Log in

View Full Version : আগামী চার বছরে বৈশ্বিক জিডিপির শতভাগ ছাড়াবে সরকারি ঋণ



SUROZ Islam
2025-10-17, 02:26 PM
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, ২০২৯ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জিডিপির শতভাগকে ছাড়িয়ে যাবে বৈশ্বিক সরকারি ঋণ। এটি ১৯৪৮ সালের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। সম্প্রতি অক্টোবর সংখ্যার ‘ফিসকাল মনিটর’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইএমএফ। সেখানে হালনাগাদ জিডিপি পূর্বাভাসসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণ বিভিন্ন সময়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। আইএমএফও একাধিকবার সতর্কবার্তা দিয়েছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা-পরবর্তী সময়ে ঋণের গতিপথ আগের পূর্বাভাসের তুলনায় আরো ঊর্ধ্বমুখী ও খাড়া হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি ঝুঁকির পরিধিও বেড়েছে ব্যাপক। এটি ইঙ্গিত দেয় যে বৈশ্বিক সরকারি ঋণ আরো দ্রুতগতিতে বাড়তে পারে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1933886282.JPG
আইএমএফ আরো উল্লেখ করেছে, ৫ শতাংশ সম্ভাব্য ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৯ সালের মধ্যে সরকারি ঋণ জিডিপির ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

ঋণের পরিমাণ জিডিপির শতভাগ ছাড়িয়ে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বেশির ভাগ শীর্ষ অর্থনীতি। আইএমএফ বলছে, এসব দেশে সরকারি ঋণ এরই মধ্যে জিডিপির ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে বা শিগগিরই ছাড়িয়ে যাবে।

আগামী পাঁচ বছরে যেসব দেশের সরকারি ঋণ জিডিপির ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে, সেসব দেশের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জিডিপিতে ওই দেশগুলোর অংশীদারত্বও বাড়বে।

জি২০ দেশগুলোর মধ্যে কানাডা, চীন, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণ এরই মধ্যে জিডিপির ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আইএমএফের মতে, এ দেশগুলোর সরকারি বন্ডবাজার সাধারণত বড়, সক্রিয় ও উচ্চ তারল্যসম্পন্ন। নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও তাদের সুযোগ ব্যাপক। ফলে এসব দেশের আর্থিক ঝুঁকি তুলনামূলক মধ্যম পর্যায়ে থাকে।

এর বিপরীত অবস্থান দেখা যায় অনেক উদীয়মান ও নিম্ন আয়ের দেশে। এসব দেশ তুলনামূলকভাবে কম সরকারি ঋণ থাকা সত্ত্বেও কঠিন আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিবেদন অনুসারে যেসব দেশের সরকারি ঋণ জিডিপির ৬০ শতাংশের নিচে সেসব দেশগুলোর সংখ্যা ২০২১ সালে শতাধিক ছিল এবং তা আরো বাড়তে পারে। তবে এসব দেশের সম্মিলিত জিডিপি বৈশ্বিক অর্থনীতির ৩০ শতাংশেরও কম।

আইএমএফ আরো জানিয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর নীতি ও অর্থায়নের সুযোগ সীমিত। জিডিপির তুলনায় তাদের ঋণের অনুপাত অনেক সময় ৬০ শতাংশের কম হলেও বর্তমানে ৫৫টি দেশ ঋণ সংকটে বা বড় ঝুঁকিতে রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করে বলেছে, যখন কোনো দেশ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তখন সময়োপযোগী ঋণ পুনর্গঠন অপরিহার্য, এতে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

এদিকে চলতি বছর শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ধাক্কার আশঙ্কা থাকলেও আইএমএফ এখন অনেকটা আশাবাদী। সংস্থাটি ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস জুলাইয়ের প্রাক্কলনের তুলনায় দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করেছে।