PDA

View Full Version : লাখ ডলার আয় করেও চাপে রয়েছে মার্কিনরা



Tofazzal Mia
2025-11-18, 06:13 PM
বছরে ছয় অংকের বা কমপক্ষে ১ লাখ ডলার আয় করে এমন মার্কিনদের বড় একটি অংশ আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যে নেই। বরং তারা এখন বেশ চাপ অনুভব করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো বাজার ও জনমত জরিপ সংস্থা দ্য হ্যারিস পোলের প্রশ্নোত্তরে জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের একটি অংশ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিকভাবে নিরাপদ অনুভব করা অনেকটাই দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়, এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন এ জরিপ। তবে মূল্যস্ফীতিকেও এর কারণ হিসেবে বর্ণনা করছেন কেউ কেউ। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছয় অংকে আয়কারীদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মার্কিন নিজেদের আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হিসেবে বর্ণনা করেছে। উচ্চ আয়কারী এ গোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা নিজেদের ধনী মনে করে না বলেও জানিয়েছে।
http://forex-bangla.com/customavatars/1488243621.jpg
এবারের গরমের মৌসুমে ২ হাজার ১০০-এর বেশি মার্কিনকে ‘ইনকাম প্যারাডক্স সার্ভে’র আওতায় প্রশ্ন করে দ্য হ্যারিস পোল। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭২৮ জনের বার্ষিক আয় ১ লাখ ডলার বা তার বেশি। ২৮০ জনের আয় কমপক্ষে ২ লাখ ডলার।
ছয় অংকে আয়কারীদের একটি বড় অংশ বলছে, বর্তমানে আর্থিক অবস্থায় তারা টিকে থাকার সংগ্রাম করছে। জরিপ থেকে আরো জানা যাচ্ছে, আর্থিক টানাপড়েনের সময় সাধারণ খরচ মেটাতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার প্রবণতা তাদের মধ্যে বেশি। ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, অপ্রত্যাশিত একটি বিল তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে বিশৃঙ্খল অবস্থার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সাধারণত ধরা হয়, লাখ ডলার বা এর বেশি আয়ের মার্কিনরা বেশ ভালো আছে। এর পরেও তাদের মধ্যে এমন হতাশার কারণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। প্রতিবেদন অনুসারে এর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাগুলোর একটি হলো, একই পরিমাণ আয় করলেও অঞ্চলভেদে খরচের তারতম্যের কারণে চাপ অনুভূত হতে পারে। নিউইয়র্ক সিটির একজন ছয় অংকের আয়কারী ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলের সমআয়ের মার্কিনদের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আর্থিক কেন্দ্র নিউইয়র্ক সিটিতে বাসা ভাড়া, খাবার ব্যয়সহ অন্যান্য যেকোনো খরচ বেশি।
বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, আর্থিক ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি মার্কিনদের বড় ধরনের চাপে রেখেছে। এটি সম্পদ শ্রেণীর নিচের দিকে আরো বেশি প্রযোজ্য। কয়েক বছর ধরে দেশটির নীতিনির্ধারকরা মূল্যস্ফীতি ও সুদহারের টানাপড়েনে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছেন।
তুলনামূলক হিসাব দেখিয়ে কমেরিকা ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিল অ্যাডামস জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতির কারণে মার্কিনদের ক্রয়ক্ষমতা বড় হারে কমেছে। ২০ বছর আগের ১ লাখ ডলারের সমান ক্রয়ক্ষমতা বজায় রাখতে হলে এখন আয় করতে হবে ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার।