Log in

View Full Version : বাণিজ্য উত্তেজনা সত্ত্বেও ৫.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি চীনের



SaifulRahman
2025-07-16, 05:03 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/44208499.jpg
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের শুল্ক বিবাদে বর্তমানে সাময়িক বিরতি চলছে। তবে গত প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) শুরুতে বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্রতর হয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, সেই পরিস্থিতিতেও চীনের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থায় ছিল। জুনে শেষ হওয়া প্রান্তিকে চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। অবশ্য আগের প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) চীনের অর্থনীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ সম্প্রসারণ হয়। সব মিলিয়ে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত চীনের বার্ষিক জিডিপি লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
চীনের সরকারি পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপড়েন থাকায় এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি একটু ধীর হয়েছে। তবে ছয় মাসের মোট প্রবৃদ্ধির হার সরকার ঘোষিত পুরো বছরের প্রায় ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে।
ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের ঝিচুন হুয়াং জানিয়েছেন, চলতি বছরের প্রথমার্ধে কারখানার যন্ত্রপাতি ও ভবনের মতো স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ বেড়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ, আর জুনে এসে তা নেমে আসে দশমিক ৫ শতাংশে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, গত এপ্রিল ও মে মাসে চীনের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি বার্ষিক হিসাবে ৪ শতাংশেরও নিচে ছিল। পুরো বছরের জন্য ৩ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষক ঝিচুন হুয়াং।
তবে তিনি বলেন, সরকারিভাবে ঘোষিত প্রবৃদ্ধির হার এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। কারণ অর্থনৈতিক বাস্তবতা কঠিন হলেও বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে রাজনৈতিক চাপ রয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে শক্তিশালী রফতানি খাত। গত মাসে দেশটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে মে মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এ ঊর্ধ্বগতির পেছনে অন্যতম কারণ যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক কিছু সময়ের জন্য শিথিল হওয়া।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির প্রভাব কমাতে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য দেশে রফতানি বাড়িয়েছে এবং তাদের কিছু উৎপাদন কার্যক্রম চীনের বাইরে সরিয়ে নিয়েছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, সক্রিয় ও কার্যকর সরকারি নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং এতে ভালো গতিশীলতা দেখা যাচ্ছে।