SaifulRahman
2025-11-05, 04:33 PM
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির কারণে দেশটির ধনকুবেররা নিজেদের দাতব্য কার্যক্রম চালিয়ে নিতে শতকোটি ডলারের তহবিল যুক্তরাজ্যে স্থানান্তর করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অর্থ মূলত সমাজে সমতা, মানবাধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যবহার হচ্ছে। সাত দাতা ও কর পরামর্শকের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মার্কিন দাতারা যুক্তরাজ্যে নতুন দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন অথবা বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করছেন। সম্প্রতি উদারপন্থী কার্যক্রমে সমর্থন দেয়া সংস্থার তহবিল সীমিত করতে সতর্কবার্তা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর থেকে অর্থ স্থানান্তরের প্রবণতা বাড়ছে। একজন জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জানিয়েছেন, মার্কিন একটি দাতব্য সংস্থা যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০ কোটি ডলারের একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করছে। অন্য এক মার্কিন দাতার পক্ষ থেকেও প্রায় সমপরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের তথ্য দিয়েছেন আরেক আইনি পরামর্শক। অন্য আইনজীবীরাও নিশ্চিত করেছেন, অনেক মার্কিন ধনী একই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
http://forex-bangla.com/customavatars/1630478305.jpg
একটি শীর্ষস্থানীয় মার্কিন দাতব্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, বড় সংস্থার মধ্যে অর্থ স্থানান্তরের প্রবণতা বেশি। তিনি আরো জানান, যুক্তরাজ্যকে বেছে নেয়ার অন্যতম কারণ হলো পরিচিত আইনি ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকিং সম্পর্ক ও ইংরেজি ভাষার সুবিধা।
চ্যারিটিজ এইড ফাউন্ডেশনের অন্যতম উদ্যোগ আমেরিকান ডোনার ফান্ডের প্রধান জো ক্রোম তহবিল স্থানান্তরের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে ‘পুরোপুরি নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন। ন্যাশনাল ফিলানথ্রোপিক ট্রাস্ট ইউকের প্রধান নির্বাহী জন কানাডিও একে ‘অপ্রত্যাশিত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মার্কিনদের কর সাশ্রয়ীভাবে দাতব্য অনুদান দিতে সহায়তা করে আমেরিকান ডোনার ফান্ড। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এতে তহবিল ছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ পাউন্ড, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তিন গুণের বেশি বেড়ে প্রায় ১৪ কোটি পাউন্ডে পৌঁছেছে। ২০২২-২৩ পর্যন্ত দুই বছরে তহবিল বেড়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ পাউন্ড। তবে গত এপ্রিল পর্যন্ত দুই বছরে বেড়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ পাউন্ড।
আইনজীবীরা বলছেন, দাতারা শুধু নতুন প্রতিষ্ঠান খোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছেন না। তারা বিদ্যমান মার্কিন সংস্থাগুলোর জন্য সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানও তৈরি করছেন। যুক্তরাজ্যে মার্কিনদের দাতব্য সংস্থা পরিচালনা নতুন বিষয় না হলেও সম্প্রতি এ খাতে বড় আকারের অর্থ স্থানান্তর দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত মার্কিন সরকারের সম্ভাব্য বিধিনিষেধের আশঙ্কা থেকেই এ প্রবণতা তৈরি হয়েছে। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সম্প্রতি জানিয়েছেন, সরকার অর্থের উৎস ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে, যাতে কোনো মার্কিন সংস্থা রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীতে তহবিল দেয় কিনা তা বোঝা যায়।
গত মাসের শুরুতে মার্কিন এনজিওগুলোকে অনুদান দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিলিয়নেয়ার হেজ ফান্ড ম্যানেজার স্যার ক্রিস হনের ফাউন্ডেশন। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যের শক্তিশালী আইনি কাঠামো আন্তর্জাতিক দাতব্য কার্যক্রমকে অন্যান্য দেশের তুলনায় সহজ ও নিরাপদ করেছে।
নিউইয়র্কভিত্তিক আইনজীবী আলানা পেট্রাসকে জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি দাতব্য সংস্থাগুলোর জন্য অনিশ্চিত এবং কিছুটা অস্থির পরিবেশ তৈরি করেছে। ফলে তারা ঝুঁকি মূল্যায়ন করে নিরাপদভাবে কার্যক্রম চালানোর পথ খুঁজছে।
যুক্তরাজ্যের চ্যারিটি কমিশন জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে দুই শতাধিক মার্কিন এনজিও দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক দাতব্য কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ার ইঙ্গিতও দেয়।
http://forex-bangla.com/customavatars/1630478305.jpg
একটি শীর্ষস্থানীয় মার্কিন দাতব্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, বড় সংস্থার মধ্যে অর্থ স্থানান্তরের প্রবণতা বেশি। তিনি আরো জানান, যুক্তরাজ্যকে বেছে নেয়ার অন্যতম কারণ হলো পরিচিত আইনি ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকিং সম্পর্ক ও ইংরেজি ভাষার সুবিধা।
চ্যারিটিজ এইড ফাউন্ডেশনের অন্যতম উদ্যোগ আমেরিকান ডোনার ফান্ডের প্রধান জো ক্রোম তহবিল স্থানান্তরের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে ‘পুরোপুরি নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন। ন্যাশনাল ফিলানথ্রোপিক ট্রাস্ট ইউকের প্রধান নির্বাহী জন কানাডিও একে ‘অপ্রত্যাশিত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মার্কিনদের কর সাশ্রয়ীভাবে দাতব্য অনুদান দিতে সহায়তা করে আমেরিকান ডোনার ফান্ড। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এতে তহবিল ছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ পাউন্ড, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তিন গুণের বেশি বেড়ে প্রায় ১৪ কোটি পাউন্ডে পৌঁছেছে। ২০২২-২৩ পর্যন্ত দুই বছরে তহবিল বেড়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ পাউন্ড। তবে গত এপ্রিল পর্যন্ত দুই বছরে বেড়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ পাউন্ড।
আইনজীবীরা বলছেন, দাতারা শুধু নতুন প্রতিষ্ঠান খোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছেন না। তারা বিদ্যমান মার্কিন সংস্থাগুলোর জন্য সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানও তৈরি করছেন। যুক্তরাজ্যে মার্কিনদের দাতব্য সংস্থা পরিচালনা নতুন বিষয় না হলেও সম্প্রতি এ খাতে বড় আকারের অর্থ স্থানান্তর দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত মার্কিন সরকারের সম্ভাব্য বিধিনিষেধের আশঙ্কা থেকেই এ প্রবণতা তৈরি হয়েছে। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সম্প্রতি জানিয়েছেন, সরকার অর্থের উৎস ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে, যাতে কোনো মার্কিন সংস্থা রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীতে তহবিল দেয় কিনা তা বোঝা যায়।
গত মাসের শুরুতে মার্কিন এনজিওগুলোকে অনুদান দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিলিয়নেয়ার হেজ ফান্ড ম্যানেজার স্যার ক্রিস হনের ফাউন্ডেশন। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যের শক্তিশালী আইনি কাঠামো আন্তর্জাতিক দাতব্য কার্যক্রমকে অন্যান্য দেশের তুলনায় সহজ ও নিরাপদ করেছে।
নিউইয়র্কভিত্তিক আইনজীবী আলানা পেট্রাসকে জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি দাতব্য সংস্থাগুলোর জন্য অনিশ্চিত এবং কিছুটা অস্থির পরিবেশ তৈরি করেছে। ফলে তারা ঝুঁকি মূল্যায়ন করে নিরাপদভাবে কার্যক্রম চালানোর পথ খুঁজছে।
যুক্তরাজ্যের চ্যারিটি কমিশন জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে দুই শতাধিক মার্কিন এনজিও দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক দাতব্য কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ার ইঙ্গিতও দেয়।