গঠনকারী গভীর কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। এই পরিবর্তনগুলো স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতার সূচনা করবে। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির বৈঠক এবং জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে বলতে গেলে, আমি মনে করি বিষয়গুলোর ভিন্নভাবে অগ্রসর হওয়া সম্ভব ছিল। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক উত্তেজনা থেকে উদ্ভূত অনিশ্চয়তা বিবেচনায় ফেড যদি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা স্বীকার করে এবং সুদের হার ০.২৫% কমানোর ইঙ্গিত দিত, তাহলে সেটি একটি বাস্তবসম্মত বার্তা হতে পারত। কিন্তু সেটি ঘটেনি। বরং পাওয়েল উল্লেখ করেছেন যে "বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতির উচ্চ ঝুঁকি" বিদ্যমান এবং ফেড পূর্বানুমানের ভিত্তিতে নয়, বরং প্রকৃত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই পদক্ষেপ নেবে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি এখনো উচ্চ পর্যায়ে রয়ে গেছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুযায়ী, ফেডের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া এবং পাওয়েলের সতর্ক অবস্থান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতাকে দুর্বল করার প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে, যা তথাকথিত "ডিপ স্টেট" এর সিদ্ধান্ত হতে পারে। ইতিহাসে ফেড অর্থনীতিকে পরিচালিত করতে প্রাক্-প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেডের এই অবস্থান রাজনৈতিক প্রতিরোধের সূক্ষ্ম রূপ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। তাহলে মার্কেটে কী ঘটবে? মার্কেটে আগামী চার বছর কঠিন সময় বিরাজ করতে পারে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সমর্থন ও ঐকমত্যের অভাব সংঘাত সৃষ্টি করবে এবং এর ফলস্বরূপ অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেবে। ট্রাম্পের উচ্চ মাত্রার অনিশ্চিত ও অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত—যেখানে তিনি মাঝে মধ্যেই ঘণ্টার ব্যবধানে অবস্থান বদল করেন—মার্কেটে এলোমেলো মুভমেন্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তার নীতিগত মোড় পরিবর্তনের প্রচেষ্টা বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে কেবল খবর ও বাইরের আলোচনায় প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য করতে পারে। আজ কী প্রত্যাশা করা যায় বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি যুক্তরাষ্ট্র-চীন আলোচনার অগ্রগতির দিকে থাকবে, এবং যেকোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত ট্রেডাররা ভালোভাবে গ্রহণ করবে। এর ফলে স্টক, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং কমোডিটি-ভিত্তিক অ্যাসেটের চাহিদা বাড়তে পারে। ফেড সুদের হার অপরিবর্তিত রাখায় ডলার আরও সহায়তা পেতে পারে। অপরদিকে, স্বর্ণের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/410110)